#বাঁধিবো_প্রণয়ের_বাহুডোরে
পর্বঃ-০৬
#দিপ্তী অরণ্য
কাব্য কলেজ যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে। আর আয়না দিয়ে দেখছে শুভ্রা তাকিয়ে আছে। কাব্য শুভ্রার কাছে এসে বললো তুমি ঠিক আছো?
হুম।
ব্যাথা কমেছে?
হুম রাতে যখন আপনি মেডিসিন দিয়েছিলেন। তখন কমেছে।
ওহ্ আচ্ছা বলে। কাব্য শুভ্রার উপর আধশোয়া হয়ে ওর ঠোঁটে নিজের ঠোঁঠ বসিয়ে দিলো। বেশ কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলো। তারপর শুভ্রাকে বললো,,
❝তোমার ঠোঁটের উষ্ণতা আমার ঠোঁটে তৃপ্তি
তোমার একটু খানি ছোঁয়া আমার বিষাদ গুলো দূর করে ❞
আমার সারাদিনের এনার্জি নিয়ে যাচ্ছি। তুমি সাবধানে থাকবে। আর কিছু লাগলে ফোন করো। আমি মাকে বলে দিয়েছি তোমার শরীরি টা ভালো নেই উপরে ই খাবে।
কিন্তু মা??
ট্রাস মি শুভ্রা মা কিছু মনে করবে না। আমার মা এর মতো মা পৃথিবীতে আর একটা ও হয় না। তোমাকে আগলে রাখবে সবসময়।
আর আপনি??
আমৃত্যু তোমার সাথে থাকবো। এখন আসছি বলে কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে বের হয়ে গেলো।
কাব্য যেতে ই শুভ্রা আস্তে ধীরে বিছানা থেকে নেমে আলমারি থেকে জামা কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হতে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে দেখলো,, কাব্যের মা বসে আছে।
শুভ্রা মিষ্টি করে হেসে,, সালাম দিলো।
তিনি হেসে সালামের উওর দিয়ে বললো,, শুনলাম শরীর না কি ভালো না?
ওই আর কি।
আচ্ছা বস আমি খাইয়ে দিচ্ছি। কাব্য আমার কাছে মেডিসিন দিয়ে গেছে বলেছে তোমাকে খাইয়ে মেডিসিন খাইয়ে দিতে। আর বলেছে খাওয়া শেষ হয়ে গেলে একটা ঘুম দিতে।
কিন্তু মা?
কোন কিন্তু না। তুমি আমার ছেলের বৌ না আমার মেয়ে। আমার মেয়ে আমার বাড়িতে রাজরানী হয়ে থাকবে। তোমাকে কাজের জন্য আনিনি কাজের মানুষ আছে এই খানে। তুমি রেস্ট করো কোন কথা শুনবো না।
নেও এখন হা করো।
শুভ্রা হা করতে তিনি শুভ্রা কে খাইয়ে দিচ্ছে। খাওয়ানো শেষ হতে তিনি মেডিসিন দিয়ে তারপর শুভ্রা কে শুইয়ে দিয়ে শুভ্রার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে।
ছোট থেকে বাবার আদরে বড় হওয়া শুভ্রা। মা এর আদর কি জিনিস জানতো না। এখন মন ভরে আদর নিচ্ছে। শান্তি তে চোখ বন্ধ করে দিয়ে মা এর মমতা মাখা হাতের আদর খাচ্ছে শুভ্রা। একটা সময় ঘুমিয়ে গেলো। শুভ্রা ঘুমিয়ে যেতে তিনি শুভ্রার গা এর কম্বল টা টেনে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেছে। ওনি রুম থেকে বের হতে ই কাব্য তার মা কে ফোন দিয়ে বললো,, মা ও খেয়েছে?
হুম খাইয়ে মেডিসিন খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি। তুই কোথায় কলেজে পৌঁছিয়েছিস?
না আরেক টু বাকি। মা তুমি ওর খেয়াল রেখো আমি তাড়াতাড়ি চলে আসবো।
সমস্যা নেই রাখবো। সাবধানে থাকিস বলে তিনি ফোন টা কেটে দিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলেন দুপুরের রান্না বসাতে।
কলেজে পৌঁছাতে ই কাব্য তার কেবিনে গিয়ে বসতে পিওন কে ডেকে বললো ওর রুমে কফি পাঠিয়ে দিতে।
পিওন কফি টা কেবিনে দিয়ে গেলো।
বেশ কিছুক্ষণ পর ওর বন্ধু সাকিব আসলো ওর কেবিনে। তারপর চেয়ার টেনে বসে বললো কি করে কি অবস্থা?
এই তো ভালো।
বিবাহিত জীবন কেমন কাটছে?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো সম্পর্ক গভীরে পৌঁছিয়েছে।
তুই জানিস তুই কি করছিস?? তুই ওকে সবটা বলেছিস??
নাহ্। তুই আগুন নিয়ে খেলছিস কাব্য। ওকে সত্যি টা জানিয়ে দে।
দিবো সময় হলে।
সামনে জানিস তো কি??
হুম মনে আছি।
তো সাবধানে থাকবি।
তুই ও সাবধানে থাকবি।
সকিব চলে গেলো। কাব্য কাজ করছে বেল পড়তে কাব্য ক্লাস এ গেলো। তারপর সে পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছে। পড়াতে পড়াতে এক ঘন্টা হয়ে গেলো। ওর ক্লাস শেষ করে। ছুটি নিয়ে বাড়ি দিকে রওনা দিলো।
চলবে,,