#ভীনদেশী_তারা
#শারমিন_প্রিয়া(১৪)
শিয়াং সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে এসে কক্ষে ঢুকে আমার কাছে বসলো। খানিক চুপচাপ থেকে তারপর বলল, “এত কান্না করো না নীহারিকা, ভালো লাগে না। তুমি কি সত্যি যাবে না এখান থেকে?”
চোখ-মুখ শক্ত হলো আমার। রাগী গলায় বললাম,
“তোমাদের হৃদয় কি তোমাদের বাবার মতো? কোন আক্কেলে এটা আবার জিজ্ঞেস করছো? আমার মেয়েকে রেখে এক পাও তুলব না। ও আমার জীবন।”
শিয়াং নিশ্বাস ফেলল, “তাহলে কান্না থামাও। ওকে খুঁজতে হবে। বাবা তো বাইরে কোথাও যাননি, তার মানে শিহাকে আশেপাশে কোথাও রেখেছেন। আমাদের খুঁজতে হবে।”
আমি উৎফুল্ল হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “সত্যি খুঁজবে শিয়াং?”
“হ্যাঁ, কথা দিলাম খুঁজে বের করব। তোমার কাছে ফিরিয়ে দেবো।”
“তোমার বাবা?”
শিয়াং তাচ্ছিল্য হাসলো, “ বাবা! অতিরিক্ত করছেন উনি। ভাইয়াকে উধাও করলেন, এখন আবার শিহাকে দূরে রেখেছেন তোমার থেকে। আর সহ্য করা যাচ্ছে না। তোমাকে লুকিয়ে থাকতে হবে যতক্ষণ না শিহাকে খুঁজে বের করি।”
উঠে দাড়ালাম আমি, “আমি তোমার সাথে খুঁজব।”
“পাগল হয়েছো নাকি! এটা ঝুকিপূর্ণ। এক কাজ করি? দাদুর ঘরে তোমাকে রেখে দেই, চলো। ওখানে কেউ যায় না, সবসময় বন্ধ থাকে। বাবা বাড়ি এসে তোমাকে না দেখে ভাববেন চলে গেছো। তারপর অবশ্যই শিহাকে বাড়ি নিয়ে আসবেন। পারবে থাকতে?”
একটু ভেবে বললাম, “ পারব শিয়াং, অবশ্যই পারব।”
ওইদিন সন্ধ্যায় ব্যাগ গুছিয়ে শিয়াং আমাকে দাদুর পুরনো কাঠের ঘরে রেখে দিলো। শাওলি আর তাদের মা এটা জানে।
একদিন একরাত আমি বন্ধ ঘরে কাটালাম। এই ঘরে আমার আর জিয়ানের অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি থাকলেও সেটা আমার মস্তিষ্কে ভেসে উঠলো না। সারাক্ষণ শিহার চিন্তায় ছটফট করছিলাম।
পরদিন মাঝরাতে আনুমানিক ১২টায় বোধহয় ঘরের দরজা খুলে শিয়াং ঢুকল। তার কোলে শিহাকে দেখে খুশিতে ভাষা হারিয়ে ফেলি আমি। এক ঝটকায় কোলে নিয়ে নিলাম শিহাকে । শক্ত করে চেপে ধরলাম বুকে। চুমু খাই। শিয়াংয়ের হাত ধরে ভেজা গলায় বলি, “তোমার ঋণ আমি কোনদিন শোধ করতে পারব না। কোনদিন না।”
শিয়াং ফিসফিস করে বলে, “ এখন ওসব বাদ দাও নীহারিকা। চলো পালাতে হবে। বাবার খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়ে আসছি। উনি বেঘোরে ঘুমাচ্ছেন। দাও শিহাকে, আমার কাছে দাও।”
শীতের রাত। তুষার জমে আছে রাস্তায়। তুষারের উপর দিয়ে এক প্রকার দৌড়ে আমরা বাড়ি থেকে বের হলাম। কিছু দূর যেতে ঘোড়ার গাড়ি দাঁড়ানো দেখলাম। শিয়াং আগে থেকে এটা ঠিক করেছে। তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম তাতে। বাতাস বইছে জোরে। ছোট ছোট সাদা তুষারের কণাগুলো বাতাসে ছিটকে পড়ছে। হাড় কাঁপানো শীতেও আজ আমার ঠান্ডা লাগছে না। উত্তেজনায় বুক ধড়ফড় করছে, কতক্ষণে নিরাপদে পৌঁছাবো আমি শুধু এটাই ভাবছি।
আধ ঘন্টা পরে আমরা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালাম। আর্জেন্ট টিকেট কেটে বাসে উঠে পড়ি। শিহা তখন থেকে ঘুমাচ্ছিল। এখন জেগেছে। আমার মুখ দেখে ঠোঁট উল্টে কাঁদতে লাগলো সে। তার কান্না দেখে বুক ফেটে আসছে আমার। এ দুইদিন আমাকে না দেখে, না পেয়ে না জানি মেয়েটার মনে কতটা শূন্যতা আর ভয় বাসা বাধছে।শিহাকে বুকে চেপে নিয়ে বললাম, “ আর কাঁদে না সোনা। মায়ের সাথে আর সবসময় থাকবে তুমি।”
শিহা আমাকে দুহাত দিয়ে আঁকড়ে ধরলো। তার অবুঝ মনে এখনও হয়তো ভয় করছে কেউ যদি তাকে নিয়ে নেয় মায়ের থেকে।
শিয়াং চুপ আছে। তার মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। বেচারা আমার মেয়ের জন্য এত বড় রিস্ক নিলো। না জানি ওর বাবা ওর সাথে কি করবেন। মেয়ের জন্য ওকে আমি বিপদে টেনে দিলাম। অপরাধবোধ কাজ করছে কিন্তু কিছু করার নাই। কিন্তু কীভাবে সে শিহাকে উদ্ধার করলো সেটা এখনও জানিনা। ডেকে বললাম, “শিয়াং, যেতে যেতে বলো না, শিহার খোঁজ কীভাবে পেলে আর কীভাবে বা উদ্ধার করলে।”
শিয়াং একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শিহার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, “তোমাকে যেদিন দাদুর ঘরে নিয়ে রাখলাম, ওইদিন রাতে বাবা বের হলেন। আমি তো শিওর ছিলাম, উনি শিহার ওখানে যাচ্ছেন। সাবধানে পিছু নিলাম আমি। দেখি এক বাঁশঝাড়ের ভেতরে ছোট একটা কুটিরে একজন মহিলা সেবকের কাছে শিহাকে রাখা। শিহা ভয়ে কান্না করছিল। বাবা তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সে আরও উল্টো কাঁদছিল। রাগ হচ্ছিল আমার কিন্তু ভেতরে যেতে তো পারব না। ভাবলাম, বাবা চলে গেলে শিহাকে বের করে আনব ওই কুটির থেকে। কিন্তু শিহার কান্না না থামায় বাবা ওই মহিলাকে বললেন, ‘তুমি অচেনা ওর কাছে তাছাড়া আমাকে ও বোধহয় পছন্দ করছে না। আমি ওকে নিয়ে যাই। ওর ফুপু দাদীকে দেখলে অবশ্যই ঠান্ডা হবে।’ তখন বাবা ওকে নিয়ে আসেন বাড়ী। মায়ের কাছে দিয়ে বলেন, ‘ঠান্ডা করো ওকে। আর শুনে রাখো, ওই মেয়েটা যদি আর কখনও আসে ফেরত, ঘরে ঢুকতে দেবে না। আমাকে জানাবে আমি ওর ব্যবস্থা করব।’
শিহাকে মা শাওলি আদর করেন। সে একটু ঠান্ডা হয় আবার কাঁদে। তারপর ঘুমিয়ে পড়ে। বাবা তো রিল্যাক্স যে তুমি চলে গেছো। সবাইকে বলেন, ঠিকঠাক যত্ন নিতে শিহার। আমি সকালে শিহাকে দোকানে নিয়ে যাই, খাবার দেই। অনেক ঘুরি তাকে নিয়ে যাতে সে শান্ত থাকে। শিহা তাতে অনেকটা শান্ত হয়। রাতের খাবারে আমি অনেক ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেই। আমি বাদে সবাই সেটা খায়। সবাইকে খাওয়াইছি এজন্য যাতে বাবা বুঝেন আমি ছাড়া আর কেউ দোষী নয়। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে শিহাকে তুলে নিয়ে আসি। তারপর তো আমরা চলে আসলাম। কিন্তু বিপদ এখনও কাটেনি। কলিজা কাপছে আমার। তুমি তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ চলে যাও। কালই টিকেট কাটবে।”
আমি চুপসে গেলাম। যার জন্য এ দেশে আমি আসলাম, তার তো কোন খোঁজই পেলাম না, উল্টো বিপদে পড়লাম। অসহায় চোখে প্রশ্ন করলাম, “ বাংলাদেশ চলে যাব? জিয়ান? জিয়ানের খোঁজ কি আর পাব না?
“তোমার অবস্থা বুঝতে পারছি নীহারিকা। কিন্তু এখন তুমি আর তোমার মেয়ে বিপদে। এখানে থাকলে বাবা শিহাকে উনার কাছে নিয়েই ছাড়বেন আর তোমাকে মেরে ফেলবেন। তাই মেয়ের জন্য অন্তত দেশে চলে যাও। ভাইয়া যদি বেঁচে থাকে অবশ্যই আমি তোমাদের কথা বলব। সে খোঁজ নেবে। বাকিটা উপরওয়ালার উপর ছেড়ে দাও।”
আমি কোন উত্তর দিলাম না। চুপ থাকলাম। কি বলব বুঝতে পারছি না। এভাবে কাটলো আরও কতক্ষণ। মেয়ের কপালে চুমু খেলাম, মেয়েকে হারাতে দিতে পারিনা। জিয়ান বড় মানুষ, সে বেঁচে থাকলে অবশ্যই খোঁজ নিবে। যা হয়েছে তা মেনে নিয়ে আমার মেয়েকে নিয়ে দেশে যাওয়া ছাড়া আর কোন নিরাপদ আশ্রয় নেই। শিয়াং সিটে হেলান দিয়ে শুয়ে আছে। চোখ বুজা। ক্লান্ত মুখ। ভীষণ মায়া লাগছে দেখতে। আস্তে করে ডাকলাম, “শিয়াং… সজাগ?
চোখ বুজা অবস্থায় বলল, “বলো, শুনছি।”
“তোমার বাবা সব জানবেন, জানার পর তো তোমাকে ছাড়বেন না। কি হবে তোমার? — শেষের কথাটা বলতে গলা কাঁপলো আমার। কারণ তাদের বাবার নৃশংসতা আমার নিজের চোখে দেখেছি আমি।
শিয়াং চোখ খুলল। মলিন হেসে বলতে লাগলো, “এমনই এক শীতকালে তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা। ভোরের সাদা আলোয় তোমাকে প্রথম দেখি আমি। তোমার সারা গায়ে তুষারের কণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো। জানিনা কেন প্রথম দেখায় খুব ভালো লেগেছিল তোমায়। বুকের এক কোণায় জায়গা করে নিয়েছিলে। তারপর আমার বাড়িতে গেলে কত সময় আমরা একসাথে কাটিয়েছি, আনন্দ করেছি। কিন্তু ভাইয়া তোমাকে ভালোবাসে। আমার ভাইয়ার ভালোবাসার সাথে আমি ঘনিষ্ঠ হতে পারিনা। তুমি আমার মন কেড়ে নিয়েছো এটাও বলতে পারি না। কিন্তু ভালো লাগা সবসময় ছিলো। তুমি তোমরা ভালো থেকো এটাই চাইতাম, এখনও চাই। তোমার মেয়েকে তোমার থেকে কেড়ে নেওয়া, তোমার কান্না করা এটা আমি নিতে পারছিলাম না। ভালো লাগার বিষয় বাদ, যদি অন্য কারও সাথে এটা হতো তখনও হয়তো আমার খারাপ লাগতো। তাছাড়া মায়ের কাছ থেকে সন্তানকে দূরে রাখার পক্ষে আমি নই। সব মিলিয়ে আমার খারাপ লাগা কাজ করছিল তাই রিস্ক নিয়ে শিহাকে উদ্ধার করেছি, তোমাকে নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশের বিমানে তুলে দিলেই তুমি বিপদমুক্ত। আমার শান্তি। তারপর আমার সাথে বাবা যা মন চায় করুক, আমার কিছু যায় আসে না।”
শিয়াং থামলো। সে কেমন করে কথা বলতো তার চাহনি দেখেই আগেই এটা আমার মনে আসছিল। আমি ঠোঁট কামড়ে অযথা আঁকিবুঁকি করতে লাগালাম তুষার ভেজা বাসের জানলায়।
শিয়াং শান্ত গলায় বলল, “নার্ভাস হয়ে পড়ছো কেন নীহারিকা? তুমি একটু ঘুমাও। শিহাকে আমি দেখছি। দাও আমার কোলে দাও।
শিয়াং আমার সাথে থাকলে আমি নিশ্চিন্ত। আমি শিহাকে তার কাছে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।
সকাল ছয়টায় আমরা উহানে নামি। শিয়াং আমাদের বাসায় পৌঁছে দেয় । কিন্তু সে আর থামে না। ট্রাভেল এজেন্সিতে গিয়ে টিকেট কেটে বাসায় আসে। একটু সবজি-মাছ ছিলো, সেগুলো রান্না করে রাখি। শিয়াং আসলে তিনজনে খাই। সে জানালো, “টিকেট কেটে আসছি। আজকের টিকেট পাইনি। বহুকষ্টে কাল সকালের টিকেট পেয়েছি। বিপদ এখনও ঘুরছে মাথার উপর। না জানি বাবা কখন খুঁজে বের করে ফেলেন আমাদের। আজকের দিন আর রাতটা কোনভাবে কাটলেই হলো!”
শিয়াং গতকাল সারারাত জেগে ছিলো। সে জন্য ঘুম পড়ছিলো দুপুরে। সন্ধ্যায় উঠে সে। আমি আর শিহা রুম থেকে বের হইনি। সবসময় দোয়া-কুনুত পড়েছি শুধু। মাকে বললে মাও হয়তো দোয়া করতেন আমাদের জন্য, কিন্তু উনি টেনশনে শেষ হয়ে যাবেন তাই আর বলিনি।
সন্ধ্যা হলেই পর্দা বেধ করে পাহাড়ি বাতাস আসে শা শা শব্দে । ঠান্ডায় জমে যাওয়ার অবস্থা একদম। শিহাকে জ্যাকেট পরিয়ে দিলাম। শিয়াং আর আমিও কোট দিয়ে ঢেকে রাখলাম শরীর। শিয়াং স্টোভে আগুন ধরিয়ে হাত গরম করতে করতে বলল, “তুমিও এসো, আগুনের উষ্ণতায় ভালো লাগবে। ঠান্ডা কম মনে হবে।”
আমি পাশে বসে হাত একটু গরম করে নেই। ভালো লাগছে।
রাতে খেয়ে নেই আগেভাগে। শিহা ঘুমিয়ে পড়ে। শিয়াং আমাকে বলল, “তুমিও শুয়ে পড়ো। আমি বেলকনিতে দাঁড়িয়ে পাহারা দেবো। কোন কিছু খটকা লাগলে ডাক দেবো তোমাকে।”
এই বলে সে বাহিরে চলে যায়। বিছানায় গিয়েও আমার ঘুম আসে না। এত টেনশনে আদৌ কারও ঘুম আসে? কতক্ষণ শুয়ে থেকে উঠে পড়ি আমি। গায়ে একটা শাল জড়িয়ে বেলকনিতে যাই। পা ছড়িয়ে বসে আছে শিয়াং। আকাশে চমৎকার চাঁদ উঠেছে। সে সেদিকে নীরব চোখে তাকিয়ে আছে। আমিও বসি বেলকনিতে। আমার উপস্থিতি টের পেয়ে পা গুটিয়ে নেয় সে। বলে, “ তুমি ঘুমাওনি?”
নিশ্বাস ফেলে বলি, “ঘুম আসছে না। আ… আমি যেতে পারব তো বাংলাদেশে?
“ চেষ্টা করছি, অবশ্যই পারবে।”
“তোমার জন্য চিন্তা হচ্ছে শিয়াং।”
সে হেসে বলে, “আরে দূর, হুদাই টেনশন নিচ্ছো। কিচ্ছু হবে না আমার।”
আমি পাহাড়ের চূড়ায় চোখ দিয়ে শান্ত গলায় বললাম, “ যদি কখনও তোমার ভাইয়ের খোঁজ পাও তাহলে অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করার কথা বলবে। শিহার কথা বলবে। বলবে মেয়েটা একদম তার মতো দেখতে। শিহা স্পষ্ট ভাবে ‘আব্বু’ ডাকতে শিখছে, এটা বলতে ভুলো না যেন! আর…!
“আর?”
“ তুমি তোমার ভাইকে সাথে নিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশে যাবে।”
শিয়াং স্মিত হেসে মাথা নেড়ে বলল, “ ভাগ্যে থাকলে যাব। আমাদের আবার দেখা হবে।”
“ভেতরে চলো, এখানে তো অনেক বাতাস। ঠান্ডা লেগে যাবে তোমার।”
“চাঁদের আলো পাহাড়ের গায়ে ঝরে পড়েছে। ঝর্ণা দেখা যাচ্ছে। কি সুন্দর শব্দ হচ্ছে ঝর্ণার। জোনাক পোকারা জ্বলে-নিভে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই নিশুতি রাতে এইসব দেখতে ভালো লাগছে আমার। টেনশন কম মনে হচ্ছে। এখানেই থাকি!”
“ তুমি এই শহরের মানুষ, সবসময় এসব দেখবে। এবার প্লিজ রুমে চলো, ঠান্ডা লাগবে।”
“ একটাই তো রুম! আমি এখানে ঠিক আছি।”
“উফ! এই অবস্থায় এসব ভাবছো শিয়াং? আমার সমস্যা হবে না। তুমি ভেতরে চলো। দরকার হয় গল্প করে কাটিয়ে দেবো রাত।”
চলমান….!