বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় তুমি এসেছিলে পর্ব-০৩

0
20

#বৃষ্টিভেজা_সন্ধ্যায়_তুমি_এসেছিলে
#আফসানা_মিমি
#পর্ব_৩

লাবণ্য মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে। ধ্রুব তাকে বাঁচাতে না পারলেও পর্যটকদের নিয়ে আসা একজন গাইড বাঁচিয়ে নিয়েছে। পা ফসকে যাওয়ার কারণে ডান পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা পেয়েছে লাবণ্য। ডান হাতও পাথরের সাথে আঘাত লেগে সামান্য ছিলে গেছে। গাইড লাবণ্যকে ধরে পিচ্ছিল পাথর ডিঙিয়ে সমতল ভূমিতে নিয়ে আসলো। ততক্ষণে ধ্রুব লাবণ্যর কাছাকাছি এসে হাঁটুতে ধরে হাঁপাতে লাগলো। নিজেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করে লাবণ্যর গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিল। ভীড়ের মধ্যে থাপ্পড় খেয়ে বাচ্চাদের মতো কাঁদতে শুরু করে দিল লাবণ্য।

পিচ্ছিল পাথরে পড়ে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার সাথে ভয়ও পেয়েছে মেয়েটা। তার উপর বেঁচে আসলো। লাবণ্যকে আদর করার পরিবর্তে থাপ্পড় বসালো। ভীড়ের মধ্যে থাপ্পড় খেয়ে লাবণ্য জোরে কাঁদতে শুরু করল। ধ্রুবর এতোক্ষণ মনে হচ্ছিল সে নিজের মধ্যে নেই। লাবণ্যর কান্না দেখে ইচ্ছে করছে আরো কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দিতে। আদরে আহ্লাদে বেড়ে উঠা লাবণ্য সামান্য শাসন মেনে নিতে পারলো না। কান্নার মাত্রা বাড়িয়ে দিল। ধ্রুব ন্যাকাকান্না আর নিতে পারছে না। ধ্রুব মনে করে, মেয়ে মানবী থাকবে শক্ত হৃদয়ের অথচ সে মন দিয়ে বসেছে ন্যাকা মেয়ের উপর। নিজের উপর ধিক্কার নয় আফসোস হচ্ছে। মনটাও তো মোমের মতো! যাকে একবার মনে ধরে তাকে যেই অবস্থায়ই দেখুক না কেনো, গলে যাবে।

ধ্রুব লাবণ্যর হাত চেপে ধরলো। সেই হাত,যেই হাতে ব্যথা পেয়েছে। লাবণ্যর কান্নার মাত্রা বেড়ে গেল। ধ্রুব ধমকের সুরে বলল,” কথায় কথায় ফ্যাচফ্যাচ কাঁদবি না,লাবন্নী? আমার রাগ হয়।”

” আমার হাত ছাড়ো, ধ্রুব ভাইয়া। লাগছে তো!”

ধ্রুব হাত ছেড়ে দিল। লাবণ্যর হাত নাড়াচাড়া করে দেখল কালসিটে দাগটা। ধ্রুবর আগুনে পোড়া মনে কেউ পানি ঢেলে দিল যেনো। লাবণ্যর হাতের উপর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির সাহায্যে ছুঁয়ে দিয়ে নীচু স্বরে বলল,” ব্যথা লাগছে?”

লাবণ্য এতটুকু আহ্লাদ পেয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলো। মাথা উপর নিচ করে বুঝালো তার লাগছে। ধ্রুব লাবণ্যকে ধরে নিয়ে আসতে চাইলে পুনরায় লাবণ্যর চিৎকার ভেসে আসলো। এপর্যায়েও ধ্রুব বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,” আবার কী নাটক শুরু করলি, লাবন্নী? এমনিতেও সারাদিন জ্বালাস এখন কাছে এসেও জ্বালাচ্ছিস!”

লাবণ্য কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,” হাঁটতে পারছি না, ধ্রুব ভাইয়া।”

ধ্রুব বিরক্তির চরম পর্যায়ে পৌঁছে হাঁটু গেড়ে বসলো। লাবণ্যর পরিধানে থাকা জিন্সের প্যান্ট একটু উপরে তুলে দেখল, পায়ের পাতা ফুলে নীল হয়ে আছে। ধ্রুব যা বুঝার বুঝে গেলো। কোনো কথা না বলে লাবণ্যকে কোলে তুলে নিলো।

আকস্মিক কোলে তুলে নেওয়াতে লাবণ্য থমকে গেল। তারসাথে জীবনের প্রথম কোনো পর পুরুষের শরীরের সাথে মিশে থাকায় লজ্জা পেলো। লজ্জায় লালনীল হয়ে যখন লাবণ্য ভেসে বেড়াচ্ছিল তখনই পায়ের ব্যথা অনুভব হলো। সাদিফ দূর থেকে ধ্রুবর কোলে লাবণ্যকে দেখে এগিয়ে আসলো। ধ্রুবকে জিজ্ঞেস করলে প্রত্ত্যুত্তর শুনে নিজেকে দোষারোপ করতে শুরু করল। পায়ের পাতায় হাত দেয়ার সাথে সাথে লাবণ্য ব্যথায় চিৎকার করে উঠলো। এতোক্ষণ ভালোলাগার দুনিয়ায় বিচরণ করলেও ভাইয়ের ছোঁয়ায় ব্যথা অনুভব হলো। সাদিফ ধ্রুবর দিকে কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে তাকালে ধ্রুব চোখে আগুন নিয়ে গর্জে উঠল,” দায়িত্ব নিতে পারিস না তাহলে বোনকে এনেছিস কেনো? আমার গলায় ঝুলিয়ে দিতে?”

সাদিফ মিনমিন সুরে বলল,” দোস্ত, রাগ করিস না। লাবণ্যকে নিয়ে হাসপাতালে চল।”

ধ্রুব হাসপাতালে যেতে নাকচ করলো। সাদিফের উদ্দেশে বলল,” রিসোর্টে ফিরব। তোরা যাবি?”

” এই অবস্থায় রিসোর্টে?”

ধ্রুব থমথমে সুরে উত্তর দিল,” হাসপাতালে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে চাই না। তোর বোন যেই ধাঁচের? দেখা যাবে সেখানে ওর ভুলের জন্য পুলিশের সাথে খাবার খেতে হবে। আমার কাছে স্প্রে আছে। কয়েকঘন্টা বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে।”

সাদিফের ইচ্ছে করছে না। কিন্তু বোনকেও তো একা ফেলে আসা যায় না! ধ্রুব লাবণ্যকে কোল থেকে নামালো না। সেভাবেই চলল। বাসের কাছে এসে বুঝলো কতো সময় লাবণ্যকে কোলে তুলে এনেছে।হাত পা অবশ হয়ে আসছে।বাসের সিটে লাবণ্যকে বসিয়ে নিজেও পাশে বসলো। চোখ খিঁচে বন্ধ করে রাখলো কিছুক্ষণ। দুইজনের জন্য বাস চলবে না। জানা স্বত্বেও চালককে অনুরোধ করলো। শূন্য ফলাফলে সাদিফ ফিরে আসলো। বসে থাকাও তো যাবে না! ধ্রুব লাবণ্যর ফোলা মুখের দিকে তাকিয়ে বাস থেকে নেমে গেল।প্রায় বিশ মিনিট পর এসে লাবণ্যকে কোলে তুলে সাদিফের উদ্দেশে বলল,” গাড়ি পেয়েছি। টাকা বেশি চাচ্ছে। সমস্যা নেই। দেড় ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবো। তুই কী যাবি? নাকি সবার সাথে আসবি।”

সাদিফের মনের কথা কীভাবে যেনো বুঝে গেলো। লাবণ্যর ব্যথা আজকের মধ্যেই কমে যাবে। ধ্রুবর কাছে লাবণ্য নিরাপদ সাদিফ জানে। সে বন্ধুর কাঁধে হাত রেখে বলল,” তুই পারবি তো?”

ধ্রুব জানালো,” তোর বোনের নাচানাচি না উঠলে পারব। ওকে বলে দে,আমি যেভাবে বলব সেভাবেই যেনো চলে।”

সাদিফ বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,” আমি একটু পরই ফিরে আসবো। একদম কান্না করবি না। ভাইয়া যা বলবে তাই শুনবি।”

লাবণ্য মাথা নাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে ধ্রুবর গলা জড়িয়ে ধরব। কিছুক্ষণের জন্য ধ্রুবর মনে হল,সে তার মধ্যে নেই। নিজেকে সামলে নিয়ে প্রাইভেট কারে চড়ে বসলো।

গাড়ি চলছে আপন গতিতে। লাবণ্যকে শুইয়ে দিয়ে ধ্রুব কাঁধের ব্যাগ খুলে ভেজা টিস্যু ও স্প্রেবের করল। পায়ে হাত দিতে গেলে লাবণ্য চিৎকার করে উঠলো,” পায়ে হাত দিও না, ধ্রুব ভাইয়া?”

ধ্রুব বিরক্ত হলো। কপাল কুঁচকে দাঁতে দাঁত পিষে বলল,” তাহলে তুই বলে দে, তোর শরীরের কোন অংশে আমি ধরব!”

লাবণ্যর কান গরম হয়ে আসলো। মনে পড়লো ধাক্কা লাগার ঘটনা। সে লজ্জায় চোখ বন্ধ করে বলল,” বড়োদের পায়ে হাত দিতে নেই। পাপ হয়।”

” তোর মাথায় এসব কুসংস্কার কে ঢুকায়, লাবন্নী? দেখি পা ধরতে দে।”

লাবণ্য এবার না করলো না। এমনিতেও থাপ্পড়ের কথা সে ভুলেনি। পরবর্তীতে দেখা যাবে, কথা অমান্য করলে গালে কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দিবে। লাবণ্য আধশোয়া হয়ে পা এগিয়ে দিলো। ধ্রুব উরুর উপর লাবণ্যর পা রেখে ভেজা টিস্যু দিয়ে মুছে দিলো। কিছুক্ষণ পর সেখানটায় স্প্রে করে দিল। খালি পেটে ঔষধ দিল না। কাটা জায়গাগুলোতে ব্যান্ডেজ করে দিল।

লাবণ্য এক দৃষ্টিতে ধ্রুবকে দেখছে। ধ্রুবর যত্ন কর দেখে তার ইচ্ছে করছে ধ্রুবর কোলে বসে গালে চুমু বসাতে। মনের দুষ্ট ভাবনার উপর পানি ফেলল ধ্রুব,” খবরদার লাবণ্য, এক পা মাটিতে ফেললে পাহাড়ের চূড়া থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিব।”

ধ্রুবর মুখে নিজের নামটার সঠিক উচ্চারণ শুনে যতোই না অবাক হয়েছে।তারচেয়ে বেশি অবাক হয়েছে ধ্রুবর নরম আওয়াজ শুনে। লাবণ্যর মনে হচ্ছে, ধ্রুব এভাবে তাকে নরম সুরে ডাকলে সারাজীবন ধ্রুবর সাথে সময় কাটাতে পারবে।

——–

ধ্রুব লাবণ্যকে কোলে তুলে রিসোর্টের প্রবেশপথ পেরিয়ে এক মুহূর্ত থামল। চারপাশে সবুজে ঢাকা অরণ্যনিবাস যেন নীরবতায় মগ্ন, শুধু পাখির মৃদু ডাক আর দূর থেকে ভেসে আসা গাছের পাতা ঝরে পড়ার শব্দ। সামনে কাঁচা রাস্তা দিয়ে আটটি কটেজের দিকে যেতে হবে।

ধ্রুবর পায়ের নিচে কাঁকরের মৃদু শব্দ, ধীর অথচ দৃঢ় পদক্ষেপে সে এগোতে লাগল। প্রতিটি পদক্ষেপ যেন সময়ের একেকটা চক্র। মূল রিসোর্ট ভবন থেকে কটেজগুলোতে পৌঁছাতে পাঁচ মিনিটের মতো লাগে, কিন্তু ধ্রুবর জন্য সেই পথটা যেন এক দীর্ঘ যাত্রা। দীর্ঘ সময় লাবণ্যকে কোলে তোলে হাঁটার কারণে শরীর ভেঙে আসছিলো।

রিসোর্ট ভবন থেকে প্রথম কটেজের দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। রাস্তার দুই ধারে বাঁশ আর বটগাছের ছায়ায় ঢাকা পথ।
লাবণ্যের নিস্তেজ মুখের দিকে তাকিয়ে ধ্রুবর হৃদয়ে অজানা শঙ্কা। দ্বিতীয় কটেজের সামনে পেরিয়ে, সে তৃতীয় কটেজের দিকে এগোতে থাকে। এ সময় বাতাসে বুনো ফুলের মিষ্টি গন্ধ। প্রতিটি পদক্ষেপে ধ্রুবর মনে আশা জাগছিল, “এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ হয়তো লাবণ্যর স্বাস্থ্যের জন্য মঙ্গলকর হবে।”

শেষমেশ ধ্রুব লাবণ্যকে নিয়ে পাখিডাকা কুটিরে পৌঁছাল। দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশের পর কটেজের মাটির গন্ধ আর উষ্ণ পরিবেশ যেন তাদের দুজনকেই এক মুহূর্তের জন্য আশ্রয় দিল।

ধ্রুব লাবণ্যকে আলাদা কটেজে শুইয়ে দিয়ে ধীর পায়ে নিজের বরাদ্দকৃত কটেজের দিকে ফিরে আসছে। পুরো পথটা যেন তার মনের অস্থিরতাকে আরও ভারী করে তুলছে।

লাবণ্য শুয়ে আছে নীরব, কিন্তু তার চোখের কোণে অজানা আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। চারপাশের সবুজ গাছপালা, পাখিদের ডাক, এমনকি মাটির কুটিরের শান্ত পরিবেশও যেন তার অস্থির মনকে স্থির করতে পারছে না। তার শ্বাস-প্রশ্বাসের ভারী শব্দ ধ্রুবর কানে বাজছিল ঠিক যেমন ঘরের পাশের জংলা পাতায় বাতাসের ঝিরঝিরানি।

লাবণ্য একাকী কল্পনা করছে, ধ্রুব তার কপালে হাত রেখে তাকে শান্ত হতে বলল। কিন্তু লাবণ্যর চোখে একরকম অনিশ্চয়তা, একরকম প্রশ্ন, যা ধ্রুবর মনের গোপন কোনায় বাজছিল। “সব ঠিক হবে,”

লাবণ্যর কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে দিল। লাবণ্য ততক্ষণে চোখ বন্ধ করে নিয়েছে। ধ্রুবকে দেখতে না পেয়ে বুঝলো সে এতক্ষণ কল্পনার জগতে বিরাজ করছিল। মাথা ঝেড়ে ঘুমাতে চেষ্টা করল। লাবণ্য নিজেকেই যেন বোঝাতে চাইছে ধ্রুব কেউ না। ধ্রুবর মনে লাবণ্যর জন্য কোনো অনুভূতি নেই।

ধ্রুব নিজের কটেজে ফিরে এলেও, তার প্রতিটা পদক্ষেপ যেন তাকে পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। লাবণ্যকে রেখে আসার মুহূর্তটা বারবার তার মনে ভেসে উঠছে। ঘরের ভেতর ঢুকে সে দরজা বন্ধ করল, কিন্তু মনে হচ্ছিল, এই বন্ধ দরজাও তার অস্থিরতাকে আটকে রাখতে পারবে না।

সে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়াল। বাইরে রাতের অন্ধকারে লাউয়াছড়ার বনের স্রোতধারা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ধ্রুবর মনে প্রশান্তি নেই। লাবণ্যর অসুস্থ মুখ, তার শূন্য দৃষ্টির ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছে না।

লাবণ্যর চোখে ঘুৃম নেই। সে অন্য কটেজে শুয়ে অনুভব করছিল ধ্রুবর অনুপস্থিতি। তার শরীরের ক্লান্তি এবং মনোচাপ একসঙ্গে মিশে গেছে। মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করে ধ্রুবর শব্দহীন পদক্ষেপের কথা কল্পনা করছিল, যেন প্রতিটি শব্দ তাকে আরও অস্থির করে তুলছে।

ধ্রুব বিছানায় শুয়ে পড়ল। কিন্তু ঘরের এক কোনা থেকে অন্য কোনায় তার দৃষ্টি ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাইরে গাছের পাতা আর পাখির ডাকও যেন তার অস্থির হৃদয়ের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। লাবণ্যকে আলাদা কটেজে রেখে আসার সিদ্ধান্ত তার মনের গভীরে অপরাধবোধের জন্ম দিয়েছে, “ও যদি আমার পাশে থাকত”
মনে মনে বারবার এই কথাটা বলছিল।

সময় চলতে থাকল। লাবণ্য তার কটেজে শুয়ে ধ্রুবর মুখের দৃঢ়তা মনে করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ধ্রুব জানালার পাশ থেকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবছে, “লাবণ্য হয়তো এখন ঘুমিয়েছে।” অথচ দুজনেরই মনের অস্থিরতা তাদের ঘুমাতে দিচ্ছে না। যেন অরণ্যের নীরবতা তাদের মনকে আরও ভারী করে তুলছে।

ধ্রুব হঠাৎ উঠে দাঁড়াল। সিদ্ধান্ত নিল, কিছুক্ষণ পরে সে লাবণ্যকে দেখে আসবে। হয়তো লাবণ্যও সেই একই সিদ্ধান্তে নিজের কটেজের দরজা খুলে বাইরে আসবে। জনমানবহীন অরণ্যের তাদের এই অস্থিরতা একে অপরকে কাছে টেনে নেওয়ার জন্যই যেন অপেক্ষা করছে।

চলবে……..