#ভেতরে_বাহিরে
পর্বঃ২০
লেখিকাঃ #রুবাইদা_হৃদি
আচমকা হাতে হেঁচকা টানে মাধুর্য ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলেই আবেশ ধমক দিয়ে বলল,
‘ ইডিয়ট চোখে দেখতে পাও না৷ হাত ধরলেই চেঁচিয়ে উঠো৷’
‘ এইভাবে কেউ টান দেয়!’ মাধুর্য ক্ষীণ কন্ঠে বলল৷ আবেশ চোখ গরম করে তাকালো ৷ আরেকটু হলেই মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খেতো সেইদিকে এই মেয়ের খেয়াল নেই৷
গাড়ি থেকে সামনে এগিয়ে মাধুর্য অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছিলো সব। অন্যমনস্ক হয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলো সামনে ৷ আবেশ কিছু একটা নিচ্ছিলো গাড়ি থেকে ৷ মাধুর্যের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো সে সামনে খেয়াল না করেই এগিয়ে যাচ্ছে ৷ আরেকটু সামনে পাঁ বাড়ালেই হোঁচট খেয়ে পড়বে ৷ আবেশ ডাক দিতে চেয়েও দিলো না ৷ দ্রুত দৌড়ে গিয়ে টেনে ধরলো মাধুর্যের হাত ৷ আবেশের মুখে সাইকোলজির কথা শুনে সব ভুলে গিয়েছিলো মাধুর্য। তার কতোদিনের স্বপ্ন। সে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করবে।তাই আবেশের কথা শুনে একমুহূর্ত দেরি না করেই সামনে পাঁ বাড়ায়।
এখন,মাধুর্যের কথা শোনে আবেশ দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
‘ সামনে দেখে হাটতে শেখো৷’
আবেশের কথা শুনে মাধুর্য সামনে তাকিয়ে দেখলো গর্ত করে রাখা৷ কাজ চলছে বোধহয় ৷ মাধুর্য মাথা নীচু করে ফেললো সাথে সাথে নিজের বোকামোর জন্য ৷ সে আবেশের কথা শুনে এতোটাই খুশি হয়েছে সামনে কী চলছে সেইদিকে নজর দেয় নি৷ আবেশ তাড়া দিয়ে বলল,
‘ জলদি চলো৷ এখানের কাজ শেষ করে আরেক জায়গায় যেতে হবে আমাদের৷’
‘ কোথায় যাবো!’
‘ এতো প্রশ্ন করো কেন ৷’
‘ আমাকে নিয়ে যাবেন আর আমি জিগ্যেস করতে পারবো না!’
‘ না পারবে না!’ আবেশ মাধুর্যের হাত ধরে বলল ৷ সামনে এগিয়ে যেতে যেতে বলল,
‘ ভরসা করো আমায় ছুড়ে দিবো না আগলে রাখবো৷’
মাধুর্য স্তব্ধ নির্বাক চিত্তে তাকিয়ে আছে আবেশের দিকে ৷ মনে মাধুরি মিশিয়ে প্রস্ফুটিত নতুন আলোড়ন আবেশ তার মনে নতুন করে সূচনা করছে৷ সে যে আবারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুয়ারে পা রাখতে পারবে কল্পনাও করতে পারে নি৷ তবে তারা যেখানে এসেছে এইটা একটা কোচিং সেন্টারের মতো যার পাশেই হসপিটাল তাই মাধুর্য ভেবেছিলো মেডিকেল কলেজ৷
দুতলা ভবনের একের পর এক সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে একটা ক্লাসের সামনে এসে আবেশ দাঁড়ালো তাকে নিয়ে ৷ অস্থির চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে থেমে গেলো ৷ বিরক্ততে মুখ দিয়ে ‘চ’ জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করেও সামনে তাকিয়ে হেসে উঠলো ৷ হাত উঁচিয়ে খানিকটা চেঁচিয়ে বলল,
‘ মে আই কাম ইন ম্যাম৷’
ক্লাসে বসে থাকা স্টুডেন্ট গুলো দরজার দিকে তাকালো অবাক চোখে ৷ তাদের এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মাধুর্য অপ্রস্তুত হয়ে গেলো৷ তবে আবেশের কোনো ভাবান্তর নেই ৷ সে মুখে হাসি টেনেই দাঁড়িয়ে আছে ৷ ভেতরে থেকে পাতলা গড়নের শাড়ি পরা সুন্দর মুখশ্রীর একটা মাঝবয়সী মহিলা এসে দাঁড়ালো ৷ চোখে তার চশমা,লম্বা বেণি ঝুলে আছে সামনে ৷ দেখেই বুঝা যাচ্ছে,সে হয়তো শিক্ষিকা ৷ মেয়েটা হাসলো আবেশকে দেখে ৷ তবে পেছনের দিকে ঘুরে বলল,
‘ তোমরা সবাই আজ চলে যাও৷ কাল ক্লাস হবে যথারীতি৷’
‘ আমি এসে তোকে মুশকিলে ফেলে দিলাম৷ তবুও সর্যি বলবো না ৷’
মেয়েটা চশমা খুলে হাতের আঙুলে ঘুরাতে ঘুরাতে বলল,
‘ এশার সময় ওয়েস্ট করার জন্য আপনাকে শাস্তি দেওয়া হবে মি.আবেশ এহসান৷’
‘ তোর সময়ের মূল্য আমার কাছে নেই,যা দূরে যা৷’
আবেশ বলতেই মেয়েটা খিলখিল করে হাসলো৷ হাসিটা প্রাণবন্ত৷ মাধুর্য তাকিয়ে আছে মেয়েটার মুখপানে ৷ আবেশ নিজেও হাসছে ৷ মাধুর্য আবেশের দিকেও তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো৷ আবেশ যখন হাসে তখন তার ভোকাল কর্ড সূক্ষ্ম ভাবে নড়চড়া করে ৷ চোয়াল হয়ে উঠে সুন্দর৷ ঠোঁটের কোণে গর্ত হয় ৷ বরাবর আবেশের হাসিতে প্রাণনাশ হয় মাধুর্যের ৷
মেয়েটা হাসি থামিয়ে আবেশের কাছে এগিয়ে এসে হাত ধরে বলল,
‘ ভালো আছিস৷’
‘ আমার ভালো থাকার কারণ গুলো ধরা দিয়েছে,যে কারণ গুলো আমার ভালো থাকা ছিনিয়ে নিয়েছিলো সেই কারণ গুলো সব ঠুনকো৷ আমার ভালো থাকার কারণ আজ আছে তাই ভালো আছি৷’
আবেশের কথা মাধুর্যের কর্ণপাত হতেই সে বিনম্র হয়ে মিইয়ে যাওয়ার অবকাশ খুজে ৷ তবে মেয়েটা আবেশের হাত এখনো ধরে আছে ৷ আবেশ তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে৷ যা মাধুর্যের মন অকারণেই বিষিয়ে তুলছে৷
আবেশের হুট করেই মনে হলো মাধুর্য তার সাথে৷ এশার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে বলল,
‘ অনেক দরকারে এসেছিলাম,এশা৷’
‘ তবে আজ তো আব্বু নেই৷ আমার স্টুডেন্ট দের ক্লাস করাচ্ছি আমি৷’
‘ সমস্যা নেই৷ আঙ্কেলের সাথে আমার কথা হয়েছে৷ ফর্ম ফিলাপ করে রেখে যেতে বলেছেন৷’
‘ ফর্ম..’ বলেই এশা উঁকি দিয়ে মাধুর্যের দিকে তাকালো। আবেশের হাতের আঙুলেত ফাঁকে নিজের আঙুল গুজে তাকিয়ে আছে তার দিকে একটা মেয়ে ৷ আবেশের দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ ও কে আবেশ! ‘
‘ মাধুর্য৷ আঙ্কেলের নতুন স্টুডেন্ট৷’
এশা হাসলো৷ নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মাধুর্যের দিকে৷ নিঃসন্দেহে মেয়েটি রুপসী৷ রুপের ছটা নিগড়ে পড়ছে মুখে৷ এশা অপ্রস্তুত হয়েই হাসলো৷ আবেশের হাত ছেড়ে দিয়ে বলল,
‘ মাধুর্য! বাহ সুন্দর নাম৷ কী হয় তোর?’
আবেশ এড়িয়ে গেলো৷ সে বলতে চেয়েও বললো না,মাধুর্য এহসান ওয়াইফ অফ আবেশ এহসান৷ সূক্ষ্ম এক বাঁধা উপলব্ধি করলো আবেশ কথাটি বলতে। সেই বাঁধা যে সে সৃষ্টি করে রেখেছে৷ মাধুর্য আবেশের এড়িয়ে যাওয়াটা ধরতে পারলো৷ নিজে মুখ ফুঁটে এশার দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ আমি মাধুর্য এইটাই আমার পরিচয় আপু৷’
এশা কিছুই বললো না৷ উত্তরে শুধু এক চিলতে হাসি ফেরত দিলো ৷ আবেশের বক্ষপিঞ্জর কেঁপে উঠলো মাধুর্যের কথায়৷ মাধুর্য যে অভিমান করলো সেটাও টের পেলো সে।আবেশের ভেতরে সশব্দে ব্যথার অস্তিত্ব হু হু করে জানান দিলো ৷ ছোট ছোট চোখে তাকিয়ে রইলো অভিমান করে বসে থাকা অভিমানীর দিকে ৷
_________
‘ নেক্সট ইয়ার ছাড়া ঢাকা মেডিক্যালে কলেজে ভর্তি হওয়া ইম্পসিবল৷ অপেক্ষা করতে হবে এই বছর৷’
এশা বললতেই আবেশ চিন্তায় পড়ে গেলো৷ কিছুদিন আগেই এডমিশন টেস্ট শেষ হয়েছে সে এই কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছে৷ এশার দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ সমস্যা নেই! এই একবছর ও এখানে আঙ্কেলের কাছে পড়ুক নেক্সট ইয়ার এক্সাম দিবে৷’
‘ মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিক এর সার্টিফিকেট এনেছিস৷’
এশা বলতেই মাধুর্য গলার খাদ নামিয়ে বলল,
‘ আমার কাছে উচ্চমাধ্যমিকের সার্টিফিকেট আছে৷ তবে চমাধ্যমিক এর সার্টিফিকেট নেই৷’
‘ তাহলে হবে কী ভাবে? আমাদের কোচিং এর নিয়ম আছে,আবেশ৷ আব্বু তোকে বলে নি?’
‘ আই উইল ম্যানেজ এশা৷ তুই বাকি ফর্মালিটি গুলো করে দে৷ আমার অন্য একটা জায়গায় যেতে হবে৷’ আবেশ তাড়া দিয়ে বলল৷
‘ তোমার পুরো নাম বলো,মাধুর্য৷’
‘ মাধুর্য এহসান লেখ৷’ আবেশ চেয়ারের হাতলে ঠেস দিয়ে বসে বলল ৷ এশা বড় বড় চোখে করে তাকিয়ে বলল,
‘ এহসান!’
‘ হ্যাঁ এহসান৷ ওয়াইফ অফ আবেশ এহসান ৷ মাধুর্য এহসান এইটাই ওর পরিচয়৷’
এশা ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে আছে আবেশের দিকে ৷ মাধুর্য ও নিজেও তাকিয়ে আছে ৷ আবেশের চোখেমুখে ফুঁটে উঠেছে দৃপ্ততা৷ মাধুর্যের মুখে কয়েকবার উচ্চারিত হলো,আবেশ এহসানের বউ ৷ তার ভেতর কাঁপছে কথাতা শুনে ৷ কেমন শ্বাস আঁটকে আঁটকে আসছে৷ এশা অবাক চোখে এখনো তাকিয়ে আছে ৷ অচেনা তার দৃষ্টি ! আবেশ তাকাতেই সে দৃষ্টি সরিয়ে লেখায় মনোযোগ দিলো ৷ এশা মাথা নীচু করতেই আবেশ মাধুর্যের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,
‘ আমি মাধুর্য! এইটাই আমার পরিচয় বললেই হয়ে যাবে না-কী৷ তুমি আবেশ এহসান৷ মাথায় ঢুকিয়ে নাও৷’
___________
চারদিকে সন্ধ্যা নেমেছে ৷ কালো বর্ণে ছেয়ে আছে আকাশ ৷ দূর অজানায় আজ নিকষ কালো আধারের বাস৷ সাঁই সাঁই শব্দে ঝংকৃত হচ্ছে পরিবেশ ৷ ল্যাম্পপোস্টের আলো মিটমিটিয়ে জ্বলে উঠে নিভে নিভে যাচ্ছে ৷ একঝাঁক উড়ো মেঘ জমা হলো আকাশে ৷ বাতাসের সাথে আকাশ বেয়ে টুপ করে নেমে এলো বারিধারা ৷ আবেশ গাড়ির স্পিড স্লো করে দিলো ৷ গাড়ির কাচে আছড়ে পড়ছে বৃষ্টির পরশ৷ ঝুপঝুপ শব্দ তুলছে ক্ষাণিকের মাঝেই৷ মাধুর্য নিষ্পলক তাকিয়ে আছে আলো-আঁধারির খেলা দেখতে৷ আবেশ সেইদিকে তাকিয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,
‘ চুপ করে আছো যে৷’
‘ ওই আপুটা কে?’ মাধুর্য সামনে দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো৷ আবেশ গাড়ির স্পিড এখন বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ সামনের দিকে দৃষ্টি রেখে বলল,
‘ এশার কথা বলছো?’
‘ হু৷’
মাধুর্যের কন্ঠ আজ ঝিমিয়ে থাকা ৷ তার হঠাৎ করেই ভীষণ মন খারাপ লাগছে৷ কাঁদতে ইচ্ছা হচ্ছে৷ আসার সময় এশা আবেশের হাত আবার ধরেছিলো ৷ মেয়েটার চোখ অনেক কিছু বলছিলো৷ আবেশ ও হেসে কথা বলছিলো তার সাথে ৷ এই বিষয়টুকু মেনে নিতে পারছে না মাধুর্য ৷ আবেশ হাসিমুখেরি জবাব দিলো,
‘ আমি আর এশা কলেজ ফ্রেন্ড ছিলাম।আমাদের বন্ডিংটা সেই কলেজ থেকেই ভালো।ওর আব্বু মানে সিরাজ স্যারের কাছে কোচিং সেন্টারে আমরা টিউশন ও পড়েছি। স্যার বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজে সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের অধীনে আছেন।এইযে,কোচিং সেন্টার দেখলে এইটা নামকরা কোচিং সেন্টার।ভালো ভালো টিচার এখানে পড়াতে আসেন। এশা নিজেও এখন টিচার। নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখে গেছে এশু।’
মাধুর্য এখনো চুপ করেই আছে। কোনো প্রতিক্রিয়া দিলো না আবেশের কথা শুনে। আবেশ মাধুর্যের মন খারাপের কারণ টা ধরতে পারছে না৷ তবুও আবার বলল,
‘ রাব্বীর নামে কেস ফাইল করা হয়েছে,মাধুর্য৷’
আবেশের কথা শুনে চমকে তাকালো মাধুর্য৷ প্রশ্নসূচক চোখে কিছু জিগ্যেস করতে গেলে আবেশ নিজ থেকে বলল,
‘ আব্বু আজ সকালে বাসায় ফেরে নি সেখানে থেকে লোকাল থানায় গিয়েছে৷ আর তারা কেস গ্রহণ করেছেন ৷ অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’
মাধুর্য কাঁপছে ৷ তার কেন যেন কান্না পাচ্ছে৷ কেঁপে উঠা গলায় বলল,
‘ ওকে শুধু জিগ্যেস করবেন,কেন আমাকে ওইভাবে কষ্ট দিতো৷ আর আমার বাবা নামক মানুষটাকে জিগ্যেস করবেন,তার মেয়ে কী আমি নই! যদি না হয়ে থাকি তাহলে আমাকে একবারে মেরে ফেলতো প্রতিদিন না মারার থেকে৷ আমি আর কিছু জানতে চাই না৷’
‘ মেহরুন আন্টিকেও খুজে বের করতে হবে মাধুর্য৷’
‘ আমি তাকে খুজতে চাই না৷’
মাধুর্য কান্না আটকিয়ে বলল ৷ আবেশ অবাক হয়ে বলল,
‘ কেন!’
‘ কিছু কিছু মানুষের মায়া ত্যাগ করাই ভালো তাদের চলে যাওয়া যেমন কষ্টদায়ক ফিরে আসাটা হবে ভাঙ্গন ৷ সে অন্যায় করেছিলো বলেই আমায় রেখে যেতে পেরেছে ৷ তার প্রতিও আমার অভিযোগ নেই৷’
মাধুর্যের চোখে আজকাল পানি দেখে না আবেশ৷ যা তাকে ভাবায় ৷ মাধুর্য শতসহস্র বার নিজের ভেতরে কান্না দমন করছে৷ কঠিন স্বরে বলল,
‘ আমরা কোথায় যাচ্ছি!’
‘ রূপগঞ্জ৷’
মাধুর্য সিটে আধশোয়া ভাবে ছিলো৷ আবেশের কথা শোনে সোজা হয়ে বসলো ৷ আবেশের চোখেমুখে আছড়ে পড়ছে উৎফুল্লতা ৷ মাধুর্য যতোটা অবাক হবে ভেবেছিলো তার থেকে বেশি অবাক হয়েছে ৷ একেকটা খুশি সে এনে দিবে মাধুর্যের দুয়ারে ৷
‘ হঠাৎ ওখানে কেন!’ মাধুর্য উৎকন্ঠে নিয়ে বলল৷ আবেশ ড্রাইভিং এ মনোযোগ দিয়ে বলল,
‘ আমাদের সুখের শুরু টা যেখানে হয়েছিলো,দুঃখ গুলো যেখান থেকে ধরা দিয়েছিলো সেইগুলোকে নিঃশ্বেস করতে ৷ আর তোমার মাধ্যমিক এর সার্টিফিকেট আনতে৷’
আবেশের কথা শুনে যতোটা খুশি হয়েছিলো হঠাৎ করেই সব খুশি মিইয়ে গেলো মাধুর্যের ৷
চলবে…
বি.দ্র:রি-চেক দেই নি। ভুলক্রটি ক্ষমার চোখে দেখার অনুরোধ