#প্রেমনোঙর_ফেলে
লেখনীতেঃ মিথিলা মাশরেকা
৩৭.
ইমারজেন্সির বেডে নিশ্চুপভাবে শুয়ে আছে ইচ্ছে। ওর নাকে অক্সিজেন পাইপ, হাতে স্যালাইন, মাথায় কিছু সেন্সর লাগানো। দরজা খুলে আস্তেধীরে ভেতরে ঢুকলো প্রাপ্ত। কলিজা যেনো কেউ টুকরো টুকরো করে কাটছে ওর। ডক্টর বলে দিয়েছে, ইচ্ছে নিজেই রেসপন্স করছে না। আর এমন চলতে থাকলে চাইলেও অপারেশন করা তাদের পক্ষে সম্ভব না। নওশাদ সাহেব, নাফিজা বেগম, রাকীন একেএকে সবাই এসে দেখে গেছে ইচ্ছেকে। ইচ্ছে সাড়া দেয়নি। মনে সাহস সঞ্চার করে কেবিনে ঢুকলো প্রাপ্ত। এগিয়ে এসে ঝুকলো ইচ্ছের দিকে। অসহায়ের চোখে মনভরে দেখে নিলো ওকে। তারপর মৃদ্যুভাবে ইচ্ছের কপালের চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে বললো,
-কেনো এমন করছো ইচ্ছে? আর কতো শাস্তি দেবে আমায়?
…
-ডক্টর বলছে তুমিই নাকি রেসপন্স করছো না? কিন্তু তা কি করে হয় ইচ্ছে? সবেই তো নতুন করে শুরু করবো আমরা। তুমি তো পিছিয়ে যাওয়ার মেয়ে নও ইচ্ছে। সাহস করে তুমিই তো প্রথমে এগিয়েছিলে। সবকিছু ছেড়েছুড়ে। এখন ওরা বললে আমি কি করে বিশ্বাস করি বলো?
…
-তোমার বাবা, মা, বোন, বন্ধু সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে ইচ্ছে। একটাবার চোখ মেলো? একটাবার তাকাও?
ইচ্ছের সাড়া নেই। প্রাপ্ত ওর দুহাত মুঠো করে চুমো দিলো। ওর চোখের জলে সিক্ত হলো ইচ্ছের হাত। প্রাপ্ত কাদতে কাদতে বললো,
-তোমার ভালোবাসা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে ইচ্ছে। তোমার পাগলামীর স্রোতে গা ভাসাবে বলে। তাকে আর একটাবার সুযোগ দাও ইচ্ছে? একটাবার?
মৃদ্যু নড়েচড়ে উঠলো ইচ্ছের হাত। কিঞ্চিত শক্তিতে প্রাপ্তর হাত চেপে ধরলো ইচ্ছে। চমকে উঠে উচ্ছ্বাসে ওর দিকে তাকালো প্রাপ্ত। ইচ্ছে চোখ খুললো আস্তেধীরে। নিজচোখে দেখে নিলো উন্মাদপ্রায় প্রাপ্তর চেহারার হাল। মৃদ্যুস্বরে বললো,
-আমি বরই নির্লজ্জ প্রাপ্ত। জীবনে খুব কম ভালোবাসা পেয়েছি তো! তাই ভালোবাসার ডাক শুনলে আটকাতে পারি না নিজেকে।
প্রাপ্ত ইচ্ছেকে তুলে জরিয়ে ধরলো। পাগলের মতো একাধারে চুমোতে ভরিয়ে দিলো ইচ্ছের চোখমুখ। ইচ্ছে বাধা দিলো না। প্রাপ্ত একটু থামলে বললো,
-কি হয়েছে আমার? বাচবো না আমি আর?
-কিছুই হয়নি তোমার। সব ঠিক হয়ে যাবে ইচ্ছে।
প্রাপ্তর শীতল স্বর। ইচ্ছে মৃদ্যু হাসলো। অনেকটা সময় পর প্রাপ্ত ওকে বেডে শুইয়ে দিলো আবারো। নাক টেনে ঠোটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বললো,
-আজ আমাদের বিয়ে ইচ্ছে।
থমকে গেলো ইচ্ছে। কম্পিতকন্ঠে বললো,
-ক্ কি বলছো তুমি এসব?
-ঠিকই বলছি। আমি আজ এই মুহুর্তে বিয়ে করতে চাই তোমাকে।
-পাগল হয়ে গেছো তুমি? এসব…
-প্রাপ্ত ঠিকই বলছে ইচ্ছে। আজই বিয়ে হবে তোদের।
ইচ্ছে চোখ সরিয়ে দরজায় তাকালো। খেয়া এসেছে। ওর হুইলচেয়ারের পেছনে রাকীন দাড়িয়ে। নওশাদ সাহেব, নাফিজা বেগমও আছেন। ইচ্ছে বললো,
-কিসব বলছিস তুই খেয়া? এখন এভাবে…
-আমরা সবাই এমনটাই চাই ইচ্ছে। প্রেসমিডিয়া জানুক, তোমার আজ বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো, বিয়েটা হয়েছে।
-কিন্তু বাবা…
প্রাপ্ত পাশ থেকে একটা কাগজ তুলে দিলো ইচ্ছের কোলে। ওর একহাতে কলম ধরিয়ে দিয়ে, আরেকহাতে চুমো দিয়ে বললো,
-ভালোবাসি তোমাকে মিস রকস্টার। আমার ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দাও?
বাবা, মা, বোনের দিকে একপলক তাকিয়ে সবার চোখমুখে পড়ে নিলো ইচ্ছে। অতঃপর নির্দ্বিধায় রেজেস্ট্রি পেপারে সাইন করে দিলো । ওর সব কারন, প্রশ্ন এসে প্রাপ্তর কথাতেই শেষ হয়ে যায়। প্রাপ্ত ওর দুর্বলতা। আর যাই হোক, কোনোদিনও ওকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা যে ওর নেই, তা ভালোমতোই জানে ইচ্ছে। সাইনটা পেয়ে প্রাপ্ত শ্বাস ফেললো। কপালে চুমো একে দিলো ইচ্ছের। বললো,
-ওয়েলকাম টু মাই লাইফ ইচ্ছে। তোমার একান্ত গ্যাংস্টারের মিসেস গ্যাংস্টার হয়ে।
•
কেবিনে নাফিজা বেগম ইচ্ছের ঔষুধপত্র গোছাচ্ছেন। থরথর করে সমানে হাত কাপছে তার। ইচ্ছের অপারেশনের সময় ঘনিয়ে আসছে ক্রমশ। স্বামী হিসেবে ইচ্ছের সব সিদ্ধান্ত প্রাপ্তই নিয়েছে। নওশাদ সাহেবকে এখনো কিছু জানায়নি প্রাপ্ত বা রাকীন। কি হবে সে চিন্তায় নাফিজা বেগম অস্থির হয়ে পরেছেন। ইচ্ছে আধশোয়া হয়ে বসেবসে মাকে দেখে চলেছে। বিয়েটা হয়ে যাওয়ার পর, আর একবারের জন্যও খেয়া আসেনি ওর কেবিনে। নাফিজা বেগমের অবস্থাও স্বাভাবিক না। কিছু বলতে যাবে, তখনই গিটারের ব্যাগ কাধে কেবিনে ঢুকলো প্রাপ্ত। পেছনে আরেকটি মেয়ে। নাফিজা বেগম জলভরা চোখে তাকালেন মেয়েটার দিকে। ব্রেইন অপারেশনের জন্য চুল কাটা হবে ইচ্ছের। এজন্যই মেয়েটিকে নিয়ে এসেছে প্রাপ্ত। প্রাপ্তকে দেখলেন শক্ত হয়ে দাড়িয়ে থাকতে। তার সব কাজে শুধু একটাই প্রতিত্তর, ইচ্ছের অপারেশন হবে, ঠিক হয়ে যাবে ইচ্ছে। ঠোট চেপে ধরে কান্না আটকে, নাফিজা বেগম বেরিয়ে গেলেন কেবিন থেকে। ইচ্ছে ইশারায় প্রাপ্তকে জিজ্ঞাসা করলো, মেয়েটা কে। প্রাপ্ত একটা টুল টেনে গিটার কোলে নিয়ে বসতে বসতে বললো,
-তোমার চুলের অবস্থা ভালো না। নতুন বউকে এতো এলোমেলো চুলে ভালো দেখায় না। তাই ভাবলাম একটু কেটে ছোট করে দেই।
ইচ্ছে ঠোট টিপে হেসে বললো,
-আসল ঘটনা বলুন মশাই। বাচ্চাদের কাহিনী কাকে শোনাচ্ছেন?
প্রাপ্ত একশ্বাসে বললো,
-তোমার চুল আমার পছন্দ না ইচ্ছে।
ইচ্ছে শব্দ করে হেসে দিলো। হাসতে হাসতে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললো,
-একদম ন্যাড়া করে দাও।
তারপর প্রাপ্তর দিকে তাকিয়ে বললো,
-আর এইযে! গিটার এনেছো যখন, গান গেয়ে শোনাও! জলদি!
অবাকচোখে তাকিয়ে রইলো প্রাপ্ত। ওর কাজগুলোকে এতো সহজতর করে কেনো দিচ্ছে ইচ্ছে? এতোটা বাচ্চামো কেনো করছে? ইচ্ছে ভ্রু নাচিয়ে আবারো গাইতে বললো ওকে। প্রাপ্ত গিটারে সুর তুলে ওর দিকে তাকিয়ে গাইতে লাগলো,
” হতে পারে রুপকথার এক দেশের
রাতের আকাশের একফালি চাঁদ
তোমার আমার চিরকাল…
তুমি আমি হাতে রেখে হাত
ছুয়ে দিয়ে আঙুলে আঙুল
দেখতে পারো কিছু আদুরে সকাল।
হতে পারে এ পথের শুরু
নিয়ে যাবে আমাদের অজানায়
তুমি আমি আমাদের পৃথিবী
সাজিয়ে নেবো ভালোবাসায়…
ভালোবাসি বলে দাও এবার
বলে দাও হ্যাঁ সব কবুল
তুমি শুধু আমারই হবে
যদি করো মিষ্টি এ ভুল।
হাতে হাত রাখতে পারো
সন্ধি আঙুলে আঙুল
ভালোবাসা বাড়াতে আরো
হৃদয় ভীষন ব্যাকুল…”
ইচ্ছে চোখ সরালোই না প্রাপ্তর থেকে। মুগ্ধচোখে তাকিয়ে দেখতে লাগলো ওকে। ভুলে গেলো পারিপার্শ্বিক। যে মেয়েটা ইচ্ছের চুল কাটতে এসেছিলো, অজান্তেই কখন ওর চোখ থেকে জল গরিয়েছে, নিজেও জানেনা। এমন ভালোবাসা চোখের সামনে দেখাটাও সৌভাগ্যের বিষয়। তরিঘড়ি করে চোখের পানিটুক মুছে নিজের কাজে মন দিলো ও। ইচ্ছের মাথার ঝলোমলো চুলগুলো দেখে আরেকদফায় কান্না আসছিলো ওর। এইতো সেদিনের এক কনসার্টে, ছাড়া চুলে, জিনস্ টপস্ পরে স্টেজে উঠেছিলো ইচ্ছে। প্রতিবার গান গাওয়ার সময় যখন চুলগুলো চোখেমুখে এসে লাগতো, কতো সুন্দরভাবে তাতে আঙুল চালিয়ে সরিয়ে দিতো ইচ্ছে। ঠোট কামড়ে ধরে নিজেকে শক্ত রেখে মেয়েটা সবগুলো চুল কেটে দিলো ইচ্ছের। ঠিকঠাকমতো সবকিছু গুছিয়ে পেছন থেকে মৃদ্যু ইশারা করলো প্রাপ্তকে। ইচ্ছে তখনো প্রাপ্তর গানের মোহে আছে যেনো। প্রাপ্তও ইশারায় মেয়েটাকে বুঝালো চলে যেতে। মেয়েটা চলে গেলে, শেষ করলো গান। ধ্যান ভাঙলো ইচ্ছের। ঠোটে মুগ্ধতার হাসি বহাল রেখে বললো,
-অনেকভালো গাও মিস্টার গ্যাংস্টার। সিঙিংয়ে আসলে না কেনো?
প্রাপ্ত গিটার পাশের দেয়ালে ঠেস দিয়ে রেখে বললো,
-আমি সিঙিংয়ে গেলে, তুমি মিস রকস্টার থেকে মিসেস গ্যাংস্টার কিভাবে হতে শুনি?
ইচ্ছে হাসলো। প্রাপ্ত একধ্যানে ওর হাসিটার দিকে তাকিয়ে রইলো। ওই হাসি দেখে ইচ্ছের একদম কাছে চলে যেতে ইচ্ছে করছে ওর। আদর করতে ইচ্ছে করছে। পরিস্থিতি ঘোরাতে উঠে দাড়িয়ে শেলফের কাছে চলে গেলো। ইচ্ছের ঔষুধপত্র দেখতে দেখতে বললো,
-মেডিসিন নিয়েছো? আমি আসার আগেই আন্টি দিয়ে দিয়েছে মেডিসিন?
ইচ্ছে যেনো পুরোটাই বুঝলো। হাতের স্যালাইন খুলে ফেললো আস্তেধীরে। প্রাপ্ত উল্টোপাশ হয়ে ফিরে তখন। বেড থেকে নেমে, প্রাপ্তর পিঠে মাথা ঠেকিয়ে ওকে জরিয়ে ধরলো। প্রাপ্ত চমকে উঠে পেছন ফিরতে যাচ্ছিলো। ইচ্ছে ওর বুকের শার্ট খামচে ধরে বললো,
-রিল্যাক্স। নিজে উত্তেজিত হয়ে আমাকেও উত্তেজিত করো না প্লিজ!
-ইচ্ছে?
-আই লাভ ইউ।
-তোমার রেস্টের দরকার ইচ্ছে। তুমি…
ইচ্ছে প্রাপ্তর সামনে এসে দাড়ালো। প্রাপ্তর হাত দু গালে রেখে বললো,
-আমি তোমার বউ প্রাপ্ত। ভালোবাসো আমাকে। আদর করে দাও মন ভরে।
-এসব…চলো বেডে চলো।
প্রাপ্ত সরিয়ে আনছিলো ইচ্ছেকে। ঠায় হয়ে দাড়িয়ে রইলো ইচ্ছে। একচুলও নড়লো না। প্রাপ্ত দীর্ঘশ্বাস মিনতির স্বরে ফেলে বললো,
-তুমি কেনো জেদ করো ইচ্ছে? এটা জেদের সময়?
-তোমায় বলেছি আমাকে ভালোবাসতে। আগে জানলে বিয়েটা কোনোভাবেই করতাম না আমি। কিছুক্ষন আগে চুপিচুপি আমার রিপোর্টস্ দেখে জানলাম, কাল ওটি থেকে আমার রিকভারির পসিবিলিটি খুব কম। বেশ বুঝতে পারছি, এখনো অবদি বেচে আছি, তোমাকে ভালোবাসি বলে। সে ভালোবাসাকে আরো গভীরভাবে অনুধাবন করার আগে, তোমার কাছে আসার আগেই যদি এভাবে মর্…
ইচ্ছের মুখ চেপে ধরলো প্রাপ্ত। একহাতে ওর কোমড় জরিয়ে রেখে কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললো,
-হুশ! চুপ! এভাবে বলো না ইচ্ছে! প্লিজ এভাবে বলো না! ভালোবাসা তো ভালোবাসাই হয়। গভীরভাবে, মৃদ্যুভাবে অনুভবের কিছুই নেই এতে। আমি সবরক পরিস্থিতিতে শুধু তোমাকে চাই। তুমি কেনো ভুল বুঝছো আমাকে? কেনো আমাকে বারবার অপরাধী করে দিচ্ছো তোমার কাছে? কিছুই হবে না তোমার। কিছুই হবে না!
প্রাপ্ত চোখ বন্ধ করে রেখেছিলো। ইচ্ছে তাকিয়ে তাকিয়ে ওকে দেখে চলেছে। কিছুটা সময় পর পাশের শেলফে থাকা মোবাইলটা নিলো একহাতে। “লাগ যা গালে” গানটা বাজিয়ে দিলো ওতে। প্রাপ্ত গানের কথাগুলো শুনতেই চোখ মেললো। বন্ধ করে দিতে যাচ্ছিলো ও গানটা। ইচ্ছে বাধা দিয়ে বললো,
-আমরা কতোদিন বাচি, কতোক্ষন বাচি, সেটা কিন্তু গুরুত্বপুর্ন না। গুরুত্বপুর্ন বিষয় হলো, বেচে থাকার মুহুর্তগুলোতে আমরা কতোটুকো বাচি, কতোটুকো উপভোগ করি আমাদের জীবন। মেয়ে, বোন হিসেবে জীবন দেখে নিয়েছি আমি প্রাপ্ত। কাল ওটিতে ঢোকার আগ অবদি আমি তোমার স্ত্রী হিসেবে বাচতে চাই! ওটিতে যাওয়ার আগ অবদি, তোমার কাছে থেকে তোমার শরীরের ঘ্রান নেবো, তোমায় ভালোবাসবো, আমার থেকে এই সৌভাগ্যটা কেড়ে নিও না প্রাপ্ত! প্লিজ!
-ইচ্ছে…
প্রাপ্তকে বলার সুযোগ দেয় নি ইচ্ছে। গোড়ালি উচিয়ে, একহাতে প্রাপ্তর গলা জরিয়ে ধরে, ঠোটের স্পর্শে আটকে দিলো ওর ঠোট। আটকে ছিলো প্রাপ্তও। আস্তেধীরে নেমে ওর বুকে মুখ গুজলো ইচ্ছে। জোরেজোরে শ্বাস নিয়ে প্রাপ্তর গায়ের ঘ্রান অনুভবের চেষ্টা করলো। তবে নাকের পাইপের জন্য পারলো না কিছু অনুভব করতে। অশ্রুবিসর্জন দিতে লাগলো নিরবে। প্রাপ্ত পাথর হয়ে গেছে। টপটপ করে জল গরাতে লাগলো ওর চোখ বেয়েও। জানালা দিয়ে বাইরের রুপালী থালার মতো চাঁদটা দেখা যায়। প্রেমানুরাগের এ মুহুর্ত শুধু ওদের দুজনেরই হওয়ার কথা। কিন্তু মিলনের মহৌৎসবের পরিবর্তে বরং আজ সুর উঠেছে, “ফির আপকে নাসিব মে, ইয়ে বাত, হো না হো…শায়েদ ফির ইস জানামমে, মুলাকাত হো না হো….”
#চলবে…
[ রি-চেইক হয়নি। ]