ভুলি কি করে তোকে পর্ব-০৯

0
15

গল্প #ভুলি_কি_করে_তোকে

(এ প্রথম লেখা লেখি করছি জানি না কেমন লাগবে ভুলক্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন)

(কাজিন রিলেটেড + রোমাঞ্চকর+থ্রিলার)

লেখিকা : #নুরজাহান_আক্তার_স্নিগ্ধা……

📌কপি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ

#পর্ব_৯

নিশিতা নাহিয়ানের রুম থেকে বের হয়ে ফোন কানে নিল

–হ্যাঁ মিলু কই তুই

–তোদের বাড়ির নিচে। নিচে আয়।

–আচ্ছা দারা আসছি।বলেই নিচে দৌড়ে দিল। তাদের বাড়িটা মূলত তিন তালা।নিচ তালায় ডাইনিং,ডইং,কিচেন ,তিন কর্তার রুম।দ্বিতীয় তলায় নিধি,নাদিফ,আরোহী,ইরা,রাফির রুম,তিন তলায় নিশিতা,নাহিয়ান,রাদিফের রুম সাথে ডাইনিং রুমের সাথে বড় খোলামেলা বারান্দা ও রয়েছে। নিশিতা নিচে এসে দেখতে পায় মিলি দাঁড়িয়ে আছে। নিশিতা কে দেখতে পেয়ে মিলি ওকে জরিয়ে ধরে। নিশিতা ও মিলিকে ধরে।ওরা যেন কত দিন পরে দেখা করলো।মিলিকে ধরে রাখা আবস্থাতেই কপালে ব্যথা অনুভব করলো।নিশিতা হালকা আর্তনাদ করে ওঠে চোখমুখ খিচিয়ে কপালে হাত ঘষে।এখনি সামনে থেকে শব্দ আসে_

-শুধু কি মিলি খবর নিলে হবে সাথে যে আরেক জনকে ইনভিটেশন দিয়েছ। তার ওতো খোঁজ খবর নিতে হবে।

নিশিতা সামনে তাকিয়ে দেখতে পায় ইভান দাঁড়িয়ে আছে মুখে হাসি নিয়ে।নিশিতা মিলি ছেড়ে বলে।

-আরে ইভান ভাইয়া আস্সালামু আলাইকুম। ভালো আছেন। অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম। খুব হ্যান্ডসাম হয়ে গেছেন।

-ওয়ালাইকুম আস্সালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আরে তাই নাকি কি মনে হয় কেউ দেখলে ফিটটিট হবে নাকি।

-আরে হবে মানে ফিট হয়ে পরে হসপিটালে যাবে।

-না! বাবা থাক ফিটটিট হয়ে পরার দরকার নেই। তিন বছর আগে দেখেছিলাম। তখন তো পিচ্চি ছিলে। এখনতো। মাসাআল্লাহ! ভালোই বড় হয়ে গেছো অনেক সুন্দরী ও।

-কিযে বলেন না ভাইয়া।আমিতো কিছুই না আপু যে কি সুন্দর যে কেউ উষ্ঠা খেয়ে পড়বে।

–তাই নাকি দেখতে হয়তো তোমার আপুকে। (বাকা হেসে )তোমাদের দি গ্রেড নাহিয়ান ভাইয়ার জন্য তিন বছর পর দেশে পা রাখতে পারলাম।

-সে নিজেও আসবে না আসতে ও দিবে না একরোখা একটা।(ভেংচি কেটে)

ওদের কথার মাঝে রাহেলা বেগম উচ্চস্বরে বলে

-ওদের ভিতরে আসতে দিবি নাকি বাহিরে ই থাকবি। ওদের ভিতরে নিয়ে এসে কথা বল। কতক্ষণ যাবত ধার করিয়ে রেখেছিস।

-উফফ সরি সরি! কিছু মনে করবেন না ভিতরে চলুন ভাইয়া। আমি কথার জন্য ভুলে গিয়েছিলাম।বলেই ওদের নিয়ে ভিতরে আসে। রাহেলা বেগমের সাথে ইভান হাসি মুখে কুশল বিনিময় করে

–আস্সালামু আলাইকুম আন্টি। কেমন আছেন?

-ওলাইকুম আসসালাম বাবা! আমি ভালো আছি তুমি কেমন আছো…?

–আলহামদুলিল্লাহ্! শরীল স্বাস্থ্য ভালো আছে আন্টি আপনার।

–হ্যাঁ বাবা।আনেক দিন পর দেখলাম। আগের থেকে সুন্দর হয়ে গেছো।

–আমার জন্য দোয়া করবেন আন্টি।

-অবশ্যই তোমাদের জন্য দোয়া সবসময়ই আছে। তুমি আছো বলেই ভরসা পাই।না হয় ছেলে টা আমার বড়ই অগোছালো।
রাহেলা বেগমের সাথে কথা হলে মিলি আর ইভানকে নিয়ে উপরে চলে যায়।নাহিয়ান এর দরজার সামনে এসে টোকা দিয়ে নিশিতা বলে ইভান এসেছে। নাহিয়ান ভিতরে যেতে বলে। নিশিতা মিলিকে নিয়ে তার রুমে চলে যায়। তার একটু ফ্রেশ হওয়া দরকার মাগরিবের আযান দিয়ে দিয়েছে নামাজ পড়ে ছাদে যাবে। নিশিতা মিলিকে নিয়ে ছাদে এসে দেখতে পায়।রাদিফ ,মাহদি,আরোহী,ইরা,রাফি ,নাদিফ বসে আছে ছাদে রাদিফ ওদের দেখে ওর আর মাহদির মাঝে বসতে জায়গা করে দিল।মিলির সাথে সবাই কথা বললো।রাদিফ মাহদি এক সাথে বসেছিল নিশিতা বসলো মাহদির সাথে নিশিতা পাশে মিলি রাদিফ এর সাথে।

রাদিফ
-কেমন আছো মিস মিলি।

-জ্বি ভালো! ভাইয়া আপনি ভালো আছেন।

-এইতো আছি কোন রকম।বুঝলে মিলি কেউ আমার কদর বুঝল না।

-কে ভাইয়া কি হয়েছে। কে বুঝনি কদর।

-আচ্ছা আমি কি এতই খারাপ যে আমার ভালোবাসা বুঝে না।কদর করে না মানুষ। যেমন তুমিই দেখ আমাকে দেখলেই ইদুর ছানার মতো দৌড়ে চলে যাও।

-আসলে ভাইয়া হয়েছে কি আমি আপনাকে কেন জানি ভয় পাই।কিন্তু আপনি অনেক ভালো আর ভাই হিসেবে বরাবরই বেষ্ট আপনি।আর যে আপনাকে বুঝনা হয়তো পাগল হবে সে।রাদিফের সাথে কথা বলতেই মিলি দেখতে পায় নিধি এসেছে ছাদে দেখে সে খুশিতে গদগদ করতে বলে

-আরে নিধি আপু মাসাআল্লাহ কি যে সুন্দর লাগছে তোমায়।মিলি শেখ বাড়ির প্রতিটি মানুষের প্রিয়। মিলি ও সবাইকে পছন্দ করে। একা মা বাবা সাথে থাকতো বলে প্রায় আসে ও। তাই খুব ভালোভাবে সবার সাথে পরিচিত ও আপন মানুদের মতো

মিলির কথা শুনে নিধী মুচকি হাসে

তক্ষনি রাদিফ বলে ওঠে
-কোথাও যাবি।নতুন বউ হয়ে আছিস যে।

নিধি লজ্জা পেয়ে যায় একথায় সে এখন কি বলবে ভাই কে সে তো কোথাও যাবে না।একটা মানুষকে স্পেশাল ফিল করানোর জন্য সেজেছে। নিশিতা বোন এর মুখ দেখে বুঝতে পারে হয়তো বোনের পরিস্থিতি

-এ্যাই রাদিফ ভাইয়া কোথাও যেত হবে কেন। আপুতো প্রায়ই সাজে এভাবে।দেখ সুন্দর লাগছে না।!

-হে লাগছে তো। যাইহোক বোস।আর কেউ এনিয়ে কোন কথা বলে নি।সবাই জানে এটা নতুন কিছু না।তাই সবাই আড্ডাতে ব্যস্ত হয়ে যায়

চলবে…..