গল্প #ভুলি_কি_করে_তোকে
(এ প্রথম লেখা লেখি করছি জানি না কেমন লাগবে ভুলক্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন)
(কাজিন রিলেটেড + রোমাঞ্চকর+থ্রিলার)
লেখিকা : #নুরজাহান_আক্তার_স্নিগ্ধা……
📌কপি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ
#পর্ব_১২
-কি শালা তুই এমন বাজে ব্যবহার করলি কেন বাচ্চা মেয়েটার সাথে।তোর কি ভালো ব্যবহার করলে কুত্তার কামরায়বো?ইভানের কখা শুনে নাহিয়ান চোখ মুখ কুঁচকে ওর দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকায়
-ও নিজে না খেয়ে আলগা পিড়িত দেখিয়ে আমাকে কেন দিল।আমার এগুলো পছন্দ না জানিস না।
-তোরে সত্যি কুত্তায় কামরায় শালা। তাই বলে তুই এমন ব্যবহার করবি মেয়েটার সাথে।
-দেখ ইভান কানের সামনে ঘ্যানঘ্যান করিস না তো।আমি এখন তো ভাষন শুনার মুডে নেই।
______________
নিশিতা কে একে একে সবাই খাইয়ে দিয়ে যে যার যার খাওয়াতে ব্যস্ত। মাহদি নিশিতার সাথে বসা। নিশিতা খেতে খেতে কিছু একটা ভেবে বলে
-নেভি সাহেব আপনার ছুটি কতদিনের?
মাহদি নিশিতা দিকে তাকিয়ে বলে
-১মাস বলা। আলরেডি ৫দিন চলে গেছে আর ২৫ দিন।
-এত কম সময় কেন ২,৩ মাস কেন হয় না।
মাহদি নিশিতার কথায় মুচকি হেসে বলে
-হয়তো এমারজেন্সি পরলে যখন তখন যেতে হতে পারে। আমরা দেশের জন্য কাজ করি।দেশের নিরাপত্তার জন্য। এত ছুটি দিলে আর নিলে দেশে নিরাপত্তা কে দিবে।দেশের নিরাপদ রাখা সাধারণ জনগণের কর্তব্য হলেও আমাদের জন্য দায়িত্ব। আকাশ পথ পানি পথ স্থল পথ সবদিকে যে নিরাপদ রাখতে হয়।
-আপনার কি আমাদের কথা মনে পরে না।না মানে মামনি,বাবাই চাইলে তো সহজে কথা বলতে পারেন না। জাহাজের থাকা অবস্থায়।কষ্ট হয় না।
-জানো কি মেহু আমি তোমার নেভি সাহেব জীবনে দুটো জিনিসে খুব বাজে ভাবে আকৃষ্ট হয়েছি প্রথমটা হচ্ছে “navy officer” হওয়া নিজের সবটা দিয়ে উপস্থাপন করা। বড় কিছু এচিভ করা।আল্লাহর আমার সহায় হয়েছেন।ইন শা আল্লাহ!আরো অনেক কিছু এচিভ করার বাকি এখনো।দোয়া কর তোমার নেভি সাহেব তার মনের আসা পূরণ করতে পারে।নেভি হওয়াটা ভালো লাগা আর জেদ এর কারণে হয়েছে না হয় তোমার মামনি আমার নেভি হওয়াকে। ইন্না-লিল্লাহ! করে দিত।
মাহদির শেষ কথা শুনে শব্দ করে হেসে দেয়
-মামনি অনেক কান্নাকাটি করেছিলেন আপনার জন্য অনেক ভালোবাসে আপনাকে মামনি।আচ্ছা নেভি সাহেব।
-হুম
-দ্বিতীয় আকৃষ্ট কিসের প্রতি হয়ে ছিলেন।সে ভিষণ আগ্রহী এ বিষয় জানতে তার দৃষ্টি বলে দিচ্ছে।
-কিছু জিনিস সময়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া ভালো। সময় আসলে সব কিছু স্বচোখে দেখতে পারবে।তোমার নেভি সাহেবর আকৃষ্ট হওয়ার জিনিস গুলো। এখনো সময় হয়নি।তাই এখন না হয় আমার আকৃষ্ট জিনিসটা আমার মধ্যেই থাক।কি বলো!
________________
সবার খাবারের পর্ব শেষ আরোহী,নাদিফ,মিলি,রাফি,
রাদিফ,ইরা ,নিধীএকসাথে বসে ছিল আরোহী বলে ওঠে
-এখন কি আমরা এই ভাবে বসে থাকবো বোরিং ফিল হচ্ছে। চলো না কিছু খেলি কি খেলা যায়।
রাফি
-হ্যাঁ চলো চলো কিছু খেলি।
রাদিফ
-এই আমরা কি তোদের মত লেদা বাচ্চা যে তোদের নিয়ে খেলতে বসবো।
নিধী
-উফফ ভাইয়া বাচ্চারাই শুধু গেম খেলে নাকি বড়দের ও কত গেম আছে। যা বড়ছোট সবাই খেলতে পারে।
নাদিফ
-এ্যাই তোরা থাম কথা কাটাকাটি না করে কি করবি এটা বল।নাদিফের বলা শেষ হলে ইরা বলে
-আচ্ছা ট্রুথ অর ডেয়ার খেললে কেমন হয়।
মিলি
-কেমন আবার ফাট্টাফাট্টি চলো সবাই ট্রুথ অর ডেয়ারই খেলি। বড়ছোট সবাই খেলতে পারবো। প্রবলেম হবে না।আরোহী সাথে বলে ওঠে
-তাহলে আমরা ট্রুথ অর ডেয়ার খেলছি। সবাই সম্মতি দেয়।আরোহী ইভান আর নাহিয়ানকে ডাকতে যায়। ইভান আসতে চাইলে ও নাহিয়ান আসতে চায়নি ওরা জোরাজোরি করে নিসে আসে।এক প্রকার বাধ্য হয়ে আসে ও। মিলি যায় মাহদি আর নিশিতাকে নিতে ওদের বলতেই ওরা চলে আসে।সবাই গোল হয়ে বসে। প্রথমে রাফি বসে তার সাথে ইরা ওর সাথে নিধী তার পর ইভান,নাহিয়ান,আরোহী,নাদিফ,রাদিফ,মিলি,
নিশিতা,মাহদি এভাবেই সবাই গোল হয়ে বসে। একটি বোতল নিয়ে সবার মাঝে রাখে। এই বোতলটি ঘোরানো হবে যার দিক হবে সে ট্রুথ অর ডেয়ার চুস করবে। ট্রুথ হলে প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। ডেয়ার হলে যা বলা হবে তা করতে হবে।সবার আগে রাফি বলে ওঠে ও ঘুরাবে বোতল। সবাই সম্মতি দেয় রাফি ঘুরায় বোতল ঘুরতে ঘুরতে ওর দিকেই থামে।এতে সবাই হেসে ওঠে। রাদিফ হাসতে হাসতে বলে
-কি ব্যাটা। তুই তো মহা এক্সপার্ট লোক এক ঘোরানিতে নিজের দিকে পারে ফেললি। এতো তারা তোর ট্রুথ ডেয়ার নেয়ার।
-আরে ভাইয়া গেমের মধ্যে আমি অনেক এক্সপার্ট কেউ হারাতে পারে না আমায়। রাফি ভাবে রাদিফ ওর প্রশংসা করেছে তাই সে খুশিতে প্রাউড ফিল করেই প্রত্যুত্তর করে রাফি
-তো ব্যাটা মিকি মাউস বল। ট্রুথ অর ডেয়ার?
-ট্রুথ
সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে রাদিফ
-বল তোদের মধ্যে রাফিকে প্রশ্ন করবে কে
-ভাইয়া তুমিই করো।(ইরা)
-তা ব্যাটা রাফি মিথ্যা কথা বলা যাবে না। সত্যি সত্যি উত্তর দিতে হবে।না হয় সবাই একটা করে পিঠে ভালোপাসা দিবে।তো বলতো মিকি মাউস লাষ্ট কবে বিছানা আজ তুহে পানি পানি করেছিস।রাদিফ শেষ কথাটা শরীর ধুলিয়ে বলে
-এ্যাই ভাইয়া কি বলছো এগুলো।অন্য কিছু জিজ্ঞেস কর।রাফি বিমর্ষতা নিয়ে বলে। সে কিভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিবে এতগুলো মানুষের সামনে তার একটা পেছটিসের বেপারসেপার আছে না।এতগুলো বোন আছে কিভাবে বলবে সে। লজ্জা করবে না তার।
-কিরে ব্যাটা বলবি নাকি বালোপাসা নিবি।বল বল জলদি বল কি করবি।রাফির ভাবনার মধ্যে বলে ওঠে রদিফ।
-অন্য কিছু জিজ্ঞেস করা যায় না। ভাইয়া! ভাইয়া বলা টা ছিল অতি আদুরে। রাদিফ তার প্রত্যুত্তরে না বলে দিল সাথে এটা ও বলে। সামিয়া বেগমকে জিজ্ঞেস করা হবে ও মিথ্যা নাকি সত্যি বলছে।রাফি বেচারার কাছে কোন রাস্তানেই এখন বাধ্য হয়ে বলে দিল।
-গত সপ্তাহে।( মিনমিনে )রাফির কথাশুনে হাসির রোল পরে গেল।
ইরা
-কিহ্! লাইক সিরিয়াসলি রাফি।
-ইরা চুপ থাকবি ও ছোট মানুষ এভাবে রিয়েক্ট করার কি আছে।নিশিতা ইরাকে ধমকে ওঠে রাফি লজ্জা মাথা নিচু করে ছিল। প্রচুর লজ্জা জড়তা বসে সে।নিশিতা বুঝে ভাই তার লজ্জাবোধ করছে।রাফির উদ্দেশ্য নিশিতা বলে
-মিকি মাউস নিশুপুর কাছে আয়। এখানে বস আমার সাথে। নিশিতা বলতে দেরি ওর আসতে দেরি হয়নি এসে নিশিতা মিলির মাঝে বসে পরে।নিশিতা হেসে ওঠে। রাফির গালে চুমু দেয়।আবার সবাই খেলাতে মনযোগ দেয় মাহদি আর নিশিতা এর মধ্যে দুজনেই দুজনকে আড়চোখে কয়েক বার দেখে ফেলেছে।কিন্তু কারো চোখাচোখি হয়নি তার কারণ মাহদি মূলত সে হতে দেয়নি সে জানে নিশিতা তাকে দেখছে। তাই সে চোখাচোখি হতে দেয়নি। নিশিতা যখন অন্য দিকে তাকাতো মাহদি তখন ওর দিকে তাকাতো।এদিকে ইভান নিধী একটু পর পর চোখাচোখি হচ্ছে ইভান তাকাতেই নিধীর সাথে চোখাচোখি হলে লজ্জায় মরি মরি ভাব হয়ে যায়। ইভান এতে ঠোঁট কামরে হাসে।অন্য দিকে রাদিফ ইনিয়েবিনিয়ে মিলির সাথে কথা বলার চেষ্টা করেই চলছে আর মিলির দিকে তাকিয়ে থাকছে কিছুক্ষণ পর পর।মিলির এ নিয়ে কোন ভাবান্তর নেই সে তো কিছু জানেই না কি আর ভাববে।
চলবে……..