বড়োজা পর্ব-৩০ এবং শেষ পর্ব

0
3

#বড়োজা
#Nadia_Afrin

শেষ পর্ব
পড়ন্ত বিকেলে চা হাতে বসে ছিলাম বাড়িতে।
ছেলে-মেয়ে বাড়ি নেই কেউই।
এরই মাঝে এতিমখানার কমিটির তিনজন ভাই সহ আরো বেশকজন লোক এলো আমার বাড়ি।
প্রত‍্যেকের পরণে ফরমাল পোশাক।
সরকারি লোক এরা।
এসেছেন আমার খোঁজ নিতে।মূলত আমার খোঁজ নয়,আমার উন্নতির সোর্স জানতে এসেছেন।
এটা হওয়ারই ছিল।
কেউ একজন ওপরে উঠলে তাকে নিচ থেকে টেনে ধরার অনেকেই থাকবে।
আমার ক্ষেত্রে হয়েছে তাই।আমার উন্নতি সহ‍্য হচ্ছেনা অনেকেরই।
তাই বলেছে আমি অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
এর জন্যই এনারা এসেছেন।

সোফায় বসতে বলি তাদের।
সাধারণ কথাবার্তা শেষে আমায় প্রশ্ন করেন তারা।
‘এতো কম সময়ে এতো বড়ো বাড়ি,দামি গাড়ি কীভাবে পেলাম আমি?
ইনকাম সোর্স কী আমার?
কোন খাত থেকে আসছে এতো টাকা।

চেহারাতে আমার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হলোনা।কারণ আমি সৎ।
আমার প্রতিটি কাজের প্রমাণ ও যুক্তি আছে আমার নিকট।

বললাম,”এই বাড়ির জমিটি বেশ আগেই কেনা।গ্রাম‍্য অঞ্চলের ক্ষেত টাইপ জমি।কিনেছিও আগে।দাম বেশ কমই ছিল।
তবুও আমার সামর্থ‍্য ছিল না তেমন।
পারভীন আপা নামক এক বড়ো বোনের থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে ও নিজের সর্বস্র দিয়ে কিনেছিলাম জায়গাটা।
এবার আসি বাড়ির প্রসঙ্গে।
প্রথমে আমার বিষয়ে একটু বলতে হয়।
এতিমখানায় সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে প্রবেশ করলেও পরিশ্রম ও সততা দ্বারা উন্নয়ন মূলক অনেক কিছুই করেছি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
একটা ইন্টারন‍্যাশনাল গ্রুপ আছে আমার আন্ডারে।সেখান থেকে প্রচুর আর্থিক সহায়তা ও সম্মাননা পেয়েছি।প্রত‍্যেকটি কাজের ডকুমেন্ট আছে আমার কাছে।
এই গ্রুপের আন্ডার থেকে বাচ্চারা বিদেশে নাম কুড়িয়েছে তাদের প্রতিভা দ্বারা।
তাই গ্রুপ লিডার হিসেবে এখনো আমি আর্থির সাপোর্ট পাচ্ছি।
আমার কাজ দেখে আরো বড়ো দুটি সংগঠন তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিলে রাজি হই।সেখান থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা আয় করেছি।তার কাগজও আছে।
সঙ্গে আমাদের এতিমখানার মেয়েরা হাতের কাজে ভীষণ পটু।বর্তমানে ওরাও একটা ভালো পর্যায়ে আছে।এই কাজের সুত্রপাত ও আমি করেছিলাম।তাই সেখান থেকে মোটামুটি একটা লাভ আসে আমারো।
এছাড়াও আমি কমিটির প্রধান পদে আছি।এতিমখানার ও প্রধান।প্লাস একজন শিক্ষক ও।
এসব উন্নতি মূলক কাজ করতে গিয়ে বহু সম্মানি পেয়েছিও।
সবকিছু একত্রে যোগ করে একটা বাড়ি তৈরি করা কী খুব কঠিন?
এতো অর্জন যদি আমি একটা বাড়ির পেছনেই দেই তাহলে সেই বাড়ি দাড় করানো কী খুব কঠিন?
সঙ্গে বেশ কিছু অর্থ আমি ধার ও করেছিলাম কাছের মানুষ থেকে।
সবমিলিয়ে পেরেছি করতে।
শুধু এতিমখানাতেই সীমাবদ্ধ ছিলাম না আমি।বাইরেও কাজ করেছি।সুত্রপাত টা হয়ত এতিমখানা থেকেই।
ছোট-খাটো সব সঞ্চয় জমিয়ে আমার এই বাড়ি।
বহু কাজ ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় বাড়ি তৈরীতে বিপদে পাশে পেয়েছি সবাইকেই।
দুজন সহকারিও আছে আমার।তাই সব চাপ আমায় নিতে হতোনা।কাজ ও কম।তাই পেরেছি।
একা কিছুই করিনি আমি।তবে এটা ঠিক,বিভিন্ন কাজে যুক্ত থেকেছি।

গাড়িটা কিনতে হয়েছে প্রয়োজনেই।বিভিন্ন কাজে বাইরে যেতে হতো আমার।
তাই কমিটির লোকেরাই বলে গাড়ি কিনতে।
তবে এক্ষেত্রে আমার তেমন অর্থ ছিল না হাতে।বাড়ি করতে গিয়ে সব শেষ।
কমিটির প্রধান পদে ছিলাম আমি।সঙ্গে এতিমখানার বহু উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল আমার দ্বারা।এবং এই এতিমখানার কাজেই বেশি বাইরে যেতে হতো আমার।ফান্ড ও ইনভেস্টারদের সামলাতে হতো একা।
তাই কমিটি থেকে একটা গাড়ি কিনতে বেশ কিছু অর্থ দেওয়া হয় সম্মানি হিসেবে।
সঙ্গে একটা মোটা অঙ্কের লোনের ব‍্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল আমায়।
তখনও আমার বাড়ি পুরোপুরি তৈরি হয়নি।
সেই লোনের অর্ধেক টাকা বাড়িতে ব‍্যায় করি।
বাকি টাকা ও পাওনা টাকা,সঙ্গে নিজেরটা দিয়ে গাড়ি কিনেছি।
মাসে বেতনভুক্ত কাজ আমার।
ধীরে ধীরে,মাসে মাসে শোধ করছি সবটা।
কাগজপত্র ও ব‍্যাংকের ডকুমেন্ট আছে দেখে নিন।”

আমার প্রতিটি কথার ও কাজের প্রমাণ আছে।
এতিমখানা থেকে আমার বিষয়ে খোঁজ ও নিয়ে এসেছে তারা।আশেপাশ থেকেও খোঁজ নিয়েছে।কমিটির সদস‍্যরাও সাক্ষী দিয়েছেন।
আমার প্রতিটি কাজ তাদের নিজ চোখে দেখা।
উপযুক্ত প্রমাণ পেয়ে বিশ্বাস করে আমায়।
ফর্মালিটি পূরণ করে বাড়ি ছাড়েন।

কমিটির ভাইয়েরাও যেতে চায়।
জোর করে বসিয়ে চা-নাস্তা করাই তাদের।
মানুষগুলো খুবই উপকার করলো আমায়।একা একটা মেয়ে আমি।তারা পাশে থাকলো আমার।

এভাবে সকলের মুখে জবাব দিয়ে নিজের সত‍্য প্রমাণ করি।

দুদিন পরের কথা,,,,

মেয়েকে নিয়ে শপিং এ এসেছিলাম কিছু জিনিস কিনতে।
কেনা শেষে গাড়িতে উঠবো এমন সময় পেছন ডাকে কেউ তন্নি আপা বলে।
দ্রুতই ঘুরি আমি।
হেঁটে আসছে রিতা।হুইল চেয়ারে বসা ওর স্বামী।
থমকে দাড়ালাম।
রিতা এগিয়ে এসে বলল,”কেমন আছো আপা?
তোমার অনেক নাম-ডাক হয়েছে শুনেছি।দেখা করতে চেয়েছিলাম।পারিনি।”

“ভালোই আছি।তুই কেমন আছিস?তোর স্বামীর এই অবস্থা কেন?ছেলে কোথায়?”

রিতাকে দেখলাম চুপ গেল।
ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম আমি।
কিছুসময় পর বলল,”ব‍্যবসায়িক কাজে বাইরে গিয়েছিল উনি।ফেরার পথে দূর্ঘটনায় পড়েছিল।সারাজীবনের জন্য চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।”

লোকটার দিকে তাকালাম।
আমায় দেখে মাথা নিচু করে থাকে সে।
মনে মনে বললাম,খুব অহংকার ছিল একসময়।আজ কেমন নত হয়ে আছে।

আমার বাড়ি আসতে বললাম ওকে।
রিতা বলল,”আপা একটা কাজের ব‍্যবস্থা করে দিতে পারবে আমায়।
ওর তো পা অচল।
আর্থিক সংকটে পড়েছি।তোমার চেনাজানা থাকলে একটা জবের ব‍্যবস্থা করে দিও আমায়।ছেলের পড়াশোনায় প্রচুর খরচ।
কিছু একটা করতে হবে আমায়।”

বললাম,”দ‍্যাখ ভাগ‍্যের কী পরিহাস!
গরীব ছিলাম বলে একসময় তুই আর তোর স্বামী যা’তা অপমান করেছিস আমায়।গায়ে অব্দি হাত তুলেছিস।সেই তোরাই আজ আমার কাছে সাহায্য চাইছিস।
চিন্তা করিসনা।অবশ‍্যই চেষ্টা করবো।স্বার্থপর নই আমি।”

রিতার স্বামী বড়ো বড়ো চোখ করে তাকায় আমার দিকে।বুঝতেই পেরেছে কথাটা ওকেই বলেছি।
মেয়ে এসে তাড়া দেয় ফিরতে।
ফোন নাম্বার দিয়ে গাড়িতে উঠে বসি আমরা।

কিছু অহংকারির পতন আসলে দুনিয়াতেই হয়।

বাড়ি ফিরতেই ছেলে দৌড়ে আসে আমার নিকট।
আলতো হাতে জড়িয়ে ধরে বলে,”তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে আম্মু।”

ভ্রু কুচকাই আমি।

আলিফ ওর বয়সি এক ছেলেকে পাশের ঘর থেকে নিয়ে এসে বলে,”দেখো তো চিনতে পারো কিনা!”

ছেলেটাকে ভালো করে পরখ করলাম।
চেনা লাগলেও ঠিক ঠাওর করতে পারলাম না।
বললাম,”কে ও?চেনা লাগছে।চেহারাটা যেন কোথায় দেখেছি।”

“ও হলো আন্টির ছেলে।ঐ যে আমাদের বাড়ির পাশে একটা প্রতিবেশি ভালো আন্টি ছিল না?
ও তারই ছেলে।
কাল আমরা চলে আসার পর ওরা আমাদের খোঁজ নিয়ে এসেছে এখানে।আমার সঙ্গে দেখা হয়েছে।তাই বাড়ি নিয়ে এসেছি।”

প্রচন্ড খুশি হই আমি।
ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে বলি,”কত্তো বড়ো হয়ে গেছিস তুই বাবা।
চিনতেই পারিনি তোকে।”

“শুধু ও নয় মা।আরো একটা সারপ্রাইজ আছে তোমার জন্য।”

টেনে পাশের ঘরে নিয়ে যায় আমায়।
বিছানাতে পেছন ঘুরে বসা কেউ।’আন্টি’ বলে ডাকে আলিফ।মহিলাটি ঘোরে।
এতো বছর পর ভাবিকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি আমি।
দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি।ভাবিও আমায় পেয়ে মহা খুশি।

দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে থাকি অনেকটা সময়।
ভাবি বলেন,”তোমার ওপর ভীষণ রেগে আছি আমি তন্নি।
ভাবিকেও ভুলে গেলে?
এতোগুলো বছর গেল,ভাবির কথা একবারো মনে পড়েনি?
কোথায় হারিয়ে গেছিলে ঐ বস্তি থেকে?
কতো খুঁজেছি তোমায়।”

“ভাবি এ কবছরে আমার জীবন অনেকটা বদলে গেছে।
আসলে আমি চাইনি অতীতের মুখোমুখি দ্বিতীয়বার হতে।আপনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে হয়ত কোনো না কোনোভাবে অতীত আবারো আমার সামনে চলে আসতো।
তাই নিজেকে আড়াল করেছি।
এখন ছেলে-মেয়ে বড়ো হয়েছে।ইচ্ছা-অনিচ্ছা প্রকাশ করে।ছেলের আবদারে গিয়েছিলাম অতীতের সিমারেখায়।”

ভাবি চুপ থাকে দু-দন্ড।
পরক্ষণে হেসে বলে,”তোমার দেখে ভালো লাগছে তন্নি।
সত‍্যিই তুমি অনন‍্য।সব হারিয়ে শূণ্য থেকে পূর্ণ হতে খুব কম মেয়েরাই পারে।
তোমায় দেখে শেখা উচিৎ সকলের।
আমিও শিখছি।”

মুচকি হাসি আমি।
আকাশের কথা জিজ্ঞেস করি।

ভাবি কড়া স্বরে বলেন,”স্বার্থপরের জায়গা জীবনে দ্বিতীয়বার দিও না।
খোঁজ নাও ঠিক আছে।মনে অনুভূতি জাগতে দিও না।
সাতবছরের সংসার ছিল তোমাদের।ভালো মন্দ কতো স্মৃতি।সন্তান,ভালোবাসা সব যেহেতু পরের প্ররোচনায় ত‍্যাগ করেছে,সে ভালোবাসার যোগ্য নয়।
এরপর যে ও আবার তোমায় ঠকাবেনা তার কোনো গ‍্যারান্টি আছে?
পরিশ্রম করে এতোদূর এসেছো।ওকে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে নিজেকে স্বস্তা বানিও না।
নিজ সন্তানদের যে অন‍্যের কথায় অস্বীকার করতে পারে,মানুষ হিসেবে সে কেমন এটা বোঝায় যাই।
এখন বিপদে পড়েছে।ভুল বুঝতে পেরেছে ঠিকই।তবে একই ভুল যে আবার করবেনা তার কী মানে?
ঐ ছেলে ভালো হবেনা কখনোই।
তোমার প্রভাব-প্রতিপত্তির কথা শুনে ফিরে আসতে চাচ্ছে।রিঙ্কি যখন ছিল তখন কিন্তু এসব বলেনি।রিঙ্কিও চলে গেছে,তোমার প্রয়োজন পড়েছে।
তুমি ওর প্রয়োজন তন্নি।প্রিয়জন না।

যদি ও তোমার জীবনে আসে,এই সফলতার কোনো দামই থাকবেনা আমি মনে করি।
মেয়েদের এতো আবেগি ও স্বস্তা হলে চলেনা।কিছুটা জেদ বজায় রাখতে হয়।এতে আত্মসম্মান ঠিক থাকে।
ছেলে-মেয়ে এখন বড়ো হয়েছে।যখন বাবাকে প্রয়োজন ছিল পায় নি।এখন ওদেরও দরকার নেই ঐ পাষাণ মানুষটাকে।”

পাশ থেকে ছেলে এসে বলে,”আন্টি ঠিক বলেছে আম্মু।বাবাকে প্রয়োজন নেই আমার ও বোনের।
পরের কথায় যে আমাদের ত‍্যাগ করে তাকে আমরা বাবা বলে মানিনা।
জন্ম দিলেই বাবা হওয়া যায়না।উনি তার প্রমাণ।”

কিছু বলতে চেয়েছিলাম আমি।
কিন্তু বললাম না।ঠিকই বলেছে ওরা।
ওদের কথায় যুক্তি আছে।
আমি তন্নি আর নিজেকে স্বস্তা করবোনা কিছুতেই।
ঐ লোকের মুখ ও দেখতে চাইনা আমি।

প্রসঙ্গ বদলে কিচেনে আসি আমি।
নিজ হাতে রান্না করি।
ভাবিকে বসিয়ে একসঙ্গে খাবার খাই।
তার ছেলেটাকে সহ আমার ছেলে-মেয়েকে নিজ হাতে খাইয়ে দেই।
খেতে খেতে ভাবি বলেন,”আমার ছেলের সঙ্গে তোমার মেয়ের বিয়েটা কিন্তু আজো ভুলিনি আমি।বিয়ে কিন্তু দিতেই হবে।”

ভাবির ছেলেটা লজ্জা পায়।
আমার মেয়ের পুতুল খেলার বয়স।বিয়ের কথা শুনে পুতুল খেলাই ভেবেছে।
ভীষণ খুশি হয়েছে।
খাবার ছেড়ে এগিয়ে এসে ভাবির ছেলের কাছে দাড়িয়ে বলে,”বিয়ে করবে আমায়?
আমার কিন্তু চারটা মেয়ে আর তিনটে ছেলেও আছে।
আমার সঙ্গে সঙ্গে আমার ছেলে-মেয়েকেও বিয়ে করতে হবে।রাতে ওরা আমার সঙ্গে থাকে।ভয় পায়।তুমিও আমার সঙ্গে থেকো।ভয় পাবেনা আর।
কাল আমায় একটা বার্বিডল গিফ্ট করে দিও।তাহলে বিয়ে করবো তোমায়।
তা কটা ছেলে-মেয়ে আছে তোমার?”

মেয়ের কথা শুনে আমরা সবাই অট্টহাসি।
ভাবির ছেলে আমার মেয়ের গাল টিপে দিয়ে বলে,”আগে পড়াশোনা শেষ করে অনেক বড়ো হও।
আমিও অনেক ছোট।মা ও আন্টি মজা করছে আমাদের নিয়ে।বিয়ে টিয়ে কিছু না।
তুমি মন দিয়ে পড়বে।তাহলে তোমায় আমি সুন্দর দেখে বার্বিডল গিফ্ট করবো।”

মেয়ে এবারেও খুশি।
আমার কাছে এসে খেতে বসেছে।
সকলে মিলে আনন্দ করি আমরা।
এইতো সেই সুখ,যা আমি চেয়েছি এতোকাল।
নিজেকে বড্ড সুখি মনে হচ্ছে।
আর কোনো দুঃখ নেই আমার।সব পেয়েছি আমি।
আমি তন্নি,আমার জীবনকে নতুন করে সাঁজিয়েছি।
শতো বাধা বিপত্তি পার করে আমি পেরেছি আমার কথা রাখতে।
আজ আমি মুক্ত,স্বাধীন,সুখি।
আমার সব আছে।সুন্দর একটা পরিবার আছে।সম্মান আছে।ভালোবাসা আছে।
আর কিচ্ছু প্রয়োজন নেই এই জীবনে।
ছোট্ট এই জীবনে যা পেয়েছি তাতেই খুশি।জীবন নিয়ে আর আফসোস নেই আমার।
সন্তুষ্ট আমি আমার নিজের প্রতি।এভাবেই হতে থাক সব।
কিন্তু মনে একটা সংশয়!
এভাবেই কী চলা যায়?
খুটিহীন ঘর কী টিকে থাকে?
একাকিত্বের এই জীবনে কী কিচ্ছু পাওনা নেই আমার?

সমাপ্ত,,,,