#বিয়ে
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-৩৬
অদ্রির গা থেকে ভেসে আসা সুবাসে ধ্রুব’র কন্ঠস্বর রোধ হয়ে আসে। ও বিব্রত হয়ে বলল,
— কি অবস্থা?
— কিছুই তো আমাকে বলেন না, আন্টিকে বলার কি দরকার? দিলেন তো আন্টিকে অসুস্থ করে, টেনশনে ফেলে!
ধ্রুব উদ্বিগ্ন বোধ করলো। মা’কে এসব বলে সে কি টেনশনে ফেলে দিলো নাকি? শায়লাকে এখনই এসব কথা বলা ওর মোটেও উচিৎ হয়নি৷ ধ্রুব হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বের হতে গেলে অদ্রি আটকালো,
— আন্টিকে ডিস্টার্ব করবেন না দয়া করে। ঔষধ খাইয়ে দিয়েছি, ঘুমাচ্ছেন এখন।
ধ্রুব একটু চিন্তামুক্ত হলো এবার। পা গুলো তার আত চলছে না যেন৷ ক্লান্ত ভঙ্গিতে সোফায় বসলো। গ্লাসের পানিটা ঢকঢক কর খেলো। অদ্রি একটু দূরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলো ওকে। ধ্রুব একটু তটস্থ হয়ে প্রসঙ্গটা আবার তুললো,
— মায়ের কাছ থেকে শুনেছো সবই। আমার আর কিছু বলতে হবে না দ্বিতীয়বার! আশা করি সবটা ঠিকঠাক মতোই হবে, আমি লয়্যারের সাথে কথা বলে নেবো..
ধ্রুব’র কথা শুনে অদ্রি চমকে গেলো। ধ্রুব তাহলে সত্যিই মজা করছে না? সত্যিই এমন একটা সিদ্ধান্ত সে নিয়েছে? ওর ঠিক বিশ্বাস হলো না। বরংচ
কিছুক্ষণ চুপ থেকে কাঠ গলায় বলল,
— আপনাকে এতকিছু করতে কে বলেছে?
ধ্রুব চোখ তুলে তাকালো। অদ্রির মুখভঙ্গি লক্ষ্য করলো। ওর কিছুই ভালো লাগছে না। অদ্রি এটাকে এত হালকা ভাবে নিচ্ছে কেন? রাগ হচ্ছে প্রচন্ড৷
ধ্রুব রাগ চাপা দিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
— কারো পরামর্শে কাজ করার মানসিকতা আমার নেই। বাচ্চা বয়স কবেই ফেলে এসেছি। এত ভনিতা পছন্দ নয় আমার। আর এসবের জন্য আমি তোমার কাছে কোনো জবাবদিহিও করবো না। লাস্টলি, সেদিনের জন্য আমি মন থেকে অনুতপ্ত, তুমি চাইলে যেকোনো শাস্তি দিতে পারো। আমি মেনে নেবো। তবে এসবের জন্য আর বাড়তি তিক্ততা আমি চাই না। তাই এই সেপারেশনটা প্রয়োজন৷ তোমার জন্য বেটার হবে…
বলে গটগটিয়ে হেঁটে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। বেটার হবে? শুধু অদ্রির জন্য? অদ্রি ডিভোর্স চেয়েছে নাকি কোনোদিন? ও হতবিহ্বল, বিস্ময় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কিছু বলার শক্তি হারিয়েছে আপাতত! কোথাও প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। ধীরপায়ে হেঁটে অন্ধকার ব্যলকনিতে গিয়ে বসে রইলো ও৷ চোখ দিয়ে গড়ালো জলের ফোয়ারা৷ নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করলো সে, আচ্ছা ও কি মানসিকভাবে অসুস্থ? সম্পর্কটা এই পর্যন্ত আসার পেছনে অদ্রির একরোখা মনোভাবটাই কি সবচেয়ে দায়ী। নীরার কথাই তাহলে ঠিক? সহজ জিনিসকে শুধুমাত্র জটিলভাবে দেখার কারণে তার আর ধ্রুব’র সম্পর্কের আজ এই পরিণতি?
গাড়ি বেরোনোর শব্দে অদ্রির ঘোর কাটলো। এইতো কিছু সময় আগে অফিস থেকে ফিরলো ধ্রুব, এত
রাতে তাহলে কোথায় যাচ্ছে বুঝতে পারলো না অদ্রি!
সারারাত ঘুম হলো না অদ্রির। শুধু ধ্রুব’র বলা প্রতিটি নিষ্ঠুর বাক্য কানে বাজতে লাগলো। প্রথম থেকে আজপর্যন্ত! ধ্রুব’র রাগ করা, ওর বোকা বোকা কাজ, মায়ের চ্যালেঞ্জে হেরে যাওয়া, অদ্রিকে দেখে জেলাস হওয়া, অন্য কারো সাথে ওকে দেখলে ধ্রুব’র মাথা গরম করে ফেলা, ভালোবাসি বলা সবকিছু! দমবন্ধ করা সব স্মৃতি এক মুহূর্তের জন্যও ওর মন থেকে সরছে না।
ভোরের আলো তখনো ফোটেনি। অদ্রি গায়ে চাদর জড়িয়ে ছাদে গেলো। পূব আকাশে জ্বলজ্বল করছে মস্তবড় শুকতারা৷ তার পাশেই গোলাকার চাঁদ দ্যুতি ছড়াচ্ছে। চারপাশে আবছা অন্ধকার ছেয়ে আছে। শিশির জমে আছে গাছগুলোর পাতায় পাতায়! বাগানের খোঁয়াড়ের পাশ থেকে কুকুরের ঘেউঘেউ শোনা যাচ্ছে। ছোট্ট কুকুরাছানাটাও আজ কত বড় হয়ে গেছে। অদ্রি দোলনায় বসে আনমনা হয়ে রইলো। এই বাড়ির প্রতিটি কোণায় এখন অদ্রির একেকটা স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এই চমৎকার বাড়ি, ছোট্ট বাগান, ছাদের দোলনা আর এখানে শুয়ে দেখা বিশাল আকাশে তাকিয়ে থেকে কত দিন সে পৃথিবীটাকে দেখেছে, গুণে রাখা হয়নি! সবচেয়ে বড় কথা হুট করেই তার জীবনে চলে আসা মানুষগুলো ওকে এত ভালোবেসেছে, এত যত্ন নিয়েছে, ওদের সাথে এত এত স্মৃতি জমে গেছে, যেগুলো ছেড়ে যাবার কথা ভাবতেই অদ্রির দম বন্ধ হয়ে আসে৷ দ্বিতীয়বারের মতো মা-বাবা হারা হতে চায় না সে৷ অদ্রি রেলিঙ ঘেঁষে দাঁড়ালো। ওর কেমন মস্তিষ্ক উলটপালট লাগছে। ধ্রুবকে সে কোন মুখে বলবে ও সেপারেশন চায় না? কিন্তু এটাও তো ঠিক, অদ্রি ওকে ওর প্রাপ্য মর্যাদা দেয় নি কখনো! তাহলে কোন মুখে ধ্রুব’কে বলবে ও এই পরিবারের একজন হয়েই বাকি জীবন কাটাতে চায়? একটা মানুষ দিনরাত এক করে ওকে ভালোবেসেছে, বিনিময়ে সে শুধু ধ্রুবকে অবহেলাই করেছে! বাবার মতো অদ্রি নিজেও ভালোবাসার মর্যাদা দেয় নি। আচমকা অদ্রির মনে ভালোবাসা হারিয়ে ফেলার প্রচন্ড এক ভয় জেঁকে ধরলো!
বাড়ির পরিবেশ নিঃস্তব্ধ। কোথাও যেন প্রাণ নেই।
নীরব হাহাকারে সকলেরই মন ভার। আশফাক সাহেব চিন্তিত ভঙ্গিতে মুখভার করে থাকেন, শায়লা কান্নাকাটি করেন। আজ সাতদিন ধ্রুব বাড়িতে নেই, কোথাও একটা গেছে। কিন্তু সেটা সে কাউকেই জানাবে না। ওর একটাই কথা, ডিভোর্সের আগ পর্যন্ত ও কোনোভাবেই অদ্রির মুখোমুখি হবে না, হয়তো মায়ায় পড়ে আর ছাড়তেই চাইবে না ওকে। কিন্তু ওর চাওয়া-পাওয়া যখন মূল্যহীন অদ্রির কাছে; তখন শুধুশুধু স্বার্থপরের
মতো ওকে আটকেও রাখতে চায় না ধ্রুব! এই তার শেষ কথা—
শায়লা অদ্রির সাথে কথা বলেছে, খুব করে বুঝিয়েছে, তবে জোর করে কিছুই করতে বলছে না। যে মন থেকে মানতে চায় না তাকে আর জোর করে কি লাভ? একবার জোর করে ছেলেমেয়ে দুটোকে মতের বিরুদ্ধে জুড়ে দিয়ে তিনি যে খুব বড় ভুল করেছেন সেটা হাড়ে হাড়েই টের পাচ্ছেন —অদ্রি যে কি চায়, সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না।
অদ্রির ভার্সিটি এক্সামের রেজাল্ট বের হয়েছে। ভার্সিটিতে নিজের পছন্দের সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগও পেয়েছে। নিজের স্বপ্ন পূরণের অন্যতম ধাপ পার করলেও অদ্রি সারাদিন বিষন্ন ভঙ্গিতে বারান্দায়
বসে থাকে আজকাল। চুলগুলো কেটে আরও ছোট করেছে। চোখভর্তি জল নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটায়। খাওয়াদাওয়া না করে শরীরের বেহাল দশা। শায়লা প্লেটে করে ভাত নিয়ে এসে দেখলেন অদ্রি সোফায় এলোমেলো হয়ে ঘুমিয়ে আছে। তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। ছেলে-মেয়ে দুটো দু’জনকে ভালোবাসে; এরপরেও এত বিরোধ, অভিমান! তিনি অদ্রির মাথার কাছে বসে ধীরস্বরে ওকে ডাকলেন। অদ্রি চোখ খুললো। শায়লাকে দেখেই ওঠে বসলো। এরপর হাসার চেষ্টা করে বলল,
— চোখটা লেগে গিয়েছিলো, কিছু বলবে?
শায়লা ওর পাশে বসতে বসতে বললেন,
— দুপুরের খাবারটা যে খাসনি, নিয়ে এসেছি। দেখি হা কর, না খেয়ে চেহারার কি হাল করেছিস…
অদ্রি না করলো না, বাধ্য মেয়ের মতো হা করলো। শায়লা অনিমেষ চোখে ওর খাওয়া দেখছেন! অদ্রি পুরো ওর মায়ের মতো হয়েছে, সেই চোখ, সেই নাক! ভুল করেও যে নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছের কথা মুখফুটে কাউকে বলতে পারতো না। এজন্য ছোটবেলায় কত মার খেয়েছেন তারও হিসেব নেই। ঠিক সেরকমই হয়েছে অদ্রি! শত কথা, অভিযোগ নিয়ে বসে থাকলেও নিজের মনের ভেতর পুষে রাখে সবকিছু! শায়লাকে অন্যমনস্ক দেখে অদ্রি বিরস গলায় প্রশ্ন করলো,
— তোমার কি রাগ হচ্ছে?
শায়লা হকচকিয়ে ওঠলেন,
— কেন?
— এইযে, আমারও জন্য তোমাদের ছেলে বাড়ি ছেড়েছে? আমি আসলেই তোমাদের ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য নই, তোমাদেরকে কষ্ট ছাড়া আর কিছু দিতে পারছি না…
শায়লা ব্যস্ত গলায় বললেন,
— মেয়ের মা হলে এটুকু কষ্ট সহ্য করতেই হবে। এটা বড় ব্যাপার নয়। তবে মা হিসেবে আমি চাইবো তোরা স্বাভাবিক জীবনযাপন কর, পেছনের সবকিছু ভুলে
যা। মানুষের জীবনে আরও কত ট্র্যাজেডি থাকে, সেসব ধরে পরে থাকলে কি জীবন চলবে?
অদ্রি সন্দিগ্ধ চোখে তাকালো,
— আচ্ছা আমি কি বোকা? পিছিয়ে পড়া মানুষ?
শায়লা হাসলেন,
— শুধু তুই না, আমার ছেলেও! দু’জনেই বোকা।
না হলে কি নিজের জীবনসঙ্গীকে কেউ এতদূরে ঠেলে রাখে? দমবন্ধ লাগে না? মনে হয় না পৃথিবী অন্ধকার? বেঁচে থাকা অর্থহীন?
অদ্রির ভ্রু দুটো কুঁচকে এলো। সত্যিই ধ্রুবকে ছাড়া সবকিছু অন্ধকার লাগে, দমবন্ধ হয়ে আসে। বেঁচে থাকা না থাকার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পায় না সে। শায়লা ওর মুখে ভাত তুলে দিতে দিতে বললেন,
— একটা সম্পর্কে প্রেম, ভালোবাসা, রাগ, জেদ, ঝগড়া, মতবিরোধ থাকবেই। তাই বলে ডিভোর্স নিতে হবে? কই, ত্রিশ বছরের সংসার জীবনে তোর আংকেলের সাথে কতশত, হাজার বার ঝগড়া, মারামারি করেছি; ডিভোর্স শব্দটাই তো জানতাম না….
শায়লার কথাগুলো শুনে আপ্লূত হলো অদ্রি। গম্ভীর হয়ে মনে মনে নিজেদের সম্পর্কের কথা ভাবলো সে! কি করা উচিৎ তা নিয়ে দোটানা তৈরি হলো। কিন্তু সে এবার মনের কথাই শুনলো!
____
শুক্রবার। অদ্রি বহুকষ্টে আন্দাজ করতে পেরেছে যে যতীনই একমাত্র ধ্রুব’র খবর জানে। সেজন্য ইমোশনাল কথাবার্তা আর একটু চাপ দিতেই যতীন সত্যটা বলে দিলো। ধ্রুব আছে রাদিফের সাথে, ওদের গ্রামের বাড়িতে। শুনে অদ্রি স্বস্তি পেলো। এরপর সময় বলেন নিয়ে ধ্রুব’র উদ্দেশ্যে ছোট একটা চিরকুট লিখলো; সে ডিভোর্স দিতে রাজি, তবে সেটা হবে সামনাসামনি৷ ধ্রুব যদি না আসে তাহলে ডিভোর্স তো দূরের কথা উল্টো অদ্রি এ বাড়ি ছেড়ে কোথাও একটা চলে যাবে। এটুকু লিখেই যতীনকে দিয়ে ধ্রুব’র কাছে পৌঁছালো চিরকুটটা। চিরকুট পেয়ে ধ্রুব শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেললো। শেষ পর্যন্ত ওর ভালোবাসা, বিশ্বাস মিথ্যেই প্রমাণিত হলো! জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে সে। যতই হোক, অদ্রি যখন সব খোলাখুলি বলেই দিলো তখন ধ্রুব’র আর কি! হয়তো সে কষ্ট পাবে, কিন্তু অদ্রির চাওয়াটা তো সে পূরণ করতে পারবে! গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো ধ্রুব। তার কোনো তাড়া নেই, পৃথিবীটা কেমন অন্ধকার ঠেকছে ওর চোখে৷ ওর মতো নিষ্ঠুর মেয়েই কেন তার কপালে ছিলো? হয়তো ওর হৃদয়টাকে পুড়িয়ে শেষ করার জন্যেই অদ্রি ওর জীবনে এসেছিলো।
ধ্রুব বাড়ি ফিরলো। ঘর অন্ধকার করে বসে রইলো। শায়লা দু-বার এসে খেতে ডেকে গেলো। কিন্তু ওর খিদে নেই জানিয়ে দিলো। এরপর কেটে গেলো অনেকটা সময়— অদ্রি ঘরে এলো। কিন্তু আলো জ্বালালো না। ধ্রুব’র সামনে এসে দাঁড়ালো। বললো,
— চলুন, বাইরে কোথাও যাই।
ধ্রুব চোয়াল শক্ত করে বসে থাকলো। অদ্রি কি ওকে গিনিপিগ মনে করছে? নিজের মতো অনুভূতিহীন ভাবে সবাইকে? গুণে গুণে বারোদিন পর ধ্রুব বাড়ি ফিরেছে, একটা সমস্যা চলছে দু’জনের মাঝে। এরপরও এই মেয়ে এত স্বাভাবিক আচরণ করছে যেন পৃথিবীর কোথাও, কিছু ঘটেনি! ধ্রুবকে চুপ থাকতে দেখে অদ্রি এবার জোরালো কন্ঠে বলল,
— শুনতে পাচ্ছেন না?
অনিচ্ছাবশত ধ্রুব উত্তর দিলো,
— আমি কোথাও যাবো না।
অদ্রি চেঁচিয়ে ওঠলো,
— যেতেই হবে, উঠুন তো…
ধ্রুব রেগে সটান ওঠে দাঁড়ালো। অদ্রির মুখখানি দু’হাতে আগলে ধরে অসংখ্য চুমুতে ভরিয়ে দিতে দিতে বলল,
— পারছি না, তোমার স্বাভাবিকতা আমি নিতে পারছি না….
অদ্রি আজ আটকালো না ওকে, বরং সামলালো। রাগ করলো না মোটেও। ধ্রুব’র দিকে নির্বিকার চেয়ে
থেকে ভ্রু কুঁচকে বলল,
— এত রাগ করলে হয়? চলুন বাইরে থেকে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করে আসি!
বলতে বলতে আলো জ্বালালো ঘরে। কাবার্ডের খুলে কাপড় বের করতে থাকলো। ধ্রুব সব অবলোকন করে অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে বলল,
— কেন? ডিভোর্স নিবে তাই?
অদ্রি ব্যস্ত গলায় উত্তর দিলো,
— না তো, নতুন বিবাহিত জীবনের জন্য! বিলটা
আমি পে করবো, রিকশা ভাড়া আপনি পে করবেন। ওকে?
.
[ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার পরীক্ষা চলছে, তাই দিতে বিলম্ব হতে পারে।]
চলবে…