#বাঁধিব_প্রণয়ের_বাহুডোরে
পর্বঃ-০৩
#দিপ্তী অরণ্য
হঠাৎ ঘুমের মধ্যে মনে হলো শুভ্রাকে সাপের মতো কেউ জড়িয়ে আছে। ঘুম ঘুম চোখে কাব্য কে দেখে শুভ্রা জোড়ে চিৎকার করতে নিলেই কাব্য শুভ্রার মুখটা চেপে ধরে বলে এই মেয়ে চিৎকার করে পারা প্রতিবেশি জাগাতে চাইছো কেনো??
শুভ্র আমতা আমতা করে বলে স্যার আপনি এইখানে কখন আসলেন।
ওমা এইটা কেমন কথা আমার বউ আমার শ্বশুড়বাড়ি আমি যখন খুশি তখন আসবো তাতে তোমার কি?
বাবা..
উঁহুশ আমার শ্বশুড় মশাই পারমিশন দিয়েছে এবং কি কাল আমার সাথে যাবে আমার বাড়িতে।
কিন্তু কেনো??
ও মা বাসর করতে।
শুভ্রা ছোট ছোট চোখ করে বলে অসম্ভব আমি যাবো ও না আর এই রুমেও এখন থাকবো না আলাদা রুমে যাবো।
এই রুমের বাহিরে পা টা দিয়ে দেখো ঢেং কেটে লুলা বানিয়ে কোলে বসে আদর করবো।
এমা ছিহ্ আপনি না একজন স্যার আর আমার সাথে এই ভাষায় কথা বলছেন আপনার লজ্জা করে না।
ওমা লজ্জা করবে কেনো বেবী লিসেন টু মি ছেলেদের লজ্জা থাকতে নেই ছেলেদের লজ্জা থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আসবে না। আর বউ এর কাছে লজ্জা কিসের।
যারা লজ্জা পায় বউদের তারা কাপুরষ আর আমি বীর পুরুষ।
আমি কিন্তু বাবা কে ডাক দিবো।
দেও না করলো কে তোমার বাবা থাকলে তো আসবে ওনি অফিসের কাজে বিদেশে গেছেন কিছুদিনের জন্য কবে আসবে বলে যায়নি তবে বলেছে ৪ থেকে ৫ মাস লাগবে ই। যাওয়ার আগে তোমাকে আমার দায়িত্ব রেখে গেছে। এখন এতো রাতে বেশি কথা না বলে ঘুমিয়ে পড়ো।
শুভ্রা বালিশে মাথা রাখতেই কাব্য টেনে শুভ্রার কোমর জড়িয়ে ধরলো।
মূহুর্তে শুভ্রার শরীর কাটা দিয়ে উঠলো। আপনি আমাকে জড়িয়ে না ধরে কাইন্ডলি কোলবালিশ টা জড়িয়ে ধরুন।
তুমি ই আমার কোলবালিশ। এখন আর একটি কথা বললে,, তোমাকে বিলাইয়ের ছাও এর মতো ঘাড়ে ধরে জানালা দিয়ে টুপ করে ফেলো দিবো। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে ঘুমাও।
বেচারি শুভ্রা কি আর করবে অস্বস্তি নিয়েই চোখ বন্ধ করে রইলো।
সকালে ঘুমের মধ্যে সুরসুরি লাগার কারনে ঘুম ভেঙ্গে যায় শুভ্রার। শুভ্রা দেখলো কাব্য শুভ্রার গলাতে মুখ গুঁজে শুয়ে আছে। শুভ্রা কাঁপা কাঁপা গলাতে বললো,, এই যে শুনোন না সকাল হয়ে গেছে উঠুন কলেজে যেতে হবে তো।
শুভ্রার ডাকে পিট পিট করে চোখ খুললো কাব্য। চোখ খুলে বললো উঁহুম আজ তোমার কলেজে যাওয়ার দরকার নেই বাসায় ড্রব করে দিবো বাসায় থাকবে। মা বাবা খুব এক্সাইটেড তুমি বাসায় যাবে বলে। আজ কে ওদের সাথে সময় কাটাবে।
অকে তাহলে উঠুন আমি ফ্রেশ হবো।
তুমি উঠো আমাকে উঠাছো কেনো?
আপনি ই তো আমাকে..
হুম আমি তোমাকে কি বেবী?
কিছুনা ছাড়ুন।
ছাড়বো তবে আমার একটা কাজ আছে কাজ টা কমপ্লিট করেই ছাড়বো।
কি কাজ?
আই এম সরি শুভ্রা বেবী আমি অনেক চেষ্টা করেও পারিনি নিজেকে আটকাতে কথাটা বলেই কাব্য এক হাত দিয়ে শুভ্রার মুখ চেপে ধরে মুখটা আস্তে করে শুভ্রার গলাতে যেই তিল টা আছে ওই তিল টাতে প্রথম ঠোঁট চেপে ধরে তারপর আস্তে ধীরে দাঁত বসিয়ে একটা বাইট দেয়। শুভ্রা চোখ বন্ধ করে দিয়ে উঁহুম উঁহুম করলো।
কাব্য শুভ্রা কে ছেড়ে দিতে শুভ্রা শুয়া থেকে উঠে বসে ঠোঁট উল্টে কান্না করে দিয়ে বললো,, আপনি মানুষ না মনস্টার হাসবেন্ড।
কাব্য এক টানে শুভ্রাকে তার কোলে এনে ফেলে বলে আহ্ বেবী এখনি এমন করছো পরে কি করবে? যখন আমি গভীর ভাবে ছুঁয়ে দিবো তোমাকে তখন তো কেঁদে ও পাড়পাবে না। আমি কিন্তু এক ইঞ্চি ও ছাড় দিবো না। সো না কেঁদে নিজেকে প্রিপিয়ার করো মাই সুইট ওয়াইফ।
চলবে,,,