#প্রেমপ্রবাহে_বিষবৃষ্টি (১১ তম পর্ব)
#মাইশা_জান্নাত_নূরা (লেখিকা)
আজ শিউলির কেসের ডেট পরেছে। কোর্টের বিচার কক্ষে উপস্থিত হয়েছে ২ পক্ষের সবাই। শিউলি, জামাল, মিতা আর মেহেরুন্নিসা একপার্শে বসে আছে। অন্য পাশে মেহেরুন্নিসার বাবা জহির রায়হান চৌধুরী ও জেভিয়ান বসে আছে। শিউলির তরফ থেকে এফআইআর করার পর জেভিয়ানকে পুলিশ কা*স্টা*ডি*তে নেওয়া হলেও জহির সেই রাতেই মোটা টাকার বিনিময়ে রক্তিমের সহযোগিতায় জেভিয়ানের জামিন করে নিতে সক্ষম হয়েছিলো। ফলসরূপ এতোদিন ধরে জেভিয়ান স্বাধীন ভাবেই নিজের জীবন কাটাতে পারছে৷
২ পক্ষের সম্মুখে থাকা টেবিল-চেয়ার দখল করে ২পক্ষের উকিল রক্তিম ও আকবর সহ আরো কয়েকজন সহকারী উকিল বসে আছেন। সেইসময় বিচারক কক্ষে প্রবেশ করলে সকলে তাকে সম্মান জানাতে উঠে দাঁড়ালেন। বিচারক তার নিজ আসনে বসে বললেন…..
—“আদালত এখন কার্যক্রম শুরু করছে। পেশাকার, আজকের কেসের তালিকা দিন।”
পেশাকার তালিকাটি বিচারকের কাছে দিলে তিনি তা দেখে বললেন….
—“আ*সা*মী*কে কাঠগড়ায় এসে দাঁড়াতে বলুন।”
জেভিয়ানকে কাঠগড়ায় এসে দাঁড়াতে বললে সে বেশ অনেকটা বিরক্তি ভাব নিজ চেহারায় ফুটিয়ে তুলে কাঠগড়ায় এসে দাঁড়ালো। কাঠগড়ার রেলিং এ দু’হাত ভর দিয়ে রেখেছে দেখে বিচারক বললেন…..
—“আপনার দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা আদালতের প্রতি সম্মানসূচক দেখাচ্ছে না। আপনি এখন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন। তাই নিজের আচারণে শালীনভাব রাখুন।”
জেভিয়ান তৎক্ষনাৎ সোজা হয়ে দাঁড়ালো। বিচারক শিউলির পক্ষের উকিল আকবরকে উদ্দেশ্য করে বললেন….
—“প্রসিকিউশন সাক্ষ্য ও প্রমাণ সহ আপনার বক্তব্য আদালতের সামনে উপস্থাপন করুন৷”
আকবর চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। মেহেরুন্নিসা রক্তিমের দিকে তাকিয়ে নিরবে হাসলো।
………ফ্ল্যাশব্যক……..
২দিন আগে,
মেহেরের হাতে ১ম বানানো চা রক্তিম সম্পূর্ণ পান করার পর মেহেরের দিকে তাকিয়ে বললো….
—“এখন থেকে কি তাহলে রোজ তোমার এই কোমলমতি হাতের সুমিষ্ট চা পান করার সৌভাগ্য হবে আমার বউ..?”
মেহের নিজের অর্ধ শেষ করা চায়ের কাপটা টি-টেবিলের উপরে রেখে বললো….
—“নিঃশ্বাসের যেমন দাম নেই তেমনই কখন মেহেরুন্নিসা চৌধুরীর মুড ভালোবাসায় ভরপুর থাকবে আর কখন তা ঘৃ*ণা*য় রূপ নিবে তা মেহেরুন্নিসা নিজেও বলতে পারছে না। তাই রোজ রোজ চা পান করার সৌভাগ্য যে আপনার হবে না এতোটুকু নিশ্চয়তা এখনই দিতে পারছি।”
—“এই তো বেশ সময়টা কাটছিলো। তোমার আচারণ, কথা-বার্তায় সামথিং সামথিং একটা ফিল পাচ্ছিলাম। হুট করে কেনো ঘৃ*ণা শব্দটা টানছো। আমার মুডের ও দ*ফা-রফা হয়ে যাবে এতে।”
—“আচ্ছা আপাতত বলছি না আর তেমন কিছু।”
রক্তিম মেহেরের দিকে ঝুঁকলো কিছুটা। মেহের পিছতে নিলে রক্তিম মেহেরের কমোরের উপর একহাত রেখে বললো….
—“আমি কাছে গেলে তোমার এই দূরে যাওয়ার বিষয়টা আমায় তোমার প্রতি আরো বেশি আকর্ষণ করে জানো সুইটহার্ট! চুম্বকের বিষয়টা খেয়াল করেছিলে কখনও? পজেটিভ আর নেগেটিভ সাইড একে-অপরকে আকর্ষণ করে আর কিছুটা কাছে আনলে একে-অপরের সাথে জুড়ে যায় ওরা। মিলন ঘটে ওদের। আবার পজেটিভ-পজেটিভ ও নেগেটিভ-নেগেটিভ কিন্তু একে-অপরকে আকর্ষণ করে না। বিকর্ষণ করে। তাই আমাদের জুটিটা একদম পারফেক্ট৷ যাকে এককথায় রাজযোটক ও বলা চলে। আমরা একে-অপরের জন্যই সৃষ্টি হয়েছি। তোমার তরফ থেকে নেগেটিভ সিগনাল পাই সবসময় আর আমি তো পুরোটাই পজেটিভ এ ভরপুর। যাকে বলে অল টাইম রেডি মাল। তোমার কাছে যাওয়া মাত্র কারাক করে টেনে নাও তুমি আমায়। নিজের একবারে কলিজার মধ্যে মিশায় নিতে মন চায় তখন তোমায়৷”
মেহের বললো….
—“ছাড়ুন আমায়৷ রূপা এসে পড়বে।”
রক্তিম মেহেরকে ছাড়ার বদলে আরো নিজের কাছে টেনে নিলো। মেহেরের ঠোঁটের দিকে অগ্রসর হতেই রক্তিমের দু’চোখ কেমন ঝাপসা হয়ে আসতে শুরু করলো। রক্তিম মেহের ছেড়ে দিলো তৎক্ষনাৎ। মেহের রক্তিমের থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে বসে ওর উপর শান্ত দৃষ্টি স্থির করলো। রক্তিম মাথার দু’পাশ চেপে ধরে এপাশ-ওপাশ ঝাঁকালো। রক্তিমের মনে হচ্ছে ওর শরীরটা কেমন অবশ হয়ে আসছে। রক্তিম বললো….
—“আরে এটা তো যান্ত্রিক মেশিন না হুট হাট কোনো তার-তুরে কানেকশন লুজ হলে ভেজাল শুরু করে দিবে, এটা তো আমার শরীর। একটু আগেও তো সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করছিলাম। হঠাৎ দুনিয়াটা এমন নাগরদোলার মতো গোল গোল ঘুরছে এমন মনে হচ্ছে কেনো। এই বউ, সুইটহার্ট! আমার চোখ ও বুঁজে আসছে। ও বউ আমার, আমি মরে-টরে যাচ্ছি নাকি আবার৷ ক্ষমা চাওয়ার হলে এখনই চেয়ে নাও বউ। কারণ আমার তোমার স্বামী হই আর তুমি আমার স্ত্রীর হও। আমি তোমার উপর অসন্তুষ্ট অবস্থায় মা*রা গেলে তো তুমি জান্নাতে যেতে পার……!”
রক্তিম পুরো কথা শেষ করার পূর্বেই সে*ন্স হারিয়ে সোফার উপরেই শুয়ে পড়লো। মেহের নিঃশব্দে হেসে বললো….
—“আপনার মতো পা*পী লোকের অসন্তুষ্টিতে আমার চুলের আগালে পর্যন্ত ফাঁটল ধরবে না জাহান্নামে যাওয়া তো বহু দূরের বিষয়। বরং আমার থেকে যে আপনি ম*রা*র পরেও ক্ষমা পাবেন না, যতো পরিমাণ পা*প করেছেন তার জনয় জা*হা*ন্না*মে*র আ*গু*নে জ্ব*লে-পু*ড়ে খাঁ*ক হতে হবে তা নিয়ে ভাববেন সেন্স ফেরার পর কেমন!”
এই বলে মেহের সোফা ছেড়ে উঠে রক্তিমের প্যন্টের পকেটে থাকা ওর গাড়ির সহ আরো ৪ টা চাবি বের করে নিয়ে বাসা থেকে বের হলো। অতঃপর পার্কিং সাইড থেকে রক্তিমের গাড়িটা নিয়ে খান ভিলা থেকে একাই বেড়িয়ে গেলো মেহের। আজ মেহের নিজেই ড্রাইভ করছে। ড্রাইভটা সে বিয়ের আগে ওর বাবা জহির রায়হানের থেকেই শিখেছিলো। জহির রায়হান মেহেরুন্নিসাকে নিয়ে ছোট থেকে অনেক বেশি পজেসিভ ছিলেন। মেহেরের শখগুলোও পূরণ করতে সম্পূর্ণ সহোযোগিতা করতেন ওকে। ড্রাইভিং করাটাও মেহেরের এক প্রকার শখ ছিলো। জহির নিজেদের বাংলো বাড়ির সামনে থাকা বিশাল ফাঁকা জায়গাটাতেই কেবল মেহেরকে গাড়ি ড্রাইভ করতে দিতেন। বাড়ির বাহিরে কখনও গাড়ি নিয়ে বের হতে দেন নি তিনি মেহেরকে। আল্লাহ না করুক হুট করে কোনো এ*ক্সি*ডে*ন্ট হলে মেহেরের কি হবে তা ভেবেই জহির এমন করতেন। মেহের এতে অনেক বোর ফিল করলেও সেইসময় ওর করণীয় আর কিছুই ছিলো না।
রক্তিমের অফিসের সামনে এসে গাড়ি থামালো মেহের। অতঃপর মেহের দরজার সামনে আসতেই সেখানে থাকা গার্ড মেহেরের পরিচয় জানতে চাইলে মেহের নিজেকে রক্তিমের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিলে লোকটা আর বাঁধা প্রদান করার সাহস করলেন না। মেহের মূল দরজা পেরিয়ে অফিসের ভিতরে প্রবেশ করলো। আজ পুরো অফিসটাই ফাঁকা দেখে মেহের মনে মনে আরো বেশি সিকিউর আর শান্তি অনুভব করলো। সোজা রক্তিমের কক্ষে প্রবেশ করে পুরো কক্ষটাতে একবার নজর বুলালো মেহের। রুমের ভিতর মাঝবরাবর মাঝারি সাইজের একটা কাচের টেবিল রাখা রয়েছে। টেবিলের উপর একটা ল্যপটপ আর একটা ডেক্সটপ আছে। আর পাশেই কিছু ফাইল আছে। টেবিলের একপার্শে কম্ফোর্ট সিংগেল চেয়ার ও অপরপার্শে ২টো চেয়ার রাখা আছে। রুমের এক পার্শে ৪ সিটের সোফা রয়েছে। আরেকপার্শে একটা ৬ তাকের আলমারী রয়েছে। ৪ কর্ণারে ৪টে বড় কৃত্রিম ফুলদানী রাখা রয়েছে। দুই দেওয়ালের কর্ণারে ২টো সিসিটিভি ক্যমেরা লাগানো রয়েছে। রুমটি যথেষ্ট পরিপাটি।
মেহের টেবিলের কাছে গিয়ে কম্ফোর্ট সিংগেল চেয়ারটা টেনে সেখানে বসলো। অতঃপর টেবিলের সামনেটা লক্ষ্য করতেই দেখলো ৪টে ড্রয়ার আছে সেখানে। মেহের একে-একে ড্রয়ার গুলো টানলো। ২ টো ড্রয়ার আনলক থাকলেও বাকি ২ টো ড্রয়ার লক ছিলো। মেহের ওর ব্যগ থেকে রক্তিমের প্যন্টের পকেট থেকে নেওয়া সেই চাবি ৪টা বের করে একে একে ড্রয়ার দুটোর লক খোলার চেষ্টা করলে তা খুলতে সে সক্ষম হয়। মেহের ড্রয়ার দুটো একটু ভালো ভাবে ঘাটতেই একটাতে শিউলির আসল মেডিকেল রিপোর্ট, এফআইআর ও ফরেন্সিক রিপোর্ট দেখতে পেলো এবং আরেকটাতে নকল গুলো দেখতে পেলো। মেহের ঘৃ*ণা মিশ্রিত কন্ঠে বললো….
—“কেসটা জেতার জন্য আপনি শিউলিকে বে*স্যা*র তালিকায় ফেলার মতো ঘৃ*ণ্য কাজ করবেন বলে ঠিক করেছিলেন! ছিহ্। আপনার প্রতি ঘৃ*ণা এবার আকাশ ছুঁয়ে নিয়েছে।”
মেহের ড্রয়ার দু’টো লক করে প্রথমে ল্যপটপটা অন করার চেষ্টা করলো। কিন্তু অন করতে গেলে রক্তিমের দেওয়া পাসওয়ার্ডটি দিতে হবে। নতুবা অন হবে না। মেহের অনেকক্ষণ ধরে ভাবলো কি হতে পারে পাসওয়ার্ড। তৎক্ষনাৎ মেহের ‘সুইটহার্ট’ শব্দটি লিখলো। সঙ্গে সঙ্গে ল্যপটপটি খুলে গেলো। রক্তিম বেশিরভাগ সময়ই মেহেরকে সুইটহার্ট বলেই ডাকে। তাই কিছু ভেবে বের করতে না পেরে এটাই ডায়াল করেছে সে। আর মিলেও গিয়েছে দেখে খুশি হয়েছে মেহের। অতঃপর ল্যপটপে থাকা সব ফোল্ডার খুব ভালো ভাবে ঘাঁ*ট*লো মেহের। মেহের প্রথমে ভেবেছিলো এখানেই কোনো না কোনো সিসিটিভি ফুটেজ এর রেকর্ড সংরক্ষণ করা থাকবে যেখানে জেভিয়ান রক্তিমের কাছে এসে ওকে কেস লড়ার কথা বলার সময় নিজের অপরাধ নিজ মুখে শিকার করে নিয়েছে।
ঘাটতে ঘাটতে মেহের যখন হতাশার চরম মূহূর্তে পৌঁছে যেতে নিয়েছিলো তখনই একটা ফোল্ডারে ওর চোখ পড়লো। মেহের সেখানে ঢুকতেই অনেক গুলো ভিডিও সাজানো দেখতে পেলো। মেহের একে একে অনেকগুলো ভিডিও দেখলো। যেখানে অ*প*রা*ধী নিজ অ*প*রা*ধে*র কথা শি*কা*র করে নিয়েছে রক্তিমের কাছে এসে এই কক্ষে থেকেই। কেউ খু*ন করেছে তো কেউ জ*ঘ*ন্য ভাবে কোনো নিরাপরাধ-নিরীহ মেয়েকে ধ্ব*র্ষ*ণ করেছে। দেখতে দেখতেই মেহের জেভিয়ানের ভিডিওটিও পেয়ে গেলো। যা নিউ প্রজেক্ট নামে সেইভ করা ছিলো। জেভিয়ানের এই ভিডিওটিতে জেভিয়ান মেহেরের আশানুযায়ীই রক্তিমের সামনে শিউলিকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধ্ব*র্ষ*ণ করেছে তা উল্লেখ করেছে। এছাড়াও শিউলিকে হোটেলের কক্ষ থেকে বি*দ্ধ*স্ত অবস্থায় দু’জন লোক বের করে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে সেই ফুটেজটিও ছিলো এখানে।
মেহের সঙ্গে সঙ্গে ফুটেজ এর কপি গুলো নিজের ফোনে শেয়ার করে নিলো। পাশপাশি আরো অনেকগুলো ধ্ব*র্ষ*ণ ও খু*নে*র কেসের অ*প*রা*ধী*দের স্বিকারোক্তিও নিয়ে নিলো। অতঃপর ল্যপটপটা বন্ধ করে কাগজগুলো নিয়ে মেহের রক্তিমের অফিস থেকে বেড়িয়ে গেলো।
……….বর্তমান……….
প্রসিকিউশন লয়্যার আকবর বিচারকের সম্মুখে এসে দাঁড়িয়ে বললেন….
—“ইউর ও’নার আ*সা*মী জেভিয়ান চৌধুরী ২২ অগাস্ট ঢাকার নামকরা (****) ফাইভ স্টার হোটেলে গিয়েছিলেন ও একটি রুম বুক করার কথা রিসিপশনে বললে তাকে ৩২২ নাম্বার রুমটি দেওয়া হয়েছিলো। জেভিয়ান রুমে যাওয়ার পর অতিরিক্ত পরিমাণে মাদকদ্রব্য পান করেন। অতঃপর হোটেলের রিসিপশনে কল করে রাতের খাবার তার রুমে দিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ইউর ও’নার রাতের খাবার নিয়ে সেই হোটেলের লেডি কর্মী অর্থাৎ এই কেসের ভিক্টিম মিস.শিউলি ৩২২ নাম্বারে রুমে যান। আর তখুনি জেভিয়ান শিউলিকে জোরপূর্বক রুমের ভিতর নিয়ে তাকে বারংবার ধ্ব*র্ষ*ণ করেন এবং তার উপর নি*র্ম*ম অ*ত্যা*চা*র করে নিজের মানুষের মুখোশের আড়ালে থাকা প*শু*রূ*পে*র বহিঃপ্রকাশ করেন।
আদালত জুড়ে এক ধরণের নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। পরক্ষণেই ডিফেন্স লয়্যার রক্তিম চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো…..
—“অবজেকশন, ইউর ও’নার!”
বিচারক রক্তিমের দিকে একবার চোখ তুলে তাকিয়ে বললেন….
— “Objection sustained. প্রসিকিউশন, আপনি নিজ ভাষায় সংযম বজায় রাখুন।”
রক্তিম ধীর পায়ে এগিয়ে এসে আকবরের পাশে দাঁড়িয়ে ঘাড় সামান্য বাঁকিয়ে বিচারকের দিকে তাকিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে বললো….
—“ইউর ও’নার, আমার প্রসিকিউশন উকিল বন্ধু আকবর সাহেব কিছুক্ষণের মধ্যেই একজন মক্কেলের চরিত্র নিয়ে অনেক বড় অভিযোগ তুললেন। কিন্তু আমি জানতে চাই, তিনি কি এই অভিযোগের পক্ষে যথাযথ কোনো প্রমাণ আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন? যদি তার হাতে নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি তিনি যেনো আগে সেই প্রমাণগুলো আদালতের সামনে তুলে ধরেন। কারণ আদালত কারোর আবেগমিশ্রিত কথার উপর ভিত্তি করে কাউকে অ*প*রা*ধী বলে গন্য করে তাকে শা*স্তি প্রদান করে না। আর আমার মক্কেলের সম্মানহানীও হচ্ছে এখানে ইউর ও’নার।”
#চলবে_ইনশাআল্লাহ…..