প্রেমপ্রবাহে বিষবৃষ্টি পর্ব-০৭

0
13

#প্রেমপ্রবাহে_বিষবৃষ্টি (৭ম পর্ব)
#মাইশা_জান্নাত_নূরা (লেখিকা)

রক্তিম একটা খাবারের প্লেট সাজিয়ে নিয়ে রুমে প্রবেশ করতেই দেখলো মেহের বিছানায় শুয়ে আছে। ঘুমিয়ে গিয়েছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। মেহেরকে নিয়ে খান বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলো পর এখনও পর্যন্ত একটু দানা-পানিও মুখে নেয় নি সে। পুরো দিনটা না খেয়ে কাটিয়ে রাতেও না খেয়ে ঘুমালে আগামীকাল সকাল থেকে শরীর খারাপ লাগবে ভেবে রক্তিম মেহেরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে হলেও এখন এই খাবারটুকু খাইয়ে দিবে বলে মনঃস্থির করে মেহেরের পাশে বসলো। খাবারের প্লেটটা বেডসাইড টেবিলের উপর রেখে রক্তিম শান্ত কন্ঠে মেহেরকে ডাকলো। পরপর কয়েকবার ডাকার পরেও মেহের কোনো সাড়া দিলো না। রক্তিম নিরব হয়ে মেহেরের মুখশ্রী পানে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে। মেহের চোখ বুঁজে আছে। কিন্তু চোখের মনিজোড়া কেমন নড়াচড়া করছে। রক্তিম বুঝে গিয়েছে যে মেহের ঘুমায় নি বরং জেগে থেকেই মিথ্যে ঘুমানোর নাটক করতেছে। রক্তিম বললো….

—“ঘুম ঘুম এই নাটক বন্ধ করে যদি উঠে না বসো এখুনি তাহলে আমার দেওয়া রোমান্সের চরম থে*রা*পি সহ্য করতে হবে আজ তোমায় সুইটহার্ট।”

মেহের চট করেই চোখ মেলে তাকালো। রক্তিমের সাথে মেহেরের চোখাচোখি হয়ে গেলো। রক্তিম আবারও বললো….

—“উঠে বসো। খাবার এনেছি শেষ করতে হবে সবটা।”

মেহের শোয়া অবস্থাতেই উল্টো ঘুরতে নিলে রক্তিম মেহেরের উপর ঝুঁকলো। নিজের দু’হাত মেহেরের দু’পাশে রেখে ওকে বাহু বন্দী করে নিয়ে বললো….

—“ক্ষুধা লেগেছে। পেটের ক্ষুধাও আবার মনের ক্ষুধাও। যদি পেটের ক্ষুধা নিবারণ না করো আমার সাথে তাহলে মনের ক্ষুধা আমি জোর করেই নিবারণ করে নিতে পারবো। ঠিক গতকালকের মতো। মনে আছে তো?”

মেহের রক্তিমের বুকের উপর দু’হাতে প্রেসার দিলে রক্তিম নিজ থেকে ওর থেকে সরে এলো। মেহের উঠে বসে বললো….

—“একবার বলুন আপনি কেসটা লড়বেন না৷”

—“অপ্রয়োজনীয় কথা বলা আমার পছন্দ না সুইটহার্ট।”

—”এটা যথেষ্ট প্রয়োজনীয় কথা।”

—“তোমার কাছে প্রয়োজনীয় মনে হলেও হতে পারে কিন্তু আমার কাছে এই কথাগুলো অপ্রয়োজনীয়ই।”

মেহেরের দু’চোখ ছলছল করে উঠলো। মেহের বললো…

—“আজ ঐ মেয়েটার জায়গায় যদি রূপা থাকতো? তখনও কি আপনি ঐ ধ্ব*র্ষ*ক*টার হয়ে কেসটা লড়তেন? রূপাকেই বানিয়ে দিতেন নোং*রা চরিত্রের মেয়ে!”

রক্তিম থমকালো না, চমকালোও না। এখনও সে স্বাভাবিক। খাবারের প্লেটটা হাতে নিয়ে তরকারী দিয়ে এক দলা ভাত মাখতে মাখতে বললো….

—“আমার ভিতরে ইমোশন বলতে কোনো কিছু কাজ করে না কখনই। তাই তোমার এই ইমোশনাল ব্লাকমেইল যুক্ত ডায়লগটা কাজে দিলো না।”

—“আল্লাহ ছাড় দেন ঠিকই কিন্তু ছেড়ে দেন না। আজ আপনি অন্য কারোর মা, বোন, বউয়ের ই*জ্জ*ত হ*র*ণ*কারীকে বাঁচাচ্ছেন কাল আল্লাহ আপনাকে এমন পরিস্থিতিতে দাঁড় করাবে যখন আপনি নিজের করা এ যাবতে সকল পাপের জন্য মনে মনে ভিষণ ই আফসোস করবেন।”

—“বহুদিন, বহুবার শুনেছি এই এ কথাগুলো।”

—“আপনি আসলেই একটা অমানুষ।”

—“হুম জানি সেটাও আমি।”

এই বলে রক্তিম মাখানো ভাতটুকু হাতে নিয়ে মেহেরের মুখের সামনে ধরলো ওকে খাওয়াবে বলে। মেহের ঘৃণায় মুখ ঘুরিয়ে নিলো। রক্তিম বললো….

—“আমার হাতে খেতে রুচিতে বাঁধলে নিজ হাতে খাও। তবুও খাও।”

মেহের বুঝতে পেরেছি এই মানুষ রূপী অ*মানুষটার কাছে কথা বাড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। তাই মেহের রক্তিমের হাত থেকে খাবারের প্লেটটা নিয়ে নিজেই চুপচাপ খাবার খেতে শুরু করলো। রক্তিম অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে মেহেরের দিকে। মেহেরের খাওয়া শেষ হলে রক্তিম বললো….

—“কেমন নি*ষ্ঠু*র মনের অধিকারীনি আমার বউ। খাবার আনার পর পরই বললাম আমিও খাই নি। ক্ষুধা লেগেছে। অথচ সবটুকু খাবার নিজেই খেয়ে নিলো। একটাবার মুখের কথা জিজ্ঞেস পর্যন্ত করলো না যে আমিও খেতে চাই কিনা!”

মেহের বিছানা থেকে নামতে নামতে বললো….
—“আপনার মতো অ*মানুষের জন্য একজন মানুষের মনে কোনো দয়া-মায়া কাজ করবে না এটাই স্বাভাবিক।”

এই বলে মেহের ওয়াশরুমে চলে গেলো। রক্তিম ও রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।

দুইদিন পর…..
বাগান বাড়ি থেকে আজ সকালেই মেহেরকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেছে রক্তিম। মেহেরকে বাসায় রেখে রক্তিম নিজ অফিসের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে গিয়েছে।

রক্তিম ওর অফিসে বসে আছে। বিয়ের ঝামেলায় জেভিয়ানের কেসটা নিয়ে বসার সময় হয় নি ওর৷ আজ ১০ তারিখ। ১৫ তারিখে কেসের ডেট পরেছে। ধ্ব*র্ষ*ণ বিষয়ে কেস লড়া যেহেতু রক্তিমের কাছে নতুন না তাই নিজের মক্কেলকে বাঁচিয়ে ভি*ক্টি*মকেই ফাঁ*সি*য়ে দেওয়া এখন ওর কাছে বা’হাতের কাজ বলে মনে হয়।

রক্তিম ওর সেক্রেটারিকে কল করে ভিক্টিমের আসল মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ রিপোর্ট ও ফরেন্সিক রিপোর্ট এনে ওর কেবিনে রেখে দিতে বললো।

💥

রক্তিম বাসা থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার পর পরই মেহেরও বাসা থেকে বেড়িয়েছে। মেহের খুব করে চায় এই কেসটাতে রক্তিম হেরে যাক। জেভিয়ান উপযুক্ত শা*স্তি পাক। কিন্তু মেহেরের কাছে সবকিছুই কেমন ধোঁয়াশার মতো লাগছে। সে তো এইটুকু পর্যন্ত জানে না যে জেভিয়ানের লা*ল*সা*র শিকার হয়েছিলো মেয়েটা আসলে কে! আর সে কোন ফাইভস্টার হোটেলে কাজ করতো! এই শহরে তো ফাইভ স্টার হোটেল ৫টা। এখন মেয়েটাকে খুঁজে বের করতে হলে ওকে একে একে ৫টা হোটেলেই যেতে হবে। কাজটা ওর জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ হোটেল মেনেজমেন্ট থেকে সেই হোটেলে কর্মরত কোনো কর্মীর তথ্য সহজে কারোর কাছে দেওয়া হয় না। মেহের পরপর ৩টা ফাইভ স্টার হোটেলে গিয়ে টাকার বিনিময়ে একটু চতুরতার সাথে সেখানে কোনো কর্মচারীর সাথে কোনো অ*ঘ*ট*ন ঘটেছে কিনা বিগত ১ মাসের ভিতর সেই তথ্য সংগ্রহ করে ঠিকই কিন্তু যেই তথ্য পাওয়ার আশায় আজ সে বাসা থেকে বেড়িয়েছিলো তা ওর পাওয়া হলো না এখনও। হতাশারা মেহেরকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিবে বলে মনে হচ্ছে এখন ওর। অতঃপর মেহের কিছুসময় ব্রেক নিয়ে ৪র্থ তম ফাইভ স্টার হোটেলে চলে এলো। সেখানে কর্মরত একজন লেডি কর্মীকে মেহের নিজের কাছে ডাকলো। মেয়েটি মেহেরের সম্মুখে এসে দাঁড়িয়ে বললো…

—“জ্বি ম্যম বলুন, কিভাবে আপনাকে সহায়তা প্রদান করতে পারি!”

—“আমার কিছু জানার ছিলো এই হোটেল সম্পর্কে।”

মেয়েটা কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেলো মেহেরের এরূপ কথায়৷ মেয়েটা নিজের আশপাশে চোখ বুলিয়ে বললো….

—“আপনি কি মিডিয়ার লোক?”

—“না।”

—“তাহলে? কি জানতে চান?”

মেহের বাকি ৩ টি হোটেলের কর্মচারীকে যেই প্রশ্ন করেছিলো সেই একই প্রশ্ন এই মেয়েটিকেও করলো। মেহেরের প্রশ্ন শুনে মেয়েটি যে কিছু ঘা*ব*রে গিয়েছে তা ওর চেহেরা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। মেয়েটি তাড়া দেখিয়ে বললো….

—“আ’ম সরি ম্যম। আমি আপনাকে এসব বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারবো না।”

এই বলে মেয়েটা স্থান ত্যগ করতে নিলে মেহের বললো…

—“আজ যদি ঐ মেয়েটার জায়গায় তুমি হতে..?”

মেয়েটি থেমে গেলো। মেহের মেয়েটির দিকে এগিয়ে এসে বললো….

—“অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তারা দু’জনেই সমান ভাবে অ*প*রা*ধী হয়ে থাকে। এমন না সেদিন ঐ মেয়েটার সাথেই অ*ন্যায়টা হওয়ার ছিলো। সেদিন ঐ মেয়েটার জায়গায় তুমিও থাকতে পারতে। আজ ঐ মেয়েটা যেই অবস্থায় আছে, যেই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন তুমিও হতে পারতে।”

মেয়েটি কাপান্বিত কন্ঠে বললো….
—“আমার তো কিছু হয় নি৷ তাহলে আমি কেনো অহেতুক ঝা*মে*লা*র মধ্যে নিজেকে জড়াতে যাবো?”

—“আচ্ছা মানছি আজ তোমার কিছু হয় নি তাই তোমার কাছে এ বিষয়ে কারোর সাথে কথা বলাটাও ঝা*মে*লা বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু তুমি কি এমন নিশ্চয়তা দিতে পারবে যে আগামীতে কোনো একদিন তোমার সাথে সত্যিই এমন কিছু হবে না! তুমি বারবার বেঁচে যাবে ঐ ন*র*পি*শা*চ গুলোর হাত থেকে!”

মেয়েটার ভিতর পর্যন্ত নাড়িয়ে দিতে সক্ষম হলো যেনো মেহেরের বলা কথাগুলো। মেয়েটি দম ফেলে বললো….

—“এই পুরো জায়গাটা সিসিটিভি ক্যমেরার আওতায় রয়েছে। আমি এখানে আপনাকে এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না। হোটেলের বাহিরে আরেকটা ছোট রেস্তরা আছে। আপনি সেখানে আমার জন্য অপেক্ষা করুন। একটু পরেই আমার ডিউটি টাইম শেষ হবে। আমি আসছি আপনার কাছে তখন।”

—“যদি তোমার ভিতর নূন্যতম মনুষ্যত্ব বোধ বলতে কিছু বেঁচে থাকবে তাহলে তুমি আসবে। অবশ্যই আসবে।”

এই বলে মেহের হোটল থেকে বেড়িয়ে গেলো। রিসিপশন সাইডে আসতেই আরেকজন পুরুষ কর্মচারী মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বললো….

—“কি ব্যপার? অনেকক্ষণ হলো লক্ষ্য করছিলাম ওখানে দাঁড়িয়ে একটা মেয়ের সাথে গুজুর গুজুর করে কথা বলছিলেন! কোনো স*ম*স্যা হয়েছে নাকি?”

মেয়েটাকে বিষয়টাকে এখানেই ধা*মা*চা*পা দিতে বললো….

—“না কোনো সমস্যা হয় নি। উনি হুট করে এসেই বলছিলেন আমাদের হোটেলে রাতে স্টে করার জন্য কোনো অফার চলছে কিনা। আসলে এসব বিষয়ে রিসিপশনে এসে কাউকে জিজ্ঞেস করতে নাকি লজ্জাবোধ করছিলেন তাই।”

লোকটা মেয়েটির কথা মেনে নিলো। অতঃপর ওরা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলো।

১ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে মেহের রেস্তোরাঁটাতে এসে বসে আছে। দুপুর সময় পেরিয়ে যাচ্ছে তাই বেশ ক্ষুধাও লেগেছে মেহের। এখান থেকেই দুপুরের খাবারটুকু খেয়ে নিলো সে। কিয়ৎক্ষণ পর মেহের লক্ষ্য করলো হোটেলের সেই মেয়েটা রেস্তোরাঁর মূল দরজা অতিক্রম করে ভিতরে প্রবেশ করলো। মেহের হাত উঠিয়ে ইশারা প্রদান করলে মেয়েটি মেহেরের সম্মুখে থাকা চেয়ার টেনে সেখানে বসলো। মেহের ওয়েটারকে ডেকে দু’কাপ কফি অর্ডার করলো। অতঃপর মেহের মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বললো….

—“যে মেয়েটির সাথে অ*ন্যায় হয়েছিলো তার সম্পর্কে তুমি যা জানো আমাকে সবটা বলো। আর কিছু লুকিও না প্লিজ।“

মেহের মেয়েটির আড়ালে নিজের কোলের উপর ফোন রেখে সেখানে রেকর্ডিং সিস্টেমটা অন করলো। মেয়েটি বললো…

—“যার সাথে অ*ঘ*ট*ন ঘটেছে ওর নাম শিউলি। আর আমার নাম মিতা। শিউলি আর আমি একই সাথে ঐ হোটেলে কাজ করতে ঢুকেছিলাম। পূর্ব থেকে আমরা একে-অপরকে চিনতাম না বাট কাজের মধ্য দিয়ে চেনা-জানার পর্বটা সারা হয়েছিলো। শিউলি আর আমি খুবই তাড়াতাড়ি ক্লোজ ফ্রেন্ড হয়ে গিয়েছিলাম। অ*ঘ*ট*নে*র দিন আসলে শিউলির জায়গায় আমার হওয়ার কথা ছিলো। কারণ সেইদিন ডিউটি টাইম আমার ছিলো। হঠাৎ আমার বাড়ি থেকে ফোন আসায় আমাকে বাড়িতে যেতে হতো জন্য আমি শিউলিকে বলেছিলাম আমার হয়ে আজ ওভারটাইম করে দিতে। শিউলি খুব ভালো মানসিকতার মেয়ে ছিলো। আমার কথা এক বলাতেই মেনে নিয়েছিলো সে। এরপর আমি বাড়ি চলে আসি। আর শিউলির সাথে ঐ অ*মানুষটা….!”

কথাগুলো বলতে বলতেই মিতা কান্না করে দেয়। মেহের মিতার দিকে পানির গ্লাস এগিয়ে দিলে। মিতা টিস্যুবক্স থেকে টিস্যু নিয়ে চোখের পানি মুছে গ্লাসে থাকা পানিটুকু পান করলো। নিজেকে কিছুটা সামলে নিলো মিতা৷ মেহের বললো….

—“সেদিন তুমি চলে গিয়েছিলে শিউলিকে নিজের ডিউটির দায়িত্ব দিয়ে তারমানে তুমি জানো না সেদিন শিউলিকে ঠিক কি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিলো তাই তো!”

—“এই কথা আমি কেনো হোটেলে কর্মরত কোনো সাধারণ কর্মীই জানেন না। এই কাজ হোটেলের সম্মানের কথা চিন্তা করে হোটেল মালিক এবং তার বিশ্বস্ত কয়েকজন কর্মী মিলে চুপিসারে সম্পন্ন করেছেন নিশ্চিত। আর যে এই অ*ন্যায়টা শিউলির উপর করেছে শিউলির থেকে শুনেছি সে অনেক বড় লোক। তাই তার কাছে নিজের অ*ন্যায়কে ধা*মা*চা*পা দেওয়া হাতের ময়লা মাত্র।”

—“আমরা সাধারণ মানুষরা সবাই যদি অ*রা*ধী*র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই তাহলে অ*প*রা*ধী যতো বড় পয়সাওয়ালাই হোক না কেনো শা*স্তি*র হাত থেকে বাঁচতে পারবে না মিতা।”

—“এসব কথা কেবল মুখে মুখে শোনা যায় আপু। এসব বাস্তবে ফলতে দেখা যায় না। বাস্তবে আমরা সবাই টাকাওয়ালাদের পায়ের নিচে পি*ষ্ট হই বরাবর।”

—“আমাকে শিউলির কাছে নিয়ে চলো। শিউলির সাথে কথা বলবো আমি।”

—“ঠিক আছে চলুন।”

অতঃপর মেহের আর মিতা রেস্তোরাঁ থেকে বেড়িয়ে শিউলির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো।

#চলবে_ইনশাআল্লাহ…..