ভ্যাম্পায়ার কুইন পর্ব-৩+৪+৫

0
264

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ০৩
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমাকে মিলিটারি জোনের বাইরে বের হতে হবে, নাহলে আমি আমার পরিবারকে আর দেখতে পারবো না। আমি বুঝতে পারছি না এতো বিশাল জায়গা কিভাবে পার হবো। আমার ব্যাগ ট্যাগ নিয়ে আসাতে অনেক দেরী হয়ে গেছে, আবার আমি একটু আগে জনগনের পায়ের নিচে পরে অনেকটা আহত হয়েছি। আমার শরীর সামনের দিকে চলছে না। কিন্তু আস্তে আস্তে বনের মধ্যে হাটতে হাটতে আমি কোথায় চলে এসেছি সেটা আমি নিজেও জানি না। কিন্তু আমি দিকটা ঠিক রেখে হাটছি এটা সঠিক জানি। জঙ্গলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো দিক ঠিক রাখা। এখানে দিক ভুল করলে এক জায়গা দিয়েই বারবার ঘুরতে হবে। আমি আমার মাথা কাজে লাগালাম। আমার কাছে একটা ম্যাজিকাল লম্বা পাথর আছে। এটা যেকোনো লৌহ জাতীয় বস্তুর সাথে লেগে থাকে। আমি এটার আরেকটা বিষয় লক্ষ করেছি, এটাকে সুতার সাথে বেধে দিলে দক্ষিন এবং উত্তর দিকে দু প্রান্ত গিয়ে থামবে। এটা দ্বারা দিক সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায়। পর্যটকদের ভালোই কাজে দিবে এটা। সে যাইহোক আমি টুকটো পাথরটাকে সুতোই করে বেধে হাটতে লাগলাম। আমার পা কিছুতেই চলছে না। আমি একজন অফিসারের মুখে শুনেছিলাম দক্ষিন দিক দিয়ে ছোট একটা পানির ধারা বয়ে গেছে। আমার এই জায়গা থেকে জীবিত ফিরার জন্য সেই পানির ধারায় প্রয়োজন। আমি কোনো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না। আর শারিরীক ভাবে আমি অনেক দুর্বল। আর বিশেষ করে আমি অনেক আহত হয়েছি। এভাবে আরেকটু হাটতে গেলে হয়তো আমি বেহুস হয়ে যাবো। এতোক্ষনে এক ঘন্টা হয়তো হয়ে গেছে। সময়ের খেয়াল এতোক্ষন ছিলো না আমার। কিন্তু দূরে চিল্লানোর আওয়াজে বুঝে গেলাম এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে। আর মিলিটারিরা এক এক করে সবাইকে মারা শুরু করে দিয়েছে এখন। আমাকে এখন আরো তারাতারি করতে হবে। আমি যতই আমার জীবনের ভয় করছি ততই আমার পা দুটো শক্ত হচ্ছে। নরতেই চাচ্ছে না। মনে হচ্ছে আমি আস্তে আস্তে পাথর হয়ে যাচ্ছি। তারপর ও আমি চেষ্টা করছি। যেভাবেই হোক আমাকে এখান থেকে জীবিত ফিরতে হবে।
।।।
।।।
আমি হাটতে হাটতে পানির ধারার কাছে চলে আসলাম। পানিতে অনেক স্রোত। ছোট একটা ধারা কিন্তু স্রোত অনেক তীব্র। যে কেউ একটু খেয়ালিপনা করলে স্রোতে ভেসে যেতে পারে। এটাই আমার বাচার সবচেয়ে বড় রাস্তা। আমি ম্যাজিকের মাধ্যমে কিংবা শারিরীক শক্তি দিয়ে এখান থেকে বের হতে পারবো না। কিন্তু ঠিকই আমার মাথা ব্যবহার করে এখান থেকে বেরিয়ে যেতে পারবো। এই পানির স্রোতের সাথে গেলেই আমি এই জোন থেকে বের হতে পারবো। আর এটাই সবচেয়ে তারাতারি রাস্তা হবে। কিন্তু এখানেও একটা সমস্যা আছে। আমি সাতার কাটতে পারি না। পানিতে আমি নামতে পারবো না। আর হেটেও আমি যেতে পারবো না। আমি চারপাশে তাকালাম। কিছু বাঁশ গাছ দেখতে পেলাম। এগুলো ভিতরে ফাপা হয়, কিন্তু এদের ত্বক অনেক শক্ত থাকে, আর এগুলো সহজেই পানিতে ভাসতে পারে। এখন শুধু আমাকে এগুলো কয়েকটা কেটে একত্রে বেধে তারপর সেটার উপরে বসে এই পানির উপর দিয়ে ভেসে যেতে হবে। আমি সিওর তিনটা হলেই আমার ভর সহজে নিতে পারবে। কিন্তু সমস্যা হলো আমার কাছে কাটার মতো কিছু নেই। আমি বাঁশ কাটবো কিভাবে বুঝতে পারছি না। হঠাৎ পিছন থেকে আমি কিছু একটার শব্দ পেলাম। একজন দৌড়িয়ে এদিকেই আসছিলো। আমি ভয় পেয়ে গাছের পিছনে গিয়ে লুকালাম। কিন্তু আমার বয়সী একটা ছেলে এদিকে দৌড়িয়ে এসেছে। আমি ছেলেটাকে চিনতে পারলাম না। হয়তো অন্য কোনো একটা ইউনিটের হবে। সে যায়হোক আমি এবার বের হলাম গাছের আড়াল থেকে। ছেলেটা আমাকেও দেখে ভয় পেয়ে গেলো,
.
–আহ;;;; আমি তো প্রথমে ভয় পেয়েই গিয়েছিলাম। তুমি এখানে লুকিয়ে কি করছো? এই জোনের মধ্যে কোথাও লুকানোর মতো জায়গা নেই। মিলিটারিরা তাদের সার্চ ডগ নিয়ে আমাদের খুজছে।(ছেলেটা)
.
–আমি তো এখান থেকে খুব সহজে পালানোর প্লান বানাচ্ছিলাম।(আমি)
.
–এখান থেকে পালানোর কোনো রাস্তা নেই। পুরো মাইলের পর মাইল নিয়ে এই মিলিটারি ট্রেনিং জোন বানানো হয়েছে। এখান থেকে আমাদের বয়সী কেউই বের হতে পারবে না।(ছেলেটা)
.
–এই পানির ধারাটা একটা নদীতে গিয়ে মিশেছে। আর অফিসারদের মতে আমাদের জোনের মধ্যে কোনো নদী নেই। আমি চাচ্ছিলাম এই বাঁশ গুলোর মাধ্যমে ভেসে সোজা নদীতে চলে যেতে।(আমি)
.
–ওয়াও। এটা তো খুব ভালো একটা বুদ্ধি। আমি এরকম বুদ্ধি ভাবতে পারলাম না কেনো, পানির স্রোত দেখে যা মনে হচ্ছে এটার উপর দিয়ে ভেসে গেলে আমরা খুব সহজেই জোনের বাইরে চলে যেতে পারবো। কিন্তু কোনো সৈনিক আমাদের দেখে ফেললে অবশ্যই আমাদের মেরে ফেলবে।(ছেলেটা)
.
–অবশ্য আমি কোনো রকম ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না। পারলে কোনো মিলিটারি আমাদের দেখলেও সমস্যা হতো না। পানিতে সাধারন বায়ুর চাপ সৃষ্টি করতে পারলে এই বাঁশ দিয়ে বানানো পানিযানের স্পিড দশগুন বেরে যাবে।(আমি)
.
–বায়ুর চাপ? কোনো সমস্যা নেই, আমাকে সাথে নাও তোমার যেসব কাজে ম্যাজিক প্রয়োজন আমি সাহায্য করবো।(ছেলেটা)
.
–(আমি তাকিয়ে রইলাম ছেলেটার দিকে, আজ পর্যন্ত যে শুনেছে আমি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না, সকলেই হেসেছে আমার প্রতি। কিন্তু আজ প্রথম কেউ আমাকে সাহায্য করতে চাইলো)
.
–কি হলো। ও আমি তো ভুলেই গেছি। আমার পরিচয়ই তো দেওয়া হলো না। আমার নাম হ্যারি। এবং আমি সাতশো আট থেকে এসেছি। আমার বাবা সাতশো আট নম্বর শহরের মিনিস্টার।(হ্যারি)
।।।
।।।
সাধারনত তিন রাজ্যের অনেক ছোট ছোট শহর রয়েছে। এগুলোকে নম্বর দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ছোট শহরের সংখ্যা অনেক তাই এদের নম্বরই এদের নাম হয়ে গেছে। অবশ্য আমাদের শহর আটশো দুই নম্বর। আবার বেশ কিছু বড় শহর রয়েছে ক্যাপিটাল শহর বাদে। এগুলোর জন্য আমার নির্দিষ্ট নাম রয়েছে। এগুলোতে রাজার রক্তের মানুষেরা পরিচালনা করে। মানে সে শহরগুলোর মিনিস্টার রাজার রক্তের কেউই হতে পারবে। সে যাইহোক আমি হ্যারির সাথে কথা বলতে লাগলাম। হ্যারিই প্রথম একজন যে কিনা আমার উপরে হাসলো না। তাই ওকে আমার বন্ধু বানাতে মন চাচ্ছে এখন। কিন্তু এরকম একটা পরিস্থিতিতে আমরা পরেছি এখানে তেমন কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। যেহেতু হ্যারি আমাকে সাহায্য করবে তাই আমাকে এখন দ্রত মাথা চালাতে হবে।
.
–আমার নাম জ্যাক।(আমি)
.
–ঠিক আছে জ্যাক আজ থেকে আমরা দুজন বন্ধু। আর আমি প্রমিস করছি আমরা দুজন এখান থেকে জীবিত ফিরে বের হবো।(হ্যারি)
.
–হুমমম।(আমার হ্যারির কথা শুনে চোখ দিয়ে পানি আসতে চাইলো। এই প্রথম কেউ আমার সাথে বন্ধু হতে চাইলো বলে)
.
–তো কি করতে হবে আমাকে জ্যাক?(হ্যারি)
.
–আমাদের প্রথমে এই বাশ গুলোকে কাটতে হবে। মোট আটটা টুকরো লাগবে আমাদের। এরপর সেগুলোকে পাশাপাশি রেখে বাধতে হবে।(আমি)
.
–ওকে কাটার কাজটা একদম সহজ।(হ্যারি)
।।।
।।।
হ্যারি ওর এয়ার ম্যাজিক ব্যবহার করলো। একটা স্পেল যেটার নাম হলো এয়ার ব্লেড। এটা দিয়ে যেকোনো জিনিস কাটা সম্ভব। এটা মাধ্যমে আমরা পুরো আটটা বাঁশের টুকরো করলো মাঝারি সাইজের। তারপর সেটাকে পাশাপাশি রেখে বাধার চেষ্টা করলাম। আমি সেরকম কিছুই পারছি না, কিন্তু হ্যারি সব কাজ নিমিষেই করে দিচ্ছে। আমি কিছু পারছি না সেটার জন্য হ্যারি রাগও করছে না বরং হাসি মুখে আমাকে দেখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে করতে হয় সেটা।।। আমরা বাঁশ গুলোকে বাধার পর সেটাকে পানিতে নামালাম। প্রথমে দুজনে দেখে নিলাম আমাদের ভর নিতে পারে কিনা। এরপর আমরা দুজনেই সেটার উপরে উঠে বসলাম। স্রোতে আমাদের অনেক স্পিডে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই স্পিড আমাদের এখান থেকে বের হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। দুইজন সৈনিক আমাদেরকে দেখে ফেললো। তারপর তারা আমাদের উপরে আক্রমন করতে লাগলো। একজনের হাতে ম্যাজিকাল ধনুক আর তীর। আরেকজনের হাতে একটা লাঠি। লাঠিওয়ালা লোকটা তার লাঠি দিয়ে আগুনের গোল গোল বল বানিয়ে আমাদের দিকে মারতে লাগলো, আর ধনুকওয়ালা লোকটা আগুনের তীর আমাদের দিকে মারতে লাগলো। অবশ্য আগুনের বলটা আমাদের স্পর্শ করতে পারে নি হ্যারির জন্য। হ্যারি ওর হাত পানিতে দিয়ে এয়ার প্রেসার সৃষ্টি করতে লাগলো, যার ফলে আমরা আরো স্পিডে যেতে লাগলাম্ কিন্তু ধনুকওয়ালা লোকটার আঘাত থেকে আমরা রক্ষা পেলাম না। দুইটা তীর আমার দিকেই আসতে ছিলো। কিন্তু আমার ধাক্কা দিয়ে বাঁশের উপরে ফেলে দিয়ে হ্যারি আমার সামনে চলে আসে। একটা তীর ঠিক আমার হাতের তালু সহ বাশের মধ্যে গেথে যায়। আরেকটা হ্যারির বুকের মধ্যে। আমি হ্যারির দিকে খেয়াল করলাম না। আমার হাতের যন্ত্রনা এবং রক্ত দেখে আমি আতঙ্কিত হয়ে গেলাম। জোরে চিল্লাতে লাগলাম। হ্যারি কোনো রকম আমার হাতের কাছে এসে আমার তালুতে গাঁথা তীরটা টেনে বের করে দিলো। এরপর আমার উপরে পরে গেলো। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। কি থেকে কি হয়ে গেলো। আমার লাইফে এই প্রথম আমাকে কেউ বন্ধু বানালো, আর সেই বন্ধুই আমাকে বাচাতে গিয়ে নিজে মারা যাচ্ছে। আমি কিছুতেই এটা মানতে পারছি না। কি করবো কিছুই মাথায় আসছে না। বাঁশের স্পিড এতো বেশী ছিলো যে এটা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পানি থেকে উঠে একটা গাছের সাথে বারি খেলো। আর আমরা দুজন ছিৎরে গিয়ে পরলাম দূরে। আমি একটা গাছের সাথে বারি খেলাম। যার জন্য আমার ডান হাতটা ভেঙে গেলো। ব্যথায় আমি কান্না করে দিলাম। অনেক যন্ত্রনা হচ্ছে তারপরও আমি চিল্লাতে পারছি না। ভয় পাচ্ছি অনেক। আমার পাশেই হ্যারির শরীর পরে আছে। এখনো ও মারা যায় নি। ওর শরীর কাপছে। আমি জানি আমাকে কিছু করতে হবে, নাহলে ও মারা যাবে। কিন্তু কি করবো আমি বুঝতে পারছি না। আমি প্রথমে আমার কাপা কাপা হাত দিয়ে ওর পিঠ থেকে তীরটা টেনে বের করে ফেললাম
এবার ওকে চিৎ করে শুইয়ে দিলাম। আমি কোনো চিকিৎসা জানি না। তবে সবচেয়ে সাধারন যে জিনিসটা সেটা হলো প্রথমে রক্ত বন্ধ করা। আমার ডান হাত আমি নারাতে পারছি না। একটা কাপড় আমার ব্যাগ থেকে নিয়ে আমি বাম হাত দিয়ে আস্তে আস্তে ওকে বেধে দিলাম। আমার ডান হাতের তালু দিয়েও রক্ত বের হচ্ছে। কিছু না করলে রক্ত বের হয়ে আমি মারা যাবো। ব্যথায় আমি আর শরীর নারাতে পারছি না। হঠাৎ আমার ব্যাগের দিকে নজর গেলো। আম্মা কিছু বই দিয়েছিলো। এগুলোকে পড়তে বলেছিলো পরে কোনো এক সময়। যেহেতু আমি একটু পরে মারা যাবো, তাই এখনি হয়তো ভালো সময়। চারটা বই মোট। অনেক মোটা বইয়ের আকার। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক কিছু লেখা আছে এই বইগুলোতে। চারটা বইয়ের বিভিন্ন ধরনের রং রয়েছে। একটা লাল, একটা কালো, একটা সাদা, একটা হলুদ।
আমি লাল, হলুদ এবং কালো বইটা খুলতে চেষ্টা করলাম কিন্তু তিনটার মধ্যেই একটা শিকলের মতো কিছু দেখতে পেলাম। মনে হচ্ছে এই তিনটা বই কেউ লক করে রেখেছে। কিন্তু শিকল গুলো খুলবো কি করে আমি বুঝতে পারছি না। সাদা বইটা খুলার চেষ্টা করলাম। প্রথম মোটা মলাট আমি উল্টালাম। আর সাথে সাথে ভিতর থেকে একটা উজ্জল আলো বের হলো। মনে হচ্ছিলো কিছু একটা বের হচ্ছিলো। কিন্তু কোনো কিছু বের না হয়ে আমিই সোজা বইয়ের মধ্যে চলে গেলাম। আমার হাত পা সব কিছু বইয়ের মধ্যে এক এক করে চলে যেতে লাগলো, ভিতরে প্রবেশ করার পর আমি খোলা একটা আকাশ দেখতে পেলাম। আর দূরে কাউকে বসে থাকতে দেখলাম। যেহেতু আমার অবস্থা একদম গুরুতর তাই আমি সাথে সাথেই পরে গেলাম মাটিতে। আর দূর থেকে একজন উড়ে আমার দিকে আসতে লাগলো। আমি একটা ছেলেকে দেখলাম যার পিঠে বারোটা সাদা ডানা রয়েছে। সবই ঠিক আছে শুধু তার চেহারা দেখতে পেলাম না। মুখের জায়গায় এতো উজ্জল সাদা আলো ছিলো যে চেহারা দেখতে পাচ্ছিলাম না। ছেলেটা আমাকে বলতে লাগলো,
.
–তাহলে তুমিই আমাকে এই বদ্ধ কারাগার থেকে মুক্তি করতে এসেছো। আমি এখানে কত সময় ধরে বন্ধ আছি সেটা আমি নিজেও জানি না। কিন্তু আমার সময় শেষ হয়ে এসেছে সেটা আমি বুঝতে পারছি।(ছেলেটা)
.
–কে আপনি?(আমি)
.
–আমি কে? হ্যা সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ন একটা প্রশ্ন। আমি কে সেটা আমি নিজেই ভুলে গেছি। আমি যখন প্রথম চোখ খুলি তখন থেকে আমি এখানে বন্ধ। আমার এখানে থাকা ছাড়া শুধু একটা জিনিসই মাথায় আছে, একদিন একজন আমাকে এই জায়গা থেকে মুক্ত করতে আসবে। আর সেদিন আমি তার একটা ইচ্ছা পূরন করে এখান থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় হয়ে যাবো।(ছেলেটা)
.
–ওওওও। আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি একজন এন্জেল। কিন্তু দুইটা ডানার বেশী কোনো এন্জেল হয় আমি সেটা কোনো দিন শুনিনি। আর আপনার তো মোট বারোটা ডানা।(আমি)
.
–এটা ঠিক আমিও বলতে পারছি না। আমি আর সময় নষ্ট করতে চাই না। তোমার ইচ্ছাটা কি সেটা আমাকে জানাও। আমি আমার এই মুক্ত জীবন থেকে বিদায় নিতে চাই।(ছেলেটা)
।।।
।।।
ছেলেটা যেভাবে আমাকে একটা ইচ্ছার কথা বলছে, তাতে আমার পড়া একটা কাল্পনিক কাহিনীর কথা মনে পরে গেলো। এক ব্যক্তি একটা সোনার লকেট পাই গুহার মধ্যে। এবং সেটা ঘষা দেওয়ার পর ভিতর থেকে একটা অন্যরকম মনস্টার বের হয়। মনস্টারটা লোকটাকে তিনটা ইচ্ছা বলতে বলে, যে তিনটা সে পূরন করে দিবে। এখন আমার সাথেও মনে হচ্ছে এরকম হচ্ছে। আমি নরতে পারছি না। আমি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না। শারিরীক ভাবেও কিছু করতে পারি না। আমার জন্য আমার বানানো একমাত্র বন্ধু একটু পরেই মারা যাবে। সব কিছু হচ্ছে আমি দুর্বল বলে। আজ আমি শক্তিশালী হলে আমার অনেক বন্ধু থাকতো। আর আমি আজকে সিলেক্ট হওয়া পাঁচশো জনের মধ্যে থাকতাম।
.
–আপনি মজা করছেন কিনা আমি জানি না। আমি এবং আমার এক বন্ধু কিছুক্ষনের জন্য মারা যাবো। মিলিটারিরা আমাদের পনেরোশো জনদের খুজে খুজে হত্যা করছে। আমি এভাবে মারা যেতে চাই না। আমি কোনো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না। শারিরীক দিক দিয়েও আমি একদম দুর্বল। আমি পাওয়ার চাই। পাওয়ার চাই যাতে আমি সবাইকে রক্ষা করতে পারি।(আমি)
.
–ঠিক আছে। এখন আজ থেকে আমার সমস্ত ক্ষমতা তোমার হয়ে যাবে। অবশ্য আমার ক্ষমতা পুরোপুরি শিখতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু একদম প্রয়োজনে এমনিতেই ব্যবহার করতে পারবে। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে এই জেলখানা থেকে মুক্ত করার জন্য। আশা করি আমার পাওয়ার গুলো ভালো কাজে ব্যবহার করবে।(ছেলেটা)
।।।।
।।।।
ছেলেটা হঠাৎ উধাও হতে লাগলো। ওর শরীর আলোতে পরিনত হয়ে গেলো। এবং সেই আলো গুলো আমার শরীরের ভিতরে চলে আসতে লাগলো। হঠাৎ আমার শরীর অনেক হালকা মনে হচ্ছিলো। আমি আমার ডান হাতের তালুর ক্ষত এর দিকে তাকালাম। সেটা এমনি এমনি ঠিক হতে শুরু করলো। আমি ডান হাতটা নারাতে চেষ্টা করলাম। হাতটা নারাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। মাথায় তেমন কাজ করছে না কি হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ নিজেকে অনেক শক্তিশালী মনে হলো। মনে হচ্ছে আমি নিজেও এখন ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারবো। হয়তো ছেলেটার মতো আমার ও ডানা হবে। আমিও আকাশ দিয়ে উড়তে পারবো। সে যাইহোক আস্তে আস্তে আমি বইয়ের ভিতর থেকে বের হতে লাগলাম। আমার পুরো শরীর সুস্থ হয়ে গেছে। কিন্তু হ্যারি অনেক গুরুতর আহত। আমার হাতের সাদা বইটা আসতে আসতে উধাও হয়ে গেলো। আমি ব্যাগে বাকি তিনটা বই রেখে দিলাম। পরে এটা নিয়ে রিসার্জ করা যাবে। আপাতোতো আমাকে হ্যারিকে নিয়ে এখান থেকে বের হতে হবে। এখানে বেশী ক্ষন থাকলে হয়তো ও বাচবে না। এমনিতেই হ্যারি বেহুস হয়ে পরে আছে নিচে। আমি ব্যাগটা কাধে নিলাম। এবার হ্যারির হাতে আমার হাত দিলাম ওকে কাধে নেওয়ার জন্য। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো পারবো না। কিন্তু এন্জেল ছেলেটার কথা তাহলে সত্যি। আমি এখন শক্তিশালী হয়ে গেছি। আমি হ্যারিকে আমার কাধে তুলে নিলাম। আমার মনেই হচ্ছে না আমি কাউকে আমার কাধে নিয়েছি। বরং নিজের শরীর আরো হালকা মনে হচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমার শরীরের স্পর্শে আশার সাথে সাথে হ্যারির শরীরের ক্ষতও ঠিক হচ্ছে আস্তে আস্তে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ০৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমার শরীরের স্পর্শে আশার সাথে সাথে হ্যারির শরীরের ক্ষতও ঠিক হচ্ছে আস্তে আস্তে। হঠাৎ আমার শরীরে এতো শক্তি দেখে আমি অবাক হলাম। আমি সব কিছুতেই দুর্বল ছিলাম, তাই হঠাৎ করে শক্তিশালী হয়ে উঠাটা আমার মাথা নিতে পারছে না। আমি হ্যারিকে আমার কাধে করেই রাখলাম। ওর পুরো শরীর ঠিক হয়ে গেলোও ও এখন বেহুস হয়ে আছে। হয়তো কিছুক্ষন রেস্ট দরকার ওর এখন। আমাকে এই সুযোগে ওকে নিয়ে এখান থেকে পালাতে হবে। আমি এখনো সিওর না আমি পুরো পুরো শক্তিশালী হয়েছি। কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি আমার শরীর আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হয়েছে, এবং আমার একটা নতুন ক্ষমতাও হয়েছে যেটা হলো আমার যেকোনো ক্ষত একা একাই ঠিক হয়ে যাবে, এবং আমার সংস্পর্শে যারা আসবে তাদের ক্ষতও একা একাই ঠিক হতে শুরু করবে। কিন্তু আমি এখনো সিওর না আমি কোনো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারবো। আমি ম্যাজিক নিয়ে অনেক বই পড়েছি। কিভাবে ম্যাজিক ব্যবহার করতে হয় সেটাও আমি জানি। কিন্তু নতুন ক্ষমতা পাওয়ার পরও মনে হয় না আমি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারবো। আমি ম্যাজিক ব্যবহার করার জন্য হাত বারালাম। একদম ছোট খাটো একটা স্পেল ব্যবহার করতে চাইলাম যেটা যে কেউ পারে। ছোট একটা বল বানাতে চাইলাম। এতে করে আমি এটাও দেখতে পারবো আমার ম্যাজিক কোন এট্রিবিউটের। কিন্তু যেটা আশা করেছিলাম সেটাই হলো। ছয় এট্রিবিউটের একটারও বল হলো না। এটাই সবচেয়ে সাধারন স্পেল যেটা দিয়ে এট্রিবিউট চেক করা হয়। এই স্পেলের মাধ্যমে বোঝা যায় কার কি এট্রিবিউট। যদি কারো ফায়ার এট্রিবিউট হয় তাহলে তার হাতে আগুনের বল তৈরী হবে। এভাবে ওয়াটার, এয়ার, আর্থ, লাইট, ডার্ক এর এট্রিবিউট হলে যথাক্রমে পানি, বায়ু, মাটি, আলো, এবং অন্ধকারের বল তৈরী হবে হাতে। কিন্তু তার কিছুই আমার হাতে তৈরী হচ্ছে না। তার মানে এন্জেল ছেলেটা শুধু আমাকে শারিরীক ক্ষমতাই দিয়েছে। আবার ব্যাপারটা অন্যরকম ও হতে পারে। যেহেতু আমি কোনো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না তাই ছেলেটার দেওয়া ম্যাজিকও আমি ব্যবহার করতে পারবো না। যাইহোক আমার লোভি হলে চলবে না। আমার কাছে এখন যা আছে তাতেই আমার জীবন ভালো ভাবে কেটে যাবে। তখন কেউ আমাকে দুর্বল ভাবতে পারবে না। তবে আমি ছেলেটার শেষের একটা কথা শুনেছি। সে বলেছিলো তার ম্যাজিক পুরোপুরি ভাবে শিখতে আমার অনেক সময় লাগবে, এবং বিশেষ মুহুর্তেই আমি আপাতোতো সেগুলোকে ব্যবহার করতে পারবো, এর মানে হচ্ছে ম্যাজিক আপনাআপনি সময় বুঝে কাজ করবে। তখন আমাকে কিছুই করতে হবে না। এইসব বিষয়ে মাথা ঘামিয়ে আমার কোনো লাভ নেই। আমাকে এই জোন থেকে বের হতে হবে। আমি জানি না এখানে আর কতোক্ষন নিরাপদ আছি আমরা। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে কিছুক্ষনের মধ্যে সৈন্য এখানেও চলে আসবে।
।।।
।।।
আমি হ্যারিকে কাধে নিয়ে দৌড়াতে লাগলাম। আমার তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। যদিও দৌড়াতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও আগে আমি কিছুক্ষন হাটলেই হাপিয়ে যেতাম। কিন্তু এবার তার থেকে অনেকটা শক্তিশালী তো হয়েছি আমি। আমার শরীরের শক্তি দেখে মনে হচ্ছে আমি একজন বিস্টম্যানের মতো শারিরীক ক্ষমতা অর্জন করেছি। যদিও আমার বডি তাদের মতো বৃদ্ধি পায় নি, কিন্তু আমি নিশ্চিত তাদের মধ্যে যেসব শক্তি আছে সেসব আমার মধ্যেও আছে এখন। যদি কিছু অসাধারন ম্যাজিক আমি ব্যবহার করতে পারতাম এখন। আমি এই দুনিয়ার সকল সাধারন শক্তিশালী ম্যাজিক গুলো সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছি শুধু বই পড়েই। আমাদের বাসার যে লাইব্রেরি ছিলো ঔটার যে বইগুলো আমাকে পড়তে হয়েছে সেগুলো এই দুনিয়ার ইতিহাস এবং সকল স্পেল নিয়েই। কম করেও হলে আমার পাঁচ হাজার স্পেল মুখস্ত করা আছে। যদিও এট্রিবিউট অনুযায়ী ম্যাজিক গুলো কাজ করে। যেমন ফায়ার এট্রিবিউটের কেউ আগুন বাদে অন্য কোনো এট্রিবিউটের স্পেল ব্যবহার করতে পারবে না। আবার তার মধ্যদিয়ে রয়েছে সাধারন স্পেল যেগুলো ব্যবহার করতে কোনো এট্রিবিউটের প্রয়োজন হয় না। উধাহরন স্বরূপ টেলিপোর্টেশন স্পেল। তবে এগুলো ব্যবহার করার জন্য ম্যাজিক পাওয়ারটা বেশী হওয়া প্রয়োজন হয়। আমাদের এই দুনিয়াতে যত স্পেল আছে তাদের মধ্যে আমার মাত্র দুই শতাংশ মুখস্ত হয়েছে। আমার ইচ্ছা আমি পুরো একশো শতাংশই মুখস্ত করবো। আমার এট্রিবিউট কি আমি সেটা জানি না। এমনকি আমি ম্যাজিকও ব্যবহার করতে পারি না। কিন্তু আমার স্বপ্ন সেদিন লাইব্রেরিতে প্রবেশ করার পর থেকেই ছিলো যে সমস্ত স্পেলের জ্ঞান আমি আমার এই মাথার মধ্যে রাখবো। আর এখন এই এন্জেল ছেলেটার দেওয়া নতুন ক্ষমতা দিয়ে আমি সে স্বপ্ন সহজেই পূরন করতে পারবো। আমি চাই না এর আগে কেউ আমার জীবনটা শেষ করে ফেলুক।
।।।
।।।
আমি দৌরাতে ছিলাম হ্যারিকে নিয়ে। হ্যারি এখনো অজ্ঞান হয়ে আছে। হঠাৎ আমাকে চারপাশ থেকে মেট পনেরো জন সেনা ঘিরে ধরলো। আমার দৌড়ানোর সকল রাস্তা তারা আটকে দিলো। আমি জানি না কি করবো আমি এখান থেকে। এরা মিলিটারি সৈনিক। এদের ক্ষমতা সত্যিই মারাত্মক হয়। আর আমি মাত্র দশ বছরের একজন ছোট বাচ্চা। আমার বয়সই এখনো হয় নি লড়াই করার জন্য। তার উপরে আমি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না। নতুন শারিরীক ক্ষমতাও আমার কাজে দিবে না এখন। কারন সেটা লড়াই এর জন্য অনেক দুর্বল। আমি জানি আমার বয়স বারার সাথে সাথে এবং কঠোর ট্রেনিং এর ফলে আমার শারিরীক ক্ষমতাই একটা মারাত্নক অস্ত্র হয়ে যাবে। কিন্তু এখন শারিরীক ক্ষমতা শুধু জীবন নিয়ে পালানোর কাজেই দিবে। আর আমাকে পনেরো জন ঘিরপ ধরেছে। একজনের সাথে লড়তে গেলেই আমি মারা যাবো, আর এখানে তো পনেরো জন। দুই তিনজন থাকলে পালিয়ে যাওয়া যেতো। কিন্তু পনেরো জনের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। আমাকে দেখে একজন কথা বলতে লাগলো,
.
–এতোদূর পর্যন্ত তো তোমরা দুজনই আস্তে পেরেছো, কিন্তু এরপর আর কোথাও যেতে পারবে না। বাচ্চা হিসাবে দুজনকে মানতে হবে, আলাদা কিছু আছে তোমাদের মধ্যে। কিন্তু এখন প্রশংসা করার সময় নেই আর। মরতে হবে তোমাদের দুজনকে এখন।(সৈনিক)
।।।
।।।
আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। সকলে একসাথে আমার দিকে ফায়ার বল ছুড়ে মারলো। পনেরোটা আগুনের ফুটবল আমার দিকে আসছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। একটা বলও আমার শরীর স্পর্শ করলে আমার শরীরের চিহ্ন পর্যন্ত থাকবে না। আগুনের বল গুলো আমার শরীর স্পর্শ করবে তার আগেই আমার পিঠ থেকে মোট পনেরোটা সাধা হাত বের হয়ে গেলো। হাট গুলো অনেকটা অদৃশ্য হওয়ায় মনে হয়না কেউ তাদেরকে দেখতে পেরেছে। হাতগুলো দেখে সেই ছেলেটার ডানার কথা মনে পরে গেলো। যেহেতু আমার পিঠ থেকে হাত গুলো বের হয়েছে তাই আশ্চর্যের ব্যাপারই এটা। ডানা না বের হয়ে হাত বের হবে এটা আশা করি নি আমি কখনো। পনেরোটা হাত পনেরোটা আগুনের বলকে ধরে ফেললো। এবং সেগুলোকে আবার তাদের দিকেই মারতে লাগলো যারা সেগুলো আমার দিকে ছুড়েছে। তারা যে স্পিডে মেরেছে তার থেকে দশগুন বেশী স্পিডে ফায়ার বলগুলো তাদের দিকে গেলো। বেশী স্পিড হওয়ায় তারা সেগুলো থেকে সরে যেতে পারলো না। পনেরো জনই তাদের ফায়ার বলের আঘাতে আক্রান্ত হলো। তারা বয়সে অনেক বড় এবং শক্তিশালী তাই মারা যায় নি। গুরুতর আক্রান্ত হয়েছে এটা দেখতে পাচ্ছি। আমি যেহেতু ম্যাজিক আগে থেকেই দেখতে পারতাম, তাই আমার সামনে কে কত শক্তিশালী ম্যাজিক ব্যবহার করছে এটা তার স্পেল দেখেই আমি বলতে পারতাম। পনেরো জনের ছোড়া ফায়ার বলটা যখন আমার পিঠের পনেরোটা হাত তাদের দিকে ছুড়ে মারলো তখন সেটা তাদের ছোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়ে যায়। আমি এরকম কোনো স্পেল সম্পর্কে শুনি নি। আমি আরো উত্তেজিত হয়ে পরলাম নতুন নতুন স্পেল সম্পর্কে জানার জন্য। জানি না আরো কতো অজানা স্পেল রয়েছে। কিন্তু এটার কাজ দেখে বুঝতে পারলাম এটা আমার আত্যরক্ষার সাথে আক্রমনের কাজ দুটো একসাথে করবে।
।।।
।।।
আমি আর সময় নষ্ট করলাম না। হ্যারিকে পিঠে করে নিয়ে আমি সোজা আবার নদীর পাশে চলে আসলাম। এভাবে দৌড়িয়ে আমি এখান থেকে যেতে পারবো না সেটা বুঝতে পারলাম। আমি সিওর না পরের বার আমার পিঠের হাত গুলো আমাকে আবার সাহায্য করতে বের হবে। আমি কিছু কলা গাছ দেখতে পেয়েছি, যেগুলোকে একটু শারিরীক ক্ষমতা কাজে লাগিয়েই কাটা সম্ভব। তবে এই গাছ কাটা তেমন সহজও নয়। ধারালো কোনো তলোয়ার থাকলে এটা এক কোপেই কাটা যায়। কিন্তু ধারালো কিছু নাই আমার তাই আমাকে আমার হাতের সাহায্য নিতে হবে। আমি সঠিক বুঝতে পারছি না আমার হাত এটা কাটার জন্য যথেষ্ট নাকি। কিন্তু আমি কিছু বিস্টম্যানকে দেখেছি এই গাছ হাতের সাহায্যে কাটতে। তাই আমাকেও চেষ্টা করতে হবে। আমি আমার আঙ্গুল গুলো সমান করে রেখে হাত দিয়ে জোরে নিচে আঘাত করলাম সাথে সাথে গাছটা কেটে গেলো। আমি জানি এটার একটাই আমাদের দুজনের ভর নিতে পারবে। তারপরও যেহেতু হ্যারি বেহুস হয়ে আছে তাই আমাকে দুটো নিতে হবে। আমি দুটো গাছকে একসাথে আমার ব্যাগে থাকা দড়ি দিয়ে বেধে নিলাম। এবার হ্যারিকে আমার সামনে বসিয়ে আমি ওর পিছে বসে দুজনে পানিতে নেমে পরলাম। পানির স্রোতে আমরা যেতে লাগলাম। যেহেতু সেই সৈনিকের মুখে শুনেছি তারা এতোদূর আমাদের আশা করে নি তাই আমার মনে হচ্ছে এর থেকে দূরে তারা কেউ আসবে না। আর এটাই আমাদের সবচেয়ে সূবর্ণ সুযোগ হবে এই জায়গা থেকে বের হওয়ার জন্য। আমরা স্রোতে ভাসতে ভাসতে অনেকক্ষন পর বিশাল একটা নদীতে এসে পরলাম। এই নদীর স্রোতও অনেক প্রচন্ত। হয়তো এটা বড় কোনো সাগরের দিকে যাচ্ছে। আমাদের এর থেকে বেশী দূর যাওয়া ঠিক হবে না। তাই আমি আমার হাত এবং পা ব্যবহার করে কিনারায় আসার চেষ্টা করলাম। এমনিতে এই স্রোতের বিরুদ্ধে আমি কখনোই কিনারায় যেতে পারতাম না। কিন্তু এখন আমার শারিরীক ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনো সমস্যা হলো না। কিনারায় পৌছানোর পর পরই আমি হ্যারিকে নামিয়ে শুইয়ে দিলাম। আমিও ব্যাগটা পাশে রেখে শুয়ে পরলাম। শরীরটা এখন ক্লান্ত হচ্ছে। অনেক ভারী হয়ে যাচ্ছে আমার শরীর। চোখও বন্ধ হয়ে আসছে। আমি সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরলাম। জানি না কখন ঘুম থেকে উঠেছি। কিন্তু ঘুম থেকে উঠার পরে নিজেকে একটা রুমের মধ্যে আবিষ্কার করলাম। নতুন একটা রুম হলেও, রুম দেখে আমি বুঝতে পারলাম এটা একটা মিলিটারি কোয়ার্টার রুম। তবে এটা আগের টা থেকে উন্নত যেটায় আমি পাঁচ বছর থেকেছি। আমি উঠার সাথে সাথে দেখতে পেলাম আমার বিছানার পাশেই এক লোক মাথায় একটা কালো টুপি এবং গায়ে একটা কালো কোর্ট পরা চেয়ারে পায়ের উপরে পা তুলে বসে চা পান করছে।
.
–তাহলে উঠে গেছো।(লোকটা)
.
–কে আপনি? আর আমি কোথায় এখন? আর হ্যারি কোথায়?(আমি)
.
–ওয়েট ওয়েট ইয়াং ম্যান। সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। আমি তোমাদের মিলিটারি স্কুলের প্রিন্সিপাল। আমার নাম এলেক্স। আর তুমি এখন আছো আমাদের স্কুলের হ্যাড কোয়ার্টারে। এতোদিন তোমরা ছিলে ট্রেনিং জোনে। কিন্তু আজ থেকে তুমি হ্যাড কোয়ার্টারে থাকবে। আর তোমার বন্ধু হ্যারি ঠিক আছে। রেগুলার ট্রেনিং এর জন্য বাইরে গিয়েছে। তুমিও আজ থেকে জয়েন করতে পারবে।(প্রিন্সিপাল)
।।।।
।।।।
আমি অবাক হলাম। ওর বয়স সতেরো কিংবা আঠারো হবে। এতোক্ষন ওর মুখ ঢাকা ছিলে বলে আমি ভালো করে দেখতে পারি নি। কিন্তু এখন বুঝলাম। এতো কম বয়সে মিলিটারি স্কুলের প্রিন্সিপাল হবে এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। হয়তো অনেক শক্তিশালী হবে তাই এই পদে আছে সে। যাইহোক আমি প্রশ্ন করতে লাগলাম।
.
–আমাদের এখানে এনেছেন কেনো? আমরা তো ফেইল করেছি। সবাইকে মেরে আমাদের এখানে রাখার কোনো মানে হয় না।(আমি)
.
–উহু।।। ভুল বুঝতেছো আমাদের। আমরা কাউকে মারতে চাই নি। আমরা চেয়েছিলাম পনেরোশো জনের মধ্য থেকেও কিছু টেলেন্টেড ছেলে মেয়ে সিলেক্ট করতে। যাদের জায়গা বাকি পাঁচশোজনের থেকে আলাদা এবং ভিন্ন হবে।(প্রিন্সিপাল)
.
–মানে বুঝলাম না।(আমি)
.
–মানে আমাদের জেনারেল সারের আদেশ ছিলো তাকে পাচঁজন সেনা সিলেক্ট করে দিতে হবে যারা মৃত্যুকেও ভয় পাই না। আর সেটা করার জন্য আমাকে কিছু সিরিয়াস করার দরকার ছিলো। আর আমি সেটাই করেছি।(প্রিন্সিপাল)
.
–তাই বলে আপনারা আমাদের সবাইকে মেরে ফেলতে চাইবেন?(আমি)
.
–অবশ্য জেনারেলের আদেশ সেটাই ছিলো। কিন্তু পরে সোজা তিতীয় প্রিসেস এর কাছ থেকে অর্ডার আসে যে কোনো ছেলে মেয়েকে না হত্যা করতে। তারপরও ব্যাপারটা সিরিয়াস করার জন্য আমাদের সেনা সকল ছেলে মেয়েদের পায়ে আক্রমন করে যাতে বেশী ক্ষত না হয়। আর আক্রমন করার পর তাদের বেহুস করে তাদের ক্ষত ঠিক করে দেই। কিন্তু পনেরো জনের মধ্য থেকেও আমরা তেমন কাউকে পাই নি। তবে তিনজন পাওয়া গেছে যারা একসাথে আমাদের দুইজন সেনাকে অজ্ঞান করে দিয়েছে। কিন্তু তারা জোনের বাইরে বের হতে পারে নি। তবে আরো দুইজন পাওয়া গেছে যারা একসাথে পনেরোজন সেনাকে বেহুস করে দিয়েছে এবং একই সাথে জোনের বাইরে বেরিয়ে গেছে। জিনিসটা শোনার পর আমি অনেকটা অবাকই হয়েছি প্রথমে।(প্রিন্সিপাল)
.
–ওওও।(আমি)
.
–পরে তদন্ত করে যখন জানতে পারলাম একজন ছেলে যে শারিরীক ভাবে পাঁচটা বছর একদম দুর্বল ছিলো। কোনো ম্যাজিক ছোট থেকে ব্যবহার করতে পারে নি। সে হঠাৎ করে পনেরোজন সেনাকে একসাথে বেহুস করে দিবে, এরকম জিনিস কোথাও দেখা যায় না।(প্রিন্সিপাল)
।।।
।।।
আমি প্রিন্সিপালের কথা শুনে চমকে গেলাম। আমার মনে হচ্ছে প্রিন্সিপাল বুঝতে পেরেছে আমি কিছু থেকে আমার ক্ষমতা পেয়েছি।
.
–হঠাৎ করে এতো শক্তিশালী হয়ে যাওয়া মানে হচ্ছে হয়তো তোমার ক্ষমতাগুলো আগে থেকেই লক করা ছিলো, কিংবা তুমি নাটক করছিলে দুর্বল হওয়ার। দুইটার যেটাই হোক এখন আমার কোনো কিছুই যায় আসে না। জেনারেল অনেক যত্ন করে তোমাদের পাঁচ জনকে ট্রেইন করতে বলেছে। রাজ্যের সবচেয়ে রাজ্যের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বানাবে তোমাদের। তাই আমি বলবো আগের সব কাহিনী ভুলে যাও এখন থেকে।(প্রিন্সিপাল)
।।।
।।।
প্রিন্সিপাল আমার কপালে হাত দিয়ে একটা স্পেল পরলো। আমি বুঝতে পারলাম না কিসের স্পেল। কিন্তু স্পেলটা আমার সমস্ত মেমোরী মুছে দিলো। আমার অতীতের সমস্ত কিছু আমি ভুলে গেলাম। আমার মনে থাকার মধ্যে শুধু আমার আম্মা, এবং দুই বোনের চেহারাই মনে আছে। আর আমার পড়া সকল বইয়ের তথ্য। এছাড়া আমার কিছুই মনে পরছে না। কালকে কিংবা তার আগে আমি কি করেছি সব ভুলে গেছি।
.
–বড় আশ্চর্যের ব্যাপার স্যার। আমি কিছু মনে করতে পারছি না।(আমি)
.
–তুমি দুদিন আগে মাথায় অনেক গুরুতর আহত পেয়েছিলে। যার জন্য তোমার কিছু কিছু স্মৃতি নষ্ট হয়ে গেছে।(প্রিন্সিপাল)
.
–ওওও। কিন্তু আমি এখানে কি করছি সেটাও মনে করতে পারছি না।(আমি)
.
–তুমি এখানে শক্তিশালী হতে এসেছো। ব্লাক আর্মিতে জয়েন হওয়ার জন্য এসেছো।(প্রিন্সিপাল)
.
–ব্লাক আর্মি?(আমি)
.
–হ্যা। এটা রাজ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনা হবে। আর ছোট থেকেই তোমার ইচ্ছা ছিলো একজন মিলিটারি সৈনিক হওয়ার। আর এখন তোমার স্বপ্ন পূরন হচ্ছে। সাধারন মিলিটারি সৈনিক নয় বরং তার থেকেও শক্তিশালী পদে থাকবে তুমি।(প্রিন্সিপাল)
।।।
।।।
আমি প্রিন্সিপালের কথা বুঝতে পারছি না। সব ভুললেও আমার পরিচিত কিংবা জানা ব্যক্তির চেহারা কিংবা নাম আমি ভুলি নি। শুধু আমার সাথে ঘঠে যাওয়া ঘঠনা গুলো আমি ভুলে গেছি। যাইহোক ভুললেও আমি বুঝতে পারছি আমার স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে। আমি মিলিটারি সৈনিকের থেকেও শক্তিশালী পদে আমি যোগ দিতে পারবো। মনে পরছে না এটা আমার স্বপ্ন ছিলো কিনা, তবে মনে হচ্ছে এটাই ছিলো। যে করেই হোক আমাকে আমার স্বপ্ন পূরন করতে হবে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ০৫
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি প্রিন্সিপালের কথা বুঝতে পারছি না। সব ভুললেও আমার পরিচিত কিংবা জানা ব্যক্তির চেহারা কিংবা নাম আমি ভুলি নি। শুধু আমার সাথে ঘঠে যাওয়া ঘঠনা গুলো আমি ভুলে গেছি। যাইহোক ভুললেও আমি বুঝতে পারছি আমার স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে। মিলিটারি সৈনিকের থেকেও শক্তিশালী পদে আমি যোগ দিতে পারবো। মনে পরছে না এটা আমার স্বপ্ন ছিলো কিনা, তবে মনে হচ্ছে এটাই ছিলো। যে করেই হোক আমাকে আমার স্বপ্ন পূরন করতে হবে।
.
–তো জ্যাক তোমার শরীর কি পুরোপুরি সুস্থ হয়েছে? আমি শুনেছিলাম তুমি অনেক গুরুতুর আহত হয়েছিলে।(প্রিন্সিপাল)
.
–আমি ঠিক আছি প্রিন্সিপাল স্যার। তবে জিজ্ঞেস করার জন্য ধন্যবাদ।(আমি)
.
–আমাকে এলেক্স স্যার বলতে পারো এখন থেকে। যেহেতু আমি তোমাদের পাচঁজনকে এখন থেকে ট্রেইন করবো।(এলেক্স)
.
–ওকে ঠিক আছে এলেক্স স্যার।(আমি)
.
–ওকে তাহলে উঠে পরো। আমরা ফিল্ড ট্রিপে যাচ্ছি এখনি।(এলেক্স)
.
–ফিল্ড ট্রিপ?(আমি)
.
–হ্যা। এটা অনেকটা আসল কাজ করার মতো। ফিল্ড ট্রিপের মধ্য দিয়ে নিজেদের কাজ সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারবে। এবং অনেক অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারবে।(এলেক্স)
.
–ওওও। স্যার কোথায় যাচ্ছি ট্রিপে?(আমি)
.
–তোমরা পাঁচজন খুবই গিফটেড। তাই যেখানেই নিয়ে যাবো আমি সিওর তোমরা সেটা ঠিকই হ্যান্ডেল করতে পারবে। আমি আমাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করছি আর তুমি গিয়ে তোমার বাকি টিম মেম্বারদের সাথে সাক্ষাত করো গিয়ে।(এলেক্স)
.
–ওকে স্যার।(আমি)
।।।
।।।
আমি স্যালুট দিলাম এবং তারপর বের হয়ে গেলাম রুম থেকে। আমার সামনেই এলেক্স স্যার টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। টেলিপোর্ট ম্যাজিকটা অনেক কাজের। বিশেষ করা যারা সময় বাঁচাতে চাই তাদের জন্য এটা আদর্শ একটা স্পেল। স্পেলটা শিখতে পারলে আমারও অনেক কাজে দিবে। একটা জিনিস আমার মাথায় আসছে না শুধু, আমি আমার আগের দিনগুলোর কিছুই মনে করতে পারছি না। আমি হেটে হেটে বের হচ্ছি এবং মনে করার চেষ্টা করতে লাগলাম। শত চেষ্টা করে শুধু এটুকু মনে পরলো যে আমার ব্যাগে তিনটা বই ছিলো। আর কিছু মনে করতে পারছি না। আমি কিরকম ছিলাম এটাও মনে করতে পারছি না। কিন্তু এলেক্স স্যারের কথা শুনে বুঝতে পারলাম আমি আমার সমস্ত ক্ষমতা গুলোকে গোপন রাখতেই পছন্দ করেছি এতোদিন। নিজের ক্ষমতা গুলো গোপন রাখতে চেয়েছি। জানি না কিন্তু আমার এরকমও মনে হচ্ছে যে আমার কোনো ক্ষমতা ছিলোই না, কিন্তু হঠাৎ কারো কাছ থেকে ক্ষমতা পাওয়ায় আমার মেমোরী মুছে গেছে আগের। সে যায় হোক আমার সমস্ত স্মৃতি মুছে যায় নি এজন্য আমি খুশি আছি। আমার এ পর্যন্ত পড়া সকল বইগুলোর জ্ঞান আমার মাথায় আছে। আর তাছাড়া আমার পরিচিত, জানা ব্যক্তিদেরকে ও আমি ভুলি নি। শুধু ভুলে গেছি আমার সাথে এ পর্যন্ত যা হয়েছে। আমি ভাবতে ভাবতে মাঠের মধ্যে চলে এসেছি। আমি যে রুমে ছিলাম সেটার ভিতর থেকে বের হয়েই মাঠ পরিস্কারভাবে দেখতে পেলাম। চারজন দাড়িয়ে আছে আমার বয়সেরই। তাদের মধ্যে শুধু আমি হ্যারিকে চিনি। তাছাড়া আর কাউকেই চিনি না আনি। বাকি তিনজনও মনে হয় অন্য ইউনিটের হবে। নাহলে আমার ইউনিটের হলে আমি একবার হলেও চেহারা দেখতাম। যাইহোক হ্যারিই কথা শুরু করে দিলো, প্রথমে আমার কাছে এসে আমার পিঠে একটা ঠাপ্পর মেরে নিলো,
.
–জ্যাক আমি প্রথমেই জানতাম তুমি সেদিন মিথ্যা বলেছিলে আমাকে।(হ্যারি)
.
–কি বলেছিলাম? আসলে আমি কিছুই মনে করতে পারছি না।(আমি)
.
–কি তারমানে আমাকেও ভুলে গেছো? আমরা সেদিন বন্ধু হলাম।(হ্যারি)
.
–না তোমাকে মনে আছে। কিন্তু তাছাড়া আমি বাকি সব কিছু ভুলে গেছি।(আমি)
.
–ওয়াও। অনেক ইন্টারেস্টিং তো। তাহলে আমি বুঝতে পেরেছি। তোমার ম্যাজিক ক্ষমতা এতো শক্তিশালী যে সেটা ব্যবহার করলে তুমি তোমার সাথে ঘঠে যাওয়া সব কিছু ভুলে যাও, আর এটার ফলে তুমি ধারনা করো তুমি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারো না। কিন্তু জরুরী সময়ে সেটা ব্যবহার করতে পারো। জানো এরকম প্রথমবার দেখলাম আমি।(হ্যারি)
।।।
।।।
হ্যারি অনেক উত্তেজিত হয়ে বললো। আমি জানি না তবে হ্যারির কথাও ঠিক হতে পারে৷ হয়তো আমার ম্যাজিক আমার ব্রেইনের ক্ষতি করে। এখন থেকে আমার সাথে যা হবে তার সব কিছু আমার লিখে রাখতে হবে। এতে করে আমি কখনো ম্যাজিক ব্যবহার করে সব ভুলে গেলোও, লেখার তথ্য আমি ভুলবো না কখনো। হয়তো কাজে দিবে। যাইহোক এখানে হ্যারি বাদে বাকি তিনজন মেয়ে। তিনজন এক এক করে পরিচয় দিচ্ছে।
.
–আমার নাম এলিহা। আমি একজন ভ্যাম্পায়ার।(এলিহা)
.
–আমার নাম লুসি, আর ও আমার যমজ বোন লুসানা। আর আমরা দুজন ফেইরী।(লুসি)
.
–আমি জ্যাকসন। কিন্তু আমাকে জ্যাক বলতে পারো তোমরা। আর আমি একজন মানুষ।(আমি)
.
–আমি হ্যারি। আমি একজন ডেভিল।(হ্যারি)
.
–ওয়াও, একজন ডেভিল। এটা সচারচার দেখা যায় না। আমি তোমাকে দেখে এতোক্ষন মনে করছিলাম তুমিও আমার মতো মানুষ হবে।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি সাধারনত লুসি এবং লুসানার ডানা দুটো দেখছি। ফেইরীদের ডানা দুটো এন্জেলদের ডানা থেকেও অনেক সুন্দর হয়। আমি একটা কাল্পনিক বইতে পড়েছি একটা সময় ছিলো যখন এগারোটা দুনিয়া ছিলো, আর সেই এগারো দুনিয়ার মধ্যে ফেইরী ল্যান্ড নামের একটা দুনিয়া ছিলো, যারা মানুষদের অনেক পছন্দ করতো। তারা রাতের সময় মানুষদের দুনিয়ায় এসে মানুষদের ভালো স্বপ্ন দেখাতো। অবশ্য এই পুরো কাহিনীটা কাল্পনিক ছিলো, কিন্তু বইটাতে এইটুকুই লেখা ছিলো, যে লেখক ছিলো সে এটুকু লেখেই মারা গিয়েছিলো। কিন্তু আমার এই কাল্পনিক কাহিনীর পুরোটা জানার অনেক ইচ্ছা। ফেইরীদের ডানা দেখতে অনেকটা প্রজাপ্রতিদের মতোই হয়। একদম স্বচ্ছ হয় ওদের ডানা দুটো। আর অনেক রঙেরও হয় সেগুলো। আমি যে কাল্পনিক গল্প পড়েছিলাম, সেখানে ফেইরীদের আকার অনেক ছোট হয়। কিন্তু তারা যদি কোনো মানুষের ভালোবাসা পেয়ে যায় তাহলে তারা মানুষের আকার ধারন করতো। যেহেতু আমাদের দুনিয়ায় এরকম হয় না তাই বলা যায় সেই কাহিনী গুলো একদম কাল্পনিক ছিলো। কাল্পনিক থাকার পরও আমি কাহিনী গুলোর উপরে অনেক টান লক্ষ করতে পারি আমি।।
।।
।।
যাইহোক আমরা গল্প করছিলাম এমন সময় এলেক্স স্যার চলে আসলো আমাদের কাছে। তার সাথে আরেকটা ছেলে রয়েছে। বয়সের দিক দিয়ে আমাদের সমানই হবে৷ কিন্তু একজন অফিসারের ইউনিফর্ম পরে আছে সে। সৈনিকেরা সবুজ সবুজ এক ধরনের ইউনিফর্ম পরে, আর অফিসাররা সাদা ইউনিফর্ম পরে। আমরা এখনো ট্রেনিং এ। পাচ বছর আমাদেরকে হলুদ ইউনিফর্ম পরতে হয়েছিলো। কিন্তু এলেক্স স্যারের সাথের যে ছেলে অফিসার আছে তার হাতে কয়েকটা কালো ইউনিফর্ম দেখতে পেলাম।
.
–তোমাদের পাঁচজনের টিমের নাম হবে ব্লাক আর্মি। শুরুটা তোমাদের পাচজনকে দিয়েই হবে। এরপর তোমরা নিজেরাই তোমাদের ইচ্ছামতো লোক রিক্রুট করতে পারবে। যেহেতু তোমাদের টিমের নাম হবে ব্লাক আর্মি, তাই তেমাদের জন্য আমি কালো ইউনিফর্ম সিলেক্ট করেছি।(এলেক্স)
.
–ইয়েস স্যার।(আমরা সবাই)
.
–এই হলো অফিসার কহিল। তোমাদের ট্রেইন করতে অফিসার কহিলও সাহায্য করবেন।(এলেক্স)
.
–স্যার একটা প্রশ্ন?(হ্যারি)
.
–হ্যা হ্যারি?(এলেক্স)
.
–অফিসার কহিল স্যার এতো কম বয়সে অফিসার হলো কিভাবে?(হ্যারি)
.
–যেহেতু তোমরা জানো তোমরাই প্রথম যাদেরকে মিলিটারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার আগে এরকম ছিলো না। একজনের ক্ষমতা এবং তার পরিবারের ক্ষমতা হিসাবে একজন লোককে পদ দেওয়া হতো।(এলেক্স)
.
–ওওও বুঝতে পেরেছি। তাহলে তো স্যার কহিল অনেক গুরুত্বপূর্ন একজন লোক।(হ্যারি)
.
–নাও এবার জামা গুলো সবাই নিয়ে পরে ফেলো। আমি পাঁচ মিনিট সময় দিবো।(কহিল)
.
–ঠিক আছে স্যার।(আমরা সবাই)
।।।
।।।
আমরা সবাই কহিল স্যারের কাছ থেকে জামা নিলাম। তারপর নিজেদের রুমের দিকে গেলাম। লুসানা, লুসি এবং এলিহা তিনজনই এক রুমে থাকবে। এবং আমি আর হ্যারি একরুমে। আমি অবশ্য খুশি হয়েছি কারন আমার মেমোরী এর মধ্যে হ্যারি ছাড়া আমার কোনো বন্ধু পাচ্ছি না খুজে আমি। হয়তো এখন আমার আরো তিনজন বন্ধু হয়ে যাবে। আমি আর হ্যারি ড্রেস চেন্জ করতে লাগলাম। আমাদের রুমের টেবিলের উপরে দুটো বই আছে। এখানে মিলিটারির সকল রুলস আছে। ভাবলাম রাতে এসে পরা যাবে। কিন্তু আবার কি মনে করে হাতে নিয়ে নিলাম আমারটা। বের হওয়ার সময় আমার ব্যাগটা চেক করে নিলাম। ব্যাগের মধ্যে তিনটা বই ঠিকই আছে। আমার সব কিছু ঘঠে যাওয়ার মধ্যে শুধু এটুকু মনে আছে আমার কাছে তিনটা বই ছিলো। জানি না এই বই তিনটা কিসের, কোথা থেকে এসেছে, কিন্তু অনেক গুরুত্বপূূর্ণ কিছু হবে। আমরা সবাই আবার ফেরত আসলাম মাঠের মধ্যে৷ এখানে কহিল আর এলেক্স স্যার দাড়িয়ে আছেন।
.
–স্যার আমার একটা প্রশ্ন আছে।(লুসি)
.
–হ্যা লুসি জিজ্ঞেস করো?(এলেক্স)
.
–আমাদের ব্লাক আর্মি কার থেকে অর্ডার নিবে?(লুসি)
.
–হ্যা এটা অনেক ভালো প্রশ্ন। ব্লাক আর্মি সরাসরি জেনারেলের আদেশে চলবে। আর যেহেতু আমাদের দ্বিতীয় এবং তিতীয় প্রিন্সেস সকল মিলিটারী রাইট পেয়েছে তাই তাদের থেকেও অর্ডার আসতে পারে।(এলেক্স)
.
–ওওও।(আমি)
.
–হ্যা। আর কারো প্রশ্ন আছে?(এলেক্স)
.
–না।(লুসি)
.
–তাহলে ঠিক আছে, অফিসার কহিল আমাদের টেলিপোর্ট করে নিয়ে যাও।(এলেক্স)
.
–জ্বী স্যার।(কহিল)
।।।
।।।
অফিসার কহিল একটা টেলিপোর্ট স্পেল ব্যবহার করলো। এটা সোজা আমাদের টেলিপোর্ট করলো না, বরং আমাদের সামনে একটা গেইট বানিয়ে দিলো। আর আমাদের সেই গেটের ভিতরে যেতে হলো। আমি অবাক হলাম যে আমাদের বয়সী একজন টেলিপোর্ট স্পেল ব্যবহার করতে পারে। অবশ্য কোনো ক্ষমতাশালী পরিবারের হবে সে, তাই তো এতো কম বয়সেই এতো ভালো স্পেল ব্যবহার করতে পাচ্ছে।
।।
।।
অফিসার কহিল আমাদেরকে টেলিপোর্ট স্পেলের মাধ্যমে একটা অচেনা জায়গায় নিয়ে আসলো। আমরা প্রথমে বুঝতে পারি নি জায়গাটা। কিন্তু দূরে একশো থেকে দুইশোজনের মতো সৈন্য নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করছে। ভালো করে লক্ষ করে দেখলাম আমাদের মিলিটারি সৈনিকগুলো লড়ছে সাধারন লোকদের সাথে।
.
–সামনে যাদের দেখতে পারছো, তারা হলো এক হাজার বারো তম শহরের ব্যক্তিরা। তারা আমাদের রাজ্যের বিরুদ্ধে চলে গেছে। দেখতেই পাচ্ছো আমাদের সেনাদের অবস্থা সেখানে ভালো না। তোমাদের পাঁচজনের কাজ কি এখানে সেটা হয়তো বুঝতে পারছো।(এলেক্স)
.
–এতো লোকদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে তো স্যার আমরা মারা যাবো।(হ্যারি)
.
–দেখো তোমরা পাচজনই শক্তিশালী হতে চেয়েছো। আর ব্লাক আর্মির একজন মেম্বার হতে হলে মৃত্যুকে ভয় করা যাবে না। যদি ভয় পেয়ে থাকো তাহলে বাসায় চলে যেতে পারো।(কহিল)
।।।
।।।
অফিসার কহিলের কথা শুনে কিছু বলতে পারলাম না। এখান থেকে চলে গেলে আর মিলিটারির মুখ দেখতে পাবো না। আর তখন হয়তো হ্যারির মুখও দেখতে পাবো না আর। আমার একটাই বন্ধু ওকে হারাতে চাই না আমি।
.
–স্যার আমি রাজি।(আমি)
.
–আমরাও রাজি স্যার।(বাকি সবাই)
.
–একটা জিনিস বলে রাখি। তোমাদের অবস্থা সেখানে খারাপ হলেও কিন্তু আমাদের কোনো সাহায্য তোমরা পাবে না। আমরা তখনি একশন নিবো যখন তোমাদের পাঁচজন মারা যাবে।(এলেক্স)
।।।।।
।।।।।
আমরা সবাই ঢোক গিললাম। আবারো নতুন মৃত্যুখেলায় আমাদের নামিয়ে দিলো। আগের বার মজা করলেও এবার হয়তো সত্যই বলছে। জানি না আমাদের এখন কি হবে, কিন্তু চেষ্টা করতে হবে জীবিত থাকার। আমরা পাঁচজন মিলে এগিয়ে গেলাম সামনে। আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া দেখে বাকি সকল সেনারা পিছে চলে গেলো। বাকি সকল লোকেরা আমাদের দেখে অবাক হলো। অবাক হওয়ার কথায়, আমাদের মতো কম বয়সী বাচ্চাদের যুদ্ধ ক্ষেত্রে দেখলে যে কেউ অবাক হবে। আমি দাড়িয়ে রইলাম। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না এখন। কারন আমি নিজেই জানি না আমি কি ধরনের ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি। আমার এট্রিবিউট কি সেটাও মনে পরছে না। আমার স্মৃতি শক্তির জন্য অনেক সমস্যা হচ্ছে এখন। আমি সঠিক একটা ধারনা করে ফেললাম এখান থেকে বেঁচে ফেরার সম্ভবনা আমাদের মাত্র পাঁচ পার্সেন্ট। কারন আমাদের সামনে মোট আশি নব্বই জনের মতো লোক দাড়িয়ে আছে। আর এদের কাছে বিভিন্ন ধরনের হাতে বানানো অস্ত্রও আছে। শুধু অস্ত্র না বরং তারা ম্যাজিকও ব্যবহার করছে। আমরা এতোটাও শক্তিশালী না যে এক সাথে সব গুলো লোকের সাথে লড়তে পারবো। এক একজন হয়তো দুজনের সাথে কোনোভাবে লড়তে পারবো, তাছাড়া অনেক কষ্ট হবে। কিন্তু এলেক্স স্যারের অর্ডার না শুনলে আমাদের সবাইকে বাসায় চলে যেতে হবে। এই দুনিয়াটা এমন যেখানে দুর্বল হলে কোনো দামই দিবে না। এখানে ঠিক মতো জীবিত থাকতে হলে শক্তিশালী হতে হবে। আমাকেও শক্তিশালী হতে হবে। আমি আমার আম্মার এক মাত্র ছেলে। আমার বাসায় দুটো বোনও আছে। আমাকে তাদের সবাইকে রক্ষা করতে হলে অনেক শক্তিশালী হতে হবে। আর আমি নিশ্চয় আমি এলেক্স স্যারের অর্ডার মতো আপাতোতো চললে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবো।
।।।
।।।
আমরা পাঁচজনই দাড়ালাম অধীক সংখ্যক শত্রুর সামনে। জানি না এদের অপরাধ কি। কিন্তু যেহেতু আমরাও রাজ্যের একটা সেনার অংশ হবো, তাই সকল রাজ্যের শত্রুরাই আমাদের শত্রু এখন থেকে। নিজের জীবন পরোয়া না করে আমরা দাড়িয়ে পরলাম শত্রুকে মোকাবেলা করার জন্য। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো আমরা বাচ্চা ভেবে কথা বলবে আমাদের সাথে। কিন্তু তারা সেটা না করে সোজা আমাদের উপরে আক্রমন করতে লাগলো। তারা সোজা তীর ছুরলো আমাদের দিকে। তাদের তীর ঠিক আমাদের দিকে আসতে লাগলো। আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। মাথায় ঠিকই আসলো একটা ঢাল বানানোর কথা কিন্তু আমি বানাতে পারলাম না সেটা। ঢালের কাজটা লুসি আর লুসানা করে দিলো। ওরা দুজনই একটা ঢাল বানিয়ে দিলো গার্ড স্পেল ব্যবহার করে৷ সকল তীর আটকে গেলে তিনটা তীর ঢাল ভেঙে দুটো আমার দু পায়ের হাটুতে লাগলো, আরেকটা এলিহার হাতে লাগলো। আমার পায়ের হাটুতে তীর লাগাতে আমি একদম মাটিতে পরে গেলাম। আমি বুঝতে পারছি না কি করবো এখন। হ্যারি আমার হাটু এবং এলিহার হাত থেকে তীর গুলো টেনে বের করলো। আর লুসি এবং লুসানা আমাদেরকে হিল করে দিচ্ছে। লুসি বলতে লাগলো,
.
–আমার আর লুসানার স্পেল গুলো সাধারনত সাহায্য করার। লড়াই তে আমরা সরাসরি আক্রমন করতে পারবো না। তবে আমাদের জন্য ঢাল এবং হিলিং ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারবো আমরা দুজন।(লুসি)
.
–আমি আক্রমন করতে পারবো ওদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তাদের সংখ্যার জন্য সমস্যা।(হ্যারি)
.
–আমিও সাহায্য করতে পারবো আক্রমনে। আমি সাধারনত কাছাকাছি লড়াই করি আমার হাত পা এবং তলোয়ার দিয়ে। আর আমার ম্যাজিক গুলো তেমন শক্তিশালী না।(এলিহা)
.
–আর জ্যাককে নিয়ে এখানে একটু সমস্যা হবে। আমাদের ওকে একটু সময় দিতে হবে ওর স্পেল ব্যবহার করার জন্য। আমি আগের বার ওর ম্যাজিক দেখতে পারি নি। কিন্তু আমি সিওর ওর ভুলে যাওয়া মেমোরী তারাতারি ফিরে আসবে। কিন্তু জ্যাক আমি জানি তোমার প্লান আমাদের জিততে অনেকটা কাজে দিবে।(হ্যারি)
.
–ওকে আমি প্লান বানিয়ে দিচ্ছি। যেহেতু হ্যারি ম্যাজিক দিয়ে ফাইট করবে, তাই এলিহা সামনে থাকবে। এলিহা যাদের পাবে তাদের সাথে লড়াই করবে। আর সে সুযোগে বাকি সব লোকেরা এলিহাকে আক্রমন করতে চাইবে। আর তখনি লুসি এবং লুসানা এলিহার চারদিক দিয়ে একটা ঢাল বানিয়ে দিবে, আর তখন হ্যারি ওর সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেল দিয়ে ঔখানে আক্রমন করবে। এলিহা তো একজন ভ্যাম্পায়ার তাই সে উড়তে পারবে, যখন হ্যারি ওর স্পেল ঔখানে ফেলবে তখন এলিহা ওর ডানা দিয়ে উপরে উড়ে যাবে।(আমি)
.
–একটা প্রশ্ন? হ্যারি তো এখনি একটা স্পেল ঔখানে ছুড়তে পারে, তাহলে আমাকে ঔখানে যেতে হবে কেনো?(এলিহা)
.
–হ্যারি এখন একটা ঔখানে ছুরতে পারে, কিন্তু সমস্যা হলো তাতে শত্রু বুঝে যাবে আমাদের আক্রমনের কথা। আর তুমি যদি ঔখানে গিয়ে ওদের খেয়াল তোমার উপরে রাখো তাহলে ওরা এদিকে নজর দিবে না। আর তখন হ্যারির স্পেলের বিরুদ্ধে ওরা কিছু করতে পারবে না।(আমি)
.
–হ্যা এটাই সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট প্লান। আমি জানতাম জ্যাক তুমি নিশ্চয় ভালো একটা প্লান সাজেস্ট করবা। ঠিক আছে চলো আমরা সবাই এটাই করি।(হ্যারি)
.
–লুসি এবং লুসানা এই প্লানে তোমাদের কাজই সবচেয়ে বেশী ভয়ানক। একটু ভুল করলেই এলিহার জীবন যেতে পারে। তাই তোমাদের টাইমিং একদম ঠিক হতে হবে। ঢাল একদম সেই সময় বানাবে যখন সবাই এলিহাকে আক্রমন করবে একসাথে।(আমি)
.
–ঠিক আছে।(লুসি)
।।।
।।।
মনে হয় ওরা বুঝে গেছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করবো। প্লান বানিয়ে দিলাম যেখানে আমি বাদে সবারই কাজ থাকবে। সবাই নিজেদের সব কিছু করবে তাহলে কি আমি বসে বসে সেটা দেখবো? না সেটা হতে পারে না। আমাকেও কিছু একটা করতে হবে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।