#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৪৩
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি ড্রাকুলার হোটেলে পোছে গেলাম। একদম বনের মধ্যখানে তার হোটেলটা অবস্থিত রয়েছে। বনটা পুরো একটা রাজ্যের বিশ ত্রিশটা শহরের সমান হবে। আর তার ঠিক মাঝখানে ড্রাকুলার হোটেল টেলিপোর্ট হয়ে এসেছে। আমি বুঝতে পারছি না এখানে সে রাজ্য তৈরী করবে কিভাবে? কেউ উড়ে না আসলে বনের মধ্যে নিশ্চিত হারিয়ে যাবে। ড্রাকুলার প্লান কি আমি বুঝতে পারছি না। তার মাথায় কি আছে সেটা তো আমি তার সাথে কথা বলেই বুঝতে পারবো। আপাতোতো আমি হাটতে লাগলাম। আবারো থরের সাথে সবগুলো রুম চেক করতে লাগলাম। অনেক বড় হোটেলটা। আর রুমের সংখ্যাও অধিক। তাই খুজতে খুজতে সমস্যা হচ্ছে। হোটেলটা চারিদিক দিয়ে উচু বানানো হয়েছে, তবে মাঝখানে অনেকটা অংশ নিয়ে নিচু, যেখানে আমি লিম্বো ডাইমেনশনে ট্রেনিং করেছিলাম। সেখানে ঘাসের একটা মাঠ আছে। সুন্দর একটা বাগান আছে, কয়েকটা বিশাল গাছ আছে, এবং একটা সুন্দর পুকুরও আছে। আমি ভাবলাম সেখানেই হয়তো ড্রাকুলা আছে। তাই আমি সোজা সেখানে চলে গেলাম থরের সাথে করে। যেহেতু থর এখানে অনেকটা সময় কাটিয়েছে লিম্বোতে তাই পুরো এই হোটেলটা তার চেনা হয়ে গেছে। থর আমাকে সেই মাঝখানে ফাকা মাঠে নিয়ে গেলো। আমি মাঠের বাগানের এক পাশে প্রিন্সেস এলিনাকে দেখতে পেলাম। কিন্তু ড্রাকুলার কোনো খবর পেলাম না। আমি প্রিন্সেস এর কাছে এগিয়ে গেলাম। প্রিন্সেস কাদতেছিলো বাগানের পাশে দাড়িয়ে। কি বলবো বুঝতে পারছি না। আমাকে দেখতে পেয়ে জরিয়ে ধরলো। কিছু বলার মতো খুজে পেলাম না। এরকম মনে হচ্ছে ড্রাকুলা কিছু করেছে ওর সাথে? হয়তো খারাপ কিছু?
.
–কিছু কি হয়েছে প্রিন্সেস?(আমি)
.
–কতো কিছু হয়েছে। তুমি কিছু করলে না যখন এই শয়তান আমাকে নিয়ে আসলো।(এটা বলে এনা কাদছে)
.
–প্রিন্সেস কি হয়েছে বলুন আমাকে এভাবে না কেদে।(আমি)
.
–ঔ মনস্টার টা আমাকে সবটা সময়, সবটা সময়….(এটা বলে আবার কাদতে লাগলো)
.
–খারাপ কিছু করেছে?(আমি)
.
–আমাকে তার রাজ্যের রানী বানানোর জন্য জোর করেছে। আমি সবটা সময় না বলে দিয়েছি, কিন্তু তারপরও আমার উপরে বিভিন্ন ধরনের আজব ম্যাজিকের ব্যবহার করেছে।(প্রিন্সেস)
.
–ও এই ব্যাপার।(আমি)
.
–হ্যা। আমি এখানে থাকতে চাই না জ্যাক। তুমি আমাকে নিয়ে যাও।(প্রিন্সেস)
.
–আমার মনে হয় না পুরো একটা রাজ্য আমাদের উদ্ধার করতে আসলেও আমরা ড্রাকুলার থেকে বাঁচতে পারবো। আর ড্রাকুলা খারাপ কোনো লোক না।(আমি)
.
–তুমি তাকে চিনো?(প্রিন্সেস)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–তাহলে তাকে বলো আমাদেরকে ছেড়ে দিতে।(প্রিন্সেস)
.
–মনে হয় না সেটার প্রয়োজন হবে। প্রথমে শুনি কি বলে সে।(আমি)
৷।।।
।।।।
আমি প্রিন্সেস এর সাথে কথা বলছিলাম আর তখনি ড্রাকুলা চলে আসলো। ড্রাকুলা আমার কাছে এসে আমার কাধে হাত দিলো। এবং সাথে সাথে আমরা দুজনে টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম। আমি বুঝতে পারলাম না কোথায় আসলাম৷ কিন্তু মনে হচ্ছে কোনো রুমের মধ্যে আছি আমরা। রুমের মধ্যে একটা সোফা, একটা ফ্রিজ, একটা টেলিভিশন এবং সোফার উপরে বসে আছে আমার ডেভিল সত্ত্বা যার সাথে লিম্বোতেই দেখা হয়েছিলো ড্রাকুলার এজগার্ড নামক হোটেলে। ডেভিল সত্ত্বার হাতে পপকর্ন যেটা সে খাচ্ছে, এবং টেলিভিশন দেখছে। আমি টিভি দেখে অনেকটা অবাক হলাম৷ বেশী অবাক হলাম কারন সেটা চলছে, এবং সেটার মধ্যে নতুন দুনিয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। মূলত টিভিতে আমার এবং লুকের ফাইটের দৃশ্য চলছিলো। কিভাবে চলছে সেটা আমি বুঝতে পারছি না। তবে এটা জানার ইচ্ছা আমার আছে।
.
–আমাকে এটা কোথায় আনলেন? এবং এখানে আমার লড়ার দৃশ্য কিভাবে টিভিতে চলছে?(আমি)
.
–দুনিয়াতে পা রাখার পর থেকে অনেক কিছু হয়েছে। নতুন দুনিয়া সম্পর্কে সবকিছু জানতে পেরেছি তোমার ব্রেইনে থাকা জ্ঞান থেকে, এবং সেটাকে আমি নতুন ভাবে কাজে লাগিয়েছি। যেহেতু ম্যাজিকাল এই দুনিয়াতে সাইন্সের কোনো অস্তিত্ব নেই, তাই আমি ম্যাজিক এবং সাইন্সের মাধ্যমে কিছু আবিষ্কার করেছি এই লিম্বোতে এসে।(ড্রাকুলা)
.
–ওও তাহলে এটা লিম্বো ডাইমেনশন?(আমি)
.
–হ্যা। আমার থাকারও একটা জায়গা প্রয়োজন ছিলো, আমি যেহেতু স্বাধীন হয়ে থাকতে চাই, আর সেটার জন্য এই লিম্বোই আমার জন্য পারফেক্ট জায়গা। আমার থাকার জন্য ড্রাকুলা এই জায়গা বানিয়ে দিয়েছে।(ডেভিল সত্ত্বা)
.
–হ্যা এটা লিম্বো ডাইমেনশন। আমি এখানেই আমার অনেকটা সময় কাটিয়েছি, এতে করে দুনিয়াতে আমার সবটা সময় বেচে গেছে। আমি আমার সব কাজ দ্রুত করতে চেয়েছি তাই আমার সকল গবেষনা এখানেই করতে হয়েছে?(ড্রাকুলা)
.
–কিরকম গবেষনা?(আমি)
.
–টিভিতে দেখতেই পাচ্ছো তোমার লড়াই এর দৃশ্য যেটা রেকোর্ড হয়ে আছে। এটা রেকোর্ড করা হয়েছে আমার এই ম্যাজিকাল ড্রোন এর সাহায্যে, যেটা আমি সাইন্স এবং ম্যাজিকের সংমিশ্রনে বানিয়েছি। যেহেতু এটা সামান্য ম্যাজিক পাওয়ার এর সাহায্যে চলে তাই আমি পুরো দুই কোটি ড্রোন বানিয়েছি, যেটা পুরো দুনিয়াতে ছড়িয়ে আছে এখন।(ড্রাকুলা)
.
–দুই কোটি ড্রোন! এতো ড্রোনের জন্য তো মারাত্মক পরিমান ম্যাজিক পাওয়ারের প্রয়োজন হবে।(আমি)
.
–হ্যা সেটা সত্য। আর সেটার জন্যও ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি সেগুলোতে সোলার প্যানেল ব্যবহার করেছি, যেটা সূর্য থেকে আসা ম্যাজিক পাওয়ার এবজোর্ব করবে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় এক মিনিট পাওয়ার এবজোর্ব করার পর একটা ড্রোন দুই দিন চলতে পারবে।(ড্রাকুলা)
.
–তাহলে আপনার এই ড্রোন এ্যারসাকেও ছিলো?(আমি)
.
–হ্যা।(ড্রাকুলা)
.
–আচ্ছা একটা কথা, আপনি এ্যারসাকে কিভাবে প্রবেশ করলেন? আমার জানা মনে সেখানে রানির আদেশ ছাড়া কেউই প্রবেশ করতে পারতো না।(আমি)
.
–আমি যখন তোমার হার্ট বের করছিলাম, তখন তোমার সকল স্মৃতিও আমার নিজের মধ্যে ট্রান্সফার করে নিচ্ছিলাম। যার কারনে এই নতুন দুনিয়া সম্পর্কে জানতে আমার সুবিধা হয়। আর সেটা থেকেই জানতে পেরেছি এ্যারসাক যেটা আগের দুনিয়ার হ্যাভেন সেটার সুরক্ষা অনেকটা আগের দুনিয়ার আন্ডারওয়ার্ল্ডের মতো। যেখানে ডেভিল কিং এর আদেশ ছাড়া কেউই আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করতে পারতো না।(ড্রাকুলা)
.
–তো কিভাবে ঢুকলেন?(আমি)
.
–তোমার জানা উচিত। কারন তুমি নিজেই ডেভিল কিং ছিলে? আর আন্ডার ওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করার সব উপায় সম্পর্কেও তোমার জ্ঞান আছে।(ড্রাকুলা)
.
–আমি বুঝতে পারছি না। এ বিষয়ে আমার মনে পরছে না?(আমি)
.
–আন্ডার ওয়ার্ল্ডে ডেভিল কিং এর আদেশ ছাড়াও প্রবেশ করা যেতো, সেটার জন্য নিজের জীবন দান করতে হতো। এবার তো মনে পরেছে?(ড্রাকুলা)
.
–হ্যা। তবে সেটার জন্য কাকে ব্যবহার করেছে?(আমি)
.
–আমার নিজের ক্লোনকে। আমি আমার শরীর থেকে একটা ক্লোন তৈরী করেছি। যে নিজের জীবন ত্যাগ করে এ্যারসাকের গেইট খুলে দিয়েছে। আমি প্রথমে সিওর ছিলাম না। তবে এ্যারসাক আগের আন্ডারওয়ার্ল্ড এর মতোই।(ড্রাকুলা)
.
–ও এখন বুঝতে পেরেছি। তাহলে আমাকে এখানে আনলেন কেনো।(আমি)
.
–দেখো আমি চাচ্ছি প্রিন্সেস এলিনা নিজেই রাজি হোক আমার রাজ্যের রানী হওয়ার জন্য।(ড্রাকুলা)
.
–কিন্তু আপনি এটার জন্য প্রিন্সেস এলিনাকেই সিলেক্ট করলেন কেনো?(আমি)
.
–কারন তার মাঝে স্পেশাল কিছু আছে। আমার যতদূর জানা এই দুনিয়া আমিই একজন যার কাছে ভ্যাম্পায়ার গড এর উপাধী রয়েছে। আর প্রিন্সেস এলিনা হবে দ্বিতীয় যে এই উপাধীটা পাবে।(ড্রাকুলা)
.
–তাহলে আপনি এখানে ভ্যাম্পায়ার রাজ্য করতে চাচ্ছেন? সেটার জন্য তো ইগড্রোলিয়া দখল করলেই হতো।(আমি)
.
–উহু। আমি কোনো ভ্যাম্পায়ার রাজ্য না। বরং আমাদের পৃথিবী আবার এখানে তৈরী করতে চাচ্ছি। যেটা পুরো পৃথিবীর মানচিত্রের মতো হবে।(ড্রাকুলা)
.
–এটা কি সম্ভব?(আমি)
.
–অবশ্যই। এবং আমি নিশ্চিত সেটাকে এলিনা রানী হয়ে অনেক সুন্দর করেই কন্ট্রোল করতে পারবে।(ড্রাকুলা)
.
–এটার জন্য একটা মানুষকে খুজলে ভালো হতো না। যেহেতু মানুষের রাজ্য করতে চাচ্ছেন। কিংবা নিজেই করতে পারতেন সেই কাজ।(আমি)
.
–রাজ্য পরিচালনা অনেক বেকার একটা কাজ। আমি রাজার আসন সেটার জন্যই ছেড়ে দিয়েছিলাম লোটাসের।(ড্রাকুলা)
.
–হ্যা অনেক বাজে একটা কাজ।(আমি)
।।।
।।।
আমি ড্রাকুলার সাথে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পারলাম। তার বয়স আমাদের থেকে অনেক। কারন আমার আগের দুই ডেভিল কিং কে সে নিজ চোখে দেখেছে, এবং তাদের সাথে লড়েছেও, আর সে মানুষের ব্লাড এর সাহায্যে তার বয়স এবং ক্ষমতা ঠিক রেখেছে, তাছাড়া সে এখানে পৃথিবী বানাতে চাচ্ছে কারন তাতে তারই লাভ হবে। তবে তার মূল উদ্দেশ্যটা কি সেটা আমার অজানা৷ সে ক্লোন স্পেল ব্যবহার করতে পারে। এটা অনেক অনেক ভয়ঙ্কর স্পেল যেটা ডেভিল কিং দের কাছে এবং এন্জেল কিং দের কাছে থাকতো। একটা সময় আমার কাছেও ছিলো। তবে আমি সেটা ব্যবহার করতে পারি নি। যাইহোক আপাতোতো আমি ড্রাকুলার কথা শুনতে চাই। তার বিরুদ্ধে যাওয়ার মতো ক্ষমতা আমার নেই। আর তার কথা শুনে মনে হচ্ছে না সে খারাপ লোক। শুধু দেখা যাক সামনে কি হয়।
.
–আচ্ছা ড্রাকুলা, তাহলে আমি করবো এখান?(আমি)
.
–আমি প্রিন্সেসকে যতবার প্রপোজাল দিয়েছি রানী হয়ে যাওয়ার সে মানা করেছে, এবং তার জন্য তার উপরে মাইন্ড কন্ট্রোলের অনেক স্পেল ব্যবহার করেছি, কিন্তু কোনো কিছুতে কাজ হয় নি। আমার টেলিপ্যাথিক ক্ষমতা দিয়ে আমি তার মনের কথা শুনতে পাই, যেখানে সে সবসময় তোমাকে নিয়ে ভাবছিলো। আমি আমি বুঝতে পারলাম তাকে রাজি করানোর জন্য তোমাকেই প্রয়োজন।(ড্রাকুলা)
.
–আমি প্রিন্সেকে বলেও সে এখানের রানী হওয়ার জন্য রাজি হবে না।(আমি)
.
–সেটাও আমি একটু আগে তার মনের কথা শুনে বুঝতে পেরেছি।(ড্রাকুলা)
.
–ওওও। তাহলে কি করবো আমি এখন?(আমি)
.
–আমি তোমাকে আমার রাজ্যের রাজা বানাবো। এবং তোমার সাথে প্রিন্সেস এর বিয়ে দিয়ে তাকে রানী বানাবো।(ড্রাকুলা)
.
–এটা কোনো কথা? আমি রাজা হবো না। রাজা হওয়ার কোনো কোয়ালিটি আমার মধ্যে নেই।(আমি)
.
–তাহলে কি আমাকে বিয়ে করতে বলতেছো? মনে হয় না আমার বয়স শুনে সে রাজি হবে!(ড্রাকুলা)
.
–না না সেটাও করতে হবে না। তার চেয়ে আমি আপনাকে বুদ্ধি দেই একটা।(আমি)
.
–হ্যা।(ড্রাকুলা)
.
–আমাকে হালকা পিটাবেন আপনি। আর প্রিন্সেসকে গ্রাভিটি স্পেল এর মধ্যে রাখবেন যাতে সে কিছু করতে না পারে। আমাকে বাঁচানোর জন্য হয়তো সে রানী হওয়ার জন্য রাজি হয়ে যাবে।(আমি)
.
–যদি না হয়?(ড্রাকুলা)
.
–সেটা আমি জানি না। তবে আপনি নিশ্চয় তার মনের কথা জেনেছেন। যদি আমি তার মনের মধ্যে থাকি, তাহলো নিশ্চয় রাজি হবে।(আমি)
.
–যাক তাহলো তোমাকে পিটানোর একটা সুযোগ পেয়েছি, আমি ভাবছিলাম এরকম সুযোগ হয়তো হবে না। ধন্যবাদ তোমাকে।(ড্রাকুলা)
.
–যায় করেন, সবকিছু আস্তে কইরেন।(আমি)
.
–সেটা তো সময়ই বলে দিবে। তাহলে যাওয়া যাক। ডেভি তাহলে টিভি দেখো তুমি। আমি তোমার শরীরের মালিককে পিটিয়ে আসি।(ড্রাকুলা)
.
–আমার পক্ষ দেখেও দুটো মেরো। আর লাইভ যেনো দেখতে পাই এখানে।(ডেভিল সত্ত্বা)
.
–হ্যা অবশ্যই।(ড্রাকুলা)
.
–কি হয় এখন কে জানে?(আমি)
।।।
।।।
ড্রাকুলা আমাকে টেলিপোর্ট করলো আবারো লিম্বোতে। আমি হয়তো ভুল একটা বুদ্ধি দিয়েছি। আমাকে পিটানোর থেকে ভালো একটা বুদ্ধি দিলে ভালো হতো। পিটানি খাওয়ার থেকে তো বিয়ে করলেও ভালো হতো। কমপক্ষে তাতে এনার আদর তো পেতাম। যাইহোক রাজা হওয়ার ইচ্ছা আমার নেই, আর বিয়ের বয়স আমার হয় নি। প্রিন্সেসকে বিশ্বাস করানোর জন্য ভালো একটা ফাইট করতে হবে ড্রাকুলার সাথে। আর জানি সেটায় আমার অবস্থা ভয়ানক হবে, আর প্রিন্সেস সেটা দেখে রাজিও হয়ে যাবে রানী হতে। এখন সময় বলে দিবে সব।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৪৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
ড্রাকুলার সাথে লড়ার আমারও অনেক ইচ্ছা। এমনিতেই সে অনেক শক্তিশালী। আর তাছাড়া নতুন দুনিয়াতে সে আরো বেশী শক্তিশালী হয়েছে পাওয়ার লেভেল এর জন্য। যায়হোক আমার ইচ্ছা তার সাথে লড়া এবং কতটা শক্তিশালী আমি সেটা পরিক্ষা করা। আমি চাচ্ছি না লড়াই এর সময় ড্রাকুলা আমার হার্ট বের করুক। তাই তার থেকে দূরে থাকায় সবচেয়ে ভালো হবে। আমাকে ড্রাকুলার সাথে লড়তে হলে এবার এক্সোনিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এক্সোনিয়া যদিও আমি কাছাকাছি লড়াই এ কিছুটা ব্যবহার করতে পারি, তবে সেটা আমাকে দূরেও ব্যবহার করা শিখতে হবে।
।।।
।।।
ড্রাকুলা আমাকে নিয়ে চলে আসলো লিম্বো থেকে। আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি, ড্রাকুলা তার তলোয়ারের ব্যবহার করছে না লিম্বো থেকে বের হতে, বরং সাধারন টেলিপোর্টেশন স্পেলেই সে লিম্বো থেকে বের করে দিলো আমাদের দুজনকেই। এটা সম্ভব কিনা আমি আদৌও জানি না। যেহেতু টেলিপোর্টেশন স্পেল আমার জানা নেই, তাই আমি সেটার সম্পর্কে বেশী কিছু বলতে পারবো না। টেলিপোর্টেশন স্পেল সম্পর্কে যতটা জানি তা হলো এটার মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যায়। শুধু সেই জায়গাতেই যাওয়া যায়, যেখানে অন্তত একবার যাওয়া হয়েছে। কারন এই স্পেল ব্যবহারের সময় গন্তব্যস্থলের সঠিক দৃশ্য কল্পনা করতে হয়। আগের দুনিয়াতে লিম্বো ডাইমেনশন এগারো দুনিয়ার ডাইমেনশন ছিলো একটা। এবং সেটার সমান ডাইমেনশনই হলো লিম্বো ডাইমেনশন, যেখানে সময়ের কোনো মূল্য নেই। এক ডাইমেনশন থেকে অন্যটায় ডাইমেনশন ব্লেড ছাড়া যাওয়া যায় না। তবে ড্রাকুলা ডাইমেনশন ব্লেড ব্যবহার না করেই আমাকে এবং সে নিজে কিভাবে টেলিপোর্ট হলো আমি বুঝলাম না। নাকি তার ব্লেডটা অদৃশ্য সে বাদে হয়তো কেউ দেখতে পারবে না। যাই হোক আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম না। কারন এনার সামনেই এসেছি আমরা সময় ঠিক সেই জায়গায় আছে যখন আমরা এখান থেকে টেলিপোর্ট হয়েছি, তাই প্রিসেস আমাদের টেলিপোর্টের কোনো বিষয়ই জানে না। যদিও হালকা অস্বাভাবিক নারাচরা দেখেছে, সেটাতে কোনো সন্দেহ হবে না তার। ড্রাকুলা এবার বলতে লাগলো,
.
–প্রিন্সেস এলিনা আপনিই একমাত্র ব্যক্তি, যে কিনা আমার নতুন রাজ্যকে পরিচালনা করতে পারবেন। এবং এটাকে সম্পূর্ন মানুষ নির্ভর একটা রাজ্য করে তুলতে পারবেন।(ড্রাকুলা)
.
–আমি আপনাকে কতবার বলেছি আমি আপনার এই জনশূন্য রাজ্যের রানী হতে রাজি নই।(প্রিন্সেস)
.
–দেখুন শেষবার বলবো। যদি রাজি না হন আমি কিন্তু জোর খাটাতে বাধ্য হবো।(ড্রাকুলা)
.
–যা ইচ্ছা করেন আপনি, আমি কিছুতেই রাজি হবো না।(প্রিন্সেস)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে একটা সুযোগ দিচ্ছি। আমাকে যদি হারাতে পারেন তাহলে আপনি সহ জ্যাক আপনার মন মতো এখান থেকে চলে যেতে পারবেন। আমি মানা করবো না।(ড্রাকুলা)
.
–ঠিক আছে আমি রাজি।(প্রিন্সেস)
.
–তবে আপনি লড়বেন না। জ্যাক লড়বে আমার সাথে। যদি জ্যাক আমাকে হারাতে পারে, তাহলে আপনি এবং জ্যাক যেতে পারবেন এখান থেকে।(ড্রাকুলা)
.
–আমরা দুজনেই লড়বো আপনার সাথে।(প্রিন্সেস)
.
–না সেটা হবে না। আপনি অনেকটা আমার মেয়ের মতো, তাই আমি আপনার সাথে লড়তে চাই না।(ড্রাকুলা)
.
–প্রিন্সেস আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি তাকে হারিয়ে আপনাকে এখান থেকে নিয়ে যাবো।(আমি)
.
–কিন্তু জ্যাক সে অনেক শক্তিশালী, তুমি পারবে না একা।(প্রিন্সেস)
.
–আপনি চিন্তা করবেন না।(আমি)
।।।
।।।
আমি এবং ড্রাকুলা মাঠটার মাঝখানে এসে দাড়ালাম। দুজনেই দাড়িয়ে আছি। ড্রাকুলাকে তেমন সিরিয়াস দেখা যাচ্ছে না। তবে আমি নিজে সিরিয়াস। কারন আমি জানি ড্রাকুলা অনেক শক্তিশালী। তাকে হারাতে পারবো না আমি। তারপরও তার সাথে লড়লে আমি অনেকটা শক্তিশালী হবো সেটা আশা করা যায়। লড়াই করতে ভালো লাগলেও প্রতিটা যন্ত্রনা সহ্যের বাইরে। এক একটা হাড়ের ব্যথা অনেক মারাত্মক হয়। যদিও সেগুলো হিল হয়ে যায়, তারপরও সে ব্যথা সহ্য করা অনেক বেদনাদায়ক। আমি দাড়িয়ে না থেকে হাতে প্রথমে ভিরুদা এবং ভ্যালিকে দিলাম। আমি ভ্যালির ক্ষমতা নতুনভাবে ব্যবহার করতে শিখেছি। কারো দিকে দৌড়ে যাওয়ার থেকে ভ্যালির তলোয়ার থেকে পানি আমাকে সাহায্য করবে সামনের দিকে যেতে। সাগরের পানির স্রোতে কাঠের তৈরী সার্ফ বোর্ড দিয়ে অনেকটা দূরে যাওয়া যায়। যদিও আমার কাছে কাঠের তৈরী কোনো কিছু নেই, কিন্তু আমি বাম হাত দিয়ে ভ্যালির হাতল ধরেছি এবং দুই পা ভ্যালির ব্লেড এর উপরে রেখেছি, আর বিশাল পানির স্রোত ভ্যালির তলোয়ার থেকে বের হচ্ছে, যেটা আমাকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমি পানির স্রোতের প্রচন্ড স্পিডে ড্রাকুলার দিকে এগিয়ে গেলাম। প্রথমেই অনেকটা পানি ড্রাকুলার কাছে চলে গেছে। পানিতে ভ্যাম্পায়ারদের চলাচলের স্পিড কিছুটা কমে যায়। তাই এটা আমার পক্ষে কিছুটা ভালো হবে। আমি বাম হাত দিয়ে ভ্যালির হাতল পায়ের নিচে ধরে রেখেছিলাম। এবং ডান হাতে ভিরুদাকে নিয়ে ড্রাকুলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ড্রাকুলার সামনে গিয়ে আমি দুটো তলোয়ার ভালো করে হাতে ধরে আমি ড্রাকুলার সাথে লড়তে লাগলাম কাছাকাছি। প্রথমে ভেবেছিলাম দূরে থেকে আক্রমন করবো। কিন্তু একবার সামনে থেকে আক্রমন করে দেখে নি কি হয়। আমার প্রতিটা তলোয়ার আঘাত ড্রাকুলা নরাচরা করেই এরিয়ে যাচ্ছে। ওর স্পিড এতোটা যে ওর হাত কিংবা কোনো তলোয়ারের ব্যবহার করতে হচ্ছে না। শুধু নরাচরা করেই আমার আল্ট্রা স্পিডের তলোয়ারের আঘাতগুলো এরিয়ে যাচ্ছে সে। আমি অনেকটা রেগে গেলাম এবং তলোয়ারের সাথে পিঠ থেকে পাঁচটা গডহ্যান্ডের হাত বের করলাম। বের করার পরে সেগুলোর আকার আমি তলোয়ারের বানালাম। এবং সোজা মোট সাতটা তলোয়ার একসাথে আক্রমন করতে লাগলাম। কিন্তু একটা তলোয়ারের আঘাতও ড্রাকুলার শরীরে স্পর্শ করলো না। আমি আরো রেগে ড্রাকুলার মুখের সামনেই আমার ডান হাতে থাকা ইগড্রাসিলের তলোয়ার দিয়ে সোজা অনেকটা জায়গা নিয়ে আগুন ছুড়ে দিলাম। কিন্তু এবারো ড্রাকুলা দুটো পিছনের দিকে ফ্লিপ করলো এবং আগুন থেকে অনেকটা দূরে চলে গেলো। আমি আদৌও বুঝতে পারি নে যে আমি একটা আঘাতও ড্রাকুলাকে করতে পারবো না।
।।
।।
থরের কথায় শুধু বুঝেছিলাম তারা তিনজন যারা আগের দুনিয়া থেকে এসেছে তাদের পাওয়ার লেভেল এই দুনিয়ার থেকে অনেক। তবে ড্রাকুলা এতোটা শক্তিশালী হবে আমি ভাবতেও পারি নি। আপাতোতো তার কোনো ক্ষমতা আমি দেখি নি, বরং সে শুধু নরাচরা করে আমার সবগুলো আঘাত এরিয়েই যাচ্ছে। আমি এবার আমার ডান পা এবং ডান হাতুর তালু থেকে অনেক দ্রুত আগুন বের করতে শুরু করলাম। এবং নিজের আল্ট্রা স্পিড ব্যবহার করতে লাগলাম। আর আবারো দু হাতের দুটো তলোয়ার এবং পিঠের পাঁচটা হাত দিয়ে তলোয়ার বানিয়ে আমি ড্রাকুলার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং আক্রমন করতে লাগলাম। এবারো ড্রাকুলার কিছুই হচ্ছে না।
.
–এরকম আঘাতে তো কিছুই হবে না। মনে হচ্ছে না প্রিন্সেসকে এখান থেকে নিয়ে যেতে পারবে তুমি।(ড্রাকুলা)
.
–তাহলে ঠিক আছে আমি আমার পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করি।(আমি)
.
–তাতেও কোনো লাভ হবে না। তুমি কখন কোথায় দিয়ে আমাকে আক্রমন করবে, সেটা আমি তোমার মনের কথা শুনেই বুঝে যাচ্ছি। এমন কোনো কিছু নেই, যেটা দিয়ে তুমি আমার শরীরে একটা ক্ষত করতে পারবে।(ড্রাকুলা)
।।।
।।।
আমি ভুলেই গেছি ড্রাকুলার কাছে ট্যালিপ্যাথিক ক্ষমতা আছে, যেটা দিয়ে মনে কথা শোনা যায়। এটা অনেক ভয়ঙ্কর ক্ষমতা। শত্রুর পরবর্তী পদক্ষেপ খুব সহজে জানা যায় এটা দিয়ে এবং সেটার বিরুদ্ধে কাজ করা যায়। যদিও আগের দুনিয়ায় এটা শুধু কয়েকজনের কাছেই ছিলো। তবে এই দুনিয়ায় মনে হয় না কারো কাছে আছে। শুধু ড্রাকুলাই একজন যে এই ক্ষমতা নিয়ে ঘুরছে। আমি বুঝতে পারছি না কি করবো এখন। কারন যেটা আমি চিন্তা করছি সেটাই ড্রাকুলা জানতে পারছে।
।।।।
।।।।
আমি একটা বুদ্ধি পেলাম। আমি চিন্তা করবো বাম দিক দিয়ে মারার, কিন্তু মারবো ডান দিক দিয়ে। এতে করে ড্রাকুলা বুঝবেই না। সেটাই করতে গেলাম। কিন্তু এবারো কোনো কিছু হলো না। পুরো সাতটা তলোয়ারের একটার আঘাত তার শরীরে স্পর্শ করছে না। বরং সে খুব সহজেই সেগুলো এরিয়ে যাচ্ছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।
.
–ডান দিকে মারার কথা চিন্তা করে বাম দিক দিয়ে মারা, এটাও তোমার মাথায় চিন্তা হচ্ছে, আর এই চিন্তার ফলে আমি তোমার পরবর্তী আক্রমন সম্পর্কে জানতে পারছি। তাই যেভাবেই আঘাত করো কোনো কিছুই হবে না আমার।(ড্রাকুলা)
।।।
।।।
আমি এখন বুঝতে পারছি না। এখন একটা উপায়ই আছে, বেশী ম্যাজিক পাওয়ার এর ব্যবহার করা। আমি আমার সবটা ম্যাজিক পাওয়ার কখনো ব্যবহার করি নি। এবার সেটার সময় হয়েছে। আমি আমার দু হাত থেকে দুটো তলোয়ার পিছনে ব্যাগে ঢুকিয়ে দিলাম। ব্যাগটাও অনেক শক্তিশালী মনস্টারের চামড়া দিয়ে তৈরী করা হয়েছে, সাথে ম্যাজিকাল সুতোর ব্যবহার করা হয়েছে, এজন্য সব পরিস্থিতিতেও আমার সাথেই থাকে। ভিতরে একটা বই আছে, যেটার রং কালো। আমি আদৌও জানি না এটার মধ্যে কি আছে, কারন ডেভিল সত্ত্বার কাছ থেকে শুনেছি তার পুরো সত্ত্বাটা ডেভিল কিং এর কাছে রয়েছে। তবে এই বইয়ের মধ্যে আমি সামান্য ম্যাজিক পাওয়ার ফিল করেছি, এজন্য এটাকে ব্যাগের মধ্যে রেখে দিয়েছি। সময় মতো হয়তো এটাও খুলে দেখতে পারবো, কি এটার মধ্যে।
।।।
।।।
।।।
যাইহোক ড্রাকুলাকে কোনো আঘাতে আমি কিছুই করতে পারছি না। তাই আমি আমার পিঠ থেকে পুরো দুইশোটা হাত বের করলাম। সাধারনত এটাই আমার লিমিট। এর থেকে বেশী হাত বের করতে আমি পারি না। হয়তো সামনে আরো বের হবে, আবার নাও হতে পারে। যায়হোক সবগুলো হাত আমি কন্ট্রোল করতে পারি না। যদিও ত্রিশটা কন্ট্রোলে আছে। আর বাকিগুলো ঔ ত্রিশটাকেই ফলো করে। আমি পুরো ত্রিশটা গডহ্যান্ডকে ড্রাকুলার দিকে বাড়িয়ে দিলাম হামলা করার জন্য। যদিও দেখতে হাতের মতো, তবে সেগুলোর সাইজ একটা মানুষের সমানই হবে, আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এটা ত্রিশ মিটার পর্যন্ত আপাতোতো যেতে পারে আমার পিঠ থেকে। এজন্য আমি কিছুটা দূরে থেকে ড্রাকুলাকে আক্রমন করার চেষ্টা করছি পুরো দুইশো হাত থেকে। কিন্তু ড্রাকুলা নরাচরা এবং বেক ফ্লিপ, ফ্রন্ট ফ্লিপ, লাফ দিয়ে সবগুলো হাতের আঘাত থেকে বেচে যাচ্ছে। যদিও অনেকটা সময় পর দুটো হাতের ঘুষি খেয়েছে সে, তবে সেই দুটোই আঘাতের পরিমান যেটা তার শরীরে লাগে, দুটো ঘুষিতে কিছুই হয় না। বরং আমার হাতের আঘাতে বিরক্ত হয়ে এক পলকের মধ্যেই ড্রাকুলা আমার সামনে আসলো এবং আমার কপালে একটা টোকা দিলো। শুধু একটা টোকাতেই আমি তার মাঠের মাটি খুরতে খুরতে অনেক দূরে গিয়ে পরলাম। টোকাটা আমার কাছে লুকের শক্তিশালী ঘুষির মতো মনে হচ্ছিলো। যদিও তার থেকে ভয়ানক হতো যদি ড্রাকুলা আমাকে ঘুষি মারতো।
।।।
।।।
আমি ড্রাকুলার থেকে ত্রিশ মিটারের অনেক বাইরে চলে এসেছি। এতোক্ষনে আমার হাত গুলো আমার পিঠের মধ্যে চলে গেছে। আমি আবার ত্রিশটা হাত বের করলাম। এবং ত্রিশটা হাতের মধ্যে ত্রিশটা বিশাল লাইট স্পেল বানালাম। যেটার একটা ড্রাকুলার হোটেলে লাগলে হোটেল ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি কোনো কিছু পিছিয়ে রাখছি না। বরং সবকিছুই ব্যবহার করছি। আমি আদৌও জানি না আমার ক্ষমতা কতটা। তাই পুরো ক্ষমতা না ব্যবহার করলে জানতে পারবো না। লাইট বল ত্রিশটা অনেক বিশাল আকার ধারন করলো। যেটার কারনে আমার শরীরের অনেকটা ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হয়ে গেছে। ম্যাজিকাল স্পেলের কারনে অনেক ম্যাজিক পাওয়ার প্রয়োজন হয়।
।।।
।।।
আমি ত্রিশটা লাইট বলকে ড্রাকুলার দিকে ছুড়ে মারলাম, যেটা অনেক স্পিডে ড্রাকুলার দিকে যাচ্ছিলো। ত্রিশটা আলোর বল হওয়ায় পুরো আলোর স্পিডে সেগুলো যাচ্ছিলো ড্রাকুলার দিকে। ড্রাকুলা সেটা দেখে অনেকটা অবাক হলো। কারন ত্রিশটা বিশাল আলোর বল তার জন্যও আটকানো কষ্টকর হবে। কারন একটা তার প্যালেসের কোথাও লাগলেই পুরোটা শেষ। ড্রাকুলা এখানে টাইম স্পেল ব্যবহার করলো। কারন আমি নিজেই বুঝতে পারি নি ত্রিশটা বল হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেলো। আমি অন্যের টাইম স্পেলে ঢুকতে পারি না। তাই বুঝতে পারি নি কিভাবে করলো ড্রাকুলা। কিন্তু যতদূর আমার জানা, হয়তো ড্রাকুলা সময় আটকিয়ে সবগুলো লাইট বলকে টেলিপোর্ট করেছে অন্য কোথাও। কিংবা ধ্বংস করে দিয়েছে।
।।।
।।।
আমি ড্রাকুলার হাতের তালুতে কিছুটা ক্ষত দেখতে পারলাম। এটা দেখে বুঝতে পারলাম হয়তো সে ধরেছিলো একটা লাইট বল। যাইহোক ড্রাকুলা বলতে লাগলো,
.
–খারাপ ছিলো না। তোমার সবগুলো হাতের এই লাইট বল দিয়ে তো তুমি পুরো একটা শহর ধ্বংস করে দিতে পারবে।(ড্রাকুলা)
.
–টাইম স্পেল ব্যবহার করেছেন?(আমি)
.
–হ্যা। সেটা না হলে তো পুরো প্যালেস ধ্বংস করে দিতে।(ড্রাকুলা)
.
–আমি নিজেও জানি না এটা এতো ভয়ানক হবে।(আমি)
।।।
।।।
।।।
এখানে তেমন কেউ নেই, যাকে আমার ক্ষমতা দেখালে সমস্যা, তাই আমি পুরো ক্ষমতাতেই লড়তেছি ড্রাকুলার সাথে। এখনো অনেক কিছু বাকি। অনেক এন্জেল স্পেল আছে যেগুলো আমি ব্যবহার করতে পারবো, তবে কখনো ব্যবহার করি নি। আজকে পরিক্ষা করে দেখা যাক।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৪৫
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
ড্রাকুলা চেষ্টাও করছে না আমাকে হারানোর। বরং সে আমার সবগুলো আক্রমন শুধু এরিয়েই যাচ্ছে। আমি জানি এতোক্ষনে এক আঘাতেই আমাকে বেহুস করে দিতে পারতো ড্রাকুলা। কিন্তু সে তার ক্ষমতা ব্যবহার না করে অপেক্ষা করছে। হয়তো আমি কি কি করতে পারি, সেটা দেখতে চাইছে সে। আমি হাতে এক্সোনিয়া বের করে নিলাম এবার। থরের বলা টেকনিক এখানে ভালো কাজে দিতে পারে। যেহেতু এক্সোনিয়া একটা ডাইমেনশন কাটার ব্লেড। তাই এটা সময়ে আমি স্পেশ ভেদ করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মুহুর্তের মধ্যেই যেতে পারবো। যাইহোক সময় এবং স্পেশ এর ব্যবহার ঠিক মতো করতে পারলে আমি আরো অনেকটা শক্তিশালী হয়ে যাবো। যাইহোক আপাতোতো আমি ভ্যালি এবং ভিরুদাকে পিঠের ব্যাগে রেখে দিলাম। এবং আমার গডহ্যান্ডের চারটা হাত বের করে পিঠে ডানার আকার দিলাম। এবং ডান হাত এবং পায়ের সাহায্যে আমার জেট ক্ষমতা দিয়ে উড়তে লাগলাম। ডানা চারটাকে আমি নিয়ন্ত্রন করতে লাগলাম আমার ভারসাম্য এবং দিক ঠিক রাখার জন্য। আমি উড়ে অনেকটা উপরে চলে এসেছি। আমার গ্রাভিটি শূন্য হলেও আমি নিচের দিকে পরছি না। এখন গ্রাভিটির উপরে অনেকটা নিয়ন্ত্রন করতে শিখে গিয়েছি আমি। হয়তো আরো কিছুটা হলে আমি ড্রাকুলার মতো উড়তেও শিখে যাবো। যায়হোক আমি উপরে উঠলাম। এক্সোনিয়া মূলত এন্জেলদের জন্য তৈরী হয়েছিলো। এই তলোয়ারটা মাইকেল আমাকে কেনো দিয়েছিলো আমি নিজেও জানি না। একজন ডেভিল কিং হওয়ার পরও এন্জেলদের রাজা আমাকে এই তলোয়ারটা কেনো দিবে সেটার উত্তর আমি এখনো পাই নি, এখনো সেটার উত্তর আমার মাথায় ঘুরে বেরাচ্ছে। যেহেতু এক্সোনিয়া এন্জেলদের জন্য তৈরী হয়েছিলো, তাই এটা আমার জন্য এখন পারফেক্ট হবে। আপাতোতো আমি এন্জেলদের ক্ষমতায় ব্যবহার করছি। যদিও বাকি ক্ষমতা গুলোও আমি ব্যবহার করতে পারবো, কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করতে আগ্রহী না আমি। আমি এক্সোনিয়াকে হাতে নিয়েছি এবং সেটাকে ডান হাত দিয়ে ধরে উপরের দিকে তুললাম।
।।।
।।।
ড্রাকুলা নিচে দাড়িয়ে আছে। এক্সোনিয়ার মাঝেও অনেক ক্ষমতা রয়েছে। মূলত এটা এন্জেলদের স্পেলকে দশগুন শক্তিশালী করে দেই। তাই এটার সাহায্য আমার প্রয়োজন। যেহেতু ড্রাকুলা আগের দুনিয়ার, এই দুনিয়াতে তার জন্ম হয় নি, তাই তার সাথে আগের দুনিয়ার অস্ত্র দিয়েই লড়তে পারবো। আমি এক্সোনিয়াকে শক্ত করে ধরলাম। আমার শরীর থেকে বিদ্যুৎ বের হতে লাগলো। বিদ্যুৎ এর এট্রিবিউট নেই কোনো, এটা এক একজনের মধ্যে ক্ষমতা হিসাবে জন্ম নেই। আমার মধ্যেও বিদ্যুৎ এর কোনো ক্ষমতা নেই। তবে আমার কাছে এন্জেল এর ক্ষমতা রয়েছে, যেটার কারনে একটা স্পেল আমি ব্যবহার করতে পারবো, যেটা এন্জেলদের ভয়ানক একটা স্পেল। এই দুনিয়াতে কোনো এন্জেল সেটা ব্যবহার করতে পারবে কিনা আমি জানি না। তবে আগের দুনিয়াতে আমি শুনেছিলাম অনেক আগে ডেভিল কিং এবং এন্জেল কিং এর মধ্যে লড়াই হয়েছিলো, যেখানে এন্জেল কিং এর একটা স্পেলেই ডেভিল কিং এর অর্ধেক সেনা শেষ হয়ে গিয়েছিলো। স্পেলটার নাম ছিলো থান্ডার অফ জাজমেন্ট। এন্জেল কিং এর ব্যবহার করা সেই স্পেলটা এতো ভয়ানক ছিলো, যেটা পুরো মনস্টার ওয়ার্ল্ড এর পাঁচ ভাগের একভাগ ধ্বংস করে দিয়েছিলো। আমার টা কিরকম হবে সেটা জানি না। তবে দেখা যাক কি হয়।
।।।
।।।
আমার শরীর থেকে থান্ডার এক্সোনিয়ার মধ্যে যাচ্ছে। এবং এক্সোনিয়ার ব্লেডের সামনে একটা ফুটবলের সাইজের মতো থান্ডার এর বল তৈরী হলো, যেটার ভিতর থেকে মারাত্নক আকারের বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে চারিদিকে। এক একটা থান্ডার কারো শরীরে লাগলে তার শরীর হয়তো রোস্ট হয়ে যাবে এমন মনে হচ্ছে। দেখতে দেখতে অনেকটা ম্যাজিক পাওয়ার আমার শরীর থেকে চলে গেলো। আমও এন্জেল ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলেও আমার ম্যাজিক পাওয়ার সিমীত একটা মানুষের সমানই। তাই কয়েকটা স্পেল ব্যবহার করলেই আমার ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হয়ে যায়। আমি ড্রাকুলাকে দেখে বুঝতে পারলাম সে এবার কিছুটা সিরিয়াস হয়েছে। কারন তার ভাবনায় চিন্তিত মনে হচ্ছিলো। আমি এখন বুঝতে পেরেছি সে কি ভাবছে, যেহেতু আমি ভাবছিলাম ডেভিল কিং এবং এন্জেল কিং এর যুদ্ধের কাহিনী, হয়তো সে কারনে এই স্পেল নিয়ে ভয় পাচ্ছে সে। ট্যালিপ্যাথি ক্ষমতাটা ভালো হলেও কিছু সিরিয়াস বিষয় আছে সেটার। মনের সমস্ত কথা শুনলে অনেক ভয়ানক কথাও শোনা যায়। যাইহোক আমি কিছুটা সিওর হয়ে ড্রাকুলার দিকে আমার থান্ডার অফ জাজমেন্ট স্পেল ছুড়ে মারলাম। যদিও এক্সোনিয়ার মাথায় সেটা একটা ফুটবলের আকার ছিলো। কিন্তু সেটা আস্তে আস্তে বিশাল আকার ধারন করলে। স্পেলটা শুধু বড় হতেই লাগলো। এতোটা বড় হচ্ছে যে আরেকটু হলে এই পুরো প্যালেসের জায়গাটা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর সেটা ড্রাকুলার দিকে যাচ্ছে না। বরং এটা এখানেই বড় হবে। বড় হতে হতে এর সামনে এবং ভিতরে যা থাকবে সব ধ্বংস করে দিবে। যদিও জানি বেশী বড় হলে এটা আমাকে এবং প্রিন্সেস এলিনাকে মেরে ফেলবে, তারপরও আমি ব্যবহার করলাম। আমি চাচ্ছি নিজেই নিজের ক্ষমতা গুলো বের করতে। এতে করে আমি জানতে পারবো কি করতে পারবো আমি। যদিও আমি এখনো আমার সব ক্ষমতা ব্যবহার করি নি। কিন্তু অনেক ম্যাজিক সম্পর্কে আমার জ্ঞান রয়েছে, যেটা ছোট থেকে বই পড়া এবং বিভিন্ন লোকের থেকে শেখা হয়েছে। যদিও কিছু রয়েছে যেগুলো আমি সহজে শিখতে পারি না, আবার কিছু আছে যেগুলো আমি খুব সহজেই শিখতে পারি।
।।।
।।।
বলের আকার আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে লাগলো। আর সেটা দেখে ড্রাকুলার হাতে লাল একটা তলোয়ার চলে আসলো। যেটা আমার এক্সোনিয়ার মতোই উধাও ছিলো। আমি বুঝতে পারলাম সেটাই হয়তো ড্রাকুলার ব্লাড সোর্ড লুকারিও। ড্রাকুলা তার তলোয়ার দিয়ে আমার ছোড়া বিশাল লাইটনিং বলটার মাঝ বরাবর একটা স্লাইস দিলো, এবং সাথে সাথে পুরো বিশাল লাইটনিং বলটা দু টুকরো হয়ে উধাও হয়ে গেলো। আমি আমার ম্যাজিক সেন্স ক্ষমতা ব্যবহার করলাম কি হচ্ছে সেটা দেখার জন্য। আর আমার ডান চোখ লাল হওয়ার ফলে আমি দেখতে পেলাম আমার স্পেলের যতটা ম্যাজিক পাওয়ার ছিলো সবটা ড্রাকুলার তলোয়ারের মধ্যে চলে যাচ্ছে। আমি বুঝতে পারলাম এক্সোনিয়ার মতো লুকারিও এর ও ক্ষমতা রয়েছে ম্যাজিক এবজোর্বশন এর। এবার ড্রাকুলা আর থেমে থাকলো না। আমি অবাক হয়ে যাওয়ায় আমার কাছে এসে ওর তলোয়ার এর হাতলের মাথা দিয়ে আমার বুকে একটা আঘাত করলো। আর আঘাত এতো স্পিডে ছিলো যে আমি সেটা দেখতেই পারি নি। আর আকাশের উপরে ছিলাম বলে আমি কিছু করতেও পারি নি। ঠিকমতো উড়তে না পারলে আকাশে কোনো আঘাত সহজে এরানো যায় না।
।।।।
।।।।
যায়হোক আমি নিচে পরে গিয়েছি। এবং নিজের মাটি যুক্ত ফ্লোর ভেঙে আমি অনেকটা নিচে গর্তে পরে যায়। আমার মাথায় রাগ উঠে গেলো এবার। যায়হোক আমি এটা মানতে পারছি না আর। এতোক্ষন ভালো লাগলেও আমি এখন ফ্রাসটেটেড হয়ে গেলাম। আমি উঠে দাড়ালাম। রাগে আমার আগুন অনেক বেশী পরিমানে জ্বলতে লাগলো। আমি জানি ড্রাকুলা অনেক শক্তিশালী। বিশেষ করে সে এই দুনিয়ার মধ্যে জীবিত ব্যাক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হবেই। শুধু সে নয়, থর লোকিও সেরকমই। আমি চাইলেও তাদেরকে হারাতে পারবো না। কিন্তু তারপরও এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। পাওয়ার লেভেল এই নতুন দুনিয়া আগের থেকে কম, কারন আগের দুনিয়ায় সব জায়গায় ম্যাজিক না থাকায় যেখানে ছিলো সেখানের সবাই শক্তিশালী ছিলো। আর এই দুনিয়াতে সকল ম্যাজিক সবার মাঝে ভাগ হয়ে গেছে। যার কারনে আমি বর্তমানে যদি ডেভিল কিং ও হয় তাহলো আগের ডেভিল কিং এর তুলনায় আমার ক্ষমতা কিছুই না।
।।।
।।।
সব জানার পরও আমি রেগে যাচ্ছি। আমার শরীর যাচ্ছে না আর মার খেতে। কত লজ্জাজনক মার খাবো আমি আর। একটা টোকাতে যদি আমার শরীর হেরে যেতে চাই, তাহলে আমার মন কেনো সেটা মানছে না। আমি এখনো সেই জায়গায় যেতে পারি নি, যেখানে আমার যাওয়া প্রয়োজন। রাগের কারনে আমার শরীরের আগুন এবং উত্তাপ দুটোই বেড়ে গেছে। আমি যদিও শুধু একপাশ আগুন হয়েছে, তারপরও তার উত্তাপে আমি আশেপাশের সব কিছু গলতে লাগলো। আমি ডান হাতের এক্সোনিয়া বাদ দিয়ে হাতে ভিরুদাকে নিলাম। যে উত্তাপ ছিলো তার থেকেও ইগড্রাসিলের আগুনের ফলে উত্তাপ আরো বেরে গেলো। হঠাৎ ইগড্রাসিলের তলোয়ার ও গলতে শুরু করলো। প্রথমে আমি ভয় পেয়ে গেলেও। পরে ঠিকই বুঝতে পারলাম।।
।।।
।।।
আমার ডান হাতের ভিরুদা গলে গেলো। এবং সেটা আমার ডান অংশের শরীরে লেগে গেলো। শুধু তাই না, আস্তে আস্তে আমার শরীরে ড্রাগনদের স্কেল দিয়ে তৈরী লাল একটা আর্মার হয়ে গেলো। আমি আর্মার টাকে দেখে অবাক হলাম। কারন আমার অর্ধেক শরীরেই হয়েছে সেটা। অনেকটা নতুন পোষাকের মতো। সব শক্ত বস্তুর মধ্যে একটা হলো ড্রাগন স্কেল। যেটা সহজে ভেদ করা যায়। না। ইগড্রাসিলের আগুনে তৈরী স্কেলের আর্মার আমার শরীরে রয়েছে, যদিও বাম অংশ পুরো পরাধীন এখানে। ভয়ানক কোনো স্পেলের মধ্যে পরলে আমার ডান অংশ বেঁচে গেলেও বাম অংশ বাঁচবে না। আমার রাগ এখনো কমে নি। আমি ডান পা দিয়ে একটা কিক করলাম মাটিতে, যেটা আমার আশেপাশের জায়গা ফাটিয়ে দিলো। আমি সেই কিকের ভর করে আল্ট্রা স্পিডে সামনের দিকে যেতে লাগলাম। এবং সোজা গিয়ে ড্রাকুলার মুখের দিকে আঘাত করলাম। আমি জানি সে আমার মাইন্ড পরবে এখানে। কারন আমি যদি অন্য কোনো দিকে আঘাত করার চিন্তা করি তাহলে সেটা সে বুঝে যাবে। আর তার চোখ এতোটা ভালো যে সব আঘাতই সে দেখতে পাই। আমি মুখের দিকে ঘুষি দিয়েছি, আর সেটা এরানোর জন্য ড্রাকুলা নিচু হয়ে গেছে। আমি আমার ডান হাতের ঘুষির মুঠোর তালুর দিক নিচের দিকেই রেখেছিলাম। আমি ড্রাকুলার দিকে আসার পূর্বেই অনেকটা অক্সিজেনের ম্যাজিক পাওয়ারকে কন্ট্রোল করে ড্রাকুলার আসে পাশে অক্সিজেনে ভরপুর করে দিয়েছি। আর সেই সাথে আমি কার্বন ডাই অক্সাইড এবং হাইড্রজোনকে একত্র করেছি। যেটা ড্রাকুলার আশপাশ দিয়ে গ্যাসোলিন এর কাজ করছে। আর বায়ুতে অক্সিজেনের পরিমান বেশী হওয়ায় আমি আমার মুঠটা খুলে তালু দিয়ে নিচের দিকে আগুনের ব্যবস্থা করে দিলাম। আমার শরীর থেকে মাত্র কিছুটা আগুন বের হয়েছে, যেমন দিয়াশলাই এর কাঠি থেকে বের হয়। আর এই সামান্য আগুন হয়তো ড্রাকুলা খেয়াল করে নি। যদিও আমি এসব কিছুই চিন্তা না করেই করেছি, তাই ড্রাকুলা বুঝতেই পারবে না আমার প্লান কি ছিলো। আর সাথে সাথেই বুম হয়ে গেলো।
।।।
।।।
আমার তালু থেকে সামান্য পরিমান আগুন বের হওয়ার ফলে সেটা বায়ুর অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড এবং হাইড্রোজেন এর সংমিশ্রনে আগুনের বিস্ফোরক হয়ে গেলো। পুরো জায়গাটা ব্লাস্ট হওয়ার আগেই আমি হাতে এক্সোনিয়া নিলাম এবং সেটা দিয়ে দুটো টেলিপোর্ট হওয়ার চেষ্টা করলাম স্পেশের মধ্যে। আবারো আগের মতোই উপরে বের হলাম। যদিও আমি বিস্ফোরক থেকে বেচে গেছি, পুরোটাই আগুনের হওয়ায় আমার ডান অংশের কোনো ক্ষত না হলেও বাম অংশের ক্ষত ঠিকই হবে। আমি উপরে এবার আগুনের সাহায্যে উড়ছি না বরং আমি গ্রাভিটির ব্যবহার করে আকাশে স্থির রয়েছি এক জায়গায়। আমি গ্রাভিটির নিয়ন্ত্রন অনেক ভালোই করতে পারছি, তবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উরার জন্য আরো প্রাকটিস করতে হবে। যায়হোক আমি আকাশে দাড়িয়ে থাকলেও। ড্রাকুলা নিচের ভয়ানক আগুনের মধ্য থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে আসলো। এবং আমার মুখ তার হাত দিয়ে ধরে ফেললো। আমার বয়স অনুযায়ী তার হাতের কাছে আমার মুখ কিছুই না। আমি তার ডান হাতে অনেকটা ক্ষম দেখতে পেলাম যেটা আগুনকে হাত দিয়ে এরানোর জন্য হয়েছে, আমি বুঝতে পারলাম ড্রাকুলা এখন পুরো সিরিয়াস হয়ে গেছে। আমার মুখকে তার হাত দিয়ে ধরে সোজা মাটিতে অনেক স্পিডে ফেলে দিলো। সাথে সাথে মনে হলো আমার ব্রেইন আটকে গেছে, আমি কিছু অনুভব করতে পারছিলাম। মনে হচ্ছিলো আমার মুখ সহ আমার মাথা থেতলে গেছে। আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না। কিছু শুনতে পাচ্ছি না। কিছু অনুভব করতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে আমার কোনো শরীরই নেই। আমি শরীর ছাড়া একটা বস্তু হয়ে গেছি, যার শুধু চিন্তা ভাবনা কাজ করছে। কেনো জানি আমার মনে হচ্ছে আমি মারা গিয়েছি। কিন্তু এতো তারাতারি আমি মরতে পারি না। আমার এখনো অনেক কিছু করার আছে, অনেক কিছু দেখার আছে।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।