ভুলি কি করে তোকে পর্ব-০৪

0
8

ভুলি কি করে তোকে

গল্প #ভুলি_কি_করে_তোকে

(এ প্রথম লেখা লেখি করছি জানি না কেমন লাগবে ভুলক্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন)

(কাজিন রিলেটেড + রোমাঞ্চকর+থ্রিলার)

লেখক : #নুরজাহান_আক্তার_স্নিগ্ধা

📌কপি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ

#পর্ব_৪

রাত তখন প্রায় শেষ এর দিকে এখনো সূর্য মামার আসার কোনো নাম নেই। সে আসবে হইতো নিজ গতি ও সময় এ.. এর মধ্যে দুজন মানুষ এয়ারপোর্টের থেকে বের হলো একজন যাবে নিজ বাড়ি আর অপর জনের গন্তব্য শেখ ভিলার দিকে লোকটি শেখ ভিলার প্রধান ফটক এর সামনে এসে দাঁড়ালো ততক্ষণে সূর্যোদয় হয়ে গেছে সে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পুরো শেখ ভিলাকে দেখতে লাগলো তার শত শত “স্মৃতি”এ বাড়ির সাথে আজ কত গুলো বছর পর সে নিজ বাড়ির জমিনে পা দিল নিজ দেশের মাটিতে পা দিল।
এসব ভাবনার পর সে সামনে পা বারালো দারোয়ান চাচা তাকে দেখে খুশিতে প্রধান ফটক খুলে দিল…দারোয়ান চাচা তাকে খুব ভালোভাবে চিনে কারণ উনি শেখ ভিলাতে আজ পনেরো বছর ধরে কাজ করছে.. তাই উনার তাকে চিনতে কষ্ট হয়নি….
সে দারোয়ান চাচা সাথে কুশল বিনিময় করে সামনের দিকে পা বারালো টাইলসের রাস্তায় দুপাশে বাগান থামলো ভিলার সদর দরজা এর সামনে তার পর কলিং বেল টিপ দিল। বড় আম্মু আর ছোট আম্মু ততক্ষণে উঠে গেছে তারা রান্না ঘরের কাজের মধ্যে ছিলো এতো সকালে বেল এর শব্দ পেয়ে দুইজন দুইজন এর দিকে তাকালো এ সময় তো কারো আসার কথা না। বড় আম্মু ছোট আম্মুর উদ্দেশ্যে বললো

-ছোট তুই থাক আমি দেখছি এ সময় কে আসলো। এ সময় তো কারো আসার কথা না

এ বলে রাহেলা বেগম পা বারালো সে দরজা এর সামনে যেয়ে দরজা টা খুলে সামনে তাকাতেই তার চোখ ছলছল করতে শুরু করলো তার সামনে থাকা লোকটা কে জড়িয়ে দরলো ধরে শব্দ করে বলা শুরু করলো

-আমার ছেলে তুই এসেছিস নাহিয়ান। তুই এসেছিস কতোদিন দিন এ চোখ দুটো হাহাকার করেছে তোকে দেখার জন্য বাবা(কান্না করতে করতে)

নাহিয়ান ও মাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো

রাহেলা বেগম এর মুখে নাহিয়ান নাম শুনে সামিয়া বেগম ও দৌড়ে চলে এসেছে তার চোখ ও টলমল সে চিৎকার দিয়ে বলতে শুরু করলো

-এই তোর কে কোথায় আছিস জলদি নিচে আয় আমাদের নাহিয়ান এসেছে..

ওনার কন্ঠ শুনে রায়হান শেখ আর ইরফান শেখ ড্রয়িং রুমে হাজির হলো নাহিয়ানকে চোখের সামনে দেখে অবাক তারা এ ছেলে কে দেশে আসতে বললে সবাইকে ইগনোর করতো আর আজ সে না বলে ই হাজির।রায়হান শেখ ছেলেকে দেখে চলে গেলেন তার সামনে রায়হান শেখ যেতেই নাহিয়ান তাকে ও জড়িয়ে ধরলো রায়হান শেখ চোখ টলমল করছিলো পুরুষ মানুষ কি কান্নায় মানায় তাই সে চোখের পানি বের করেনি নাহিয়ান বাবা মার সাথে কুশল বিনিময় করে এর মধ্যে একে একে সবাই আসতে শুরু করলো নাহিয়ান রায়হান শেখ কে ছেড়ে ইরফান শেখ কে জড়িয়ে ধরলো তার পর সামিয়া বেগম এর সাথে কুশল বিনিময় করে একে একে সবার সাথে দেখা করতে শুরু করলো। রাদিফ এসে নাহিয়ান কে জড়িয়ে ধরে বললো_

-ভাইয়া তুমি অবশেষে আসলে তুমি জানো আমরা তোমার কত মিস করেছি তু…..

রাদিফ এর কথার মাঝে করো কান্না শব্দ কানে আসলো দুই ভাই সেখানে তাকাতেই দেখতে পেল তাদের আদরে বোনা তাদের দিকে তাকিয়ে মুখ ফুলিয়ে চোখ লাল করে তাদের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছে এটা দেখে দুইভাই একহাত করে মেলে দিয়ে হাতের ইশারায় কাছে আসতে বললো আরোহী দৌড়ে দুইভাই এর বুকের মাঝে এসে পড়লো দুইভাই একসাথে জড়িয়ে ধরলো বোনকে বুকের মাঝে লুকিয়ে নিল তা দেখে মাহদি ,নাদিফ ,ইরা, রাফি ,নিধি ওরা ওদের জড়িয়ে ধরলো তা দেখে বাড়ির মাহিলার খুশিতে কান্না করছে আর পুরুষদে মুখে শান্তি হাসি…আরোহী ভাইকে ছেড়ে অভিমানী কণ্ঠে বললো_

-তুমি আমাদের মোটেও ভালোবাসো না তাই না কিভাবে পারলে আট টি বছর দূরে থাকতে। তুমি জানো কত কষ্ট হতো আমাদের।তোমার কি মনে পরতো না আমাদের কথা….

নাহিয়ান বোন এর কথা শুনে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো_

-এখন না হয় সে সব কথা থাক। দেখ আমি চলে এসেছি আমাকে দেখে খুশি হসনি।আবার চলে যাবো নাকি..

-অনেক খুশি হয়েছি। আর কোথায় যাবে তুমি শুনি কোথাও যেতে দিবো না। একদম বেধে রুমে আটকিয়ে রাখবো বলে দিলাম (আরোহী)

ওর কথা শুনে সবাই হেসে দিল।তারপর নাহিয়ান কে নিয়ে বসে পরলো আর মহিলারা রান্নার ঘরের দিকে গেল ভালো ভালো রান্না করতে হবে এতোদিন পরে বাড়ির বড় ছেলে এসেছে এদিকে সবাই নাহিয়ান এর সাথে নানান কথায় ব্যস্ত হয়ে পরলো….

চলবে…….