#প্রেমে_পরা_বারণ
পর্ব -৭
#Nosrat_Monisha
রক্তক্ষরণ হলেও ক্ষতটা খুব বেশি গভীর ছিল না। তাই হাসপাতাল থেকে ব্যান্ডেজ আর কিছু টেস্ট করে নির্জনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ঢুকতেই সবাই আরশির মুখোমুখি হয় আর সে জানায় অর্ক দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। অর্ণব আরশিকে বলেন নির্জনাকে অন্য যে কোন একটা ঘরে দিয়ে ড্রইং রুমে ফেরত আসতে। আর ডা.প্রীতিকে বলে যেভাবে হোক অর্ককে নিয়ে ড্রইং এ আসতে।
ডা. প্রীতি অর্কর ঘরের বাইরের কড়া নেড়ে বলে,
–অর্ক যা হয়েছে তাতে তোমার কোন দোষ নেই। ট্রাস্ট মি। প্লিজ বের হয়ে এসো। নির্জনা ঠিক আছে।
কিন্তু অর্কর কোন সাড়া না পেয়ে ডা.প্রীতি তার ফোনে টেক্সট করে,
“নির্জনাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে ওর কোন ক্ষতি হয়নি। কিন্তু তুমি যদি এখন না বের হও তাহলে সবার সন্দেহ হয়ে যাবে। আর তখন সবাইকে সত্যিটা বলা ছাড়া আমার আর কোন উপায় থাকবে না”
ডা.প্রীতির এই টেক্সট খুব কাজে লাগে। অর্ক দরজা খুলে বের হয়ে আসে। কান্না করে তার চোখ ফুলে লাল হয়ে আছে।
ড্রয়িং রুমে জাফর সিদ্দিকীসহ সবাই উপস্থিত।
অর্ণব ডা. প্রীতি দিকে তাকিয়ে বলে,
–আপনি থাকতে আমার ভাই এমন একটা কাজ করলো কি করে ? এত দায়িত্ব জ্ঞানহীন মানুষের আমাদের বাড়িতে কোন প্রয়োজন নেই আজকেই ব্যাগ গুছিয়ে আপনি চলে যাবেন। আমার তো এখন সন্দেহ হচ্ছে আপনি আদৌ ডাক্তার কিনা?
আজকের ঘটনার পর জাফর সিদ্দিকীও ডা.প্রীতির উপর বেশ রেগে আছেন, তাই তিনিও অর্ণবকে আটকাচ্ছেন না।
ডা. প্রীতিও মাথা নিচু করে অর্ণবের করা অপমান সহ্য করে নিচ্ছে।
কিন্তু অর্ক মাঝখানে ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে,
–আই অ্যাম সরি ভাইয়া। যা হয়েছে আমার জন্য হয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি ভাবতে পারিনি মেয়েটা এভাবে পরে যাবে। প্রীতি এর ব্যাপারে কিছুই জানতো না
অর্ণব অর্ককে জোরে ধমক দিয়ে বলে,
–ওহ, শাট আপ! মানছি তোমার ব্রেন এগারো বছরের বাচ্চার মধ্যে আটকে আছে। কিন্তু একটা এগারো বছরের বাচ্চাও জানে যে কিভাবে বিহেইভ করতে হয়। তুমি তো আগে এতো ইনসেন্সিবল ছিলেনা অর্ক।
নিজের ভাই আর প্রিয় বন্ধুকে এভাবে হেনস্তা হতে দেখে আরশির মোটেও সহ্য হলো না সে অর্ণবের সামনের দাঁড়িয়ে বলে,
–ভাইয়া ঐ মেয়েটা টাকার লোভে মেন্টালি সিক একটা মানুষকে বিয়ে করেছে। আর তুমি এমন একটা মেয়ের জন্য নিজের বাড়ির লোকদেরকে অপমান করছো। এটা কিন্তু ঠিক না। ঐ লোভী মেয়েটা এতো সিমপ্যাথি পাওয়ার যোগ্য না।
–কাকে লোভী বলছো তুমি?
জাফর সিদ্দিকীর চিৎকারে আরশিসহ সবাই ভয় পেয়ে যায়। তিনি খুব ঠান্ডা মাথার মানুষ । কখনো কারও উপর চিৎকার করে কথা বলেন নি, সেখানে নিজের সন্তান তো অনেক দূরের কথা।
তাই সবাই অনেক বেশি অবাক হয়।
কিন্তু জাফর সিদ্দিকী এখানেই থেমে থাকেন না তিনি জোর গলায় বলতে থাকেন,
–ওই মেয়েটা লোভী না, লোভী হলাম আমি তোমাদের বাবা। যে কিনা নিজের সন্তানের ভালোর কথা ভেবে একটা অসহায় মেয়ের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছে।
আরশি, অর্ক, অর্ণব কারোই বিশ্বাস হচ্ছে না তার বাবা এমন কিছু করেছে।
অর্ণব নিজের বাবার দিকে তাকিয়ে বলে,
–হেয়ালি না করে সব ঘটনা খুলে বলো। আমি নিজেও প্রথমে ভেবেছিলাম মেয়েটার টাকার জন্য অর্ককে বিয়ে করেছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে মেয়েটার আচার ব্যবহারে আমার মনে হয়েছে, সে টাকার জন্য বিয়ে করার মত মেয়ে না।
–তুমি ঠিকই বলেছ, টাকার জন্য কাউকে বিয়ে করবে এমন মেয়ে নির্জনা না। যদি তাই হতো তাহলে আজ সে আজ এখানে থাকতো না।
ভ্রুকুটি কুঞ্জিত করে অবাক হয়ে আরশি প্রশ্ন করে,
–তাহলে সে কেন অর্ককে বিয়ে করেছে?
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জাফর সিদ্দিকী নির্জনা জীবনের সমস্ত কথা বলেন শুধু রুহান খন্দকার নামের বদলে অন্য নাম বলেন। আর কাহিনি শেষ করেন এই বলে,
–আমার কাছে নির্জনা যখন সাহায্যের জন্য আসে তখন আমি তাকে শর্ত দেই, সে যদি অর্ককে বিয়ে করে তবেই আমি তাকে সাহায্য করবো। এরপর সে আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। আর আমি কথামতো সেই সাইকোটাকে নিজের কৃতকর্মের সাজা দেই। তাকে মার্ডার কেসের আসামি হিসেবে জেলে পাঠাই।
জাফর সিদ্দিকীর মুখে এত বড় সত্য শুনে সবার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে, বিশেষ করে আরশি আর অর্কর। তারা দুজনে নির্জনাকে ভুল বুঝে এত কষ্ট দিয়েছে এখন তারা নিজদের মাফ করতে পারছে না। অর্ক শুধু মনে মনে বলছে,
–এত কষ্ট সহ্য করে মেয়েটা বেঁচে আছে আর আমি তার জীবনটা আরও কষ্টের করে দিয়েছি। আচ্ছা নির্জনা কি আমাকে মাফ করবে?
অর্ণব নিজের বাবার উপর ভীষণ রেগে গেছে। সে জাফর সিদ্দিকীকে জেরার স্বরে বলে,
– এমন একটা কাজ তুমি কি করে করলে একটা ফুটফুটে মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিলে। হাউ কুড ইউ?
–আমি যা করেছি অর্ক ভালোর জন্য করেছি।
–ওহ রিয়েলি? আর ঐ মেয়েটার ভালো সেটা দেখলে না? সে বিশ্বাস করে তোমার কাছে এসেছিল বাবা।
জাফর সিদ্দিকী চিৎকার করে বলেন,
–সে সাহায্য চাইতে এসেছিল আমি সাহায্য করেছি বিনিময়ে শুধু একটা শর্ত দিয়েছি, যেটা সে পূরণ করেছে। আর কিছুই না, আমি তাকে জোর করিনি।
–চিৎকার করলে সত্যিটা বদলে যাবে না বাবা। তুমি অন্যায় করেছ , ইনজাস্টিস করেছো।
–হ্যাঁ হ্যাঁ আমি করেছি ইনজাস্টিস। আমি এটা করতে বাধ্য হয়েছে, নিজের ছেলের জন্য। কিন্তু এটা ভুলে যেওনা আমার ছেলেটা পাগল তোমার জন্যই হয়েছে। আরশি না-হয় ছোট ছিল তুমি তো ছোট ছিলে না। আজকে অর্ককে শাসন করছো যেখানে তার মেন্টাল কন্ডিশন এগারো বছর কিন্তু তোমার বয়স তো চৌদ্দ ছিলো। ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা তো তোমার তখন ছিলো। কিন্তু তারপরেও দিনের পর দিন আমার অগোচরে তুমি ছেলেটার উপর টর্চার করে গেছো। তার গায়ে হাত তুলেছে, শেষমেষ আমার ছেলেটা পাগল হয়ে গেছে।
এতদিন ধরে নিজের মধ্যে চাপিয়ে রাখা ক্ষোভটা আজ শেষমেষ জাফর সিদ্দিকী প্রকাশ করলেন।
জাফর সিদ্দিকীর এসব কথার পর অর্ণব আর কিছু না বলে নত মস্তকে সেখান থেকে নিজের ঘরে চলে যায়।
জাফর সিদ্দিকী অর্কর দিকে তাকিয়ে বলেন,
–চলো তোমাকে নিজের ওয়াইফের কাছে মাফ চাইতে হবে। আজকে তুমি অনেক বাড়াবাড়ি করে ফেলেছো, নির্জনার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত।
।
।
রুহানের দু’পায়ে শিকল বাঁধা হয়েছে। তাকে এমন একটা ঘরে রাখা হয়েছে যেখানে ফ্যান লাইট আর ওয়াশরূমের সুব্যবস্থা ছাড়া আর কিছুই নেই। জ্ঞান ফিরে আসার পর চারিদিকে লক্ষ্য করে রুহান অত্যাধিক শান্ত হয়ে যায়।
সে ঘরে এককোনায় নিজের বাবাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ধীরে পায়ে তার দিকে এগিয়ে যায়।
তমিজউদদীন খন্দকারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রুহান শান্ত গলায় প্রশ্ন করে,
–আমার সাথে কেন এমন করলে বাবা?
তমিজউদদীন খন্দকারও শান্ত গলায় জবাব দেযন,
– এছাড়া তুমি আর কোন পথ খোলা রাখো নি। যতদিন না ওই মেয়েটার নাম ভুলে যাবে আজ থেকে তুমি এখানেই বন্দি থাকবে। এই ঘরেই তোমার চিকিৎসা করা হবে।
চিকিৎসার কথা শুনে রুহান ঘর কাঁপিয়ে হাসে।
–আই রিয়েলি উইশ, বাবা এই রোগের সত্যি যদি কোন চিকিৎসা থাকতো। আমি সবার আগে সে চিকিৎসা নিতাম। বিশ্বাস করো, তাকে ভোলার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। অস্ট্রেলিয়ার বেস্ট ডাক্টারকে দেখিয়েছে কিন্তু তারা কোন সমাধান করতে পারেনি। সবার একটাই কথা, There is no cure of love.
তমিজউদদীন খন্দকার কোন কথা না বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায় এবং ডাক্তারকে ভেতরে পাঠান।
আধ ঘন্টা পর ডাক্তার বের হয়ে দেখে বাইরে তমিজউদদীন খন্দকার আর মাইমুনা খন্দকার দাঁড়িয়ে আছে। তমিজউদদীন খন্দকার সরাসরি ডাক্তারকে প্রশ্ন করেন,
– কি মনে হলো এই সমস্যা আপনি ঠিক করতে পারবেন?
ডাক্তার হতাশায় একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
–স্যার, আপনার ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ। ভালবাসার কোন চিকিৎসা আমার কাছে নেই।
।
।
নির্জনার সামনে কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে অর্ক।আরশি নির্জনার হাত ধরে বলে,
–আই এম সরি আমি তোমাকে অনেক ভুল বুঝেছি। মাফ করে দাও ভাবি।
আরশি নির্জনাকে এই প্রথম ভাবি বলে ডাকে। তার মুখে ভাবি ডাক শুনে নির্জনা বুঝতে পারে জাফর সিদ্দিকী আজ হয়তো সব বলেছে।
সে ধীর গলায় বলে,
–আরে এসব কোন ব্যাপার না আপনি এগুলা নিয়ে ভাববেন না।
নির্জনার কথা শুনে আরশি মুখ ভার করে বলে,
– আমি তোমার ছোট ভাইয়ের বউ ভাবি। আমাকে তুমি করে বলো।
নির্জনা মুচকি হেসে বলে,
–আচ্ছা ঠিক আছে বলবো। (অর্কর দিকে তাকিয়ে) এই যে দস্যি ছেলে, আপনি কান থেকে হাতটা নামান। অদ্ভুত দেখাচ্ছে, আপনি কানে হাত দিয়ে রেখেছেন।
তখন জাফর সিদ্দিকী বলে,
–আরে না ধরে থাকতে দাও। আমি দেখেছি আজ কয়দিন যাবৎ বাঁদরটা তোমাকে ভীষণ জ্বালাচ্ছে। ওর একটা শিক্ষা হওয়া দরকার দিন দিন আরো বেশি দুষ্ট হয়ে উঠছে।
–সমস্যা নেই স্যার। আমার এসব দুষ্টুমি সামলানোর অভ্যাস আছে। উনার এসব কর্মকাণ্ড দেখে আমার ছোট ভাইয়ের কথা মনে পড়ে যায়। সে ঠিক একই ভাবে আমাকে জ্বালাতো, ভয় দেখানোর চেষ্টা করত ।
এরপর আরো কিছু টুকটাক কথা বলার পর তারা সবাই সেখান থেকে চলে যায়। নির্জনাকে কড়া ডোজের ব্যথার ওষুধের সাথে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাই জাফর সিদ্দিকী আর ডা. প্রীতি সিদ্ধান্ত নেয় যে, যতদিন না নির্জনা সুস্থ হবে ততদিন এখানেই থাকবে। একজন মেইড এসে নির্জনার দরকারি জিনিস দিয়ে যায়।
।
।
আজকের ঘটনা অর্কর ব্রেনে অনেক বেশি প্রভাব ফেলতে পারে, এই ভেবে ডা.প্রীতি রাতে তার একটা কাউন্সিলিং সেশনের কথা ভাবে। বালা বাহুল্য অর্কর সাথে কাউন্সিলিং সেশন সে একাই নিয়ে থাকে। কেননা অন্য কারো উপস্থিতি হোক সেটা মা কিংবা বোন কিংবা বাবা বা ভাই পেসেন্ট সব কথা খোলাখুলিভাবে বলতে পারে না।
রাত সাড়ে এগারটার দিকে অর্ক আর ডা.প্রীতি মুখোমুখি বসে আছে।
ডা.প্রীতি অর্ককে দেখে বুঝতে পারে সে খুব বিমর্ষ আর চিন্তিত। তাই তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে,
–কি ব্যাপার এখনো মন খারাপ? কিন্তু নির্জনা তো বলেছে সে কিছু মনে করেনি, সো রিল্যাক্স।
দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে অর্ক বলে,
–কিছু মনে না করলে তো সমস্যা ছিল না। সমস্যা তো হয়েছে সে কিছু মনে করেছে বলে।
–তুমি কি বলছ আমি বুঝতে পারছি না
–তুমি শোনোনি, কি বলল সে,(নির্জনার গলা নকল করে) সমস্যা নেই স্যার। আমার এসব দুষ্টুমি সামলানোর অভ্যাস আছে। উনার এসব কর্মকাণ্ড দেখে আমার ছোট ভাইয়ের কথা মনে পড়ে যায়। মানে এটা কোন কথা? আমাকে দেখলে নাকি তার ছোট ভাইয়ের কথা মনে পরে। আজব তো, আমি কি তার ছোট ভাই নাকি? যে আমাকে দেখলে ছোট ভাইয়ের মনে পরবে। তার কি মনে নেই? আমাদের বিয়ে হয়েছে, আমি তার হাজব্যান্ড হই।
।
।
তমিজউদদীন খন্দকার বুকে পাথর বেঁধে থাকলেও মাইমুনা ছেলের কষ্ট আর দেখতে পারছেন না। তাই স্বামীর অনুমতির তোয়াক্কা না করেই ছেলের সকল পছন্দের রান্না করে তার রুমের দিকে যাচ্ছে । তার পিছনে একজন মেইড ট্রলি করে খবারগুলো নিয়ে আসছে। দুরুদুরু বুকে মাইমুনা ছেলের রুমে প্রবেশ করে এই আশায় যে তার ছেলেটা যদি কিছু মুখে তোলে।
দরজা খুলতেই রুহানের ক্লান্ত কন্ঠস্বর শুনা যায়,
–আমি খাবো না। চলে যাও।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাইমুনা রুহানের কাছে গিয়ে তার কপালে হাত দিতেই সে চোখ মেলে তাকিয়ে নিজের মাকে দেখতে পায়। কিন্তু কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া ছাড়াই আবার শান্তভাবে চোখ বন্ধ করে থাকে। মাইমুনা খন্দকার বুঝতে পারেন তার ছেলে অভিমান করেছে। তিনি ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন ,
–আব্বা কিছু খেয়ে নেও। এভাবে না খেয়ে থাকলে তো আমার কষ্ট হয়।
একইভাবে চোখ বন্ধ করে রুহান বলে,
–মা খাবার গুলোতে বিষ মিশিয়ে নিয়ে এসো। প্রমিস করছি, আমি খাবো। ভেবো না আমি তোমাদের মত না, প্রমিস করলে রাখতে পারি।
ছেলের কথা শুনে হু হু করে কেঁদে উঠলো মাইমুনা খন্দকার।
বাবা ছেলের দ্বন্দ্বে পিষে যাচ্ছেন তিনি।
অনেকটা আর্তনাদ করে বলে,
–তোমাকে বিষ দিবো না আব্বা। আমি নিজেই এবার বিষ খেয়ে মরে যাবো। নিজের সন্তানের এমন অবস্থা দেখার চেয়ে আমার মরে যাওয়া অনেক ভালো।
এবার বিছানায় উঠে বসে মাইমুনা খন্দকারকে জড়িয়ে ধরে রুহান শুষ্ক গলায় ধীরে ধীরে বলে,
–মা আমার না খুব কষ্ট হচ্ছে। সে কেনো আমায় ভালোবাসলো না?
–চলবে?