বড়োজা পর্ব-১০

0
652

বড়োজা
পর্ব ১০
Nadia_Afrin

আজ সকাল থেকে মন মেজাজ ভালো নেই আমার।
শরীরের মাঝে অস্বস্তি অনুভব হচ্ছে।জ্বর জ্বর ভাব।
ওমনি রান্না করেছি।শুধু আলু ভাতে ভাত করেছি।
মা-ছেলেতে মিলে ওটাই খেয়ে নিয়েছি।
ফ‍্যাক্টারি যেতে হবে আজ।রাতে ডিউটি করার কথা থাকলেও আমার কাজ পড়েছে দিনেই।এর জন‍্য ভীষণ কৃতজ্ঞ আমি।রাতে হলে ঝামেলা হয়ে যেত একা একা মেয়েকে নিয়ে ফিরতে।
বেলা হয়ে গেছে।
মেয়েকে চাচির কাছে দিয়ে তৈরী হয়ে নিলাম।
বিপত্তি বাধে যাওয়ার সময়।ছেলে কিছুতেই একা বাড়িতে থাকবে না।
চাচি কতো করে বোঝালো।সে শুনবেই না।
চাচি বাবা সোনা বলে তার কাছে থাকতে বলল,দোকান থেকে খাবার জিনিস ও দিতে চাইলো।
তবুও সে আমায় ছাড়বেনা।

অগত‍্যা ছেলেকে নিয়েই রওনা হলাম।
দেরি হয়ে গেছে এমনিতেই।হেঁটে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল।রোজ রোজ রিক্সা করে যাওয়ার সাধ‍্য আমার নেই।
কিন্তু আজ প্রথম দিন।হেঁটে গেলে দেরি হবে।
বসের ভরসা উঠে যাবে আমার ওপর থেকে।

রিক্সাতে উঠে তাড়াতাড়ি নিয়ে যেতে বলি।
মেয়ে আমার কোলেই ছিল।ছেলে পাশে।
কিছুক্ষণ পর ফ‍্যাক্টারি পৌঁছে বসের সঙ্গে দেখা করি।
তিনি আমাদের দেখেই প্রথম প্রশ্ন করেন,”আপনাকে তো বলেছিলাম ছেলে না আনতে।
আমাদের কাজের একটা রুলস আছে তো নাকি!
আপনি এমন করলে কাল থেকে অন‍্য কর্মীরাও একই কাজ করবে।
ফ‍্যাক্টারিটা মাছের বাজার হয়ে যাবে।
প্রথম দিনেই আপনার থেকে এমনটা আশা করিনি মিস তন্নি।”

আমি অনুনয়ের স্বরে বললাম,”ক্ষমা করে দিন স‍্যার আজকের মতো।
প্রথমদিন তাই ছেলে জেদ ধরেছিল।
এরপর আর এমন হবে না।আজ সারাদিন অফিসে বন্ধ থাকলে কাল থেকে এমনিতেই আসতে চাইবে না।
অনুগ্রহ করে আজকের দিনটা ছাড় দিন আমায়।”

বসের চোখ-মুখে রাগের আভা স্পষ্ট।তবুও বেশি কিছু বললেন না আমায়।
এক লোক ডেকে কাজের জায়গায় নিয়ে যেতে বলল।

আমায় নিয়ে ফ‍্যাক্টারির মেন পয়েন্টে দিয়ে একটা বসার জায়গা দেয়।
ওখানে বসেই কাজ করতে হবে আমায়।

ছেলেকে একটু দূরে বসিয়ে চুপ থাকতে বলে কাজের জায়গায় বসি।
আমার মতো আরো একজন মহিলা কাজ করছে সেখানে।
কাজে মন দেই আমি।মেয়েকে নিয়ে একটু অসুবিধা হচ্ছিল।
এক হাতে বাচ্চাকে বুকে চেপে অন‍্যহাতে কাজ করছি।
এটা গার্লস সেক্টর।তাই একটু সুবিধা হয়েছে আমার।
মেয়ে কাঁদলে আড়ালে গিয়ে খাইয়ে দিয়ে আবার কাজ করছি।
কাজ বেশি কঠিন নয়।
তবে প্রথম দিন দেখে একটু কষ্ট হয়েছে আমার।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হবে আশা করি।

ডিউটি শেষে বেরিয়ে এলাম।ছেলের মুখ দেখছি থমথমে।ভয়ে কিছু বলছে না।কাজের সময় একবার এসে বিরক্ত করেছিল বাড়ি যেতে।
আমি বকা দিয়ে বসিয়ে রেখেছি।
কী ই বা করতাম আর!
টাইমের আগে বের হওয়ার সুযোগ নেই এখানে।

রাস্তায় ছেলেকে নিয়ে হাঁটছি।হেঁটেই যাব বাড়ি।
বললাম,”এখানে এসে কী হলো তোমার?
বড়োদের কথা না শুনলে এমনই হয়।মায়ের কথা মেনে চলতে হয়।
লতা আপার ছেলে সহ আরো কতো বাচ্চা ছিল তোমার বয়সি।একবেলা ওদের সঙ্গে খেললেই সময় কেঁটে যেত।
প্রয়োজনে দুপুরে একটু ঘুমিয়ে নিতে।
চাচি তোমায় আদর করে ঘুম পারিয়ে দিত।
এখানে এসে তোমার কী লাভটা হলো?
শুধু শুধু নিজেও বকা খেলে আর আমাকেও খাওয়ালে।”

ছেলে অভিমানি স্বরে বলল,”ঠিক আছে কাল থেকে আমি আর আসব না এখানে।
তুমি আমায় ওদের সঙ্গে বন্ধু বানিয়ে দেবে।আর বলে দিয়ে আসবে আমায় যেন না মারে।মারলে কিন্তু আমি আবার এখানে আসব।
আমি খেলব বন্ধু করে।
আসার সময় আমায় দুটো করে চকলেট দিতে হবে।”

ছেলের শর্ত শুনে আমি অবাক।
পিচ্চি একটা ছেলে আবার শর্ত দিতে জানে।

মা-ছেলে মিলে অর্ধেক রাস্তা পার হয়েছি।মেয়ে কোলে ঘুমিয়ে আছে।
হঠাৎ একটা জিনিস চোখে পরে আমার।
থমকে দাড়াই।
রিঙ্কি মানে আকাশের বউ এক ছেলের কাধে মাথা দিয়ে যাচ্ছে রিক্সা দিয়ে।
হুট তোলা রিক্সা হলেও রিঙ্কিকে বেশ ভালো মতোই চিনতে পেরেছি আমি।
এ মেয়েটা আমার জীবনের কালো অতীত।
বিষাক্ত এক পৃষ্ঠা।একে ভোলা এতো সহজ নয়।

ও এভাবে কার সঙ্গে যাচ্ছে?
রিঙ্কি কী অসুস্থ?অসুস্থ হলেই তো সাধারণত মানুষ এমন হালে যায়।
কিন্তু ও অসুস্থ হলে ওর সঙ্গে তো আকাশের থাকার কথা ছিল।
এই ছেলেটা কে?আমি যতোদূর জানি রিঙ্কির কোনো ভাই নেই।
তাহলে এই ছেলে কে?

মনে প্রশ্ন অনেক,তবে উত্তর নেই একটাও।
একসময় নিজেই নিজের মনকে বুঝিয়ে বললাম,আমি কেন ভাবছি ওর কথা?
কে হয় ও আমার?
ওরা যা পারে করুক।আমার কিচ্ছু যায় আসেনা।

বাড়ির পথে হাঁটায় মন দেই।

পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে দু-গ্লাস পানি মুখে দেই।
ছেলের জন্য একটা ডিম ভেজেছি।আজ আর কোনো রান্না করিনি।একেতো জ্বর শরীরে।তার মাঝে সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত আমি।
ছেলেকে ভাত-পানি দিয়ে বিছানায় শুয়ে পরলাম।
সন্ধ‍্যা হয়ে গেছে।
শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমে চোখ ভারি হয়ে এলো।
এমন সময় এসেছে লতা আপা।
আমি তখনো শুয়েই আছি।
লতা আপা কিছুক্ষণ মেয়ের পানে তাকিয়ে বলল,”কাল সারারাত ঘুম হয়নি জানো!
তোমার ঘটনা শোনার পর মনটা খুব আনচান আনচান করছে বাকিটা শুনতে।
তাই তো আজ কাজ শেষ করেই চলে এলাম।”

আমি একটু উঠে বসে বললাম,”আজ নয় আপা।কাল শোনাব কথা দিচ্ছি।আজ শরীরটা বড্ড খারাপ।”

আপা প্রথমে একটু দুঃখই পেলেন হয়ত।
পাবারই কথা।বড়ো আশা নিয়ে এসেছিলেন তিনি।

পরক্ষণে আবার বললেন,”শরীর খারাপ তো খেয়ে ঘুমিয়ে যাও।না খেয়ে থাকলে আরো খারাপ লাগবে।
দু-তিনবার খাবার মুখে দাও।
আমি যাই।কাল বলবে কিন্তু সবটা।”

আপা চলে যায়।
আমি কবার খাবার মুখে তুলে শুয়ে পরি।

_____

পরদিন উঠেছি বেশ সকালেই।
রান্না বসাতে হাড়ি বের করেছি।খালা এমন সময় বললেন,”কাল কাজ করে এসে খুব ক্লান্ত ছিলে মনে হয়।এসেই শুয়ে পরেছিলে।তোমার ঘরে গিয়েছিলাম একবার।দেখলাম ঘুমিয়ে ছিলে তাই আর বিরক্ত করিনি।”
সম্পূর্ণ গল্পটি আমার পেইজে দেওয়া আছে।নাদিয়া আফরিন ইংরেজিতে লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন আমার পেইজ।
ফলো দিয়ে সম্পূর্ণ গল্পটি পড়ুন।
ফলো না করলে হারিয়ে ফেলতে পারেন।

“জ্বী চাচি।কাল শরীরটা একটু অসুস্থ ছিল।এখন ভালো আছি।”

চাচি আর কিছু বলেনা।আমি রান্না শেষ করি।
ছেলে-মেয়েকে খাইয়ে নিজেও খেয়ে নেই।
ছেলের কথা মতো দুটো চকলেট কিনে দিয়ে বাড়ি থেকে বের হই।
আজ সময় থাকতে বেড়িয়েছি।হেঁটেই গিয়েছি ফ‍্যাক্টারিতে।

কাজের জায়গায় নিজেই গিয়েছি।
মন দিয়ে কাজ করেছি।
আধঘন্টা ব্রেক থাকে কাজের।
সবাই তখন খাবার অথবা পানি খায়।
আমি তো কিছু আনিনি সঙ্গে করে।তাই এইটা টেবিলের কাছে চেয়ার পেতে বসে রইলাম।আশেপাশে প্রায় সবাই খাবার খাচ্ছে।

বস মানে রাশেদ স‍্যারকে দেখলাম দূর থেকে দাড়িয়ে তাকিয়ে আছে এদিকেই।
একটু পর আমার সামনে এলেন তিনি।আমি তখন মেয়ের সঙ্গে কথা বলছি।

স‍্যার এসে একটা চেয়ার টেনে বসলেন।
আমি মেয়েকে কোলে নিয়ে উঠে দাড়াতে নিলে তিনি নিষেধ করলেন।
বললেন,”আজ আপনার কাজ লক্ষ্য করেছি।ভীষণ ভালো কাজ করেছেন।নতুন হলেও কাজে খুত ধরার উপায় নেই।
বেষ্ট অফ লাক।”

আমি ধন্যবাদ দিয়ে চুপচাপ বসে রইলাম মাথা নিচু করে।
এরমাঝে ব্রেক টাইম শেষ।যে যার জায়গায় যেতে লাগল।
স‍্যারের থেকে বিদায় নিয়ে আমিও গেলাম।
মন দিয়ে কাজ করেছি।
সব শেষে বাড়ি ফিরে আগে রান্না করেছি।মাছ আর ভাত করেছি।
রেধেই খেয়ে নিয়েছি।আমি জানতাম,লতা আপা আর চাচি আজ অবশ্যই আসবে।
সত্যি সত্যি এলো তারা।
লতা আপা সোজা কাহিনীতে যেতে বলল।
আমি কিঞ্চিৎ হেসে বললাম,”মানসিক ভাবে তৈরি হয়ে নিন।
এরপর যা শুনবেন তাতে মন নাড়া দিয়ে উঠতে পারে।”

ওরা দেখলাম বেশ আয়েশি ভঙ্গিতে বসলো বিছানায়।
পুরো গল্পটি নাদিয়া আফরিন পেইজে দেওয়া আছে।ফলো দিয়ে পড়েনিন।
নাহলে হারিয়ে ফেলতে পারেন।
এছাড়াও আমার লেখা সব গল্প পাবেন আমার পেইজে।

আমিও লম্বা শ্বাস নিয়ে শুরু করলাম,,,,,

আকাশের সঙ্গে দিনকাল কেঁটে যাচ্ছিল সুখেই।
ছেলেকে নিয়ে ছোট্ট পরিবার আমাদের।
এরমাঝে জানলাম আমাদের দ্বিতীয় সন্তান অর্থাৎ আমার মেয়ের আগমনের কথা।
আকাশ এবারেও খুশি।এবার তার একটা মেয়ে চাই।
মেয়ের নামও ঠিক করেছে।
তবে ছেলের চাই ভাই।এ নিয়ে বাপ-বেটাতে ঝগড়া।
আমি বসে মজা নেই শুধু।

আমার জীবনে তখন একটু একটু করে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে।
যা আমার অজানা।
রিঙ্কি মেয়েটা সেই বৈশাখের পর আরো দু-বার এলো আমাদের বাড়িতে।
আকাশের সঙ্গে কেমন যেন করে মেয়েটা।
আমার ঠিক ভালো লাগে না।আবার বলতেও পারিনা।
আকাশ ঠিক ছিল তখনও।
স্ত্রী ও বাচ্চা নিয়েই ওর জীবন তখন।

এর মাঝে আমার দেবরের বিয়ে ঠিক হয়।
পাকা কথা বলার দিন পরিবারের সবাই যাবে কিন্তু আমায় নেবেন না শাশুড়িমা।তার ধারণা আমি গেলে আমার মতোই হবে তার ছোট ছেলের বউ।
আমি যেতেও চাইলাম না।আকাশ নাছোড়বান্দা।
আমায় ছাড়া সে যাবেনা।
বাড়িতে হুলস্থুল কান্ড।রিঙ্কি এলো এমন সময়।শুনলাম সেও যাবে সেদিন।
কেন যেন এবার আর আকাশকে একা পাঠাতে চাইনা।শাশুরি মার বারণ স্বত্ত্বেও গেলাম আমি।
মেয়ে দেখলাম।ওর নাম তটিনী।লম্বা চুল মেয়েটার।মাশাআল্লাহ!
ছোট একটা জব করে।
আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে।দেখাশোনা আগেই ছিল।তাই ঐদিন বিয়ে ফিক্সড হলো।
তারিখ দিয়ে বাড়ি এলাম।
রিঙ্কি সেদিন আমাদের বাড়ি থাকবে।
বড়োজার কড়া আদেশ,তার বোনের যেন ঠিক মতো খাতির যত্ন হয়।

শাশুড়ি মা নিজ হাতে বেড়ে খাওয়ালেন মেয়েটাকে।তার পাশের ঘরে থাকতে দিলেন।কিন্তু ও থাকবে আমার পাশের ঘরে।
ঐঘরে এসি ছিল তাই।

বেশ তাই হলো।
ঐ ঘরটাই দেওয়া হলো।

রাতে শুয়ে পড়েছি আমরা।মাঝরাতে আকাশের বাথরুম যাওয়ার প্রয়োজন হলো।
আমার বেডরুমের বাথরুমে তখন কী যেন সমস্যা হয়েছে।তাই বন্ধ রেখেছি কিছুদিন।
আকাশ বাইরের বাথরুমে গেছে।
আমায় বলেই গেছে।খুব বেশি গভীর ঘুম নেই তখন।
হঠাৎ রিঙ্কির দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম।
সঙ্গে সঙ্গে চোখ দুটো খুলি আমি।
কান সজাগ করি।মেয়েটা হেঁটে হেঁটে আমার ঘরের সামনে দিয়ে গেল।
ঐ রুমে বাথরুম আছে।তাহলে এতোরাতে ওর কাজ কী বাইরে?

মনে খটকা লাগে আমার।
বাহির হই আমি।চারপাশে তাকিয়ে দেখি রিঙ্কি নেই।ডাইনিং এর আলো জ্বলে সারারাত।

আকাশ যেই বাথরুমে গেছে সেদিকে গেলাম।দেখলাম রিঙ্কি দাড়িয়ে আছে বাইরে।
এ কেমন ভদ্রতা?একটা পরপুরুষ বাথরুমে,ও একটা মেয়ে বাইরে দাড়িয়ে আছে হ‍্যাংলার মতো।
বিষয়টি কেমন যেন লাগে আমার।
এগিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করি,”তুমি এখানে কেন রিঙ্কি?
ছেলে মানুষ বাথরুমে গেলে এভাবে কেউ দাড়িয়ে থাকে?তাও এতো রাতে।
তোমার ঘরেতো বাথরুম আছেই।”

ও আমায় দেখে যেন ভ‍্যাবাচেকা খেয়ে যায়।
আমতা আমতা করে বলে,”স‍্যরি।আমি বুঝতে পারিনি তোমার বর বাথরুমে গেছে।
আমি ভেবেছি তুমি গেছো তাই দাড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম।
আমার বাথরুমটা একটু অপরিষ্কার আছে।তাই যেতে ইচ্ছে হয়নি।”

ওর কথা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পরলাম।
ও আসার আগের দিনই আমি বাথরুম পরিষ্কার করেছি ঐ ঘরের।
এরপর কেউ যায় ও নি।কারণ ঐঘরে কেউ থাকে না।

এরমাঝে আকাশ বের হয়।দুজনকে বাথরুমের বাইরে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ভ্রু কুচকায়।

আমি বিষয়টি গোপন করে বলি,”তুমি ঘরে যাও।ছেলে একা আছে।
একটা দরকারে আমি আর রিঙ্কি কথা বলছিলাম।”

আকাশ চলে যেতেই রিঙ্কি ও যায়।
আমি আর দাড়িয়ে থেকে কী করব!তাই আমিও ঘরে যাই।
পরদিন দেখি আকাশ তৈরি হয়ে নিচে নেমেছে অফিস যেতে।
রিঙ্কি বার বার ওর সঙ্গে যেতে চায়।
শপিংমলের আগে নামিয়ে দিতে বলে।আকাশের মিটিং থাকার ওর সঙ্গে ওর দুজন ক্লাইন্ট ও যাবে সেদিন।তারা আগে থেকেই গাড়িতে বসে আছে।এ কথা শুনে রিঙ্কির খুব মন খারাপ।
কাউকে না বলেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায় সে।

সন্ধ‍্যায় আকাশের ফোনে কল আসে অপরিচিত নাম্বার থেকে।
কল ধরি আমি।কথা বলেনা কেউ।
তিনবার এমন হয়।
আকাশ তখন কম্পিউটারে কাজ করছে বিধায় আমায় ধরতে বলে কল।
ওদিকে কথা না বলায় বিরক্ত হয়ে ওর ফোন ওকে দিয়ে পেছনে দাড়িয়ে থাকি আমি।
মিনিট দুয়েক পর আবারো কল আসে।
এবার আকাশ রিসিভ করে।
রিঙ্কির কল ছিল সেটা।আকাশকে ওর বোন অর্থাৎ আমার বড়োজার আসার সংবাদ দিচ্ছে।

আমি বুঝলাম না,এ কথা আমায় বললে কী হতো?
আমি কল ধরলে কথাই বা বলল না কেন?
বিষয়টি গোলমেলে লাগে এবার।

*(আজকের পর্ব ছোট হয়েছে এজন্য দুঃখীত।
পরের পর্ব বড়ো দেব ইনশাআল্লাহ।
অসুস্থতার জন্য যতোটুকু পেরেছি লিখেছি।
সবাই ক্ষমা করবেন।
আর হ‍্যা রেসপন্স করে যাবেন অবশ্যই। এই পর্বে সবাই সাড়া দিন