ভাঙা পাঁজরে বসন্ত পর্ব-০৭

0
14

#ভাঙা_পাঁজরে_বসন্ত
#সানা_শেখ
#পর্ব_7

অনেক আলাপ আলোচনার পর তুহিন শিকদার নওশাদ চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে নরম স্বরে বলেন,

“স্যার আপনারা যা চাইছেন তা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।”

“বুঝতে পারছি সব কিছু কিন্তু আমরাও নিরুপায় তুহিন সাহেব।”

“ভিরান যখন তুরার কাছে থাকতে চায় তখন না হয় ওর কাছে থাকবে। ভিরানের স্কুল শেষ হওয়ার পর ওকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসবেন। সারা দিন তুরার কাছে থাকবে রাতে ঘুমোনোর পর নাহয় গত রাতের মতো নিয়ে যাবেন। তুরার তো পড়াশোনা নেই এখন, বাড়িতেই থাকবে সারা দিন। কিছু দিন গেলেই ভিরানের পা’গ’লা’মি ঠিক হয়ে যাবে। ছোট বাচ্চা তো তাই হুট করে এমন জেদ করছে।”

“বুঝতে পারছি কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে তুরা কে না দেখলে পা’গ’লামি করবে।”

“ভিরান বুদ্ধিমান ছেলে, ওকে ভালো ভাবে বোঝালে মানবে।”

“আমাদের কোনো কথা শুনতে চায় না।”

“আমি বুঝিয়ে বলবো।”

মেরি চৌধুরী মুক্তা শিকদারের দিকে তাকিয়ে বলেন,

“ভিরান সারা দিন কিচ্ছু খায়নি। তুরা কে একটু বলবেন ওকে এগুলো খাইয়ে দিতে!”

একটা ছোট হটপট এগিয়ে দেন মুক্তা শিকদারের দিকে। বাড়ি থেকেই ভিরানের জন্য চিকেন স্যুপ নিয়ে এসেছেন। চিকেন স্যুপ ভিরানের বেশ পছন্দ।

মুক্তা শিকদার হটপট হাতে এগিয়ে যান ডাইনিং টেবিলের কাছে। একটি বাটিতে স্যুপ ঢেলে তুরার রুমের দিকে এগিয়ে যান, ওনার পেছন পেছন মেরি চৌধুরীও এগিয়ে যান।

তুহিন শিকদার মাথা নিচু করে বসে আছেন। বসের কাছে এমন প্রস্তাব আশা করেননি তিনি। ওনার একটা মাত্র মেয়ে, বড় আদরের। একটা চার বছরের বাচ্চার বাবার কাছে মেয়ে কে বিয়ে দেবেন নাকি? গরীব হতে পারেন তবে মন মানসিকতা এমন নয় যে টাকা ওয়ালা ছেলে দেখেই মেয়ে দিয়ে দেবেন।

ভিরান ছোট মানুষ, বাচ্চারা হুট হাট কোনো কিছু পাওয়ার জন্য এমন জেদ করেই। পেয়ে গেলেই সেটার প্রতি আগ্রহ কমে যাবে, আর একটা সময় পর ভুলেই যাবে। কিছু দিন পর তুরার জন্যও এমন করবে না আর।

নওশাদ চৌধুরী আরো কিছু বলতে চাইছেন কিন্তু ওনার বিবেকে বাঁধা দিচ্ছে। উনিও বুঝতে পারছেন ভুল আবদার করেছেন। ওনারা যা চাইছেন সেটা আসলেও সম্ভব না।

তুরা ভিরান কে কোলে নিয়ে বেডে বসে আছে।
ভিরান আস্তে আস্তে কথা বলছে তুরার সাথে। তুরা হু হা করে উত্তর দিচ্ছে আবার নিজেও বলছে।

দুজন কে রুমে প্রবেশ করতে দেখে সেদিকে তাকায় দুজনেই। মুক্তা শিকদার বলেন,

“দাদু ভাই তুমি নাকি সারা দিন কিচ্ছু খাওনি? তোমার জন্য চিকেন স্যুপ নিয়ে এসেছি, এখন কিন্তু পুরোটা খেতে হবে।”

“তুরা খাইয়ে দিলে খাব।”

“তুরাই খাইয়ে দেবে।”

“তাহলে খাব।”

স্যুপের বাটি টা রেখে ভিরান কে তুরার কোল থেকে নামিয়ে তুরার সামনে বসান। টাওয়েল এনে গলা থেকে পুরো শরীর ঢেকে দিয়ে বলেন,

“তুমি না গুড বয়, দ্রুত খাওয়া শেষ করতে হবে কিন্তু।”

“ওকে।”

“তুরা দ্রুত খাইয়ে দে ওকে, ঠান্ডা হয়ে গেলে আর ভালো লাগবে না।”

“বাটি দাও।”

তুরার হাতে স্যুপের বাটি দিয়ে পানির গ্লাস হাতে নিয়ে পাশে বসেন মুক্তা শিকদার।
মেরি চৌধুরী তুরার স্টাডি টেবিলের সামনে থেকে চেয়ার এনে চেয়ারে বসে নাতি আর তুরা কে দেখতে থাকেন।

স্যুপ বেশি গরমও না আবার ঠান্ডাও না।
পাঁচ মিনিটেই ভিরানের খাওয়া শেষ হয়। সারা দিন ধরে ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত, এখন পেট ভরে স্যুপ খাওয়ার কারণে চোখ দুটো ছোট ছোট হয়ে গেছে। শোয়ালেই ঘুমিয়ে যাবে।
মেরি চৌধুরী নিজের হ্যান্ড ব্যাগ থেকে ভিরানের মেডিসিন গুলো বের করে দেন।

“এগুলো এক চামচ করে খাইয়ে দাও একটু কষ্ট করে।”

মেডিসিন খাইয়ে দেয় তুরা। মেডিসিনের বোতল, বাটি সব সরিয়ে নেন মুক্তা শিকদার। ভিরান তুরার কাছে এগিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে বলে,

“তুরা ঘুম পাচ্ছে।”

মেরি চৌধুরী বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলেন,

“আচ্ছা তোমরা ঘুমাও আমরা যাই তাহলে।”

ভিরান দাদির দিকে তাকিয়ে বলে,

“দাদু পাপা কে আসতে বলো।”

“কেন?”

“আমাদের সাথে ঘুমাবে।”

“তোমরা ঘুমাও, তোমার পাপা একটু পর আসবে।”

ভিরান আর কিছু বলে না দাদি কে। তুরার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,

“তুরা ওয়াশরুমে যাব।”

তুরা বেড থেকে নেমে ভিরান কে কোলে তুলে ওয়াশরুমে নিয়ে আসে। ফ্রেস করিয়ে আবার এনে বেডে শোয়ায়।

“তুরা তুমি আসো।”

“দরজা ভিজিয়ে দিয়ে আসি।”

“আচ্ছা।”

ডোর ভিজিয়ে দিয়ে এসে নাইট ল্যাম্প অন করে বড় লাইট অফ করে দেয়। ভিরান কে বুকে জড়িয়ে ধরে বলে,

“ঘুমাও এখন।”

“আমি কিন্তু তোমাকে ছেড়ে যাব না তুরা। তুমি চলো না আমাদের সাথে। তোমাকে ছাড়া পাপা ভালো নেই, আমারও ভালো লাগে না।”

ভিরানের কথা শুনে শকড তুরা। ওকে ছাড়া নির্ভান কেনো ভালো থাকবে না?
তুরা ভিরানের পিঠে আলতো হাতে চাপড় দিতে দিতে বলে,

“ঘুমাও, রাত হয়ে গেছে তো।”

“আদর দাও।”

তুরা মুখ নিচু করে ভিরানের গালে, কপালে, মাথায় চুমু খায়। ভিরান শোয়া থেকে উঠে তুরার গালে, কপালে, মাথায় চুমু খায়। গলা জড়িয়ে ধরে গালে গাল ঠেকিয়ে বলে,

“তুরা তুমি অনেক ভালো। তুমি আমার আম্মু হলে সব সময় আমাকে আদর করবে, আমার কাছে থাকবে তাইনা? পাপা কেও আদর করবে তুমি। আর পাপা আমাদের দুজন কে আদর করবে। খুব মজা হবে তাইনা তুরা?”

তুরা অবাক হয়ে চুপ করে থাকে। এইটুকুন ছেলে এত কথা কিভাবে জানে? ওর মতো করে তো তুরা নিজেও গুছিয়ে বলতে পারবে না।
ভিরানের কথা গুলো শুনলে যে কেউ বলবে এই কথা গুলো ওকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছে আর ভিরান এখন রিপিট করছে।

“ভিরান তুমি না বললে তোমার ঘুম পাচ্ছে, কথা না বলে ঘুমাও।”

“তোমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগে। তুমি অনেক সুন্দর, ফেয়ারী টেল কুইন।”

তুরা হেঁসে ওঠে। ভিরানের মুখে এই সম্বোধন শুনতে ভালো লাগে। এমনিতেও ছোট বাচ্চাদের মুখের সব কথাই শুনতে ভালো লাগে।

“তুরা আমরা একটা হ্যাভেন বানাব।”

“হ্যাভেন দিয়ে কি করবে তুমি?”

“তুমি, আমি আর পাপা ওখানে থাকব।”

“তুমি তখন না বললে তোমাদের প্যালেস আছে।”

“প্যালেসে সব সময় থাকবো আর হ্যাভেনে ঘুরতে গিয়ে থাকব।”

“হ্যাভেন বানাবে কোথায়?”

ভাবুক হয় ভিরান। কিছু সময় ভেবে বলে,

“উম পাহাড়ে, যেখানে একটা সুন্দর বড় ফুলের বাগান থাকবে আর জঙ্গল থাকবে।”

“তুমি এত কথা কার কাছে শিখেছ?”

“পাপার কাছে, দাদু ভাইয়ের কাছে আর ট্যাব থেকে।”

“তুমি ট্যাব চালাতে পারো?”

“হুম। তুমি পারো না?”

“আমার তো ট্যাব নেই।”

“তাহলে পড়াশোনা করো কি দিয়ে?”

“টিউটর এসে পড়ায় আবার আব্বুর ল্যাপটপ থেকে পড়ি।”

“পাপা কে বলবো তোমাকে ট্যাব কিনে দিতে।”

“না না লাগবে না আমার।”

“আচ্ছা আমার টা তুমি নিও।”

“কোনো টাই লাগবে না আমার। এতক্ষণ তো তাকাতে পারলে না, এখন এত কথা কিভাবে বলছ?”

“ঘুম চলে গেছে।”

তুরা হেঁসে বলে,

“কোথায়?”

“জানিনা।”

“চুপ করে থাকো তাহলে ঘুম চলে আসবে আবার।”

“আদর দাও।”

এবার অনেক গুলো চুমু খায় তুরা। ভিরান খুশি হয়ে বলে,

“ওয়াও কত গুলো আদর।”

“এখন না ঘুমালে আর আদর দিব না।”

“একটা গল্প বলো।”

“আমি তো গল্প পারি না ভিরান।”

“একটা বলো।”

“আচ্ছা।”

তুরা ভিরান কে ঠিক করে শুইয়ে দিয়ে পিঠে আলতো হাতে চাপড় দিতে দিতে গল্প বলতে শুরু করে।

“একটা সুবিশাল রাজ্য। রাজ্যে সুখ শান্তি সব থাকলেও রাজ্যের রাজা সব সময় বিষন্ন থাকে। তাকে কেউ কোনো দিন হাসতে দেখেনি, কেউ জানে না রাজা কেনো হাসে না। রাজা কে হাসি খুশি রাখার জন্য অনেক কিছু করা হয় তবুও রাজা হাসে না, তার বিষন্নতা দূর হয় না। রাজা সব সময় একা একা সময় কা’টা’য়, নিজের কালো রঙের তেজি ঘোড়া টা নিয়ে এদিক সেদিক চলে যায় ভ্রমণে। একদিন নিজের তেজি ঘোড়ার পিঠে চড়ে মায়াবন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল তখন রাজার নজরে আসে এক মায়াবিনী কন্যা। মায়াবিনী কন্যা মধুর সুরে রিনরিনে চিকন স্বরে গান গাইছিল ডোবার পানিতে হাঁটু পর্যন্ত পা ডুবিয়ে। তার লম্বা ঘন কালো চুল গুলো পিঠ ঢেকে রেখেছিল, মাটিতে ছড়িয়ে ছিল অনেক টা জায়গা জুড়ে। মায়াবিনী কন্যা হঠাৎ উঠে দাঁড়ায়, তার চুল গুলো ছিল বিশাল লম্বা। সে গান গাইতে গাইতে জঙ্গলের ভেতরের দিকে এগিয়ে যায়, চুল গুলো মাটি হিঁচড়ে যাচ্ছিল। ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে দাড়ায় রাজা। সে যেন কোনো এক মায়ায় আটকে গিয়েছিল। নিজের অজান্তেই পিছু নেয় মায়াবিনী কন্যার।”

এত টুকু বলে থামে তুরা। ভিরানের নড়াচড়া নেই। তাঁকিয়ে দেখে ঘুমে বিভোর হয়ে গেছে।
তুরা নিজের বলা গল্প টা স্মরণ করে ভাবুক হয়। এমন একটা গল্প তুরা কিভাবে বলল? ও তো এমন গল্প কোনো দিন পড়েনি, কারো কাছে শোনেনি তাহলে আজ কিভাবে বলল? স্ট্রেঞ্জ।

ভিরান কে ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। রুম থেকে বেরিয়ে ড্রয়িং রুমে আসে। সোফায় বসে থাকা চার জন তাকায় ওর দিকে। মেরি চৌধুরী বলেন,

“ঘুমিয়ে গেছে?”

“হ্যাঁ।”

নওশাদ চৌধুরী উঠে দাঁড়ান।

“আচ্ছা আমরা তাহলে এখন আসি। আপনাদের অনেক যন্ত্রণা করলাম।”

“সমস্যা নেই স্যার, আবার আসবেন।”

“না এসে তো উপায় নেই।”

নওশাদ চৌধুরী তুরার রুমে এসে ভিরান কে কোলে তুলে নেন। তিন জনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান।
ওনারা চলে যেতেই মুক্তা শিকদার বলেন,

“কোন ঝামেলায় ফেঁসে গেলাম আল্লাহ? এরকম চলতে থাকলে আশে পাশের মানুষ নানান কথা রটাবে।”

তুহিন শিকদার বলেন,

“তুমি শুধু শুধু টেনশন করছো, এমন কিছু হবে না।”

“মানুষের মুখ তুমি বন্ধ করতে পারবে না। এরা তিল কে তাল বানাতে ওস্তাদ।”

তুরা ড্রয়িং রুম থেকে রুমে ফিরে আসে। বেলকনিতে দাঁড়ায় যেন নিচ থেকে ওকে দেখা না যায়।
নির্ভান এখনো আগের মতোই গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

বাবা মা কে ফিরে আসতে দেখে সোজা হয়ে দাড়ায় নির্ভান। এগিয়ে গিয়ে ছেলে কে কোলে তুলে নিতে নিতে বলে,

“স্যুপ আর মেসিডিন খেয়েছে?”

“হ্যাঁ।”

নির্ভান ছেলে কে নিয়ে পেছনে উঠে বসে।
পাশে বসেন মেরি চৌধুরী। ড্রাইভিং সিটে বসেন নওশাদ চৌধুরী। গাড়ি ছুটে চলে চৌধুরী বাড়ির দিকে।
মেরি চৌধুরী বলেন,

“ওনারা এখন তুরা কে বিয়ে দেবেন না।”

তড়িৎ গতিতে মায়ের দিকে তাকায় নির্ভান। কিছুটা রাগী স্বরে বলে,

“তোমরা কি ওনাদের কে বিয়ের বিষয়ে কিছু বলেছ?”

নওশাদ চৌধুরী বলেন,

“এত রেগে যাচ্ছো কেন? তোমার পুরো জীবন পড়ে আছে, সারা জীবন কি একা একা থাকবে নাকি? ভিরানের মায়ের প্রয়োজন আছে, তোমারও জীবন সঙ্গীর প্রয়োজন আছে।”

“না, আমার জীবন সঙ্গীর প্রয়োজন নেই। আর তোমাদের কি মাথা খারাপ হয়েছে? এত বার নিষেধ করার পরেও কেনো বলেছো বিয়ের কথা? নিজেদের স্বার্থের জন্য অন্যের জীবন নষ্ট করার তো কোনো মানে হয় না। তুরার বয়স মাত্র আঠারো, আমার বয়স একত্রিশ। বয়সের কতটা পার্থক্য বুঝতে পারছো না? তুরা অবিবাহিত একটা মেয়ে আর আমি এক বাচ্চার বাবা। তুরা কে আমার জীবনে জড়ানো মানে নিজেদের স্বার্থ হাসিল। আমি এত বড় স্বার্থপর মানুষ না।”

“তুরা তোমার বউ হলে ওকে তুমি ভালোবাসবে না? আগলে রাখবে না ওকে? শুধুই কি ভিরানের জন্য বিয়ে করবে?”

“বিয়ে করলে অবশ্যই আগলে রাখবো কিন্তু আমি তো বিয়েই করবো না। আমি এই বিষয়ে আর কোনো কথা শুনতে চাই না আম্মু। শুধু তুরা কেনো আমি কাউকেই বিয়ে করতে চাই না। বিয়ের নিয়ে আর একটা কথাও শুনতে চাই না।”

একটু থেমে রাগ সংযত করে গম্ভীর গলায় বলে,

“আব্বু তুমি একা এক মাস অফিস সামলাতে পারবে না?”

“কেন? তুমি কোথায় যাবে?”

“তুমি এক মাস অফিস সামলাবে। আমি ভিরান কে নিয়ে আবার অস্ট্রেলিয়া যাব এক মাসের জন্য। এক মাসের মধ্যে তুরার কথা ভুলে যাবে নিশ্চই। ওখানে বিভা আছে, নিদ্রা আছে, ওদের সাথে থাকলে এত এমন করবে না। আমি ভিসার জন্য কথা বলেছি, কয়েক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে সব।”

নওশাদ চৌধুরী বলেন,

“যদি না ভোলে? তুরা ওর মস্তিষ্কের ভেতর গেঁথে গেছে এখন।”

“মস্তিষ্ক থেকে বের করার জন্যই দূরে যেতে হবে। বিভার কাছে গেলে নিশ্চই তুরা কে ভুলে যাবে।”

চলবে……………