ভালোবাসি তাই পর্ব-০৯

0
539

#ভালোবাসি_তাই
তন্বী ইসলাম-৯

চারিদিকে ফুরফুরে হাওয়া বইছে। আশেপাশে কিছু মানুষের আনাগোনাও চোখে পরছে। এরই মাঝে পাশাপাশি হেটে চলেছে সাদ আর নিয়াশা। নিয়াশার চুলগুলো খোলা, বাতাস এসে নিয়াশার চুলে ঝাপটা দিচ্ছে। নিয়াশা তা খুব মনোযোগ সহকারে উপভোগ করছে। সাদ ভাবলেশহীন, সে হেঁটে যাচ্ছে কোনো শব্দ ছাড়াই। কেন যেনো ওর ভালো লাগছে না। ভালো লাগার ব্যাপারে নিয়াশাকে সম্মতি দিলেও মন থেকে তার সত্যিই ভালো লাগছে না। কিন্তু নিয়াশার কাছে সেটা সে প্রকাশ করছে না। কিছুক্ষণ হাঁটার পর নিয়াশা প্রশ্ন করলো
“আচ্ছা, আমাদের মধ্যে যে এই একটা সম্পর্ক, ভালো বন্ডিং, এ সম্পর্কের নাম কি?
“সম্পর্কের আবার নাম হয় নাকি?
“হয় তো। নাম হয়, সব সম্পর্কেরই নাম হয়।

সাদ অন্যমনস্ক হয়ে বললো
“তুমি যা মনে করো, তাই।
সাদের কথায় নিয়াশার ঠোঁটে চওড়া হাসির রেশ দেখা যায়। এমন সময় একটা ছোট্র মেয়ে সাদের শার্ট টেনে ধরলো। সাদ সামান্য অবাক হয়ে মেয়েটির দিকে তাকালো। একটা আট কিংবা নয় বছরের মেয়ে, ফুল হাতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। সাদ মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলো
“কি?
“একটা ফুল নেন ভাই।
“ফুল দিয়ে আমি কি করবো?
মেয়েটি নিয়াশার দিকে তাকালো একবার। এরপর আবারও সাদের দিকে তাকিয়ে বললো
“ফুল দিয়া মাইনষে কি করে, ভাবীরে দিবেন। নেন ভাই, একটা ফুল নেন।

নিয়াশা উচ্ছ্বসিত হয়ে তাকিয়ে আছে সাদের দিকে। ভাবী ডাক শোনার পর সাদ কি বলে সেটা জানার অপেক্ষায় সে। সাদ হাসলো। মেয়েটিকে বললো
“ফুলের দাম কত?
“একটা ৩০ টেকা। মেয়েটি ঝটপট উত্তর দিলো।
“ঠিক আছে। একটা ফুল ওর হাতে দাও। নিয়াশাকে দেখিয়ে বললো সাদ।
“কি ফুল দিমু? গোলাপ নাকি অন্য ফুল?
সাদ নিয়াশার দিকে তাকিয়ে বললো
“তোমার পছন্দমতো একটা ফুল নিয়ে নাও তো বিউটি।
নিয়াশা হাসিমুখে অনেক বেছে একটা লাল গোলাপ নিলো। ওর মুখ থেকে অগণিত হাসি ঝরে পড়ছে।
সাদ ওয়ালেট থেকে একটা একশত টাকার নোট বের করে মেয়েটির হাতে দিলো। মেয়েটি মলিন মুখে বললো
“ভাংতি নাই তো।
সাদ মেয়েটির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো
“ভাংতি লাগবেনা। পুরোটা তোমার।
মেয়েটি একটি প্রানখোলা হাসি হেসে দৌড়ে চলে গেলো।

বাসার কাছাকাছি আসতেই নিয়াশা বললো
“আচ্ছা, মেয়েটি যখন আমায় ভাবী বললো, তখন তুমি ওকে কিছু বললেনা যে।
“কি বলবো?
নিয়াশা সামান্য আমতাআমতা করে বললো
“নাহ মানে, আমিতো হিসেবে ভাবী নয় তাইনা।
সাদ সরু চোখে তাকালো নিয়াশার দিকে। এরপর সামান্য হেসে বললো
“মেয়েটি যদি তোমাকে ভাবী ডেকে সামান্য পরিমাণেও আনন্দ পায়, তাহলে ক্ষতি কি। ডাকুক না ও ওর মতো করে। ওর ডাকা না ডাকায় তো আমাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছেনা। নিয়াশা আর কিছু বললোনা। সে গাড়ি থেকে নেমে সাদের পিছু পিছু বাসায় ঢুকলো। আজ সে অনেক খুশি।

সন্ধ্যের পরপরই বই এ মন দিয়েছে আশা। অনেক পড়া জমে আছে। অনেক রাত অব্দি পড়তে হবে আজ। তাতে যদি পড়াটা কিছুটা কভার করা যায়। পড়ায় যাতে কোনোরুপ বাধা না আসে সেজন্য দরজাটা ভেতর থেকে লাগিয়ে নিয়েছে সে। আনুমানিক রাত আট টা। এমন সময় দরজায় টুকা পরলো। হটাৎ পড়ায় বিঘ্ন ঘটায় কপালে কিছুটা বিরক্তির ভাজ পরলো। তীক্ষ্ণ কন্ঠে বললো
“কে?
“দরজাটা খোল আশা, আমি নিয়াশা।
না চাইতেও বই বন্ধ করে উঠতে হলো তাকে। দরজাটা খুলে দিয়ে আবারও টেবিলের সামনে গিয়ে বসলো সে। নিয়াশা ঘরে ঢুকে ধপ করে বিছানায় শুয়ে পরলো। প্রাণখোলা হাসিতে মেতে উঠলো সে। আশা মুচকি হেসে বললো
“এতো খুশি দেখাচ্ছে যে, কোনো বিশেষ সংবাদ আছে নাকি।
নিয়াশা খিলখিল করে হাসতে হাসতে বললো
“আছে রে বনু আছে। এমন একটা খবর আছে, যেটা শুনলে তুই হিংসেও করতে পারিস।

আশা আবারও হেসে বললো
“কারো খুশির খবরে এই আশা কখনো হিংসে করেনি আর করবেও না। নিয়াশা আধশোয়া হয়ে বললো
“আহ, রেগে যাচ্ছিস নাকি। মজা করছিলাম।
“আমি বুঝতে পেরেছি। বই খুলতে খুলতে বললো আশা।
নিয়াশা হটাৎ করেই চিলের মতো থাবা মেরে আশার হাত থেকে বইটা কেড়ে নিলো। আশা ভ্রু বাকিয়ে বললো
“কি হলো এটা?
“এখন পড়া বাদ দে তো। আগে শোন আজ কি কি হয়েছে।
আশা কপাল বাকিয়ে বললো
“তোমাদের লাভস্টোরি শোনার মতো টাইম আমার কাছে নেই তো। আমার এখনো অনেক পড়া বাকি। নিয়াশা সামান্য বিরক্ত নিয়ে বললো
“তুই এতো নিরামিষ কেন রে আশা?
“তোমরা আমিষ, তাই আমি নিরামিষ। মুচকি হেসে বললো আশা।
“তুই একটা খচ্চর। রাগে ফুসতে ফুসতে বলল নিয়াশা।
আশা হাসলো, তবে কিছু বলল না আর।

টেবিলের উপর থাকা ফোনটা হটাৎ ই বেজে উঠলো। আশা ফোনটা হাতে নিতেই নিয়াশা বললো
“কে ফোন করেছে, তোর ভাই?
“নাহ, একটা আননোন নাম্বার।
“বুঝেছি, গ্যারাকল। কথা বল, আমি গেলাম।
ফোন রিসিভ করে কানে ঠেকাতেই ভেসে আসলো সেই কন্ঠস্বর।
“হেই লেডি, কি করছিলে? আমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলে নিশ্চয়ই।
আশা হতাশ গলায় বললো
“আবারও আপনি?
“আবারও আমি মানে, অন্য কাউকে আশা করছিলে নাকি?
“এতো বেশি কথা কেন বলেন। বিরক্ত হয়ে বললো আশা।
“কথা বলার জন্য মুখটা রয়েছে, তাই বলছি।
“বাড়তি কথা রাখুন তো।
“আচ্ছা রাখলাম।
“কেন বার বার বিরক্ত করছেন আমায়?
“বিরক্ত না করলে যে তুমি পটবে না।
” মানে কি, আমাকে পটাতে চান আপনি?
“অবশ্যই। ভালোবাস পেতে হলে আগে প্রেমিকাকে পটাতে হবে এটাই স্বাভাবিক ।।

এবার বেশ রেগে গেলো আশা। ঝাঝালো কন্ঠে বললো
“এই ধরনের লো মেন্টালিটির মানুষকে আমি দুচোখে সহ্য করতে পারিনা। আপনি বরং আপনার মতো লো মেন্টালিটির কোনো মেয়ের উপর এই থেরাপি গুলো এপ্লাই করুন।
“রেগে যাচ্ছো?
” আপনার কথার যেই ধরণ, তাতে রেগে যাওয়াটা কি স্বাভাবিক নয়?
“হুটহাট রেগে যাওয়াটাও কিন্তু ভালোবাসার লক্ষন।

আশা আর কিছু বলার অবস্থায় রইলোনা। প্রচন্ড রাগে ফোনটা কেটে দিলো সে। এরপরও যদি কল আসে, তাহলে ফোনটাই বন্ধ করে দিবে সে। কিন্তু নাহ, কয়েক মিনিট পার হবার পরও কল আসলো না৷ আশা ভাবলো, “যাক, বাঁচা গেলো। সে আবারও বই খুলে পড়ায় মন দিলো। কয়েক মিনিট পর ফোনের মেসেজ টোন বেজে উঠলো। সামান্য বিরক্তি নিয়ে মেসেজ ওপেন করলো সে। সেই আননোন নাম্বারটা থেকেই এসেছে মেসেজটি।
“যতই রাগ করো, যতই অপছন্দ করো,
তুমি আমারই।
তোমাকে পেতে হলে, তোমার অবহেলা সহ্য করা বাধ্যতামূলক, এবং আমি তা করবো।
(রানা)

মেসেজটি পড়ে মাথায় হাত দিলো আশা। বিড়বিড় করে বলতে লাগলো
“এ কোন পাগলের পাল্লায় পড়লাম আমি?
কয়েক সেকেন্ড নিরব থেকে আবারও বললো
“যাক, নামটা তো জানলাম এতোদিনে। বেচারার নাম রানা, হুহ।

রাত অনেক হয়ে গেছে ততোক্ষণে। একটা কি সোয়া একটা। তখন রানা নামের সেই ছেলের জ্বালাতনে অনেকটা সময় পড়তে পারেনি সে। তাই এখনো পড়াগুলো কমপ্লিট হয়নি। যার ফলে চোখের ঘুমকে সাইডে রেখে এতো রাতেও পড়তে হচ্ছে।
বিকেল থেকে সারাটা সন্ধ্যে পর্যন্ত ঘুরাফেরা করার কারণে সাদের শরীরটাও কিছুটা ক্লান্ত হয়ে গেছিলো। তাই খুব তারাতাড়িই ঘুমিয়ে গেছিলো রাতে। মাঝরাতে হটাৎ ই ঘুম ভেংগে যায় ওর। কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করেও ঘুম আসছিলো না চোখে। কয়েক মুহূর্ত কেটে যাবার পর এক পর্যায়ে বিরক্তি নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে বসে সে। গলাটা প্রচন্ডভাবে শুকিয়ে গেছে তার। ভেজানোর প্রয়োজন। তাই সে পানি খাওয়ার জন্য ডাইনিং টেবিলের কাছে এগিয়ে যায়।

জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে ঢকঢক করে খেয়ে নেয়। পানি খাওয়া শেষ হলে নিজের বেডরুমের দিকে যাবে তখনই নজর গেলো জানলার দিকে। জানলার ফাঁক দিয়ে আশার রুমটা স্পষ্ট দেখা যায়। এতো রাতে ওর রুমে লাইট জ্বলতে দেখে অবাক হয় সাদ। কোনো সমস্যা হয়নি তো আশার? সমস্যা না হলে তো এতো রাতে লাইট জ্বালিয়ে রাখার কথা না। সাদের হটাৎ মনে হয়, কিউটি অসুস্থ হয়ে পরেনি তো? আর কিছু না ভেবেই দরজাটা খুজে সোজা আশার রুমের দিকে এগিয়ে যায় সাদ। দরজা লাগানো। জানলার কাঁচ দিয়ে আলো বাইরে আসছে।

এতো রাতে একটা মেয়ের রুমে ঢুকা ঠিক হবে নাকি হবেনা সেটা মাথাতেও আসেনি সাদের। ইনফ্যাক্ট, কে কি ভাবলো, কি বললো তাতেও কিছু যায় আসেনা ওর। যে কারণে নির্দ্বিধায় সে দরজায় টুকা দেয়।
এত রাতে দরজায় টুকা দেওয়ার শব্দে ভয় পেয়ে যায় আশা। ভয়ার্ত চোখে দরজার দিকে তাকিয়ে রইলো সে কিছুক্ষণ। এবার সাদ আবারও টুকা দিলো। আশার ভয় আগের তুলনায় আরো বেড়ে গেলো। যদিও এ এলাকায় চোরের উপদ্রব নেই, আর এ বাসাটাও সেফ। চোর, বদমাইশ কেউই ঢুকতে পারবেনা। কিন্তু ভুত, ওরাও ঠিকই ঢুকতে পারবে।এদের ঢুকতে তো কারো পারমিশন কিংবা দেয়াল টপকানোর প্রয়োজন নেই।
আশার রক্ত হিম হয়ে আসছে। রীতিমতো ওর শরীর কাপতে শুরু করে দিয়েছে। আশার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আতংকিত হলো সাদ। বিচলিত হয়ে বললো
“কিউটি, তুমি কি অসুস্থ? তুমি ঠিক আছো তো?

আশা ভাবলো, ভুতটা হয়তো সাদের কন্ঠস্বর নকল করে কথা বলছে। সিনেমায় সে দেখেছে, ভুতেরা পরিচিত মানুষের কন্ঠে ডাক দেয়। আশা কোনো কথা বললোনা তাই। ওর কাঁপা-কাঁপি বেড়েই যাচ্ছে। সাদ এবার কিছুটা জোরে বললো
“দরজাটা খোলো কিউটি। তুমি কি কোনো বিপদে পড়েছো?

আশা এবার মনে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে ভয়ার্ত গলাতেই আমতাআমতা করে বলল
” আ-আমি ভুতেদের ভয় পাই না। প্লিজ, আপনি যে ধরনের ভূত হয়ে থাকেন না কেন, চলে যান প্লিজ প্লিজ। আশার গলা কাঁপছে।
আশার মুখ থেকে এ ধরণের কথা শুনে পুরাই বোকাবনে গেলো সাদ। এ মেয়ে কি বলে এইসব।
সাদ এইবার কিছুটা ধমকের সুরে বললো
“মাথা নষ্ট হয়ে গেছে তোমার কিউটি? কি ভুত ভুত করছো? আমি সাদ। দরজাটা খোলো তো তারাতাড়ি।
আশা কাঁপা গলায় বললো
“আমি বিশ্বাস করিনা।
সাদ এবার রেগে গেলো। বললো
“দরজাটা খুলবে নাকি আমি ভাংবো?

কথাটা মাথায় গেঁথে গেলো আশার। মনে মনে ভাবলো
“ভুতেদের তো দরজা ভাংগার কোনো প্রয়োজন নেই, তার মানে সে ভুত নয়।
কথাটা ভাবতেই স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লো আশা। আর দেরি না করে চটজলদি সে দরজাটা খুলে দিলো। সাদ রাগী ফেইস নিয়ে ঘরে ঢুকলো। আশা আমতাআমতা করে বললো
“এতো রাতে আপনি?
সাদ ঝাঝালো কন্ঠে হুংকার করে উঠলো। তেজ দেখিয়ে বললো
“এতো লেইট কেন করলে দরজাটা খুলতে? কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি কোনো আইডিয়া আছে তোমার?
“কিভাবে খুলবো, আমিতো ভেবেছিলাম কোনো ভুতটুত হবে হয়তো। এতো রাতে ভুত ছাড়া আর কে আসবে আমার রুমে।

সাদ আবারও রাগী গলায় বললো
“কোত্থেকে আসে এ ধরনের চিন্তাভাবনা? তোমার রুমে এতো রাতেও লাইট জ্বলতে দেখে এসেছি। ভেবেছি, তুমি হয়তো অসুস্থ। এখন তো দেখছি তুমি দিব্যি সুস্থ আছো। কি হয়েছে তোমার, জেগে আছো কেন এখনো?
আশা মুচকি হেসে চেয়ারটায় বসলো। শান্ত গলায় বললো
“এটা জানার জন্য এতো রাতে এসেছেন? আমিতো পড়ছিলাম, কালকেল পড়া গুলো বাকি ছিলো তাই।
“কেন, সন্ধ্যের পর থেকে কি করছিলে?.
“সন্ধ্যের পরই পড়তে বসেছিলাম। কিন্তু…
সাদ খানিক রেগে বললো
“কিন্তু ফিন্তু বাদ দাও। যাই হোক না কেন, এতো রাত করে কেন জেগে থাকবে। তুমি কি জানোনা, রাগ জাগলে শরীর খারাপ করে?

আশা অবাক হয়ে তাকালো সাদের দিকে। সাদ হটাৎ এমন করে কথা বলছে কেন?
পরক্ষণে আশা নিচের দিকে তাকিয়ে বললো
“আসলে কিছুদিন ধরে একটা ছেলে খুব ডিস্টার্ব করছে। রাস্তা ঘাটে, হাটে বাজারে, যেখানে সেখানে। ইনফ্যাক্ট, ভার্সিটিতেও গিয়ে শান্তি পাই না। রাস্তা আগলে দাঁড়িয়ে থাকে।
সাদের কপালে ভাজ পরলো হটাৎ। আশা লক্ষ্য করলো, সাদের মুখের অবয়ব হটাৎই চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। সে অবাক হলো খুব। ভাবতে লাগলো, এ কথা শোনার পর, সাদের প্রতিক্রিয়া এমন হবার কারণ কি!

চলবে….