#প্রেমের_সমর
#পর্ব_০৪
লেখনীতেঃ অলকানন্দা ঐন্দ্রি
রাত এগারোটায় দরজায় টোঁকা পড়াতেই বাসার ভেতরে থাকা চারজন মেয়েই ড্যাবড্যাব করে চাইল।সুহারা এই প্ল্যাটে মোট মিলে পাঁচজন মেয়ে থাকে। একজন ইতোমধ্যেই নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে।বাকি চারজন দাঁড়িয়ে ভাবছে কে দরজা ধাক্কাচ্ছে। অবশেষে দরজার ওপারে কে থাকতে পারে বুঝে না উঠে লুকিং গ্লাসে তাকাতেই দেখল স্বচ্ছ৷ সুহা পাশেই দাঁড়ানো ছিল। যে দেখল সে ফিসফিস স্বরে বলে উঠল,
“ এটা তো দুলাভাই! জেনে গেছে নাকি তোর ঠিকানা? ”
যে বলল সে মেয়েটা হলো সেই যাকে তখন লাল শাড়ি পরিয়ে স্বচ্ছর সামনে হাজির করা হয়েছিল। নাম নিতু। সুহা স্বচ্ছর আসার খবর পেয়ে ছোট শ্বাস ফেলল। চারজনের কানেই কিছু একটা বলে দিয়ে দরজা খুলল। সম্মুখে স্বচ্ছকে দেখে নিয়ে বলে উঠল তেজী স্বরে,
“ আশ্চর্য! অভদ্রের এত রাতে যুবতী মেয়েদের বাসায় এসে দরজা ধাক্কাচ্ছেন কেন ভাই?ভদ্রতা শেখেননি? ”
স্বচ্ছ থতমত খেয়ে গেল। সে মোটেও জানত না এই বাসায় চার চার জন অবিবাহিত মেয়ে থাকে। ধারণাই করে নি এমন কিছু। তার উপর সে মেয়েটাই কথা বলছে যে মেয়েটা ইতোমধ্যেই তাদের সামনে চরম বেয়াদবির প্রমাণ দিয়ে দিয়েছে। স্বচ্ছ ভেতরে তাকাল। চার চারজন মেয়ের দিকে তাকিয়ে থেকে না দমে বলে উঠল,
“ আপনাদের মধ্যে সুহা কে?”
সুহা স্বচ্ছর সামনে সোজাসুজিই দাঁড়ায়। ভ্রু উঁচিয়ে উত্তর করল,
“ এখানে চারজনের নামই সুহাইবা। চারজনই সুহা। আপনি কোন সুহার খোঁজ করছেন? ”
স্বচ্ছ কপাল কুঁচকায়।চারজনের নামই সুহা হয়? বিশ্বাসযোগ্য? বিরক্ত হয়ে বলল,
“ চারজনের নাম কখনো সুহা হয়? ফাইজলামি করছেন আপনি? ”
সুহা দ্বিগুণ বিরক্তি নিয়ে বলল,
“ ফাইজলামি করব কেন? আপনার সাথে আমার ফাইজলামির সম্পর্ক নাকি? ”
স্বচ্ছ সরু শ্বাস ফেলে। মেয়েটা তখনকার ওড়না নোংরা করার জন্য প্রতিশোধ নিচ্ছে ভেবে ভদ্রতার সঙ্গে বলল,
“ দেখুন আপু আপনার ওড়না আর বিছানা চাদর নষ্ট করার জন্য স্যরি বলছি। কিন্তু এখানে সুহা কে তা দয়া করে বলুন।আমার জানাটা প্রয়োজন।”
সুহা সবার দিকে ফিরে আবারও বলল,
“ এই বাসায় যারা যারা থাকে তারা সবাই সুহা। আপনি ওদেরকে ওদের নাম জিজ্ঞেস করুন। ওরাই বলবে। ”
স্বচ্ছ ছোটছোট চোখে তাকায় সবার দিকে। যে মেয়েটাকে তখন লাল শাড়ি পরা অবস্থায় দেখেছিল অর্থ্যাৎ নিতুকে দেখে বলল,
“ এই,আপনি তো সেই মেয়েটা যে মিথ্যে মিথ্যে বউ সাঁজলেন তখন! ”
নিতু মিনমিনে স্বরে বলল,
” হু। ”
স্বচ্ছ সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন ছুড়ল,
” আপনার নাম সুহা? ”
” হ্যাঁ! ”
স্বচ্ছর বিশ্বাস হলো না। তবুও জিজ্ঞেস করল,
“ সত্যিই সবার নাম সুহা? ”
নিতুর পাশে থাকা আরেকটা মেয়ে উত্তর দিল,
“ হ্যাঁ, সবাইই সুহা। আরেকজন ভেতরের রুমে ঘুমাচ্ছে। তার নাম ও সুহা। ”
স্বচ্ছর মনে হলো যে ভেতরের ঘরে ঘুমাচ্ছে সেই বোধহয় সত্যিকারের সুহা। ঘুমানোর নাম করে হয়তো লুকিয়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠল,
” তাকে দেখতে চাই। একবার! ডেকে দিবেন প্লিজ? ”
সুহা বিরক্ত গলায় বলে উঠল,
” ডাকা যাবে না। সে ঘুমালে হাজার জন ডাকলেও উঠে না।”
” মিথ্যে বলছেন। আমার মনে হচ্ছে আপনারা সবাই ই মিথ্যে বলছেন। হতেই পারে যে আসল সুহা লুকিয়ে আছে ঘুমানোর নাম করে। ”
সুহার পেট ফেটে হাসি আসে। তবুও মিথ্যে রাগ দেখিয়ে বলে উঠে,
“ কোন মিথ্যে না রে ভাই! সে সত্যিই ঘুমাচ্ছে। আপনি এবার যান তো। ”
স্বচ্ছ রেগে গেল। নাক লাল করে সুহাকে বলে উঠল,
“ চুপ করুন বেয়াদব মেয়ে।আপনার সাথে কথা বলছি?আপনি যে মিথ্যে বলছেন তা আমি জানি। হয় ওে ডেকে এখানে আনবেন নয়তো আমি নিজেই যাব।দেখব ও সুহাসিনী কিনা!”
সুহা কোমড়ে হাত রাখে। স্বচ্ছকে কোন ভাবেই বাসায় ডুকতে দিবে না এমন ভাবে ওর সামনে সরাসরি দাঁড়ায়। আঙ্গুল উঁচিয়ে বলে,
“ আপনার উদ্দেশ্যই তো ভালো ঠেকছে না ভাই! বাসায় পাঁচ পাঁচজন যুবতী মেয়ে। হতে পারে আপনি খারাপ কিছু করার উদ্দেশ্যে এসব ফাও নাটক শুরু করেছেন? ”
“চুপ মেয়ে! আমি আমার বউকে খুঁজছি!”
সুহা কিছু জানে না এমন ভাব করে বলল,
“ কে বউ?”
স্বচ্ছ রেগে গেছে। চোখমুখ দেখেই তা বুঝা যাচ্ছে। টানটান স্বরে উত্তর দিল,
“ আপনাদের পাঁচজনের মধ্যেই একজন৷ কিন্তু পরিচয় দিচ্ছেন না! ”
সুহা বলে,
” এখানে কাউকে দেখে মনে হচ্ছে বিবাহিত?”
স্বচ্ছ জেদ ধরা বালকের ন্যায় বলে,
“ কিন্তু আমার বউ এই বাসাতেই থাকে এতটুকু জানি আমি! এখন আমার বউকে আমার সামনে হাজির করবেন ব্যস! ”
“ আচ্ছা মুশকিল তো ভাই! কোন বউ টউ নেই এই বাসাতে। আপনার আব্বা আম্মা কোথায়? রাতদুপুরে বাসায় এরকম বিরক্ত করলে তো আমাদের সমস্যা বলেন? এই বাসায় তো তাহলে আর থাকা যাবে না নিরাপদে আর! ”
স্বচ্ছর ইচ্ছে হলো মেয়েটাকে একটা থাপ্পড় দিতে।রাগ হচ্ছে তার। ধমকে বলে উঠল,
” চুপ করুন বেয়া’দব মেয়ে। বলেছি না আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক না? এত বেশি বকবক করেন কেন? ভালো ভালোই বলুন সুহাসিনী কোনটা? নাহলে আমি নিজেই আপনাদের বাসা থেকে বের করে দিব। ”
আকস্মিক অপমানে সুহার নাক মুখ লাল হয়ে গেল। তাকে এভাবে বলতে পারল স্বচ্ছ? এভাবে? বাকি তিনজন বান্ধবী তার এহেন অপমান দেখে চাপা হাসছে। আর সুহা ফুলছে। দ্রুত মোবাইলে স্বচ্ছর নাম্বারটা খোঁজ করে সুহা। ফোন দিয়েই বলে,
“ আসসালামুআলাইকুম আঙ্কেল, আপনাদের ছেলে কি শুরু করেছে বলেন তো? প্রথমত ছাদে কাপড় শুকোতে দিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি আপনার বেয়াদব ছেলে আমার সাদা ওড়না হলুদ দাগ ফেলে দিয়েছে, ধোঁয়া বিছানা চাদরটাও নোংরা করে দিয়েছে। এখন শুরু করেছে অন্য নাটক? মেয়ে দেখেই বউ খোঁজা শুরু করেছে? কিসব আবোল তাবোল কারখানা বলেন তো! আমরা তো আর এই বাসায় থাকতে সেইফটি ফিল করব না আংকেল! ”
আকস্মিক ছেলের নামে এহেন বিচার পেয়ে স্বচ্ছর বাবা হতবিহ্বল। ছুটতে ছুটতে লুঙ্গি পরা অবস্থায় ছুটে এলেন নিচ তলায়। ছেলের হাত শক্তোপোক্ত ভাবে ধরে টানতে টানতে বললেন,
“ কি শুরু করেছো? তোমার জন্য কি এখন শান্তিতে ঘুমাতেও পারব না স্বচ্ছ? ”
স্বচ্ছ মুখ ভার করে উত্তর দিল,
“ টানছো কেন এভাবে? ”
” তাহলে স্বেচ্ছায় চলো।”
স্বচ্ছর বাবা তবুও ছেলের হাত ধরে টানতে টানতেই নিয়ে যাচ্ছেন। স্বচ্ছও ছোট বাচ্চার মতো বাবার হাত ধরে যেতে যেতে জেদ ধরে বলল,
“ যে মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে সে কোথায়? তাকে এনে দাও! ”
স্বচ্ছর বাবা ছেলেকে সিঁড়ি দিয়ে উপরে টেনে উঠাতে উঠাতে বললেন,
“ বাসায় চলো, অযথা জেদ করো না স্বচ্ছ। ”
“ এটা অযথা জেদ? ”
” অবশ্যই! ”
স্বচ্ছ ফোঁসফোঁস করে শ্বাস ফেলে। বলে,
” আমার ইচ্ছে হচ্ছে এখন আম্মুকে তোমার থেকে লুকিয়ে রাখি। তাহলে বোধহয় তুমি আমার অনুভূতিটা বুঝতে! ”
স্বচ্ছর বাবা এবারে ছেলের দিকে তাকাল। গম্ভীর গলায় বলল,
” যখন চার বছর আগে চলে গিয়েছিলে তখন অনুভূতি কোথায় ছিল তোমার? ”
স্বচ্ছ বাসায় পা রেখে বলে,
“ তখনকার কথা বাদ আব্বু! এখন আমি আমার বউকে দেখতে চাই।”
“ নিজের রুমে যাও। তোমার বউ বলেছে সময় হলে সে নিজেই তোমার সামনে এসে ধরা দিবে। আমরা তো আর তার কথার উপর জোর করতে পারি না তাই না? এখন যাও! ঘুমাও। ”
স্বচ্ছ বাবার থেকে এহেন কথা শুনে চুপসানো মুখে বলল,
” ঘুম আসবে? ঘুম আসার পথ রেখেছো তোমরা? এক অসহায় পুরুষের উপর তোমরা এভাবে নির্যাতন করছো আব্বু?”
স্বচ্ছর বাবা চাপা হাসল যাতে ছেলে না দেখে।দরজা লাগিয়ে যেতে যেতে বলল,
“ আমরা কিচ্ছু করছি না। তুমি যা করেছো তারই ফল এটা। ”
.
স্বচছ রুমে ঢুকা মাত্রই দেখতে পেল দুইজোড়া চোখ যা কিনা তার অপদার্থ বন্ধুদের। উদ্গ্রীব হয়ে চেয়ে আছে। সে আসা মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ল,
“ দেখা হলো ভাবির সাথে? ”
স্বচ্ছ আপসোসের সঙ্গে বলে উঠল,
“ হলো না। ”
আবির আর সাদাফ দুইজনই আগ্রহের সঙ্গে জানতে চাইল,
“ কেন? ভাবি নেই বাসায়?”
“ আছে! কিন্তু দেখা দিল না। ”
ওরা আবারও শুধায়,
“মানে? ”
স্বচ্ছ এবারে পুরো কাহিনী খুলে বলে। আবির তা শুনে হা হুতাশ করতে করতে বন্ধুর পিঠে হাত বুলিয়ে বলে উঠে,
” দোস্ত সমস্যা নাই। ভাবির হাতের ছবি আছে না তোর কাছে? আমরা হাত দেখে দেখে খুঁজে বের করব ভাবি কোনটা। আর হ্যাঁ, এই বুদ্ধি দেওয়ার জন্য ট্রিট হিসেবে কি দিবি তা চিন্তা করিস না।ভাবি বাদে বাকি চারজন থেকে একটারে আমায় দিলেই হবে। ”
সাদাফ দুষ্টু হেসে বলল,
“ ঐ ঝগড়ুটে কিন্তু আমার! হুহ?”
স্বচ্ছর রাগে দাঁত কিড়মিড় করে। রুম ছেড়ে বেলকনিতে যেতে যেতে সাদাফের পেটে একটা লাথি বসিয়ে বলে গেল,
” তোরা শা’লা আজীবনই একই। ঘুমা তোরা। তোদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না। ”
.
বেলকনিতে এসেই স্বচ্ছ সিগারেটে আগুন ধরাল। ঠোঁটে গুজে কল দিল সুহাকে। রাগ, বিরক্ত, ব্যর্থতা সব অনুভূতির মিশ্রন কাজ করছে। যার দরুন সুহা কল তোলা মাত্রই স্বচ্ছ বলে উঠল,
“ সুহাসিনী? ঘোল খাওয়াচ্ছো আমাকে? ”
সুহা কিছু জানে না এমন ভাব করেই বলল,
“ কিসের ঘোল? ”
উত্তরটা পেয়ে স্বচ্ছর রাগ বাড়ল বৈ কমল না। দাঁতে দাঁত চিবিয় বলল,
“ জানো না? ”
সুহা ফোনের অপর প্রান্তে নিরবে হাসে। বুঝতে না দিয়ে বলে,
“ না তো! কিসের ঘোল বলুন তো?”
স্বচ্ছ এবারে রাগের সহিতই বলল,
“ ফাইজলামি করছো? কখনো শুনেছো একই বাসায় পাঁচজনের নামই একই হতে?”
“ নাম একই যদিও হয় বউ তো আর সবাই নয়। অতোটা মরিয়া হলে খুঁজে বের করুন নিজের বউকে। ”
“তুমি খুব এটিটিউড দেখাও সুহাসিনী!”
সুহা হেসে শুধায়,
“ এটাকে এটিটিউড বলে না অস্বচ্ছ সাহেব।”
“তাহলে দেখা করো। ”
“ দেখা করতে এতোটা মরিয়া কেন? দেখা হলেই কি এমন কাজ করবেন শুনি? ”
স্বচ্ছ রাগে দাঁত কিড়মিড় করতে করতে বলে,
“ প্রথমত তোমার প্রেমিককে মারার জন্য হাত নিশপিশ করছে। সে কাজটাই সারব প্রথমে।”
সুহার হাসি পায়। তবুও বলে,
“ আমার সাথে দেখা করে আমার প্রেমিককে মারবোন কিভাবে? সেরকম হলে আমার প্রেমিকের সাথেই দেখা করুন? কাহিনী সলভড।”
স্বচ্ছ এবারর চুপ থাকে। অসম্ভব রাগ লাগছে তার। কেন লাগছে জানা নেই। তবে রাগে হাত পা নিশপিশ করছে। মুখভর্তি সিগারেটের ধোঁয়া বাইরে ছুড়ে দিয়েই অনেকটা ক্ষন চুপ থাকে সে। সুহা চুপচাপ এই নিরবতক উপভোগ করে। অবশেষে অনেকটা ক্ষন পর বলে,
“ সিগারেটের গন্ধ আসছে।চুপচাপ বসে বসে কি এসবই টানেন নাকি? যায় হোক, ঘুমাব।আপনার সিগারেটের গন্ধে ঘুমাতে পারব না। দয়া করে ফেলে দিলে খুশি হবো মিঃ অস্বচ্ছ। সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে তো আমায় তাই।শুভ রাত্রি।”
.
সুহা কল রেখে দেওয়ার পরও স্বচ্ছ সিগারেট ফেলল না। বরং সিগারেটের সংখ্যা এখন তৃতীয়তে এসে পৌঁছেছে। স্বচ্ছ নিরবে যখন নিকোটিনের ধোঁয়ায় মগ্ন ঠিক তখনই মেয়েলি কন্ঠে গান এল ভেসে,
চাইনা ছেলে তুমি অন্য কারো হও
পাবেনা কেউ তোমাকে তুমি কারো নও
চাইনা ছেলে তুমি অন্য কারো হও
পাবেনা কেউ তোমাকে তুমি কারো নও
তুমিতো আমারই, জানোনা হো হো হো হো
এ হৃদয় তোমারই..ওহো ওহো ও ও ও
তোমাকে ছাড়া আমি
বুঝিনা কোনো কিছু যে আর
পৃথিবী জেনে যাক, তুমি শুধু আমার….
স্বচ্ছ শুনে এক ধ্যানে। হাতের সিগারেটটা অসম্পূর্ণ রেখেই পিষে ফেলে পায়ের তলায়।বিড়বিড়িয়ে বলে,
“ এই নাকি তার ঘুমানোর নমুনা? বেয়া’দব মেয়ে! ইচ্ছে করেই ঘুরাচ্ছে আমায়।কি ভেবেছে? স্বচ্ছ সামান্য একটা মেয়েকে খুঁজে বের করতে পারবে না? খালি খুঁজে পাই। স্বচ্ছকে জ্বালানোর মজা হারে হারে বুঝাব! ”
#চলবে….