বাবার ভালোবাসা পর্ব-৪২ এবং শেষ পর্ব

0
821

#বাবার_ভালোবাসা

পর্বঃঅন্তিম পর্ব।
লেখাঃ রাইসার_আব্বু

দু’দিন পর রাজ কণার গায়ে হুলুদের দিন,তাদের বাড়িতে যায়। বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। কণাকে স্টেজে বসিয়ে রাখা হয়েছে। খুব সুন্দর লাগছে। সবাই হলুদ দিয়ে দিচ্ছে। রাজ রাইসাকে বলল মামনি তুমি হলুদ দিয়ে আসো। রাইসা বললো বাবাই তুমি যাও তারপর আমি যাবো। আমি আর কি করার । মেয়ের এমনিতে মন খারাপ তাই অল্প একটু হলুদ নিয়ে যখনি কণার গালে লাগাতে যাবে তখনি কণা রাজের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকালো ‘।এ দৃষ্টি যেন রাজের কলিজা ছিন্ন-ভিন্ন করে দিচ্ছে।

– রাজ চোখ বন্ধ করে কণার গালে একটু হলুদের আঁচড়ড় লাগিয়ে দিয়ে এসে পড়ল।
-কণা রাজের দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে।
মন চাচ্ছে অনেক কিছুই বলতে কিন্তু মন চাইলেই সবকিছু বলা যায় না। সে যে আরেকজনের বাগদত্তা।

এদিকে হলুদ দেওয়া শেষে রাজ রাইসাকে নিয়ে বাসায় এসে পড়ে। রাইসা থাকতে চাইলেও রাজ বুঝতে পারে তার এখানে থাকাটা সমিচীন নয়।
তাই বাসায় এসে পড়ে।

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে যখন ঘুমাতে যাবে তখন রাজের সেলফোনটা বেজে উঠে। ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে কথা বলল,’ রাজ একটু হসপিটাল আসবে?
” কি হয়েছে?
” রাজ বাবা আর বেঁচে নেই! কথাটা বলেই কেঁদে দিল। ”

” রাজ কথাকে কি বলবে বুঝতে পারছে না। তাই ফোনটা কেটে দিয়ে রাইসাকে বললো,’ মামনি তুমি বাসায় থেকো। আমার একটু হসপিটাল যেতে হবে। ” কথাটা বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো। ”

” রাজ হসপিটালে গিয়ে দেখে কথা তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। কথা রাজকে দেখেই, ‘ফুঁপিয়ে কান্না করে দিয়ে বললো,’ রাজ দেখো আমার বাবা কথা বলছে না। ‘ তুমি বলো না বাবা যেন আমার সাথে কথা বলে। আমার যে আর আপন বলতে এ পৃথিবীতে কেউ রইল। এই রাজ তুমি বলো আমার বাবাই মরেনি। ডাক্তার মিথ্যা বলছে আমার সাথে। আমার বাবা ঘুমিয়ে আছে তাই না রাজ?”

” কথা প্লিজ শান্ত হও এভাবে কান্না করো না।”

” রাজ বলো না বাবাইকে কথা বলতে। এই রাজ আমার বাবাকে তুমি ক্ষমা করে দিয়েছো তো?”

” কথা কি সব বলছো এখন? বাদ দাও না ওসব। আঙ্কেলের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। এখন কান্নাকাটি করো না আঙ্কেলের দাফন করতে হবে।
” কথা তবুও কান্না থামাচ্ছে না। রাজ কিছু লোক নিয়ে কথার বাবার কাফন-দাফন সম্পূর্ণ করে কথাকে বললো,’কিছু খেয়ে নেন ।

” রাজ আজ থেকে আমার কেউ রইল না। দুঃখ কষ্ট পেলে বাবার বুকে আশ্রয় নিতাম। এখন তো আমার আর কেউ রইল না। ”

” কথা এভাবে কান্না করো না। এভাবে কান্না করলে আল্লাহ তায়ালা নারাজ হবে।” রাজ কথাটা শেষ করে কথার দিকে তাকাতেই দেখে কথাটা মাটিতে পড়ে আছে।

” রাজ কথাকে দু’বার ডাক দিতেই বুঝতে পারলো কথা সেন্সলেন্স হয়ে গেছে। তাই তাড়াহুড়া করে অ্যাম্বুলেন্সে করে হসপিটালে এডমিট করলো। ”

” এদিকে রাজ ডাক্তার সিয়ামের সামনে বসে আছে। রাইসা বারবার ফোন দিচ্ছে। রাজ ফোনটা সুইচটপ করে ডাক্তারকে বললো,’ ডাক্তার সাহেব কথার কি হয়েছে?”কেন আপনি জানেন না?”

” কি জানবো বলেন?”

” কথার ক্যান্সার হয়েছে লাস্ট টেজে আছে। বলছিলাম তাকে ট্রিটমেন্ট করতে। কিন্তু তিনি তার বাবার ট্রিটমেন্টটাকেই প্রাধান্য দিয়েছে। কিন্তু দেখেন তার আগে তার বাবাই চলে গেল দুনিয়া থেকে। ”

” শুনেন যতটাকা লাগে কথাকে সুস্থ করে তুলেন ডাক্তার।”

”মিঃ রাজ টাকা হলেই সবসময় সবকিছু করা সম্ভব হয় না। তবুও আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। ”

” আচ্ছা ডক্টর আমি তাহলে এখন আসি?”
”আচ্ছা ঠিক আছে। ”

” হসপিটাল থেকে বের হয়ে ফোনটা অন করতেই রাইসার ফোন বাবাই তুমি কোথায় আছো? আমার খুব টেনশন হচ্ছে। ”

” মামুনী টেনশন করো না। এইতো মিনিট ত্রিশেক লাগবে বাসায় যেতে। ”

” আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসো। ”

এদিকে রাজ বাসায় এসে দেখে রাইসা দরজা লাগিয়ে বসে আছে। কাজের মেয়েটা বলল,’ ভাইয়া রাইসা খুব রাগ করেছে রাত থেকে কিছুই খায়নি। ”

” রাজ বুঝতে পারল মহারানী টা খুব রাগ করেছে। তাই দরজায় হালকা নক করে বললো, ‘ মামনি আমি হসপিটালে ছিলাম। খুব ক্ষুধা লাগছে খাইয়ে দিবে না?’
” রাইসা হসপিটালেরর কথা শুনে, সাথে সাথেই দরজা খুলে দিয়ে রাজকে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘ বাবাই তোমার তো কিছু হয়নি? জানো তোমার জন্য কত চিন্তা করেছি। চলো খাবে। খেতে খেতে রাজ সবকিছু বললো। খাওয়া শেষ হলে রাইসা বললো,’ বাবাই রেডি হও কণা আন্টির বিয়েতে যেতে হবে ভুলে গেছো?”

” না ভুলিনি, আচ্ছা আমি রেডি হচ্ছি তুমিও রেডি হও। ”

‘সন্ধায় রাজ রাইসাকে নিয়ে কণাদের বাসায় এসেছে। বাসাটা আজ খুব সুন্দর করে সাজানো। রাজ বিয়ে বাড়ির চতুর্দিকে পড়ক করে নিচ্ছে। এমন সময় একটা মেয়ে এসে বললো,’ আপনি কি রাজ? কণা আপু আপনাকে দু’তলায় ডাকছে। ”

” রাজ ক্ষানিক ভেবে বললো,’ তুমি যাও আমি আসছি।”

” কিছুক্ষণ পর রাজ কণার রুমের দরজায় গিয়ে দাঁড়াতরই রুমের ভেতর তার কয়েকটা বান্ধবী ছিল। তাদের বের হয়ে যেতে বললো। রাজ রুমে প্রবেশ করেই বললো,’ ডেকেছিলেন আপনি?’

‘ হ্যাঁ।
” ওহ্ আচ্ছা! তা কিসের জন্য?”

” আচ্ছা রাজ একটা মেয়ে তার বিয়ের আগে তার বান্ধবীদের রুম থেকে বের করে দিয়ে অন্য একটা ছেলেকে কি বলতে পারে?
‘রাজ বুঝতে পারলো কি হতে যাচ্ছে। তবুও বললো,’ কি হতে পারে?”

” রাজ আমি পারবো না এ বিয়ে করতে! আমি চোখ বন্ধ করলেও তোমাকে দেখতে পায়। আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।”

” কণা কি বলছো এসব? তুমি কি ভেবে বলছো তুমি কি বলতে চাচ্ছো? তোমার মা কতটা কস্ট পাবে জানো? তাছাড়া আমি পারবো না নিজের জীবনের সাথে তোমাকে জড়াতে। ‘”

” রাজ তুমি শুধু একবার বলো বিয়ে করবে আমায়? তোমাকে ছাড়া আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। রাজ হ্যাঁ বলে দাও। ‘ আমি বিয়েটা করবো না। আমার জীবনের প্রথম প্রেম তুমি। আমি শুধু রাইসার মা হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।
” কণা যা বলছো আর বলো না। আর হ্যাঁ আমি জানি তুমি রাইসাকে ভালোবাসো। কিন্তু সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের কারণেই একসময় রাইসা তোমার পর হয়ে যাবে। আমি চাই না আমার মেয়েটা কষ্ট পাক। তাছাড়া এ সমাজ মানবে না। দু’টি পরিবারের মানসম্মান পায়ের নিচে পিষে ফেলতে পারবো না আমাদের সুখের জন্য। আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আর তুমি যদি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো তাহলে বিয়েটা করে নিয়ো। ” এই বলে রাজ বের হয়ে আসলো। রাজ স্পর্ষ্ট দেখতে পেল কনার কাজল লেপ্টে যাচ্ছে। খুব করে ইচ্ছে করছে, চোখের পানিটা মুছে দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিতে। কিন্তু মন চাইলেই সবকিছু করা যায় না।

” দেখতে দেখতে বর এসে যায়। রাজের সামনেই কণার বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়। রুম থেকে বাহির হওয়ার পর কণা একবারো রাজের দিকে তাকায়নি। কিন্তু যখন গাড়িতে চড়ে স্বামীর বাড়ি যাবে। তখন রাইসাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে গালে মুখে চুমু দিয়ে বলেছিল, ‘ মামনি তোমার ডাক্তার আন্টিটাকে ভুলে যেয়ো না। আর বাবাইকে দেখে রেখো। কথাটা বলে ” শেষ বারের মতো রাজের দিকে এক পলক ফেলে কণা গাড়িতে উঠে যায়।

” কণার সেই চাহনী রাজকে পুড়ে ছার-খার করে দিচ্ছি। সেদিনের রাতটা আর ঘুমাতে পারলো না। ফজরের নামায পড়ে একটু ঘুমালো।

– এদিকে সপ্তাখানেক পর রাজ রাইসার গানের রেকর্ড করে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ রাস্তার জট দেখে রাজ গাড়ি থামায়। গাড়ি থেকে নেমেই একটু কাছে যেতেই দেখে কে যেন একসিডেন্ট করে পড়ে আছে। রাজ কাছে গিয়েই দেখে নীলয়।

”রাজ নীলয়কে রাস্তা থেকে তুলে সবাইকে বলছে, কেউ একটা অ্যাম্বুলেন্স খবর দাও। নীলয় রাজকে দেখে, রাজের হাতটা শক্ত করে ধরে।” কাঁপা কাপাঁ গলায় বলতে লাগে, ‘ রাজ ভাই অ্যাম্বুলেন্স পরে ডাকো। তার আগে আমাকে কিছু বলতে দাও।”

” ভাইয়া আমি অনেক বড় পাপী। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আজ আমার কেউ নেই, আমার স্ত্রী-বাবা সবাই আমেরিকা থেকে দেশে আসার পথে প্লেন দু’ঘটনায় মারা গেছে। আজ হয়তো আমিও যাবো। সত্যি বলতে তোমার যে একসিডেন্ট হয়েছিল সেটা আমি করেছিলাম। কথার সম্পত্তির লোভে। আজ আমার সম্পত্তি আমার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলেন? আপনি না ক্ষমা করলে যে আমি মরেও শান্তি পাবো না।”

” তুমি কোন কথা বলো না। আগে তোমাকে হসপিটালে নেয়। ”
এদিকে অ্যাম্বুলেন্স এসে যায়। নীলয়কে যখন অ্যাম্বুলেন্সে তুলবো এমন সময় নিলয় আবারো বললো,’ ভাই বলেন আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন?'”

– হ্যাঁ ভাই তুমার প্রতি আমার কোন অভিযোগগ নেই। তুমি তোমার ভুল বুঝতে পেয়েছ এতেই অনেক। কথাটা শেষ করতে না করতেই নীলয় এ দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়। পুলিশ এসে লাশ নিয়ে চলে যায়।

” দিনগুলি ভালোই কাটতেছিল। সকালে রাইসাকে কণা ফোন করেছিল, কণা নাকি তার হাসবেন্ডকে নিয়ে সামনে শুক্রবার বেড়াতে আসবে। রাইসা কথাটা বলে তার রুমে চলে গেলো। ”

” দুপুরে লাঞ্চের পর রাজ যখন ঘুমাবে এমন সময় ফোনটা বেজে ওঠে। ” ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে মেয়েলী কন্ঠে বললো,’ আপনি কি রাজ?”

” জ্বি আমি রাজ। আপনি কে?”

” আমি হসপিটাল থেকে বলছি একটু হসপিটালে আসবেন? সাথে আপনার মেয়েকেও নিয়ে আসবেন। ”

” কথার কিছু হয়েছে?”

” না তেমন কিছু না। আপনারা আসেন। ”

” রাজ রাইসাকে নিয়ে হসপিটালে গিয়ে দেখে কথার মুখে অক্সিজেন মাক্স লাগানো। রাজ ডাক্টারকে বললো, ‘ আমরা কি পেশেন্টের সাথে দেখা করতে পারি?”

” হুম অবশ্যই। তবে অল্প সময়ের মাঝেই কথা শেষ করবেন। আমি রাইসাকে নিয়ে কথার কেবিনে প্রবেশ করতেই। কথা আমাদের দেখে চোখের ইশারায় পাশে বসতে বলল। আমি রাইসাকে নিয়ে কথার ঠিক মাথার কাছটাতে বসলাম। কথা কি যেন বলতে চাচ্ছে, বুঝতেছি না। পরে নার্সকে বললাম নার্স মুখ থেকে অক্সিজেন মার্কস টা খুলে দিলো।
” রাজ তোমার হাতটা একটু দিবে?”

” আমি কিছু বললাম না। কথা আমার হাতটা তার বুকের উপর রেখে বললো,’ জানো রাজ আমার আর কোন কষ্ট লাগছে না।’ রাজ খুব ইচ্ছা ছিল আমার একটা সংসার হবে। রাইসাকে নিয়ে দুচোখ ভরে স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু আমারই ভুলে তোমাকে হারিয়ে ফেললাম। বাবাও কসম দিয়েছিল যদি নীলয়কে বিয়ে না করি বাবার মরা-মুখ দেখবো। তাই পারিনি, আমি হীরাকে কাঁচ ভেবে আর কাঁচকে হীরা ভেবে, রাইসা মামনীকে তোমাকে খুব কষ্ট দিয়েছি। আমি পারিনি তোমার জন্য অপেক্ষা করতে। পারিনি রাইসার মা হয়ে বেঁচে থাকতে। জানো নীলয় যখন আমাকে ডির্ভোস দিয়ে দেয়, তার ঠিক তিনদির পর আমি জানতে পারি আমার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। বিশ্বাস করো সেদিন অনেক খুশি হয়েছিলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম এটা আমার পাপের ফল। আমি জানি আমি আর বাঁচব না। তবে এ ভেবে শান্তি পাচ্ছি জীবনের শেষ সময়টাতে তোমাদের পাশে পাবো। রাইসা মা আমার একবার মা বলে ডাকবি? ডাক না একবার মা বলে। বুকের ভেতরটা দুমড়ে -মুচড়ে যাচ্ছে। মা’ ডাক না একবার।

” রাইসা একবার আমার দিকে চাচ্ছে আরেকবার কথার দিকে।”

” কি হলো মা ডাকবি না? তুই এখনো আমাকে ক্ষমা করিসনি মা? তোর মা টা অনেক পঁচা অনেক কষ্ট দিয়েছে তাই না?রাইসা মা আমার একটু ডাক।

” রাইসা এবার কান্না ভেজা কন্ঠে বললো’ মা, ও মা। ”

” কথা এবার কান্না করেই দিল, চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বললো মা একটু বুকে আয়। ”

” রাইসা ছোট্ট দুধের শিশুর মতো কথার বুকে মাথা রাখলো। কথা তার একহাতে রাইসার মাথায় হাত বুলাতে লাগল। আর বলতে লাগল আমি আজ দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি সুখী। আল্লাহ আমার তওবা কবুল করেছ। রাজ একবার মিথ্যা করে হলেও বলবে, ‘ ভালোবাসি তোমায়?”
বলো না শুনতে খুব ইচ্ছে করছে।

” আমি এবার আর থাকতে পারলাম না। নিজের অজান্তেই বলে ফেললাম,’ ভালোবাসি তোমায়!
” কথা এবার মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলে বললো,’ রাজ আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দাও না। ‘

” আমি কথার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিচ্ছি। হঠাৎ দেখলাম কথা ঘুমিয়ে গেছে।হ্যাঁ এই ঘুম আর কোনদিন ভাঙবে না। চোখের কার্ণিশ বেয়ে টপটপ করে কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল। রাইসা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,’ বাবাই আর কত কাঁদবে?’

” মায়ের সামনে যে সন্তানকে কাঁদতে হয় না। সবাই ছেড়ে গেলেও আমি ইনশা-আল্লাহ তোমায় ছেড়ে যাবো না। এবার একটু হাসো। এই বলে রাইসা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।

# এভাবেই শত বিপদাপদ পেরিয়ে বেঁচে থাকুক বাবা-মেয়ের ভালোবাসা।

#সমাপ্তসব