#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২৩
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
রানীর বলা একটা কথাও আমার মাথায় ঢুকলো। শুধু বুঝলাম আমি মানুষদের জন্য ভিলেন তাই আমাকে এখানে আটকা করে রেখেছে। জানি না আমি কি, কিন্তু রানী শুধু বার বার আমাকে ডেভিল কিং ডেভিল কিং বলতেছে৷ ডেভিল কিং নাম কখনো শুনেছি বলে আমার মনে হয় না৷ যাক আমি বুঝে গেছি আমাকে এখান থেকে রানী কখনো বের হতে দিতে চাই না। কিন্তু আমি এখানে থাকতে চাই না। সব জিনিসই কেমন স্বপ্নের মতো। আমার সব বাস্তব জিনিস ভালো লাগে৷ আমাকে শুধু একবার এখান থেকে বের হওয়ার পদ্ধতিটা জানতে হবে। কিন্তু সেটার জন্য আমার রানীর সাথে ভালোবাসার নাটক করতে হবে। আমার মনে হয় সামান্য ভুল হয়েছে, রানীকে আমার বিয়ের কথা না বলে প্রেম করার কথা বললে ভালো হতো। বলা যায় না আমি এই বিয়ের ফলে কোন মেয়ের ভাগ্যে সতীন নিয়ে আসবো। এমনিতেও আমার বয়স এখন কম কমই লাগছে, মনে হয় না আমার কোনো বউ থাকতে পারে। তাই চেষ্টা করেই দেখি। যদি বিয়ের আগে কোনো মতে ওর থেকে বের করতে পারি কিভাবে এখান থেকে বের হয় তাহলে তো কথায় নাই। আমি আমার ভাবনা থেকে বের হলাম। রানী চলে যাওয়ার পর আমার বাধনগুলো এমনিতেই খুলে গেলো। আমি আস্তে করে রুম থেকে বের হলাম। স্বপ্নেও কখনো এমন জিনিস কল্পনা করবো না যেটা এখন আমার সামনে দেখতে পাচ্ছি আমি। পুরো আকাশই পিংক কালারের। দেখেই মনে হচ্ছে এখানের আকাশ বাতাস সবই মেয়ে। আমি অবাক হলাম যে এই দরজা দিয়ে রানী বের হলো দরজা খুলার সময় আমি তার রাজ সিংহাসনের কিছুটা ঝলক দেখেছিলাম। কিন্তু আমি এখন দাড়িয়ে আছি একটা বেলকনিতে। ভালো করে লক্ষ করলাম বিশাল একটা প্রসাদে আমি দাড়িয়ে আছি। প্রাসাদের সবচেয়ে উচু রুমের মধ্যে আমি দাড়িয়ে আছি। এখান থেকে নিচে তাকাতে আমার ভয় লাগছে। তারপরও বেলকনির দেওয়াল থেকে অনেকটা দূরে দাড়িয়ে আমি পিংক কালারের দুনিয়াটা দেখতে লাগলাম। আমার এই দুনিয়ার প্রতি কেমন জানি একটা কৌতহল জাগতে লাগলো। আমার পৃথিবীর সম্পর্কে কোনো কিছুই মনে নেই কিন্তু আমি এতোটুকু বলতে পারি এটা পৃথিবীর থেকে পুরো উল্টা। পৃথিবীর আকাশ কখনো পিংক হবে।
।।।।
।।।।
স্বপ্নের দুনিয়া এতো আজব হবে সেটা কে ভাবছে? এখন শুধু আমার চিন্তা এই ভয়ানক জায়গা থেকে কিভাবে বের হওয়া যায়। কারন যতই হোক মেয়েদের এই স্বপ্নের দুনিয়ায় আমি কখনো থাকতে চাই না। আমি রুমের মধ্যে আবার ঢুকলাম। যে দরজা দিয়ে ঢুকলাম হঠাৎ আরেকটা মেয়ে ঢুকলো, হাতে একটা ট্রেতে করে কিছু খাবার নিয়ে আসছে,
.
–আমরা অনেক খুশি যে আমাদের রানী শেষমেষ বিয়ে করতে রাজি। উনি প্রায় তিনশত বছর ধরে অবিবাহিত রয়েছেন। একা একা উনার এই পুরো রাজ্য সামলাতে অনেক সমস্যা হয়। শেষমেষ তিনি আপনাকে বিয়ে করতে রাজি হলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।(মেয়েটা)
.
–আরে আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আপনি কে? আর এই দরজা দিয়ে কিভাবে বের হয়ে আসলেন? ওটার ঔপাশে তো বেলকনি।(আমি)
.
–আমার নাম লুসানা৷ আমি মহারানীর ছোট বোন।(লুসানা)
.
–ওওও। আপনি বললেন রানী ৩০০ বছর যাবৎ বিয়ে করেন নি, তিনশ বছর কেউ বাঁচতে পারে?(আমি)
.
–হ্যা কারন আমরা ড্রিম এন্জেল। আমরা একজন অনেক বছর বাঁচি।(লুসানা)
.
–স্বপ্নের পরী? তাহলে এই দরজা দিয়ে কি ম্যাজিকের মাধ্যমে এসেছেন?(আমি)
.
–কিছুটা তেমনই। এটা স্বপ্নের দুনিয়া। এখানে যেটা ভাববে সেটাই হবে।(লুসানা)
.
–তাহলে এখানে আমি যেটা ভাববো সেটাই হবে?(আমি)
.
–একদম তেমনও না। রানী আমাদের যেটুকু ভাবার জন্য বলে আমরা শুধু সেটুকুই ভাবতে পারি। তার থেকে বেশী কিছু ভাবতে পারি না। কারন আমাদের সবার স্মৃতিই হারানো। যেটা ভাববো সেটা সম্পর্কে কোনো ধারনাই নেই আমাদের। তবে এই দরজা কোথায় নেওয়া যাবে সেটা ভেবে আমরা চলাচল করতে পারি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়।(লুসানা)
.
–ওওও। তাহলে কি এই দুনিয়াতে শুধুই রানীই একমাত্র যার কিনা সকল বিষয়ে মেমোরী আছে?(আমি)
.
–হ্যা।(লুসানা)
.
–ওকে। ধন্যবাদ আপনাকে।(আমি)
।।।
।।।
লুসানার আনা কিছু খাবার খেলাম। কিন্তু মনে হলো না কিছু আমার পেটে গেলো। আমি তো স্বপ্নের দুনিয়াতে আছি। এখানে আমি শরীর আসে নি। আমার শরীর সহ আসলে হয়তো খাবার খেয়ে পেট ভরতে পারতাম। কিন্তু এখন মনের তৃপ্তিই যথেষ্ট।
।।
।।
আমি কিছুটা ভাবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু কি ভাববো সেটাই মনে পরছে না। কোনো খাবারের নামও মনে পরছে না। এমনকি আমি কি কি পড়তে পছন্দ করি এমন কিছুও আমার মনে পরছে না। কি আর করবো পান্ডা সহ সাজানো বিছানায় আমি শুয়ে পরলাম। কিছু ভাবার চেষ্টা করলাম, কিন্তু তখনি পুরো প্রাসাদ কাপতে শুরু করলো। হঠাৎ আমার উপর থেকে ছাদ ভেঙে পরতে লাগলো। আমি বেশী চমকে গেলাম। আমি তারাতারি করে উঠতে চাইলাম, ঠিক তখনি সব কিছু স্লোমোশন হয়ে গেলো। শুধু আমিই সবকিছুর থেকে বেশী স্পিডে নাড়াচাড়া করতে পারছি। আমি দরজা দিয়ে বের হলাম। কিন্তু এবারও আমি বেলকনিতে দাড়িয়ে আছি। বেলকনি থেকে আমি যেটা দেখলাম সেটা হলো বিশাল বিশাল চার পাচঁটা ড্রাগন প্রাসাদের উপরে হামলা করেছে। সবার মুখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে। আর সেটা প্রাসাদের দিকে মারায় প্রাসাদ ভেঙে যাচ্ছে। সকল ড্রিম এন্জেলরা মিলেও কিছু করতে পারছে না। একদম নিচে একজন লোক রানী লুসির গলা ধরে উচু করে রেখেছে। জিনিসটা আমার মোটেও ভালো লাগলো না। আমি এতো উপর থেকে কি করবো জানি না। তারপর ও আমি লাফ দিলাম উপর থেকে। আমি বুঝতে পেরেছি স্বপ্নের দুনিয়ায় কেউ আক্রমন করেছে। আর সে রানীকে মেরে ফেলবে। রানীকে মেরে ফেললে আমি এখান থেকে কিভাবে বের হবো এটা ভাবতে ভাবতে আমি নিচে পরতে লাগলাম। নিচে পরার কিছুটা আগে আমার মনে হলো আমি যে এতো উপর থেকে লাফ দিলাম আমি তো পরলেই মরে যাবো মনে হচ্ছে। তারপরও স্বপ্নের দুনিয়া বলে মনে হলো আমার কিছু হবে না।
।।।।
।।।।
আসলেই এতো উপর থেকে পরার পরও আমার কিছু হলো না। আমি খুব তারাতারি দৌড়ে চলে আসলাম রানীর কাছে। একটা ঘুষি আমি লোকটার দিকে মারতে যাবো কিন্তু বা হাত দিয়ে আমার ঘুষি আটকিয়ে ফেললো সে, আর বলতে লাগলো,
.
–জ্যাকসন। আমার নাতির নাতির নাতির এক নাতি। জানি না পরিচয় দেওয়া ঠিক হয়ছে নাকি৷ তারপর ও তুমি আমার বংশেরই একজন।(লোকটা)
.
–কে আপনি?(আমি)
.
–আমার নাম লোকি। এজগার্ডের নতুন রাজা আমি।(লোকি)
.
–লোকি? আমার মনে হয় না আমি আপনাকে চিনি? কিংবা এজগার্ড না কিসের কথা বললেন আমি সেটার নাম ও কোনোদিন শুনি নি।(আমি)
.
–আমি জানি তোমার মেমোরী হারিয়ে গেছে। সেটা হারানোই ভালো। আমি এখানে এসেছি এদেরকে মেরে তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যেতে।(লোকি)
.
–এদেরকে কেনো মারবেন?(আমি)
.
–কারন এদের না মারলে এরা তোমাকে নিতে দিবে না। চিরকাল এখানেই রেখে দিবে।(লোকি)
.
–ঠিক আছে আমি আপনার সাথে যাবো, কিন্তু একটা শর্ত আমার।(আমি)
.
–কি তোমার শর্ত?(লোকি)
.
–এদের কাউকে মারবেন না। বরং এরাই আমাকে যেভাবে এনেছে সেভাবে ফেরত দিবে। তারপর আপনি আমাকে নিয়ে যাবেন।(আমি)
.
–ভালো শর্ত কিন্তু আমি এটা মানতে পারবো না। তোমাকে আমার সাথেই আসতে হবে এখন।(লোকি)
.
–ও যেতে পারবে না এখান থেকে। কারন ওর শরীর এখানে নেই। আমি শুধু ওর স্বপ্নের মানুষটাকে এখানে এনেছিলাম। ওর মনস্টার শরীর পরে আছে আন্ডারওয়ার্ল্ডে।(লুসি লোকির হাতের গলা টিপা খেয়েও কষ্টে বলতে লাগলো)
.
–এটা তো আমি প্লান করি নি। ঠিক আছে আমি এদের রানী লুসি দ্যা ফেইরী আমি তোমাদের কাউকে মারবো না কিন্তু আমার ডেভিল কিং কে তার আসল শরীরে প্রবেশ করিয়ে দাও।(লোকি)
.
–আমার জীবন গেলেও আমি সেটা করতে পারবো না। আমি এবার বুঝেছি মানুষের খারাপ স্বপ্ন দেখার সব কারন হলো আপনি। আপনার ইচ্ছা আমি বুঝে গেছি। আপনি চাচ্ছেন পুরো ১১ দুনিয়া নিজের করে নিতে। কিন্তু সেটার জন্য আপনার বড় অস্ত্র হলো ডেভিল কিং এর ক্ষমতা।(লুসি)
.
–আমি এতো কিছু শুনতে চাই না। জানি তুমি ছাড়া কেউ ওকে ফেরত পাঠাতে পারবে না, তাই তোমাকে আগেই মারবো না। প্রথমে তোমার বোনকে মারবো, তারপর তোমার সকল প্রজাকে, তারপর আস্তে আস্তে তোমায় টর্চার করবো।(লোকি)
.
–দেখেন আমার জন্য আপনাদের এতো কষ্ট করতে হবে না। আপনি আমাকে মুক্ত করে দিন। তারপর উনি আর আপনাদের কিছু করবে না।(আমি)
.
–হ্যা কিছুই করবো না। আমার কাছে কিন্তু আরো উপায় আছে। রানীকে মেরে ফেললে এখানে নতুন রানী হয়। পরের রানী কিন্তু আমারই কেউ একজন হবে।(লোকি)
।।।
।।।
লোকি এবার লুসিকে ছেড়ে দিলো, লুসি এবার কিছু একটা স্পেল পরলো। আমার মেমোরী গুলোও ফিরে আসলো। ওর শেষ কথাগুলো মনে মনে আমাকে বললো,
.
–আমাকে মাফ করে দিয়ো। আমি লোকির ভয়েই তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছিলাম। আসল দুনিয়াতে এখন মোট ২০ দিন কেটে গেছে। তোমার পুরো ডেভিল ক্ষমতাও সম্পূর্ন হয়েছে। লোকি এরপর তোমার সন্ধানে আন্ডারওয়ার্ল্ডে যাবে। এজগার্ড থেকে পুরো ১১ দুনিয়ার যেকোনো জায়গায় মুহুর্তের মধ্যে যাওয়া যায় এটা আমার আগে ভাবা উচিত ছিলো। যাক লোকি কখনো নিজের কথা দিয়ে কথা রাখার মতো না। আমি জানি ও আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। শুধু আমি তোমার সাথে আমার ছোট বোনটাকে পাঠাচ্ছি। খেয়াল রেখো ওর।(লুসি)
।।।।
।।।।
লুসি মনে মনে টেলিপ্যাথির সাহায্যে আমার সাথে কথাগুলো বললো। সাথে সাথে আমার চোখ ভেঙে গেলো। আমি যে ডিভাইসের ভিতরে শুয়েছিলাম, সেটার গ্লাস খুলে আছে, আর আমি হাপিয়ে সেটা থেকে বের হলাম। আমার সব মেমোরী এবার আমার সাথে আছে, কোনো কিছু ভুলি নি আমি। আমার একটু আগে হয়ে যাওয়া সব কিছু স্বপ্নই মনে হলো। কারন স্বপ্নের দুনিয়াতে হয়েছিলো সবকিছু। আমি একটা বইয়ের মধ্যে পড়েছি স্বপ্নের দুনিয়াতে বাইরের কোনো কেউ ঢুকতে পারে না যদি না কারো স্বপ্নের মাধ্যমে স্বপ্নের রানী না নেই। স্বপ্নের রানী একবার শুধু মানুষ না একটা মনস্টারকেও সেখানে নিয়ে যেতে পারবে সেখানে স্বপ্নের মাধ্যমে। যে স্বপ্নের দুনিয়াতে যাবে তার কোনো শক্তিই থাকবে না। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না লোকি কিভাবে নিজ শরীরে স্বপ্নের দুনিয়াতে গেলো? আর এতো শক্তিই কিভাবে পেলো সেখানে? এটা বড় রহস্যময় বিষয়। আমি পুরাতন ডেভিল কিং এর কক্ষে একা আছি। আমার নিজের কাছেই কেমন জানি লাগছে। নিজের ভিতর থেকে কেমন নেগেটিভ নেগেটিভ ফিল আসছে শুধু। এখন খেয়াল করলাম আমার পুরো শরীরের মধ্য দিয়ে ডান পাশে সাদা ধোয়া উড়ছে বাম পাশে কালো ধোয়া উড়ছে। একটা আয়না ছিলো রুমের মধ্যে। আমি সেখানে তাকালাম। আমার ডান চোখটা দিয়ে সাদা আলো বের হচ্ছে, এবং বাম চোখ দিয়ে কালে ধোয়া বের হচ্ছে। আমি আমার ডানা বের করলাম। ডানা গুলো দেখে তো আমি অবাক, পুরো বারোটা ডানা হয়েছে আমার পিঠে। কোথা কোথা থেকে বের হয়েছে সেটাই বুঝতে পারছি না। আমার ডান পাশের ডানা গুলো সাদা, আর বাম পাশের ডানা গুলো এবার কালো। আমি বুঝতে পারলাম আমার এক সাইড এন্জেল, আর এক সাইড ডেভিলের। কিন্তু সেই সাথে আমি একজন হাফ ডিম্যান, আবার এনার রক্ত খাওয়ার ফলে আমি এখন ভ্যাম্পায়ার। ব্যাপারটা বেশ ধারালো মনে হচ্ছে। আমার দুই দিক দিয়ে দুই ধরনের ধোয়া বের হচ্ছে। আমি আমার চোখ বন্ধ করলাম। পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ডকে আমি ফিল করতে পারছি। মনে হচ্ছে পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ড আর আমি একই শরীরের। যাইহোক বাইরে থেকে আমার চার জেনারেল ভিতরে আসার অনুমতি চেয়ে ভিতরে আসলো,
.
–মাই কিং আপনার সিংহাসন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি বসে শাসন শুরু করুন।(সবাই একসাথে)
।।।
।।।
আমিও আমার নরমাল ফর্মে চলে আসলাম। এতোক্ষন আমি আমার মনস্টার ফর্মে ছিলাম। অন্য ডেভিল কিংরা এটাকে বলতো ডেভিল কিং ফর্ম। কিন্তু আমি বলবো এটা এন্জেল ডেভিল কিং ফর্ম। যায়হোক আমার এইরকম ফর্ম থেকে অনেক অবাক হয়েছে জেনারেল চারজন। কারন আগে কখনো কোনো ডেভিল কিং এন্জেল আর ডেভিলের পাওয়ারের এক মিশ্রন ছিলো না যেমনটা আমি। আমি সোজা টেলিপোর্ট হয়ে জেনারেল চারজনকে সহ সিংহাসন রুমে নিয়ে আসলাম। এখানে আসার পর সিংহাসন রুমে থাকা সবাই আমাকে কুর্নিশ করলো। আমি গিয়ে সোজা সিংহাসনে বসলাম। পুরো পুরো ডেভিল কিং হয়ে যাওয়ায় এখন আমার কাছে ডেভিল কিং এর সমস্ত জ্ঞান চলে আসলো। সব কিছু আমার রেগুলার মেমোরীর ভিতরে রয়েছে। যার জন্য মনে হয় এগুলো আমি কোথা থেকে বইয়ের সাহায্যে পড়েছি।
।।।
।।।
যেহেতু আমি ডেভিল কিং হয়েছি তাই এখন আমার প্রথম কাজ হলো থরের সাহায্য করা। যেহেতু থর আমাকে বলেছে তার আমার সৈন্য প্রয়োজন। তাই থরকে সাহায্য আমার করতেই হবে। আমি সিংহাসনে রাজার মতোই বসে আছি। তখন জেনারেল লুসেফার বলতে লাগলো,
.
–মাই কিং ড্রিম ওয়ার্ল্ডের পুরো জনসংখ্যাকে লোকি ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে শুধু প্রিন্সেস লুসানা আর রানী লুসি দ্যা ফেইরী জীবিত ফিরেছে। তারা আমাদের প্রাসাদেই আছেন।(লুসেফার)
.
–কি? তাহলে সেটা স্বপ্ন ছিলো না? যাক কোনো সমস্যা নাই। আমার সৈন্যও এখন তাদের পুরো শক্তি ফিরে পেয়েছে।(আমি)
.
–মাই কিং আমাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেও দুঃখের খবর এই যে আমাদের সৈন্য সংখ্যা লোকির থেকে কম হবে। লোকির কাছে এখন এজগার্ডের সৈন্য আছে, আর সকল ডার্ক এল্ফস গুলোও লোকির সাথে, আর ড্রাগনিয়ার বর্তমান রাজার সাথে লোকি পার্টনারশীপ করেছে। ওদের কাছে আমাদের সৈন্য অনেক কম। আমারা যদি এখন realms war এ যায় তাহলে আমাদের সৈন্য সংখ্যা প্রয়োজন।(অর্নিজ)
.
–হুমমমম। সেটা সত্য। সপটার জন্য লোকি যেটা করছে সেটা আমাদের ও করতে হবে। ভালো করে বুঝিয়ে হোক আর ভয় দেখিয়েই হোক বাকি সকল দুনিয়া, শুধু মানুষদের দুনিয়া বাদে সবাইকে আমাদের সাইডে করতে হবে।(আমি)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি সিংহাসনে বসে আছি, আর এদিকে আমার জেনারেল চারজন জিজ্ঞেস করতে লাগলো,
.
–মাই কিং এখন আমাদের কি করতে হবে?(লুসেফার)
.
–প্রথমেই আমাদের সৈন্য সংখ্যা বারাতে হবে। যেহেতু লোকির কাছে ড্রাগন সেনা আছে, তাই আমাদের একটা ড্রাগনকে হারাতে কমপক্ষে বিশজন সৈন্যের প্রয়োজন হবে। আর তাছাড়াও লোকির কাছে এজগার্ডের সেনা যারা কোনো কিছুকেই ভয় করে না। অন্যদিকে আবার ডার্ক এল্ফস গুলোও লোকির সাথে তাই আমাদের সৈন্য সংখ্যা বারাতে হবে নাহলে আমরা তাদের কাছে নগন্য থাকবো।(আমি)
.
–মাই কিং আপনার হুকুমের জন্য আমরা প্রস্তুত।(চার জেনারেল)
.
–লুসেফার মনস্টার দুনিয়ায় খবর পাঠাও। ডেভিল কিং এর পাচঁ রাজ্যের সকল সেনা প্রয়োজন, যদি কেউ সেনা দিতে মানা করে তাহলে তাদের জানিয়ে দাও প্রথম যুদ্ধ ডেভিল কিং এর সাথে তাদেরই হবে।(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং। আমি এখনি যাচ্ছি আপনার খবরটা দিতে।(লুসেফার)
।।।
।।।
লুসেফার সাথে সাথে টেলিপোর্ট হয়ে চলে গেলো। আমার পুরো ক্ষমতা হওয়ার ফলে আমার চার জেনারেল সহ সকল ডেভিলদের পাওয়ার সম্পূর্ন হয়েছে। এখন তারাও সব ধরনের ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারে। যদিও টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহারের জন্য তাদের আমার আদেশের প্রয়োজন পরবে। যদি আমি তাদের অনুমতি না দি তাহলে কেউই এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ছেড়ে যেতে পারবে না। যাক লুসেফার যাক লুসেফারের কাজে। আমি এই সুযোগে একটু স্বপ্নের রানীকে দেখে আসি৷ অর্নিজ আমাকে জানালো অনেক গুরুতর আহত হয়েছে। লোকি তাকে মেরেই ফেলতো কিন্তু শেষমেষ তার বোন লুসানা তাকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে আন্ডারওয়ার্ল্ডে। আমি তো জানতাম আন্ডারওয়ার্ল্ডে কেউ বাইরে থেকে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু আমার জানা এখন ভুল প্রমানিত হলো, শুধু স্বপ্নের রানী নয় বরং লোকি ও এজগার্ডের বাইফ্রোস্ট এর সাহায্যে এখানে আসতে পারবে। টেলিপোর্ট স্পেলটা কাজ করে একবার যে জায়গায় যাওয়া হয়েছে সেখানে যেতে। কিন্তু এমন কোনো জায়গা যেখানে কেউ কখনো যায় নি পূর্বে সেখানে যাওয়ার জন্য টেলিপোর্ট স্পেল কাজ করবে না। কিন্তু এজগার্ডের কাছে সেটারও উপায় আছে। এজগার্ডের রাজা ছাড়া কেউ তেমন ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারে না। তাদের সৈন্যদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়ার জন্য তাদের কাছে হাইমডাল নামের একজন ভাইকিং আছে। সে তার তলোয়ার হোফান্ডের সাহায্যে বাইফ্রোস্ট নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এবং বাইফ্রোস্টের সাহায্যে এজগার্ডের সবাই যেকোনো জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু একটা আজব করার বিষয়। লোকি হাইমডালের সাহায্যে আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করতে পারবে, কিন্তু কখনো স্বপ্নের দুনিয়ায় হাইমডালের সাহায্যে প্রবেশ করতে পারবে না। কারন হোফান্ডের ও কিছু লিমিট আছে। হাইমডাল মূলত হোফান্ডকে হাতে নিলে এই পুরো দশ দুনিয়ার সবকিছু দেখতে ও শুনতে পারলেও স্বপ্নের দুনিয়াতে তার ক্ষমতা কাজ করে না। সে স্বপ্নের দুনিয়ার কিছু দেখতে পারে না। আমি এখন বুঝেছি লোকি হাইমডালের সাহায্যে আমার খোজ খবর রেখেছে সব সময়। আর এখনো হাইমডাল আমাকে দেখছে মনে হয়। হঠাৎ আমার কানে একটা আওয়াজ আসলো,
.
–আপনি ঠিক ধরেছেন। আমি হাইমডাল। আমি এখনো আপনাকে দেখছি, শুনতে পারছি।(হাইমডাল)
.
–আমি মনে মনে যেটা ভাবছিলাম। তো হাইমডাল হঠাৎ আমার সাথে যোগাযোগের কারন কি?(আমি)
.
–প্রিন্স থর আপনার আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করতে চাই। আপনি তার জন্য দরজা খুলে দিন।(হাইমডাল)
.
–আপনি না লোকির সাইডে। তাহলে?(আমি)
.
–আমি এখানে কারো সাইডে না। আমি এজগার্ডের সিংহাসনের উপরে যে থাকবে তার প্রতি লয়েল। এই কাহিনী মাঝে মাঝেই হয়। কিন্তু এবার প্রিন্স লোকি একটু বেশি ভয়ানক প্লান করে রেখেছে। তাই আমার কর্তব্য যেটা ছিলো সেটা আমি পালন করছি।(হাইমডাল)
.
–আচ্ছা আপনি একটা কথা বলেন তো আমাকে? আমরা সবাই যখন বাথরুমে গোসল করি, কিংবা টয়লেটে যায়, আপনি কি সেটাও দেখতে পান?(আমি)
.
–কখনো সেভাবে কাউকে দেখি নি। তবে সঠিক উত্তর বলতে গেলে, আমি সব কিছুই দেখতে পারি, তবে সমস্যা হলো আমি এক সময়ে এক জিনিস দেখতে পারি। তাই ঔসব জিনিস দেখার আমার সময় নেই। আমাকে এই পুরো দশ দুনিয়ার মধ্যে লক্ষ করতে হয় কোথাও এজগার্ডের সাহায্য প্রয়োজন পরবে কিনা।(হাইমডাল)
।।।
।।।
হুমমম এমন পাওয়ার থাকলে একজন মানুষ নিশ্চয়ই চেষ্টা করবে ঘরে বসে পাশের বাড়ি উকি দিতে। তবে সমস্যা নাই এমন পাওয়ার আমার নাই। তাই কেউ আমাকে লুইচ্চা ডেভিল কিং বলবে না। আমি সিংহাসন থেকে উঠে অনেকক্ষন আগেই হাটতে লাগলাম। স্বপ্নের দুনিয়াতে মনে হয় একদিন ও কাটছিলো না কিন্তু এখানে বিশ দিন কেটে গেছে। এখনো পর্যন্ত জেসির সাথে কথা বলতে পারি নি। তার উপর আবার এনার সাথেও আমার দেখা হয় নি। যেহেতু আমি ডেভিল কিং হয়েছি তাই এখন এনাকেও আমি এখানে নিয়ে আসতে পারবো। অবশ্য এখন আমার হুকুমে কেউ আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করলে শ্বাসের কষ্টে পরবে না।
।।।
।।।
আমি হলরুম দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। তখনি জেসি পিছন থেকে আমাকে ডাক দিলো। আমি থামলাম। দুজনে কথা বলতে বলতে আগাতে লাগলাম।
.
–তোর সাথে বেশ কিছুদিন ধরে কথা বলতে পারছি না।(জেসি)
.
–আমিও। সব কিছু এতো তারাতারি হয়ে যাবে আমি খেয়াল করি নি।(আমি)
.
–হ্যা। আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না আমি ডেভিল কিং এর আপন বোন।(জেসি)
.
–কি হয়েছে তোকে অনেক উদাস লাগছে। হ্যারি কিছু বলেছে?(আমি)
.
–ও তো ট্রেনিং এ আছে। আসলে সমস্যা হলো, আমার ভয় করছে তোকে নিয়ে।(জেসি)
.
–আমাকে নিয়ে ভয় করছে? পাগলি মেয়ে আমার কিছুই হবে না।(আমি)
.
–এখন তুই ডেভিল কিং হয়ে গেছিস। তোর আশপাশ দিয়ে অনেক মারাত্মক লেভেলের একটা কালো ছায়া ঘুরে বেরায় যেটা আসে পাশের সবার ভয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে। এই ছায়ার স্পর্শে কোনো সাধারন মানুষ, এমনকি সাধারন মনস্টার আসলে মারা যেতে পারে। তার উপর ডেভিল কিং দের কাজই সব কিছু ধ্বংস করা।(জেসি)
.
–যদি কখনো আমি আমার হুস জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তুই আমার বোন হয়ে দুটো কাজ করবি। এক হলো আমাকে মেরে ফেলবি।(আমি)
.
–…..(জেসি পুরো চমকে উঠলো)
.
–দুই, আমার পুরো মেমোরী মুছে ফেলার চেষ্টা করবি। যেকোনো একটা করবি যদি আমি কখনো আমার নিজের জ্ঞান হারিয়ে পুরো ডেভিল কিং হয়ে যায় তাহলে।(আমি)
.
–কিভাবে এটা তুই মেনে নিতেছোস? কেউ কি সবার অভিশাপ হয়ে থাকতে চাই চিরকাল?(জেসি)
.
–একদিন একটা সময় আসবে দেখিস, যেদিন সবাই ডেভিল কিং কে ভয় করবে না, বরং ভালোবাসবে।(আমি একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে জেসির মাথায় হাত বুলিয়ে লুসির সাথে দেখা করতে গেলাম)
।।।
।।।
কিন্তু লুসি এবং লুসানা দুজনেই বেশ আহত। তবে রানীর অবস্থা বেশী গুরুতর। আমাদের চিকিৎকরা ম্যাজিকের ব্যবহার করছে কিন্তু তাতে বেশী কাজ হচ্ছে না। আমাকে দেখে সবাই কুর্নিশ করলো,
.
–মাই কিং আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি কিন্তু তারপর ও আমাদের ম্যাজিক এতো গুরুতর আঘাত হিল করতে পারছে না। দুই তিন দিনের মধ্যে রানীর চিকিৎসা না করলে হয়তো মারা যাবেন তিনি। আমাদের ক্ষমা করবেন মাই কিং। আমরা আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী হিলার হওয়ার পর ও কিছু করতে পারছি না।(একজন চিকিৎসক)
.
–ওকে সমস্যা নাই আমি কিছু একটা ব্যবস্থা করে নিবো।(আমি)
।।।
।।।
আমি রুম থেকে বের হলাম। একজন রাজা হওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। সব কিছু নিজের দেখতে হবে। আমি আবার সিংহাসনে এসে বসলাম।
.
–মাই কিং। আপনাকে অনেক চিন্তিত মনে হচ্ছে।(অর্নিজ)
.
–স্বপ্নের দুনিয়ার রানী লুসি দ্যা ফেইরীর চিকিৎসা করতে ব্যর্থ আমাদের চিকিৎসক। সে বললো দুই তিন দিন বাঁচতে পারবে এই অবস্থায়।(আমি)
.
–তাকে উন্নত হিলার এর চিকিৎসা প্রয়োজন মাই কিং।(লুইস)
.
–ভালো হিলার পাবো কোথায়?(আমি)
.
–মাই কিং আমি বলবো রানীর এই অবস্থায় আমাদের আলফাইম এর লাইট এল্ফসদের সাহায্য প্রয়োজন। আমাদের হিলার যদি কিছু না করতে পারে, তাহলে মনস্টার দুনিয়ার কেউই কিছু করতে পারবে না। আমাদের এল্ফসদের সাহায্য প্রয়োজন। তাদের ম্যাজিকাল ক্ষমতা অনেকটা বেশী, বিশেষ করে তাদের হিলার গুলো অনেক উন্নত আমাদের থেকে।(কর্ডিজ)
.
–ঠিক আছে তাহলে আলফাইম যেতে হবে। কিন্তু প্রথমে লুসেফার আসুক।(আমি)
।।।
।।।
আমি বলতে বলতে লুসেফার টেলিপোর্ট হয়ে আসলো,
.
–মাই কিং পাঁচ রাজ্যকে আমি জানিয়েছি আপনার সংবাদ তারা আমার সামনে কিছু না বললেও আমার মনে হয় তারা মনে মনে এটার প্রতিবাদ করেছে।(লুসেফার)
.
–মনের খবর নিয়ে কোনো একশন নেওয়া যাবে না আমাদের। সিওর হয়ে বলতে হবে তারা আমাদের প্রতিবাদ করবে নাকি আমাদের সাহায্য করবে।(আমি)
.
–আমি আসার পূর্বে আমার গুপ্তচর সেখানে রেখে এসেছিলাম। তারা খবর দিয়েছে পাঁচ রাজ্যের রাজারা একটা মিটিং এ বসেছে। হয়তো সেখানে তারা ডিসিশন নিবে কি করবে।(লুসেফার)
.
–ঠিক আছে। আমি যাচ্ছি তাদের মিটিং এ তাদের সাথে দেখা করতে।(আমি)
.
–কিন্তু মাই কিং, আপনি একা যাবেন? আমাদের কাউকে সাথে নিয়ে যান।(লুসেফার)
.
–না সেটার দরকার নাই। কর্ডিজ আর লুইস আমি তোমাদের জন্য একটা কাজ দিচ্ছি।(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং, আদেশ করুন।(লুইস)
.
–আমি এখনো আলফাইমে যায় নি, তাই আমি সেখানে একা যেতে পারবো না। আমি ফেরত আসার পর আমাকে তোমরা দুজন নিয়ে যাবে সেখানে। এবং অর্নিজ আর লুসেফার তোমাদের দুজনের কাজ থাকবে থরকে লংস্টার থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডে নিয়ে আসা।(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং।(সব জেনারেল)
।।।
।।।
আমি টেলিপোর্ট স্পেল ব্যবহার করলাম। আমাদের টেলিপোর্ট পিলার বা পোর্টালের প্রয়োজন পরে না। কিন্তু অন্য মনস্টারদের সেটার প্রয়োজন পরে। লুসেফার এর কাছে থেকে শুনেছি মিটিংটা লংস্টারে হচ্ছে। যেহেতু আমি লংস্টারে একবার গিয়েছি তাই আমি টেলিপোর্ট হয়ে সোজা সেখানে যেতে পারবো।
।।।
।।।
আমি লংস্টারে টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসলাম। টেলিপোর্টেশন স্পেল এর জবাব হয় না। স্পেল ব্যবহার করার সময় আমার মাথায় কেনো জানি এনার চেহারা ভেসে আসলো। আর আমি ঠিক এনার কোলেই এসে টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম। এনা আমাকে হঠাৎ ওর কোলে দেখতে পেয়ে অবাক এবং ভয় দুটোই পেলো, আমিও একটু নজর ঘুরিয়ে দেখলাম এখানে রাউন্ড টেবিল বসেছে পাঁচ রাজ্য নিয়ে। আর সকল রাজা, প্রিন্স, প্রিন্সেস এখানে বসে আছে। আর আমি তাদের সবার মাঝে সেরকম একটা এন্ট্রি দিলাম। আমিও কিছুটা লজ্জা পেলাম। তারপরও এনার কপালে একটা কিস করে আমি রাউন্ড টেবিলের মাঝখানে দাড়ালাম। এখানে সবাই আমাকে ঠিক মতো দেখতে পারবে। এবার আমার ডায়লগ গুলো মারতে হবে। সবাই এমনিতেই আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে। আমার কালো ছায়া আসলেই সবাইকে কাবু করে ফেলছে। অবশ্য জিনিসটা আমি নিয়ন্ত্রন করতেও পারি। তাই আপাতোতো আমি আমার ডেভিল সাইডের কালো ছায়াটা কমিয়ে দিলাম। মূলত এটা হয় নেগেটিভ ইমোশনের মাধ্যমে। মনে যত নেগেটিভ ইমোশন থাকবে আমার ডেভিল সাইড ততো শক্তিশালী হবে এন্জেল সাইড থেকে। কিন্তু নেগেটিভ ইমোশন গুলো নিয়ন্ত্রন করলেই দুই সাইডে ব্যালেন্স চলে আসবে। তখন আমার কোনো সাইড দিয়ে কোনো ছায়া বের হবে না। আবার আমার মনস্টার ফর্মে ছায়াগুলো আগুনের শিখার মতো বের হতে থাকবে সারা শরীর থেকে। যায় হোক আমি এদের ভয় দেখাতে আসি নি। একটু কথা বলতে আসছি। আর এনা তো এখানেই আছে। ওকে আমার সাথে করে নিয়ে যাওয়া যাবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২৫
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমার এন্ট্রিতে সবাই অনেকটা ভয়ে আসে। সবাই ভয়ে ঢোক গিলতে লাগলো,
.
–আমি এখানে এসেছি কেনো তা হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আমি কাউকে জোর করছি না। আপনারা আপনাদের নিজ ইচ্ছা এখন আমাকে জানাতে পারেন। কিন্তু আমি বলে রাখি একটা কথা। যদি আপনারা এখন আমার রাজ্যের অংশ না হতে চান তাহলে লোকির সাথে যুদ্ধে পরে আপনাদের যুদ্ধ ডেভিল কিং এর সাথে হবে।(আমি)
.
–কিন্তু জেনারেল লুসেফার তো আমাদের জানালেন আপনার আমাদের রাজ্যের প্রতি কোনো লোভ নেই, শুধু আপনি আমাদের সেনা চাচ্ছেন যুদ্ধের জন্য। তাহলে এখন আবার আপনার রাজ্যের অংশ হতে বলছেন কেনো?(সি জার রাজ্যের রাজা বলে উঠলেন)
.
–ও তাহলে লুসেফার সেটা বলেছে। হ্যা ঠিকই বলেছে লুসেফার৷ আমার এই মনস্টার দুনিয়ার কোনো রাজ্যের প্রতিই কোনো লোভ নেই৷ তবে এমন নয় যে আমি এটাকে এভাবে ফেলে দিবো, আচ্ছা সেটার কথা বাদ দিলাম। সেটা যুদ্ধের পরে শান্তি মতো আলোচনা করা যাবে৷ কিন্তু তার আগের কথা আমরা আলোচনা করি। লোকির সেনার মধ্যে আপাতোতো ড্রাগোনিয়া দুনিয়ার ফায়ার ড্রাগনরা রয়েছে। আমাদের আন্ডারওয়ার্ল্ড সেনার জন্য তাদের সেটা একটু বেশী হয়ে যায়। তাছাড়া তাদের প্রধান সেনার মধ্যে যোগ দিয়েছে স্যয়ারতালফাইম এর ডার্ক এল্ফস। ডার্ক এল্ফসদের রাজা ম্যালিকিত লোকির মতোই শক্তিশালী। কিন্তু এই যুদ্ধে সে যোগ দিবে না। আমার মনে হয় সে ভবিষ্যত এর চিন্তা করছে। যাইহোক লোকি আমাদের আন্ডারওয়ার্ল্ডে আক্রমন করলে মনস্টার দুনিয়া ও শেষ হয়ে যাবে। তাই আমি মনস্টার দুনিয়ার সবার সহযোগিতা কামনা করছি।(আমি কথাগুলো আমার মনস্টার ফর্মে ট্রান্সফার হয়ে বললাম)
।।।
।।।
মনস্টার ফর্মে কথাগুলো বলার কারন হলো এতে তারা ব্যাপারটা সিরিয়াসলি ভাবে নিবে। যাইহোক কেউ কোনো কথা বলছে না। সবাই নিজের নিজের জীবনের ভয়ে আছে। তাদের ভাবনা হাইমডালের মতো পড়তে পারলে কাজে দিতো এই সময়ে। জানি না হয়তো আন্ডারওয়ার্ল্ডে থাকলে আমি জানতে পারতাম আদৌও কি আমি পড়তে পারবো অন্য কারো মনের কথা। এবার আমার ছায়ার মধ্য থেকে আমাদের ভি রু দা বেরিয়ে আসলো। একে তো সবাই আমার ডেভিল কিং এর রূপ দেখে ভয়ে আছে, আবার ইগড্রাসিলের বাচ্চা রূপ দেখতে পেলো,
.
–জ্যাকসন লোকি তো শুধু নতুন ফায়ার কিং কে হাত করেছে। তুমি চাইলে আমি বাকি পাঁচ রাজার সাথে কথা বলবো, বিশেষ করে ওয়াটার এবং আর্থ কিং আমার সাহায্য করবে যদি আমি সেখানে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলি।(ভিরু)
.
–না আপাতোতো তোমাকে ড্রাগোনিয়াতে যেতে হবে না৷ তুমি সেখানে যাও না কয়েকশত বছর যাবৎ। বলা যায় না তারা হয়তো পাল্টে গেছে এখন। আর এখন তোমার সেখানে নয় বরং আমার সাথে প্রয়োজন।(আমি)
.
–কিন্তু আমি আর তোমার ছায়ার মধ্যে থাকতে পারবো না। ভিতরের কালো ধোয়া গুলো আমাকে মেরে ফেলতে চাই।(ভিরু)
.
–হ্যা ঠিক আছে। আর ভিতরে থাকতে হবে না। তো আপনাদের মনে হয় না আর এই ব্যাপারে কোনো কথা আছে। আপাতোতো আমি পাঁচ রাজ্য চাই না। আপনাদের মধ্য থেকে আমি একটা রাজা বা রানী যায় আমাকে দিবেন সেটাই চলবে, মনস্টার দুনিয়ার সকল মনস্টার হোক সে সৈনিক কিংবা হান্টার সবাইকে এই যুদ্ধের জন্য আপনাদের মধ্য থেকে একজন নিয়ন্ত্রন করবে। এখন সেটা কে হবে আপনারাই ভেবে বলুন।(আমি)
।।।
।।।
কেউই ভয়ে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। এমনিতেই আমার কালো ছায়া নেগেটিভ ভাবার জন্য বেরে গেছে আবার। আর সেটার জন্য অনেকের ভালো করে শ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছে। জানি না আমার কালো ছায়া এতোটাও ভয়ানক হবে। যায় হোক কেউই রাজি হচ্ছিলো না। হঠাৎ তখনি একজন হাত তুললো। আমি তো পুরো অবাক। এনা হাত তুলবে আমি সেটা কখনো ভাবি নি। আমি তো ভেবেছিলাম রানী কর্ডিলা আমার সৎভাই এর হাত তুলে ধরবে। কিন্তু রানী কর্ডিলার এমনিতেই অবস্থা কাহিল। একজন সাকুবিচ্ এর মনে হয় শক্তিশালী কোনো মনস্টারকে দেখলে এমনি হয়। যাক তার কি হয়েছে সেটা বড়রা বুঝে নিয়ো।
.
–কেউ রাজি না পুরো মনস্টার দুনিয়ার সেনাকে নিয়ন্ত্রন করতে, কারন তাদের মনে ভয় আছে কোনো ভুল হলে এমনিতেই ডেভিল কিং তার জীবন নিয়ে নিবে।(এনা)
.
–তো তুমি হাত তুললে কেনো? ডেভিল কিং তোমাকে ভালোবাসে, এজন্য তোমাকে কিছু করবে না এজন্য?(আমি)
.
–না, একজন প্রিন্সেস হিসাবে আমার কর্তব্য আমার রাজ্যের মানুষের যখন আমার প্রয়োজন তখন আমি তাদের পাশে দাড়ায়। আর এখন তো তাদের উপর চারিদিক দিয়ে বিপদ। এক দিকে এজগার্ডের নতুন রাজা লোকি আর এক দিকে নতুন ডেভিল কিং। এখন এসবের ভয়ে আমার বাবা রাজা কোয়াডার্ট, আমার ভাই প্রিন্স এলেক্স এরা কেউ ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। সেখানে একজন প্রিন্সেস হয়ে আমাকেই কিছু বলতে হবে।(এনা)
.
–বাহ বাহ, আমি খুব ইমপ্রেসড হয়েছি প্রিন্সেস এনা। যাইহোক আপনাকে কি রানী হিসাবে মানতে এখানে কারে সমস্যা আছে? যদি সমস্যা থাকে তাহলেও সমস্যা নাই। প্রিন্সেস এনা আমি ডেভিল কিং জ্যাকসন সাটান (সাটান ডেভিল কিং দের উপাধী নাম একটা) তোমাকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই পুরো মনস্টার দুনিয়ার রানী বানাচ্ছি। এখন থেকে পুরো পাঁচ রাজ্যের যত মনস্টার আছে আপনি তাদের থেকে যারা লড়তে পারে তাদের পুরো একটা সৈন্য একজন জেনারেল সহ আমাকে দিবেন।(আমি)
.
–একজন জেনারেল?(এনা)
.
–হ্যা আমার পঞ্চম জেনারেল হ্যারি অদ্রি আর আপনার দেওয়া একটা জেনারেল দুজন মিলে পুরো মনস্টার দুনিয়ার সেনা নিয়ন্ত্রন করবে।(আমি)
.
–হ্যা ঠিক আছে। আমরা আপনার সব শর্তে রাজি আপাতোতো। কিন্তু আমাদেরও কিছু শর্ত আছে।(এনা)
.
–কি সেগুলো?(আমি)
.
–প্রথমত আপনি আন্ডারওয়ার্ল্ড শাসন করবেন। আমাদের সাথে কোনো রকম যুদ্ধে আসবেন না। দ্বিতীয়ত আপনার আন্ডারওয়ার্ল্ড এর সাথে আমাদের রাজ্যের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক থাকবে। যখন যার যেটা প্রয়োজন হবে সেটা দিয়ে একে অপরকে সাহায্য করবো, তৃতীয়ত আপনার আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশের ব্যবস্থা সবার জন্য করে দিতে হবে।(এনা)
.
–ঠিক আছে আমি আপনার এই শর্তে রাজি।(আমি)
.
–যদি কখনো আপনি আপনার শর্ত ভেঙে ভেলেন?(এনা)
.
–সেটা হবে না কখনো। আমার মধ্যে শুধু ডেভিলের রক্ত নেই। এন্জেলের রক্তও বয়ছে। আর এন্জেলরা কখনো মিথ্যা কথা বলে না।(আমি)
.
–তাহলে আমরা যুদ্ধের জন্য আপনার সহায়তা করতে রাজি। কিন্তু আমাদের সেনাদের নিজের সেনা ভাবতে পারবেন না? পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরা নিজেরাই নিজের ইচ্ছায় ফেরত আসতে পারবো।(এনা)
.
–এটা কিভাবে হয়? যদি আপনারা নিজ ইচ্ছায় যুদ্ধের আগেই ফেরত চলে যান তখন?(আমি)
.
–আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি সেটা হবে না। বরং আমরা যুদ্ধের ময়দানে আপনাদের পাশেই বন্ধু হয়ে লড়বো।(এনা)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু তারপরও হ্যারি আপনাদের সেনার প্রথম জেনারেল থাকবে। মেনে নিন আর নিন সেটা।(আমি)
.
–ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের জেনারেলের আদেশ ছাড়া আপনার জেনারেল কোনো আদেশই দিতে পারবে না।(এনা)
.
–ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
আমি কিছুই বলতে পারলাম না। এমনিতেও এনা যখন সিরিয়াস হয়ে কথা বলছিলো আমি শুধু তাকিয়েই ছিলাম। ওর কোনো কথায় না বলার ক্ষমতা পেলাম না৷ এক হিসাবে ভাবতে গেলে একজন স্ত্রী তার স্বামীকে যেভাবে শাসন করে ঠিক তেমনই মনে হচ্ছিলো। আমি তো মনে মনে ভেবে নিয়েছিলাম, এই সুযোগে আমি অনেকগুলো শর্ত তাদের উপরে দিয়ে দিবো যাতে তাদের রাজারা এমনিতেই পুরো রাজ্য আমাকে দিয়ে দেয়। হ্যা অবশ্য এতোক্ষনের নেগেটিভ চিন্তা আমার এটাই ছিলো। কিন্তু এনা যে রানী হওয়ার জন্য রাজি হবে সেটা জানে কে? এখানে এলেক্স কিংবা কহিলকে আমি ভেবে নিয়েছিলাম। পুরো নেগেটিভ চিন্তা এখন শেষ হয়ে গেলো। যেহেতু আমি এখন এনাকে নিয়ে ভাবতে ছিলাম। জানি না হঠাৎ আমার এন্জেল সাইড জ্বলতে লাগলো, ডান সাইড দিয়ে এবার সাদা ধোয়া বের হতে লাগলো। এই ধোয়াটা একদমই কালোর থেকে বিপরীত। এটাই আশেপাশের সবাই এবার আরাম অনুভব করতে লাগলো।
.
–তো আমি জানি না আপনারা এখন কি করবেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে আপনাদের কাছে জেনারেল হ্যারি অদ্রি আসবে, তখনি বুঝে নিবেন যুদ্ধে যেতে হবে। তাই সৈন্য রেডি রাখুন।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি আর কিছু বললাম না। এনাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম আন্ডারওয়ার্ল্ডে। কিন্তু এখন যা হলো তাতে বুঝতে পারলাম এনার ঘাড়ে অনেক বড় কর্তব্য চলে গেছে। আর আমি এনার সাথে এখন কথা বললেও ও কথা বলবে না আমার সাথে। তাই আমি সময় নষ্ট করলাম না। এমনিও জানি এনা আমার উপরে রেগে আছে। ওর রাগ ভাঙাতে হবে এই যুদ্ধ শেষ হলে। আপাতোতো আমি টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করে আমার সিংহাসনের রুমে চলে আসলাম। আমার চার জেনারেলের মধ্যে কর্ডিজ আর লুইস দাড়িয়ে আছে। মূলত তাদেরকে আমি আমাকে আলফাইমে নিয়ে যেতে বলেছি কারন টেলিপোর্টেশন স্পেল কাজ করে শুধু যে জায়গায় আমি গিয়েছি। আলফাইমে কখনো আমি যায় নি। তাই টেলিপোর্টেশন স্পেলের মাধ্যমে আমি সেখানে কখনো যেতে পারবো না। কিন্তু আমার চার জেনারেল আগের ডেভিল কিং এর জেনারেল থাকার ফলে তারা দশ দুনিয়ার মধ্যে নয় দুনিয়ায় ঘুরেছে। তবে তারা একবার আমাকে সেখানে নিয়ে গেলে তারপর থেকে আমি একাই যেতে পারবো সেখানে।
।।।
।।।
লুইস ব্যবহার করলো টেলিপোর্টেশন স্পেল। দেখতে দেখতেই আমরা আলফাইম এর প্রাসাদের একটা বিশাল বেলকনিতে এসে দাড়ালাম। কিন্তু সমস্যা হলো চারিদিক থেকে আমাদেরকে সৈনিক ঘিরে ধরলো৷ তাদের হাতে শুধু ধনুক আর তীর। ধনুক আর তীর গুলো ম্যাজিক দিয়ে বানানো তাই সেগুলো সব সময় বহন করতে হয় না। আমি শুনেছি এল্ফসরা ম্যাজিকের দিক দিয়ে মনস্টারদের থেকে অনেক উন্নত। তারা সব ধরনের স্পেলই ব্যবহার করতে সক্ষম। কিন্তু সমস্যা হলো তাদের রাজা সব স্পেল ব্যবহার করতে দেয় না তাদের। যাইহোক আমি এতোক্ষন এল্ফসদের নিয়ে যা ভাবছিলাম তারা ঠিক তেমনি। তাদের শরীর দেখতে মানুষের শরীরের মতো মনে হলেও পার্থক্য শুধু তাদের কানে। তাদের কান অনেকটা বড়। যদি তাদের কান ঢেকে রাখা হয় তাহলে তাদের মানুষই মনে হবে। তাদের শারিরীক ক্ষমতা তেমন নেই। তারা ম্যাজিকাল শক্তির সাহায্যেই শক্তিশালী। যাইহোক আমাদের এখানে টেলিপোর্ট হওয়ার ফলে সৈনিকগুলো তীরের নিশানায় রাখলো না শুধু আমাদের। বরং তাদের তীরগুলো আমাদের দিকে ছুরতেও লাগলো।
.
–মাই কিং, আপনার এদের জন্য কিছু করতে হবে না। বরং আমাদের দেখতে দিন ব্যাপারটা।(কর্ডিজ)
।।।
।।।
লুইস আর কর্ডিজ তাদের দশটা ডানা খুলে ফেললো। ডেভিল জেনারেলদেরও দশ ডানা হয়। তবে তাদের ডানা দিয়ে কোনো রকম কালো ছায়া বের হয় না। বরং সেগুলো অনেকটা কালো কবুতর এর ডানার মতো মনে হয়। লুইস আর কর্ডিজ দুজনের ডানার ঝাপটায় সব গুলো তীর দূরে গিয়ে পরলো। আর সেই সাথে সব সৈনিকগুলোও বাতাসের ঝাপটায় দূরে গিয়ে পরলো। অবস্থা ভালো না থাকায় এবার তিনজন এল্ফস আমাদের সামনে টেলিপোর্ট হয়ে আসলো। দেখে অনেকটা রাজকীয় রাজকীয় ভাব মনে হচ্ছে।
.
–ডেভিল কিং, আমি অনেক দুঃখিত আমার সৈন্য আপনাকে চিনতে পারে নি। আমি তাদের হয়ে আপনার কাছে মাফ চাচ্ছি।(মাঝের এল্ফস)
.
–আপনি কে?(আমি)
.
–আমার নাম কুয়ান। আমি এই আলফাইমের রয়েল মিনিস্টার। আপনাকে আমি স্বাগতম জানাচ্ছি আলফাইমে।(কুয়ান)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।