#প্রেমপ্রবাহে_বিষবৃষ্টি (১২ তম পর্ব)
#মাইশা_জান্নাত_নূরা (লেখিকা)
বিচারক গম্ভীর স্বরে বললেন….
—“প্রসিকিউশন আপনার কাছে এই মামলার পক্ষে যদি ভিত্তিযোগ্য প্রমাণ থেকে থাকে তাহলে অনুগ্রহ করে আদালতের সামনে প্রমাণগুলো উপস্থাপন করুন।”
আদালতজুড়ে নীরবতা বিরাজ করছে। আকবর নিরব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পরক্ষণেই আকবর গলা খাঁকারি দিয়ে অপ্রস্তুত স্বরে বললো……
—“ইউর ও’নার। আমার কাছে এই মুহূর্তে উপস্থাপন যোগ্য কোনো প্রমাণ নেই।”
আদালতজুড়ে গুঞ্জনের সৃষ্টি হলো। পেছনের সারিতে বসা ভিক্টিম শিউলি ও ওর বাবার মুখ ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করলো। শিউলি একহাে নিজের মুখ চেপে ধরলো। মেহের বললো….
—“আকবর ভাইয়া এসব কি বলছেন! প্রমাণ নেই মানে! আমি নিজে ২দিন আগেই তার কাছে রক্তিমের অফিস থেকে আনা শিউলির আসল মেডিকেল রিপোর্ট, ফরেন্সিক রিপোর্ট আর এফআইআর এর কাগজগুলো দিয়েছিলাম। তবে কি ভাইয়া..!”
পাশ থেকে মিতা ধীরস্বরে বললো….
—“মেহের আপু এবার কি হবে? আমাদের পক্ষে উকিল সাহেবের হাতে সব প্রমাণ তুলে দেওয়া সত্ত্বেও তিনি কেনো বলছেন তার কাছে কোনো প্রমাণ নেই!”
জামাল বললেন…
—“টাকার কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন নিজের ইমানকে। নিজের পেশার প্রতি অ*সৎ হয়ে গিয়েছেন লয়্যার আকবর।”
বিচারক চাপা রাগ নিয়ে বললেন…
—“আপনার কাছে কোনো প্রমাণ নেই? অথচ আপনি এতোক্ষণ যাবত একজনের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ তুললেন?”
ডিফেন্স লয়্যার রক্তিম ঘাড় হালকা বাঁকিয়ে মেহেরের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো।
………ফ্ল্যাশব্যক………
২দিন আগে বিকেল বেলা….
সকালে মেহেরের বানানো চা পান করার পর রক্তিম সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলো। রূপার চেষ্টায় বিকেল বেলা রক্তিমের সেন্স ফিরেছে। রক্তিম কিছুটা স্বাভাবিক বোধ করার পর নিজের ফোনটা খুঁজতে ড্রয়িংরুমে আসলে টি-টেবিলের উপর পেয়ে যায়। ফোন হাতে নিতেই ফোনে একরাশ নোটিফিকেশন জমে থাকতে দেখে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করলে সেখানে আকবরের পাঠানো শিউলির আসল মেডিকেল রিপোর্ট, ফরেন্সিক রিপোর্ট ও এফআইআর এর কাগজগুলোর ছবি দেখতে পেলো। রক্তিম মনে মনে বললো…..
—“একজন ক্রি*মি*না*ল লয়্যারের মাথার প্যঁ*চ বুঝা তোমার মতো মেয়ের পক্ষে সম্ভব না সুইটহার্ট। বেছে বেছে এমন একজন লয়্যারের শরণাপন্ন হয়েছিলে তুমি যে কিনা আমার ইশারায় নাচে হাতে তৈরি পুতুলের মতো। ২দিন পর যখন কোর্টে সবার সামনে তোমার ঠিক করা এই লয়্যার বলবে তার কাছে কোনো প্রমাণ নেই তখন কতো বড় ধা*ক্কা তুমি খাবে আর তোমার চেহারার ধরণ কেমন হবে তা ভবতেই এখুনি আমার ভিষণ হাসি পাচ্ছে।”
এই বলে রক্তিম সোফায় আবারও বসে নিঃশব্দে হাসতে শুরু করলো।
………..বর্তমান………..
রক্তিম বিচারককে উদ্দেশ্য করে বললো….
—“ইউর ও’নার! আমি আগেই বলেছিলাম মামলার পুরো ভিত্তিটাই গড়া হয়েছে আবেগ আর কল্পনার দ্বারা। এখন আমার প্রসিকিউশন লয়্যার বন্ধু নিজেই তা স্বীকার করছেন যে তার হাতে এমন কোনো প্রমাণ নেই যার মাধ্যমে আমার মক্কেলকে ধ্ব*র্ষ*ক বলা সম্ভব। ইউর ও’নার এটা কি আদালতের সময় নষ্ট করা নয়? এটা কি আমার মক্কেলের ব্যক্তিগত সম্মান, পারিবারিক পরিচিতি ও সামাজিক অবস্থানকে নড়ভরে করে দেওয়ার একটি দূর্বল প্রচেষ্টা নয়? ইউর ও’নার! আমি এই মামলা তৎক্ষণাৎ খারিজ করার আবেদন জানাচ্ছি। আমার নিরাপরাধ মক্কেলকে আর এক মুহূর্তের জন্যও কাঠগড়ায় না রাখা হোক।”
বিচারক কিয়ৎক্ষণ নিরব থাকলেন। আদালতে বিরাজমান নীরবতার মাঝে টানটান উত্তেজনা কাজ করছে। প্রসিকিউশন লয়্যার আকবর নিজের যে ব্যর্থ রূপ দেখালেন তার জন্য শিউলির মতো অসহায় মেয়েরা ন্যায় পাওয়া থেকে বন্ঞ্চিত হবে এমনটা কখনও হওয়ার নয়৷ মেহেরুন্নিসা মনে মনে ঠিক করলো সে এমনটা কিছুতেই হতে দিবে না৷ ডিফেন্স লয়্যার রক্তিম আত্মতৃপ্তির হাসি ঠোঁটে ফুটিয়ে তুললো।
………ফ্ল্যাশব্যক………
কয়েকদিন আগে,
সকালবেলা রক্তিমের খান ভিলা থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার পরই মেহেরুন্নিসাও বাসা থেকে বেড়িয়ে জেভিয়ান যেই মেয়েকে র্য*প করেছিলো তার সন্ধান করতে নিয়েছিলো এবং দুপুরের পর সেই ফাইভ স্টার হোটেলটি খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় ও হোটেলে কর্মরত মিতার সাহায্যে শিউলির কাছে পর্যন্ত পৌছাতে পারে অতঃপর শিউলির মুখ থেকে সব শুনে পুনরায় খান ভিলায় ফিরে আসে তখন রক্তিমের সাথে মেহেরের ছোট্ট কথা-কা*টা*কা*টিও হয়েছিলো। রক্তিম বাসা থেকে বেড়িয়ে সরাসরি চৌধুরী ভিলায় এসেছিলো জেভিয়ান আর জহির রায়হান চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ এ পারসোনাল কথা বলতে।
চৌধুরী ভিলায় লাইব্রেরী রুমে ভিতর থেকে দরজা আটকে সোফায় মুখোমুখি বসে আছে রক্তিম, জেভিয়ান আর জহির রায়হান চৌধুরী। রক্তিম বললো…..
—“শ্বশুর মশাই! আমার বউ যখন শ্বাশুড়ি মায়ের পেটে ছিলো তখন কি তাকে শুধু ধানি লঙ্কাই খাইয়ে ছিলেন!”
রক্তিমের এমন প্রশ্নে কিছুটা আ*হাম্ম*ক হয়ে গেলেন যেনো জহির। রক্তিম মজা করছে নাকি সিরিয়াস কিছু বুঝাতে চাইছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। রক্তিম আবারও বললো….
—“নিশ্চয়ই ধানি লঙ্কা-ই খাইয়ে ছিলেন কেবল শ্বাশুড়ি মা’কে নয়তো আমার বউয়ের যে তেজ প্রতিক্ষণে ক্ষনে দেখি আমি তা আর কোনো সাধারণ মেয়ের পক্ষে দেখানো সম্ভব না মাইরি।”
জেভিয়ান বললো….
—“মেয়ে মানুষের সাথে তেজ শব্দ টা যায় না রক্তিম। মেয়ের মানুষ হলো মোমের মতো। তেজ শব্দটা যায় কেবল পুরুষ মানুষের সাথে। তাই পুরুষ মানুষকে আগুনের সাথে তুলনা করা হয়। আগুন যখন মোমের সংস্পর্শে আসে তখন মোম নিজেকে শক্ত ভাবে ধরে রাখার ক্ষমতা পুরোপুরি ভাবে হারিয়ে ফেলে। গলিত রূপ ধারণ করে। যেই রূপের কোনো নিজস্ব নাম ও হয় না। যদি তুমি নিজেকে সিংহ পুরুষ মনে করো তাহলে মেহেরুন্নিসাও বাধ্য হবে তোমার সংস্পর্শে আসা মাত্র গলে গিয়ে নিজের আসল সত্তাকে হারিয়ে ফেলতে। আর যদি নিজেকে ভিজে বিড়াল ভাবো তাহলে আর কিছু বলার নেই।”
রক্তিম বাঁকা হেসে বললো….
—“আজ কি সকাল থেকে পেটে মা*ল পড়ে নি?”
জেভিয়ান বিরক্তি চোখে জহিরের দিকে তাকালে জহির সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ-ই করলেন না। জেভিয়ান বললো….
—“যে জীবনে মা*ল খেয়ে টা*ল হয়ে মাইয়া নিয়া ফূর্তি করা পা*প সে জীবন রাখার থেকে ম*রে যাওয়া ভালো। এই বা*লে*র জীবনে কতো মা*ল খেলাম। দেশী, বিদেশি কোনো ভ্যরাইটি বাদ রাখি নি। প*তি*তা লয়েও কতো গেছি। কতো প*তি*তা*র শরীর খু*ব*লে খে*য়ে*ছি বলার বাহিরে। এই ১ম একটা ই*ন*টেক প্রডাক্ট এর স্বাদ বড় হোটেলে এসি কক্ষে থেকে উপভোগ করলাম সেটাতেই কিনা এমন কেসে ফেঁ*সে গেলাম যে বাপে আমারে কইছে আর মা*ল ছুঁয়ে দেখতে পারবো না যতোদিন না আমার উপর থেকে তুমি এই কে*সে*র বোঁজা উঠায় ফেলতে পারছো ততোদিন।”
রক্তিম শব্দ করে হেসে উঠে বললো….
—“আহ হা সমন্ধী সাহাব কয়টা দিনের ই তো বিষয়। এই কয়টা দিন এসব নেশা টেশা না করলে আহামরি কিছু হয়ে যাবে না। যাই হোক এখন আসল কথায় আসি। আমার সাজানো পরবর্তী পরিকল্পনা হলো ধ্ব*র্ষি*তা শিউলির বাড়িতে গভীর রাতে অ্যা*টা*ক করা ওদের ভিষণ বা*জে ভাবে যাস্ট ভ*য় দেখানো আর এই কেস থেকে দূরে সরে আসার জন্য বলা। তাহলে আমাদের জন্য এই বিষয়টা আরো সহজ হয়ে যাবে।”
রক্তিমের কথায় সায় জানালো জেভিয়ান। কিন্তু জহির নিরব রইলেন। সেইদিন-ই রাতে জেভিয়ানের পাঠানো লোকেরা যখন শিউলিদের বাসায় যায় তখন মেইন গেইটে বাহির থেকে তালা দেওয়া দেখতে পায়। একজন সাবধানে গেইট টপকে ভিতরে গিয়ে দেখে ভিতরটা পুরোপুরি অন্ধকার ও কোনো মানুষ যে এখানে নেই তা স্পষ্ট। তাই ওরা ব্য*র্থ হয়ে সেখান থেকে ফিরে যায়।
লাইব্রেরী রুমে বসে যখন ওরা ৩জন শিউলি ও ওর পরিবারকে ভ*য় দেখানোর পরিকল্পনা এঁ*টে*ছিলো তখন বাহিরে আড়াল থেকে জহিরের স্ত্রী মাহফুজা চৌধুরী সব কথপোকথন শুনতে পেরে তৎক্ষনাৎ মেহেরকে জানিয়েছিলো। মেহের বুদ্ধি খাটিয়ে আগেই শিউলি আর ওর পরিবারকে মিতার বাসায় গিয়ে থাকতে বলেছিলাম। কেসের ডেট আসা পর্যন্ত রাত করে ওরা সবাই মিতার বাসায় থাকবে এমনটা ওদের কথা হয়। মিতার বাসার মানুষগুলো একেকজন মাটির মনের। তারা শিউলির ঘটনা শুনে এক কথায় শিউলিকে সাপোর্ট করার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রতিদিন জেভিয়ানের পাঠানো লোকেরা মাঝরাতে শিউলিদের বাড়িতে গিয়েও ওদের কাউকে পায় না। ফলে ওদের কাজ অসম্পূর্ণই থেকে যায়।
………..বর্তমান……….
বিচারক কাগজপত্র দেখছেন। সেইসময় পিছনের সারি থেকে মেহেরুন্নিসা উঠে দাঁড়িয়ে দৃঢ় কণ্ঠে বললো…..
—“ইউর ও’নার, আমি কিছু বলতে চাই। দয়া করে আমাকে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সুযোগ দিন।”
মেহেরুন্নিসার এরূপ কথা শুনে আদালতজুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়। বিচারক চোখ তুলে মেহেরের তাকালেন। কাঠগড়ার দিকে হেঁটে আসছে মেহেরুন্নিসা। পরণে সাদা সালোয়ার-কামিজ, কমোরের উপরিভাগ কালো ওড়না দিয়ে ঢাকা।মেহেরুন্নিসার চোখে তীব্র রাগের ছাপের ছাপ জ্বল জ্বল করছে।
বিচারক বললেন….
—“আপনার পরিচয়?”
মেহেরুন্নিসা প্রতিত্তুর করলো….
—“আমি মেহেরুন্নিসা চৌধুরী। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।আর আমি এই মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট রক্তিম রেজওয়ান খানের বিবাহিতা স্ত্রী। কিন্তু আমি আজ ওনার স্ত্রীর পরিচয়ে আদালতের সামনে এসে দাঁড়াই নি। দাঁড়িয়েছি একজন সচেতন নাগরিক, একজন নারী, এবং একজন আইনের শিক্ষার্থী হিসেবে। কারণ আমার বিবেক আমাকে এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে আমার স্বামী আজ অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে, অন্যায়কারীকে রক্ষা করছে। একজন ধর্ষক ধ্ব*র্ষ*ণ করে যে অপরাধ করে আর তাকে বাঁচানোর প্রচেষ্টায় যারা থাকে তাদের তার থেকেও বড় অপরাধী বলে আমি মনে করি ইউর ও’নার। আর প্রসিকিউশন লয়্যার কতো অবলীলায় আজ গলা নিচু করে জানিয়ে দিলেন তার কাছে কোনো প্রমাণ নেই। অথচ সেই সমস্ত প্রমাণ আমি নিজ হাতে তার কাছে তুলে দিয়েছিলাম ২দিন আগেই ইউর ও’নার।”
বিচারক সহ উপস্থিত সকলেই যেনো চমকালেন মেহেরের এরূপ কথাগুলো শুনে। আদালতজুড়ে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। রক্তিমের চোখ-মুখ রাগে অগ্নি*বর্ণ ধারণ করেছে এইমূহূর্তে। রক্তিম ওর হাতে থাকা কলমটা টেবিলের উপর শক্ত ভাবে দাবিয়ে মেহেরের দিকে তাকিয়ে ধীর স্বরে বললো….
—“কাজটা তুমি ঠিক করছো না সুইটহার্ট। একদমই ঠিক করছো না। আজ যদি তোমার কারণে আমি হারি তাহলে এর ফল খুব বা*জে ভাবে ভুগতে হবে তাদের যাদের জন্য তুমি আমার বি*রু*দ্ধে গিয়ে গোটা আদালতের সামনে দাঁড়িয়েছো।”
বিচারক মেহেরুন্নিসাকে উদ্দেশ্য করে বললেন….
—“আপনি ভিক্টিম এর কাছের কেউ নন। তবুও এই মামলায় আপনার সম্পর্ক ও অবস্থান ভিন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে এই মামলার প্রসেসের বাইরে থেকে আদালতে কথা বলার বিশেষ অনুমতি দেওয়া হলো। আপনি যা বলতে চান পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করুন।”
রক্তিম উঠে দাঁড়িয়ে টেবিলের উপর দু’হাত রেখে সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে চোয়াল শক্ত করে বললো……
—“অবজেকশন ইউর ও’নার। মিসেস.মেহেরুন্নিসা সাক্ষী হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর কোনো যোগ্যতা রাখেন না। কারণ সে আমার স্ত্রী। তার প্রতি কথায় কেবল আমার প্রতি জমে থাকা ব্যক্তিগত রাগ ও ঘৃণা কাজ করছে। এতে আদালতের সময় নষ্ট হচ্ছে কেবল।”
বিচারক কঠিন কন্ঠে বললেন….
—“অবজেকশন ওভাররুলড। এই মুহূর্তে আদালত কেবল সত্য শুনতে চায়। আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে কে কথা বলার যোগ্যতা রাখে আর কে রাখে না তা আদালত স্বয়ং ঠিক করবেন। আপনি শালীনতা বজায় রেখে নিজ আসনে বসুন।”
মেহেরুন্নিসা দাঁড়িয়ে আছে। সাহসী চোখে রক্তিমের দিকে তাকালো। রক্তিম রাগে কেবল ফোঁ*স ফোঁ*স করছে। মেহেরুন্নিসার এই দৃষ্টি যেনো চিৎকার করে রক্তিমকে বলছে যে, ‘আপনার পা*পী*দে*র সাথে পা*প নিয়ে খেলার সময় এবার ফুরিয়ে এসেছে রক্তিম রেজওয়ান খান।’
#চলবে_ইনশাআল্লাহ……..