বুকপকেটে তুমি পর্ব-১১

0
7

#বুকপকেটে_তুমি
#লেখায়_জান্নাতুন_নাঈম
#পর্ব_১১

নীলাঞ্জনা থানায় এসে উপস্থিত হলো। অফিসার রাশেদ বলল, “আসো, তোমার জন্যই অপেক্ষা করছি।”

নীলাঞ্জনা বলল, “সেলিম কে খুঁজে পেয়েছেন?”

অফিসার রাশেদ বলল, “সেলিম রহমানকে তো খুঁজে পাইনি।এত তাড়াতাড়ি কি খুঁজে পাওয়া যায় বলুন।তবে তার গাড়ি তালতলায় একটা নির্জন জায়গায় পাওয়া গেছে।”

নীলাঞ্জনা বলল, “খালি গাড়ি পাওয়া গেছে মানে আমার সন্দেহ সঠিক। তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে।”

অফিসার রাশেদ বলল, “আপনি বুঝলেন কী করে যে উনি কিডন্যাপ হয়েছেন?”

নীলাঞ্জনা বলল, “সেলিম আমাকে মেসেজ দিয়েছিল। সেই মেসেজ পড়েই। তাছাড়া সকালেই আপনাকে বলেছিলাম সে খুব ভয়ের মধ্য দিয়ে আছে”

নীলাঞ্জনা অফিসার রাশেদকে হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ দেখাল। নীলাঞ্জনা বলল, “এখানে বানান ভুল হয়েছে অনেক গুলো। সেলিমের এত বানান ভুল হয় না। হয়তো খুব তাড়াহুড়ো করে টাইপ করেছে বা টাইপ করার মতো পরিস্থিতি ছিল না।”

অফিসার রাশেদ বলল, “আমি উনার কললিস্ট চেক করার জন্য পাঠিয়েছি। খুব শীঘ্রই চলে আসবে। শেষ কার সাথে কথা বলেছে জানতে পারলে কাজটা সহজ হবে। আপনার কাউকে সন্দেহ হয়?”

নীলাঞ্জনা বলল, “আমি কিচ্ছু ভাবতে পারছি না। আয়ান চৌধুরী কিংবা নুরুল ইসলাম খানের মতো যদি মেরে ফেলে, তবে আমার কী হবে? ওর পরিবারের কাছে কী জবাব দেব?”

অফিসার রাশেদ বলল, “তোমাকে অসুস্থ লাগছে। তুমি বাড়িতে যাও। পুলিশ তদন্ত করছে। আমি বলছি, সেলিম রহমানের কিচ্ছু হবে না।”

নীলাঞ্জনা বলল, “আমি যাচ্ছি। আপনি সব সময় আমার সাথে যোগাযোগ রাখবেন।”

নীলাঞ্জনা থানা থেকে বেরিয়ে গেল। থানার সামনে থেকে একটা সিএনজিতে উঠে পড়ল। নীলাঞ্জনার হাত-পা কাঁপছে। মনে হচ্ছে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাবে। সিএনজি বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াল। নীলাঞ্জনা ভাড়া দিয়ে কোনরকমে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল বাজাল। আয়শা দরজা খুলে দিল। নীলাঞ্জনা সোফায় গিয়ে বসল। আয়শা বলল, “ভাইয়া কোথায়?”

নীলাঞ্জনা বলল, “জানি না।”

আয়শা বলল, “জানো না মানে? সে তোমাকে আনতে যায়নি? ভাইয়া তো বলেছিল তোমাকে সন্ধ্যায় নিয়ে আসবে। তাহলে তুমি একাই আসলে কেন। ভাইয়া কোথায়?”

নীলাঞ্জনা বলল, “সে ফোন করে বলেছিল ওই বাড়ি যাচ্ছে। তারপর আর কোনো খোঁজ নেই। একটু আগে পুলিশ একটা নির্জন জায়গায় উনার গাড়ি পেয়েছে। তোমার ভাইকে কেউ কিডন্যাপ করেছে।”

খবর শুনে আয়শা ও সেলিমের মা কান্নাকাটি শুরু করে দিল। নীলাঞ্জনা কান্নাকাটি করল না, কিছুক্ষণ চুপচাপ সোফায় বসে রইল। নীলাঞ্জনার ধ্যান ভাঙল অফিসার রাশেদের ফোন পেয়ে। নীলাঞ্জনা ফোন রিসিভ করতেই বলল, “কোনো খোঁজ পেয়েছেন?”

অফিসার রাশেদ বলল, “না। ফোন লিস্ট হাতে পেয়েছি। সেলিম রহমান শেষ সরোয়ার সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলেছে।”

নীলাঞ্জনা বলল, “কয়বার ফোন দিয়েছে?”

অফিসার রাশেদ বলল, “একবারই। দুই মিনিটের মতো কথা বলেছে।”

নীলাঞ্জনা বলল, “আপনি তাকে থানায় ডাকুন। দেখুন, সরোয়ার শেষবার কী কথা বলেছিল আমাদের জানা দরকার।”

অফিসার রাশেদ বলল, “ডাকবই তো। কিন্তু ম্যাডাম, আপনারও হেল্প লাগবে এই চক্রটিকে খুঁজে বের করতে, যারা এইসব কাজ করে বেড়াচ্ছে।”

নীলাঞ্জনা বলল, “হ্যাঁ। আমি আপনাদের হেল্প করব। শুধু সেলিমের কিছু না হলেই হয়।”

নীলাঞ্জনা ফোন কেটে দিল। সেলিমের মা খাবারের প্লেট নিয়ে এসে হাজির হলো। বলল, “দুটো ভাত খাও, মা।”

নীলাঞ্জনা বলল, “আমি সেলিমকে খুঁজে বের করে তবেই ভাত খাব। আমি রুমে যাচ্ছি, আম্মা। আমাকে থেমে থাকলে হবে না, আমার অনেক কাজ আছে।”

সেলিমের মা বলল, “দুটো খাবার খাও। নাহলে অসুস্থ হয়ে যাবে।”

নীলাঞ্জনা বলল, “আপনি আব্বু আর আয়শা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। আমার কিছু কাজ আছে, আমি রুমে গেলাম।”

নীলাঞ্জনা তার রুমে চলে গেল। খাটের উপর গিয়ে ধপ করে বসে পড়ল।

একটা অন্ধকার ঘরে সেলিম মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। সেলিমের হাত-পা শক্ত দড়ি দিয়ে বাঁধা। চোখ-মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা। কিছু দেখতেও পারছে না, বলতেও পারছে না। হঠাৎ পুরনো লোহার জং ধরা গেট খোলার শব্দ হলো। দুই-তিনজন মানুষের হাঁটার শব্দ পাওয়া গেল। কেউ একজন লোহার গেটটা আবার বন্ধ করে দিল। হঠাৎ একজন পা দুটো এলোপাতাড়ি লাথি দিতে শুরু করল। মুখে কাপড় থাকার কারণে সেলিম চিৎকার করার সুযোগ পেল না। অনেকগুলো লাথি দেয়ার পর একটা মোটা কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করতে লাগল। হঠাৎ কারো ফোন বেজে উঠল। সরোয়ারের ফোন এসেছে। ফোন দিয়েছে আয়শা। আয়শা কান্না মিশ্রিত কণ্ঠে বলল, “ভাইয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওকে নাকি কিডন্যাপ করেছে।”

সরোয়ারের পা সেলিমের বুকের উপর রাখা ছিল। সরোয়ার অবাক হওয়ার ভান করে বলল, “কী বলিস? কখন হলো এসব?”

আয়শা বলল, “ভাবি এসেছিল, সেই বলল পুলিশ নাকি ভাইয়ার গাড়ি খুঁজে পেয়েছে।”

সরোয়ার বলল, “নীলাঞ্জনা কোথায়?”

আয়শা বলল, “ও রুমে বসে আছে। আম্মু খাবার খেতে বলেছে, কিন্তু খায়নি। আমাদের সামনে কান্নাকাটি করতে পারবে না, তাই রুমের ভেতর দরজা বন্ধ করে হয়তো কান্নাকাটি করছে। ওকে খুব অসুস্থ লাগছে।”

সরোয়ার বলল, “আমি বাইরে আছি। একটু পরে আসছি। চাচা আর চাচিকে বল, চিন্তা না করতে। পুলিশ ঠিক ওকে খুঁজে বের করবে।”

সরোয়ার ফোন রেখে দিল। তার পাশেই একজনকে বলল, “ওকে আপাতত মেরে ফেলার দরকার নাই। আমি যখন সময় হবে, জানাব। ততদিনে সে এখানে বন্দি থাক।”

তার পাশের লোকটি বলল, “হাত-পায়ের দড়ি কি খুলে দেব?”

সরোয়ার বলল, “আমি গেলে খুলে দিও।”

সরোয়ার রুম থেকে বেরিয়ে গেল। তার পাশের লোকটি থেকে গেল। সেলিমের হাত-পায়ের দড়ি খুলে দিল। চোখ ও মুখের কাপড় সরাতেই সেলিম বলল, “নয়ন, এইভাবে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলি?”

নয়ন বলল, “চুপ! বেশি কথা বললে মেরে ফেলব একদম।”

নয়ন রুম থেকে বেরিয়ে গেল। সেলিম ফ্লোরে বসে রইল। রুমটা খুব ছোট, কোনোভাবে কষ্ট করে দাঁড়ানো যায়। রুমের একদিকে চার-পাঁচ ফুট, অন্যদিকে ছয় ফুট। রুমে ছোট একটা সিঙ্গেল খাট আছে, পাঁচ ফুট লম্বা। সেলিমের মতো মানুষ পা সোজা করে ঘুমাতে পারবে না। সেলিম খাটের উপর গিয়ে বসল। দরজার বাইরে একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে সেলিমকে পাহারা দেয়ার জন্য। সেলিম খেয়াল করল, রুমে কিছু নাম লেখা আছে। এই নামের মানুষগুলো হয়তো একটা সময় এই ঘরে এসে থেকেছে।

সেলিম সরোয়ারের কণ্ঠ শুনেছিল। সরোয়ার ভাবছে সেলিম হয়তো তার কণ্ঠ শুনতে পায়নি। সেলিমের বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, তার ছোট ভাই তার সাথে এমন কাজ করতে পারে। সেলিম মনে মনে ভাবে, নীলাঞ্জনা যদি তার সিক্রেট রুমে যায় আর পিসি ওপেন করে, তবে নীলাঞ্জনা ঠিক তাকে খুঁজে বের করে নেবে।
দরজার সামনে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সেলিম তাকে চিনে না। সেলিম বলল, “এই তোমার নাম কি?”
ছেলেটি বলল, “কামাল”

সেলিম বলল, “তোমার পরিবার নাই”

কামাল বলল, “আছে। আমার বউ বাচ্চা আছে”

সেলিম, “বিয়ে করে ফেলছো দেখি”

কামাল বলল, “চুপ থাকেন। আপনি এখানে এমপি মিনিস্টার না। বেশি কথা বললে খাবার বন্ধ”

সেলিম বলল, “আমি কিন্তু এখানকার লোকেশন জানি। আমি জানি এটা কোন জায়গা”

কামাল বলল, “মিথ্যুক। এখানকার খবর কেউ জানে না। এখানে দশ বছর ধরে অনেক লোক বন্দি আছে।তারা আজ পর্যন্ত বলেনি এখানকার ঠিকানা জানে।আর আপনি একদিন এসেই জেনে গেছে গেলেন।বলেন তো এটা কোন জায়গা।এই শহরের নাম কি?”

সেলিম আর কত বাড়াল না।বুঝে গেল এই ছেলের সাথে কথা বলে কোন বিশেষ লাভ হবে না।

নীলাঞ্জনা খাটে শুয়ে আছে। অনেক রাত হয়েছে তবুও ঘুম আসছে না। বিছানায় শুয়ে ছটফট করে যাচ্ছে। হঠাৎ সেলিমের বলা কথা মনে পড়লো। সেলিম তার সিক্রেট রুমের কথা বলেছিল। নীলাঞ্জনা বিছানা থেকে উঠে বুকশেলফের সামনে গিয়ে দাড়াল। সাবধানতা বশত দরজা খুলে সেলিমের সিক্রেট রুমে গিয়ে প্রবেশ করলো‌।রুমের একপাশে একটা টেবিলের উপর অনেক গুলো ফাইল রাখা আছে। অন্যদিকে একটা টেবিলের উপর পিসি থাখা আছে। এছাড়া ও দুটো চেয়ার রাখা ছিল।

নীলাঞ্জনা টেবিলের উপর থেকে প্রজেক্ট কে নিয়ে অনেক গুলো ফাইল রাখা ছিল। নীলাঞ্জনা বুঝতে পারলো সেলিম অনেক দিন ধরে প্রজেক্ট কে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছে। নীলাঞ্জনা কাগজ ঘাঁটাঘাঁটি করার পর পিসির সামনে গিয়ে দাঁড়াল। কৌতুহল বশত পিসি চালু করলো।পিসি চালু করতেই নীলাঞ্জনার চোখে পড়লো সেলিমের পাঠানো মেইলের দিকে। কিডন্যাপ হবার আগে সেলিম এই মেইলে পাঠিয়েছে। একটা ডকুমেন্টারি যেখানে প্রজেক্ট কে এর ২৩ জন সদস্যের নাম দেয়া ছিল। নীলাঞ্জনা সেখানে সরোয়ারের নাম দেখে বেশ অবাক হয়ে যায়। নীলাঞ্জনা বুঝতে পারে হয়তো সেলিমের কিডন্যাপ হবার পিছনে সরোয়ারের হাত আছে। সেলিম কিডন্যাপ হবার আগে শেষ কথা হয়েছিল সরোয়ারের সাথে। সরোয়ার ঠিক একই সময়ে নীলাঞ্জনা কে ফোন দিয়ে বলেছিল সেলিম ফোন রিসিভ করছে না।

নীলাঞ্জনা অফিসার রাশেদ কে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে বলল, “আপনি আমার বাসায় কাল সকালে আসবেন। খুব জরুরী কথা আছে।সবার সামনে বলা যাবে না”

সাথে সাথে অফিসার রাশেদের ফোন এলো।বলল, “কোন তথ্য পেয়েছ?”

নীলাঞ্জনা বলল, “অনেক কিছু পেয়েছি। এতকিছু ফোনে বলা যাবে না। আমরা হয়তো ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেলিম ও কিডন্যাপ হওয়া সকল মানুষদের উদ্ধার করতে পারবো। তবে আপনাকে এইসব গোপনে করতে হবে। আমি কি আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি?”

অফিসার রাশেদ বলল, “অবশ্যই”

নীলাঞ্জনা বলল, “তাহলে কাল সকালে চলে আসবেন”

রাত একটা বাজে। নীলাঞ্জনা হবে মাত্র ঘুমিয়েছে। এমন সময় কেউ দরজায় কড়া নাড়লো। নীলাঞ্জনা বেশ অবাক হলো এতো রাতে কে এসেছে এই ভেবে। নীলাঞ্জনা বিছানা থেকে নেমে দরজা খুলে দিলো। সরোয়ার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।হাতে খাবারের প্লেট। নীলাঞ্জনা বিরক্ত হয়ে বলল, “এত রাতে কি চাই?”

সরোয়ার বলল, “না খেয়ে আছো কেন?”

নীলাঞ্জনা বলল, “আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই খাইনি”

সরোয়ার রুমের ভেতর এসে টেবিলের উপর খাবার রাখলো ।বলল, “নেও খেয়ে নেও”

নীলাঞ্জনা বলল, “আপনার মোটেও উচিত হয়নি এতরাতে ভাইয়ের বউয়ের রুমে আসা। আপনি খাবার নিয়ে চলে যান । আমি খাবো না।পরের বার এইরকম ভুল করবেন না”

সরোয়ার নীলাঞ্জনার হাত ধরে বলল, “মন খারাপ করো না সব ঠিক হয়ে যাবে”

সরোয়ার নীলাঞ্জনার হাত ধরতেই নীলাঞ্জনার মুখের রং পালটে গেল। তার চোখে আগুন জ্বলে উঠল। নীলাঞ্জনা সরোয়ার কে সজোরে দুটি থাপ্পড় লাগিয়ে দিল। নীলাঞ্জনার এই আচরণে সরোয়ারের চোড়ে অবাক হয়ে গেল। সরোয়ার ভাবতে পারে নি নীলাঞ্জনা এইরকম করতে পারে। সরোয়ার বলল , “তুমি আমার গায়ে হাত তুললে?”

নীলাঞ্জনা রেগে চিৎকার করে বলল, “তাহলে তুমি কি ভেবেছিলে আমি সেলিমের অনুপস্থিতিতে তোমার কাছে চলে যাব।নাকি ভেবেছিলে সেলিমের অনুপুস্থিতিতে তুমি তার জায়গা চলে আসতে পারবে। তুমি কি ভেবেছ আমি জানি না যে তুমি সেলিম কে কিডন্যাপ করিয়েছ। আমার সব জানা আছে। তুমি ভেবো না সেলিম কে আমার জীবন থেকে সরিয়ে নিলেই তুমি আমাকে পেয়ে যাবে।”

সরোয়ার বলল, “তুমি ভাবছো আমি সেলিম কে কিডন্যাপ করেছি?”

নীলাঞ্জনা বলল, “অবশ্যই তুমি এই কাজ করেছ। তুমি ভেবো না তোমাকে এত সহজে ছেড়ে দেব। সেলিমের কিছু হয়ে গেলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না। আমি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেলিম কে ফেরত চাই”

সরোয়ার বলল, “তোমার এমন টা ভাবার কারণ আমি বুঝতে পারছি। তবে ভাইয়াকে আমি কিডন্যাপ করিনি। আমি কেন এই কাজ করবো?”

নীলাঞ্জনা চেঁচিয়ে বলল, “আমার চোখের সামনে থেকে সরে যাও”

সরোয়ার বাইরে বেরিয়ে গেল। যাওয়ার সময় মনে মনে বলল নীলাঞ্জনা তুমি যাই করো না কেন সেলিম রহমান কে ফিরে পাবে না। তোমাকে আমার কাছে ধরা দিতে হবেই।

(চলবে)