#বাঁধিবো_প্রণয়ের_বাহুডোরে
পর্বঃ-১৩
#দিপ্তী অরণ্য
শুভ্রা কে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে কাব্য। কিন্তু শুভ্রার চোখে একটু ও ঘুম নেই। শরীরে ভাঁজে ভাঁজে ক্ষত হয়ে আছে। কাল শুভ্রা দেখেছে কাব্য নামক জানোয়ারের আসল রূপ। শুভ্রা খুব ভয় পাচ্ছে মনে মনে এখন ভাবছে কি ভাবে কি করবে ভাবতে ই মাথা টা চক্কর দিয়ে উঠছে। এর ই মধ্যে কাব্য শুভ্রার ঘাড়ে মুখ ঘষছে। শুভ্রা চোখ মুখ খিঁচে চুপ করে শুয়ে আছে। কাব্য এইবার এক টানে শুভ্রা কে ওর দিকে ঘুরিয়ে নাকে নাক ঘষে বলছে,, খুব রাগ করেছো??
আপনার এই সব আদিখ্যেতা বন্ধ করুন। আপনার ছোঁয়া আমার কাছে বিষের মতো বিষাক্ত লাগছে। আপনার থেকে মুক্তি চাই।
কাব্য শুভ্রার কানে ফিসফিসে বলল,, এই বিষ ই তোর আজীবন সহ্য করতে হবে। তোর মুক্তি নেই বুঝলি বলে শুভ্রার ঠোঁটে পাগলের মতো কিস করে ছেড়ে দিয়ে তারপর উঠে গেলো ফ্রেশ হতে। শুভ্রা বসে বসে কাঁদছে। শুভ্রা মনে মনে ভাবলো সে পালিয়ে যাবে। থাকবে না কাব্যের কাছে।
কাব্য আসতে ই শুভ্রা তার ব্যথাতুর শরীর টা নিয়ে ফ্রেশ হতে গেলো।ফ্রেশ হয়ে এসে শুয়ে পড়লো। কাব্য শুভ্রার জন্য খাবার নিয়ে এসে দেখে শুভ্রা শুয়ে আছে। কাব্য শুভ্রার কাছে গিয়ে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে শুভ্রা চোখ মেলে তাকাতে দেখে কাব্য বসে আছে শুভ্রা মুখটা ঘুরিয়ে নিতে কাব্য তপ্ত শ্বাঃস ফেলে বললো,, উঠ উঠে খেয়ে নেও।
ইচ্ছে করছে না।
না করলে ও খেতে হবে।
আমার কি ইচ্ছে অন ইচ্ছে বলে কিছু নেই। বিয়ে করেছেন বলে কি কিনে নিয়েছেন??
শুভ্রা এইবার বেশি বেশি হচ্ছে। তোমার সব কিছু আমাতে সীমাবদ্ধ। তোমার ইচ্ছে অন ইচ্ছে আমি ঠিক করবো তুমি না চুপচাপ খেয়ে নেও।
খাবার টা মুখের সামনে ধরতে শুভ্রা মুখটা ঘুরিয়ে নিলো। কাব্যের প্রচন্ড রাগ উঠছে কিন্তু কাব্য নিজেকে সংযত করছে। কিন্তু আর কতক্ষণ রাখতে পারবে তা বুঝতে পারছে না। কাব্য মুখটা চেপে ধরে খাবার টা দিলো। শুভ্রা খাবার টা ফেলে দিতে নিলে কাব্য বললো,, আল্লাহ্ কসম শুভ্রা তুই যদি এখন খাবার টা ফেলে দিছ তাহলে আমার সব থেকে ভয়ংকর রূপ টা তুই দেখবি নাও ইউ ডিসাইড তুই কি করবি আর করবি না।
শুভ্রা কাব্যের কথা তোয়াক্কা করে মুখ থেকে খাবার টা ফেলে দিলো। মূহুর্তে কাব্য রেগে গেলো। কাব্য রেগে গিয়ে শুভ্রার চুলে মুঠি ধরে বললো,,, তোর সমস্যা কি?
আপনি আমার সমস্যা।
কাব্যের চোখ গুলো নীল হয়ে গেলো। খুব ভয়ংকর লাগছে।
শুভ্রা আবার বললো,, ছেড়ে দিন আমায়। আমি কোন মানুষ রূপী জানোয়ারে সাথে থাকবো না।
আমি মরে গেলেও তোকে ছাড়বো না। আমার আত্মার সাথে মিশে আছিস তুই।
কেনো ছাড়বেন না?? দেহের জন্য। দেহের প্রতি এতো লোভ আপনার।
চুলে মুঠি ধরে থাকার অবস্থায় কাব্য শুভ্রার গালে ঠাটিয়ে দিলো এক থাপ্পড়। অতিরিক্ত রাগে কাব্য তার বিষাক্ত লম্বা জিহ্বা বের করে আয়নাতে ছোঁবল দিলো মূহুর্তে আয়না টা ঝনঝন করে ভেঙ্গে গেলো। তারপর শুভ্রার দিকে আরেকটু ঝুঁকে বললো,, যদি দেহের প্রতি লোভ থাকতো তাহলে বিয়ের আগেই তোকে ভোগ করতে পারতাম। তোকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে আমার অন্দরমহলে তোকে নিয়ে আসতাম না। যদি দেহের প্রতি লোভ থাকতো তাহলে তো প্রতি রাতে নষ্টাদের কাছে যেতে পারতাম তোর কাছে ছুটে আসতাম না। আমি কাব্য চৌধুরী আমার একটা তুলিতে হাজার মেয়ের লাইন লেগে যাবো তাও সবকিছু ঊর্ধ্বে আমার তোকে ই চাই। প্রয়োজনে পা শিকড় বেঁধে রাখবো।
এখন চুপচাপ খাবার টা খেয়ে নে নয়তো আমার আরো খারাপ রূপের সাক্ষী হবি।
হবেন ই তো খারাপ জানোয়ার তো।
তোমাদের মানুষের থেকে ও ভালো। কাব্য শুভ্রা কে জোড় করে ই খাইয়ে দিচ্ছে। খাওয়া শেষ হতে শুভ্রা শুয়ে পড়তে কাব্য ও শুভ্রার পাশে শুয়ে পড়লো। তারপর শুভ্রার পেটে ধরে টেনে শুভ্রা কে তার কাছে নিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে।
শুভ্রা চুপচাপ শুয়ে থাকে কোন টু শব্দ করে না৷
আচমকা কলিং বেল বাজতে শুভ্রা আর কাব্য একটু অবকা হলো। এই অসময়ে কে এলো তাদের মনে এই প্রশ্ন টা উঁকি দিলো।
কাব্য বিছানা থেকে নামতে ই শুভ্রা নামলো। শুভ্রা রুমের দরজার কাছে আসতে নিলে কাব্য বলে আগে আমি দেখি কে তারপর তুমি নিজে আসবা এর আগে।
শুভ্রা মুখ খুলে কিছু বলতে নিলে কাব্য বলে উঁহুম কোন তর্ক যেনো না শুনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকো এইখানে।
কাব্য নিচে গিয়ে মেইন ডোর টা খুলতে ই দেখতে পেলো শুভ্রার বাবা এসেছে। কাব্য অনেক টা অবাক হলো। কাব্য সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করে বসতে বলে শুভ্রা কে ডাকছে এই শুভ্রা শুভ্রা এসো দেখে যাও বাবা এসেছেন। শুভ্রা কাব্যের ডাক শুনে নিচে নামতে যখন দেখলো তার বাবা,, তখন সে দৌড়ে গিয়ে তার বাবা কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।
পা”গ”লী মেয়ে আমার তুই কাঁদছিস কেনো বলতো,,
বাবা এতো দিন কোথায় ছিলে জানতো তোমায় কত টা মিস করেছি।
হুম জানি তো। ব্যবসা কাজে একটু বিজি ছিলাম। যাতো মা সব ব্যাগপত্র গুঁছিয়ে নে আমার সাথে বাড়ি যাবি।
শুভ্রা এই কথা টা শুনে তো মহা খুশি কাব্য কে জিভ বের করে ভেংচি কেটে তারপর উপরে চলে গেলো ব্যাগ পত্র গুঁছাতে।
কাব্য বললো,,, বাবাই ওকে রেখে যান। আমার জিনিস আমার কাছে ই থাক।
না আমার মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছি। যা কথা ছিলো তাই হবে কথার নড়চড় হবে না। তা তোমার বাবা মা কই।
ওনারা সিলেট গিয়েছেন একটু দরকারে চলে আসবে ৫-৬ দিনের ভিতরে।
ওহ্ আচ্ছা।
ওদের কথার মাঝে শুভ্রা ব্যাগ পত্র গুঁছিয়ে একদম রেডি হয়ে নিচে নেমে বললো বাবা চলো আমি রেডি।
শুভ্রার বাবা কাব্যের কাঁধে চাপড় দিয়ে বললো,, তো ইয়াং ম্যান এইবার আসি।
কাব্য শুভ্রার দিকে ক্ষিপ্ত নয়নে তাকিয়ে আছে। শুভ্রা যখন গাড়ি তে উঠতে যাবে ঠিক সেইসময় কাব্য শুভ্রার কানে কানে বললো,,, বাপের বাড়ি যাচ্ছো বলে বেশি নাঁচা নাচি কইরো না বউ। আমার নজর কিন্তু সর্বদা তোমার উপর থাকবে।
শুভ্রা মুখ ভেংচি দিলো।
কাব্য বলো,, বেশি ভেংচি দিয়ো না তাহলে তোমার মুখের নাজেহাল অবস্থা করে ফেলবো। সাবধানে থাকবে। নিজের যত্ন নিয়।
শুভ্রা রা গাড়ি তে উঠতে গাড়ি স্টার্ট দিলো। কাব্য কিছু অদৃশ্য রক্ষী দের পাঠিয়ে দিলো শুভ্রার পিছন পিছন।
শুভ্রা তো মহাখুশি কত দিন পর তার বাবা কে পেয়েছে। মনের শান্তিতে চোখ বন্ধ করে গাড়ির সিটে গা টা এলিয়ে দিলো।
চলবে,,
#বাঁধিবো_প্রণয়ের_বাহুডোরে
পর্বঃ১৪
#দিপ্তী অরণ্য
গাড়ির মধ্যে শুভ্রা কখন ঘুমিয়ে গেছিলো শুভ্রা নিজেই জানে না। ঘুম ভাঙ্গলো শুভ্রার বাবার ডাকে। শুভ্রা চোখ কচলে তার বাবার পানে তাকিয়ে বললো,, বাবা কি হয়েছে??
শুভ্রার বাবা ওনার মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,,, মা রে আমরা এসে গেছি আয়। রুমে গিয়ে না হয় ফ্রেশ হয়ে ঘুমাবি।
শুভ্রা আর কথা না বাড়িয়ে গাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়ে রুমের দিকে হাঁটা দিলো।
শুভ্রার বাবা ও শুভ্রার পিছন পিছন বাড়ির ভিতরে গেলো তারপর কাজের মহিলাকে সব বলে দিলো দুপুরে কি কি রান্না করতে হবে বলেই ওনি ওনার রুমের দিকে চলে গেলো।
শুভ্রা নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা টা এলিয়ে দিলো। এইদিক কাব্য মায়াবী আয়নাতে দেখে নিলো যে শুভ্রা কি কি করছে। সব দেখে কাব্য একটা বাঁকা হাসি দিয়ে বললো,, আমার খাঁচার বন্দী পাখিনী আমার কাছে ই থাকবে। তোমার ডেসটিনি আমি। আমার বোকা পাখি টা। তুমি আমার কাছে ই নিরাপদ অন্য কারও কাছে না।
কাব্য তপ্ত শ্বাঃস ফেলে সে তার বেলকনিতে গেলো। মনে পড়ছে সেই প্রথম দিনে কথা গুলো। যখন সে মানুষ রূপে ছিলো। কাব্যের জীবনে প্রথম ও শেষ ভালোবাসা কেবলই শুভ্রা। সব তো ঠিক ই ছিলো৷ কিন্তু একটা অভিশপ্ত রাত সব টা শেষ করে দিলো। কাব্য কে মানুষ থেকে সর্প মানব করে তুললো এইসব ভেবেই একটা দীর্ঘ শ্বাঃস ফেললো কাব্য। তারপর কিচেন এ গিয়ে কিছু রান্না করে। সে বের হয়ে গেলো।
চিৎকার চেঁচামেচি তে ঘুম ভাঙ্গলো শুভ্রার। ঘড়ি তে টাইম দেখে নিলো দুপুর ২ঃ৩০ বাজে। কিন্তু এখন কেউ তাকে ডাকে নি। শুভ্রা বসে হাই তুলছিলো ঠিক সেই সময় শুভ্রার দরজাতে নক পড়লো। শুভ্রা ভিতর থেকে বলে উঠলো এসো। শুভ্রা এসো বলতে ক্যাঁচ করে দরজা টা খুলে ভিতরে ঢুকে পড়লো,, ওর বাবা।
শুভ্রা তার বাবা কে দেখে মিষ্টি করে হাসি দেয়। তিনি মেয়ের পাশে এসে বসে। মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,, ঘুম হয়েছে আমার মা টার। শুভ্রা তার বাবার কোলে শুয়ে বললো,,, হুম হয়েছে। নিচে এতো চিৎকার চেঁচামেচি কিসের বাবা কে এসেছে?
তোমার খালাতো ভাই রানা। আমার সাথে ই এসেছে বিদেশ থেকে।
কই গাড়ি তে তো দেখলাম না।
আরে বোকা আমি কি আজ এসেছি না কি আমি তো কাল এসেছি। তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো বলে বলা হয়নি। যাও হাত মুখ ধুয়ে এসো। আমি খাবার টেবিলে যাচ্ছি বলে তিনি চলে গেলো।
শুভ্রা হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে চেয়ার টেনে বসে পড়লো। তারপর প্লেটে প্লেটে খাবার সার্ভ করে দিলো। আচমকাই শুভ্রার কাব্যের কথা মনে পড়ছে। রানা খাবার টা নাড়তে নাড়তে বলে উঠলো,, বাহ্ শুভ্রা বিয়ের পর তো তোমাকে অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছে। বিয়ের পর অনেক উন্নতি ই হচ্ছে তোমার।
শুভ্রা বিনিময়ে শুধু একটু হেঁসে খাবার খাচ্ছিলো যতবার খাবার খাচ্ছিলো ঠিক ততবার কাব্যের কথা মনে পড়ছে।
শুভ্রার বাবা বলে উঠলো,, মা শুভ্রা তুই আর রানা একটু ঘুরে আয় তো দেখি। রানা তো অনেদিন পর দেশে এসেছে ওকে নিয়ে একটু ঘুরে আসিস বিকালে। তোর মন টা ও ভালো লাগবে আর রানার ও ঘুরে দেখা হবে।
ঠিক আছে পাশের পার্ক টা তে ঘুরে আসবো।
শুভ্রা অল্প একটু খেয়ে হাত ধুয়ে উঠে যেতে নিলে তিনি বললেন ,, কি রে মা কিছু না খেয়ে উঠে যাচ্ছি কেনো?
বাবা আমার ভালো লাগছে না আর খেতে তাই। শুভ্রা আর কিছু না বলে ওর রুমে চলে এলো।
…..
কাব্য একটা পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। চারোদিকে ঘন জঙ্গল। এই গহীন জঙ্গলে সাধারণ মানুষের আসতে ভয় পাবে। কিন্তু কাব্য পায় না। কারন সে তো সাধারণ মানুষ নয়। সে যে এক সর্প মানব। যখন মন খারাপ হয় কাব্য এইখানে আসে আজো ও তার ব্যাধীক্রম নয়। এইটা সেই পাহাড় যেইখানে কাব্য মানুষ থেকে সর্প মানুষ হয়েছিলো। সেই অভিশপ্ত ভয়ংকর রাতের কথা কাব্য কখনো ভুলবে না। ছাড়বে না তাদের কে যাদের জন্য কাব্যের আজ এই দশা হলো। কিছু মুখোশধারী মানুষের জন্য কাব্যে আজ এই অবস্থা। চোখ বন্ধ করে কাব্য শুয়ে পড়ে পাহাড়ের ওই উঁচু ঢিলার উপরে। শূন্য আকাশের নিচে কাব্যের শুয়ে থাকতে বরাবর ই ভালো লাগে।
….
হুট করে কি হলো শুভ্রার শুভ্রা জানেন না তবে কাব্য কে মনে পড়ছে। লাগেজ টা খুলতেই সামনে বের হয়ে এলো একগুচ্ছ লাল কাঁচের চুড়ি আর একটা লাল জামদানী শাড়ি। কাব্য ওকে কিনে দিয়েছিলো কিন্তু কখনো পড়া হয়ে উঠে নি। হঠাৎ করে ই মন চাইলো একটু লাল শাড়ি পড়ে সাজতে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সুন্দর করে লাল শাড়ি পড়ে সেজে নিলো শুভ্রা। চোখে ঘন কাজল। ঠোঁটে হাল্কা কালারের লিপস্টিক। হাত ভর্তি লাল কালারে কাঁচের চুড়ি ব্যস এইটুকুতেই ওকে আরো বেশ লাগছে।
নিচ থেকে রানা ডাকলো। শুভ্রা রানার ডাক শুনে হাতে পাস ব্যাগ টা নিয়ে রুম থেকে বের হলো। রানা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শুভ্রার দিকে। শুভ্রা যে কখন রানার সামনে এসে দাঁড়ালো রানা বুঝতে পারেনি। রানা বললো,, তোমায় খুব সুন্দর লাগছে।
শুভ্রা শুধু একটু ম্লান হাসি দিলো।
রানা শুভ্রার দিকে তাকিয়ে বললো মন খারাপ।
না আমার মন খারাপ না আমি ঠিক আছি। ওদের মধ্যে আর কোন কথা হয়নি। ওরা গেট পেরিয়ে বড় রাস্তার মোড়ে উঠলো। শুভ্রা একটু অন্যমনষ্ক হয়ে হাঁটছিলো হঠাৎ ইটে হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে নিলে রানা ধরে ফেললো।
কাব্য ও শুয়া থেকে থপ করে চোখ খুঁলে ফেললো। শুভ্রা কে যে কাব্য ব্যার্ধীত অন্য কেউ টার্চ করেছে এইটা কাব্য বুঝে ফেলেছে। চোখ মুখে রাগের ছাঁপ। হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলেল। ঝড়েরবেগে সে ছুটে চলেছে শুভ্রার কাছে।
চলবে,,,