#বাঁধিবো_প্রণয়ের_বাহুডোরে
পর্বঃ-০৭
#দিপ্তী অরণ্য
কাব্য বাসায় এসে ফ্রেশে হয়ে শুভ্রার পাশে শুয়ে পড়ে আকস্মিক ঠান্ডা হাত পড়াতে শুভ্রা কেঁপে উঠে। ঘুমের রেশ ভরা চোখে পাশে তাকিয়ে দেখে কাব্য শুয়ে আছে। কাব্য আরো আটষাট্ট বেঁধে শুভ্রা কে পেঁচিয়ে ধরে শুভ্রা আরো কেঁপে উঠে। কাব্য শুভ্রার নাকে নাক ঘষে বললো,, এমন কাঁপছো কেনো??
আপনার শরীর প্রচন্ড ঠান্ডা। তাই ঠান্ডায় কেঁপে উঠছি।
কাব্য হেসে বললো,, বেশ তো আমার ঠান্ডা শরীরটা কে তুমি তোমার শরীরের উষ্ণতায় উষ্ণ আর্দ্র করে দেও।
ছিহ্ আপনি এই জন্য কলেজ থেকে এতো তারাতাড়ি এসে গেছেন। আপনি মানুষ টা তো খুব খারাপ। যান আমি ঘুমাবো।
এতো কিসের ঘুম হুম কোন ঘুম নয়। এখন আমরা প্রেম সাগরের অতল ঢেউ এ ভেসে যাবো। তোমরা কোন মানা ই শুনবো না বলে এক ঝটকায় কাব্য শুভ্রার উপরে উঠে শুভ্রার জামার কাঁধ নামিয়ে শুভ্রার কাঁধে মুখ গুজলো। তারপর কাঁধ থেকে মুখ টা উঠিয়ে শুভ্রার হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরে হাতের আঙুলে ভাঁজে নিজের আঙুল মিলিয়ে দিয়ে ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো। কালকের কাব্যের সাথে আজকের কাব্য মিলাতে পারছে না আজকে কাব্য ভারি উম্মাদ হয়ে যাচ্ছে। আর শুভ্রা কাব্যের এই উম্মাদনা সহ্য করে নিচ্ছে।
………..
ক্লান্ত ব্যাথাতুর শরীর টা নিয়ে কাব্যের বুকে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছে শুভ্রা। কাব্য এক হাত দিয়ে শুভ্রা কে আগলে রেখেছে। হঠাৎ ঘরের দরজায় লক পড়লো। বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো কাব্য। ফ্লোরে পড়ে থাকা শার্ট টা পড়ে নিয়ে দরজা খুলে দিয়ে দেখলো তার মা।
কাব্য তার মাকে দেখে বললো,,, মা কিছু বলবে??
খাবি তোরা দুপুর তো হয়েছে । শুভ্রা কোথায়?
মা ও ঘুমাছে। আমি ও ঘুমাবো তুমি খেয়ে নেও।
সে কি শুভ্রার কি খুব শরীর খারাপ?
না মা ঠিক হয়ে যাবে। তুমি খেয়ে নেও।
ঠিক আছে আমি খেয়ে নিচ্ছি আর টেবিলে সব খাবার ঢাকা দিয়ে থাকবে। গরম করে খেয়ে নিবি।
ঠিক আছে মা।
ওনি চলে গেলেন চলে যাওয়ার পর কাব্য রুমে ঢুকে দরজা টা লাগিয়ে দিয়ে শুভ্রার পাশে গিয়ে শুভ্রা কে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেলো।
সন্ধ্যার একটু আগে শুভ্রা উঠলো। শুভ্রা উঠে দেখে কাব্য ল্যাপটপ নিয়ে সোফায় বসে কাজ করছে। শুভ্রা কে উঠে বসতে দেখে কাব্য সোফা থেকে উঠে বিছানায় গিয়ে বসে শুভ্রার পাশে গিয়ে বসে বললো,, গুড ইভিনিং ম্যাডাম,,
শুভ্রা চোখ বড় বড় করে বললো কি ইভিনিং,, হাই আল্লাহ্ সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আর আপনি আমাকে ডাকলেন না।
রিলাক্স শুভ্রা সন্ধ্যা হয়েছে দেখে কি হয়েছে। তুমি ঘুমাছিলে তাই ডাকি নি।
এই বার যাও ফ্রেশ হয়ে নেও। তারপর খাওয়া দাওয়া করবে।
আপনি খেয়েছেন??
হুম আমি খেয়ে কাজ করছিলাম তুমি ঘুমাছিলে বলে আর ডাকিনি।
আলমারি থেকে এক সেট কাপড় বের করে দিয়ে বললো এই নেও ফ্রেশ হয়ে নেও আর শুনো গ্লিজার আছে অন করে নিবে। একদম ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করবে না। করলে তোমার খবর আছে।
না না আমি গ্লিজার অন করে গোসল করবো।
ঠিক আছে।
শুভ্রা বিছানা থেকে নিচে নামতে নিলে কাব্য এসে পাঁজা কোলে নিয়ে তারপর ওয়াশরুম এর ভিতর নিয়ে গিয়ে ফ্লোরে দাঁড় করিয়ে দেয়।
শুভ্রা বাংলা প্যাঁচার মতো মুখ টা করে বললো,, কোলে নিলেন কেনো আমি তো হেটে ই আসতে পাড়তাম।
আমি জানি তুমি পাড়তে কিন্তু আমি চাইনি আমার বিলাইয়ের বাচ্চার মতো নরম তুলতুলে বউ টা হেটে আসুক তাই আমি কোলে করে নিয়ে আসলাম
নেও ফ্রেশ হয়ে নেও। নাহলে আমি ই কিন্তু আপনাকে ফ্রেশ করিয়ে দিবো। কি ম্যাডাম দিবো না কি করিয়ে?
ছিহ্ এক দম না আমি নিজে থেকে ই করে নিবো। আপনি যান।
কাব্য ঠোঁট কামড়ে হেসে দরজা টা ভিড়িয়ে দিয়ে সোফায় গিয়ে বসলো।
ঘন্টাখানিক বাদ শুভ্রা ফ্রেশ হয়ে বের হতেই দেখলো কাব্য খাবার নিয়ে বসে আছে। শুভ্রা ভেজা জামা কাপড় গুলো বেলকনিতে মেলে দিয়ে এসে বিছানায় বসতেই কাব্য শুভ্রার সামনে খাবার ধরলো।
শুভ্রা সুন্দর করে একের পর এক খাবার খেয়ে নিলো।
শুভ্রার খাবার শেষ হতে ই কাব্য শুভ্রাকে নাপা এক্সটা খাইয়ে দিলো। তারপর কাব্য প্লেট গুলো কিচেনে রেখে এসে কাব্য রুমে এসে দরজা টা নক করে দিয়ে বললো শুভ্রা তোমার জন্য একটা গিফট নিয়ে এসেছি৷
কি গিফট?
দাঁড়াও এক মিনিট বলে কাব্য তার আলমারি টা খুলে একটা বক্স বের করে আবার আলমারি টা বন্ধ করে দিয়ে শুভ্রার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বক্স টা খুলে একটা চেইন বের করলো। চেইনে একটা লকেট আর লকেট টা স্টার এর মতো আর মাঝখানে নীল পাথর।
শুভ্রা বলে উঠলো ওয়াও অনেক সুন্দর তো।
তাই তো তোমার জন্য আনা। এইটা শুধু তোমার জন্য ই তৈরি হয়েছে এই ধরণীতে। আসো পড়িয়ে দেই বলে শুভ্রার গলাতে পড়িয়ে দিয়ে শুভ্রার গলাতে অনেকক্ষণ ঠোঁট চেপে ধরলো। তারপর ছেড়ে দিয়ে বললো,, এইটা কখনো খুলবে না। মনে থাকবে।
হুম থাকবে।
ভেরি গুড এখন পড়তে বসো।
চলবে,,,,
#বাঁধিবো_প্রণয়ের_বাহুডোরে
পর্বঃ-০৮
#দিপ্তী অরণ্য
বেশ কিছুদিন ধরে শুভ্রা খেয়াল করছে কাব্যের মধ্যে অনেকটা চেঞ্জ এসেছে। হুট করেই স্বাস্থ্য বেড়ে যাওয়া,, চোখ দুটো অদ্ভুত হয়ে যাওয়া আর রাতে ঘুম থেকে উঠে কোথাও চলে যাওয়া। এইসব শুভ্রা কে ভাবিয়ে তুলেছে। শুভ্রা পড়ার টেবিলে বসে বসে এসব ভাবছিলো। ঠিক সেই সময়ে কাব্য এসে শুভ্রার মাথায় টোকা দিলো। শুভ্রা হকচকিয়ে পিছন ফিরে তাকালো তাকিয়ে দেখলো,, কাব্য এক ভ্রুঁ উঁচিয়ে সন্দিহান চোখে তাকিয়ে আছে শুভ্রার দিকে। শুভ্রা একটু হেঁসে বললো,, আপনি কখন আসলেন??
আমি এসেছি অনেকক্ষণ হলো কিন্তু তার আগে তুমি বলো কি এতো ভাবছিলে?
তেমন কিছু না ওই আর কি বাবার কথা মনে পড়ছিলো। অনেক দিন তো হলো বাবা বিদেশ গেছেন এখনো আসছে না। তেমন ফোন ও তো করে না। আগে কত ফোন করত।
আরে বোকা বাবা তো একটা কাজে গিয়েছে আর তো তোমার আমার মতো একটা কেয়ারিং জামাই ছিলো না এখন আছে তাই নিশ্চিন্ত।
শুভ্রা ঠোঁট বাঁকিয়ে বললো,, ঢং।
ঢং এর কি আছে ঠিক ই তো বলেছি।
কিছু খাবেন দিবো?
হুম যদি বলি তোমায় খাবো দিবে খেতে??
আপনার খালি দুষ্টুমি। দুষ্টুমি না করে বলুন তো কি খাবেন??
নুডলস করো।
অকে করছি ফ্রেশ হয়ে নিন।
কাব্য চলে গেলো ফ্রেশ হতে। আর শুভ্রা গেলো রান্না ঘরে। শুভ্রা নুডলস এর জন্য পানি বসিয়ে দিয়ে দুই প্যাকেট নুডলস উপর থেকে নিয়ে নুডলস এর প্যাকেট ছিঁড়ে পানি তে ছেড়ে দিলো। তারপর পেঁয়াজ কুচি,, মরিচ কুঁচি করে নিলো। ফ্রিজ থেকে ডিম নিয়ে নিলো। নুডলস সিদ্ধ হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ঠান্ডা করে নিলো। একটা ফ্লাই প্লেন এ তেল বসিয়ে দিয়ে এক এক করে সব উপকরণ দিয়ে নাড়তে শুরু করলো। নুডলস হয়ে গেলে। দুটো বাটিতে নুডলস নিয়ে রুমে নিয়ে গিয়ে দেখে কাব্য বসে আছে বিছানার উপর। কাব্য নুডলস এর একটা বাটি এগিয়ে দিয়ে বললো নিন খেয়ে নিন।
কাব্য নুডলস এর বাটি টা নিয়ে খেতে শুরু করলো। শুভ্রা ও পাশে বসে খাচ্ছে। শুভ্রা খেতে খেতে বললো,, বাসায় একা একা ভালো লাগে না। মা বাবা কবে আসবেন??
আরো দেরি হবে বলেছে।
ওহ্।
কাব্য আর শুভ্রা নুডলস খাওয়া শেষ করে এক সাথে নিচে নেমে কিচেন রুমে গেলো। এঁটো বাটি দুটো রেখে দিয়ে। শুভ্রা কে বললো,, আজ রাতে কি খাবে ডিনারে কি খাবে??
কিছু একটা হলেই হলো।
বেশ তাহলে বিরিয়ানি রান্না করি।
আমি হেল্প করে দেই।
আরে না তোমার কিছু করতে হবে না তুমি যাও গিয়ে পড়তো বসো।
I.C.T আজ যেইটা দিয়েছি ওটা কমপ্লিট করো তাড়াতাড়ি। আমি রান্না করে এসে ধরবো তোমাকে।
শুভ্রার কাছে সব থেকে বেশি বিরক্ত কর সাবজেক্ট।
শুভ্রা কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কাব্য এক প্রকার জোড়েই বললো গো ফাস্ট।
শুভ্রা দৌড়ে রান্না ঘর থেকে চলে রুমে এসে পড়ার টেবিলে বসে পড়লো। আর এইদিকে কাব্য রান্না ঘরে রান্না করছে। ঘন্টা খানিক পর কাব্যের রান্না শেষ হতেই কাব্য রুমে গিয়ে দেখলো শুভ্রা পড়ার টেবিলে বই খোলা রেখে বই এর উপর ঘুমাছে। কাব্য হাসবে না কি কাঁদবে বুঝতে পারলো না এক দৃষ্টিতে শুভ্রার দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর শুভ্রার কাছে গিয়ে হাটু গেড়ে বসে বললো
❝ তুমাতে শুরু
তুমাতেই শেষ ❞
বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ডাক দিলো এই শুভ্রা উঠো রাত হয়েছে তো খেয়ে ঘুমাবে। নয়ত শরীর খারাপ করবে কই উঠো। কাব্যের ডাকে শুভ্রা একটু নড়েচড়ে উঠে পিট পিট করে তাকালো।
কাব্য বললো যাক ম্যাডাম তাহলে উঠেছেন আমি তো ভাবলাম আপনি বোধহয় উঠবেন ই না।
কি হয়েছে?
কিছুনা চলো খাবার হয়েছে খেয়েনিবে।
আপনি যান আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
আচ্ছা তারাতাড়ি এসো।
হুম।
কাব্য নিচে চলে গেলো। আর শুভ্রা ফ্রেশ হতে।
কাব্য আর শুভ্রা একসাথে বসে খাচ্ছে। শুভ্রা খাওয়ার বদলে ঝিমুছে। এইটা দেখে কাব্য বললো,, শুভ্রা তুমি বড্ড ফাঁকিবাজ। না ঝিমিয়ে খেয়ে ঘুমাও যাও।
শুভ্রা অল্প একটু খেয়ে বললে আর ভালো লাগছে না। আমি ঘুমাবো।
কাব্য চোখ রাঙিয়ে বললো চুপচাপ বসো আমি খাইয়ে দিচ্ছি। কাব্য শুভ্রা কে খাইয়ে দিচ্ছে আর শুভ্রা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খাচ্ছে। খাওয়া শেষ হতে হাত টা ধুয়ে শুভ্রা কে কোলে তুলে নিয়ে রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে দিলো। তারপর নিচে নেমে সব কিছু গুঁছিয়ে আবার রুমে গিয়ে শুভ্রার পাশে শুয়ে পড়লো। একদম শুভ্রা কে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেলো।
………………..
কলেজের জন্য রেডি হচ্ছে দুইজন। কাব্য শুভ্রার দিকে তাকিয়ে বললো কলেজে একা একা যেতে চাইছো যাও বাঁধা দিবো না। তবে সবাধানে যাবে আর সাবধানে থাকবে। কোন ছেলের সাথে তেমন কথা বলার দরকার নেই। আর শুনো সব সব দলের সাথে থাকবা আমি যেনো না দেখি তোমাকে একা একা এদিকে সেই দিকে না যেতে যদি দেখি তাহলে খবর আছে। মনে থাকবে।
হুম থাকবে। আমি কোন পাঁচ বছরের বাচ্চা না এতো চিন্তা করতে হবে।
কাব্য একটু ম্লান হেসে বললো,, তুমি পাঁচ বছরের বাচ্চা চাইতেই কম না।
শুভ্রা মুখ বাঁকালো।
কাব্য শুভ্রার কপালে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ালো।
শুভ্রা একটু হেসে বললো সাবধানে গাড়ি চালাবেন।
যথাআজ্ঞা মহারানী।
শুভ্রা কাব্যের থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে গেলো। কাব্য ও কাজের মহিলাকে সব টা বুঝিয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
শুভ্রা একটা রিকশা নিয়ে উঠে পড়লো। কাব্য ও গাড়ি তে উঠে পড়লো।
…..
কলেজ ক্যাম্পাসে বসে আড্ডায় মেতে উঠেছে শুভ্রা। আর দূর থেকে বাজ পাখির মতো নজর রাখছে কাব্য। কাব্যের পাশে সাকিব এসে দাঁড়ালো। কাব্য এক পলক সাকিব এর দিকে তাকিয়ে আবার শুভ্রার দিকে নজর দিলো।
সাকিব বললো,, দোস আজ তোর বাড়ির বাহিরে না হলেই পাড়তিস। বিপদ কখন কোথায় ওতপেতে আছে কেউ জানে না।
চিন্তা করিস না কিছু ই হবে না।
তোর কথা চিন্তা না করিস শুভ্রার কথা তো চিন্তা করতে পারতিস।
আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ওকে আগলে রাখবো। আসি কাব্য চৌধুরী যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আমি আগলে রাখবো যদি আমি না ও থাকি আমার আত্মা টা ওর আশেপাশে থাকবে।
তাও একটু সবধানে থাকিস।
হুম তুই ও।
শুভ্রা,, অনীক,, ফারাবী,, রিমি একটা বিষয় নিয়ে হাসছিল ঠিক সময় একটা ছেলে আসলো। শুভ্রার সামনে দাঁড়িয়ে বললো ,,, প্রিন্সিপাল স্যারের রুম টা কোন দিকে??
শুভ্রা ছেলে টিকে দেখিয়ে দেয়। ছেলে টা হেসে বললো থ্যাংক্স মিস. আপনি আমার উপকার করলেন আমি আপনাকে একটা গিফট দিলাম এই নিন এই ব্লাক রোজ টা আপনার জন্য।
শুভ্রার ফুল খুব পছন্দ তাই শুভ্রা হেসে ফুলটা নিলো। ছেলে টি চলে গেলো। শুভ্রা ফুল টার ঘ্রাণ শুঁকলো ঘ্রাণ টা কেমন যেনো ঝাঁঝালো।
এর এই মাঝে কলেজের বেল পড়ে গেলো সবাই ক্লাস রুম এর উদ্দেশ্যে গেলো। কাব্য ক্লাস করছে। কাব্য পড়া টা বুঝিয়ে দিচ্ছিলো যখন দেখলো শুভ্রা অণ্যমনষ্ক তখন কাব্য ডেকে উঠে বললো,,, মিসেস.চৌধুরী পড়ায় মনোযোগ দিন।
কাব্যের ডাকে সবাই শুভ্রার দিকে তাকলো। শুভ্রা একটু ইতস্তত বোধ করে আবার মনোযোগ দিলো। কিন্তু যেই কি সেই।
কাব্য এইবার রেগে গিয়ে বললো মিসেস. শুভ্রা বলুনতো এতোক্ষণ কি পড়াছিলাম।
শুভ্রা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কাব্য রাগে দাঁতগুলো কিড়মিড় করতে করতে বললো বাহিরে গিয়ে কান ধরে দাঁড়ান।
অগত্য বাধ্য হয়ে শুভ্রা ক্লাসের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে। এক পর্যায়ে শুভ্রার মাথা টা ঘুরে যায় আর শুভ্রা পড়ে যায়। আকস্মিক কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে সকলে বাহিরে যায় বাহিরে গিয়ে দেখে শুভ্রা পড়ে আছে। আর ঠোঁট গলা কেমন কালো।
চলবে,,,