বসন্তপবনে প্রেমছন্দ পর্ব-৩৩ এবং শেষ পর্ব

0
2

#বসন্তপবনে_প্রেমছন্দ
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন
৩৩.(শেষ পর্ব)
বিছানায় শুয়ে ফোন চেক করতে করতে আদর আদেশ দিলো, ‘দরজা বন্ধ করে লাইট নিভিয়ে আসুন।’

টিকলি দরজাও বন্ধ করলো না লাইটও নিভালো না। নাক ফুলিয়ে এগিয়ে গিয়ে বিছানায় বসলো। ফুঁস করে শ্বাস ছেড়ে বলল,

‘আমি যে ব্যাথা পেয়েছি আপনি খেয়াল করেছেন?’

আদর ফোন থেকে চোখ সরালো। ভ্রু কুঁচকে টিকলির দিকে তাকিয়ে বলল,

‘না। কোথায় ব্যথা পেয়েছেন?’

‘আপনি কখনোই আমার দিকে খেয়াল করেন না। আপনি শুধু আপনার হসপিটাল নিয়ে বিজি। হসপিটালকে বিয়ে করে নিলেই পারতেন।’

বলে টিকলি গাল ফুলিয়ে হাটুতে মুখ গুজে বসলো। আদর এগিয়ে এসে টিকলির সারা গায়ে খুজলো কোথায় ব্যাথা পেয়েছে। খুঁজতে খুঁজতে দেখলো পায়ের যেই জায়গাটায় ছিলেছিলো সেই জায়গায় আবার চামড়া উঠে গেছে। রক্তিম ক্ষত দেখে আদর চোখ তুলে তাকালো,

‘কীভাবে এটা হলো?’

‘আপনার জানতে হবে না। সরুন।’

টিকলি পা সরিয়ে নেয়। আদর আবার টেনে নেয় নিজের কোলের উপর। মলম লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে লাইট নিভিয়ে টিকলিকে জোর করে ধরে বুকে নিয়ে শুয়ে পরে। টিকলির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,

‘আমি এবার থেকে কম ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করবো। আপনি রাগ করে থাকবেন না আমার উপর। ঠিকাছে?’

টিকলি আদরের সাথে মিশে যায়। শার্টের দুটো বোতাম খুলে উন্মুক্ত আদরের বুকে মুখ ডুবিয়ে মাথা নেড়ে বলে,

‘না। একদম ঠিক নেই। আমি আপনাকে চব্বিশ ঘণ্টা আমার সাথে চাই। আপনি কয়েকটা দিন ছুটি নিন না প্লিজ! আমরা হানিমুনে যাবো না?’

‘আচ্ছা। সুযোগ পেলেই নিয়ে নিবো। তার আগে একটা কথা বলতে চাই। আপনি এই সপ্তাহে একটা দিন ফ্রি করুন। সবকিছু গোছগাছ করে আপনার শশুড়বাড়িতে চলুন। আমি ব্যস্ত থাকলেও তখন ওখানে মা-বাবা, টায়রা, আর্দ্রর মাঝে আপনার খারাপ লাগবে না। কান্না পাবে না। আপনার কান্না আমার সহ্য হয় না। যাবেন?’

টিকলি একটু চিন্তা করে বলে, ‘উমম… তাহলে কালই যাই?’

আদর হেসে টিকলিকে গাঢ় করে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘ঠিকাছে।’

‘তাহলে চলুন। এখনি গোছগাছ শুরু করে দেই। আমার বাবা-মাকেও তো জানাতে হবে। ফোন করুন।’

‘করছি। আপনি আরেকটু শুয়ে থাকুন। দুই দিন… আপনাকে পাইনি।’

‘আর পেতে হবে না। উঠুন। অনেক কাজ আছে। আসুন আসুন। আচ্ছা আমি কালকে বাবা-মার জন্য কি কিনে নিয়ে যাবো?’

আদর হেসে বলে, ‘আপনার কিছু কিনতে হবে কেনো?’

‘ওমা! আমি ইনকাম করি না?’

‘আচ্ছা। তবে কালকে আপনি আমার বাবা-মার জন্য কিনবেন আর আমি আপনার।’

‘ওদের জন্যেও কিনতে হবে। নাহলে টায়রা, নিভা আমাকে জ্বালিয়ে খাবে।’

‘আচ্ছা। আরেকটু পরে উঠুন না। আচ্ছা ঠিকাছে একটা চুমু দিয়ে যান অন্তত!’

‘সময় নেই বাদর সাহেব। উঠে আসুন।’

______________________
নিভার তখন সাত মাস চলছে। চিকন শরীরে পেট তেমন বোঝা যায় না। যে কেউ প্রথম দেখায় বলতে পারবে না এই মেয়ের বাচ্চা পেটে। রাহুল সেই নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। নিভাকে নিয়ম করে রাত-দিন খাওয়াচ্ছে আর ধমকের উপরে রাখছে,

‘আপনি আমার কথায় উঠবেন আর বসবেন। আপনার পেটে তো মনে হয় একটা কবুতরের বাচ্চা আছে নইলে আমার কাছে আপনার বিয়ের প্রস্তাব কীভাবে আসে?’

নিভা মুখ চেপে হেসে উঠলো। সেদিন নিভারা খান বাড়িতে গিয়েছিলো। আদরের একজন কলিগ এসেছিলো। নিভাকে দেখে আদরকে বলল,

‘বোনকে বিয়ে দিবেন না? আমার কাছে পাত্র আছে। পাত্র বিদেশে সেটেল।’

উপস্থিত রাহুল তখন চোখ দিয়েই ভস্ম করে দিলো লোকটাকে। চাপা শক্ত করে দাঁতে দাঁত চেপে বলল, ‘হ্যাঁ, বিয়ে দেবো। রেডিমেড বাচ্চাও ফ্রি পাবেন।’

ওরা সবাই জোরে জোরে হেসে উঠলো। আর্দ্র বলল, ‘কি ভাই বেক্কল নাকি? দেখে বুঝেন না মেয়ে প্রেগন্যান্ট? আপনি আবার ডাক্তার?’

লোকটাকে নাকানিচুবানি খাইয়ে ওরা বের করে সবাই রাহুলের সাথে এই নিয়ে মজা উড়িয়েছে। রাহুল নিভাকে এক গ্লাস দুধ খেতে দিলো। এরমাঝেই খবর এলো টিকলি মাথা ঘুরে পরে গেছে, দুই এক বার বমিও নাকি করেছে। নিভাকে বগলদাবা করে রাহুল ছুটলো খান বাড়িতে।

,
আদর থমথমে মুখে বসে আছে। এতো তাড়াতাড়ি সে বাচ্চা চায়নি। চেয়েছিলো টিকলির সাথে আরো সময় কাটাতে। টিকলির উইশলিস্টের এখনো বহু ইচ্ছে বাকি রয়ে গেছে। আদর ধরে ধরে সেসব বৃত্ত ভরাট করতে চেয়েছিলো। ওদের এখনো একসাথে ঝর্ণায় ভেজা হয়নি, কাশ্মির যাওয়া হয়নি, স্নোফল দেখা হয়নি, মোস্ট ইম্পোর্টেন্ড নিজেকে প্রিপেয়ার করে খুব রঙ্গ-তামাশা করে বাচ্চা নিয়ে কোনো প্ল্যানিংও করা হয়নি। আনএক্সপেক্টেড এই নিউজ পেয়ে টিকলি কি রিয়েকশন দিবে বুঝতে পারছে না। বরং আদরের গম্ভীর মুখ খানা দেখে মাথা নিচু করে আছে। যেনো সে বড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছে।

আর্দ্র আদরের থেকেও থমথমে মুখে বলে উঠলো,

‘এটা কি করে হলো? বিয়ে করলাম আমি আগে অথচ বাচ্চা তোমার আগে হচ্ছে।’

আজিম খান কাশতে কাশতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। মনোয়ারা খানও স্বামীর পেছন পেছন ছুটে বেরিয়ে এলেন। জামিলুর রেজা, শায়লা আক্তার রাস্তায় আছেন। তারা আসছে। টায়রা আর্দ্রর বাহুতে একটা চিমটি কেটে আর্দ্রকে নিয়ে বেরিয়ে এলো। আদর টিকলির পাশে বসে হাতটা ধরে শুধালো,

‘টিকলি, আমার প্রতি আপনার কোনো অভিযোগ আছে?’

টিকলি চোয়াল বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে ডানে-বামে মাথা নাড়ায়। আদর আবার প্রশ্ন করলো,

‘তবে আপনার মাথা নিচু কেনো?’

টিকলি মাথা তুলে আদরের দিকে ছলছল চোখে চেয়ে বলল,

‘কারন আপনি খুশি না।’

বলেই ঠোঁট ভেঙে কেঁদে দিলো। আদর ওকে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে চোখে মুখে ক্রমাগত চুমু দিয়ে বলে,

‘কে বলেছে আমি খুশি না? আমি শুধু আপনাকে নিয়ে ভয় পাচ্ছিলাম আপনি কীভাবে এটা এক্সেপ্ট করবেন ভেবে। আপনার তো এখনো অনেক শখ বাকি আছে। অনেক কাজ করার ইচ্ছা আপনার। সেসবে ব্রেক পরবে।’

‘পরুক। আমি কাজ করবো না। আমার বাচ্চা নিয়ে শখ পূরণ করবো। কিন্তু আপনি কেনো গম্ভীর মুখ ঝুলিয়ে আছেন?’

বলে টিকলি আবার ঠোঁট ভেঙে জোরেসোরে বাচ্চাদের মতোন কেঁদে দিলো। আদর প্রস্ফুটিত কাঠগোলাপের ন্যায় হেসে টিকলিকে জড়িয়ে ধরে চোখ মুছিয়ে দিয়ে বলল,

‘ইশশ… কান্না করে চোখ লাল করে ফেলেছেন। বাবু তো বলবে বাবা পঁচা। এদিকে তার আম্মু পঁচা। ছিঁচকাদুনি!’

আদর টিকলির নাক ধরে টান দেয়। টিকলি কান্নাময় চোখে হাসে। আদরের হাতের পাঁচ আঙ্গুলে নিজের আঙ্গুল ঢুকিয়ে স্বপ্নের জাল বুনতে লাগে। কি কি খাবে, বাবু হলে কি কি কিনবে, কি কি করবে, কোথায় কোথায় ঘুরবে। সব! আদর প্রশ্রয় দিয়ে হাসিমুখে সবকিছুতে মাথা নেড়ে যায়।

______________________
পেরিয়ে গেছে তিনটি বসন্ত। ঢাকার একটা কনভেনশন হলে টিকলি নিজ উদ্যোগে ইভেন্টের প্ল্যানিং করেছে। সেখানে টিকলি আর আদরের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, কলিগ সবাইকে ইনভাইট করা হয়েছে। ফ্যামিলি এন্ড ফ্রেন্ডস গেট টুগেদার বলা যায়! আর্দ্র-টায়রা, নিভা-রাহুল এসে পৌঁছেছে।

আর্দ্র বললো, ‘বাব্বাহ! খুব সুন্দর এরেঞ্জমেন্ট তো। ভাইয়া এসে পুরাই থ খেয়ে যাবে।’

টিকলি হেসে জিজ্ঞেস করলো, ‘বাবা-মা কোথায়?’

‘আসছে।’

‘বাচ্চারা।’

‘সাথেই আছে।’

টিকলি নিভার কোলে থাকা ওর ছেলে নিলিন’কে আদর করে দিলো। একটু দুষ্টুমি করে হাতে চুমু দিলো। নিলিন যেদিন জন্মালো টিকলি নিজের কথা বাস্তবায়ন করে ওই এপার্টমেন্ট’টা দিয়ে নিলিনকে পৃথিবীতে আগমনের জন্য স্বাগতম জানিয়েছিলো। মনোয়ারা খান এলেন। টিকলি মনোয়ারা খানের কোল থেকে টায়রার এক বছরের মেয়ে আরিশা’কে কোলে তুলে নিতেই আরিব তার স্বরে চেঁচিয়ে হলের সবার মনোযোগ কেড়ে নিলো। টিকলি নাখোশ গলায় বলে,

‘বাবা, কাঁদলে মা কোলে নেবো না।’

আরিব কি কথা শুনে! গলার ধাপ আরো কয়েকটা বাড়িয়ে দিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো যেন গলার রগ ছিড়ে যাবে। টায়রা কোলে তুলে নিলো কিন্তু লাভ নেই। মায়ের কাছেই যাবে সে। ওর মা কেনো আরেকজন কে কোলে নেবে? টিকলি উপায়ন্তর না পেয়ে এক হাতে আরিশা অপরহাতে আরিবকে কোলে তুলে নেয়। বলল,

‘এবার খুশি?’

কিন্তু তাতে বাধলো আরেক বিপত্তি আরিশা আরিবকে খামচি দিয়ে ধরলো। আরিব ফিরতি খামচি দিলেই আরিশা কেঁদে উঠে মায়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। টায়রা মেয়েকে কোলে তুলে নিতে নিতে বলে,

‘ওরে.. আমার মা। কাঁদে না সোনা।’

টিকলি আরিবের কপালে সাথে কপাল লাগিয়ে বলে, ‘একদম বাপের মতো হয়েছে। স্যাক্রিফাইস তো চরিত্রের কোথাও লেখা নেই-ই আছে শুধু তেজ।’

আরিব খিলখিল করে হাসে। টিকলি ছেলেকে নিয়ে গোল গোল ঘুরে ঘুরে বলে, ‘পাজি ছেলে একটা। দুষ্টু ছেলে একটা। সারাদিন জ্বালায়।’ আরিব আরো জোরে জোরে হাসে। ওর হাসির ঝংকারে চারপাশ মুখরিত হয়ে উঠে।
,
প্রবেশদ্বারে আদরের সাথে টিকলির বেশ কয়েকটা ছবি। ছবির নিচে আদরের জন্য বিভিন্ন ধরনের মেসেজ। আদর একে একে পরলো সবগুলো,

‘ধন্যবাদ, বাদর সাহেব। আমার জীবনে আপনার প্রেম নিবেদনের জন্য।’
‘আপনাকে দিলাম বসন্তের এক পশলা পবন।’
‘আরো দিলাম আপনাকে ফিরতি প্রেমের আমি-তুমি ছন্দ।’
‘কৃতজ্ঞ! আমাকে একটা আদুরে বিড়ালছানা দেওয়ার জন্য। আপনি এতো শান্ত, আমি শান্ত অথচ এই বিড়াল এতো দুষ্টু হলো কোথা থেকে বলুন তো?’

আদর হাসলো। হেসে হাত বুলালো ছবিটায়। আদরের কোলে টিকলি। টিকলির কোলে আরিব। ওদের সবার প্রাণবন্ত হাসি। আজ আদর টিকলির বিবাহ বার্ষিকী। টিকলি গুটিগুটি পায়ে আরিব কে কোলে নিয়ে এলো। মায়ের কথা মতো আরিবের মুখে আঙ্গুল। ওরা দুজন এসে আদরকে চমকে দিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। আদর হেসে দিলো সশব্দে। টিকলির কপালে চুমু খেয়ে আরিব’কে কোলে তুলে শুধালো,

‘তুমি নাকি একটু আগে হাত-পা ছড়িয়ে কেঁদেছো, বাবা?’

আরিব মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ডানে-বামে মাথা নেড়ে অস্বীকৃতি জানায়। আদর-টিকলি হাসে। আদর আরেকবার টিকলির গালে চুমু খেলো। তখনি ঝামেলা দল এসে সমযোগে বলল,

‘ছি ছি! এতো লোকের সামনে এসব কি কান্ড? আমাদের বাচ্চা গুলো পেঁকে গেলো রে!’

আদর চোখ পাকিয়ে তাকায় আর্দ্রর দিকে। নিভা হাসতে হাসতে টায়রার গায়ে পরে গিয়ে বলল,

‘যেদিন টিকলির প্রেগন্যান্ট এর খবর আসে ওইদিন মনে আছে আর্দ্র ভাইয়া হাত-পা ছড়িয়ে কেঁদেছে এই বলে যে, সে বিয়ে আগে করলো বাচ্চা কেনো আগে আদর ভাইয়ার হবে?’

বলেই নিভা হাসতে হাসতে কোমর ধরে বসে পরলো। ওরা সবাই সেই বসন্তের পবনে ধ্বনি তুলে হাসলো। আর্দ্র তেড়ে গেলো নিভার দিকে। রাহুল ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। রাহুলের সামনে আবার নিলিনও বাবাকে কপি করে দাড়ালো। আর্দ্র চোখ মুখ কুচকে বলে,

‘ছেলেকে তো ভালোই ট্রেনিং দিয়েছো। এই বাপ, আয় আমি তোকে শিখিয়ে পড়িয়ে নিবো।’

টায়রা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, ‘কোনো দরকার নেই। আগে নিজের মেয়ের যত্ন নিতে শিখেন। সেই কখন থেকে আমার গলা আকড়ে পরে আছে। হাত ব্যথা হয়ে গেলো আমার। কোলে নেন এবার একটু।’

আর্দ্র মেয়েকে কোলে নিতেই দেখলো মেয়ে ঘুমে বেহুশ। সেই মুহূর্তে নিরব আর আরাফ এসে দাড়ালো। বলল,

‘ভদ্রলোক এবং ভদ্রমহিলা বৃন্দ আপনাদের বাচ্চাকাচ্চা গুলোকে কাধের উপর তুলে একটা পোজ দেন তো দেখি।’

ওরা ছয়জন একসাথে দাড়ালো। একইভাবে। একইরুপে বাচ্চা কোলে নিয়ে একই রঙের জামদানী শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে টিকলি, টায়রা, নিভা। ওদের কাধে হাত রেখে জড়িয়ে ধরে আছে ওদের জীবনের একান্ত ব্যক্তিগত বসন্তের পবন আদর, আর্দ্র, রাহুল। ওরা সবাই হাসলো। হাসির ছন্দে প্রেমে মত্ত হয়ে একে অপরের দিকে চেয়ে রইলো স্নেহ নিয়ে নির্বিঘ্নে….নিবৃতে।

সমাপ্ত❤️