বুকপকেটে তুমি পর্ব-০২

0
21

#বুকপকেটে_তুমি
#লেখায়_জান্নাতুন_নাঈম
#পর্ব_২

সরোয়ার টেবিলের উপর থেকে ফোন হাতে নেয়। মোবাইলের ওয়েল পেপারে নীলাঞ্জনার ছবি দেয়া ছিল।ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখতেই চমকে গেল সরোয়ার। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইল তার শখের নারীর দিকে। নীলাঞ্জনা হয়তো জানেনা সরোয়ার কতদিন দিন ধরে তাকে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। সরোয়ার মনে মনে ভাবতে থাকে নীলাঞ্জনা যখন জানতে পারবে সরোয়ারের শখের নারী নীলাঞ্জনা ছাড়া আর কেউ নয় তখন সে কি করবে। সরোয়ারের পুরো রাত চলে যায় নীলাঞ্জনার কথা ভাবতে ভাবতে।

সকালে নীলাঞ্জনা অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যেতে নিল। পিছন থেকে সিনথিয়া বলল, “এত সকালে অফিসে যাচ্ছো?”

নীলাঞ্জনা বলল, “সকাল কোথায়? প্রতিদিন তো এই সময়ে অফিসে যাই।এটা জিজ্ঞাসা করার কি আছে?”

সিনথিয়া বলল, “আব্বা বলল বিয়ে নাকি ২৮ তারিখ। এখন অফিসে না যাওয়ার জন্য।”

নীলাঞ্জনা ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বলল, “আব্বাকে বলো তিনি যেন এটা ভুলে না যায় আমি একজন সাংবাদিক। তাছাড়া বিয়ের দিন আসতে অনেক বাকি আছে”

সিনথিয়া বলল, “ আব্বা আরো বলছিল বিয়ের আগে চাকরি ছেড়ে দেয়ার জন্য”

নীলাঞ্জনা সিনথিয়ার কথায় কোন উত্তর দিলো না।নীলাঞ্জনা বাড়ির সামনে থেকে একটা সিএনজি নিয়ে সোজা আয়ান চৌধুরীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল।আয়ান চৌধুরীর বাড়িতে পুলিশের লোক এসেছে।আয়ান চৌধুরীর নিখোঁজের তদন্তের জন্য। সিএনজি থেকে নেমে বাড়ির গেটে প্রবেশ করতেই অফিসার শিকদারের সাথে দেখা।

অফিসার রাশেদ বলল, “তুমি তাহলে এসেছ? তোমার জন্যই অপেক্ষা।এর আগে পারমিতার কেস টা খুব সুন্দর ভাবে সমাধান করেছিলে। আশাকরি আয়ান চৌধুরীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তোমার কাছ থেকে সাহায্য পাবো”

নীলাঞ্জনা বলল, “আমি একটা ডকুমেন্টারি বানিয়েছি কাল রাতেই। আজকের দুপুর দুইটার খবরে সম্প্রচার করা হবে”

অফিসার রাশেদ বলল, “কিছু খুঁজে পেয়েছ?”

নীলাঞ্জনা বলল, “না। আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছি। উনি যেহেতু বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ হবার জায়গাটা দেখা দরকার আছে”

অফিসার রাশেদ বলল, “চলুন ভেতরে যাওয়া যাক”

অফিসার রাশেদ ও নীলাঞ্জনা দুজনে মিলে আয়ান চৌধুরীর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো।আয়ান চৌধুরী বাড়িতে একাই থাকেন।আরো আছে পাঁচ জন কাজের লোক। বাড়ির কাজের লোকেরা সব এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। অফিসার রাশেদ নীলাঞ্জনা কে সরাসরি সেই রুমে চলে গেল যেখান থেকে আয়ান চৌধুরী উধাও হয়েছে। রুমটা আয়ান চৌধুরীর ব্যক্তিগত লাইব্রেরী।পুরো ঘর বই ছাড়া আর কিছু নেই।

নীলাঞ্জনা বলল, “রুম সার্চ করেছেন?”

অফিসার রাশেদ বলল, “করেছি তবে কিছু পাইনি। তবে কিছু কাগজপত্র ছিল কেউ হয়তো জ্বালিয়ে দিয়েছে। শুধু কয়লা পড়ে ছিল”

নীলাঞ্জনা বলল, “এমন কোন নোটবুক।হতে পারে উনি নিখোঁজ হবার আগে কিছু লিখে গেছে”

অফিসার রাশেদ বলল, “নোটবুক মোবাইল ল্যাপটপ কিছুই পাইনি। এইগুলা কিছুই নেই।মনে হয় কেউ সরিয়ে নিয়েছে।”

নীলাঞ্জনা বলল, “উনার লাস্ট পোস্ট ছিলো প্রজেক্ট কে নিয়ে। উনার নিখোঁজ হওয়ার সাথে এই প্রজেক্ট জড়িত নেই তো”

অফিসার রাশেদ বলল, “কই এমন কোন পোস্ট তো আমি পাইনি। আমি এমন কোন প্রজেক্টের ব্যাপারেও শুনিনি”

নীলাঞ্জনা ফেসবুক আইডি থেকে করে দেখলো কেউ পোস্ট টা ডিলিট করে দিয়েছে। ফেসবুকের অনেক পোস্টই ডিলেট করে দেয়া হয়েছে। নীলাঞ্জনার কাছে পোস্টের স্ক্রিনশট রাখা ছিল।নীলাঞ্জনা বেশি কথা বাড়াল না।পুরো ঘর খুঁজে দেখার চেষ্টা করলো। হঠাৎ নীলাঞ্জনা বুক শেলফের মাঝে লক্ষ্য করলো একটা বইয়ের দিকে। একটা ডায়রি বইয়ের কভারের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। নীলাঞ্জনা বইটা নিয়ে নিল।

অফিসার রাশেদ বলল, “কি নিলে?”

নীলাঞ্জনা বলল, “একটা উপন্যাস স্যার।বইটা পড়ার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল। উনি ফিরে এলে উনাকে বলে নিব আর ফেরত ও দিয়ে দিব”

অফিসার রাশেদ বলল, “হ্যা গল্পের বই রাখতে পারো।শুনেছি তুমি অনেক গল্পের বই পড়ো”

নীলাঞ্জনা বলল, “বই পড়লে জ্ঞান বাড়ে।বই পড়া আমার শখ বলতে পারেন। আচ্ছা চলুন কাজের লোকেদের সাথে কথা বলা যাক”

অফিসার রাশেদ বলল, “আমি যদিও কথা বলেছি। তোমার কিছু জানার থাকলে জেনে নেও।”

নীলাঞ্জনা বলল, “হ্যা অবশ্যই। তবে যাওয়ার আগে রুমটার একটা ভিডিও ফুটেজ তুলে নেই”

নীলাঞ্জনা পুরো রুমের একটা ভিডিও তৈরি করে নিল।ডায়নিং রুমে কাজের লোকেরা অপেক্ষা করছে। পাঁচজন একসাথে দাঁড়িয়ে আছে।

নীলাঞ্জনা বলল, “কাল দুপুর তিনটায় উনি নিখোঁজ হয় তাই না। আচ্ছা উনি যে নিখোঁজ হয়ে যায় এটা কি করে বুঝলেন?”

কাজের মেয়ে রহিমা বলল, “দুপুরে খাবার দিতে গিয়ে দেখি উনি ঘরে নেই”

নীলাঞ্জনা বলল, “উনি ঘরে নেই আর তুমি ধরে নিলে যে উনি নিখোঁজ”

রহিমা বলল, “আমরা পুরো বাড়ি খুঁজেও স্যার কে খুঁজে পাইনি । উনি উনার লাইব্রেরীতে বই পড়ছিল”

নীলাঞ্জনা বলল, “আমার তো মনে হয় উনি আগেরদিন রাতেই নিখোঁজ হয়েছিল?”

রহিমা বলল, “কি যে বলেন আপনি?”

নীলাঞ্জনা বলল, “আমি ঠিক বলছি। গতকালের আগেরদিন মানে ঘর পরশুদিন রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। আমি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করার সময় দেখলাম গাড়ির চাকার দাগ।গত পরশু বৃষ্টির রাতে সম্ভবত বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর কেউ বাড়িতে এসেছিল। তারপর কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়। তোমরা হয় কিছু দেখোনি না হলে ভয়ে চুপ করে আছো? লাইব্রেরীতে দুইটা চায়ের কাপ ছিল যেটা এখন ও আছে। মানে কারো সাথে গল্প করতে করতে চা খেয়েছিল।বলো ঠিক কিনা ভুল”

রহিমা বলল, “আমি কিছু দেখিনি ম্যাডাম।গত পরশুদিন রাতে এক ভদ্রলোক এসেছিল। আনুমানিক রাত তিনটায়। উনার মুখ কালো মাস্ক দিয়ে ডাকা ছিল।আয়ান স্যার উনার সাথে লাইব্রেরীতে বসে গল্প করেন। উনাদের মধ্যে অনেক কথোপকথন হয়।আয়ান স্যার অচেনা ব্যক্তিটির সাথে গাড়ি করে কোথাও চলে যায় । এরপর থেকেই নিখোঁজ”

নীলাঞ্জনা বলল, “তাহলে মিথ্যা কথা বললে কেন? যে দুপুরে নিখোঁজ হয়েছে”

রহিমা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলো।

নীলাঞ্জনা বলল, “তুমি তখন কোথায় ছিলে?”

রহিমা বলল, “আমি আমার ঘরেই ছিলাম। উনি ডাক দিয়ে বলল আমি বাইরে যাব দরজা লাগিয়ে দেও। সকাল হওয়ার আগেই ফিরে আসবো। আমার জন্য তাড়াতাড়ি নাস্তা বানিয়ে রেখো”

নীলাঞ্জনা বলল, “এরপর আর আসেনি।”

রহিমা বলল, “না”

নীলাঞ্জনা বলল, “আচ্ছা অফিসার আমি অফিসে যাচ্ছি। আমার যা জানার তা জানা হয়ে গেছে”

নীলাঞ্জনা অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো। অফিসে গিয়ে তার সিনিয়র কে পুরো ভিডিও দেখাল। সিনিয়র বলল, “উনি হয়তো ইচ্ছে করেই চলে গেছে।নিজের ইচ্ছায় গেছে কেউ কিডন্যাপ করেনি। আমার মনে হয় নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত”

নীলাঞ্জনা বলল, “আমার ডকুমেন্টারি টা?”

সিনিয়র বলল, “সে হয়তো নির্বাচনে হারার ভয়ে পালিয়ে গেছে। এখন না জেনে উল্টো পাল্টা ডকুমেন্টারি দিলে সমস্যা হবে।যেহেতু সে নিজেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছে হতে পারে ইচ্ছে করেই গুম হওয়ার নাটক করছে। আমি যখন বলেছি নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে তাহলে তোমার সেটাই করা উচিত। এরমধ্যে যদি উনি ফিরে না আসে আমরা তখন উনার জন্য ডকুমেন্টারি বানানোর কাজ হাতে নিব”

নীলাঞ্জনা বলল, “হতে পারে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাস্তায় কেউ কিডন্যাপ করেছ”

সিনিয়র বলল, “হতেই পারে। কিন্তু তোমার এটা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না।আয়ান চৌধুরী এর আগেও নির্বাচনের সময় গুম হওয়ার নাটক করেছিল।তাই বেশি সিরিয়াস হয়ো না। তোমার হাতে এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে”

নীলাঞ্জনা বলল, “কি কাজ?”

সিনিয়র বলল, “অনামিকা নামের একজন মেয়ে আমাকে মেইল করেছে। আমি তোমাকে মেইলে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তুমি ওখানেই বিস্তারিত পেয়ে যাবে।কাজটা খুব কঠিন”

নীলাঞ্জনা বলল, “ব্যপার না। আমি চেষ্টা করবো”

সিনিয়র বলল, “তাহলে তুমি কাজ শুরু করে দেও।আর শোনো আয়ান চৌধুরীকে নিয়ে ডকুমেন্টারি টা যত্ন করে রেখো।হয়তো ভবিষ্যতে আমাদের কাজে লাগবে”
নীলাঞ্জনা বলল, “আয়ান চৌধুরীর ফেসবুকের শেষ পোস্ট ছিলো প্রজেক্ট কে এর ব্যাপারে। উনি বলেছিল কিছু মানুষের মুখোশ উন্মোচন করবে। গোপন তথ্য ফাঁস করে দিবে।আজ সকালে দেখি সেই পোস্ট নেই।সাথে অনেক পোস্ট নেই। আমি অবশ্য স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছি।”

সিনিয়র বলল, “তুমি স্ক্রিনশট মেইল করে পাঠিয়ে দিও। আমি বিষয়টা নিয়ে দেখবো”

সিনিয়র চলে গেল। নীলাঞ্জনা তার ডেস্কে গিয়ে বসলো। ল্যাপটপ ওপেন করে নিল। অনামিকার পাঠানো মেইল চেক করে নিল। অনামিকা তার সিনিয়র কে মেইল পাঠিয়েছে। সিনিয়র অনামিকা কে মেইল টা ফরোয়ার্ড করে দেয় । অনামিকা নামের কেউ একজন এই মেইলে পাঠিয়েছে। অনামিকা তার ছদ্মনাম। গোপনীয়তা রাখার জন্য এই নাম দেয়া।মেইলে অনামিকা জানিয়েছে নুরুল ইসলাম খান নামের একজন মেয়েদের চাকরির নামে অপ্রীতিকর আচরণ করছে।

নীলাঞ্জনা মেইল টা পড়তে পড়তে একটু থমকে গেল। নুরুল ইসলাম খানের নাম শুনেছে সে। নুরুল ইসলাম খান তার অফিসের বস। কিন্তু তার নামে এমন কিছু তো কখনও শোনা যায়নি। মেইলে অনামিকা নামের যেই ব্যক্তি বিস্তারিত কিছু তথ্য দিয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। মেয়েদের চাকরির নামে বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে, ভাবলো নীলাঞ্জনা।এই ঘটনা সত্য নাকি মিথ্যা সেটাও বের করে নিতে হবে।

কিন্তু কিভাবে যাচাই করবে এটা সত্য নাকি মিথ্যা? আর এই অনামিকা কে? ছদ্মনামের আড়ালে থাকা এই মানুষটি সত্যি কথা বলছে কি না, তা কি করে বুঝবে। ঘটনা যদি সত্যিও হয় এইভাবে ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে মেইলের ভিত্তিতে কারো উপর অভিযোগ করা যাবে না। তারজন্য অনামিকার আসল পরিচয় খুঁজে বের করতে হবে। এরপর এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রমাণ দরকার। সবচেয়ে বড় সমস্যা এই নুরুল ইসলাম খান তাদের অফিসের বস।

নীলাঞ্জনা তার সিনিয়র কে ফোন দিল।অপর পাশ থেকে ফোন রিসিভ করতেই সিনিয়র বলল, “দুজনেই তো অফিসে আছি।ফোন দেয়ার কি দরকার ডাক দিলেই তো হতো।”

নীলাঞ্জনা বলল, “সে ছাড়ুন। আমার সাথে দেখা করতে হবে। জরুরী কথা আছে”

সিনিয়র বলল, “অনামিকার ব্যাপারে”

নীলাঞ্জনা বলল, “আমি আসছি ওয়েট”

সিনিয়র বলল, “আসছি”

নীলাঞ্জনা ফোন রেখে ল্যাপটপে কিছু সার্চ করতে লাগলো।সিনিয়র এসে উপস্থিত হলো। নীলাঞ্জনা বলল, “কি অর্ক ভাইয়া। আপনি এটা কি কাজ দিলেন। আপনি জেনে শুনে এত বড় ঝামেলায় ফেলে দিলেন। নুরুল ইসলাম খান তো আমাদের অফিসের বস।”

“সিনিয়র বলল, “না। নুরুল ইসলাম খান আসল বস না।আসল বস তার দুলাভাই আলতাফ মাহমুদ। আলতাফ মাহমুদ তার শ্যালককে অফিস সামলাতে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যদি সত্যি হয় এবং এটা প্রমাণ করতে পারি, তবে আলতাফ মাহমুদও দায় এড়াতে পারবে না। তিনি ঠিক কোন ব্যবস্থা নিবেন।আর তা না করলেও আমরা আইনী সহায়তা নিব।প্রচার করার জন্য মিডিয়া তো আছেই”

নীলাঞ্জনা বলল, “এর জন্য আমার তার সাথে দেখা করতে হবে”

সিনিয়র বলল, “সে হয়তো তোমারই কলিগ বা সিনিয়র জুনিয়র। সবচেয়ে বড় কথা হলো মেয়েটা এই কফিসের।তাই তোমার তাকে খুঁজে বের করতে হবে।সে আমাকে ও তোমাকে ভরসা করে তাই আমাদের কাছে শেয়ার করেছে।”

নীলাঞ্জনা বলল, “আমার এখন খুঁজে বের করতে হবে এই অফিসে অনামিকা কে?”

সিনিয়র বলল, “তুমি চাপ নিও না।যেহেতু এটা আমাদের অফিসের স্টাফ কে নিয়ে। তাই আমার কাছে তুলে যেকোন হেল্প পাবে।আড়াইটায় সেলিম রহমানের সাথে টক শো আছে। তুমি তার জন্য প্রস্তুত হয়ে নেও। নুরুল ইসলাম খান এসেছিল।বলেছে যেহেতু টকশোর কথা বলাই হয়ে গেছে আর গেস্টকেও বলা হয়েছে তাই বাদ দিলে প্রতিষ্ঠানের সম্মান নষ্ট হবে।ফর্মালিটি হিসেবে একটা টক শোর আয়োজন করলাম।”

নীলাঞ্জনা বলল, “টক শোয়ের জন্য আমার প্রস্তুতি আছে। আপনি কোন চিন্তা করবেন না”

(চলবে)