ভুলি কি করে তোকে পর্ব-০৬

0
21

গল্প #ভুলি_কি_করে_তোকে

(এ প্রথম লেখা লেখি করছি জানি না কেমন লাগবে ভুলক্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন)

(কাজিন রিলেটেড + রোমাঞ্চকর+থ্রিলার)

লেখক : #নুরজাহান_আক্তার_স্নিগ্ধা……

📌কপি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ

#পর্ব_ ৬

নিশিতা মিলিকে কল করে কথা বলছিল সামিয়া বেগম থেকে সে শুনে এসেছে মিলি ৭ টায় বাসায় চলে গেছে কারণ তার ভাই ও এসেছে বিদেশ থেকে কেউ না বলে মূলত নাহিয়ান এর সাথেই এসেছে তারা বেস্ট ফ্রেন্ড শুধু ফ্রেন্ড বললে ভুল হবে ভাই এর থেকে ও বেশি তারা একে ওপর কে ছারা কিছু বুঝে না তাই দুই জন কাউকে না বলে এসেছে কথা শেষ করতেই নিচ থেকে আওয়াজ আসে দুপুরের খাবার এর জন্য সে নিচে যেতেই দেখে সবাই বসে পরেছে ডায়নিং টেবিল টা রায়হান শেখ নিজে অর্ডার দিয়ে বানিয়েছেন পরো পরিবার যেন এক সাথে বসতে পারে নিশিতাকে দেখেই সামিয়া বেগম তারা দেই বসতে মাহদির পাশে দুটি চেয়ার খালি নিশিতা তা দেখে খুশি হয়ে যায় হাসি দিয়ে মাহদির পাশের চেয়ারে বসে পরে সামিয়া আর রাহেলা বেগম সবাইকে খাবার পরিবেশ করছে নিশিতা প্লেটে ভাত নিয়ে বসে আছে এরমধ্যেই নাহিয়ান নিশিতার পাশে চেয়ারে বসে পরে সামিয়া বেগম নিশিতাকে মুরগির মাংস দিতে নিবে তখনি নাহিয়ান তাকে থামিয়ে দেয় তারপর সবজি দিতে নেয় ওকে তা দেখে নিশিতা চেচিয়ে উঠে

-নাহহ! আমি সবজি খাবো না। আমার পছন্দ না

-আমি তোকে জিজ্ঞেস করেছি তোর পছন্দ হোক না হোক এটা খেতে হবে এটা এনি হাও

নাহিয়ান ক্লিংচি ভ্রু কুচকে বলে উঠে।আজব তো খাবে সে এইলোক টাকেই জিজ্ঞেস করবে না মনে মনে বলে

-মামনি…. আয়শা বেগম এর দিকে নিরীহ দৃষ্টি দিয়ে বলে ওঠে! আয়শা বেগম দেখে ও না দেখার মতো খাচ্ছে আর কেউ কিছু বলেছে ও না কারণ তারা বলে ও মাংস ছারা কিছু খাওয়াতে পারে না আজ না হয় ভয়ে ই খেয়ে নিক।

মাহদি ওর পাশ থেকে বলে ওঠে

-হোয়াট হ্যাপেন্ড এংরি র্বাড এরকম করে না আর সবজি তো শরীরে জন্য ও ভালো খেয়ে নেও।মাহদি ওকে এংরি বার্ড বলার কারন রয়েছে নিশিতা নেতিবাচক কছু দেখলে নিজের মধ্যে থাকে না বাজেভাবে রেগে যায়। ১০ শ্রেণিতে পরা অবস্থায় একবার তো নিশিতা,মিলি,বুশরা ওরা তিন বান্ধবীকে দেখে কিছু ছেলে অসম্মানজনক আচরন করে ছিল।নিশিতা যেয়ে ছেলেটাকে থাপ্পড় লাগিয়ে দিল। এতে ছেলে গুলো রেগে তেরে আসলো আর তখনি আলিফ আর লাম সাথে কিছু ছেলে ঝাপিয়ে পড়ে ওদের উপর সাথে নিশিতা ও দেয় কিছু স্কুলের সামনে ঝামেলা হয়াতে। সবার অভিভাবক ডাকা হলো এতো জরুরি ডাকার কারনে রায়হান শেখ নিজে আসেন সাথে রাদিফ ,মাহদি,নাদিফ ও আসে তার নিশ্চিত ছিল নিশিতা কিছু করেছে সবশুনে রায়হান শেখ আর রাদিফ গর্বিত বোধ করছিল মাহদি স্বাভাবিক ভাবেই ছিল নাদিফ ভ্রু কুঁচকে আছে তার কথা হচ্ছে ভাইরা থাকতে ও কেন মারামারি করবে। রায়হান শেখ চেয়ারে পায়ের উপর পা দিয়ে বসেই বলে

-আমার মেয়ে যা করেছে ঠিক করেছে ওদের আরো মারা উচিত ছিল I am proud of my daughter ওরা কি কলেজে পড়েতে আসে নাকি এগুলো করতে আসে। এভাবে আপনারা ছেলেদের শিক্ষা দিচ্ছেন বলেন এমপি হিসেবে আমার এখন কি করা উচিত।
প্রিন্সিপাল আর ছেলেগুলোর অভিভাবকদের উদ্দেশ্য বলেছেন তিনি। রাদিফ তো বলেই উঠলো

-নিশিতারা যদি হাত না তুলতো। যদি আমাদের কানে যেত তাহলে মেরে কবর দিয়ে দিতাম। তখন মেয়েদের করতি নেতিবাচক আচরণ।
ওরা ক্ষমা চাইলো আর করবে না ভুল হয়ে গেছে ওদের।ওইদিন ঝামেলা মিটিয়ে রায়হান শেখ গম্ভীর হয়ে বলেছিল

-নিশিতা তুমি মেয়েমানুষ বড় হচ্ছো বিপদের হাত পা নেই।কিছু হলে ভাইয়াদের বলবে।ব্যাপারটা তারা দেখবে তুমি কিছু করবে না আর।আর যেন না শুনি তুমি মারামারি করেছ।
___
মাহদি বলাতে সে কিছু বলে ও পরছে না আর সে এগুলো খেতে ও পারবে না সহজে ভাবতে নিয়ে সামনে তাকায় সে এবার তার কপালে ভাজ পরে যায় তার সামনে বসা নিশি আরোহী রাদিফ নাদিফ রাফি ওদের উদ্দেশ্যে বলে..

-বড় আম্মু এই উপকারী খাদ্য টা কি শুধু আমার জন্য নাকি আমার সামনে লোকজনে এর জন্য ও
ওর কথাবুঝে রাহেলা বেগম সবার প্লেটে সবজি দিতে নেয় ওরা না করতে নিলে রাহেলা বেগম রামদমক দেয় এতে সবাই চুপসে যায় আর নিশিতার দিকে মুখ কালো করে তাকায়। এটা দেখে নিশিতা মজাই পাচ্ছে মূহুর্তে তার মন ভালো হয়ে যায় সে সতেজ হাসি দিয়ে বলে

-চলো বাচ্চারা খাওয়া শুরু করো বলে ই চোখ টিপ দেয় এতে ই ওরা মনে হয় রেগে গেল। এতে ওর কি এখন তো ওকে ও শেষ করতে হবে তাই এক গ্লাস পানি নেয় সে এক লকমা মুখে দিচ্ছে আর পানি দিয়ে গিলছে।
ডানপাশে মাহদি নিশিতাকে দেখে মুচকি হেসে আবার খাওয়া শুরু করে।
নিশিতার এহেন কান্ডে নাহিয়ান বিরক্তি প্রকাশ করে

-এই পিচ্চি এই কি করছিস এটা এভাবে খাচ্ছিস কেন রাখ পানি। পানি দিয়ে গিলছিস কেন চুপচাপ স্বাভাবিক ভাবে খা..

নিশিতা এতোক্ষণ চুপ ছিল নাহিয়ান এতোদিন পরে এসেছে আর বড়ো ভাই ও আসার পর থেকে ই এ ওকে কিছু না কিছু বলছে কিন্তু এই লোক ওর খাওয়া নিয়ে ও কখা বলছে

-কেন আমি খাচ্ছি তো এবার যেভাবেই হোক।

এটা শুনে নাহিয়ান এর রাগ উঠে যায়

-আর একবার যদি খেখি না পানি দিকে গিলতে। তখন শাস্তিস্বরূপ এর দুগুণ খাওয়াবো
এটা শুনে নিশিতা কিছু বলতে যাবে তখন রায়হান শেখ গম্ভীরমুখে বলে উঠে
-খাবারের সময় এতো কথা কিসের আর শব্দ যেন না হয় সবাই চুপচাপ খেয়ে ওঠো….এটা শুনে সবাই চুপচাপ নিজের খাবারে মনো যোগ দেয়
আর এদিকে নিশিতা নাহিয়ান এর দিকে তাকিয়ে মুখ বাকিয়ে মাহদির দিকে তাকায় সে কি খুশি মনে মাহদি সাথে বসেছিল এই নাহিয়ান ওর ডান পাশে খালি পেয়ে বসে গেল ওর পাশেই বসতে হলো এখন ওকে পাশে পেয়ে ঝালাচ্ছে।মুখ কালো করে এগুলো ভাবতে ভাবতে ওর সবজি দিয়ে খাওয়া শেষ রাহেলা বেগম তা দেখে ওর পছন্দের রোস্ট ,গরুর মাংস ,চিংরি ওর প্লেটে দিয়ে দিল।এতে তো ও মহা খুশি আজ বাড়িতে সবাই উপস্থিত তাই বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করা হয়েছে।সবার পছন্দকে মাথায় রেখে নাহিয়ান রান্নার আগেই বলে দিয়ে সে মাংস টাংস খাবে না তার জন্য মাছ সবজি এগুলো খাবে সে….

চলবে…..