ভালোবাসি তাই ২ পর্ব-১৯+২০

0
502

#ভালোবাসি তাই ২
#পর্বঃ১৯
#তানিশা সুলতানা

মহিলাটির বয়স প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি কিংবা তার ওপরেও হতে পারে। সাজুগুজুর জন্য বয়সটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। ঠোঁটে গাড়ো লাল রংয়ের লিপস্টিক। চোখে প্রচন্ড মোটা করে কাজল আঁকা। আধপাকা চুল গুলো খোপা করে তাতে গোলাপ ফুল গোঁজা। সুতি লাল রংয়ের শাড়ি কুচি করে পরে আচলটা ভাজ করে তাতে সেফটিপিন দেওয়া।
ফুলের টবটা হাতে দিয়ে হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তানহা অভির পেছনে লুকিয়েছে।
“এটাই আমার ফুলের টব। সবার বাসাই চিরুনি তল্লাশি দিয়েছিলাম শুধু এই বাসাটা বাদে। আর এখানেই পেয়ে গেলাম।
টবটাতে হাত বোলাতে বোলাতে বলেন মহিলাটি।
” এটা এখানে আসলো কি করে?
অভি ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে।
“আমি কিন্তু চুরি করি নি। আমি তো চুরি করতে পারিই না। ওই যে টবের ভেতরের গোলাপের ডাল লাগানো সেটাও আমি চুরি নি। বিশ্বাস করেন। এই যে দেয়াল ছুঁয়ে বললাম।
তানহা অভির পেছন থেকে বেরিয়ে বলে।
মহিলাটি কপালে তিনটে ভাজ ফেলে তাকিয়ে আছে তানহার দিকে।
অভি নিজের কপাল নিজে চাপ কায়।
” তুমি চুরি করো নি বুঝলাম। তাহলে তুমি জানলে কি করে ওতে গোলাপের ডাল লাগানো আছে?
অন্য মহিলা বলে ওঠেন।
“আবার ফেসে গেলাম।
তানহা দাঁত দিয়ে নখ কেঁটে বিরবির করে বলে।
” চুরির বিচার পরে করা যাবে। আগে এদের বিয়ের ব্যবস্থা করি। আহাম্মদ ভাই অনুমতি দিয়ে দিয়েছে।
একটা পুরুষ বলেন।
“আমিও সেটাই বলি।
তানহা একটা লাফ দিয়ে এক গাল হেসে বলে ওঠে।
অভি দাঁত কটমট করে তাকায় তানহার দিকে। তানহা ভেংচি কেটে দুই পা এগিয়ে যায়।
” শুধু বিয়ের ব্যবস্থা করলে হবে না। খাট টাও তো সাজাতে হবে ফুল দিয়ে তাই না?
আমাদের হাতে তো টাকা নেই। তাই যদি ফুল গুলোও আপনারাই কিনে দিতেন। অবশ্য পরে টাকা শোধ করল দিতাম।
তানহা হাত কচলাতে কচলাতে মাথা নিচু করে বলে।
“কেমন মেয়েরে বাবা নিজের ফুল সজ্জার কথা নিজে মুখে বলছে। ছি ছি ছি
রিনা খান মানে ফুলের টবের মালিক মুখ বাঁকিয়ে বলে।
“আমি তো ফুল সজ্জার কথা বলি নি রিনা আন্টি।
তানহা মুখটা কালো করে বলে।
” তুমি কি করে জানলে আমার নাম রিনা খান?
মহিলাটি উৎসাহ নিয়ে বলে।
“সাজ দেখে বললাম।
তাহা হেসে বলে।

🥀🥀🥀🥀
গাড়ি ঠিক করার জন্য আহাম্মদ চৌধুরী বেরিয়ে গেছেন। আজকেই স্মৃতিকে বাড়ি নিয়ে যাবে। আনিকা বেগম খেতে গেছেন। আপাতত স্মৃতি একাই আছে। এই সুযোগেই অবির চলে আসে স্মৃতির কেবিনে। আজকে স্মৃতি ঘুমিয়ে ছিলো। আবির এসে স্মৃতির পাশে ফুলটা রাখে। দুই হাত গালে দিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে স্মৃতির মুখের দিকে। “কিছু একটা আছে এই মুখে নাহলে কেনো এতো চেষ্টা করেও এই মুখটাকে ভুলতে পারছে না”
“এই স্মৃতি ওঠো না
স্মৃতির হাত ধরে ঝাঁকিয়ে বলে আবির।
নরেচরে ওঠে স্মৃতি। ঘুমের ঘোরে পা টা উঁচু করে যায়। আবির ধরে ফেলে। এখন পা বাঁকালে নিশ্চিত ব্যাথা পেতো।
” এই মেয়েটা এতো কেয়ারলেস কেনো?

স্মৃতির দুই গালে হাত রাখে আবির। কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়। ঘুমের মধ্যেই ভ্রু কুচকে ফেলে স্মৃতি। ঠোঁট উল্টে ফেলে। ফিক করে হেসে দেয় আবির।
“পাগলি একটা।

বেশ কিছুখন পরে চোখ পিটপিট করে তাকায় স্মৃতি। পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে ধাপ করে চোখ খুলে স্মৃতি। পাশে তাকিয়ে চোখ বড়বড় করে ফেলে তাকায় স্মৃতি।
আবির স্মৃতির এক হাত জড়িয়ে রেখেছে আরেক হাত গালে দিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে স্মৃতির দিকে।

তখনই কারো পায়ের ধাপ ধাপ শব্দ শোনা যায়। আবির চমকে ওঠে।
” এবার কি হবে?

🥀🥀🥀
নিজের ফুলসজ্জা খাট নিজে হাতে সাজাচ্ছে তানহা। অনেক গুলো গোলাপ রজনীগন্ধা কিনে এনে দিয়েছে ওনারা। বিয়ে পরিয়েই চলে গেছেন ওনারা। এখন বাসায় তানহা আর অভি। তানহা রিনা খানেন বাগান থেকে বেশ কয়েকটা কালো গোলাপ ছিঁড়ে এনেছে। খাটের চারপাশে আস্ত গোলাপ রেখে দিয়েছে তানহা। আর কিছু গোলাপের পাপড়ি ছিড়ে খাটের ওপর লাভ একে তাতে তানহা অভি লিখেছে। এবার নিজে সেই নীল শাড়িটা পরে এসে সুন্দর করে খোপা করে তাতে গোলাপ ফুল গুঁজে দিয়েছে। সাজার মতো কিছুই নেই৷
তাই আর সাজা হয় না।
অভি দুইজনের জন্য খাবার বেরে তানহাকে ডাকে।
“আমি কিন্তু ভীষণ খিধে পেয়েছে। তুমি কি খাবে? না কি আমি একাই খাবো?
অভি জোরে বলে।
তানহা দৌড়ে যায়।
” দেখুন তো কেমন লাগছে আমাকে? অভির পাশে বসে বলে তানহা।
“ভালোই
মুখে খাবার পুরে বলে অভি।
তানহা মুখ ফুলিয়ে খাবার খাওয়া শুরু করে দেয়।
” শুনো
আজকের ঘটনাটা সবাইকে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বলার দরকার নেই। সবাই জানলে পরিস্থিতিটা বাজে হবে বুঝলে?
তানহার দিকে তাকিয়ে বলে অভি।
“নাহহহ বুঝি নি। বিয়ে হয়ে গেছে। এটা আমি সবাইকে বলবো। আর আমি এখান থেকে এখন আর যাচ্ছি না।আমাকে ট্যাগ করে got a Married স্ট্যাটাস দিবেন। ঢাক ঢোল পিটিয়ে সবাই বলবো।
তেজি গলায় বলে তানহা।
” ইডিয়েট
এক লাইন বেশি বুঝে সব সময়।
অভি খাওয়ায় মনোযোগ দিয়ে বিরবির করে বলে।
“বেশি বুঝি ভালো। আপনার কি?
নাক টেনে বলে তানহা। চোখ দুটো টলমল করছে। এখুনি পানি গড়িয়ে পরবে।
” আজিব তো।
এখানে কান্না করার মতো কি বললাম আমি?
অভি ভেবাচেকা খেয়ে যায় তানহার কান্নায়৷ তানহা এবার হাত গুটিয়ে নেয়। ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে।
“আরে আরে
আচ্ছা বাবা ঠিক আছে। তুমি সবাইকে বইলো।
অভি তানহাকে স্বান্তনা দিয়ে বলে।
” আপনি আমার দিকে না তাকিয়েই কেনো বললেন ভালোই?
তানহা নাক টেনে বলে।
অভি কপাল ঘসে।
“এই পাগলীটাকে নিয়ে কোথায় যাবো?
মনে মনে বলে অভি।
” এখন ভালো করে দেখে বললাম খুব সুন্দর লাগছে।
তানহার হাত ধরে বলে অভি।
তানহা কান্নার মধ্যে হেসে ফেলে।
“থ্যাংক ইউ
চোখ মুছে বলে তানহা।

চলবে

#ভালোবাসি তাই ২
#পর্বঃ২০
#তানিশা সুলতানা

পড়ন্ত বিকেলে ছাঁদে এসেছে তানহা। মন ভালো করার উপায় মাএ। ভেবেছিলো ছাঁদে আসলেই মন ভালো হয়ে যাবে। আষাঢ় মাসের কালো মেঘের মতো তানহার মনটাও কালো হয়ে গেছে। না চাইলেও কান্না গুলো দলা পাকিয়ে আসছে। চোখ মুছে ফেলার সাথে সাথেই আবার চোখ ভরে আসছে। হেঁচকি উঠে গেছে।
ছাঁদের পশ্চিম পাশে কালো গোলাপ গাছ আছে। তাতে চারটে ফুল ফুটেছে। একটা ফুলের পাপড়ি গুলো ঝড়ে পরছে। শুকিয়ে গেছে ফুলটা। ওই ফুলটাই দুই একদিন আগে তরতাজা ফুরফুরে ছিলো।
মানুষের জীবনও এমন। এই সুখের সীমা থাকে না আবার এই পাহাড় সমান দুঃখ এসে ভর করে।
তানহাও তেমন। কিছুখন আগেই মনটা কতো ভালো ছিলো। মনে হচ্ছিলো তানহার থেকে সুখী এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তানহার থেকে দুঃখী পৃথিবীতে কেউ নেই।
সবটা শুধুমাত্র ভালোবেসে। দুরে যাওয়ার ভয়ে।
কিছুখন আগেই আবার বাবা ফোন করেছিলো। আর বলে দিয়েছে কালকের মধ্যে বাসায় ফিরে না গেলে পুলিশে কম্পেলেন করবে। সেটা নিশ্চয় ভালো হবে না।

আর অভিও বলে দিয়েছে কালকেই তানহা চলে যাবে। অভি একবারও বললো “না যেতে হবে না তোমাকে”

কালো গোলাপ গাছের ঝড়ে যাওয়া ফুলটাকে ছুঁয়ে দিয়ে হু হু কেঁদে ফেলে তানহা।
“আমি যে অভিকে ছাড়া একটা দিনও থাকতে পারবো না। বড্ড ভালোবাসি ওনাকে।
কাঁদতে কাঁদতে বলে তানহা।
হঠাৎ করে তানহার চোখ যায় নিচে। দুই তালা বাসার ছাঁদ থেকে নিচের দিকটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সেখানে গেটের সামনে রাস্তার মধ্যে অভিকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে মোহনা।
বুকের ভেতর মোচর দিয়ে ওঠে তানহার। দুই ঠোঁটটা আলাদা হয়ে যায়। মস্তিষ্ক ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।
” অভি আমার।
বিরবির করে বলতে থাকে তানহা। মনের মধ্যে হারানোর ভয়টা জট বেঁধেছে। এতো লড়াই করে পেয়েছে অভিকে। এতো সহজেই হারিয়ে যাবে?
আর ভাবতে পারে না তানহা। চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসে। সারা শরীর ঝি ঝি করতে থাকে। দুনিয়াটা অন্ধকার হয়ে আসে। পরে যায় তানহা।

“মোহনা প্লিজ সিনক্রিয়েট করো না।
অভি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় মোহনাকে। মোহনা এবার অভির পা জড়িয়ে ধরে।
” অনেক অন্যায় করেছি তোমার সাথে আমি। মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে তোমার চাকরিটা কেরে নিয়েছে। হ্মমা করে দাও আমায়। তুমি তো আমায় ভালোবাসো বলো?
আর কখনো এমন করবো না।
কাঁদতে কাঁদতে বলে মোহনা।
অভি তাচ্ছিল্য হাসে। দুই বাহু ধরে মোহনাকে দাঁড় করায়। মোহনা মাথা নিচু করে কাঁদছে।
“হ্মমা করার কিছু নেই। আমি তোমাকে হ্মমা করার কেউ না। আগের সব ভুলে গেছি আমি।
অভি চলে যেতে নেয়। মোহনা হাত ধরে অভির।
” প্লিজ ফিরিস দিও না আমায়। খুব ভালোবাসি তোমায়। সব ভুলে চলো ন নতুন করে শুরু করি। আবার এক সাথে পথ চলি?
আকুতি ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে অনুনয়ের সুরে বলে মোহনা।
অভি খুব যত্ন করে মোহনার হাতটা ছাড়িয়ে দেয়। মিষ্টি করে হাসে।
“তুমি আমাকে কখনোই ভালোবাসো নি। আমি তোমার প্রয়োজন ছিলাম মাএ। আর এখানো প্রয়োজনই আছি। তোমার ভালোবাসার মানুষ হতে পারি নি কখনো এটাই আফসোস ছিলো আগে। কিন্তু এখন আর কোনো আফসোস নেই। আছে শুধু তোমার প্রতি এক আকাশ সমান কৃতজ্ঞতা।
জোরে দম নেয় অভি। রাস্তার পাশে ঘাসের ওপর বসে। মোহনা দাঁড়িয়ে আছে অবাক দৃষ্টিতে অভিকে দেখছে। কতো চেঞ্জ হয়ে গেছে ছেলেটা।
” তুমি বেইমানি করার পরে খুব ভেঙে পড়েছিলাম। যেদিন তুমি ভার্সিটি টিচারদের সামনে কেঁদে কেঁদে বলেছিলে আমি তোমাকে টর্চার করেছি ছোঁয়ার চেষ্টা করেছি দুনিয়াটা থেমে গেছিলো আমার। সবাই যখন আমার দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলো ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছিলাম আমি।
সুইসাইট করতে গেছিলাম। বেঁচে ফিরেছি। কেনো জানো?
কারণ একটা মোহনা আমাকে ভেঙে দিলেও একটা তানহা ছিলো আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখানোর।
তানহা নামটা শুনে বিরক্ত হয় মোহনা। এই একটা নামই অভির সাথে মোহনার সম্পর্ক খারাপ করেছে। মোহনা বলতে অঙ্গান অভিকে মোহনা নামটাই ভুলিয়ে দিয়েছে।
“দেখে নেবো তোমায় তানহা।
বিরবির করে বলে মোহনা।
অভি উঠে দাঁড়ায়। মোহনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মোহনার চোখে চোখ রাখে। চোখ নামিয়ে নেয় মোহনা।
” নতুন চাকরি পেয়েছি। তানহা দিয়েছে৷ নতুন করে জীবন সাজিয়েছি। তানহা হেল্প করেছে। ইন ফিউচার যদি বিয়ে করি তো তানহাকেই করবো৷ দোয়া কইরো আমাদের জন্য।
মিষ্টি হেসে চলে যায় অভি।
মোহনা হাত মুঠ করে দাঁড়িয়ে থাকে।

🥀🥀🥀🥀

আনিকা বেগম সরু চোখে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে। আবির শুকনো ঢোক গিলে মুখটা গম্ভীর করার চেষ্টায় আছে। কিন্তু মারাক্তক ভয় আর নার্ভাস মুখটাকে গম্ভীর রাখতে দিচ্ছে না। হাঁটু দুটো কাঁপছে। কন্ঠস্বরও কাঁপছে।
“আপনাকে তো চিনলাম না।
আনিকা বেগম পা থেকে মাথা পর্যন্ত আবিরকে পর্যবেক্ষণ করে বলে।
আবির জীভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়। মনে মনে কথা সাজাতে গিয়ে দুই মিনিট পার হয়ে যায়।
” কিছু বলছেন না যে?
পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় আনিকা বেগম।
স্মৃতি ভয়ে আতস্থ হয়ে গেছে। আবির কি ধরা পরে যাবে?
ভাবতেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে আছে।
“আআমি ডাক্তার আদি। ওনাকে চেকআপ করতে এসেছি।
এক নাগারে বলে মিথ্যে কথা গুলো। বলে দম নেয়।
সরু চোখে তাকায় আনিকা বেগম। কথাটা পুরোপুরি বিশ্বাস হচ্ছে না তবুও বিশ্বাস করতে হবে। কারণ একেক সময় একেক ডাক্তার আসে। তো হতেও পারে উনি ডাক্তার।
” ওহহহ আচ্ছা
তো বাবা আমাকে একটু সাহায্য করে আমার মেয়েকে হুইল চেয়ারে বসাতে। একা বসাতে গেলে যদি ব্যাথা পায়।
কিছুটা আমতাআমতা করে বলেন আনিকা বেগম। কপাল কুচকে ফেলে স্মৃতি। আর মানুষ পেলো না? এই বদ লোকটাই পেলো সাহায্য চাওয়ার জন্য।
“কেনো নয় আন্টি। নিশ্চয় সাহায্য করবো।
স্মৃতির দিকে এক পলক তাকিয়ে মেকি হেসে বলে আবির।
কৃতজ্ঞতার হাসি দেয় আনিকা বেগম।
” মা আমি
স্মৃতিকে বলতে না দিয়ে আনিকা বেগম বলে ওঠে
“আমও তাহলে হুইল চেয়ারটা ভেতরে নিয়ে আসি।
আবির মাথা নরিয়ে সম্মতি জানায়। আনিকা বেগম চলে যায়।
স্মৃতি দাঁত কটমট করে তাকায় আবিরের দিকে।
” মেরি জান
ও মেরি জান
স্মৃতির হাত ধরে বলে আবির।
স্মৃতি হাতটা ছাড়িয়ে নেয়।
“এখান থেকে চলে যান।বারবার কেনো আসেন বলেন তো?
কপাট রাগ দেখিয়ে বলে স্মৃতি।
” তোমাকে কোলে নিতে
বলেই আবির ঝুঁকে কোলে তুলে নেয় স্মৃতি। স্মৃতি ভয় পেয়ে যায়। দুই হাতে আবিরের গলা জড়িয়ে ধরে। চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে আছে।
টুপ করে স্মৃতির কপালে চুমু খায় আবির। ফট করে চোখ খুলে স্মৃতি।
আবিরকে নিজের এতোটা কাছে দেখে লজ্জা আর রাগে সিটিয়ে যায়। মাথা নিচু করে দাঁত কটমট করে।
“আমার মা চলে আসবে।
দাঁতে দাঁত চেপে বলে স্মৃতি।
” আসুক আই ডোন্ট কেয়ার। ভয় পায় না আমি।
বুক ফুলিয়ে বলে আবির।

চলবে

বানান ভুল থাকতে পারে। একটু মানিয়ে নেবেন।