ভ্যাম্পায়ার কুইন পর্ব-১৫+১৬

0
2

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ১৫
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমার প্রতিটা আঘাত এলেক্স ওর তলোয়ার দিয়ে আটকাতে লাগলো। এমন মনে হচ্ছিলো এলেক্স আমার মন পরতে ছিলো। ওকে আমি আল্ট্রা স্পিডে আঘাত করতে লাগলাম। কিন্তু ওর ভ্যাম্পায়ার এর ডানা বের করে দিয়ে ও নিজেও আল্ট্রা স্পিডে আমার আঘাত গুলো আটকাতে লাগলো,
.
–অনেক ট্রেনিং এর পর ভ্যাম্পায়াররা আলট্রা স্পিডে উড়তে পারে। একজন ডিম্যানের ও অনেক ট্রেনিং প্রয়োজন। কারন তাদের ডানা থাকে না। দেখি তুমি আকাশে আমাকে কিভাবে আঘাত করো।(এলেক্স আমাকে ভেংচি কেটে বললো)
.
–ডিম্যানদের ডানা থাকে না। কিন্তু কে বলেছে আমি শুধু ডিম্যান।(আমি হেসে আমার ডানা বের করলাম)
.
–তোমার একটা ডানা সাদা আর একটা কালো কেনো?(এলেক্স অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো)
.
–কারন আমি অর্ধেক এন্জেল, অর্ধেক ভ্যাম্পায়ার, আর অর্ধেক ভ্যয়ম্পায়ার।(আমি)
।।।
।।।
আমার আল্ট্রা স্পিড এবার তিনগুন হয়ে গেলো। আমি তিনগুন স্পিডে উড়ে এলেক্সের উপরে ঝাপিয়ে পরলাম। ও অনেক কষ্টে আমার আঘাত গুলো আটকাতে লাগলো। আমি বেশ কিছু আঘাতের পরে আমার কাটানার কোষ আটকিয়ে দিলাম। এবং নিজে নিচে নেমে আসলাম। জানতাম না এই লড়াইয়ের ফলে আমার উড়াটা একটু কন্ট্রোলে চলে আসবে। প্রথমবার হ্যারির সাথে লড়তে গিয়েও আমি ঠিকমতো উড়েছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি সাধারন সময়ে ঠিক ভাবে উড়তে পারি না। আমি লড়াই এর মধ্যে নিজের সব ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারি কিন্তু সাধারন সময়ে মাথায় আসে না।
.
–কি হলো থামলে কেনো? নিজের হার মেনে নিলে নাকি?(এলেক্স)
.
–আপনার তলোয়ার কেটে দু টুকরো হয়ে গেছে? আপনি লড়বেন কিভাবে ঔটা দিয়ে? মানে আমি জিতে গেছি।(আমি)
.
–এটা কি রকম জিতা হলো। আমি তো একটা আঘাত ও করলাম না।(এলেক্স লক্ষ করলো আমার আঘাতে ওর তলোয়ার দু টুকরো হয়ে গেছে)
.
–আপনি আঘাত করলেন না সেটা আপনার ভুল। এখন আপনার পরের মিশনে আপনি আমাকে নিয়ে যাবেন মানুষের দুনিয়ায়।(আমি)
.
–আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে।(এলেক্স এসে আমার মাথায় হাত দিতে লাগলো)
।।।
।।।
ঔদিকে একপাশে দাড়িয়ে এনা, এনার বোন আর হ্যারি আমাদের ফাইট দেখতে ছিলো। আমাদের লড়াই শেষ হয়ে গেলে আমরা ওদের দিকে হেটে যাচ্ছিলাম। এলেক্স আমার গলায় হাত দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো।
.
–আচ্ছা ভাইয়া আমি ড্রাগনের জন্য প্রস্তুত?(আমি)
.
–আরো অনেক ট্রেনিং করতে হবে তোমার।(এলেক্স)
.
–কি যে বলেন। আমি এখনি সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগনকে নিজের মুঠো করে নিতে পারবো।(আমি)
.
–হাহাহা। সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগনের নাম ছিলো ইগড্রাসিল। পুরো ড্রাগন দুনিয়ার রাজা ছিলো সে।(এলেক্স)
.
–ড্রাগনেরও রাজ্য আছে?(আমি)
.
–হ্যা। ড্রাগোনিয়া হলো ড্রাগনদের দুনিয়ার নাম। আমাদের দুনিয়াতে ড্রাগন অনেকটা মূল্যবান। একবার ড্রাগন আমাদের দুনিয়ায় আসলে ওদের দুনিয়ায় ফিরতে পারে না নিজের ইচ্ছায়। যদি ওদের দুনিয়ার রাজা নিজে আদেশ করেন তাহলে ড্রাগন ফিরতে পারে। নাহলে ড্রাগনকে এই দুনিয়া থেকে একটা পার্টনার বানাতে হয়।(এলেক্স)
.
–তাহলে তো ড্রাগনরা যাকে তাকে পার্টনার বানাতে পারে।(আমি)
.
–যাকে তাকে নয়। একজন ড্রাগনের পাওয়ার তার পার্টনারের পাওয়ার অনুযায়ী বৃদ্ধি পাই। আর কোনো ড্রাগন যদি পার্টনারকে মেরে ফেলে তাহলে ড্রাগনও মারা যাবে। তাই এই দুনিয়ার যেসব ড্রাগন আছে সবই শক্তিশালী পার্টনার খুজে।(এলেক্স)
.
–তাহলে আপনি যে বললেন আপনার আগের মিশন ছিলো একটা ড্রাগনকে হত্যা করার। ড্রাগন রেয়ার হওয়ার পর আবার হত্যা করবেন কেনো?(আমি)
.
–কিছু ড্রাগন আছে যারা পার্টনার পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে এই দুনিয়ার সব কিছু ধ্বংস করে দিতে চাই। হান্টারদের কাজ তাদের হত্যা করা। আমি যে ড্রাগনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম সেটা ছোট ছিলো তাই গিল্ড আমাকে একা পাঠায়। কিন্তু ঔটাকে না পেয়ে আমি সেখানে আমার ড্রাগনের থেকেও তিনগুন বড় একটা দেখেছি।(এলেক্স)
.
–আপনার কি মনে হয় ঔটা আমার সাথে পার্টনার হবে?(আমি)
.
–আমার মনে হয় না। কারন ঔটার চেহারায় মোটেও পার্টনার হওয়ার মতো কিছু লেখা ছিলো না। আমার ড্রাগন তো ভয়ে সেখান থেকে আমাকে নিয়ে উড়ে চলে আসে।(এলেক্স)
.
–ওয়াও। তাহলে তো ঔটাকেই আমার পার্টনার বানাতে হবে।(আমি)
.
–স্বপ্ন দেখো। চলো প্রাসাদে যায়।
।।।
।।।
আমরা দুজন এনাদের কাছে গিয়ে দাড়ালাম। তখন একজন সৈনিক দৌড়ে এসে আমাদের খবর দেই। রাজা নাকি আমাদের তাড়াতাড়ি রাজ দরবারে যেতে বলেছে। আমরা পাঁচজন তারাতারি প্রাসাদের দিকে আগালাম। রাজার সিংহাসনের সামনে অনেক লোক। রাজা সিংহাসনে বসে আছেন। কি জেনো কথা বলতেছে মন্ত্রী সাথে। আমরা দরবারে আসার সাথে সাথে জেসির সাথে দেখা হয়ে গেলো,
.
–কি হয়েছে জেসি?(আমি)
.
–ভাইয়া খুব বড় ঝামেলা হয়ে গেছে।(জেসি)
.
–কেনো কি হয়েছে?(আমি)
.
–এজগার্ডে যুদ্ধ লেগে গেছে।(জেসি)
.
–কি? আমাকে বাবার সাথে কথা বলতে হবে।(এলেক্স চলে গেলো রাজার সাথে কথা বলার জন্য)
.
–এজগার্ডটা আবার কোথায়?(আমি)
.
–তুমি এজগার্ড সম্পর্কে জানো না?(এনা)
.
–দাড়াও দাড়াও। এজগার্ড সেটা না যেখানে Odin রাজা? আর তার ছেলে Thor। পালিত আরেকটা ছেলে Loki?(আমি)
.
–হ্যা। জানো না বললে এইতো সবই জানো।(এনা)
.
–এটা সম্পর্কে মানুষের দুনিয়াতে সিনেমা হয়। এজগার্ড মানুষের দুনিয়ায় মার্ভেলের বানানো কাল্পনিক একটা দুনিয়া। যেখানে ভাইকিংস ভেলকারীরা বাস করে।(আমি)
.
–হ্যা মানুষের দুনিয়ায় জিনিসটা কাল্পনিক। কিন্তু যে মার্ভেলের কমিকস প্রথম বানিয়েছিলো তাকে ধারনা একজন মনস্টার দিয়েছিলো।(জেসি)
.
–শালার এই সব খবর আমি জানি না কেনো? তাহলে কি হয়েছে এজগার্ডে?(আমি)
.
–Loki যুদ্ধ শুরু করেছে সিংহাসনের জন্য। Loki চাচ্ছে Thor কে মেরে ফেলতে।(জেসি)
.
–তাহলে এক গড আরেক গডকে মারতে চাচ্ছে। আমার ফেবারিট তো Thor। মার্ভেলের মধ্যে শক্তিশালী একটা ক্যারেক্টার ছিলো।(আমি)
.
–কিন্তু রিয়েলে সেটা নয়। Thor কিছুদিন পর পরই তার হাতুড়ী হারিয়ে ফেলে। হাতুড়ীর জন্য প্রায় প্রায় অযোগ্য হয়ে যায়। আর তখন তাকে Loki মারার চেষ্টা করে।(হ্যারি)
.
–কিন্তু হাতুড়ী ছাড়াও তো সে অনেক শক্তিশালী তাই না?(আমি)
.
–হ্যা কিন্তু এবার লোকি ওডিনকে বন্ধি করে সিংহাসনে জোর করে বসেছে। আর ওডিনের শক্তিশালী অস্ত্র ডিসট্রয়ার লাগিয়ে দিয়েছে থরের পিছনে।(জেসি)
.
–তাহলে ওডিন মিয়া বন্ধী। শালাকে মুভিতেও কখনো একশনে দেখতে পাই নি। আচ্ছা তাহলে এভেন্জার আসবে না থরকে বাচাতে?(আমি)
.
–এভেন্জার আবার কারা?(হ্যারি)
.
–পাগল হয়েছো সিরিয়াস হও। মানুষের দুনিয়াতে যা দেখেছো সেটা কাল্পনিক ছিলো। আর এটা রিয়েলিটি। এই ইউনিভার্সে মোট ১১ টা দুনিয়া আছে। তার মধ্যে পৃথিবী বাকি গুলো সম্পর্কে কিছুই জানে না।(এনা)
.
–তো থরের এখন কি অবস্থা?(আমি)
.
–ডিসট্রয়ার থরকে মারতে মারতে লিম্বো ডাইমেনশনে নিয়ে গিয়েছিলো। সেখানে থর কোনো রকম ডিসট্রয়ার থেকে পালিয়ে আমাদের একাডেমীতে চলে গিয়েছিলো।(জেসি)
.
–ওয়েট ওয়েট। তাহলে আমাদের একাডেমী লিম্বো ডাইমেনশনে?(আমি)
.
–না আমাদের একাডেমী আমাদের এই দুনিয়া আর লিম্বো ডাইমেনশনের মাঝামাঝি জায়গায়।(এনা)
.
–ওওও।(আমি)
.
–হ্যা। থরের পিছনে ডিসট্রয়ারও চলে যায়। আর কি বলবো, পুরো একাডেমীর অবস্থা বারোটা। থর সেখানে থাকা সবাইকে বাচাতে গিয়ে ডিসট্রয়ারের কাছ থেকে বেশ মাইর খায়। কিন্তু শেষ মেষ সবার সাথে পালিয়ে ট্রেনে উঠে।(জেসি)
.
–কি একাডেমী ধ্বংস হয়ে গেছে?(হ্যারি)
.
–এটা তো ভালো খবর। আমি আবার ভাবতেছিলাম একাডেমীতে ফেরত যাবো না। ধ্বংস হয়ে তো ভালোই হলো।(আমি)
.
–জ্যাক একটু সিরিয়াস হও।(এনা)
.
–আচ্ছা তাহলে তারা কোন রাজ্যে এখন?(আমি)
.
–কোনো রাজ্যে আস্তে পারে নি। ডিসট্রয়ারের ভয়ে ট্রেন আল্ট্রা স্পিডে চলতে শুরু করে। আর একটা পোর্টাল করে সোজা মানুষের দুনিয়াতে গিয়ে পৌছায়।(জেসি)
.
–তাহলে সবাই মানুষের দুনিয়াতে?(আমি)
.
–হ্যা। আর এই ব্যাপার নিয়ে কি করবে সেটা আলোচনা হচ্ছে পাঁচ রাজ্যে।(জেসি)
.
–এটা তো খুব খারাপ খবর। এখন এজগার্ড লোকির দখলে। আমি শুনেছি লোকি ড্রাগোনিয়া দুনিয়া এর নতুন ড্রাগন রাজার সাথে একটা পার্টনারশীপ করেছে।(হ্যারি)
.
–কি?(আমি)
.
–আমি শুধু শুনেছি এটা। তবে শিওর না। যদি এটা সত্য হয় তাহলে লোকি চাচ্ছে সব দুনিয়া তার মুঠো করতে।(হ্যারি)
.
–সেটা তো বেশ ভালো খবর।(আমি)
.
–তোমার কি ভয় হচ্ছে না?(এনা)
.
–ভয় কেনো হবে? আমার তো আরো ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে স্বপ্নের দুনিয়ায় আমি চলে এসেছি।(আমি)
.
–লোকিকে কিছুদিন আগে আমার বাবার সাথেও কথা বলতে দেখেছি।(হ্যারি)
.
–কি কথা বলছিলো?(এনা)
.
–ডেভিল কিং কে নিয়ে? লোকি চাচ্ছিলো পরবর্তী ডেভিল কিং সিংহাসনে বসার আগেই….(হ্যারিকে আমি বলতে না দিয়ে বলতে লাগলাম)
.
–কি মেরে ফেলতে?(আমি জিজ্ঞেস করলাম ঢোক গিলে কারন আমিই তো পরবর্তী ডেভিল কিং হবো)
.
–না পরবর্তী ডেভিল কিং এর সাথে হাত মিলাবে। কারন ডেভিল কিং লোকির সাথে হাত মিলালে লোকিকে থামানো সবার জন্য অসম্ভব। আবার পূর্বের ডেভিল কিং এর স্ত্রী লোকির কন্যা ছিলো। তাই লোকি ভাবছে পরবর্তী ডেভিল কিং তার কন্যার বংশেরই একজন হবে।(হ্যারি)
.
–এই লোকি কত বছর যাবৎ বেচে আছে?(আমি)
.
–আমাদের এই এগারো দুনিয়ার মধ্যে এজগার্ডের সময় আস্তে চলে। এজন্য আমাদের থেকে ওরা বেশী বছর বাঁচে।(এনা)
।।।
।।।
আমি আর কিছু বললাম না। এখন কি শুনলাম। আমার শরীরে লোকির ব্লাড বইছে। শালা আমার ভাগ্য কি এতোই খারাপ নাকি। এতোজন থাকতে আমার শরীরে লোকির ব্লাড বইছে। আচ্ছা আমার মাইকেল মামু তো বলেছিলো আমার আম্মা ভবিষ্যৎ দেখতে পারতো। তাহলে কি এই সবই দেখেছিলো। তাহলে আমার আম্মা আমাকে এই সব থেকে দূরে রাখার জন্য নিজের জীবন দিয়েছিলো? হ্যা হতে পারে। এখনো অনেক কিছু আমার মাথায় যাচ্ছে না। আমি যে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। হঠাৎ রাজার ডাক পরলো। আমাকে ডাকছেন তিনি। আমি এগিয়ে গেলাম। গিয়ে সম্মান জানালাম,
.
–মহারাজ ডেকেছেন?(আমি)
.
–হ্যা, পাঁচ রাজ্যের রাজাদের মধ্যে একটা মিটিং হয়েছে। বর্তমানের অবস্থা মোটেও ভালো নয়, লোকি এজগার্ডের সিংহাসন দখল করে নিয়েছে। থর এখন মানুষের দুনিয়ায়। থরকে মারার জন্য লোকি সব কিছুই করতে পারে।(রাজা)
.
–হ্যা অবস্থা অনেক খারাপ যাচ্ছে।(আমি)
.
–পাঁচ রাজ্য মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রথম আমরা পাঁচ রাজা মিলে রাউন্ড টেবিল তৈরী করেছি। আমাদের বর্তমান মিশন হচ্ছে থর এবং বাকি মনস্টার যারা মানুষের দুনিয়াতে আছে তাদের সাবধানে এখানে নিয়ে আসা।(রাজা)
.
–ঠিক আছে মহারাজ।(আমি)
.
–এজন্য প্রত্যেক রাজ্য থেকে পাঁচ জন সেরা ম্যাজিক ব্যবহারকারী মনস্টার সিলেক্ট করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে হান্টার, সৈনিক। এবং প্রত্যেক রাজ্যের লোকদের লিড করবে রাজ্যের প্রিন্স।(রাজা)
.
–তারমানে আমারও টিম দেওয়া হয়েছে।(আমি)
.
–হ্যা। তবে সেখানে তোমার ছোট ভাই প্রিন্স কহিল ও থাকবে।(রাজা)
.
–ও।(আমি)
.
–তবে শুনে রাখো প্রিন্স জ্যাকসন। মিশনটা সহজ মনে হলেও সহজ নয়। লোকি যদি জানতে পারে থর মানুষের দুনিয়ায় আছে তাহলে ড্রাগন সেনাদের পাঠিয়ে দিবে মানুষের দুনিয়ায়। তখন কি হবে ভাবতেই পারছো।(রাজা)
.
–মাই কিং তেমন কিছু হবে না। আপনি আমার উপরে ভরসা রাখুন। ওর প্রথম মিশন হলেও ভালো করবে আমার ভরসা। আর কিছু ভুল করলে আমি তো আছিই।(এলেক্স)
.
–ঠিক আছে। তাহলে পোর্টাল করে বেরিয়ে পরো তোমরা।(রাজা)
.
–ঠিক আছে মাই কিং।(এলেক্স)
।।।
।।।
আমি আর এলেক্স দুজনেই জেসি আর এনার কাছে আসলাম।
.
–বাবা তোমাকে মিশনে পাঠাচ্ছে বুঝলাম, কিন্তু জ্যাককে পাঠাচ্ছে কেনো? ও তো এসবের জন্য প্রস্তুত না।(এনা)
.
–এটা বাবার সিদ্ধান্ত নয়। বাকি তিন রাজারা প্রস্তাব দিয়েছিলো শুধু জ্যাককে একটা সেনা দিয়ে পাঠাবে, কারন কাল নাকি জ্যাকের ফাইট দেখেছিলো। পরে রাজা জ্যাসন এবং বাবা দুজনে প্রস্তাব দেই প্রত্যেক রাজ্যের প্রথম প্রিন্সের অধীনে করে পাঁচজন করে মোট ৩০ জনের একটা স্কয়াড যাবে। আর প্রত্যেক রাজ্যের টিম প্রত্যেক রাজ্যের প্রিন্স লিড করবে।(এলেক্স)
.
–আরে তোমরা শুধু শুধু চিন্তা করছো আমার জন্য। শত হলেও আমি একজন প্রিন্স।(আমি)
.
–কিন্তু জ্যাক, আমার মনে হচ্ছে বাবা তোকে ভাসাতে চাচ্ছে। যাবি ভালো কথা কিন্তু একটু সাবধানে থাকবি।(জেসি)
.
–ঠিক আছে।(আমি)
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে))))

।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ১৬
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি আর এলেক্স হাটতে হাটতে প্রাসাদের বাইরে চলে আসলাম।
.
–বাকি সবাই পোর্টালের সামনে দাড়িয়ে আছে। আমাদের তাড়াতাড়ি যেতে হবে।(এলেক্স)
.
–গাড়ি দেখছি না তো কোনো?(আমি)
.
–কে বললো গাড়িতে যাবো আমরা? তার থেকে জলদি যেতে হবে আমাদের।(এলেক্স)
.
–তাহলে কি ড্রাগন ডাকবেন?(আমি)
.
–আরে না। তোমার ছোটখাটো একটা ট্রেনিং নেওয়া যাক।(এলেক্স)
.
–কিসের?(আমি)
.
–দৌড়ের।(বলেই এলেক্স আল্ট্রা স্পিডে দৌড় দিলো)
।।।
।।।
এতো জোরে দৌড় দিলো যে কোনদিকে গেলো কিছুই বুঝলাম না। কিন্তু আমি সামনের দিকে আল্ট্রা স্পিডে দৌড় দিলাম। একটু পরই দেখলাম এলেক্স দৌড়াচ্ছে সামনে।
.
–দৌড়ানোর আবার কি ট্রেনিং?(আমি)
.
–দেখি তুমি আমাকে ফলো করতে পারো কতক্ষন।(এলেক্স)
।।।
।।।
এলেক্স এবার ওর ডানা বের করলো। ওর পুরো স্পিডে ও দৌড়াতে লাগলো। আমিও আমার ডানা বের করলাম। দৌড়ানোর থেকে সোজা সামনের দিকে উড়ে যাচ্ছিলাম। দূরে একটা সাদা আলো আকাশের দিকে চলে গেছে। আমি বুঝতে পারলাম পোর্টাল সেখানেই।
.
–ভাইয়া আমার মনে হয় আপনি হেরে যাবেন আমার থেকে।(আমি)
.
–রাস্তা তুমি চিনো নাকি আমি? আমাকে এবার হারাতে পারবে না।(এলেক্স)
.
–ঠিক আছে ওপারে দেখা হবে।(আমি আমার পুরো স্পিডে উড়ে এক মুহুর্তের মধ্যেই গন্তব্যে চলে আসলাম)
।।।
।।।
সবাই নিজের অস্ত্র রেডি করলো শত্রু ভেবে।
.
–সবাই অস্ত্র নামাও। এটা আমার বড় ভাইয়া প্রিন্স জ্যাকসন।(কহিল)
।।
।।
কহিলের কথা শুনে সবাই হাতের তলোয়ার নামালো। তখনি প্রিন্স এলেক্স আসলো। তখনি পোর্টাল খুললো। সকল প্রিন্স তাদের স্কয়াডের কাছে গেলো। আমিও এগিয়ে গেলাম। কহিল তার হাত বারিয়ে দিলো আমার দিকে,
.
–আমি খুবই দুঃখিত কালকের ব্যবহারের জন্য। আসলে আমার রাজ্য সিংহাসন এসবের কোনো লোভই নেই ভাইয়া। কিন্তু আমার আম্মাকে আমি খুব ভয় পাই। তার সকল আদেশ আমার মানতে হয়।(কহিল)
.
–ঠিক আছে। আর এমনিতেও ভাই ভাইয়ের মধ্যে তো লড়াই ঝগড়া মাঝে মধ্যেই লাগে।(আমি)
.
–এই হলো আমাদের টিম ভাইয়া।(কহিল)
।।।
।।।
সকলে আমাকে প্রিন্স হিসাবে সম্মান দিলো। কিন্তু কহিল বাদে বাকি চারজনের চোখে আমি অন্য রকম কিছু দেখছি। এদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে এদের মনের মধ্যে কিছুই চলছে না। বরং কেউ এদেরকে কন্ট্রোল করছে। আমরা সকলে পোর্টালের মধ্যে ঢুকলাম। ভিতরে ছোট একটা নৌকার মতো কিছু একটা আছে। এলেক্স বলতে লাগলো,
.
–এটাকে বলে দ্যা ড্রাগন বোর্ড। এটা নিডাভেলির দুনিয়ার ডয়ারফস দের তৈরী। এটা দিয়ে এক দুনিয়া থেকে অন্য দুনিয়ার রাস্তা কিছু সময়ের মধ্যেই পারি দেওয়া যায়।(এলেক্স)
.
–আচ্ছা এই নৌকা থেকে পরলে কি হবে?(আমি)
.
–এখান থেকে পরে আপনি এই পুরো এগারো দুনিয়ার যেকোনো এক জায়গায় পরবেন। আজ পর্যন্ত কেউ এখান থেকে পরে বেঁচে ফিরে নি।(কহিল)
.
–তাহলে তো ভয়ানক বিষয় এটা।(আমি)
.
–হ্যা সবচেয়ে বেশী ভয়ানক হচ্ছে এখানে ডানা কাজ করে না।(এলেক্স)
.
–তাহলে তো কেউই পরতে চাইবে না এখান থেকে।(আমি)
.
–হ্যা কেউ পরতে চাই না। তবে যারা যারা এখান থেকে পরেছে তাদেরকে জোর করেই ফেলে দেওয়া হয়েছে এখান থেকে।(এলেক্স)
।।।
।।।
আমি আর কিছু বলতে যাবো তখনি আমাকে কয়েকজন পিছন থেকে ধাক্কা মেরে দিলো। আমি এসব হঠাৎ এট্যাক সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তাই সোজা আমি নৌকা থেকে পরে গেলাম। পরতে পরতে দেখলাম আমাকে ধাক্কা দিয়েছে আমার স্কয়াডে আর এলেক্সের স্কয়াডে থাকা সবাই। এলেক্স আর কহিল কিছু একটা বলছে। আমি আস্তে আস্তে শুনতে পেলাম।
.
–রাজ্যে ফিরে কি বলবেন?(কহিল)
.
–বলে দিবো নৌকা থেকে পা পিচলে পরে গিয়েছে। ছোট বোনের জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু কিছুদিনে ঠিক হয়ে যাবে।(এলেক্স)
.
–যাক তাহলে আপদ রাস্তা থেকে সরে গিয়েছে। আমি কখনো ভাবি নি আমার যে সৎভাইয়ের সম্পর্কে কোনোদিন শুনি নি সে এসে আমার রাজ্য আমার থেকে কেড়ে নিবে।(কহিল)
.
–হ্যা আমাদের ডিলের কথা ভুলে যেয়ো না।(এলেক্স)
.
–হ্যা হ্যা ভুলবো না। আমার সাকুবিচ্ বোনের সাথে তোমারই বিয়ে হবে।(কহিল)
.
–ঠিক আছে।(এলেক্স)
।।।
।।।
আমি আস্তে আস্তে নিচে পরতে লাগলাম। আজ বুঝতে পারলাম সবাইকে বিশ্বাস করতে নাই। হ্যা বিশ্বাস করতে নেই সবাইকে। জেসি ঠিকই বলেছিলো বাবা আমার জন্য কোনো না কোনো ট্রাপ তো ঠিকই রেখে দিয়েছিলেন। কালকে তার মান সম্মান অনেকটা নষ্ট হয়েছে, সে কি সেটা ছেড়ে দিবে। আমি আমার চোখ বন্ধ করলাম। হয়তো এটাই আমার শেষ মুহুর্ত। আমার সাথে কি হয় সেটা অজানা। হয়তো আমার আত্মা একটু পর আমার শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। তারপর কি হবে সেটা কে জানে?
।।।
।।।
আমি চোখ খুলে নিজেকে খোলা আকাশের নিচে দেখলাম। মনে হচ্ছে আমি আকাশ থেকে পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি। আমি যেখানে পরেছি সেখানের মাটি অনেক গর্ত হয়ে গেছে। আমি কোনো রকম উঠার চেষ্টা করলাম। সারা শরীর ব্যথায় টন টন করছে। আমি না উঠে এভাবেই শুয়ে রইলাম। রাতের আকাশের তারাগুলো খুব ভালো লাগছে। জানি না কেনো জেনো আজকে দুটো চাঁদ দেখা যাচ্ছে। আমি কোথায় আছি আমি নিজেও জানি না। কিন্তু জায়গাটা অনেক সুন্দর। আমি কিছুক্ষন শুয়েই রইলাম। একটু পর আকাশ থেকে কিছু আমার দিকেই পরতে দেখলাম। আমি তারাতারি উঠে সরে গেলাম। আমি যেখানে পরেছিলাম সেখানেই একটা বিশাল ড্রাগন ল্যান্ডিং করলো। ড্রাগনের আকার এলেক্সের ড্রাগন থেকেও দশগুন বড় হবে। আমার বুক ভয়ে থর থর করতে লাগলো। আমার তো মনে হচ্ছে এটা ড্রাগনের দুনিয়া। আর আমি ভুলে এখানে চলে এসেছি।
.
–কে তুমি?(ড্রাগনটি হঠাৎ বলতে লাগলো)
.
–আহ।(আমি অবাক হয়ে গেলাম)
.
–এটা কি রকম মুখ করেছো?(আমাকে ধমক দিয়ে বললাম)
.
–আপনি কথা বলতে পারেন?(আমি)
.
–আমি একজন রাজা ছিলাম। অবশ্যই কথা বলতে পারবো।(ড্রাগন)
.
–রাজা ছিলেন? মানে আপনি কে?(আমি)
.
–আমার নাম ইগড্রাসিল। আমিই ড্রাগনদের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজা ছিলাম। কিন্তু আমার সেনাপতি আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। আমাকে এই মনস্টার দুনিয়ায় জোর করে পাঠিয়ে দিয়ে সে আমার রাজ্য দখল করে বসে আছে। তিল তিল করে আজ একশটা বছর আমি এখানে ঘুরঘুর করছি।(ড্রাগন)
.
–আমি শুনেছি মনস্টারের সাথে পার্টনার হলে ড্রাগনরা তাদের দুনিয়ায় ফিরতে পারে। তাহলে একটা মনস্টারের সাথে পার্টনার হয়ে ফিরে যান নি কেনো?(আমি)
.
–অনেকেই এখানে এসেছিলো। কিন্তু আজ পর্যন্ত যারা এসেছে আমি সবাইকে মেরে ফেলেছি। কারন আমি একজন রাজা। আমি রাজা ছাড়া কারো সাথে পার্টনার হতে পারি না।(ড্রাগন)
.
–তাহলে কোনে রাজা আজ পর্যন্ত আসে নি এখানে?(আমি)
.
–হ্যা, এসেছিলো একজন। কিন্তু আমার সাথে পার্টনারশীপ করতে গিয়ে আমার শক্তি সে সহ্য করতে পারে নি।(ড্রাগন)
.
–ওওও।(আমি)
.
–হ্যা অনেক কথা হয়েছে। এখন তোমাকে মরতে হবে। মরার আগে তোমার পরিচয় আর এখানে আসার কারন কি বলে দাও? একটু আস্তে আস্তে বলো কারন প্রতিনিয়ত মনস্টাররা এখানে আসে না। কথা বলার মতো তেমন কাউকে পাওয়া যায় না।(ড্রাগন)
.
–আমার নাম জ্যাকসন ব্রিট। আমি মনস্টার দুনিয়ার লংস্টার রাজ্যের প্রথম প্রিন্স। এখানে আমি আসি নি। আসলে ধোকা দিয়ে আমাকে একটা ড্রাগনের নৌকা থেকে ফেলে দিয়েছে। তারপর আমি আকাশ থেকে এখানে পরেছি।(আমি)
.
–তাহলে তোমার সাথেও ধোকা হয়েছে আমার মতো। আর হ্যা এখানে যারা আসে সবাই তোমার মতোই আজব নৌকা থেকে পরে আসে। কেউ নিজের ইচ্ছায় নতুন কিছু খোজার জন্য আর কেউ ধোকা খেয়ে আসে।(ড্রাগন)
.
–হ্যা। একবার আমার ডেভিল কিং এর পাওয়ার গুলো সম্পূর্ন হয়ে যাক তারপর ধোকাবাজ গুলোকে দেখাবো।(আমি)
.
–কি বললে তুমি? ডেভিল কিং এর পাওয়ার?(ড্রাগন)
.
–হ্যা আমি পরবর্তী ডেভিল কিং।(আমি)
.
–এখনি আমাকে পার্টনার বানাও। আমরা দুজন মিলে আমাদের ধোকা দেওয়ার প্রতিশোধ নিবো।(ড্রাগন)
.
–প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে লাভ কি? যারা ধোকা দেই তাদের শাস্তি তো একদিন হবেই। তারচেয়ে বরং আমরা বর্তমানের অবস্থার কিছু একটা করি।(আমি)
.
–মানে বুঝলাম না?(ড্রাগন)
.
–শুনেছি লোকি নাকি এজগার্ড দখল করে নিয়েছে। আর সে এখন আমাকেই খুজে বেরাচ্ছে।(আমি)
.
–ঔ বাস্টার্ড লোকি তো প্রায় প্রায় এমন করে। আমি বুঝি না ওডিন ওর কিছু করতে পারে না কেনো? আচ্ছা লোকি তোমাকে খুজছে কেনো?(ড্রাগন)
.
–আমার ধারনা, লোকি পরবর্তী ডেভিল কিং কে খুজছে। আর পরবর্তী ডেভিল কিং তো আমি।(আমি)
.
–তাহলে বেশী সময় নষ্ট করা যাবে না। আমি শুনেছি লোকির সাথে ড্রাগন রাজ্যের সাথে লোকির একটা চুক্তি হয়েছে। যে করেই হোক আমাকে আমার রাজ্যে ফিরে যেতে হবে।(ড্রাগন)
.
–আচ্ছা আমি একটা জিনিস বুঝি না মনস্টারের সাথে ড্রাগন পার্টনারশীপ করলে কিভাবে ড্রাগন রাজ্যে আপনারা ফিরতে পারেন?(আমি)
.
–সেটা তো আমার সাথে পার্টনারশীপ করতে পারলেই দেখতে পারবে। আগে দেখি তুমি আমার সাথে বন্ড করতে পারো কিনা?(ড্রাগন)
.
–কিভাবে কি করতে হয় আমি তো জানি না?(আমি)
.
–তোমাকে আমার আগুনের মোকাবেলা করতে হবে। যদি আমার পার্টনার হওয়ার যোগ্য হও তুমি তাহলে আমার আগুন তোমার কোনো ক্ষতি করবে না। আর না হলে আমার আগুনে মারা যাবে।(ড্রাগন)
।।।।।
।।।।।
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই ইগড্রাসিল তার বিশাল দু পা সামনে মাটিতে জোড়ে ফেললো। এবং সেই সাথে মুখ দিয়ে বিশাল বড় আগুনের কুন্ডুলি আমার দিকে মারতে লাগলো। যাকে এক বলে ফায়ার ব্রিদিং। আমি প্রথমে ভয় পেয়ে গেলাম। আমার মনে হচ্ছিলো আগুনে পুরে আমি মরে যাবো। কিন্তু সেটার কিছুই হলো না। ইগড্রাসিলের পুরো আগুন আমার শরীরের ভিতরে চলে আসলো। আমার শরীর সব আগুন এবজোর্ব করে নিলো। আমি অবাক হয়ে ইগড্রাসিলের দিকে তাকিয়ে আছি।
.
–আজ এই মুহুর্ত থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমি ইগড্রাসিল দ্যা কিং ওফ ফায়ার ব্রিদিং ড্রাগন জ্যাকসন ব্রিট দ্যা নেক্সট ডেভিল কিং এর সাথে কন্ট্রাকে বন্দি হলাম। আমাদের পুরো জীবন আমরা পার্টনার থাকবো।(ইগড্রাসিল ওর সামনের বাম পা দিয়ে ডান পায়ে কিছুটা ক্ষত করে রক্ত বের করলো)
.
–রক্ত বের হচ্ছে তো।(আমি)
.
–কিছুই হবে না। এখান থেকে একটু রক্ত খেয়ে নাও।(ড্রাগন)
.
–কি পাগল হয়েছো?(আমি)
.
–আমাদের দুনিয়ায় মোট ৬ টা রাজ্য আছে। প্রত্যেক রাজ্যে একটা করে রাজা আছে। এক একজন রাজা নিজেই আলাদা একটা এট্রিবিউট। এই ৬ রাজার সাথে পার্টনারশীপ করতে হলে তাদের ব্লাড খেয়ে কন্ট্রাক করতে হয়। বাকি ড্রাগনদের জন্য এটা প্রয়োজন হয় না।(ড্রাগন)
.
–ওকে ব্লাডই যখন খেতে হবে তখন ঠিক আছে।(এমনিতেই ব্লাড দেখে আমার মাথা ঘুরতে ছিলো)
।।।
।।।
আমার বড় দাঁতটা রক্ত দেখে বেরিয়ে আসলো। বুঝতে পারলাম ব্লাড আকক্তি দেখা দিয়েছে। সেই একদিন আমি ব্লাড খেয়েছিলাম। তাও সামান্য মানুষেরটা খাওয়ার পর এনার ব্লাড চুষেছিলাম। পরে ঘৃণা লাগলেও এখন ঘৃণা করতে পারছি না। আমার একটু ব্লাড লাগবেই। একটু না অনেকটা ব্লাডই লাগবে।
.
–ওকে যখন এতো করে বলতেছো তাহলে আমি আর থামবো না। একটু নয় মন ভরে ব্লাড খাবো আজ।(আমি এটা বলেই যেখান দিয়ে ইগড্রাসিলের রক্ত বের হচ্ছে সেখানে কামড় দিয়ে চুষে ওর রক্ত পান করতে লাগলাম। থামতেই মন চাচ্ছে না)
.
–আহহহ। আমাকে আগে বলো নি কেনো? তুমি একটা ভ্যাম্পয়ার। ছাড়ো আমার পা। আমার মনে হচ্ছে এখনি মরে যাবো আমি। (হঠাৎ ইগড্রাসিলের শরীর লাল হতে লাগলো)
।।।
।।।
আকাশ থেকে বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো। আর একটা এসে ঠিক ইগড্রাসিলের উপরে পরলো। আমি যেহেতু ওকে ধরে রক্ত খাচ্ছিলাম তাই ঝাকুনি আমার ও লাগলো। মনে হলো বিশাল বিদ্যুৎ এর শক লাগলো। কিছুক্ষন হ্যাং হয়ে দাড়িয়ে ছিলাম। একটু পরেই জ্ঞান ফিরলো ভালো করে। আমার পাশে তাকিয়ে ইগড্রাসিলকে খোজার চেষ্টা করতে লাগলাম কিন্তু পেলাম না। কন্ট্রাক হওয়ার সাথে সাথেই আবার ড্রাগোনিয়াতে ফিরে গেলো না তো।
আমাকে অন্তত জানাবে তো। সালা এখানেও ধোকা খেলাম।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।