#বড় গল্প
#ফেরারী বসন্ত
পর্ব-একুশ
মাহবুবা বিথী
সময় গড়িয়ে হাসনা এখন আটমাসের গর্ভবতী। শাশুড়ী মা মনোয়ারা বেগম ওর উপর ভীষণ রেগে আছেন। পাঁচমাসের সময়ে যখন সনোগ্রাম করেছিলো তখন শাশুড়ী মা পই পই করে বলে দিয়েছিলেন,
—-ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করবে ছেলে নাকি মেয়ে। কথাটা আবার ভুলে যেও না। ছেলে হলে লাইগেশন করে ফেলবে।
হাসনা মুখে কিছু বলেনি তবে মাথা নাড়িয়ে হা সূচক মত জানিয়েছিলো। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ডাক্তারকে ও জিজ্ঞাসা করেছিলো। কিন্তু ডাক্তার বলেছে বোঝা যাচ্ছে না। এতে ওর শাশুড়ী মরিয়ম বেগম ধরে নিয়েছেন হাসনার মেয়ে হবে। এতে মেজাজটা তার তিরিক্ষি হয়ে আছে। আবার হাসনাকে কিছু বলতেও পারছেন না। শরীরে পানি এসে অত্যাধিক পরিমান ফুলে গিয়েছে। এটা নিয়ে রাজ অনেক দুশ্চিন্তায় আছে। ডাক্তারও বলেছে এভাবে শরীরে পানি আসলে মা এবং সন্তান দুজনের জন্যই ক্ষতি। শরীরে অস্বাভাবিকভাবে পানি আসাতে ডাক্তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আটমাস পার হলেই সিজার করে ফেলবে। হাসনা খুব মানসিক প্রেসারে আছে। ওর শুধু একটাই ভাবনা, যদি মেয়ে হয় তাহলে শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ কেমন হবে? রাজও কি ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করবে। আসলে কথায় আছে না চুন খেয়ে যখন মুখ একবার পুড়ে যায় তখন মানুষ দই দেখেও চমকায়। হাসনার জীবনে তাই ঘটেছে।
আজ বেশ গরম পড়েছে। ভাদ্রমাসের গরম বলে কথা। বিকেলে হাসনার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা আছে। আট মাস পার হয়ে নয়ে পড়েছে। আজ ডাক্তার জানিয়ে দিবে কবে সিজার হবে। হাসনা দুপুরে খেয়ে বিছানায় একটু গড়িয়ে নিতে চেয়েছিলো। কিন্তু মনটা বড্ড অস্থির হয়ে আছে। নিশ্চয় ডাক্তার আবার আলট্রা সনোগ্রাম করতে দিবে। এদিকে শাশুড়ী মা বলেছেন, এদিন আল্ট্রাসনোগ্রাম করার সময়ে উনিও যাবেন। ভিতরে ভিতরে হাসনা প্রচন্ড অস্থির। পাশেই মেয়েদের রুম। হাসনা নিজের ঘর থেকে বের হয়ে পাশের রুমে উঁকি দেয়। আরশী আর সায়েরা পাশাপাশি ঘুমিয়ে আছে। সায়েরা ওর পা আরশীর গায়ের উপর তুলে দিয়েছে।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে বিকাল চারটা বাজে। একটু পরেই রাজ বাড়ি ফিরবে। তারপর ওকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে যাবে। কেন যেন মনে হচ্ছে দম আটকে আসতে চাইছে। ও সিঁড়ি বেয়ে ছাদে চলে যায়।
সুর্যের তেজ কিছুটা কমে এসেছে। ছাদে পেতে রাখা স্টিলের চেয়ারটায় হাসনা বসে। হঠাৎ একটা ঠান্ডা বাতাস শরীরটাকে বুলিয়ে দিলো। সাথে সাথে শরীর মন জুড়িয়ে গেল। আকাশের দিকে হাসনা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আকাশে মেঘের ভেলা উড়ছে। ওর মনের ভিতর নানা কথার আঁকিবুকি চলছে। বুক চিড়ে বের হয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস। হঠাৎ একটা কন্ঠ ওর কানে বাজে। এই কন্ঠের মালিককে ও খুব ভালোবাসে। তারপর ও আকাশের দিক থেকে দৃষ্টি ফেরায় না। কেন দৃষ্টি ফেরাবে? তার এই ভালোবাসার মানুষটা আদৌ কি তাকে বুঝার চেষ্টা করে? হয়তো করে হয়তো না। এসব বিষয় নিয়ে হাসনা এখন মাথা ঘামায় না।
দূর থেকে হাসনাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। রাজের ভীষণ মায়া লাগে। ভাবে,মেয়েটা কেমন যেন হয়ে গিয়েছে। ভীষণ নির্জীব লাগে। কাছে এসে হাসনার কাঁধে হাত রেখে বলে,
—শরীর কি খারাপ লাগছে?
রাজের কোমল স্বরে হাসনার অভিমানি মনে কান্নার বেগ যেন উথলে উঠে। নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলে,
—এখন তো শরীরটা এরকমই থাকবে।
—-তোমাকে ভীষণ ক্লান্ত দেখাচ্ছে। নীচে গিয়ে রেডী হও। একটু পরেই বের হতে হবে। ছ’টার সময় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া আছে। তাছাড়া, আম্মু আমাদের সাথে যেতে চাইছেন।
হাসনা একটু সাহস সঞ্চয় করে বলে,
—আম্মার যাওয়াটা কি দরকার আছে?
—যেতে চাইছে যাক না সমস্যা কি?
হাসনা আর কথা বাড়ায় না। সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে আসে। সিঁড়ির গোড়ায় শাশুড়ী মনোয়ারা বেগমের সাথে দেখা হয়। উনি নতুন পাটভাঙ্গা শাড়ি পরে পটের বিবির মতোন রেডী হয়ে আছেন। হাসনাকে দেখে বলেন,
—তুমি এই শরীর নিয়ে ছাদে গিয়েছো কেন? এসময় হাওয়া বাতাসের দোষ লাগতে পারে। এসব তো বুঝতে হবে।
হাসনা কিছু বলে না। কিন্তু ওর পিছনে রাজও সিঁড়ি দিয়ে নামতে ছিলো। মায়ের কথা শুনে বলে,
—কি সব বলছো আম্মু? মানুষের বসতির মাঝে জ্বীন-ভূত আসবে কোত্থেকে?
—যা বুঝিস না তা নিয়ে কথা বলতে আসিস না।
এরপর হাসনার দিকে তাকিয়ে বলেন,
—-পৌনে পাঁচটা বাজে,তাড়াতাড়ি রেডী হয়ে নাও।
উনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে হাসনার চোখ মুখ আগেই শুকিয়ে গিয়েছে। কোনো রকমে একটা ম্যাক্সি পড়ে মাথায় ওড়না দিয়ে নিজেকে ভালোভাবে ঢেকে নেয়। এভাবে রেডী হতে দেখে শাশুড়ী মনোয়ারা বেগম বলেন,
—-এ কেমন তোমার রেডী হওয়ার ছিরি! পোশাকের কোনো ঠিক নাই। ঠোঁটে একটু লিপিস্টিক লাগাতে পারতে।
রাজ হাসনার পাশেই দাঁড়ানো ছিলো। ও রাজের মুখের দিকে তাকায়। দুজনের মাঝে আই কন্ট্রাক্ট হওয়াতে রাজ বলে,
—কেন ওকে জোর করছো মা? ওর নিজেরও তো ভালো লাগা কিংবা না লাগার ব্যাপার আছে। ওকে ওর মতো থাকতে দাও।
মনোয়ারা বেগম আর কথা বাড়ালেন না। রাজের দিকে তাকিয়ে বলেন,
—তোমার দাদীমার সাথে হাসনাকে নিয়ে দেখা করে আসো।
মাতৃত্ব নারীর সৌন্দর্যকে বহুগুন বাড়িয়ে দেয়। মাতৃত্ব আল্লাহপাকের দেওয়া বিশাল নেয়ামত। হাসনাকে দেখে আজ রাজের তাই মনে হচ্ছে। আম্মু শুধু শুধু ওকে লিপিস্টিক দিতে বলছে। এমনিতেই ওকে ভালো লাগছে। ওড়নার আঁচল দিয়ে পেটের স্ফিত অংশটা আলতো করে ঢেকে রেখেছে।
হাসনাকে সাথে নিয়ে রাজ ওর দাদীমার ঘরে আসে। উনি তখন আসরের নামাজ শেষ করেছেন। না আজ হাসনাকে দেখে উনি আপত্তিকর কিছু বলেননি। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছেন,
—-আল্লাহপাক তোমাকে একজন সুসন্তান দান করুন।
হাসনার চাচী শাশুড়ী মা জারার শাশুড়ীও সেখানে ছিলেন। উনি ছাদ থেকে তুলে আনা শাশুড়ী মায়ের শুকনো শাড়ী কাপড়গুলো ভাঁজ করছিলেন। উনিও হাসনার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন,
—-আল্লাহপাক তোমাকে নেক সন্তান দান করুন। আল্লাহপাকের নাম নিয়ে বাসা থেকে বের হইও।
হাসনার মনটা হঠাৎ খুব ভালো হয়ে গেল। আসরের নামাজ পড়া হয়নি। নামাজ পড়ে সাথে আরো দু, রাকআত নফল নামাজ পড়ে নেয়। আরশী আর সায়েরাকে আদর করে রাজ আর শাশুড়ী মনোয়ারা বেগমের সাথে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হয়। মেডিকেল মোড়ে পৌঁছাতে বেশীক্ষণ সময় লাগে না। ছ’টা বাজার দশ মিনিট আগেই পৌঁছে যায়। রাস্তা বেশ ফাঁকা ছিলো। হাসনা ডাক্তারের অ্যাসিস্টেন্টের রুমে যায়। সে প্রেসার মেপে নেয়। আর ওজন নিয়ে ফাইল রেডী করে। একজন পেশেন্টের পরেই হাসনার ডাক পড়বে।ওরা তিনজন অপেক্ষা করে। কিছুক্ষণ পর আগের পেশেন্ট বেরিয়ে আসলে রাজ হাসনাকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করে। শাশুড়ী মনোয়ারা বেগম ঢুকতে চাইলে ডাক্তারের অ্যাসিস্টেন্ট বাঁধা দিয়ে বলে,
–এখানে পেশেন্টের সাথে শুধু হাসব্যান্ড যাওয়ার নিয়ম আছে। হাসব্যান্ড কোনো কারণে যেতে না পারলে অন্য কেউ যাবেন।
মনোয়ারা বেগমের চোয়াল সাথে সাথে শক্ত হয়ে গেল। হাসনার অবশ্য ভীষণ মজা লেগেছে। যাইহোক ডাক্তার হাসনাকে পরীক্ষা করে রাজকে বলে,
—উনার জরাযুতে একটু সমস্যা আছে। জরায়ুর মাঝখানে একটা পর্দা আছে। সে কারণে ওকে সিজার করাতে হবে। কারণ জরায়ুর একপাশটা মানে বেবী যেখানে আছে সেই পাশটা বেশী ভারী হয়ে আছে। সে কারনে দ্রুত সিজার করলে মা এবং বেবীর জন্য ভালো হবে।
রাজও ডাক্তারের কথায় সায় দেয়। সে হিসেবে এক সপ্তাহপর হাসনার সিজারের ডেট দেওয়া হয়। রাজ আর হাসনা চেম্বার থেকে বের হয়ে দেখে মনোয়ারা বেগম ওয়েটিং রুমে মুখ ভার করে বসে আছেন। রাজ মায়ের চেহারা দেখে সবটা বুঝে যায়। সে কারণে সান্তনা দিয়ে বলে,
—-মন খারাপ করো না। উনারা তো নিয়মের বাইরে যেতে পারবেন না।
মনোয়ারা বেগম ঐ প্রসঙ্গে কথা না বলে উল্টো রাজকে বলেন,
—ডাক্তার কি বললেন?
—-একসপ্তাহ পর সিজার করতে বলেছে।
—আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলেননি?
—-নাহ্ সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।
মনোয়ারা বেগম আর কিছু বললেন না। মনে মনে নিজের ভবিতব্যকে মেনে নিলেন।
আজ হাসনার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিন। মাঝখানে সাতদিন পার হয়ে গিয়েছে। হাসনা বেশ সকালে উঠে কিচেনে যায়। কিন্তু ওর চাচী শাশুড়ী হাসনাকে কিছু করতে দেয় না। বরং দ্রুত খেয়ে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রেডী হতে বলে। রাজও আজকে আর অফিসে যায় না। ওর চাচার কাছে সব কাজ বুঝিয়ে দেয়। সায়েরাকে নিজ হাতে নাস্তা খাইয়ে দেয়। পাশাপাশি আরশীকে খেয়ে নিতে বলে। এরপর নিজে নাস্তা করে হাসনাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। হাসপাতালের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভর্তি হয়। হাসনাকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার হাসনাকে আবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলে। কিছুক্ষণ পর সিস্টার এসে হাসনাকে নিয়ে যায়। রাজও হাসনার পিছু পিছু চলে আসে। হাসনার আজকে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করার ইচ্ছা হলো। ওর ছেলে হবে নাকি মেয়ে। ডাক্তার আছিয়া পেটে যন্ত্র বসিয়ে হাসনা কিছু বলার আগেই বলেন,
—আপনার ছেলে হবে।
যদিও হাসনার ছেলে কিংবা মেয়ে সন্তান এটা নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারপরও আরশী যেহেতু মেয়ে সেক্ষেত্রে এবার ছেলে হলে মন্দ হয় না। তাছাড়া শাশুড়ী মা ছেলে ছেলে করে মাথা খারাপ করে দিয়েছেন। জীবনের অনেকটা পথ অশান্তিতে কেটেছে সেকারণে হাসনাও একটু শান্তি চায়। ছেলে হওয়ার কথা শুনে মনে হলো যাক আর যাই হোক জীবনের গতিটা মনে হয় স্বাভাবিক ভাবেই এগিয়ে যাবে। তবে এ খবর রাজকে জানায় না। বলা যায় না অনেক সময় রিপোর্ট ভুলও হতে পারে।
আাগামীকাল সকাল আটটায়।হাসনার সিজার হবে। বারো ঘন্টা আগে খেয়ে নিতে হবে। রাজ আজকে হাসনার সাথে কেবিনে থাকে। রাতে হাসনা সন্ধা সাতটায় ডিনার করে ফেলে। রাজও দ্রুত ডিনার করে ফেলে। ঘুমানোর সময় রাজ হাসনার বেডের পাশে চেয়ার নিয়ে বসে। এরপর ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
—ছেলে কিংবা মেয়ে সন্তান এটা নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই। আমি আল্লাহপাকের কাছে একটা সুস্থ সবল সন্তান চেয়েছি। এখন ঘুমিয়ে পড়ো। ইনশাআল্লাহ, কাল আমাদের একটা অন্যরকম দিন আসবে।
ভালো লাগার আবেশে রাতটুকু পার হয়। অবশেষে সকাল আটটায় সিজার হয়। রাজ কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে বাচ্চার কান্নার শব্দ পায়। রাজের চাচা রিশাদ চৌধুরী এবং বাবা আরশাদ চৌধুরীও আছেন। বাচ্চার কান্নার শব্দ পাওয়া গেল। রাজ খুব অস্থির হয়ে আছে। একটু পরেই তোয়ালে পেচিয়ে বাচ্চাটাকে নিয়ে সিস্টার বের হয়ে আসে। রাজ সিস্টারের কাছে দৌড়ে গিয়ে বলে,
—আমার স্ত্রী কেমন আছেন?
—-ভালো,
এরপর রাজের কোলে বাচ্চাটাকে দিয়ে বলে,
—আপনার ছেলে হয়েছে।
রাজ খুশীমনে বাচ্চাটাকে কোলে নিয়েছে। তবে ও মনে মনে একটা মেয়ে চেয়েছিলো। যে দেখতে হাসনার মতো হবে। হাসনা যেমন ওর জীবনে এসে হাসনাহেনা ফুলের মতো সুবাস ছড়িয়ে দিয়েছে তেমনি মেয়েটাও হয়তো কোনো একটা ফুলের সুবাস ছড়াতো। আরশাদ চৌধুরীর ডাকে রাজ ভাবনার জগত থেকে ফিরে আসে।
—-রাজ,তোর মাকে সুসংবাদটা পৌঁছে দিয়েছি। আরশী আর সায়েরাকে নিয়ে তোর মা আসতেছে।
রাজ শক্ত করে বাবুটাকে নিজের বুকের মাঝে ধরে রাখলো। এমন সময় রাজের ফোনটা বেজে উঠে। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে রেশমি বলে,
—-হ্যালো, রাজ কেমন আছো?
নিরাসক্ত গলায় রাজ বলে,
—ভালো আছি।
—-তোমার সাথে একটা জরুরী বিষয়ে কথা ছিলো। আমার সাথে একবার দেখা করতে পারবে?
—-আসলে এই মুহুর্তে তোমার সাথে দেখা করতে পারছি না। কারণ আমি হাসপাতালে ডিউটি করছি। আমার একটা ছেলে হয়েছে।
—-অভিনন্দন তোমাকে। তাহলে ফোনেই বলে ফেলি। সায়েরাকে কিছুদিনের জন্য আমার কাছে রাখতে পারি?
চলবে