প্রেমস্পৃহা পর্ব-০৪

0
22

#প্রেমস্পৃহা
#পর্ব_০৪
লেখনীতেঃ অলকানন্দা ঐন্দ্রি

“ রোজ আমায় ভালোবাসে আযরান! তুই বোধহয় জানিস না ও আমায় কতোটা পাগলের মতো ভালোবাসে। ও আমায় কতোটা চায়।জিজ্ঞেস কর ওকে। নিজেই বুঝে যাবি তোর ফুল আমার প্রতি কতোটা আসক্ত! ”

আযরান দাঁতে দাঁত চাপে সায়ানের কথা গুলো শুনে। চোয়াল শক্ত হয়ে আসে তার। অস্ফুট স্বরে দুটো বিশ্রী গা’লি শুধাল সে সায়ানকে সঙ্গে সঙ্গেই। পরমুহুর্তে বলল,

“ আমার ফুল, আমার রোজ, আমার বউ! ও তোকে ভালোবাসার আগে আমি নিজেই ওকে মেরে ফেলতাম শায়ানের বাচ্চা! ”

শায়ান হেসে উঠল হুট করে। বলল,

“ সাহস থাকলে ওকে ফোন দে। আমি কথা বললেই সরাসরি প্রমাণ পেয়ে যাবি আযরান।”

আযরানের মেজাজ খারাপ লাগে। হাত পা নিশপিশ করে যেন। তবুও হেসে সায়ানের গা জ্বালানো উত্তর দিল,

“ আমি আবার শু’য়োরদের আমার বউ এর আশপাশ ঘেষতে দেই না বুঝলি তো? তুই ঘুমা বরং। সকাল হলে নতুন করে পাত্রী খুঁজে নিস ভাই। আমার বউ এর আশা ছেড়ে দে। পাবি না আমি বেঁচে থাকতে। ”

“ তুই শিওর পাব না? আযরান! এতক্ষনে তোর ফুল নিয়ে না গেলে আমার ঘরে থাকত। আমার বিছানায়। ফুলশয্যার রা….”

আযরান বাকিটা শুনতে পারল না আর। তার আগেই নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে রোজের ফোনটা ছুড়ে ফেলল ফ্লোরে। এতোটাই জোরে মারা হলো যেন ফোনটা দুয়েক টুকরো হয়ে এল। রোজ বিস্ময় নিয়ে তাকায়৷ আযরান চোখ মুখ লাল করে রাগে চোয়াল শক্ত করে থাকতে দেখেও সে দ্রুত ফোন হাঁতড়াতে নিয়ে বলল,

“ ফোনটা ছুড়ে মারলেন কেন? ওটা আমার ফোন ছিল।ভেঙ্গে গেল। ”

আযরান দাঁতে দাঁত চাপে। তার সায়ানের উপর না যতোটা রাগ হচ্ছে তার চেয়ে বেশি রাগ হচ্ছে রোজের উপর। ও কেন শেষ ছয়মাসে সায়ানের সাথে ঘুরঘুর করেছিল? প্রেম প্রেম রংঢং দেখাল? বিয়েতে রাজি হলো কেন ও? আযরানকে এই ছয়মাসে এসব দেখে কতটা যন্ত্রনা পোহাতে হয়েছে রোজ জানে? রোজকে যতোটা না অপমান করে শান্তি পেত তার চেয়েও হাজারগুণ যন্ত্রনা হতো যখন রোজ আর সায়ানকে একসাথে দেখত সে। আযরান রাগ ফুঁসতে ফুঁসতেই বলে,

“ ওটা তোর ফোন বলেই ছুড়ে মেরেছি আমি। ছয় মাস! ছয় মাস তুই আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ঐ বেঈমানের সাথে ঘুরেছিস রোজ,প্রেম দেখিয়েছিস। ওকে বিয়ে করতে গিয়েছিলি, আমি ভুলিনি, কিচ্ছু ভুলিনি।”

রোজ উত্তর করল এবারে,

“ আমার রাগ আমার উপর মেটাবেন। তা না করে আমার ফোন ভেঙ্গে ফেলবেন কেন? ”

আযরান বহুকষ্টে রাগ সামলায় যেন। লালাভ চোখজোড়া নিয়ে চেয়ে রোজকে বলল,

“ আমার ইচ্ছে হচ্ছে তোকেই আঁছাড় মারি। আমার, আমার হয়ে তুই অন্যকাউকে ভালোবাসতে গিয়েছিলি রোজ?আমায় শুনতে হচ্ছে তুই তাকে ভালোবাসিস!এমন বিচ্ছিরি কথা শোনার ধৈর্য্য আমার না হোক।”

কথাটা বলেই আযরান ফের ফুঁসে উঠল। বলল,

“আজ এতক্ষনে তুই ঐ বেঈমানটার সাথে এক বিছানায় থাকতি!আ’ম শিওর আমাকে তুই কখনোই ভালোবাসিস নি। শুধু আবেগে ভেসেছিলি। ”

রোজ নিরব চাহনিতে তাকাল এবারে। ভালোবাসেনি? আসলেই কি ভালোবাসেনি? রোজ কত এই পুরুষের পিছু পিছু ঘুরেছে। তখন আযরান তাকে অতোটাও প্রেম নজরে দেখত না, কিংবা ওর প্রেম নজরটাকে কখনো খুব বেশি পাত্তা দেয়নি। তবে অধিকার বোধ খাটিয়েছে সর্বদাই। আজ যেমন অন্য ছেলের সাথে মানতে পারছে না, তেমনই আগেও অন্য ছেলের সাথে তাকে আযরান মানতে পারত না। কত শাসানো এই নিয়ে! রোজ আনমনেই হাসল যেন। অতঃপর আযরানের দিকে চেয়ে বলল,

“ আবেগ এবং ভালোবাসা আমি বুঝি আযরান ভাই। প্রশ্ন তুলবেন না আমার ভালোবাসা নিয়ে।”

এটুকু বলেই রোজ সুরসুর করে বেলকনিতে চলে গেল। অন্ধকার! তবুও রাস্তার সোডিয়াম আলোতে এবং রুম থেকে আসা আলোতে অনেকটাই বোধগম্য। রোজ হাতড়েই ওখানে থাকা টুলটায় বসতে নিতে হাতে পেল একটা এন্টিকাটার। সম্ভবত বেলকনির গাছগুলোর কাজের জন্য রেখেছিল। রোজ ওটা হাতে নিল। অতঃপর টুলটায় বসে এন্টিকাটার দিয়ে দেওয়ালে আঁক বসাতে থাকল। ভাবতে লাগল জটিল ভাবনা।জীবন এত জটিল কেন? এত জটিলতা তো সে চায় নি। সত্যিই চায়নি। তবুও তার জীবনটা ক্রমশ জটিল হচ্ছে। ক্রমশ এক অস্পষ্ট ঘূর্ণিপাকে ঘুরছে সে। রোজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ফুলে ফুলে সজ্জিত ঘরটা তাদের বাসর ঘর হলেও রোজ ওভাবরই সারারাত বসে থাকল বেলকনিতে। চোখে ঘুম নেই। নিশ্চুপ বসে থেকে সে ভেবে বেড়াচ্ছে সকালটায় কি হতে যাচ্ছে? তার বাবা যে হাত গুঁটিয়ে বসে থাকবে এমন তো নয়। বাবা এই সত্যটা জানার পর কি করবে তাকে? ঘৃণা?অথচ রোজ এটা অস্বীকার করতে পারে না যে রোজ আযরানকে ভালোবাসে। সত্যিই ভালোবাসে। শেষ ছয়মাস তাকে যেখানে পেয়েছে সেখানেই আযরান অপমান করেছে, কষ্ট দিয়েছে, বিভিন্নভাবে! অথচ তবুও রোজ আযরানকে ভুলতে পারল না।সায়ানের সাথে বিয়ের আসরে বসার আগ পর্যন্ত রোজ কেঁদেছে। এমনকি এই দুই দুটো বছর প্রত্যেকটা দিন সে কেঁদেছে শুধুমাত্র আযরানকে পাবে না বলে। আজ যখন পেল, তখন এত ভয় হচ্ছে কেন ওর? আযরানকে কেন স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারছে না? ছয়মাসের আযরানের করা অপমানগুলোই বা ভুলতে পারছে না কেন? রোজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে। চোখ বুঝে নিতেই জল গড়িয়ে পড়ল তার গালে! অতঃপর কখন যেন চোখ লেগে এল সে নিজেই বুঝল না।

.

আয়শান ক্লান্ত! সারাদিনের সব সামলে সত্যিই ক্লান্ত। ঘুম পাচ্ছিল একটু আগ অব্দিও। অথচ বউ এর করা একটু আগের সব প্রশ্ন তার ঘুম উড়াতে যথেষ্ট। আয়শান জানে, তুলিকে আজও হয়তো কেউ কিছু বলেছে। কে বলেছে? চাচী? নাকি অন্য কেউ? আয়শান ভাবে। ভেবে ভেবে সে বউ এর ঘুমন্ত মুখটার দিকে চেয়ে থাকে। অতঃপর এই আদুরে মুখটা দেখে সে আনমনেই হাসে। এই শান্ত, লক্ষী মেয়েটা তার বউ এটা ভাবলেই তার মন ফুরফুরে লাগে। অদ্ভুত শান্তি যেন। তুলি কি জানে আয়শান তাকে কবে থেকে চেয়েছিল? কবে থেকে এই ছোট্ট মেয়েটাকে সে ভালোবেসেছিল? অথচ এই বোকা, লক্ষী মেয়েটি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে আয়শান তাকে ভালোবাসে না। শুধুমাত্র প্রয়োজন মেটাতে বিয়ে করেছে। তাকে শুধুমাত্র খেলার অংশ হিসেবেই ব্যবহার করেছে! আয়শান দীর্ঘশ্বাম ফেলে। বউ এর আদুরে মুখটা নিজের দুই হাতের আজলায় নিয়ে আলতো করে চুমু খায় কপালে। শুধায়,

“ আমি তোকে কখনোই বোন হিসেবে দেখে আসিনি তুলি। বাকি সবাইকে আমি বোনের মতো স্নেহ করেছি, ভালোবেসেছি অথচ তোকে দেখেছি ভিন্ন নজরে। তুই সেটা বুঝতে পারলি না৷ নিজেকে এতোটা অযোগ্য কেন ভাবিস তুলি? অথচ তোকে পাওয়ার দুশ্চিন্তায় এই আয়শান কত রাত ঘুমোয়নি। আর তুই ভাবিস তুই আমার অযোগ্য? বোকা তুই! বিয়ের দুই বছরেও বুঝলি না আমি তোকে ভালোবাসি, শুধু ভেবে গেলি আমি তোকে অপরাধী বানিয়েছি। তোকে অপরাধী বানিয়েও যদি তুই আমার হোস, তো অপরাধী বানানোতে ক্ষতি কি বল? তুই হয়তো জীবনটা অন্য কারোর সাথে মানিয়ে নিতি, অন্যকারোর খু্ব শান্ত, লক্ষী বউ হয়ে যেতি। কিন্তু বিশ্বাস কর, আমি তোকে না পেলে সত্যিই তছনছ করতাম সব।আমার তোকে লাগতই ঐ সময়। আব্বু আম্মু আমায় যেভাবে ডেইজির দিকে ঠেলে দিচ্ছিল, ঐ মুহুর্তে আমার তোকে বিয়ে করে নেওয়াটাই ভালো সিদ্ধান্ত মনে হয়েছিল তুলি। অথচ তুই বুঝলি না এখনো….”

.

আযরান সারারাত রাগে হাঁসফাঁস করেছে। রুমে পায়চারি করেছে। কাঁচের ওপারে রোজকেও অনবরত খেয়াল করে গিয়েছে মৃদু আলোতে। কখনো এন্টিকাটার দিয়ে দেওয়ালে আঁক বসাতে দেখেছে তো কখনো নিরব আকাশে চেয়ে থাকতে দেখেছেে।অতঃপর একটা সময় পর রোজকে বেলকনির দেওয়ালে মাথা এলিয়ে চোখ বুঝতে দেখে সে পা এগোয়। হাঁটু গেড়ে বসেই রোজকে কিয়ৎক্ষন দেখে সে। মৃদু আলোতেও লাগে একদম সাদা ধবধবে একটা পুতুল যেন। আযরান তাকিয়েই থাকে। অতঃপর রোজের কপালে আসা চুলগুলো সরিয়ে দেয় এক আঙ্গুলে। আযরান আরোও কিছুক্ষন দেখে। অতঃপর রোজকে ঘুমোতে দেখে কোলে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু ভাগ্য খারাপ। রোজকে যে মুহুর্তেই সে কোলে তুলে নেওয়ার জন্য স্পর্শ করল ঠিক তখনই রোজ হকচকিয়ে উঠে পড়ল। আবছা অন্ধকার এবং সদ্য ঘুম ভেঙ্গে রোজ কিছুই বুঝে উঠল না যেন। শুধু বুঝল তাকে কেউ স্পর্শ করেছে। এই বার্তাটা মস্তিষ্কে যেতেই রোজ হাতে থাকা এন্টিকাটার দিয়েই আক্রমন করে বসল। অন্ধকারে দ্রুত আঁচড় কাঁটল তাকে স্পর্শ করা লোকটার বুকে।অথচ রোজ জানেই না, পুরুষটি আর কেউ নয়। তারই সদ্য বিবাহিত বর! আযরান দাঁতে দাঁত চাপল মুহুর্তেই। মুখ থিতিয়ে নেয়। বুকের দিকটায় হাত চেপে নিয়ে অবিশ্বাস্যের ন্যায় তাকাল যেন সে। হাত দিয়ে তরল কিছু অনুভব করে বুঝতে পারে এটা রক্ত! আযরান রোজের দিকে তাকাল ওভাবেই,আবছা অন্ধকারে। বলল,

” গুড! ঐ সায়ানের সাথে সাথে কথা বলতে দেয়নি বলে, তোর ফোন ভেঙ্গে ফেলরছি বলর এখন আমাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করছিস এখানে বসে বসে রোজ? তুই তো সাংঘাতিক মেয়ে! ”

রোজরর এতক্ষনে খেয়াল হলো কন্ঠটা আযরানের। আলোতে ফুটে উঠল আযরানের প্রতিচ্ছবিও। রোজ বিস্ময় নিয়েই তাকায়। এভাবে আক্রমন করল, কেঁটে যায় নি তো এই লোকের? রোজ দ্রুত দেখার চেষ্টা করল মৃদু আলোতে।বুঝে না উঠে দ্রুত গিয়ে আলো জ্বালাল। আসলেই কেঁটে গিয়েছে। রোজ তো ছোটকাল থেকেই সাংঘাতিক। তবে এটা সে আযরান জেনে ইচ্ছে করে করেনি। ভয়েই, অজানা আশংকায় বরাবরের মতো অভ্যেসবশত করে ফেলছে। হাতে যদি চুরির ন্যায় এই কাটারটা নাও থাকত, তবুও ও চড়,ঘুষি বসাত পারলে সে। রোজ চোখ ছোটছোট করে তাকায়। হাত বাড়িয়ে আযরানের বুকের বা পাশটা দেখতে চেয়ে বলল,

” দেখি, রক্ত তো বেরিয়ে গেল! হাত সরান। ”

আযরান হাত সরায় না। ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে একপাশে বসে বলে,

“ নিজে আঘাত করে নিজেই আবার ঢং করছিস। তোর মনে মনে যে আমায় খু’ন করার প্ল্যান এটা তো আমি মোটেও আন্দাজ করিনি।এতোটা সাংঘাতিক তুই !”

রোজ তাকায়। শান্তভাবে বলল,

“ ওটা আপনি জানলে আমি আঘাত করতাম না, দেখান বলছি। ”

আযরান দেখালই না। বরং বাচ্চাদের মতে করে বলল,

“ দেখাব না, আমার শখের নারী আমায় বাসর রাতেই চুরি বসিয়ে মে’রে ফেলতে চাইছে এটা ভেবে ভেবে আমাকে হার্টএ্যাটাক করতে হবে এখন!তুই সর। ”

রোজ ছোটশ্বাস ফেলে। বলল,

” ফার্স্টএইড বক্স কোথায়?”

আযরান উত্তর দেয় না। রোজ ফের শুধাল,

“ আযরান। ফার্স্ট এইড বক্স কোথায়? ব্যান্ডেজ করতে হবে তো। ”

আযরান ফের ফুঁসে উঠে বলল,

“ ব্যান্ডেজ করব না, আমি এই আঘাত নিয়ে ম’রে যাব তবুও তোর হাতে ব্যান্ডেজ করব না।”

” এই আঘাতে কেউ মরে না আযরান। ”

” না মরলে ও এভাবেই রক্ত পড়ুক।তোকে ভাবতে বলেছি আমি? ”

রোজ রেগে তাকায় এবারে। বলে,

“ আযরান! আমার ইচ্ছে হচ্ছে এখন আপনাকে সত্যিই মে’রে ফেলি। রাগ বাড়াচ্ছেন আমার। ”

“ আমার ক্ষত নিয়ে তোকে তো চিন্তা করতে বলিনি রোজ। তোর তো চিন্তা থাকার কথাই নয়। ”

রোজ এবারে উত্তর করল না। নিজেই রুমে গিয়ে ফার্স্ট এইড বক্স খুঁজল। অতঃপর খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পেয়েও গেল। হাতে তা নিয়ে এসে সে আযরানের সামনে বসল। কিছু না বলেই সর্বপ্রথম আযরানের শার্টে হাত রাখল। আযরান মুহুর্তেই বলল,

“ শার্টে হাত রেখেছিস কেন?”

রোজ উত্তর করল স্পষ্ট স্বরেই,

“ আপনার শার্ট খুলব তাই। ”

আযরান কেমন করেই যেন তাকাল। রোজ তা খেয়াল করে বলল,

“ ওভাবে তাকানোর কিছু নেই। শার্ট খুলে ব্যান্ডেজ করব। ”

এটুকু বলেই রোজ আযরানের শার্টের বোতাম খুলতে নিল। একটা বোতাম খোলার সাথে সাথেই আযরান বলল,

“ শার্ট ছাড়। অভদ্রের মতো বোতাম খুলছিস কেন? ”

রোজ ছাড়ল না।বরং ওভাবেই শার্ট টেনে ধরে বলল দাঁতে দাঁত চেপে,

“ আযরান ভাই! রাগ বাড়াবেন না। ”

“ এসব কি নাটক? ”

রোজ রেগে রেগে বোতাম খুলতে খুলতে বলল,

“ আমার মেজাজ খারাপ করছেন। ”

আযরান হাসল হঠাৎ। ততক্ষনে শার্ট ছাড়িয়েছে রোজ। উম্মুক্ত বক্ষে সেই কাঁটা আঘাতটায় রোজ হাত বুলাল। অতঃপর পরিষ্কার করে নিতেই আযরান শুধাল বাঁকা হেসে,

“ তুই কি আমায় নিয়ে চিন্তিত রোজ? এই সামান্য আঘাতে? তুই তো তার চেয়েও বেশি আঘাত আমায় কত আগেই করে ফেলেছিস রোজ। সেই আঘাতের যন্ত্রনা বয়ে বেড়াচ্ছি আমি, তুই টেরও পেলি না। অথচ এই সামান্য ব্যাথা নিয়ে চিন্তা করছিস? হাস্যকর!”

#চলবে….