#বিনিদ্র_রজনী
#পর্ব_১৪
#মুমতাহিনা_তারিন
আজকে থেকে তুলির আর স্কুল যেতে হবে না তাই কোনো তাড়া নেই তুলির । শাপলা বেগম নামাজ পড়ে পাটি গুছিয়ে রাখতে রাখতে তুলির দিকে তাকালেন । তুলি উদাসীন চোখ নিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে হয়তো দ্বিধায় পরে গিয়েছে কি করবে । শাপলা বেগম হাতের তসবি ভাজ করা পাতির উপর রেখে তুলির পাশে বসলো ,,,তুলির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল –
” কি ভাবছিস এতো? ”
তুলি বাইরে দিক থেকে চোখ সরিয়ে শাপলা বেগমের দিকে অবুঝ দৃষ্টি নিয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো । কালকে রাত থেকে অনুভূতি শূন্য হয়ে গিয়েছে তুলি ,,,রাতে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পরেছিল কোনো ধরনের কথা কারোর সাথেই বলে নি ,,,,
” সত্যি বলবো নাকি মিথ্যে?”
তুলির কথায় হাসলো শাপলা বেগম ,,,চোখ দুটো ছোটো হয়ে গেলো হাসির সাথে সেই হাসিতে মুগ্ধ হলো তুলি ।
” অবশ্যই সত্যি বলবি,,”
” আমি কি করবো আম্মা?আমি যে কোনো দিশা খুঁজে পাচ্ছি না যেই বাড়িতে এতো অপমানিত হয়েছি সেই বাড়ি আমি কিভাবে পা রাখবো!!! যে স্বামী স্ত্রীকে রক্ষা করতে পারে না তার কাছে কি আদেও ফিরে যাওয়া উচিত?”
তুলির কথায় চিন্তায় পরে গেলো শাপলা বেগম । মুখে চিন্তার রেখাগুলো স্পষ্ট ভেবে লক্ষ্য করলো তুলি কিন্তু তাও একটা আশা অনিশ্চিত আশা নিয়ে শাপলা বেগমের দিকে তাকিয়ে আছে ,,
“আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখো যা হবে ভালোর জন্যই তুমি তার কাছে সাহায্য চাও,,আমার বলা কথা হয়তো তোমার জন্য কল্যাণকর নাও হতে পারে কিন্তু তার সিদ্ধান্ত সবসময় তোমার কল্যাণ থাকবে । আল্লাহর উপর বিশ্বাস আছে তো?”
” আছে ”
” তাহলে নিশ্চিন্ত থাকো যেমন ভাবে সব চলছে চলতে দাও”
তুলির কপালে একটা ভালোবাসার স্পর্শ একে দিয়ে উঠে পড়ল শাপলা বেগম তুলির জন্য ফলমূল কেটে দিয়ে আবার রান্না করতে হবে ।
________________________
নিলয়ের আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়েছে কালকে রাতে একটু কম ছিল কিন্তু ভোরের দিকে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় গ্রামে গিয়েছে নিলয় । যাওয়ার আগে তুলিকে দেখে গিয়েছে তুলির এমন অবস্থায় নিলয়ের থাকাটা জরুরি অনেক কখন কি হয় তার তো ঠিক নেই আর যদি মালতী বেগম বাড়ি ও থাকতো তাহলে টেনশন হতো না কিন্তু মালতী বেগম ছেলের কাছে গিয়েছে কিছুদিন যাবত । খুলনায় মালতীর বোনের বাড়ি অনেক দিন ধরে যাবো যাবো করেও যাওয়া হয় নি মালতী বেগমের ,,,যখন সুযোগ হয়েছে তখন আর সুযোগ হাত ছাড়া করে নি সে ,,,।
আদনান মুখ গম্ভির করে বসে আছে বসের সামনে । মোহাম্মদ মফিজ ইকবাল তীক্ষ্ণ চোখ দিয়ে আদনানকে পর্যবেক্ষণ করছে । আদনান এর প্রচুর অসস্তি লাগছে কিন্তু স্যার মানুষ কিছু বলা যাবে না আরো যেইখানে তার নিজের প্রয়োজন সেইখানে লজ্জা পেলে কাজ হবে না ।
মফিজ ইকবাল তার ভরাট কণ্ঠস্বরকে আরেকটু চাপ প্রয়োগ করে আদনানের উদ্দেশে বললো –
” তো তুমি চাচ্ছো বাড়ি বসে কাজ করতে?? তাও তিন মাসের জন্য?”
বসের হঠাৎ এমন কথা শুনে কিছুটা ককেপে উঠছিলো আদনান । নিজেকে শান্ত রাখার প্রয়াস চালাচ্ছে সে ,,,ভিতরে ভিতরে ভয় কাজ করছে যদি সর রাজি না হয় তাহে সমস্যা হয়ে যাবে । নিজের মুখের কাচুমাচু ভাবটা সরিয়ে অসহায় চেহারা বানিয়ে মফিজ ইকবালের দিকে তাকালো আদনান । তার জানা মতে মফিজ ইকবাল একজন ইমোশনাল মানুষ তাই যতটা সম্ভব বেদনা বেদনা কষ্ট ভরা দৃষ্টি নিয়ে তার দিকে তাকালো আদনান ,,, ইচ্ছাকৃত ভাবে কন্ঠে কান্না কান্না ভাব নিয়ে বললো –
” স্যার আমার ওয়াইফাই আই মিন ওয়াইফ প্রেগনেন্ট সাত মাস চলছে মেয়েটার খুব ভয় বুঝলেন একা একা সারাদিন থাকে,,,যদি কিছু হয়ে যায় আমাকে কাছে পাবে না তাই যদি পারমিশন দিতেন বাড়ি বসে কাজ করার অনেক ভালো হতো ,,,মেয়েটার মুখ শুকিয়ে যায় আমাকে বিদায় দিতে গেলে আমারও খুব খারাপ লাগে স্যার আপনার ও তো একটা মেয়ে আছে আপনি তো বোঝেনই ”
আদনান এর বেদনা ভরা কণ্ঠ শুনে মন গোল গেল মফিজ ইকবালের । মাথা নিচু করে হালকা ভাবে নাড়ালেন তার কল্পনায় ভেসে উঠলো একজন অসহায় নারী তার স্বামীকে বিদায় দিচ্ছে চোখে টলমলে জল নিয়ে । যদিও তার স্ত্রী একেবারে ধানী লঙ্কা তবুও তাকে খুব ভালোবাসে প্রথম যখন বাচ্চা হলো তাদের মফিজ সাহেব প্রায় সারাদিন তার কাছাকাছি থাকতো সুন্দর সুন্দর মুহুর্ত অতিবাহিত করতো । সব কিছু মাথায় রেখে পেপারে সাইন করে দিলো মফিজ সাহেব ।
” দেখো আদনান বাড়ি বসে কাজ করবে সমস্যা নেই । কিন্তু কোম্পানি তোমার জন্য নারায়ণগঞ্জের প্রজেক্ট না পায় তাহলে কিন্তু সমস্যা হয়েযাবে ”
” জ্বি স্যার সমস্যা নেই আমি বড়ই থেকেই সব কিছু তদারকি করবো আপনি নিশ্চিন্ত থাকেন”
” কথাটা যেনো মনে থাকে ”
আদনান মফিজ ইকবালের কেবিন থেকে বেরিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচলো ,,একটা লম্বা নিশ্বাস নিয়ে হাসতে হাসতে বাইরে বেরিয়ে আসলো । পার্কিং এরিয়ায় গাড়ি পার্ক করা আছে সেদিক টায় যাওয়ার আগেই অরোরার কণ্ঠ শুনেই পা থেমে গেলো ওর। অনেকদিন যাবত অরোরা কে দেখা যায় না আগের মত এসে কথা বলে না অরোরার তাতে আদনানের কোনো সমস্যা নেই কেনো না অরোরার সময় লাগবে হয়তো ,,,নিজে যে দোষ করেছে সেই ভার বইতে হবে তো । আদনান যে কম দোষ করেছে সেটা কোনো দিক দিয়েই মাফ যোগ্য নয় কিন্তু সে তো বুঝতে পেরেছে আর আদনান এই ভেবে শান্তি পাচ্ছে সন্তান এর ভালো ভবিষৎ আর জন্য হলেও তুলি আদনান এর কাছে আসবে এতো বড় রিস্ক নিবে না তুলি নিজের বাচ্চার জন্য ।
” কেমন আছিস”
মলিন হাসলো অরোরা ,,,চোখের নিচে গাঢ় কালি জমেছে অরোরার । মুখে কোনো ধরনের হাসির ঝলকানি দেখলো না আদনান । যেই মেয়েটা কথায় কথায় হাসত তার এই অবস্থা দেখে একটু দুঃখ লাগলো কিন্তু তার ও বা কি করার আছে!
” এইতো ভালো আদনান তোর সাথে একটু কথা ছিল”
” হ্যাঁ বল,,,,”
” তুলির সাথে আমাকে একটু দেখা করিয়ে দিবি?আমি শুধু একটু মাফ চাইবো একটা নিষ্পাপ শিশুর ভবিষৎ আমি তো অন্ধকারে ফেলে দিয়েছিলাম যদিও তুই বুঝতে পেরেছিস । তুই যদি তুলির কাছে না ফিরতি তাহলে হয়তো আমি কোনোদিন নিজেকে মাফ করতে পারতাম না । বড্ড অন্যায় কাজ করে ফেলেছি রে ”
অরোরার কথা শুনে কি বলবে আদনান! তুলির অবস্থা ভালো না কালকে মানসিক চাপের জন্য ঘুরে পরে গিয়েছিল এখন যদি আবার অরোরার সম্মুখীন হয় ওর জন্য অনেক খারাপ হবে । তুলির স্বাস্থ্য গত দিক বিবেচনা করে আদনান অরোরা বললো –
” দেখ তুলির অবস্থা একটু খারাপ আমি জানি না তুই কিভাবে জানলি আমি তুলির খোঁজ পেয়েছি । কিন্তু এখন তুলির সাথে দেখা করতে ঠিক হবে না । ”
” ঠিক আছে ,,,আমি যায় তবে ”
” কই যাবি? এইতো সামনেই”
” চল তাহলে আমার সাথে”
” হ্যাঁ যাওয়া যায় ”
গাড়িতে বসে আছে আদনান আর অরোরা কারোর মুখেই কোনো কথা নেই । আদনান সব জানে অরোরা তুলির বাচ্চার কথা জেনেও ওর সাথে এইসব করেছে কিন্তু আদনান অরোরা কে আর কিছু বলতে চাচ্ছে না । আদনান এর জীবনে অনেকটা সোনালী অতীত জুড়ে রয়েছে অরোরা ,,,যখন সে মানসিক দিক দিয়ে একেবারে বিপর্যস্ত ছিল তখন অরোরা পাশে ছিল,,, সাথে ছিল । তাই একটা ভুল একটা অপরাধ যাতে অরোরা নিজেও কষ্ট পাচ্ছে দেখে আদনান আর ওকে ঘাটতে চাইলো না । কিন্তু তুলি কি পারবে অরোরা কে মাফ করতে ? পারার কথা না কেনো না একটা মেয়ে সব সয়ে গেলেও নিজের চরিত্রে কালিমা লেপন করিকে মাফ করতে পারে না । অবশ্য সবাই এক কাতারে পড়ে না ,,,যে পারবে মাফ করতে সে নিঃসন্দেহে কোনো মহীয়সী নারী ই হবে ।
” আদনান আমাকে মাফ করে দিবি,,,আমি অজান্তেই বড় একটা পাপ করে ফেলেছি । আমি তুলির কাছে আর তোর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি আমাকে পারলে মাফ করে দিস ”
অরোরার কণ্ঠ কাপছে চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে গেল বেয়ে কোনো মুখে যে তুলির সামনে দাড়াবে অরোরা বুঝতে পারছে না । আদনান অরোরার কণ্ঠ শুনতে পেয়ে একটু থমকালো ,,,একটা বড় বড় গাছের নিচে গাড়ি পার্ক করে অরোরা কে নামতে বললো ।
চোখের জলে গেল ভিজে গেছে বার বার মুছতে মুছতে লাল হয়ে গিয়েছে দুইপাশ নাকটা লাল হয়ে আছে অরোরার । সামনে বড় একটা লেক বড় ঘাস গুলো মাথা উচিয়ে দাড়িয়ে আছে ,,নরম ঘাসের মাঝে মাঝে বেগুনি রঙের ফুল গুলো স্পর্শ করছে অরোরা । পাশে আদনান বাবু হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে ।
” দেখ অরু আমি হয়তো তোকে মাফ করে দেব,, সত্যি বলতে আমার তোর প্রতি কোনো অভিযোগ নেই কারণ আমার অভিযোগ আমাকে নিয়ে । আমি যদি নিজের রাগ টা কন্ট্রোল করতে পারতাম এতো কিছুই হতো না আমি জানি তুই কেমন ,,মানুষ মাত্রই ভুল হয় আমি তোর এইটা ভুল ভেবে মাফ করে দিলেও হয়তো তুলি পারবে না ,,,তুলি কেনো কোনো মেয়েই এইগুলো সহ্য করবে না । আমি বিশ্বাস করি এতে তোর কোনো দোষ নেই সব দোষ আমার আমি ব্যার্থ নিজের সব জায়গা থেকে ”
অরোরার চোখের পানি আর নেই শুকিয়ে গিয়েছে । আলতো করে আদনান এর হাত ধরলো অরোরা একটু হাসার চেষ্টা করে বললো –
” আমি আমার কাছে ছোটো হয়ে গিয়েছে । ওইসব ভাবলেই আমার দম বন্ধ হয়ে আসে ,,,আমি জানি না আমার তখন কি হয়েছিল! আমি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম রে নিজের বিবেক বিসর্জন দিয়ে এতো বড় পাপ করে ফেলেছি আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারি না । তুই প্লিজ নিজের দোষ ভেবে ভুল করিস না আমি চায় তোরা খুশি হ আমি এই শহর ছেড়ে চলে যাবো ।। দূরে কোথাও চলে যাবো । ”
” তুই কাদিস না আর তুলির সামনে তুই যায় হস না কেনো আমার কাছে সেই ছোটো অরু আছিস ভুলে যাবি না এইটা”
তুলির চোখ বিষন্ন হলো । আকাশের দিকে তাকিয়ে বুকের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা নিশ্বাস টা গিলে নিল । না পাওয়া সব ইচ্ছাগুলো একবার ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছা হলো অরোরার ।
” আমি তোকে একটু জড়িয়ে ধরবো প্লিজ একটুসখানি”
আদনান হাত দুটো প্রসারিত করে দিলো ,,, অরোরা জাপটে ধরলো আদনানকে
তুই কেনো আমার হলি না! এতোই কি অযোগ্য ছিলাম আমি ,,, পনেরোটা বছর তোকে ভালোবেসেছি আমার কোলে কত বার তুই ঘুমিয়েছিস আমি হিসেব রাখি নি! আমাকে একটু ভালোবাসলে কি হতো তোর! একটু ভালোবাসা দিতিস আমি তোকে পৃথিবীর সব সুখ এনে দিতাম,,কেনো আমাকে ভালবাসলী না আদনান কেনো! আমি এতটা ও খারাপ নারে আমি শুধু চেয়েছি তুই ভালো থাক ,,,তোর সুখ যখন তুলির কাছে তখন সেখানে আমি কিভাবে তোদের মাঝে আসবো,,,আমি আজীবন চেয়েছি তুই ভালো থাক এখ্নো চায় ভবিষ্যতে ও চাইবো ,,সব ভালবাসা পূর্ণতার হয় না আমার ভালোবাসা হয়তো তার মধ্যেই একটা ,,,,,মনে মনে এতো কথা বলতে পারলেও মুখে পারলো না,,এই আর্তচিৎকার করে যদি শুনতে পারতো!!! এই বুক যে তার নয় যেইখানে সে নিজেকে হাল্কা করবে ,,,চোখ তো বাধা মনে না নিজের মত বৃষ্টির ফোটার ন্যায় ঝরিয়ে যাচ্ছে বিন্দু বিন্দু জল ,,কিন্তু মন মনকে বেধে রেখেছে সে ,,,
এইটাই হয়তো আমাদের শেষ দেখা আদনান !এইখানেই হয়তো শেষ আমার একপাক্ষিক ভালোবাসায় তোকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ,,,
_______________________
তুলিদের বিল্ডিং এর নিচে দাড়িয়ে আছে আদনান যাবে কি যাবে না ভেবে হয়রান হয়ে যাচ্ছে সে,, হাত ভর্তি ফলমূল যা যেমন পেয়েছে সব কিনে এনেছে আদনান ,,। জানালা দিয়ে সব দেখছে শাপলা বেগম রোদ্দুরে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে আদনানের উজ্জ্বল ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গিয়েছে ,,,ঘেমে গিয়েছে শার্ট টা ,,,তুলি ঘুমাচ্ছে এখন রাতে ঘুমাতে পারে নি ঠিক ভাবে মাথা ব্যাথা করছিলো তাই । শাপলা বেগম শেষমেশ না পেরে বিছানা থেকে উঠে নিচে নামলেন মাথায় শাড়ির আঁচল ভালো ভাবে দিয়ে নিয়েছেন ।
শাপলা বেগম কে আসতে দেখে বোকার মত হাসলো আদনান । আম্মু বলতে খুব লজ্জা লাগে তার কিন্তু তাও বলতে হয় ,,,কাছে আসতেই নিজের ঠোট দুটো আরো প্রশস্ত করে হাসলো আদনান ,,,সালাম জানালো নিচের দিকে তাকিয়ে ,। সালামের উত্তর দিয়ে শাপলা বেগম বললেন –
” সেই কখন থেকে দেখছি দাড়িয়ে আছো,,চল আমার সাথে ”
শাপলা বেগম সামনে এগিয়ে গেলো তার পিছে পিছে যাচ্ছে আদনান । ঘরে ঢুকতেই নাকে আসলো বেলী ফুলের তীব্র মিষ্টি একটা গন্ধ ,,,এই গন্ধ টা তুলির থাকা স্টোর রুম থেকে বেরিয়ে পুরো ঘর ভরে যেত । আদনান ঘরে যেতে বলে শাপলা বেগম রান্নাঘরে ঢুকলেন অন্তত শরবত বানিয়ে দেওয়া যায় ।
মেনস পারফিউম আর খট খট শব্দে ঘুম ছুটে গেলো তুলির । চোখে খুলে বিস্ময়ে হা করে তাকিয়ে থাকলো সামনে,,,,আদনান নিচে বসে ফল কাটছে ।চোখ দুটো মুহূর্তেই রসগোল্লার ন্যায় বড় হয়ে গেলো তুলির,,, স্বপ্ন দেখছে ভেবে চোখ দুটো ভালো করে ডলে নিলো নাহ স্বপ্ন না সত্যি আদনান ,,,,কি আশ্চর্য!!!
চলবে,,,,