প্রিয় মন্ত্রী মশাই পর্ব-২০

0
98

গল্পঃ #প্রিয়_মন্ত্রী_মশাই
পর্বসংখ্যা: ২০
লেখিকাঃ #আহিয়া_শিকদার_আহি

পাঁচ ভাইবোন দৌড়াতে দৌড়াতে বাগানে চলে এসেছে। বাগানের ঘাসের উপর হাঁপাতে হাঁপাতে বসে পড়লো। পাঁচজনের মুখেই শোভা পাচ্ছে মুগ্ধ করা হাসি।

” বোনি, যাই বলিসনা কেনো ভিডিও টা কিন্তু মারাত্মক ছিল। ভাবা যায় শুভ্রা ইবনাত খানকে ট্রোল করেছে। সাহস আছে বলতে হবে।”

ভ্রু নাচিয়ে বলে ফারহাদ। শুভ্রা তৎক্ষণাৎ চুল টেনে ধরে ফারহাদের। বাকি চারজন মুখ চেপে হাসছে।

” বোনি, ছাড় ছাড়। লাগছে তো। ভুলে যাস না আমি কিন্তু তোর বড় ভাই।”

“এহ আসছে বড় ভাই।তোমার বোনকে ট্রোল করছে আর তুমি মজা নিচ্ছো। ওই পাঠকাঠিকে তো আমি দেখে নিবো। কতো বড় সাহস।ওকে যদি তেলাপোকার ভর্তা না খাইয়েছি তাহলে আমার নাম ও শুভ্রা নয়।”

” ইয়াক থু বোনি। আর কোনো রেসিপি পেলি না।”

নাক সিটকায় চারজনই। পাঁচ ভাইবোন কিছুক্ষণ মারামারি করে ক্লান্ত হয়ে বাগানেই শুয়ে পরে। খান বাড়ির বাকি সকলে দরজায় দাড়িয়ে দেখছিল তাদের। মুগ্ধ হয় তারা এই পাঁচ ভাই বোনের ভালোবাসা দেখে।

” এরাযে কাজিন ভাই বোন কেউ দেখলে বলবে? একে অপরের প্রতি ভালোবাসা , শ্রদ্ধা ভরা এই সম্পর্কটাতে।পাঁচজন একসাথে থাকলে যেনো পাঁচ বছরের বাচ্চায় পরিণত হয়। এইযে ফারহাদকেই দেখো না,নিজেই পাঁচবছরের একটা বাচ্চার বাবা কিন্তু এখন কি মনে হচ্ছে। এরা চার ভাই না থাকলে হয়তো মেয়েটাকে আমরা আবার স্বাভাবিক ভাবে পেতাম না। হয়তো এতদিনে মেয়েটার অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যেতো।”

রেজিনা খানের কথায় দীর্ঘশ্বাস ফেলেন সকলে। এই তাদের হাসি খুশি মেয়েটাও নাকি একসময় নীরব হয়ে গিয়েছিল। ভাবতেই অশ্রুকণা ভিড় করে সকলের চোখে।শুভ্রাদের আর জ্বালায় না কেউ। থাকুক না ভাইবোনরা একসাথে কিছু সময়।
একে একে বাড়ির ভিতরে চলে যায় তারা। বাগানে রয়ে যায় ভালোবাসার সম্পর্কে পরিপূর্ণ কিছু মানুষকে।

“এই মধুর সম্পর্কে কখনও ফাটল ধরবে নাতো?এই প্রশ্ন তাদের মনে আসলে কেঁপে উঠে তারা। সবসময় চায় যেনো কখনও ভাই বোনের এই সম্পর্কে কোনো চির না ধরে। সারাজীবন অটুট থাকুক এই সম্পর্ক।”

“বোনি, চল ফুসকা খেতে যাবো। অনেক দিন হলো একসাথে কোথাও বের হই না। রফিক চাচার দোকানে যাবো। আহা কি সুস্বাদু ফুচকা তৈরি করেন উনি।ভাবতেই জিভে পানি চলে আসে”

” ভাইয়া, তোর লজ্জা হওয়া উচিত। এক বাচ্চার বাপ হয়ে গিয়েছিস তবুও এমন করছিস।”

” এই চুপ থাক তুই।যাবি কিনা বল? না গেলে কোনো সমস্যা নেই। আমরাই চলে যাচ্ছি।”

বলেই উঠে দাঁড়ায় ফারহাদ। শুভ্রা ,রিমন আর রাহাতকে নিয়ে হাটা শুরু করে। ফাহিম আর কি করবে। যতোই হোক রফিক চাচার ফুচকা মিস করা যাবে না।তাই সেও চলতে শুরু করে তাদের সাথে।

_________

আরহামের সামনে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন গার্ড। ভয় শরীর কাপছে তাদের। এই বুঝি তাদের উপর দিয়ে ঝড় চলে যাবে। আগত ঝড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। আজ ফাহিম স্যার থাকলে হয়তো বেঁচে যেতো। খুব করে চাইছে এই সময় ফাহিম চলে আসুক। কিন্তু ভাগ্য বুঝি আজকে আর তাদের সহায় হলো না। আরহামের হুংকার শুনে থরথর করে কাপাকাপি শুরু হয়ে গেলো।

” গর্ধবের দল, তোরা এরকম ভুল কি করে করতে পারিস। ভুল করার জন্য কি তোদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।তোদের চোখ কিভাবে ফাঁকি দিলো ও। আনসার মি ড্যামিট।”

” আসলে বস,, ”

আরহাম অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে গার্ডদের লিডার শুভ’র দিকে।শুকনো ঢোক গিলে শুভ। আজকে কেউ তাদের বাঁচাতে পারবেনা আরহামের হাত থেকে বেশ বুঝতে পারছে। তাদের সামান্য ভুলের কারণে আজকে তাদের আরহামের এই ভয়ানক রূপের শিকার হতে হচ্ছে। আরহামের এই রূপ দেখার চেয়ে ভালো শুভর ইচ্ছা করছে নদীতে ঝাঁপ দিতে।

” এবারের মতো মাফ করে দিন বস। এইযে নিজের মাথা ছুয়ে কথা দিচ্ছি আর জীবনেও এমন হবে না। আমরা বুঝতে পারি নি ম্যাম কখন আমাদের চোখ এড়িয়ে চলে গিয়েছিল। ঠিকঠাক ভাবেইতো নজরে রেখেছিলাম। ”

” তাহলে কি একটা জ্বলজ্যান্ত মানুষ হঠাৎ উধাও হয়ে যায় তোদের সামনে থেকে?”

” বস , আমার মনে হয় কি ম্যাম বোধয় আমাদের দেখেছে?”

ভয়ে ভয়ে কথাটি বললো শুভ। বাকি গার্ডরা আরহামের ভয়ে থাকলেও শুভর অবস্থা দেখে তাদের পেট ফেটে হাসি আসতে চাইছে। সব সময় তাদের উপর দাপট দেখায়। কিন্তু বস সামনে আসলেই সব হওয়া ফুস হয়ে যায়। আরহাম কিছু একটা ভাবে। কপালে সূক্ষ্ম ভাঁজ পরেছে। গার্ড দের আর কিছু না বলে গাড়িতে বসে পরে। সাথে কোনো গার্ড না নিয়েই নিজে ড্রাইভ করে চলে যায় পার্টি অফিস থেকে। গার্ডরা বিস্ময় ভরা চাহনিতে তাকিয়ে থাকে আরহামের যাওয়ার দিকে। এতো সহজে ছেড়ে দিলো তাদের?

___________

রফিক চাচার ফুচকার দোকানের একপাশে শুভ্রারা দাঁড়িয়েছে আরেকপাশে মাহিদ আর তার বন্ধুরা। মাহিদ আর শুভ্রা একে অপরকে দেখে অবাক হয়েছে। শুভ্রা মাহিদকে খোঁচা মারার জন্য বলে,

” আজকাল দেখি মীরজাফরদের ফুচকার দোকানেও দেখা যায়। বাহ্ বাহ্ এটা দেখার ভাগ্য কতজনের হয়।”

” দেখ দোস্ত আমার কি ভাগ্য। ঘসেটি বেগমকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।”

মাহিদের কথায় তেতে উঠে শুভ্রা। ঘসেটি বেগম বলার সাধ আজকে বের করবে। একটা ফুচকায় মরিচ ভর্তি করে নিয়ে চট করে ঢুকিয়ে দেয় মাহিদের মুখের ভিতর। শুভ্রাযে এমন কিছু করবে কেউ হয়তো ভাবতেও পারে নি। মাহিদের বন্ধুরা হা করে দেখছে শুভ্রাকে। মাহিদ ঝাল ঝাল বলে চেঁচাতে শুরু করে। হাহা করে হেসে উঠে শুভ্রা আর তার চার ভাই। মাহিদ রাগে গজগজ করতে করতে ঝাল মুখেই সেখান থেকে চলে যায়।

শুভ্রা তাকায় বা হাতে থাকা পেনড্রাইভের দিকে। এই পেনড্রাইভে তাদের এতো দিনের পরিশ্রম আছে। এটার জন্য কি নাকি করতে হয়েছে তাদের। প্রাণ প্রিয় মানুষদেরকেও সকলের সামনে শত্রু হিসেবে উপস্থাপন করতে হয়েছে।মুচকি হাসে সে। পেনড্রাইভটা আলগোছে ফারহাদের হাতে তুলে দেয়। ফারহাদ সন্তর্পনে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলে।শুভ্রা চার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বিজয়ের হাসি হাসে। তারাও শুভ্রার সাথে তাল মিলায়। অতঃপর পাঁচজন মিলে নেমে পরে ফুচকার খাওয়ায় কম্পিটিশনে।

বাড়ির প্রায় কাছাকাছি আসার পথে আরাজ কে দেখে থেমে যায় শুভ্রা। সাথে সাথে বাকি চারজন ও থেমে যায়। আরাজের হাতে পায়ে মুখে ছোটো ছোটো ব্যান্ডেজ করা। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। খুব সম্ভবত ভার্সিটিতে যাচ্ছে। তারা নিজে থেকেই এগিয়ে যায় আরাজের দিকে।আরাজ সৌজন্যমূলক হাসে।

” আরে আরাজ স্যার আপনার এই অবস্থা কিভাবে হলো? দেখেতো মনে হচ্ছে কেউ মেরেছে আপনাকে। ভার্সিটির শিক্ষক কে কেউ মেরেছে এটাও সম্ভব?আহারে, দেখো ভাইয়ারা ওনার শরীরে কতো জায়গায় ব্যান্ডেজ।”

আরাজ বুঝতে পারল না তাকে ব্যঙ্গ করে বলল নাকি।তবুও ঠোঁটে হাসি রেখেই জবাব দিলো শুভ্রাকে।

” তেমন কিছুই না শুভ্রা। আসলে রান্না ঘরে কাজ করতে গিয়ে এমন হয়েছে। একা থাকি তো তাই নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়।”

” আপনার বাড়ির লোক কেউ থাকে না আপনার সাথে? তাছাড়া আঘাত গুলো দেখেতো রান্না ঘরে পাওয়া আঘাত মনে হচ্ছে না।”

রিমনের কথায় হকচকিয়ে যায় আরাজ। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে চলে যায়। সাথে বলে যায় তার কেউ নেই। পাঁচজন আরাজের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আবারো নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করে। আজকে সারাদিন তাদের ঘোড়ার কথা ছিল কিন্তু ফারহাদের জন্য হলো না। তাকে তো তার কাজে যেতে হবে। তাছাড়া রিমন আর রাহাতের অফিসে যেতে হবে।

_______________

ভার্সিটির প্রিন্সিপাল একরামুল সাহেব চিন্তিত মুখে বসে আছেন। হাতে রয়েছে ভার্সিটির কিছু স্টুডেন্টের নামের লিস্ট। স্টুডেন্টগুলোর পাশে স্পষ্ট ভাষায় লেখা ড্রাগ এডিক্টেড। দিনে দিনে লিস্টে নামের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এটাই ওনার চিন্তার কারণ। কোনরকম সমাধান বের করতে পারছেন না তিনি। ভার্সিটিতে কে স্টুডেন্টদের মধ্যে ড্রাগ সাপলাই করছে ? আর কোনো কিছু না ভেবেই ফোন করেন তিনি কারো কাছে।

” সবার লিস্ট পেয়ে গিয়েছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সব কিছুর সমাধান করতে পারবে। লিস্টে দিনে দিনে সংখ্যা বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে সব স্টুডেন্টদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।”

অপরপাশে ব্যক্তি কি বলল সেটা শোনা গেলো না কিন্তু একরামুল সাহেবের মুখে আশার আলো ফুটে উঠল। তিনি জানেন খুব তাড়াতাড়ি অপরাধী ধরা পড়বে। কিন্তু তবুও চিন্তা মুক্ত হতে পারছেন না।

__________

বাড়ির সকলে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হতে দেখে নিজের ঘরে চলে আসে শুভ্রা। ফ্রেস হয়ে এসে বিছানায় বসতেই মনে পরে সপিং ব্যাগ গুলোর কথা। ওগুলোতো এখনো খুলে দেখা হয়নি। কাবার্ড থেকে ব্যাগ গুলো বের করে বিছানায় দুই পা ভাঁজ করে বসে। সপিং ব্যাগের মধ্যে থাকা জিনিসগুলো দেখতেই হাত মুখে চলে যায় শুভ্রার। কি আশ্চর্য। এখানে তার পছন্দের সব জিনিস আছে। শাড়ি থেকে শুরু করে পায়ের নূপুর সব কিছু। কতো রকমের কানের ঝুমকো,কাজল, নূপুর, কাচের চুড়ি। সব কিছুই আছে। বেশিরভাগ শুভ্র রঙা হালকা কাজ করা সুতির শাড়ি সাথে নীল কালো হাফ সিল্কের শাড়ি। শুভ্রা আলতো হাত বুলায় জিনিসগুলোর উপর। এগুলো কি তার মন্ত্রী মশাইয়ের পছন্দ করা জিনিস? নাড়াচাড়া করতে করতে একটা নীল চিরকুট হাতে পড়ে শুভ্রার।

” শোনো মেয়ে, তুমি এখন আমার বউ। আমার জীবনের বাকি পথ চলার সাথী। তোমার প্রতি আমার দায়িত্বের শেষ নেই। জানিনা সারাজীবন একসাথে চলতে পারব কিনা তবে আমার পক্ষ থেকে আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। ইচ্ছাকৃত কখনোই এই পবিত্র সম্পর্কে কোনো আচ আসতে দিবো না। তবে কোনোদিন অনিচ্ছাকৃত যদি কিছু হয়ে যায় তবে সেটা অবশ্যই দুজনের উপর নির্ভর করবে।
যা বলতে চেয়েছিলাম, আমার পক্ষে সকলের সাথে সপিং করা সম্ভব নয়। তাই আগে থেকেই তোমার যাবতীয় জিনিস তোমাকে দিয়ে দিলাম। বাকি বিয়ের জিনিস বিয়ের আগেই পাঠিয়ে দিব। আশা করছি কোনো অভিযোগ থাকবে না তোমার। নিশ্চয়ই ভাবছো মন্ত্রী মশাই এসব লিখতে গেলো কেনো? তাহলে বলে রাখি তুমি যা মেয়ে মুখে বললে না জানি কি হতো আমার সাথে। নাহলে মন্ত্রী আরহাম শিকদারের কোনো ইচ্ছে নেই এভাবে লেখার। ”

শুভ্রা মুগ্ধ হয়ে চিরকুট টা পড়লেও শেষের দিকের লেখা গুলো পড়ে রেগে যায়। এই মন্ত্রী কখনোই ভাব দেখানো ছাড়বে না। কিন্তু এই মন্ত্রী মশাইকেই তো শুভ্রা ভালোবাসে। কতো স্বপ্ন দেখেছে মন্ত্রী মশাইকে নিয়ে। এখন তো তার অর্ধাঙ্গ এই মন্ত্রী মশাই। তার প্রিয় মন্ত্রী মশাই।

” অবেলায় আপনি একপশলা বৃষ্টি হয়ে নামুন,
আমি পর্দা সরিয়ে জানালাটা খুলে
দুই হাত দিয়ে আপনাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করবো।”

“আপনি সকালবেলার সোনালী রোদ হয়ে উঠুন,
আমি আরমোড়া ভেঙে ঘুম থেকে উঠে
আপনি নামক সোনালী রোদটাকে গায়ে মাখবো।”

“আপনি দুপুরবেলার ক্লান্তির অবসান হয়ে আসুন,
আমি আপনার মাঝে একটু শান্তি খুঁজে নিবো”

“আপনি উদাস বিকেলের পাখির সুর হয়ে
আমার কর্ণকুহরে ভেসে আসুন,
আমি নীরবচিত্তে আপনাকে শুনে যাবো।”

“আপনি গোধুলির আলো-আঁধারের
প্রহেলিকা হয়ে আসুন, নির্বাক দৃষ্টিতে
আমি আপনার পানে চেয়ে থাকবো।”

“আপনি রাতের চাঁদ হয়ে উঠুন গগনে,
আমি শীতল পাটিতে বসে
আপনার জোৎস্না গায়ে মাখবো।”

“আপনি নিঝুম রাতে ঝিঁঝিঁ পোকার
ডাক হয়ে আসুন,সেই ডাকে মত্ত হয়ে আমি
নিজেকে নিদ্রার কোলে সপে দেবো।”

“আপনি ফজরের ‘অরুণিমা’ হয়ে পূর্বাকাশে ভাসুন,
আমি চশমা পরা দুই নয়ন জুড়াবো।”
~মাহতিম আদ্রিয়ান

ভালোবাসি মন্ত্রী মশাই , বড্ড বেশি ভালোবাসি। আপনার দেওয়া এই ছোট্ট উপহারও আমার জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া।

চলবে,,,,