ভ্যাম্পায়ার কুইন ২ পর্ব-৪৬+৪৭+৪৮

0
142

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৪৬
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমার সাথে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। প্রথমত আমি আমার শরীর অনুভব করতে পারছি না। দ্বিতীয়ত আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না, তৃতীয়ত আমি কোনো কিছু শুনতে পারছি না৷ এমন মনে হচ্ছে আমি মারা গিয়েছি, এবং আমার দেহ থেকে আমার আসল সত্ত্বা বের হয়ে এসেছে। আমি কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না। মাথায় শুধু একটায় চিন্তা, যেনো আমি মারা না যায়। আমার এখনো অনেক কিছু করার রয়েছে, যেটা আমি না করে মরতে পারি না। কিন্তু মৃত্যু যদি সত্যি লেখা হয়ে থাকে আমার এখন, তাহলে সেটা এড়ানোর কোনো উপায় আমি দেখছি না।
।।।
।।।
চারিদিক অন্ধকার থাকলেও হঠাৎ আমার পিছন থেকে দুটো আলো দেখতে পেলাম। আমি নরতেও পারছি না। এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যেখানে বলতে গেলে আমার কোনো শরীর নেই, কারন আমি শরীরের কোনো অংশকে ফিল করতে পারছি না। তাই আমি নরতেও পারছি না। তবে পিছনের দুটো আলোতে সামনের কিছুটাও আলোকিত হলো। পিছন থেকে ডান পাশ দিয়ে লাল এবং বাম পাশ দিয়ে নীল আলো আসছে সেটা আমি বুঝতে পারছি। কারন আলো আমার সামনেও দেখা যাচ্ছে। আলোর সাহায্যে আমি সামনে দেখতে পারলাম তিনটা শরীর পরে আছে। যেগুলো পুরো মৃত হয়ে আছে। তবে তিনজনের চেহারায় আমার মতো। তাদের তিনজনের পাশে নোট লেখা রয়েছে, যেখানে তিনজনের পরিচয় দেওয়া হয়েছে। প্রথম ডান পাশে রয়েছে এন্জেল জ্যাক, মাঝখানে রয়েছে ভ্যাম্পায়ার জ্যাক, এবং বাম পাশে রয়েছে ডিম্যান জ্যাক। তবে তাদের শরীর মৃত হয়ে আছে। একটুও নরাচরা কিংবা ম্যাজিক পাওয়ার আমি দেখতে পাচ্ছি না। যদিও আমি এতোক্ষন ভাবছিলাম আমি মনে হয় অন্ধ হয়ে গেছি। কিন্তু সেটা নয়, জায়গাটা অন্ধকার ছিলো। যদিও আমার পিছনের আলোতে আমি আশপাশ দেখতে পাচ্ছি, তবে আামার নিজের শরীর আমি দেখতে পাচ্ছি না। কারন আমি চোখ দিয়ে নিচে দেখতে পারছি না। মাথা স্থির রেখে যেভাবে চোখ ঘুরিয়ে দেখতে হয়, ঠিক সেভাবেই দেখতে হচ্ছে আমাকে। আমি জানি না আদৌও আমার শরীর আছে কিনা। আর আমি কোথায় সেটাও জানি না। দেখার মতো শুধু এই তিনটা শরীর এবং পাশে লেখা তাদের নাম। আমি বুঝতে পারলাম তাদের ক্ষমতা পাওয়ায় আমার শরীরের মাঝে তারা আর জীবিত নেই, যেমনটা আগের দুনিয়াতে ছিলো। তবে জায়গাটা কি সত্যি আমার শরীরের ভিতরে নাকি সেটা বুঝতে পারছি না। নাকি ড্রাকুলা কোনো মাইন্ড স্পেলের মধ্যে আমাকে ফেলে দিয়েছে। যেটাই হোক আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। আমি এটুকু সিওর এখানে আমার শরীর নেই, নাহলে আমি নিয়ন্ত্রন করে নরতে পারতাম। তাহলে কি আমি এখানে বন্ধী থাকবো এভাবেই?
।।।
।।।
হঠাৎ একটা আওয়াজ শুনতে পেলাম। যেটা আমাকে বলতে লাগলো,
.
–স্বাগতম জ্যাক।
.
–কে আপনি?(আমি)
.
–আমি কেউ না।
.
–এটা কোনো কথা? আপনি কথা বলছেন আমার সাথে অবশ্যই কেউ তো হবেন।(আমি)
.
–আমাকে তোমার ব্রেইন ভাবতে পারো। যেখানে তোমার সকল জ্ঞান আবদ্ধ রয়েছে। আর এই জায়গাটা তোমার জ্ঞানের লাইব্রেরী।
.
–এটা কিরকম কথা? আমার ব্রেইন কিভাবে আমার সাথে কথা বলতে পারে?(আমি)
.
–অনেক কিছু সম্ভব হয়েছে এখন। যাইহোক আসল কথায় আসা যাক।
.
–প্রথমে বলেন আমি এখানে আসলাম কিভাবে আমি কি মারা গিয়েছি?(আমি)
.
–না। তুমি মারা যাওনি। কিন্তু তোমার শরীর ড্রাকুলার সেই আঘাত সহ্য করতে পারবে না, যেটা ড্রাকুলা রাগে তোমাকে করতে চাচ্ছে। তাই তোমাকে মারার পূর্বেই আমি তোমার কনসিয়াসনেস(চেতনা) কে এখানে নিয়ে আসি। যার ফলে তোমার শরীরের সাথে আপাতোতো তোমার কোনো সম্পর্ক নেই।
.
–বুঝতে পারছি না। আমাকে এখানে আনার কারন কি তাহলে?(আমি)
.
–দেখো তুমি হয়তো জানো না। বাট কিছু জিনিস আছে যেটার তথ্য তোমার ব্রেইনের মধ্যে থাকলেও সেটা তোমার চেতনার কাছে পৌছায় না। আর সেটা পৌছানোর জন্য আমি তোমাকে এনেছি।
.
–কি রকম তথ্য?(আমি)
.
–প্রথমত তোমার জন্ম হয় নি এই দুনিয়াতে। বরং তোমার কনসিয়াসনেস বা চেতনা যেটা বলো সেটা একটা মৃত মানুষের শরীরে ট্রান্সফার হয়েছে।
.
–মানে কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি এখানে জন্ম নেই নি মানে? বুঝিয়ে বলেন ভালো করে।(আমি)
.
–এই দুনিয়াতে পাঁচটা লেজেন্ডারী বই ছিলো, যেটার মধ্যে অসীম ক্ষমতা লুকিয়ে ছিলো। কিন্তু কেউ জানতো না বই গুলোর মধ্যে কি ছিলো। অনেকে খোলার চেষ্টা করেও সেটা খুলতে পারে নি কখনো। এখন আশা যাক তোমার আম্মার ঘঠনায়। বিয়ের প্রতি আলাদা একটা নেশা ছিলো তার ছোট থেকেই। আর এই পাঁচ লেজেন্ডারী বই এর একটা বই তখন ইগড্রোলিয়াতেই ছিলো, যেটার মধ্যে ছিলো তোমার মানুষ সত্ত্বা। অবশ্য সবচেয়ে দুর্বল সত্তার মধ্যে একটা ছিলো সেটা, যেটা কোনো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারতো না। ঠিক আগের দুনিয়ার মতোই। কারন তোমার পাচ সত্ত্বার মধ্যে মানুষের টা ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারতো না। তোমার বাবা আর আম্মার বিয়ের পর তোমার বাবা ঔ বইটা তোমার আম্মাকে দিয়েছিলো গিফট হিসাবে। তবে সে সেটার সিল খুলতে পারে নি। এভাবে দেখতে দেখতে তোমার বোন হলো দুটো। এবং আরেকটা ছেলে জন্ম নিলো। তবে সেই ছেলেটার পাঁচ বয়সের কিছুটা আগে আটশো দুই নং শহরের কিছু লোকেরা মিলে তাকে হত্যা করে ফেলে। আর তখনি একটা মিরাকেল ঘঠে। যেখানে তোমার আম্মার কাছে থাকা সেই বইটা উড়ে চলে আছে যেখানে সেই ছেলেটার মৃত শরীর পরে ছিলো। এবং সাথে সাথে বইয়ের সিল খুলে তোমার মানুষ সত্ত্বা সেই ছেলেটার শরীরে ঢুকে যায়। যেহেতু ছেলেটার শরীরে তার নিজের সত্ত্বা আর ছিলো না, তাই ছেলেটার শরীর তোমার হয়ে যায়। সবচেয়ে আজব করার বিষয় ছিলো ছেলেটার চেহারা একদম তোমার মতোই ছিলো এবং তার নামও জ্যাকই ছিলো। তাই তুমি তোমার নিজের জীবন পেয়ে যাও একটা পাঁচ বছরের ছেলের শরীরে। তবে সমস্যা ছিলো তোমার মানুষ সত্ত্বার মধ্যে তোমার কোনো স্মৃতি ছিলো না। কোনো ম্যাজিক ছিলো না। এজন্য তুমি সব কিছু ভুলে যাও। এবং কোনো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারো না ঠিক পৃথিবীর মানুষের মতোই।
.
–তাহলে বলতে চাচ্ছো আমার এই দুনিয়াতে জন্মই হয় নি?(আমি)
.
–হ্যা। যেহেতু ছেলেটার মৃত শরীরে তোমার মানুষ সত্ত্বা প্রথমে জায়গা করে নিয়েছিলো, এরজন্য তোমার সমস্ত ক্ষমতা তোমার সেই সত্ত্বার ক্ষমতা অনুযায়ী দেখা যায়। তাছাড়া মৃত ছেলেটার কিছু এবিলিটিও তুমি অর্জন করেছিলে।
.
–আচ্ছা আপনি বলতে চাচ্ছেন আমি এই দুনিয়াতে আমার সত্ত্বার জন্যই আসতে পেরেছি?(আমি)
.
–হ্যা। দুনিয়াকে ধ্বংস করে নতুন করে তৈরী করা স্পেলটা শুধু তুমি নিজেই ব্যবহার করতে পারতে, আর সেটার সুযোগ নিয়ে জেসি তোমার শরীরে প্রবেশ করে সেটা ব্যবহার করে। স্পেলটা ব্যবহারের জন্য কিছু মারাত্মক ক্ষতিও হয়।
.
–কিরকম ক্ষতি?(আমি)
.
–প্রথমত স্পেলটা তোমার শরীর ব্যবহার করতে পেরেছিলো কারন তোমার মধ্যে পাঁচটা সত্ত্বা ছিলো। আর ইতিহাসে এটার উল্লেখ ছিলো যেখানে পাঁচটা সত্ত্বার একজন আসবে, যে কিনা পুরো এগারো দুনিয়াকে একত্র করে নতুন একটা দুনিয়া তৈরী করবে। আর সেটার জন্য সেই লোকটার নিজের শরীরকে পরিত্যাগ করতে হবে। মানে পাঁচ সত্ত্বার শরীর থাকবে না। সেই শরীর ধ্বংস হয়ে যাবে এবং পাচঁ সত্ত্বা পাচঁটা বইয়ের মধ্যে সিল হয়ে নতুন দুনিয়ার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে যাবে।
.
–তার মানে জেসি আমার শরীরে ঢুকে যে স্পেলটা ব্যবহার করেছে সেটার কারনে আমার শরীর ধ্বংস হয়ে গেছে?(আমি)
.
–হ্যা। স্পেলটা এন্জেল এবং ডেভিল পাওয়ার এর সম্বনয়ে ছিলো। যার কারনে সেই শরীর ধ্বংস হয়ে নতুন একটা ম্যাজিকের তৈরী হয়েছিলো। যেটার নাম গডহ্যান্ড।
.
–গডহ্যান্ড তাহলে আমার শরীরের বিনিময়ে তৈরী হয়েছে?(আমি)
.
–হ্যা। তবে গডহ্যান্ডকে পুরোপুরি ভাবে ব্যবহার করতে পারবে না যতদিন না পর্যন্ত তোমার কাছে ডেভিল সত্ত্বার ক্ষমতা না আসে। কারন গডহ্যান্ড তৈরীই হয়েছিলো ডেভিল এবং এন্জেল এর ম্যাজিক পাওয়ার থেকে।
.
–আচ্ছা বুঝতে পারলাম। তবে আমার তিন সত্ত্বা এখানে মৃত হয়ে পরে আছে কেনো?(আমি)
.
–এগুলোর মধ্যে জীবন নেই। তবে এগুলো তোমার কাজে আসতে পারে। যদিও এখানের একটা সত্ত্বাও আগের মতো তোমার এই শরীরের উপরে কোনো ভেদ ফেলবে না। তবে সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার হলো তুমি এই সব শরীরের ব্যবহার করতে পারবে।
.
–কিভাবে? আমার তো একটা শরীর আছেই।(আমি)
.
–একটু আগে হয়তো ইগড্রাসিল এর ক্ষমতাটা দেখতে পেরেছো। যেটা তোমার ডান অংশে ড্রাগন স্কেল এর আর্মার তৈরী করেছিলো। হয়তো আগের দুনিয়ার বডি ট্রান্সফরমেশন এর কথাও মনে আছে তোমার। যেখানে সবাই স্বাভাবিক মানুষের মতো দেখতে ফর্মও নিতে পারতো এবং নিজেদের আসল মনস্টার ফর্মেও যেতে পারতো। তবে এই দুনিয়াতে সেটা কাজ করে না। যদিও জেসি সেটা কিভাবে করেছে আমি জানি না। তবে এই তিনটা শরীরের মাধ্যমে তুমি নিজেও তিনটা ফর্মে আসতে পারবে।
.
–সেটা কিভাবে?(আমি)
.
–এতোদিন তুমি মানুষের সত্ত্বার শরীর ব্যবহার করছিলে। যেটা এতোদিন তোমার ডিম্যান, ভ্যাম্পায়ার এবং এন্জেল সত্ত্বার ক্ষমতা ব্যবহার করছিলো। তবে তুমি যেকোনো সময়ে তোমার সত্ত্বার শরীর চেন্জ করতে পারবে। তোমার চার সত্ত্বার মধ্যে তিনটাই মৃত রয়েছে আপাতোতো। তবে যে জ্যাকের শরীরে তুমি আপাতোতো রয়েছো সেটার মধ্যে তোমার মানুষ সত্ত্বার চেতনা জীবত রয়েছে। আর সেই চেতনার মধ্যে তোমার ডিম্যান, ভ্যাম্পায়ার এবং এন্জেল এর চেতনাও যোগ হয়েছে। যার কারনে তুমি আগের সব স্মৃতি মনে করতে পেরেছো।
.
–তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন আমি আমার সত্ত্বার যে কোনো রূপে আসতে পারবো এখন?(আমি)
.
–হ্যা। তবে সেটা তোমার এই শরীরের চার সত্ত্বার শরীর চয়েজ করার উপর নির্ভর করবে।
.
–চার শরীর?(আমি)
.
–হ্যা। উপরে তাকাও।
।।।
।।।
আমি উপরে চোখ উচু করে তাকালাম। উপরে একটা শরীর দারিয়ে আছে, যেটার পাশে লেখা রয়েছে মানুষ জ্যাক। আমি বুঝতে পারলাম আমার চারসত্ত্বার শরীর এখানে পরে আছে। এখন শুধ তাদের শরীর চয়েজ করলেই আমি এক একটা আলাদা ফর্মে যেতে পারবো। তবে আমি সেটা সম্পর্কে সিওর না।
.
–আমি সত্ত্বার শরীর বদলাবো কিভাবে?(আমি)
.
–সেটার জন্য তোমার শুধু ভাবতে হবে। আমি তোমাকে এখানে জোর করে এনেছি। এজন্য তোমার নিজস্ব শরীর উপরে ঝুলে আছে। কিন্তু তুমি নিজে থেকে এখানে আসলে যে সত্ত্বার শরীরে তুমি থাকবে সেটার মধ্যেই তুমি এখানে আসবে। এবং তখন তুমি এখানে ইচ্ছামতো নরতে পারবে।
.
–কিন্তু এখানে আসবো কি করে আমি?(আমি)
.
–এখানে আসার জন্য শুধু তোমার চেতনাকে ট্রান্সফার করবে। আর এখানে এসে তুমি দেখতে পারবে বাকি তিনটা শরীর এখানে পরে আছে। তখন যেকোনো একটা শরীরের হাত ধরলেই তুমি সেটার মধ্যে ঢুকে যাবে। এবং অন্যটা এখানে শুয়ে যাবে।
.
–ওওও।(আমি)
।।।
।।।
আরো কিছুটা কথা বলে নিলাম আমার ব্রেইনের সাথে। অবশ্য এতো কিছু একটা ব্রেইন তার চেতনাকে বলতে পারে সেটা আমি জানতাম না। অনেক কিছুই আমার জন্য নতুন। তারপরও আমি নতুন কিছু শিখতে পেরে অনেক আনন্দিত। তবে আমি এখনো ভালো করে বুঝতে পারি নি আমার ব্রেইন আমাকে কি বললো তা। তবে কিছুটা হলেও আমার মাথায় ঢুকেছে। আর সেটা হলো আমি এই দুনিয়ায় জন্ম নেই নি। বরং বই থেকে মৃত জ্যাকের শরীরে আমার মানুষ সত্ত্বার চেতনা বা কনসিয়াসনেস ঢোকার ফলে আমি এই দুনিয়া এসেছি। অনেকটা বলা যায় আমার এই দুনিয়াতে আসাটাও অনেকটা ড্রাকুলা, থর এবং লোকির মতই। বিষয় টা আগের দুনিয়া সম্পর্কে আমার স্মৃতি না থাকলে অনেক গুরুতর মনে হতো। তবে এখন এটা খুবই স্বাভাবিক।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৪৭
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি আমার শরীরে আবার ফিরে আসলাম। যদিও আমি এতোক্ষন আমার শরীরের মধ্যেই ছিলাম। তবে আমার চেতনা আমার ব্রেইনের মধ্যে ছিলো। যেটার কারনে আমার শরীর এতোক্ষন আমার নিয়ন্ত্রনের বাইরে ছিলো। তবে আমার চেতনা আমার ব্রেইন থেকে বের হওয়ার পরে আমি আবার আমার শরীরের নিয়ন্ত্রন ফিরে পেয়েছি। যদিও আমার শরীরের অবস্থা অনেক বাজেহাল ছিলো। আমার মাথা পিছন থেকে ফেটে গেছে, যেটা দিয়ে অনেক রক্তক্ষরন হয়েছে। তবে ড্রাকুলা আমাকে হিল করে দিয়েছিলো, যার কারনে আমার বেশী ক্ষতি হয় নি। তবে একটা জিনিস হয়ে গেছে যতক্ষন আমি আমার ব্রেইনের মধ্যে ছিলাম। আমাকে মাটিতে ফেলার পর আমি নাকি বেহুস হয়ে গিয়েছিলাম। অবশ্য আমার চেতনা আমার ব্রেইনের মধ্যে থাকায় আমি এসবের কিছুই জানি না। এর মাঝে আমি বেহুস হয়ে যাওয়ার পরে ড্রাকুলা আমাকে মারতে গিয়েছিলো আরো। আর তখন প্রিন্সেস এলিনা ড্রাকুলাকে আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু সেটা সভল হয় না। কারন ড্রাকুলা তার উপরে গ্রাভিটি স্পেল ব্যবহার করে। আর সেটার ফলে প্রিন্সেস কিছুই করতে পারে না। যার ফলে সে ড্রাকুলার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্য উপায় দেখে না। অবশ্য প্রিন্সেস মিথ্যে কথা বলে ড্রাকুলাকে ধোকা দিবে এটা হতে পারবে না। এজন্য আমার চোখের সামনে একটা ব্লাড কন্ট্রাক করলো যেটা। যেটায় একটা অদৃশ্য কাগজ চলে আসলো ড্রাকুলার হাতে। সেখানে প্রিন্সেসকে তার হাত কেটে কিছুটা রক্ত ফেলতে হলো। পৃথিবীতে সাক্ষরের ব্যবহার করা হতো। তবে ভ্যাম্পায়ার কিংবা অন্য মনস্টাররা ব্লাড কন্ট্রাক ব্যবহার করে। যেটার রক্তের মাধ্যমে করতে হয়। এতে করে যে কোনো চুক্তি অমান্য করলে চুক্তিতে প্রদত্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে। সে যেই হোক না কেনো।
।।।
।।।
আমি প্রিন্সেস এর শাস্তির সম্পর্কে জানি না। কিন্তু কন্ট্রাক সাইন করার সময় সেটা আমি দেখতে পারি নি। কারন কন্ট্রাকে কি লেখা সেটা তারা দুজনই দেখতে পারবে। যাইহোক প্রিন্সেস এর তিন ফোটা ব্লাড পরলো কাগজের উপরে। আর সাথে সাথে সেটা জ্বলতে লাগলো। আগুনে পোড়ার মতো পুড়তে লাগলো। কিন্তু কোনো ছায় হলো না। বরং আবারো অদৃশ্য হয়ে গেলো। আমি তাকিয়ে রইলাম সেদিকে। কিন্তু লাভ হলো না। কিছুটা আগে কি হয়েছে সেটা ড্রাকুলাই আমাকে তার টেলিপ্যাথিক ক্ষমতার মাধ্যমে বলেছে। সে শুধু অন্যের মনের কথা শুনতেই পারে না। বরং নিজেও মনে মনে অন্যের সাথে কথা বলতে পারে। জিনিসটা অসাধারন। তবে এরকম ক্ষমতা না থাকায় ভালো। কারন আমি ড্রাকুলাকে দেখেই বুঝতে পারছি তার লাইফে ফান বলতে কিছুই নেই। কারন সব কিছু সে আগেই বুঝে যায় কি হবে। তাই সে কোনো কিছুতে আগ্রহী হয় না। ব্লাড কন্ট্রাকের পরে প্রিন্সেস বেহুস হয়ে গেলো। ব্লাড কন্ট্রাক অনেক মারাত্মক একটা ম্যাজিক। এটার মাধ্যমে একজন তার ক্ষমতা আরেকজনের মধ্যেও ট্রান্সফার করতে পারে। তবে সেটা এক গোত্রের হতে হবে। আর এটা শুধু মনস্টার গোত্রদের উপরেই কাজ করে। আমি জানি না কি রকম কন্ট্রাক প্রিন্সেস এর সাথে ড্রাকুলা করেছে। তবে সেটা অনেক পাওয়ারফুল ছিলো সেটা প্রিন্সেস এর বেহুস হওয়া দেখেই বুঝতে পেরেছি। যাইহোক আমি তার বেহুস হওয়ার সময়েই তার পাশে গিয়ে তাকে ধরতে গিয়েছিলাম, কারন সে নিচে পরে যাচ্ছিলো। আমার কাছে আল্ট্রা স্পিড থাকায় বেশীক্ষন লাগলো না তার কাছে পৌছাতে। ড্রাকুলা কিছু আমাকে বলতে চেয়েছিলো। তবে আমি সেটা না শুনেই প্রিন্সেসকে কোলে নিতে গেলাম। কিন্তু সেটা করার পূর্বেই দূর থেকে আমার শরীরে বিশাল কারেন্ট এর শক লাগলো। যেটা প্রিন্সেস এর শরীর থেকে বের হয়েছিলো।
।।।
।।।
আমও চিন্তা করেছিলাম সে হয়তো নিচে পরে যাবে। কিন্তু সেটা হলো না। বরং সে হাটু সমান উচ্চতায় চিৎ হয়ে ভাসতে লাগলো। সে পুরো বেহুস হয়ে আছে সেটা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু এভাবে কাউকে হাওয়ায় উড়তে আমি কখনো দেখি নি। হয়তো গ্রাভিটি ম্যাজিক হবে ড্রাকুলার?
.
–কি হচ্ছে প্রিন্সেস এর সাথে? আপনি তাকে হাওয়ায় ভাসিয়ে রাখবেন সেটা আগে বললেই তো হতো।(আমি)
.
–আমি কিছু করছি না। বরং এটা তারই ক্ষমতা। সে নিজের গ্রাভিটি কন্ট্রোল এর মাধ্যমে হাওয়ায় ভাসছে। এবং তার নিজের ক্ষমতা দিয়েই তোমাকে শক দিয়েছে।(ড্রাকুলা)
.
–বুঝতে পারলাম না আপনার কথা?(আমি)
.
–সে তার কথা ভুলে যেনো না যায় এজন্য আমি তার সাথে একটা ব্লাড কন্ট্রাক করেছি। যেটার মধ্যে আমি অনেক সাংঘাতিক কিছু করেছি তার সাথে।(ড্রাকুলা)
.
–মানে কি? আপনি তাকে রানী বানাতে চেয়েছেন। তার সাথে সাংঘাতিক কিছু কেনো করবেন?(আমি)
.
–তাকে রানী বানাতে চেয়েছি এজন্যই সাংঘাতিক কিছু করেছি। এই দুনিয়ার মধ্যে আমার বর্তমান ক্ষমতা মনে হয় না কোনো ভ্যাম্পায়ার কোনো দিন অর্জন করতে পারবে। আর ভ্যাম্পায়ারদের মধ্যে সর্বোশক্তিমান হওয়াটা আমার ভালো লাগে না। তাই আমার কন্ট্রাকে আমি আমার অর্ধেক ক্ষমতা তাকে দিয়ে দিয়েছি। রিক্সের ব্যাপার হলো তাতে আমার ক্ষমতা একটুও কমবে না। বরং সে আমার ক্ষমতার অর্ধেক পেয়ে যাবে। তবে এখানে তার পক্ষ থেকেও অনেক কিছু দিতে হবে। তাছাড়া এই কন্ট্রাক কখনো পূরন হবে না।(ড্রাকুলা)
.
–সেটা তো আমিও জানি। ক্ষমতা ব্লাড কন্ট্রাকে দিতে চাইলে যে নিবে তাকে একই গোত্রের হতে হবে এবং সেটার জন্য যে নিবে তাকে সেই ক্ষমতার মূল্যবান কিছু ত্যাগ করতে হবে। তবে এই ব্লাড কন্ট্রাক এই দুনিয়ায় কেউই জানে না। যার ফলে আমার মনে হয় এটাই প্রথম ব্যবহার হয়েছে।(আমি)
.
–হ্যা আর প্রিন্সেস এর তরফ থেকে আমার শর্ত গুলোই তার জন্য আমার অর্ধেক ক্ষমতার সমান হয়ে যায়।(ড্রাকুলা)
.
–এতো কি শর্ত দিলেন তাকে? যে সেটা আপনার অর্ধেক ক্ষমতার সমান হয়ে গেলো?(আমি)
.
–প্রায় বিশটা আছে। তবে দুটো বলি, প্রথমত তাকে নতুন রাজ্যের জন্য পারফেক্ট রানী হতে হবে। সে রানীর কাজ থেকে পালিয়ে গেলে, তার ঘুমের মধ্যে তোমাকে হত্যা করে ফেলবে সে। দ্বিতীয়ত, যদি রাজ্যের প্রতি অলসতা দেখায় সে তাহলে তুমি চার পাঁচটা বিয়ে করবে। যেখানে তার জায়গা থাকবে না।(ড্রাকুলা)
.
–এটা কোনো কথা?(আমি)
.
–তার মনে সব সময় তোমার চিন্তায় থাকে। তাই আমি তোমাকেই আমার শর্তে ব্যবহার করেছি। শর্ত গুলো রিয়েল কাজের মতো কাজ করে।(ড্রাকুলা)
.
–আমি যদি কাউকেই বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেই, আর সব রাতে সুরক্ষিত থাকি তাহলেও কি প্রিন্সেস এর শর্ত ভাঙলে সে জিনিস হবে।(আমি)
.
–হ্যা। এটা এবসুলেট। যে করেই হোক শর্ত ভাঙলে শর্ত অনুযায়ী কাজ হবে। সেটা তুমি চাও আর না চাও।(ড্রাকুলা)
.
–আপনি তো আমাকে অনেক বড় একটা সমস্যায় ফেলে দিলেন। এটা মোটেও সুবিধার নয়। তবে আমি বুঝতে পারছি না প্রিন্সেস এর কি হয়েছে এখন?(আমি)
.
–আমার অর্ধেক ক্ষমতা তার শরীরে তৈরী হচ্ছে, যেটা আমাদের ব্লাড কন্ট্রাকের মাধ্যমে হচ্ছে। আর তার শরীরের চেতনা এতো ক্ষমতা কন্ট্রোল করতে পারবে না একসাথে। এজন্য আপাতোতো সে বেহুস হয়ে আছে। তবে একটা আলাদা রকমের ম্যাজিক পাওয়ার তার শরীরকে এখন সুরক্ষিত রাখবে। এখন এখানে সয়ং ডেভিল কিং আসলেও প্রিন্সেসকে স্পর্শ করতে পারবে না সে।(ড্রাকুলা)
.
–ওয়াও। ব্যাপারটা অনেক বিষ্ময়কর। আচ্ছা একটা সত্য কথা বলবেন?(আমি)
.
–হ্যা বুঝতে পারছি কি বলবে তুমি, এটাই তো আমি মানুষের একটা রাজ্য বানানোর জন্য এতো উঠে পরে লেগেছি কেনো? আর সেটা নিজের হাতেই বানাচ্ছি না কেনো তাই তো?(ড্রাকুলা)
.
–হ্যা। এর আগেও একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম আমি।(আমি)
.
–দেখো জ্যাল সব কিছু সহজ হয় না অর্জন করার জন্য। কিন্তু আমার জন্য সেটা অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। এই ধরো আমি হাজার হাজার বছর জীবিত আছি, তাছাড়া আমার যে ক্ষমতা সেটা দিয়ে আমি সব কিছুই খুব সহজে অর্জন করতে পারি। কারো সাথে লড়তে চাইলে, তার মনের কথা শুনেই তাকে হারাতে পারি। এই সব ক্ষমতা থাকার ফলে দুনিয়ার সব কিছুই আমার বোরিং লাগা শুরু হয়। যার কারনে একটা সময় আমি বিরক্ত হয়ে পৃথিবীতে চলে যায়। যেখানে প্রথমে মানুষদের হত্যা করতাম। তাদের উপরে পরীক্ষা করতাম অনেক রকমের। কিন্তু পরে সেটাও বন্ধ করে আমি মানুষের মতোই জীবন শুরু করি। কিন্তু সেটাও সম্ভব হয় না। দুনিয়া ধ্বংস হলো। এবং আমি কয়েকটা ঝোকার এর সাথে লিম্বোতে আটকা পরে যায়। সেখান থেকে আবার নতুন দুনিয়াতে আসলেও আমি এখানেও আগের মতোই অনুভব করছি। পুরো দুনিয়ায় বোরিং। কারন এখানে যেটা আমি চাইবো সেটাই অর্জন করতে পারবো।
.
–তাহলে?(আমি)
.
–এজন্য আমি এবার নতুন একটা পদক্ষেপ নিয়েছি। যেরকম দাবা খেলায় কোর্টের সবচেয়ে মূল্যবান হলো রাজা, যেটায় আসল জিনিস। তাকে আটকাতে পারলেই পুরো গেম শেষ। তবে রাজার থেকেও মূল্যবান হলো যে গেমটা খেলছে। কারন সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার রাজা কি করবে। আর রাজা মূল্যবান হলেও রানীর ক্ষমতা কোর্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশীই থাকে, যেটা রাজাকে সব সময় সুরক্ষিত করে।(ড্রাকুলা)
.
–তো আপনি কি এই দুনিয়াকে দাবা খেলার মতো বানাতে চাচ্ছেন?(আমি)
.
–হ্যা। একদম সেরকমই। আমি একটা রাজ্য বানাতে চাচ্ছি যেখানে সর্বশক্তিমান রানী দাবার মতোই পুরো কোর্ট দখল করে রাখবে। আর সেভাবেই আমার বোরিং লাইফ কাটবে।(ড্রাকুলা)
.
–তো আপনি রাজা হতে পারতেন তো?(আমি)
.
–না আমি তো এখানে সেই লোক যে দাবা কোর্টের রাজা রানী এবং বাকিদের পদ নিদর্শন দিবো। আর তারা সেই পথে পা দিবে আমার কথা মতো। আর কোর্টের সর্বশক্তিমান পিচটায় আমি নির্বাচন করেছি, যে তার নিজের রাজা এবং বাকি সৈন্য একাই জোগাড় করতে পারবে। আমি আপাতোতো দর্শক হয়ে দেখতে থাকবো। (ড্রাকুলা)
.
–হ্যা। অনেক সুন্দর একটা বুদ্ধি।(আমি)
।।।
।।।
আমি ড্রাকুলার সাথে সহমত। কারন সে এই দুনিয়ার কেউ না। তার জন্ম হয় নি এখানে। এক কথা সে মারা গেছে। তাকে কেউ চিনে না। আগের দুনিয়ার কথা বললে সবাই তাকেই পাগল বলবে। সে যেহেতু এই দুনিয়ার না তার এই দুনিয়ার কোনো কিছু করাও ঠিক না। কিন্তু সে এখানে দাবা খেলতে যাচ্ছে। যেটা অনেকটা ইন্টারেস্টিং জিনিস। এখানে তার কিছু করতে হবে, বরং তার দেখানো পথে এই দুনিয়ার সবাই সব কাজ করবে। তাই তার বুদ্ধিটা আমার ভালো লাগছে। যদিও এটা পাগলের মতো লাগতো কিছুটা আগে আমাকে এটা বললে। কারন আমার ব্রেইনের মধ্যে আমার চেতনা ঢোকার পরে আমি জানতে পেরেছি আমিও এই দুনিয়ার না। যেটা আমাকেও এখন ভাবাচ্ছে, আমি এতো কিছু করছি এটা কি ঠিক হবে। আরো কি কিছু করবো, নাকি এখানেই দাড়িয়ে যাবো।
।।।।
।।।।
।।।।
চিন্তা ভাবনা আমি যা করছি সেটা হয়তো ড্রাকুলার কানে এতোক্ষন চলে গেছে। তাই সে কিছু বলছে না আর। বরং সে আমাকে প্রিন্সেস এর পাশেই দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে বলে সে চলে গেলো। কোথায় গেলো সেটা আমাকে জানালো না। আমি মাটিতে বসে পরলাম। সামনে মাথা সমান উচ্চতায় ভাসছে প্রিন্সেস, যাকে অনেক মায়াবী মনে হচ্ছে। তাকে এখন এভাবে দেখে আমার রোমান্টিক হতে মন চাচ্ছে কিছুটা। কিন্তু তার কাছে যেতে পারবো না এটায় সমস্যা। আমার আগের স্মৃতি আসার ফলে আমি এখন জানি ভালোবাসা জিনিসটা কি। আর সে সম্পর্কে আমার খুব ভালোই ধারনা আছে। আর সেটাও বুঝতে পারছি প্রিন্সেস তার রানীর কাজে অলসতা করলে একটা সময় আমি লুচু বয় হয়ে যাবো। যেটার কারনে পাঁচটা স্ত্রী থাকবে আমার। তবে আমি চাইবো না তেমন কিছু হোক। অবশ্য এখন রোমান্স নিয়ে কল্পনা করা শুরু করায় অনেক কিছু আমার চিন্তায় আসছে। বিশেষ করে আমি আমার ভবিষ্যত পাঁচ স্ত্রীকে কল্পনা করতে লাগলাম। যেহেতু প্রিন্সেস এলিনা আমার স্ত্রী হবে না। তাই কার কার সম্ভবনা আছে? ভাবতে ভাবতে কয়েকজনের নাম মনে আসলো, প্রিন্সেস এলিহা, লুসি, লুসানা, রানী আফরিয়েল। যদিও আমি পঞ্চম কাউকে পেলাম না ভেবে, তারপরও ভাবতে লাগলাম। অনেকক্ষন ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতে করতে আমার মাথায় আরেকটা জিনিস আসলো। সেটা হলো এখন আপাতোতো কেউ নেই এখানে। আর আমাকে প্রিন্সেস এর পাশেই থাকতে হবে, তাই এই সুযোগে আমি বাকি তিন সত্ত্বার শরীর ব্যবহার করার চেষ্টা করি।
।।।
।।।
।।।
আমি যোগব্যায়াম করার মতো আসন নিয়ে বসলাম। এবার মনোযোগ দিতে শুরু করলাম। আমি জানি আমি প্রথমেই পারবো না৷ আমাকে চেষ্টা করতে হবে। আমার ব্রেইন আমাকে বলেছিলো আমার ব্রেইনের লাইব্রেরীতে পৌছানোর জন্য আমাকে গভীর চিন্তা করতে হবে। প্রথম বার যদি আমি নিজে সেখানে যেতে পারি, তাহলে আমার মানুষের শরীর নিয়েই সেখানে পৌছে যাবো। শুধু আমাকে চিন্তা করতে হবে।।।
।।।
।।।
।।।
পুরো আধা ঘন্টা গভীর চিন্তা পরে আমি আমার চেতনাকে আমার লাইব্রেরীতে পৌছাতে সক্ষম হয়েছি। যদিও অনেক বিরক্তকর চেষ্টা ছিলো। কেউ শুধু শুধু মাটির উপরে বসে চিন্তা করবে না। আমি কি চিন্তা করেছি এতোক্ষন সেটাও ভুলে গেছি এখন। আমার সামনে আগের মতো সব কিছুই আবারো দেখতে পেলাম। এবার আর আমি আগের মতো আসি নি। এবার নরতে পারছি। লাফাতে পারছি। অনেক মারাত্মক একটা জায়গা। মৃত শরীর দেখে যারা ভয় পায় তারা কখনো এখানে আসতে চাইবে না। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেটা বিপরীত। আমি ভয় পাচ্ছি না, কারন এরা আমার সত্ত্বার শরীর। তাদের ক্ষমতা আমার মধ্যেই আছে। এখন যদি আমি একটা সত্ত্বার শরীর নির্ধারন করি, তাহলে আমি পুরো আলাদা গোত্রে প্রানীতে ট্রান্সফর্ম হয়ে যেতে পারবো, যেটা আমাকে অনেকটা আলাদা করবে। যদিও মানুষের শরীরটাই আমার ভালো লাগে, তারপরও লড়াই এর সময় এইগুলোও আমাকে অনেক ভালো করে সাহায্য করবে। আমি হেটে সামনে গেলাম। এবং এন্জেল এর সত্ত্বার হাত ধরলাম যেটা ধরার পর মনে হলো আমও সেটার মধ্যে ঢুকে গেলাম। এরকম কোনো ফিলিংস আমি আগে বোধ করি নি। এটাই হয়তো প্রথম হলো। আমি চোখ খোলার পর নিজেকে সেই স্থানে বসে থাকায় পেলাম। নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে পার্থক্য বুঝতে পারলাম। আমার শরীরের কালার অনেকটা সাদা হয়ে গেছে। এন্জেলরা দেখতে অনেক সুন্দর এবং ফর্সা হয়। হয়তো আমার চেহারার লুক সেরকমই হয়ে গেছে। আমি জানি না, তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমার পিঠে ডান পাশে ছয়টা বিশাল সাদা রয়েছে। যেটা একদম সত্যিই আমার সাইজের তিনগুন বড়ো। যদিও আমি সেগুলো দেখে অনেকটা খুশি, কিন্তু একসাইডে ছয়টা ডানা সেটা মোটেও ভালো দেখাচ্ছে না।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৪৮
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি বসা থেকে দাড়ালাম। পিঠের ছয়টা ডানা কিছুটা ঝাপটা দিলো। তাতে করে ডানা থেকে কয়েকটা পালক নিচে পরে গেলো। ডানা গুলো থেকে একটা সাদা আলো বের হচ্ছে, যেটা মুক্তার মতো জ্বলজ্বল করছে। পালক গুলো মাটিতে পরার পর সেগুলো এমনিতেই অদৃশ্য হয়ে গেলো। আমি ছয়টা ডানার মানে বুঝতে পারলাম। যেহেতু আমি আমার এন্জেল সত্ত্বার শরীর ব্যবহার করেছি তাই তার ফর্ম ও আমি পেয়েছি। আর আমার আগের দুনিয়াতে একপাশে ছয়টা ডানা থাকার কারনে এখন একপাশে আমি ছয়টা ডানা পেয়েছি। সমস্যা হলো আমার দুই সত্ত্বা, এন্জেল এবং ডেভিল এর ক্ষমতা মিলিয়ে আমার পিঠে বারোটা ডানা থাকতো। ডান পাশে ছয়টা এন্জেল ডানা ছিলো এবং বাম পাশে ছিলো ছয়টা ডেভিল ডানা। কিন্তু এই দুনিয়ায় আমার শরীরে কোনো সত্ত্বা বাস করতে পারবে না। বরং আমার একটা চেতনাই সবগুলো সত্ত্বাকে কন্ট্রোল করে। আর সেই চেতনা আমার মানুষের সত্ত্বার। যদিও বাকি সব সত্ত্বার চেতনাও এখন একত্রিত হয়েছে।।
।।।
।।।
আমি আমার এন্জেল সত্ত্বার শরীরে আসার পর মানসিক কিছুটা পার্থক্য লক্ষ করলাম। যেহেতু আমার সকল সত্ত্বার চেতনা একত্রিত হয়ে আমার মানুষ সত্ত্বার মধ্যে অবস্থান করছে এখন, তারপরও আমি বুঝতে পেরেছি যে আমার মানসিক অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এবং চিন্তা ভাবনাও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যেহেতু আমি এখন একজন এন্জেল এর রূপ পেয়েছি তাই আমার চিন্তা ভাবনা গুলোও একজন এন্জেল এর মতো হয়েছে। এন্জেল রা কি রকম কল্পনা করে সেটা আমি বুঝতে পারলাম। সব সময় পরিস্কার থাকা এন্জেলরা পছন্দ করে। এবং বিশেষ করে ছেলে এন্জেলরা চাই তার উপরে অধিক মেয়েরা ক্রাসিত হোক। আর মেয়ে এন্জেলরা চায় সব ছেলেরাই তার জন্য পাগল হোক। অবশ্য এন্জেলরা বাকি গোত্রদের নিজেদের থেকে অনেক কম মনে করে সবকিছুতে। যেটা এই রূপে থাকলে আমিও করবো। মানসিক চিন্তা ভাবনা চেন্জ করার কোনো সহজ উপায় দেখছি না। তবে সেটা সময়ের সাথে চেন্জ হয়ে যাবে। আমার এন্জেল সত্ত্বা মৃত হলেও সেটার চেতনা একত্রিত আছে আমার প্রধান চেতনার সাথে। যার কারনে তার সব রকম মানসিক মনের ইচ্ছা আমারও ইচ্ছা হবে।
।।।
।।।
এই জিনিসটাকে সহজ করে বলতে চাইলে জিনিসটা এরকম হবে। আমার শরীরে মোট পাঁচ সত্ত্বা ছিলো। প্রথমত ডিম্যান সত্ত্বা এবং এন্জেল সত্ত্বা, যেটা আমি আমার বাবা এবং মায়ের থেকে পায়। তারপর আসে ডেভিল সত্ত্বা। যেটা ডেভিল কিং এর বংশধর এবং নিজে ডেভিল কিং হওয়ার ফলে পায়। এরপর ভ্যাম্পায়ার সত্ত্বা যেটা আমি এনার ব্লাড খাওয়ার ফলে পায়। আর সবশেষে মানুষ সত্ত্বা। যেটা মানুষের সাথে পৃথিবীতে পনেরো বছর কাটানোর ফলে পায়। এই এক একটা সত্ত্বা আমার শরীরে বাস করতো আগের দুনিয়ায়। যার মধ্যে মানুষ সত্ত্বা খুব দুর্বল থাকার কারনে তার অস্তিত্ব বোধ করা যেতো না। তবে সব গুলো সত্ত্বায় আমার শরীরকে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা ছিলো। তখন আমার সত্ত্বাদের মধ্যে লড়াই চলছিলো। যেটা আমাকে অনেক দুর্বল করে দিয়েছিলো। সত্ত্বাদের আলাদা একটা চেতনা থাকে। সেটা আমার সাথে মিলে না। তাদের একটা সত্ত্বা যদি আমার শরীরকে পুরোপুরি ভাবে দখল করে নিতো তাহলে আমি সেই সত্ত্বার গোত্রে রূপান্তর হতাম। এবং আমার ভাবনা সেই গোত্রের মতো হতো। যেমন উদাহরন স্বরূপ আমার ডেভিল সত্ত্বা যদি আমার শরীর দখল করতো আগের দুনিয়ায় তাহলে আমি আগের ডেভিল কিং দের মতো ব্যবহার করা শুরু করতাম। আমি তখন অন্য কিছু ভাবতাম না আর। তখন একটা সত্যিকারের ডেভিল কিং এর মতোই চিন্তা করতাম। আবার এন্জেল সত্ত্বা আমার শরীর দখল করলে আমি একটা এন্জেল এর মতো চিন্তা করতাম। যদিও বিষয়টা আমার কাছে অনেক সহজ মনে হচ্ছে। তবে এটা অন্য সবার জন্য পেচালো অনেক।
।।।
।।।
আমি বাকি চিন্তা বাদ দিলাম। ছয়টা ডানা একপাশে আমাকে মোটেও ভালো দেখাচ্ছে না। ডানা গুলো ভিতরে প্রবেশ করালাম না। আমি গডহ্যান্ডের ব্যবহার করতে চাইলাম। কারন তাতে করে অন্যন্ত বাম পাশে আরো পাঁচটা ডানার আকার দিতে পারবো। তবে চেষ্টা করেও কোনো লাভ হলো না। কারন এই এন্জেল সত্ত্বার শরীর ব্যবহার করে আমি গডহ্যান্ড ব্যবহার করতে পারছি না। বিষয়টা খারাপ লাগলো। তাই আপাতোতো সময়ের জন্য আমি আমার ডানা ছয়টা পিঠের মধ্যেই ঢুকিয়ে রাখলাম। যদিও এই দুনিয়ার সব এন্জেল বেশীরভাগ সময় তাদের ডানা বের করেই রাখে, কারন তারা যে এন্জেল সেটা দূর থেকে দেখানো তাদের পূর্বকালের অভ্যাস। যদিও আমার ডানা বের করে রাখার কোনো ইচ্ছা নাই। কারন ছয়টা ডানায় আরো খারাপ লাগবে। এতো দিন আমি আমার মুখে মাস্ক পরলেও জিনিসটা এখন খারাপ লাগছে। তাই খুলে আমি ব্যাগের মধ্যে রেখে দিলাম। এন্জেল রূপে আসার পর থেকে কেনো জানি স্টাইলের ব্যাপারে আমার চিন্তা বেশী বেড়ে গেছে। আমি এতোক্ষন নিজের নতুন রূপ চিন্তায় থাকার ফলে এতোক্ষন আমার সামনে প্রিন্সেস ছিলো সেটা ভুলে গেছি। আমার এন্জেল সত্ত্বার শরীর নেওয়ার পর থেকে আমার মানসিক অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যেটা আমার অনেক স্বভাবও চেন্জ করেছে এখন। আমি হাটতে গিয়ে সেটা লক্ষ করলাম। আগের থেকে অনেক সুন্দর করে হাটছি আমি। আগে হাটতে গেলে জুতার ময়লা প্যান্টের উপরে উঠে যেতো। কিন্তু এখন খুব সুন্দর করে পা ফেলছি। আর আমার মাথায় এখন চিন্তাও চলছে ভিন্ন। আমি আগে এরকম ভাবি নি। এখন তো প্রিন্সেস এর সাথে কিছুটা রোমান্টিকতা করতে মন চাচ্ছে। যেটা আগে কখনো চিন্তা করতাম না আমি। যদিও আমি জানি তাকে ধরলে আমার উপরে তার শরীর থেকেই আঘাত আসবে তারপরও আমি তার কাছে এগিয়ে গেলাম।
।।।।
।।।।
আগের বার তাকে স্পর্শ করার ফলে আমার উপরে অনেক ভয়ানক লাইটনিং এর আঘাত আসে তার শরীর থেকে। আমি সেটা জেনেও তার কাছে এগিয়ে গেলাম। কেনো জানি এক দিক দিয়ে নিজেকে অনেক শক্তিশালী মনে হচ্ছে। আমি এগিয়ে গিয়ে প্রিন্সেস এর কাছে গেলাম। সে এখনো হাওয়ায় উড়তেছে। তার কাছে যাওয়ার ফলে তার শরীরের আশে পাশে লাইটনিং তার শরীর থেকে বের হতে শুরু করলো। আমি সেটা দেখে পিছনে আসলাম না। বরং তার একটা হাত শক্ত করে ধরে ফেললাম। বরাবরের মতো এবারো আমার শরীরে অনেক ভয়ানক লাইটনিং আঘাত করলো। কিন্তু এবার আমার কিছুই হলো না। পুরো লাইটনিং আমার শরীর দিয়ে মাটিতে পৌছে গেলো। আমি কিছু ফিল করলাম না এটায় অবাক হলাম না। বরং এখন কিছুটা হাসি পেলো। আমি প্রিন্সেসকে টেনে আমার কোলে তুললাম। এবং তার কপালে হাত দিলাম। আমি নিজেও জানি না কি করতেছি, কিংবা কি করতে পারি আমি। শুধু পদক্ষেপ নিলেই মনের মধ্যে ধারনা আসে এটা করলে এরকম কিছু হতে পারে। আর সে অনুযায়ীই আমি কাজ করছি। এন্জেলদের ক্ষমতা সম্পর্কে আমার তেমন ধারনা ছিলো না আগের দুনিয়ায়। তাই এখন যা করছি সেটা আমার চেতনায় থাকা কিছুটা হিন্টের মাধ্যমেই করছি।
।।।।
।।।।
।।।।
আমি প্রিন্সেস এর কপালে হাত দিলাম। যেটার ফলে তার শরীর থেকে যে ম্যাজিক পাওয়ার চলে গিয়েছিলো ব্লাড কন্ট্রাকের সময় সেটা আমার শরীর থেকে তার শরীরে যাচ্ছে। অবশ্য তার লাইটনিং এখনো বের হচ্ছে। কিন্তু তাতে আমার কিছুই হচ্ছে। বরং আমি তাকে কোলে করে নিয়েছি এখন। তার শরীরে ম্যাজিক পাওয়ার দেওয়ার আরো সহজ একটা স্পেক রয়েছে। যেটা খুবই কাজে দেই। সেটা হলো এন্জেল এর কিস স্পেল। এটা চুমুর মাধ্যমে কাজ করে। তাই দেরী না করে আমি প্রিন্সেসকে কোলে নেওয়া অবস্থাতেই তার ঠোটে চুমু দিয়ে দিলাম। অবশ্য এটার উদ্দেশ্য আমার ছিলো না। তবে আমি চেন্জ হয়েছি আমার সত্ত্বার শরীরেরও সাথেই।
।।।।
।।।।
।।।।
চুমুতে একটা প্রচন্ড আলো দেখা গেলো এখানে। আমার পিঠের ছয়টা ডানা বেরিয়ে গেলো। এবং সেগুলো আগলে ধরলো প্রিন্সেস এবং আমাকে সহ। কয়েক সেকেন্ড পরেই প্রিন্সেসের চোখ খুলে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম তার ম্যাজিক পাওয়ার ফুল হয়ে গেছে এখন। তাই আমিও আমার মুখ সরিয়ে নিলাম। অবশ্য প্রিন্সেস প্রথমে কি হচ্ছে সেটা দেখার চেষ্টা করছে। অনেকক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। পরে যাবে কোলে থেকে এই ভয়ে এক হাত দিয়ে আমার গলার পিছন দিয়ে হাত দিয়েছে এবং আরেকটা দিয়ে আমার কলার ধরেছে। এরপর পরিস্থিতি বুঝতে পেরে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
.
–জ্যাক এটা তুমিই?(প্রিন্সেস)
.
–হ্যা। প্রিন্সেস এলিনা।(আমি)
.
–হঠাৎ করে তোমাকে আলাদা লাগছে অনেক। তোমার শরীরের রংটা হালকা ফর্সা থেকে গাঢ ফর্সা লাগছে। ম্যাজিক পাওয়ার কিছুটা অনুভব করতে পারলেও এখন একদম নতুন ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করছি তোমার। সেটা এন্জেলদের মতো হলেও, এন্জেলদের থেকে আলাদা।(প্রিন্সেস)
.
–এইটা তেমন কিছু না। হয়তো গডহ্যান্ডের ক্ষমতা পুরোপুরি আনলক হয়েছে। তো আপনি কেমন বোধ করছেন প্রিন্সেস?(আমি)
.
–আমি তো ভালোই ছিলাম। কিন্তু এভাবে তোমার কোলে আমি থাকবো সেটা ভাবি নি। অনেক লজ্জা লাগছে।(প্রিন্সেস লজ্জায় লাল হয়ে)
.
–আমি তো আপনার রয়েল গার্ড তাই না প্রিন্সেস। আপনার সব সময় খেয়াল রাখা আমার দায়িত্ব। ক্লান্ত হলে আপনাকে কোলে নেওয়াও তো আমারই দায়িত্ব।(আমি)
.
–একটু আগে তুমি আমাকে কিস করেছো?(প্রিন্সেস)
.
–ঔটাকে কিস বলে না প্রিন্সেস। ঔটা ভালোবাসার ম্যাজিক স্পেল ছিলো।(আমি)
.
–সেটা আবার কি?(প্রিন্সেস)
।।।
।।।
প্রিন্সেস এর সাথে আমি কথা বলতে লাগলাম। আমি তাকে কোলে নিয়েই লাফ দিয়ে পাশের একটা গাছের উপরে উঠে পরলাম। আমার এন্জেল শরীরে আসার পরে লাফ দেওয়ার ক্ষমতা অনেক বেরে গিয়েছে। তাই গাছের একটা উচু ডালে যেতে সমস্যা হলো না। আমি ডালে বসে পরলাম। প্রিন্সেসকে আমার কোলেই বসালাম। প্রিন্সেস অবাক হচ্ছে। কারন আমি এরকম কখনো করি না তার সাথে। সে হয়তো ভাবছে আমি হয়তো ড্রাকুলার মাইর খাওয়ার পরে অনেকটা চেন্জ হয়ে গেছি যাইহোক সে কি ভাবছে সেটা ড্রাকুলা ছাড়া কেউ জানতে পারবে না।
.
–কি করছো? এখানে আনলে কেনো?(প্রিন্সেস)
.
–না সেখানে অনেক আলো। আলোতে একজন প্রিন্সেস এর ত্বকের কতটা ক্ষতি হবে সেটা তো বুঝতেই পারছেন। তাই একটু ছায়ার নিচে চলে আসলাম। আর জায়গাটাও সুন্দর দুজনে বসে কিছুক্ষন গল্প করার।(আমি)
.
–আজকে তোমাকে পুরোই চেন্জ মনে হচ্ছে। তুমি তো আমার সাথে এরকম ব্যবহার করো না কখনো।(প্রিন্সেস)
.
–কেনো সেটা মনে হলো কেনো?(আমি)
.
–এমনি সময় আমি তোমার হাত ধরে হাটতে চাইলেই তো তুমি সরে যাও। হাত ধরতে দাও না। কিন্তু আজ হঠাৎ করে সরাসরি আমাকে কোলে তুলে নিলে। এটাই বুঝতে পারছি না।(প্রিন্সেস)
.
–মনের ভাবনা প্রকাশ না করে থাকাটা বোকামি। তাই এখন সেটা প্রকাশ করছি।(আমি)
।।।।
।।।
৷।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।