#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ০৬
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
মনে হয় ওরা বুঝে গেছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করবো। প্লান বানিয়ে দিলাম যেখানে আমি বাদে সবারই কাজ থাকবে। সবাই নিজেদের সব কিছু করবে তাহলে কি আমি বসে বসে সেটা দেখবো? না সেটা হতে পারে না। আমাকেও কিছু একটা করতে হবে। আমাদের প্লান অনুযায়ী এলিহা এগিয়ে গেলো আক্রমন করতে। আর লুসি এবং লুসানা একদম পিছে দাড়িয়ে রইলো। আমার কাজ থাকবে লুসি এবং লুসানাকে সাহায্য করা, যেহেতু ওরা কাউকে আক্রমন করতে পারবে না তাই আমাকেই করতে হবে কেউ ওদের আক্রমন করতে আসলে।
।।।
।।।
এলিহা সামনে চলে গিলো। কোমরে একটা তলোয়ার ছিলো। মাঝারি সাইজের একটা বেশ ধারালো তলোয়ার। তলোয়ারটা সাধারন হওয়ায় এলিহাকে নিজের ম্যাজিক পাওয়ার এর মাধ্যমে তলোয়ারকে শক্তিশালী করতে হবে। আর সে সেটাই করেছে। ওর ম্যাজিক দিয়ে তলোয়ারের ক্ষমতা আরো বারিয়ে দিয়েছে। এবং সেটা দিয়ে এক এক করে লরতে লাগলো। প্রথমে বাচ্চা ভেবে দুই একজনই এলিহার উপরে আক্রমন করে। কিন্তু যখন এলিহা তাদেরকে মেরে ফেলে তখন আস্তে আস্তে সবাই ওর উপরে ঝাপিয়ে পরতে লাগলো। ঠিক তখনি লুসি এবং লুসানা এলিহার চারিদিকে একটা ঢাল বানিয়ে দিলো। সকলেই একসাথে ঢালের উপরে আক্রমন করতে লাগলো। আর তখনি হ্যারি ওর স্পেলটা শত্রুদের দিকে ছুড়লো। বড় একটা এয়ার বল বানিয়েছে হ্যারি। আমি ওর স্পেল দেখে বুঝতে পারলাম ওর এট্রিবিউট হলো বায়ুর। বাতাস দিয়ে বিভিন্ন স্পেল ব্যবহার করতে পারবে হ্যারি। আর এখনকার যে স্পেলটা ও বানালো সেটা অনেকটা পাওয়ারফুল। কারন এটা কোথাও ফেললে ঘূর্নিঝড়ের মতো কাজ করবে। হ্যারি ওর এয়ার বলটা ছুড়ে ফেললো। আর সেটা শত্রুদের আঘাত করার আগেই এলিহা ওর ডানা দুটো বের করে উড়ে আমাদের কাছে চলে আসলো। আর সে সময়ই হ্যারির এয়ার বলটা শত্রুদের আঘাত করলো। এয়ার বল স্পেলে হ্যারির অনেকটা ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হয়ে গেছে। এখন ও হাপাচ্ছে। মনে হচ্ছে না আর একটা ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু এটা অনেকটা কাজে দিয়েছে। যেহেতু তারা সকলেই হ্যারির স্পেল আগে থেকেই দেখতে পাই নি তাই তারা সেটা প্রতিহত করতে পারে নি। সেখানে ভয়ঙ্কর একটা ঘূর্নিঝড় দেখা দিয়েছে। এবং যার ফলে তাদের নিজেদের হাতে বানানো তলোয়ার দিয়েই বেশীর ভাগ গুরুতর আহত হয়েছে। অনেকে নিহতও হয়েছে। এরপর এখনো চল্লিশ জনের মতো দাড়িয়ে আছে। সবাই কম বেশী আহত হয়েছে। হ্যারির স্পেলটা মারাত্মক ছিলো। আমি ভাবতে পারে নি এটা এমন কাজে দিবে। আসল কথা বলতে ডেভিলদের ম্যাজিক পাওয়ার বেশী থাকে অনেক। তারা যেকোনো স্পেলই পুরো ক্ষমতায় ব্যবহার করতে পারে। তবে বেশী ট্রেনিং না থাকলে একটা স্পেলেই শরীরের সকল পাওয়ার চুষে নিতে পারে। তারজন্য ডেভিলদের অনেক ট্রেনিং এর প্রয়োজন হয়। বাকি শত্রুরা আমাদের চারিদিক দিয়ে ঘিরে ধরলো। এখন যেহেতু চারদিক দিয়ে আমাদের ঘিরে ধরেছে তাই আমরা কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না। আমরা পাচজন পিঠ মিশিয়ে দাড়িয়ে রইলাম।
.
–কি করবো জ্যাক এখন?(হ্যারি)
.
–কি করবো সেটাই বুঝতে পারছি না।(আমি)
.
–আমাদের প্লানটা ভালোই কাজে দিয়েছে। কিন্তু হ্যারি যদি আরো একটা এয়ার বল ব্যবহার করতে পারতো তাহলে নিশ্চয়ই আমরা জিতে যেতাম।(এলিহা)
.
–আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি।(হ্যারি)
.
–এখন সেটা কাজে দিবে না কোনো অংশে। যেহেতু আমাদের চারিদিক দিয়ে শত্রুরা ঘিরেছে। তাই এখন তোমার স্পেলটা কোনো কাজে দিবে না। বরং তোমার ক্ষতি হবে আরো।(আমি)
.
–তাহলে কি করবো? যদি আমরা আরো একটু শক্তিশালী হতাম তাহলে হয়তো বেচে ফিরতে পারতাম।(লুসানা)
.
–এটা সম্পূর্ন এলেক্স স্যারের প্লান। তিনি আমাদের টেস্ট করছেন। আমি জানি আমাদেরকে সম্পূর্ন মেরে ফেলবেন না।(লুসি)
.
–আমাদের তেমন আশায় থাকা যাবে না। কারন আমরা সকলেই এখানে শক্তিশালী হতে এসেছি।(হ্যারি)
.
–হ্যা। যা হবে শেষ পর্যন্ত দেখবো। আমাদের সম্পূর্ন চেষ্টা করবো আমরা এখানে।(এলিহা)
।।।।
।।।।
আমরা পাচজনই দাড়িয়ে আছে পাচদিকে মুখ করে। প্রত্যেক দিকেই আমাদের নজর রাখতে হবে। সবাইকে এখানে সাহসী হতে হবে। নাহলে মৃত্যু সবারই হবে। আমি কি করবো মাথায় আসছে না। কিভাবে কি ম্যাজিক ব্যবহার করবো সেটা বুঝতে পারছি না। মাথায় স্পেলের কথা আসছে কিন্তু আমি কোনো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারছি না। হঠাৎ শত্রুপক্ষের আক্রমন আমাদের উপরে পরলো। তারা সকলেই তীরের ব্যবহার করছে। আমাদের দিকে এক একজন চারপাচটা তীর একসাথে ছুড়ছে। আর সেগুলো আগুনের মতো হয়ে আমাদের দিকে আসছে। লুসি এবং লুসানা আবারো আমাদের জন্য ঢাল তৈরী করলো। কিন্তু এবারের তীরের সংখ্যা আগের থেকে দ্বিগুন হওয়ায় ঢাল খুব সহজেই ভেঙে গেলো। এবং বেশ কিছু তীর আমাদের পাচঁজনের লাগলো। বিশেষ করে লুসি এবং লুসানার শরীরে বেশী তীর লাগলো৷ এরপরেও তারা দুজনে আমাদেরকে হিল করার চেস্টা করতে লাগলো। তাদের দুজনের শরীরে মোট বারোটা তীর লেগেছে। এমনিতেও এতো কম বয়সে এতো গুলো তীর শরীরে লাগায় ওদের শরীর দিয়ে রক্ত বেশী বের হচ্ছে। যার ফলে ওদের শরীর একদম দুর্বল হয়ে গেছে। একটু পরেই হয়তো বেহুস হয়ে যাবে দুজন। আর কিছুক্ষনের মধ্যে ওদের মৃত্যুও ঘঠতে পারে।
।।।
।।।
আমরা তিনজনও অনেক গুরুতর আহত হয়েছি। শরীর দিয়ে রক্ত পরছে অনেক। বেশীক্ষন আর টিকে থাকতে পারবো না এখানে। আমাদের এই অবস্থার পরও যেহেতু এলেক্স এবং কহিল স্যার আমাদের সাহায্যের জন্য আসে নি এরজন্য আমরা বুঝতে পারলাম আমাদের মৃত্যু অবধারিত। আমাদের আহত হওয়ার পরও শত্রুরা আমাদের দিকে আরেক রাউন্ড তীর ছুরলো। তীর গুলো ঠিক আমাদের দিকে আসছে। তবে এবার এক দিক দিয়েই আসছে তীর গুলো। কারন সকলেই একপাশে চলে এসে তীর গুলো ছুড়েছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। আমি সোজা উঠে হ্যারি, লুসি, লুসানা এবং এলিহার সামনে দু হাত বারিয়ে দাড়ালাম। এমনিতেই শরীরে তিনটা তীর লেগেছে আমার, তারপর এখন তাদের ছোড়া প্রায় সবগুলো তীরই আমার শরীরে গেথে যায়। আমার সব অঙ্গ প্যারালাইস হয়ে গেলো। কোথাও বোধ পেলাম না আমি। শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। প্রায় ত্রিশটার উপরে তীর আমার শরীরে গেথে গেছে। আশে পাশে কে কি বলছে আমি কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না। সব মিলিয়ে আমি বুঝে গেলাম আমার সময় শেষ হয়ে গেছে এই দুনিয়াতে। আমি সামনে তাকালাম শত্রুরা আবার আরেক রাউন্ড তীর আমাদের দিকে ছুড়ছে। আমি বুঝতে পারছি এটা যুদ্ধের ময়দান। এখানে কেউই কোনো মায়া দেখাবে না। যতক্ষন পর্যন্ত না সব গুলো শত্রু মারা যাচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত কোনো আক্রমন থামবে না। আমি কোনো রকম আমার ঘাড় ঘোরালাম। আমি চারজনের চোখেই পানি দেখতে পাচ্ছি। তারা কি বলছে আমি শুনতে পাচ্ছি না। কারন আমার দুটো কান বরাবর চারটা তীর গেথে গেছে। ডান চোখ দিয়ে একটা তীর গেথে যাওয়ায় আমি ডান চোখ দিয়ে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। যেহেতু আমার পুরো শরীর প্যারালাইস হয়ে গেছে, তাই আমি কোনো ব্যথা অনুভব করতে পারছি না। মনে হচ্ছে এখনি আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে। বাকি তীর গুলো ঠিক আমার গায়ে লাগবে তখনি আমার পিঠ থেকে অনেকগুলো সাদা হাত বেরিয়ে আসলো। আমার এটা অনেক দেখা দেখা মনে হলেও মনে পরছে না কোথায় দেখেছি আমি। আমাদের দিকে যেগুলো তীর আসছিলো সবগুলো তীরই আমার পিঠ থেকে হাতগুলো বের হয়ে ধরে ফেললো৷ আমি বিশ্বাস করতে পারছি না এতোগুলো হাত আমার পিঠ থেকে বের হয়েছে। শুধু তাই নয় আমার পিঠ থেকে আরো কিছু হাত বের হলো যেগুলো এক এক করে আমার এবং বাকি চারজনের শরীর থেকে তীর গুলো টেনে টেনে বের করে দিচ্ছে। এবং সবগুলো তীর একসাথে শত্রুদের দিকে ছুরলো। আর এর ফলে সবগুলো তীর শত্রুদের গায়ে গিয়ে লাগলো। আমার শরীর আস্তে আস্তে জ্বলতে লাগলো। সাদা একটা আলো বের হচ্ছে আমার শরীর দিয়ে। আর এর ফলে আমার শরীর একা একাই হিল হয়ে যাচ্ছে। চারটা হাত বাদে বাকি সবগুলো হাত আমার পিঠে ঢুকে গেলো, আর চারটা হাত হ্যারি, লুসি, লুসানা এবং এলিহার হাত ধরলো। আমার সাথে সাথে তারাও হিল হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। দেখতে দেখতে তাদের সবগুলো ক্ষতই ঠিক হয়ে গেলো৷ সকলের ক্ষত ঠিক হওয়ার পর আমার সবগুলো সাদা হাতই অদৃশ্য হয়ে গেলে। আমি এরকম কোনো ম্যাজিকের নাম শুনি নি আগে। জানি না এটা কি ছিলো। তবে যা ছিলো সেটা সব থেকে আলাদা ছিলো৷ আর অনেক শক্তিশালীও ছিলো।
.
–wow,,, আমি জানতাম জ্যাক তোমার মাঝে বেশ ইন্টারেস্টিং কিছু ছিলো। আমি প্রথম এমন কিছু দেখলাম।(হ্যারি)
.
–একজন মানুষ হিসাবে এমন কিছু ব্যবহার করা বেশ আশ্চর্যের বিষয়। তারপরও যা ছিলো সেটা দেখতে অনেক সুন্দর ছিলো। হাত গুলো দেখতে অনেকটা ডানার মতোই ছিলো।(এলিহা)
।।।
।।।
আমরা দাড়িয়ে পাঁচজন কথা বলছিলাম তখনি এলেক্স এবং কহিল স্যার এসেছে আমাদের কাছে। দুজনেই হাততালি দিতে লাগলো,
.
–আমি ভেবেছিলাম বেশ কিছু জিনিস শিখাতে হবে তোমাদের। কিন্তু যেটা দেখলাম তাতে বুঝতে পারলাম এখানে আমার কোনো কিছু শেখানোর নেই তোমাদের।(এলেক্স)
.
–না স্যার। আমাদের আরো শক্তিশালী হতে হবে। এর থেকে আরো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে স্যার।(হ্যারি)
.
–হয়তো বুঝতে পেরেছো কিরকম মিশন হবে তোমাদের।(কহিল)
.
–জ্বী স্যার।(আমরা সবাই)
.
–তোমাদের বেশী দিন লাগবে না ট্রেনিং এর। তারপরও অনেক কষ্ট করতে হবে। অফিসার কহিল তোমাদের প্রত্যেকের এবিলিটি সম্পর্কে ধারনা নিয়ে ফেলেছে, কাল থেকে সেই তোমাদের বলবে কিরকম ট্রেনিং তোমাদের প্রত্যেককে করতে হবে।(এলেক্স)
….
….
এলেক্স স্যার আর কোনো কথা বললো না। আমাদের সরাসরি টেলিপোর্ট করে আমাদের নিজেদের রুমের মধ্যে পৌছে দিলো। আমি আর হ্যারি একই রুমে থাকবো। একটু আগের লড়াইতে আমাদের সকলেরই ম্যাজিক পাওয়ার এখন প্রায় শেষ। অনেকটা রেস্টের প্রয়োজন এখন আমাদের। খাবার টেবিলের উপরেই রাখা ছিলো। সেটা খাওয়ার পরই আমরা দুজনেই ঘুমের দেশে তলিয়ে পরলাম। কালকে আরো একটা ভয়ঙ্কর দিন আসবে। জানি না কালকে কি মৃত্যুখেলায় আমাদের নামিয়ে দিবে। কিন্তু যা হবে সেটা কালকেই দেখা যাবে। আমি আপাতোতো আমার সেই আশ্চর্যজনক হাতগুলো সম্পর্কে স্বপ্ন দেখতে লাগলাম।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ০৭
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
খাবার টেবিলের উপরেই রাখা ছিলো। সেটা খাওয়ার পরই আমরা দুজনেই ঘুমের দেশে তলিয়ে পরলাম। কালকে আরো একটা ভয়ঙ্কর দিন আসবে। জানি না কালকে কি মৃত্যুখেলায় আমাদের নামিয়ে দিবে। কিন্তু যা হবে সেটা কালকেই দেখা যাবে। আমি আপাতোতো আমার সেই আশ্চর্যজনক হাতগুলো সম্পর্কে স্বপ্ন দেখতে লাগলাম।
।।
।।
আমরা সবাই পরের দিন উঠলাম ঘুম থেকে। শরীর এতোটা ক্লান্ত ছিলো যে দুপুর থেকে পুরো রাত ঘুমের মাধ্যমেই কেটেছে। আমি আর হ্যারি ফ্রেস হয়ে নিলাম।
.
–জ্যাক আমাদেরকে এখন নাস্তা করতে যেতে হবে, আমার অনেক ক্ষুদা পেয়েছে।(হ্যারি)
.
–হ্যা আমারও অনেক ক্ষুদা লেগেছে।(আমি)
.
–তাহলে চলো আমরা ক্যান্টিনের দিকে যায়।(হ্যারি)
।।।
।।।
ক্যান্টিন আমাদের সবার খাবার খাওয়ার একটা জায়গা। সেখানে রান্না করার জন্য বেশ কিছু লোক থাকে। বিশেষ করে মানুষেরাই রান্নার কাজ করে থাকে। অন্য প্রানীদের থেকে মানুষেরাই সবচেয়ে ভালো খাবার তৈরী করতে পারে। এরজন্য সব ধরনের ক্যান্টিনের জন্য মানুষদেরই ঠিক করা হয়। আমি আর হ্যারি দুজনেই হাটতে হাটতে ক্যান্টিনের দিকে চলে আসলাম। আমরা ভিতরে বাকি তিনজনকেও দেখতে পেলাম।
.
–জ্যাক আর হ্যারি, এদিকে আসো তোমরা।(লুসানা)
.
–লুসি, এলিহা, লুসানা তোমরা ঠিক আছো তো?(হ্যারি)
.
–হ্যা। জ্যাকের সেই হিলিং পাওয়ারের মাধ্যমে আমরা সবাই ঠিক আছি।(লুসি)
.
–বলতে হবে কালকের দিনটা অনেক ভয়ঙ্কর ছিলো। কিন্তু সেখানে জ্যাক না থাকলে হয়তো আমরা বেঁচে ফিরতে পারতাম না।(এলিহা)
.
–হ্যা একদম।(লুসানা)
.
–যা হয়েছে সেটা নিয়ে আর ভাবা ঠিক হবে না আমাদের। বরং সামনে এর থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো শক্তিশালী হতে হবে আমাদের।(আমি)
.
–হ্যা। আমরা এমন শক্তিশালী হবো যে পুরো রাজ্যের মিলিটারি সেনা পর্যন্ত আমাদের ভয় পাবে।(হ্যারি)
.
–বেশী সময় নেই, একটু পরই কহিল স্যার আমাদের ট্রেনিং শুরু করবে। তাই তারাতারি করতে হবে আমাদের।(আমি)
।।।
।।।
আমরা সবাই একসাথে তারাতারি করে নাস্তা শেষ করলাম। আমি সাধারন খাবারই খেতে পছন্দ করি। আমাদের স্কুলে, কিংবা এখানে বেশী জাকজমকিয় খাবার পরিবেশন করে না। খুব সাধারন খাবারই দেওয়া হয়। আমি আপাতোতো দুটো রুটি এবং একটা ডিমের ওমলেট খাচ্ছি। হ্যারিও সেটাই খাচ্ছে। আর এদিকে এলিহা খাচ্ছে হলুদ চাউল সেদ্ধ সাথে কিছু লাল সস। লুসি এবং লুসানা মাশরুমের স্যুপ খাচ্ছে। আমি খাবার সম্পর্কে বেশী কিছু জানি না। আমার মেমোরিতে তেমন কোনো খাবারের তথ্য নেই। তাই একটারও নাম বলতে পারলাম না। তবে ওদের কাছ থেকে শুনলে হয়তো বলে দিলো, কিন্তু সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না আমি। আমাদের আবার ট্রেনিং এ যেতে হবে। খাবার শেষ করে আমরা হাটতে লাগলাম।
।।।
।।।
পাঁচজনই হেটে হেটে মাঠের দিকে যাচ্ছি। খোলা আকাশের নিচে ঘাসের উপরে আমার ট্রেনিং হবে। জায়গাটা একদম সুন্দর। ঘাসগুলো চারিদিকদিয়ে এমন ভাবে আছে যে মাটির চিহ্নও দেখা যাচ্ছে না। কেউ পরে গেলে তেমন আঘাত পাওয়া যাবে না। আমরা মাঠের মধ্যে দাড়িয়ে কহিল স্যারের জন্য অপেক্ষা করছি। জানি না কখন আসবে। বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর হঠাৎ কোথা থেকে টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসলো আমাদের কাছে। এসেই বলতে শুরু করলো,
.
–তো আজকে তোমাদের কোনো জায়গায় নেওয়া হবে না। বেশ কিছু সাধারন জ্ঞান তোমাদের বলবো। প্রথমত ম্যাজিক কি কেউ বলতে পারবে?(কহিল)
.
–আমরা বায়ু দেখতে পারি না, কিন্তু অনুভব করতে পারি, ঠিক ম্যাজিকও সেরকম আমরা ম্যাজিক দেখতে পারি না তবে এটা ব্যবহার করতে পারি স্যার।(হ্যারি)
.
–না এটা ম্যাজিকের সজ্ঞা নয়। বরং…(কহিল স্যার বলতে যাবে তখনি আমি হাত তুললাম)
.
–স্যার আমি বলতে পারি?(আমি)
.
–হ্যা জ্যাকসন বলো।(কহিল)
.
–আমাদের সারা শরীর দিয়ে ব্লাড চলাচল করে। তাদের চলাচলের জন্য কিছু রাস্তা রয়েছে। তারা সেসকল রাস্তা দিয়েই শুধু চলাচল করে। আর এই সকল রাস্তাগুলো শরীরের বেশ কিছু জায়গায় এক হয়েছে, সবমিলিয়ে শরীরের মধ্যে পনেরোটি জায়গা আছে যেখানে ব্লাড চলাচলের রাস্তা বেশী একত্রিত হয়েছে। এই পনেরোটি জায়গাকে পনেরো গেইট বলা হয়। এটা এক একজনের শরীরে আলাদা জায়গায় হতে পারে। শুধু আমরা নই, এই দুনিয়ার যত জীবিত প্রানী আছে সকলেই শরীরে এই পনেরো গেইট বিদ্যামান আছে। এই পনেরো গেইট থেকে প্রতিটা প্রানীর শরীরেই একটা অদ্ভুদ ধরনের এনার্জি তৈরী হয়, এটাকে আমরা আমাদের জীবন চলার পাওয়ার বলে থাকি। এই এনার্জি দিয়েই আমরা হাটাচলা, এবং নানা রকমের কাজ করে থাকি। প্রানীরা সময়ের সাথে আস্তে আস্তে বুদ্ধিমান হতে শুরু করায় এই শরীরের এনার্জিটা তারা আরো বিভিন্ন ধরনের কাজে লাগাতে শুরু করে। আস্তে আস্তে শরীরের এই এনার্জির নাম দেওয়া হয় ম্যাজিক পাওয়ার। সময়ের সাথে সাথে এই ম্যাজিক পাওয়ারের বিভিন্ন কাজ দেখা যেতে লাগলো, এছাড়াও বিভিন্ন গোত্রের প্রানীদের বিভিন্ন রকম ক্ষমতা দেখা দিতে লাগলো। এসব কিছুই হলো ম্যাজিক।(আমি)
.
–এটা তো মনে হয় আমি একটা বইয়ে পরেছিলাম। তারপরও অনেক সুন্দট ব্যখ্যা করেছো। আমার পরের প্রশ্ন গুলোর জবাবও এই প্রশ্নে দেওয়া হয়ে গেছে।(কহিল)
।।।
।।।
কিছুক্ষন একটা কাগজে কি জানি লেখলো কহিল স্যার। এরপর আবার আমাদের বলতে লাগলো,
.
–তোমাদের আগের দিনের লড়াই দেখে আমি মুগ্ধ। আমি ভেবেছিলাম হয়তো তোমরা মারা যাবে। তারপরও বলতে হবে কিছু দম ছিলো তোমাদের মধ্যে। আমরা যে ব্লাক আর্মি বানাতে চাচ্ছি তার জন্য তোমাদের সবাইকে অনেক কষ্ট করতে হবে। তোমাদের ট্রেনিং সেদিনই শেষ হবে যেদিন তোমরা এক আঘাতেই পুরো পাচহাজার সেনা মেরে ফেলতে পারবে।(কহিল)
.
–এক আঘাতে পাচ হাজার সেনা?(আমি)
.
–কেনো সেটা কি কারো জন্য সম্ভব নয়?(কহিল)
।।।
।।।
কহিল স্যার আমাদের সাথে সাথে টেলিপোর্ট করে আরেকটা জায়গায় নিয়ে আসলো। আমরা একটা পাথরের উপরে দাড়িয়ে আছি। আর নিচে যুদ্ধ হচ্ছে। আগের দিন যেরকম যুদ্ধ হচ্ছিলো সেরকম যুদ্ধই হচ্ছে আজকে। কিন্তু আজকে শত্রু পক্ষের সংখ্যা অনেক।
.
— যেহেতু আমাদের রাজ্যে ছোট শহর গুলোর সংখ্যা কয়েক হাজার, অনেক শহর একত্র হয়ে আমাদের নিয়ম অমান্য করে। তারা আমাদের মিলিটারি সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। আর তার ফল এরকমই হয়। এখানে দুহাজারের মতো শত্রু আছে। যদি এরকম শত্রুদের একাই না হারাতে পারো তাহলে তোমাদের শক্তিশালী তো কোনোদিক দিয়েই বলা যাবে না।(কহিল)
।।।
।।।
হঠাৎ আমাদের মিলিটারি সেনারা পিছে চলে আসলো। আর কহিল স্যার পুরো শত্রুদের চারিদিক দিয়ে বরফের একটা বিশাল দেওয়াল বানিয়ে দিলো। পুরো দুহাজারের মতো শত্রু সেখানে বন্ধী হয়ে গেলো। দেওয়ালটা এতো মোটা যে তাদের অস্ত্র এবং ম্যাজিক দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না, বরফ একটু ভাঙলেই আবার সেখানে নতুন বরফ চলে আসে।
.
–দেখো আসল পাওয়ার কাকে বলে।(কহিল)
।।।
।।।
কহিল স্যার এবার তাদের মাথার উপরে বিশাল একটা বরফের খন্ড বানালো। যেটা প্রতি মুহুর্তেই বিশাল হচ্ছে। পুরো দেওয়াল যতটা হয়েছিলো তার থেকেও চওড়া বরফের খন্ড বানিয়ে ফেললো যেটা হাওয়ায় ভাসছে। খন্ডটা কোনো সাগরে ফেললে দ্বিপের মতো দেখা যাবে হয়তো। এই খন্ডটা শত্রুদের উপরে পরলে তারাদের হাড় গুড়ো হয়ে যাবে। পুরো বরফের খন্ডটা সাথে সাথে তাদের উপরে প্রবল বেগে ছুরলো। আমরা সবাই শুধু তাকিয়েই রইলাম।
.
–দেখো আমি যদি একাই এভাবে দু হাজারদের মেরে ফেলতে পারি, তাহলে তোমাদের পাঁচজনকে তো অন্তত পাঁচহাজার একসাথে হারাতে হবে।(কহিল)
।।।
।।।
কহিল স্যার আমাদের আবার টেলিপোর্ট করে নিয়ে আসলো। এবং বলতে লাগলো,
.
–তাহলে ট্রেনিং আজকের মতো শেষ। আমি তোমাদের সময় দিচ্ছি একদিনের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। ব্লাক আর্মিতে থাকতে হলে এভাবে শত্রুদের জীবন নেওয়া শিখতে হবে, অবশ্য সেটা জেনারেলের অর্ডার অনুযায়ী হবে। চাইলে নিজেদের বাসায় চলে যেতে পারো। আর এখানে থাকতে হলে এইটা প্রতিদিনের অভ্যাস করে নিতে হবে।(কহিল)
।।।
।।।
সাথে সাথে কহিল স্যার টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। আমরা পাঁচজন একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। তারপর ধপাস করে ঘাসের উপরে বসে পরলাম।
.
–আমি কি দেখলাম সেটা বুঝতে পারছি না। তার এই বয়সেই সে একসাথে দুহাজার শত্রুদের সাথে সাথে মেরে ফেললো।(হ্যারি)
.
–আমাদের এখানে থাকতে হলে এভাবেই রোজ সবার জীবন নিতে হবে তাহলে?(এলিহা)
।।।
।।।
লুসি এবং লুসানা কিছু বলছে না। ওরা আতঙ্কে আছে এখনো সেটা দেখার পর থেকে।
.
–আমরা মিলিটারিতে প্রথমেই ভর্তি হয়েছি শক্তিশালী হওয়ার জন্য যদি এখন দুর্বল হয়ে যাও তাহলে তোমরা বাসায় চলে যেতে পারো।(আমি)
.
–আমি তো মোটেও দুর্বল হচ্ছি না। কহিল স্যারের সেই স্পেলটা দেখার পর থেকে আমি আরো উত্তেজিত হয়ে গেছি। জ্যাক আমরা দুজনো একসময় এরকম করে পুরো শত্রুদের হারিয়ে ফেলবো। আমি এখনি ফিল করছি সেটা।(হ্যারি)
.
–এটা আপাতোতো সাধারন শত্রুদের দল ছিলো। আমি আশা করছি কহিল স্যারের মতো আরো হাজার হাজার শত্রু আমাদের জন্য ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছে। আমাদেরকে যে করেই হোক শক্তিশালী হতে হবে।(আমি)
.
–হ্যা।(হ্যারি)
.
–লুসি এবং লুসানা তোমাদেরকে বলবো একটাবার ভালো করে ভাবার জন্য। আমি জানি তোমরা দুজন কোনো আক্রমনের স্পেল ব্যবহার করতে পারো না। কিন্তু সেদিন তোমাদের জন্যই আমরা এখন জীবিত আছি। আমি জানি আমরা পাঁচজন একসাথে থাকলে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবো।(আমি)
.
–হ্যা জ্যাক একদম ঠিক বলেছে।(হ্যারি)
।।।
।।।
লুসি এবং লুসানা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেলো এখন। আমরা সবাই গল্প করতে লাগলাম একসাথে। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, আমার সামনে এতো লোক মারা গেলো কিন্তু আমার মনের মধ্যে কোনো কিছু ফিল করি নি তাদের জন্য আমি। বরং তাদের মৃত্যু দেখে আমার মনের মধ্যে অনেকটা তৃপ্তুি পাচ্ছিলো। আমি জানি না এটা কিসের জন্য।
.
–কহিল স্যার আমাদের তেমন ট্রেনিং করলো না। তারমানে আমাদের নিজেদেরই ট্রেনিং করতে হবে।(হ্যারি)
.
–হ্যা বিশেষ করে আমার স্পেলের উপরে কাজ করতে হবে। হ্যারি আমি চাই তুমি আমার উপরে আক্রমন করো। একদম সিরিয়াস ভাবে আক্রমন করবে।(আমি)
.
–একদম সিরিয়াস?(হ্যারি)
.
–হ্যা। নাহলে আমার ক্ষমতা সম্পর্কে আমি সম্পূর্ন তথ্য পাবো না।(আমি)
.
–ঠিক আছে।(হ্যারি)
।।।
।।।
হ্যারি আসলেই সিরিয়াস হয়ে আমার উপরে আক্রমন করতে লাগলো। ওর এট্রিবিউট বায়ুর হওয়ায় বায়ুর বিভিন্ন স্পেল আমার দিকে ছুড়তে লাগলো। বিশেষ করে বেশ কিছু এয়ার ব্লেড আমার দিকে ছুড়েছে। এয়ার ব্লেড এতো ধারালো সেটা যে কোনো জিনিসই কেটে দিতে পারে, কিন্তু হ্যারি ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠে নি এয়ার ব্লেড পুরোপুরি ভালো করে ব্যবহার করার মতো। ওর গুলো ভয়ঙ্কর, কিন্তু টার্গেট মিশ হয়ে যায়। আমার হাত পায়ের সব বিভিন্ন অংশই কেটে গেছে ওর এয়ার ব্লেডে। আমি ভাবছিলাম হয়তো আমার হাতগুলো বের হবে পিঠ থেকে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু বের হচ্ছে না সেগুলো। আমি সবটাই চেষ্টা করছি। আমার মনে হচ্ছে কোনো সিকরেট কোড আছে হাতগুলো বের করার। কিন্তু সবকিছু চেষ্টা করার পরও কোনো কিছু হচ্ছে না। এদিকে হ্যারি যত আক্রমন আমার দিকে করছে আস্তে আস্তে তা আরো শক্তিশালী এবং আমার দিকেই আসছে। আমাকে খুব সাবধানের সাথে সেগুলো থেকে সরে যেতে হচ্ছে। এয়ার ব্লেড খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু আমি সোজা ম্যাজিকই দেখতে পারি। এজন্য যেকোনো স্পেল আমার দিকে আসলে আমি সেটাকে স্পষ্ট দেখতে পাই, এতে আমার সরে যেতে সুবিধা হয় অনেক। কিন্তু এখন সেটাও সুবিধা হচ্ছে না। কারন হ্যারির এয়ার ব্লেড এখন আগের থেকে অনেক বড় আকার নিয়েছে। হ্যারি সেটা ছুরলে আমার দিকে অনেকটা জায়গা নিয়ে আসে। তাই সেটা থেকে সরে যাওয়া অসম্ভব আমার জন্য। একটা এয়ারব্লেড নিজ দিয়ে ছুরলো আমি লাফ দিয়ে সেটা থেকে সরে গেলেও আরেকটা সেই সময়েই উপর দিয়ে ছুরেছে হ্যারি, আর সেটা আমার মাথা বরাবরই আসছে। এখন এটা আমার মাথায় লাগলে মাথা দুটুকরো হয়ে যাবে। আমি আমার চোখ বন্ধ করে ফেললাম। আর তখনি আমি অনুভব করলাম আমার পিঠ দিয়ে কিছু একটা বের হয়েছে। আর এবার একটা হাতই বের হয়েছে। হাতটা হ্যারির এয়ারব্লেড থামিয়ে দিলো, এবং সাথে সাথে আরেকটা এয়ারব্লেড হ্যারির দিকেই ছুড়ে মারলো। কিন্তু আমি লক্ষ করলাম হ্যারির থেকে এটার ম্যাজিক পাওয়ার দ্বিগুন হয়ে গেছে। লুসি এবং লুসানা হ্যারির চারিদিক দিয়ে একটা ঢাল বানিয়ে দিয়েছে। তারা আমাকেও সাহায্য করতে চেয়েছিলো কিন্তু আমিই তাদের মানা করে দিয়েছিলাম। দুজনের ঢালও এয়ারব্লেডকে থামিয়ে রাখতে পারলো না। ঢালকে কেটে ভিতরে ঢুকে পরলো, আর তখনি এলিহা এর তলোয়ার দিয়ে এয়ারব্লেডটা কেটে দু টুকরো করে দিলো। আর সেটা তাদের দুজনের দুপাশ দিয়ে চলে গেলো।
।।।
।।।
আমি এই লড়াই থেকে বুঝতে পারলাম আমার ক্ষমতার সম্পর্কে। আমার আপাতোতো এই ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনে নেই। এর জন্য আমার জীবন যখন একদম ঝুকির মুখে পরে তখন আমার শত্রুর সকল আক্রমন এটা তাদের দিকেই ফিরিয়ে দেই সেটার শক্তি দ্বিগুন করে। আর তখন আমার শরীর এবং আমার শরীরের সাথে অন্য কারো স্পর্শ লাগলে সকলেই একা একাই হিল হয়ে যাবে। ক্ষমতাটা অনেক কাজের। কিন্তু যদি এটা আমি নিজ ইচ্ছায় ব্যবহার করতে পারতাম তাহলে আরো ভালো হতো।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ০৮
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি এই লড়াই থেকে বুঝতে পারলাম আমার ক্ষমতার সম্পর্কে। আমার আপাতোতো এই ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনে নেই। এর জন্য আমার জীবন যখন একদম ঝুকির মুখে পরে তখন আমার শত্রুর সকল আক্রমন এটা তাদের দিকেই ফিরিয়ে দেই সেটার শক্তি দ্বিগুন করে। আর তখন আমার শরীর এবং আমার শরীরের সাথে অন্য কারো স্পর্শ লাগলে সকলেই একা একাই হিল হয়ে যাবে। ক্ষমতাটা অনেক কাজের। কিন্তু যদি এটা আমি নিজ ইচ্ছায় ব্যবহার করতে পারতাম তাহলে আরো ভালো হতো। আমরা সকলেই ট্রেনিং করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম।
।।
।।
রাতের সময় সবাই ঘুমিয়ে পরেছে। আমি হাটতে হাটতে বাইরে চলে আসলাম। আমাদের যেখানে আনা হয়েছে জায়গাটা অনেক সুন্দর। চারিদিক দিয়ে সমুদ্র এবং তার মাঝে ছোট একটা দ্বীপ। এখানে সাধারন কোনো লোকজন বসবাস করে না। শুধু মাত্র মিলিটারিরাই এই দ্বীপটা ব্যবহার করে। আমি দ্বীপের সৌন্দর্য দেখতে লাগলাম। হাটতে হাতটে অনেকটা শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এখান থেকে সমুদ্রের পানি স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই দ্বীপের একটা জিনিস আমার খুব ভালো লেগেছে। সব জায়গাতেই বড় বড় ঘাস দেখা যায়। আমি ঘাসের উপরে বসে পরলাম। এবং রাতের পানি দেখতে লাগলাম। সমুদ্রের পানির উপরে আজ পাঁচটা চাদের আলো একসাথে পরেছে যার জন্য পানি একদম উজ্জল দেখা যাচ্ছে। পানিতে বিভিন্ন ধরনের প্রানীরা মনে আনন্দে খেলা করছে। অনেক প্রানী আছে যারা চাঁদের আলোতে শক্তিশালী হয়ে উঠে। আমাদের দুনিয়াতে মোট পাঁচটা চাদ রয়েছে৷ প্রথমে একটা চাদই দেখা যায়। কিন্তু প্রতি ছয়দিন পর পর এক একটা করে চাঁদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এভাবে চব্বিশতম দিনে পাঁচটা চাঁদ দেখা যায়। আবার একত্রিশ তম দিনে একটা চাঁদই দেখা যায়। আকাশে যেদিন চাঁদের সংখ্যা এবং আলো বেশী হবে সেদিন রাতের প্রানীদের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
।।।
।।।
আমি শুয়ে পরলাম ঘাসের উপরে। আমি জানি না কেনো? কিন্তু আমারও অনেক শক্তিশালী হওয়ার ইচ্ছা করছে। আপাতোতো এই দুনিয়াতে শক্তিশালী মানুষদের সংখ্যা অনেক কমই, ইতিহাসে কিছু সংখ্যক মানুষদের নাম উল্লেখিত রয়েছে যারা অনেক শক্তিশালী ছিলো। কিন্তু তারপরও মানুষদের এখনো সবচেয়ে ছোট চোখে দেখা হয়। আমি জানি না অন্যান্য গোত্রের সাথে মানুষের কি সমস্যা। সকল গোত্রই ঠিকমতো বসবাস করলেও মানুষদের বাকি গোত্রের কেউ দেখতে পারে না। আমার ইচ্ছা আমি ইতিহাসের শক্তিশালী লিজেন্ড যারা মানুষ ছিলো তাদের মতো শক্তিশালী হবো। এবং এই দুনিয়া থেকে মানুষদের অনেক উচু পর্যায়ে নিয়ে যাবো। আপাতোতো আমার যে অবস্থা তাতে কিছুতেই কিছু হবে না। যদি কোনো দিক দিয়ে আমি শক্তিশালী হতাম তাহলেই কাজ হয়ে যেতো। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম। আজকে তারাতে পুরো আকাশ ভরে গেছে। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা গোনার চেষ্টা করতে লাগলাম। আমি একটা বইয়ে পড়েছি এই দুনিয়ার বিশেষ কিছু জায়গা আছে যেখানে কেউ গেলে প্রচুর পরিমান শক্তি এবং নানা রকমের ম্যাজিকাল পাওয়ার অর্জন করতে পারে। এছাড়াও অনেক স্বর্ন, হিরাও পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত কয়েকটা জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে কিন্তু কিছু স্বর্ন মুদ্রা বাদে অন্য কোনো কিছু কেউ পায় নি।
।।।
।।।
আমার এখন মন চাচ্ছে সেই একটা জায়গায় যাওয়ার যেখানে গেলে আমি অনেক ক্ষমতা অর্জন করবো। আমি জানি না এটা সত্যি কিনা, কিন্তু যদি সত্যি সেখান থেকে ক্ষমতা অর্জন করা যেতো তাহলে অনেক ভালোই হতো। যায়হোক আমি পায়ের উপরে পা তুলে ঘাসের উপরে শুয়ে ছিলাম হঠাৎ কোথা থেকে একটা রংধনুর মতো আলো পরতে লাগলো আমার সামনে। আলোটা এতো উজ্জল যে আমি ভালো করে দেখতে পাচ্ছি না সেটার ভিতরে কি। আমি আস্তে আস্তে আমার হাত বারিয়ে দিলাম সেটার ভিতরে আমার হাত সহ আমি ভিতরে ঢুকে গেলাম। অনেকটা টেলিপোর্টেশন গেইটের মতো ছিলো জিনিসটা। আমাকে সোজা একটা অচেনা ভয়ঙ্কর জায়গাতে ফেলে দিলো এই অদ্ভূদ আলোটা। জায়গাটা অনেক অদ্ভূদ। চারিদিকে অন্ধকার হলেও পুরো জায়গার মধ্যে ম্যাজিক পাওয়ার ঘুরঘুর করছে। যেহেতু আমি ম্যাজিক দেখতে পারি তাই আশেপাশের ম্যাজিক পাওয়ার অনেকটা আলোর মতো কাজ করছে আমার জন্য। জায়গাটা দেখে অনেকটা গুহার মতো লাগছে। কিন্তু আমি জানি এখানে আমি কখনো আসি নি। আর নিজে আমি এখনো টেলিপোর্টেশন ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না। তাই আমার মনে হচ্ছে অন্য কেউ আমাকে এখানে এনেছে। কিন্তু আমাকে এখানে আনার কারন আমি বুঝতে পারছি না। কিসের জন্য আনা হয়েছে সেটাও বুঝতে পারছি না। কিন্তু আমি ম্যাজিক পাওয়ার এর স্রোত দেখতে পাচ্ছি। পাওয়ারগুলো আমার সামনের দিক দিয়ে আসতেছে। তাই আমিও দেরী না করে সেদিকে যেতে লাগলাম। বুঝতে পারলাম এদিকে গেলেই আমি এই পাওয়ারের সোর্চের কাছে পৌছে যাবো। আমি ভাবি নি ম্যাজিক পাওয়ার আমাকে দেখার সুযোগ করে দিবে। কিন্তু এটা ভালোই কাজের একটা ক্ষমতা আমি সেটা বুঝতে পারলাম। অন্ধকারে অনেক কাজে দিবে। যাইহোক আমি সামনের দিকে হাটতে লাগলাম। অনেকটা ভয় করছে আমার এখন। যদিও আমার শেষ মুহুর্তে আমার পিঠের হাত বের হয়ে আমাকে রক্ষা করে, কিন্তু তার আগে যে ক্ষত গুলো আমার শরীরে হয় তাতে অনেক ব্যথা এবং কষ্ট পাওয়া যায়। আর এটা একটা গুহা বলা যায়না কোথা থেকে কোনো মারাত্মক প্রানী আমার উপরে আক্রমন করে দিতে পারে। আমি হাটতে হাটতে একটা ছোট পানির পুকুরের কাছে চলে আসলাম। পুকুরটা অনেক ছোট। কিন্তু ভালোই পরিস্কার পানি দেখতে পাচ্ছি আমি। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই পানির উপরেই একটা বিশাল লাল ড্রাগন দাড়িয়ে আছে। আমি অনেকটা ভয় পেয়ে গেলাম। আর যখন ড্রাগনটা জোরে চিৎকার করে উঠলো আমার তখন মনে হলো এই পুরো গুহা আমার উপরে এসে পরবে। আমি অনেক ভয় পেয়ে গেলাম। কারন ড্রাগনদের সবচেয়ে মারাত্মক প্রানী বলে জানা যায়।
।।।
।।।
অনেক আগেই দুনিয়ার সকল ড্রাগনরা প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার কারনে এক এক করে বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগনরা বেঁচে যায় এবং তারা আবার তাদের বংশবিস্তার করতে শুরু করে, তখন ড্রাগনদের সংখ্যা খুবই কম ছিলো, তখন এই সুযোগে সকল গোত্রের লোকেরা মিলে ড্রাগনদের হত্যা করে এক এক করে। বিশেষ করে যারা সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলো তাদের হত্যা করতে পারে নি বরং ম্যাজিক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তাদের আটকে রাখা হয়। ধারনা করা হয়, দুনিয়াতে মোট ছয়টা ড্রাগন জীবিত আছে যাদেরকে বিভিন্ন গোপন জায়গায় সিল করে রাখা হয়েছে। তারা এতোটাই শক্তিশালী যে যদি তারা মুক্ত হয়ে যায় তাহলে এই পুরো দুনিয়ার সবাইকে মেরে ফেলতে পারবে।
।।।
।।।
আর আমি এখন একটা ড্রাগনের সামনে দাড়িয়ে আছি। যেহেতু এটার রং লাল, তাই আমি ধারনা করছি এটা লেজেন্ডারী ফায়ার ড্রাগন। বাকি সকল ড্রাগনদের মধ্যে সবচেয়ে রাগী এবং শক্তিশালী এই লাল ফায়ার ড্রাগন। এটা হয়তো আরো বিশ থেকে ত্রিশ হাজার বছর আগের কথা যখন ছয় ড্রাগনকে আটক করে রাখা হয়েছে, ধারনা করা হয় এতোদিনে সকল ড্রাগনই মারা গিয়েছে। কিন্তু আমার সামনে যে রেড ড্রাগন দাড়িয়ে আছে এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। ড্রাগনের চিৎকারে অনেকগুলো তরঙ্গ আমার দিকে এগিয়ে আসলো। আর সেটার আক্রমনে আমি গুহার একটা দেওয়ালের সাথে গিয়ে ধাক্কা খেলাম। ধাক্কা খেয়ে আমি বসে পরলাম। ডান হাতের অনেক ব্যথা পেলাম আমি ধাক্কা খাওয়ায়। এবার ড্রাগনটা কথা বলতে লাগলো,
.
–তাহলে ছয় হাজার বছর পর কেউ আমার সাথে দেখা করতে আসলো। কিন্তু সেটা আবার একটা সাধারন মানুষ।(এটা বলে ড্রাগনটা হাসতে লাগলো)
.
–আপনি কি সত্যি একটা ড্রাগন?(আমি)
.
–কেনো বাচ্চা আমাকে কি অন্য কিছু মনে হচ্ছে?(ড্রাগন)
.
–না মানে সকল ড্রাগনদের তো পরে যাওয়ার কথা ছিলো৷(আমি)
.
–ছোট বাচ্চা তুমি এগুলো মাথায় ঢুকবে না। তো কি মনে করে এখানে আসলে? অনেক বছর হয়ে গেছে লোকজনের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় আমি ভুলে গেছি।(ড্রাগন)
.
–ও আসলে।।(আমি আমার পাশে অনেকগুলো কঙ্কাল দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলাম)
.
–ভয় পাওয়ার কোনো কারন নেই। ঔগুলো তোমার মতো জীবিত ছিলো। তোমার মতো আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো। কিন্তু আমি তাদের খেয়ে ফেলেছিলাম রোস্ট করে।(ড্রাগন)
.
–কি????(আমি আরো জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম)
.
–আরে কি বলে ফেললাম। আমি তো ভুলেই গেছি তুমি ছোট বাচ্চা। তোমাকে ভয় দেখানো যাবে না। এদিকে আসো একটু আদর করে দি।(ড্রাগন)
.
–না আমি কাছে গেলে আপনি আমাকেও খেয়ে ফেলবেন।(আমি)
.
–আসলে প্লান সেটাই ছিলো কিন্তু কয়েক বছর আগে। এখন আমার অনেক বয়স হয়ে গেছে। আমার শরীরের ম্যাজিক পাওয়ার এখন আর আমার শরীরে থাকছে না। খুব শীঘ্রই আমি মারা যাবো।(ড্রাগন)
।।।
।।।
আমার ড্রাগনটার জন্য মায়া লাগলো। আমার ভয় অনেকটা কেটে গেলো। আমি কথা বলতে লাগলাম।
.
–আপনি এখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন নি?(আমি)
.
–করেছি অনেক। কিন্তু বাকি পাঁচজন ড্রাগনের থেকে আমার এই সিল(লক) সবচেয়ে শক্তিশালী। এজন্য বাকি পাঁচজন হয়তো এখন বাইরের দুনিয়াতে ঘুরে বেরাচ্ছে কিন্তু আমি এখনো এখানে বন্ধী আছি।(ড্রাগন)
.
–বাকি পাঁচজন বাইরে ঘুরে বেরাচ্ছে মানে? আমি তো এমন কোনো তথ্য শুনি নি।(আমি)
.
–ছোট বাচ্চা তুমি বুঝবে না এতো কথা। একটা সময় ছিলো যখন আমার মাথায়ও এসব ঢুকে নি, তখন এখানে আমার সাথে যারা দেখা করতে এসেছিলো আমি তাদের সবাইকে খেয়ে ফেলেছি। কিন্তু এই ভুল আর করা যাবে না।(ড্রাগন)
.
–আমি আপনার কথা বুঝতে পারছি না।(আমি)
.
–দেখো বাচ্চা। আমি এতো বছর যাবৎ এখানে আসা সকল প্রানীকে মেরে খেয়ে ফেলেছি। আমি জানি এখান থেকে মুক্ত হওয়ার একটাই রাস্তা ছিলো সেটা হলো যারা আমাদের ভাইবোনদের ধোঁকা দিয়ে মেরে ফেলেছে, আমাকে এখানে বন্ধী করেছে তাদেরই গোত্রের একজনের সাহায্য নেওয়া। কিন্তু আমার রাগ বেশী হওয়ায় আমি তাদের সাহায্য ছাড়ায় এখান থেকে মুক্ত হতে চেয়েছিলাম, তাই যত লোকই এখানে এসেছে তাদের আমি মেরে ফেলেছি, কিন্তু গত পুরো ছয় হাজার বছরের মধ্যে কেউ আসে নি। আমি এর মধ্যে আমার সকল রাগ ছেড়ে দিয়েছি। আমি জানি আমার এই আসল ফর্মে আমি আর বেশী দিন বাঁচবো না, তাই আমি আশায় ছিলাম শুধু একজনের এখানে আসার জন্য। অবশ্য আমি কোনো মানুষের আশায় ছিলাম না। তারপরও একজন মানুষ আসলে শক্তিশালী একজন মানুষ আসবে এই আশায় ছিলাম। কিন্তু শেষে একটা ছোট বাচ্চা আসলো, আর সেটা তুমি।(ড্রাগন)
.
–কি বললেন বেশী মাথায় ঢুকলো না। তবে এটা বুঝতে পারলাম আপনি সাহায্যের অপেক্ষায় ছিলেন আর ছয় হাজার বছর পর আমি এসেছি।(আমি)
.
–হ্যা। এখন আমি জানি না তোমাকে মেরে ফেললে পরে কেউ আসা পর্যন্ত বেচে থাকবো কিনা, তাই আমাকে তোমার সাহায্যই দরকার।(ড্রাগন)
.
–এখন বুঝতে পারতেছি। আপনি আমার সাহায্য নিয়ে এই গুহা থেকে বের হবেন। আর আমি সাহায্য না করলে?(আমি)
.
–খেয়ে ফেলা ছাড়া আমার উপায় নেই।(ড্রাগন)
।।।
।।।
আমি ড্রাগনের কথা শুনে ঢোক গিললাম। আমি জানি আমার যে বয়স, এবং ক্ষমতা এতে আমি একটা ড্রাগনের সাথে লড়তে পারবো না। এখানে সাহস দেখানোও ঠিক হবে না। আর ড্রাগনকে মুক্ত করাও আমার ঠিক হবে না। কিন্তু নিজের জীবন রক্ষা করতে হলে আমাকে শুনতে হবে ড্রাগনের কথা। আবার যদি আমি ড্রাগনটার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারি তাহলে আমি আগের থেকে আরো শক্তিশালী হয়ে যাবো। কি করবো সেটা ভাবতে লাগলাম
.
–তো কি করতে হবে আমাকে?(আমি)
.
–তেমন কিছু করতে হবে না। কিন্তু আগেই বলে দিচ্ছি, আমি কারো সাহায্য ফ্রিতে নি না। এই সিল না থাকলে আমার কোনো সাহায্যেরই প্রয়োজন হতো না। কিন্তু এখন এই ফর্মের সময় শেষ হয়ে আসছে তাই আমি আমাকে সাহায্যের বিনিময়ে তোমার একটা ইচ্ছা পূরন করে দিতে চাই। তোমার ইচ্ছা কি সেটা বলো?(ড্রাগন)
.
–যে কোনো ইচ্ছা?(আমি)
.
–হ্যা আমি এখন আমার শেষ ক্ষমতা ব্যবহার করবো। এটা দিয়ে আমি যেকোনো জিনিস তোমাকে দিতে পারবো। কি চাও তুমি বলো।(ড্রাগন)
.
–তাহলে আমি পাওয়ার চাই। আমি কোনো রকম ম্যাজিক এখনো ব্যবহার করতে পারি না। জানি না কেনো কিন্তু আমার দ্বারা ম্যাজিক ব্যবহার হয় না। আমার দুটো ক্ষমতা আছে যেটা আমি নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। কিন্তু আমাকে শক্তিশালী হতে হবে। শক্তিশালী হতে হবে আমার পরিবারকে রক্ষা করতে। মানুষেরা এই দুনিয়াতে তেমন সুখে নেই, আমি শক্তিশালী হতে চাই মানুষদের মান সম্মান বৃদ্ধি করার জন্য।(আমি)
.
–তোমার স্টাইল আমার পছন্দ হয়েছে। আশা করি কয়েক বছরের মধ্যেই আমাদের দেখা হবে। আমার নাম ইগড্রাসিল দ্যা মাইটি ফায়ার ড্রাগন। আমার শরীরের সবচেয়ে শেষ অংশ তোমার সংরক্ষনে দিয়ে যাচ্ছি, ভালো যত্ন নিবে বাচ্চা।(ড্রাগন)
।।।
।।।
হঠাৎ ড্রাগনটা জ্বলতে লাগলো। চারদিকে রংধনুর মতো আলো দেখা যাচ্ছে। আর আস্তে আস্তে ড্রাগনের আকার ছোট হয়ে যাচ্ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো একদম ছোট হয়ে যাবে, কিন্তু না ড্রাগনের বিশাল শরীর একটা তলোয়ারে ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো। আর সেটা হাওয়ার মধ্য থেকে উড়ে ঠিক আমার দুই হাতে চলে আসলো। আমি এখনো বসে ছিলাম মাটিতে। তলোয়ারটা আমি ডানহাতে ধরলাম। ধরার সাথে সাথে আমার পুরো ডান হাতে আগুন জ্বলে উঠলো। অনেকটা জ্বলতে লাগলো, কিন্তু কিছুক্ষন পর ঠিক হয়ে গেলো। আমার ডান হাতে আমি লক্ষ করে দেখলাম লাল রঙের একটা ড্রাগনের ছবি আকা হয়ে গেছে সেখানে। হঠাৎ এই জায়গায় আবার আগের মতো একটা টেলিপোর্টেশন গেইট খুলে গেলো। আমি আবার আগের সেই জায়গায় চলে আসলাম যেখান থেকে আমি সেই গুহার মধ্যে গিয়েছিলাম। আমার হাতে তলোয়ারটা এখনো আছে। তলোয়ারের ব্লেড দিয়ে আগুন বের হচ্ছে। আমি পুরো আশ্চর্য এই তলোয়ার দেখে। কিন্তু একটা জিনিস আমার মাথায় আসলো না আমি ড্রাগনটাকে মুক্ত করলাম কিন্তু গেলো কোথায় সে? এই তলোয়ারের ভিতরে চলে গেলো না তো আবার,
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।