#প্রেমের_সমর
#পর্ব_০৩
লেখনীতে অলকানন্দা ঐন্দ্রি
নিজের চোখের সামনেই নিজের বউয়ের হাতে চকচকে সোনার আংটি পরাচ্ছে পাত্রপক্ষ। এহেন দৃশ্য দেখে স্বচ্ছর দাঁত কিড়মিড় করল। কয়েক পা এগিয়েই লম্বা ঘোমটা টেনে বসে থাকা মেয়েটাকে টেনে দাঁড় করাল। হাত থেকে সোনার আংটি টা ছুড়ে ফেলতে নিয়েই বাবা মার উদ্দেশ্যে বলে উঠল,
“ বউটা কার আব্বু? ”
স্বচ্ছর বাবা ছেলের এমন রূপ আশা না করলেও মনে মনে এমন কিছু হবে ভাবছিল বোধহয়। ছেলের এহেন কান্ড দেখে হাসিও এল তার। তবুও বলল,
“ বউটা তোমারই এমন করে আমি বলতে পারছি না স্বচ্ছ। কারণ তুমি তো আর তাকে বউয়ের কোন মর্যাদা দাও নি তাই না? কেবল বিয়েটাই করেছিলে।”
স্বচ্ছ রেগে আছে। ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গেছে। অতিরিক্ত রাগের দরুণ ফর্সা, খাড়া নাকটার অগ্রভাগও লাল ঠেকছে।হিসহিস করতে করতে বলল,
“ সে যায় হোক, বিয়েটা যেহেতু হয়েছে বউটাও নিশ্চয় আমারই? আর সে বউকেই আমাকে না জানিয়ে, না শুনিয়ে, অনুমতি না নিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কোন সাহসে আব্বু?”
স্বচ্ছর বাবা এবারে গম্ভীর স্বরে উত্তর করল,
“ এই ছাড়া কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত? তুমি যে বাসায় ফিরে সংসার করবেই তার তো কোন নিশ্চায়তা ছিল না স্বচ্ছ! এমনকি আজ যে বাসায় ফিরলে, কাল যে আবার হুট করে বাসা ছেড়ে চলে যাবে না এটারও নিশ্চায়তা নেই আমাদের কাছে। তুমি চিরকাল নিজের মন মতোই চলেছো। ”
স্বচ্ছ সরু শ্বাস ফেলে এবারে। যেখানে সেখানে সবাই হাতে ধরিয়ে তাকে নিজের দোষগুলো ধরিয়ে দিচ্ছে, বুঝিয়ে দিচ্ছে সে দোষী! অথচ তার বউ কিছু বলছে না?এতোটা শান্ত তার বউ? স্বচ্ছ তাকাল লাল শাড়ি পরা মেয়েটার দিকে যাকে সিয়া একটু আগেই তার বউ বলে জানিয়ে এসেছেে।স্বচ্ছ এক ধমকে বলল,
“ এই মেয়ে? ”
ধমকটা দিয়েই মেয়েটার ঘোমটা ফেলল।অথচ মেয়েটা ভয় পেয়ে আছে তার ধমক শুনে। মুখ চোখে তা স্পষ্ট! স্বচ্ছর কেন জানি বিশ্বাস হলো না এটাই তার বউ। দুই পা পিঁছিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“ কে আপনি? ”
বিনিময়ে সে কোনভাবে উত্তর করল,
“ সুহা, মানে সুহাইবা! ”
স্বচ্ছ বিশ্বাস করল না।শক্ত স্বরে বলল,
“ আমি সুহাসিনীর কথার ধরণ চিনি। আপনি যেই হন, তবে সুহাসিনী যে নন তা বুঝা আমার জন্য খুব একটা কঠিন বিষয় নয়! ”
কথাটুকু বলেই হনহন করে চলে গেল নিজের রুমে। নিজের অপদার্থ বন্ধুদের রুমে চিৎ হয়ে মোবাইলে ডুবে থাকতে দেখে দ্রুত পায়ে বেলকনিতে গেল। সুহার নাম্বারটায় কল দিল তৎক্ষনাৎ। ওপাশ থেকে সুহাও কল তুলল। স্বচ্ছ সঙ্গে সঙ্গেই ডাকল,
“ সুহাসিনী? ”
সুহা চোখ বুঝে। এই ডাকটা তার অতি অপ্রিয় হয়েও ভীষণ রকমের প্রিয় রয়ে গেছে! প্রথম প্রথম সুহা নামটাকে টেনে সুহাসিনী ডাকত স্বচ্ছ। চার বছর পেরিয়ে গেলেও স্বচ্ছর মুখে ডাকটা এখনো আছে। তবে আগের মতো আনন্দ হয় না সুহার। আগে যেমন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ডাকটা শুনলেই তার হৃদয় আন্দোলিত হতো এখন তেমন হয় না। তবুও নরম গলায় বলল,
“ একটা সময় সুহাসিনী নামটা আমি খুব আগ্রহ নিয়ে শুনার অপেক্ষায় থাকতাম অস্বচ্ছ সাহেব।অথচ আজকাল আর এই নাম শুনলে বিশেষ কোন অনুভূতি হয় না আমার! ”
স্বচ্ছ নাক লাল করে তখন বলল,
“ সে কারণে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাতে চাইছো আমায়? ”
সুহার হাসি এল। বলল,
“ কি বুঝে এই কথা?”
“ তোমার বদলে অন্য মেয়ে বসিয়ে আমার সামনে এইংগেইজমেন্ট করিয়ে কি বুঝাতে চাইলে?নিজে যখন আসবে না অন্যকে দিয়ে নাটক করাচ্ছো কেন? ”
সুহা উত্তর দেয়,
“ নাটকটা আমি অ্যারেঞ্জ করিনি। আপনার আব্বা আম্মা করেছে।আপনি বিষয়টায় ইন্টারেস্ট দেখাবেন কিনা তা দেখার জন্য। ”
“ তুমিই আসতে তাহলে!মে’রে মুখটা ভোঁতা করে দিতাম।”
সুহা তাচ্ছিল্য করে বলল,
“ আমি আপনার জন্য অতোটা মরিয়া নই যে ড্যাং ড্যাং করে আপনার সামনে হাজির হতাম মিঃ অস্বচ্ছ। ”
স্বচ্ছ এবারে চুপ থাকে। অনেকটা সময় পর শান্ত কন্ঠে বলে,
“ আমি তোমার গানের গলা চিনি সুহাসিনী। আগে প্রায়সই গান রেকর্ড করে পাঠাতে তুমি।”
সুহার এই মুহুর্তে টনক নড়ল। এতসব সতর্কতার মাঝেও একটা ভুল ইতোমধ্যে করে বসেছে বুঝতে পেরেই সন্দেহী স্বরে বলল,
“ তো? ”
স্বচ্ছ কপালে হাত দিয়ে স্লাইড করতে করতে বলল,
“ রাতে গান গেয়েছিলে। নিচ থেকে আসছিল মেয়েলি গলাটা! আমি ভুল না হলে তুমি নিচের ফ্ল্যাটেই থাকো তাই না?”
সুহা এড়িয়ে গেল। বদলে বলল,
“ হুট করে আমায় নিয়ে মস্তিষ্ককে এতোটা চাপ দিচ্ছেন? কারণ কি? ”
“ দেখা করতে চাইছি। আমি বাসায় ফিরেছিই মূলত তোমাকে জব্দ করতে সুহাসিনী! তোমার অবাধ্যকতার শাস্তি দিতে!”
সুহার কন্ঠ নরম হলো। দীর্ঘশ্বাস টেনে বলে,
“ একটা ভুল কয় বার করব স্বচ্ছ? একবার তো জব্দ হয়েছিলামই! বাধ্যও হয়েছিলাম আপনার প্রেমে। এখন তো আমি আর সে বোকা মেয়েটি নেই। আপনি ভুলাতে চাইলেও এবারে ভুলব না আমি। ”
স্বচ্ছ শক্ত স্বরে জানাল,
“ আমার জেদ অনেক!আমি আমার সব জেদ পূরণ করেই ছাড়ি! ”
সুহা কন্ঠ দ্বিগুণ শক্ত করে বলল,
“ সাথে খুব ইগোও তাই না? এতোটাই ইগো যে একটা মেয়েকে অপমানে জর্জরিত করেও আপনার শান্তি মিলছে না। ”
স্বচ্ছ জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজায়। সত্যিই সে ইগোর কারণেই সুহার পেছনে পড়েছে। এমনকি এখনও ইগোর কারণেই সুহার পেছনে পড়ে আছে, সুহাকে নিয়ে ভাবছে এতোটা। ছোটশ্বাস ফেলে বলল,
“ যে সুহাসিনী আমার প্রেমে মরিয়া ছিল সে সুহাসিনীর এতোটা এটিটিউড সহ্য হচ্ছে না আমার। ”
“ আপনার সহ্য হওয়ার মতো চলতেও যে আমি বাধ্য নই । আপনি জানেন?আমি আপনাকে হৃদয়ের সবটুকু দিয়ে ঘৃণা করি অস্বচ্ছ সাহেব! ”
স্বচ্ছ গাল ফুলিয়ে শ্বাস ফেলল। চিরচিরে রাগ জমল মস্তিষ্কে। তার মুখের উপর স্পষ্ট কথা বলাতে তার রাগ ক্রমশ বাড়ছেই মনে হলো। কন্ঠে শীতল রাগ মিশিয়ে বলল,
“ ঘৃণা করো আর যাই করো, আমি বিনা অন্য কারোর সাথে মিশবে না। এটা আমাকে শান্তি দেয় না। ”
সুহা কৌতুহল নিয়ে শুধাল,
” কেন? আমি যতদূর জানি আপনার মনে তো আমার জন্য একটুও অনুভূতি ছিল না স্বচ্ছ! তাহলে? স্বামী নামক সম্পর্কের অধিকারবোধ থেকেই শান্তি পাচ্ছেন না নাকি ?”
স্বচ্ছ দাঁতে দাঁত চিবিয়ে বলে উঠল,
“ ইগো থেকে! স্রেফ ইগো থেকে! আমার কোন দিকে কম আছে? আমার বউ কেন অন্যের দিকে ঝোঁকার সাহস করবে? নাকি শারিরীক চাহিদা মেটাতে হুহ?”
সুহা নাক মুখ কুঁচকাল। তেজ নিয়ে বলে উঠল,
“ ছিঃ! সাধে কি আপনাকে অস্বচ্ছ ডাকি? মনটাই তো অস্বচ্ছ আপনার! ”
স্বচ্ছ রাগ নিয়ে বলল,
“ আমি সিরিয়াসলি বলছি সুহাসিনী। বাসায় এসেছি, বউ খুঁজছি। এমনি এমনি নিশ্চয় নয়? চোখের সামনে সরাসরি কোন ছেলের সাথে মিশতে দেখলে খুব খারাপ হবে তোমার সাথে। ”
সুহা হাসে মনে মনে। মুখে বলে,
“ আমি কিন্তু চার বছরে একটাবার কল, ম্যাসেজ করে বলিনি যে কোন মেয়ের সাথে মিশবেন না। কোন মেয়ের দিকে ঝুঁকবেন না। তবুও মিশেছেন! তাহলে কি ধরে নিব আপনি ও শারিরীক চাহিদার টানেই?”
“ কার দিকে ঝুঁকেছি আমি? ”
সুহা ফোঁড়ন কেঁটে বলে উঠল,
“ কারোর দিকেই ঝুঁকেননি এটা বললে বিশ্বাস করা যায়? সঙ্গেই তো এনেছেন এক সুন্দরী ললনাকে! ”
স্বচ্ছ গম্ভীর স্বরে উত্তর দিল,
“ ললনাকে সঙ্গে করে আনলেই ললনার সাথে সম্পর্ক হয়ে যায় না সুহাসিনী!”
সুহা যদিও মানল না কথাটা তবুও অন্য প্রসঙ্গে বলল,
“ এতদিন ফিরেননি, এখন এতদিন পর এসেছেন কেন? কোন উদ্দেশ্যে?”
স্বচ্ছ বলল,
“ শেষ দুই মাস জ্বালিয়ে মারছিলে তুমি।ছন্নছাড়া জীবন কাঁটানো আমাকে হুট করেই মনে করিয়ে দিলে যে আমি বিবাহিত অথচ বউ সামলাতে পারছি না। তারপর দিনরাত কোন পরপুরুষের সাথে কাঁটানো মুহুর্ত শেয়ার করে করে আমার মগজে শিরশিরে রাগ জমিয়ে দিয়েছো। এখন এই রাগ না মেটানো অব্দি শান্তি পাচ্ছি না।”
“ ইশশ! ইগো হার্ট হলো বুঝি? ”
স্বচ্ছ হাসে এবারে। বলে,
“ তুমি খুব চালাক সুহাসিনী। খুব ভুল না হলে তুমি জেনেশুনেই আমার ইগো হার্ট করেছো! মস্তিষ্কে তোমার চিন্তা ডুকিয়ে দিয়েছো। যাতে আমি তোমার জন্য মরিয়া হয়ে যাই। রাইট?”
” বুঝলেন যখন আবার ছুটছেন কেন তাহলে? ”
স্বচ্ছ এবারেও হাসে৷ ঠোঁট বাঁকিয়ে বলে,
“ কারণ তুমি যে চালটা দিয়েছো, আমি তার বিপরীত চালটাই চালব। আরো সুকৌশলে! ”
.
স্বচ্ছ কল রেখে মুখে সিগারেট গুঁজেছে। চোখ বুঝে বার কয়েক চেষ্টা করল সুহার প্রতিচ্ছবি কল্পনা করতে। মেয়েটা কেমন হবে দেখতে? খুব সুন্দরী? মায়াবী? চোখজোড়া কেমন দেখতে? স্বচ্ছ ভাবতে লাগলে আপাদমস্তক সুহাকে নিয়েই। অথচ কোন প্রতিচ্ছবি সরাসরি তার কল্পনায় ধরা দিল না৷ স্বচ্ছ হতাশ হয়ে শ্বাস ফেলে। পরমুহুর্তে নিজেই চমকে উঠে। যে মেয়েকে সে নিজেই অবহেলায় মুড়ে দিয়ে ফেলে গিয়েছিল সে মেয়ের জন্য দুটো মাসে সে এতোটা মরিয়া হয়ে উঠছে কেন? শুধুই ইগোর কারণে? নাকি অধিকার বোধের কারণে? নাকি সে জ্বেলাস? স্বচ্ছ নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতে গিয়ে কানে আসে আবিরের গলা,
“ তুই ভালোবাসিস মেয়েটাকে? এত কেন রাগ জম্মে তোর মেয়েটার প্রতি? ”
স্বচ্ছ শুনল। ঠোঁটের সিগারেটটা অবহেলায় ফেলে দিয়ে পা দিয়ে ফিশে ফেলে বলল,
“ বুঝতে পারছি না দোস্ত। হুট করেই মেয়েটা কি করে ফেলল বুঝতে পারছি না। মেয়েটা আমায় অবহেলা করে অন্য কারোর সাথে ঘুরছে, ফিরছে, ভালোবাসছে এটা ভাবলেই রাগ হচ্ছে আমার। মানতে পারছি না । ”
আবির শুনল। এগিয়ে এসে কিছু বলবে তার আগেই সেখানে এল সিয়া। হাতে দুটো কফির মগ। একটা আবিরের হাতে অন্যটা স্বচ্ছর হাতে দিয়েই সে বলল,
“ ছোটবেলা থেকেই ভাইয়া নিজের জিনিস নিয়ে ওভার পসেসিভ! তাই নিজের বউ অন্যের হয়ে যাচ্ছে মানতে পারছে না এটা। এটা শুধুই ভাইয়ার জেদ!”
আবির ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে শুধাল,
“ জেদ?”
“ তাহলে কি ভালোবাসা? ”
স্বচ্ছ এবারে উত্তরে বলে উঠল,
“ যাকে কখনো দেখিইনি, তাকে কি করে ভালোবাসব? পাগল নাকি? আমি শুধু মেয়েটাকে জব্দ করতে চাইছিলাম। তাই তো এসেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মেয়েটাই আমাকে বারবার নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছে। চালাক মেয়ে!”
সিয়া হাসে। যেতে যেতে বলে উঠে,
“ দেখো, ঘুরতে ঘুরতে আবার ভালোবেসে ফেলো কিনা ! ”
স্বচ্ছ সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর করল,
“ অসম্ভব! ”
সিয়া বেলকনি পেরিয়ে চলে গেছিল। ভাইয়ের মুখে অসম্ভব কথাটা শুনে আবার ঘাড় কাত করে বলে গেল,
” সম্ভব ভাইয়া, সম্ভব! ”
.
তখন রাত এগারো টা। স্বচ্ছর ফোনে হুট করেই ম্যাসেজ এল। সাথে হোয়াটসএ্যাপে দুটো ছবিও এল। স্বচ্ছ সঙ্গে সঙ্গেই দেখল৷ সুহার ম্যাসেজ। কোন এক ছেলে মেয়েলি হাত ধরে অতি যত্নে চুড়ি পরিয়ে দিচ্ছে এমন দুটো ছবি যাতে কেবল হাত গুলোই দৃশ্যমান। কিন্তু মুখ নয়। স্বচ্ছ এমন ছবি পেতে পেতে অভ্যস্ত। বরাবরের মতো এবারেও তার রাগ হলো। চিড়বিড় করল মস্তিষ্ক। সুহা ছবির সাথে সাথে ম্যাসেজে লিখল,
” সন্ধ্যায় ওর সাথে দেখা হয়েছিল। চুড়ি কিনে পরিয়ে দিয়েছে দেখুন? এতক্ষন ওর সাথে রিক্সায় ঘুরে আধঘন্টা আগেই বাসায় আসলাম বুঝলেন? ইশশ! কত সুন্দর চুড়ি গুলো! ”
স্বচ্ছ পুরো ম্যাসেজটা পড়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল।একই বিছানায় আবির আর সাদাফ ও ছিল। তিনজনের এক রুমেই থাকার ব্যবস্থা।আর নিধি সিয়ার সাথে সিয়ার রুমে ঘুমায়।স্বচ্ছকে হুড়মুড় করে বিছানা ছেড়ে চলে যেতে দেখেই আবির আর সাদাফ একসঙ্গেই বলে উঠল,
“ কি আশ্চর্য! তুই এমন লাফ মেরে কোথায় যাচ্ছিস? টয়লেট পেয়েছে তোর?”
স্বচ্ছর ইচ্ছে হলো সাদাফ আর আবিরের নাক বরাবর ঘুষি দিতে। দাঁতে দাঁত চিবিয়ে বলে উঠল,
” নিচের ফ্ল্যাটে যাচ্ছি শা’লা, যেখানে আমার না দেখা বউটা থাকে। ”
#চলবে….