ভ্যাম্পায়ার কুইন ২ পর্ব-৬৪+৬৫

0
20

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৬৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমাদের অবস্থা খুব খারাপ করে দিলো লোকি। লোকি বললে ভুল হবে, বরং লোকির শরীরে লোকিও রয়েছে এবং ডেভিল কিং ও রয়েছে। বিষয়টা অনেক ভেজালের মতো। লোকির শরীরের ডান অংশ কালো হয়ে গেছে, যেটা ডেভিল কিং এবজোর্ব করেছে, এবং বাকি বাম অংশ লোকির নিজেরই। আর দুজনের ক্ষমতা এক হওয়ার ফলে আমাদের অবস্থা টাইট হয়ে গেছে। আমরা চারজন পরে আছি চার জায়গায়। নরার মতো ক্ষমতাও আমাদের কারো শরীরে নেই। চারজন বলতে আমি, ড্রাকুলা, এলিনা এবং থর। থর অনেকক্ষন আগেই এসেছে আমাদের কাছে। আমাদের চারজনের ক্ষমতা দিয়েও আমরা লোকির কিছুই করতে পারি নি, বরং আমাদের সমস্ত ম্যাজিক পাওয়ার লোকির তলোয়ার এবজোর্ব করে নিয়েছে, আমার ক্ষমতা এবজোর্ব করে তার কোনো লাভ হয়নি, কারন আমি এন্জেল ফর্মে আছি, এন্জেলদের ম্যাজিক পাওয়ার ডেভিলরা ব্যবহার করতে পারে না। আমি আমার অন্য কোনো ফর্মে লোকির সাথে লড়ি নি, সেটায় রিক্স বেশী থাকলেও চেষ্টা করতে হবে। কারন আমি নরার মতো ক্ষমতা পাচ্ছি না আমার এন্জেল ফর্মে। যেই ড্রাকুলা এতো শক্তিশালী সেও রক্তাক্ত হয়ে পরে আছে, তার পুরো ম্যাজিক পাওয়ার এবজোর্ব করেছে লোকি, যেটা তাকে আরো অনেক শক্তিশালী করে দিয়েছে। ব্লাক সোর্ড আর লোকির হাতে নেই, বরং তার পুরো ডান অংশের সাথে মিশে গেছে, এখন লোকির সাথে স্পর্শ লাগলেই আমাদের ম্যাজিক পাওয়ার এবজোর্ব হয়ে যায়, যেটা অনেক ভয়ানক। থর উঠলো বসা থেকে, থরের শরীর দিয়েও রক্ত পরছে। একটু আগে থর আর লোকির ভয়ানক লড়াই হয়েছে, যেখানে থর লোকির কাছে কিছুই না। থর উঠে মিওনির নিয়ে লোকি দিকে এগিয়ে গেলো আঘাত করতে।
।।
।।
লোকি থরের মিওনির ডান হাত দিয়ে ধরলো। এবং পুরো মিওনিরকে এবজোর্ব করে নিলো। যেটার ফলে তার ডান অংশ থেকে লাইটনিং বের হতে শুরু করলো। লোকি থরকে বিশাল লাইটনিং এর ঝটকা দিলো এবং পুরো বেহুস করে দিলো। লোকি তার হাতে ব্লাক সোর্ড দিয়ে বিশাল একটা তলোয়ার বানালো। ব্লাক সোর্ডকে লোকি নিজের মতো আকার দিতে পারছে, যেটা অনেক ভয়ানক হয়ে যাচ্ছে। লোকি থরের গলা কাটতে যাবে ঠিক তখনি আমি আমার ডেভিল ফর্মে চলে আসলাম। আমি লোকির সাথে ড্রাকুলার ফাইট, থরের ফাইট এবং নিজেও এন্জেল ফর্মে লোকির সাথে লড়ে বুঝতে পেরেছি কোনো ভাবেই আমরা লোকিকে আমাদের ক্ষমতা দিয়ে হারাতো পারবো না। কিন্তু চেষ্টা না করেও হার মানা যাবে না। আমি জানি আমার পুরো ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হওয়ার পরে লোকি আমাকে এবজোর্ব করে নিতে পারবে ব্লাক সোর্ডের ভিতরে, তাই আমাকে সাবধান থাকতে হবে। বিষয়টা আমার কাছে পিপড়া ভার্সেস হাতির মতো মনে হচ্ছে। যেখানে পিপড়া আমি এবং হাতি লোকি। যাইহোক এতো সহজে আমি হার মানতে পারবো না। কারন আমার ডেসটিনি আমার জন্য অপেক্ষা করছে। এই লড়াই এর পরই সব কিছু শেষ হয়ে যাবে। আমি আমার ডেভিল ফর্মে আসলাম এবং যেখানে পিঠে আমার ছয়টা ডানা রয়েছে বাম পাশে। এন্জেল এর মতো আমি আমার ডানা খুলে আবার ডান পাশে লাগাতে পারবো না। বরং আমাকে আমার ডানপাশের ডানা হওয়ার অপেক্ষা করতে হবে।
।।।
।।।
আমি সোজা টেলিপোর্ট হলাম লোকির কাছে এবং তার বাম পাশে আঘাত করলাম আমার তলোয়ার ডান হাত দিয়ে। এক্সোভিলিরার জন্য কষ্ট লাগছে। একটু আগে লোকির সাথে লড়তে গিয়ে সোটা অবজোর্ব করে নেই ব্লাক সোর্ড। যার ফলে আমার কাছে কোনো অস্ত্র নেই এখন। একসাথে তিনটা তলোয়ার চলে গেছে। আমাকে নিজের হাতের ব্যবহারই করতে হবে। কোনো ম্যাজিক স্পেলও এখন লোকির উপরে কাজ করে না। কারন ওর শরীরই এখন ব্লাক সোর্ড হয়ে গেছে, যার ফলে প্রতিটা স্পেল ও এবজোর্ব করে নেই। আমি বুঝতে পারছি কি কিভাবে হারবো এরকম মনস্টারকে। মনস্টার বললে ভুল হবে, দুনিয়ার মধ্যে সে একটা সুপ্রিম বিয়িং হয়ে গেছে এখন, যাকে হারানো কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আমি কয়েকটা ঘুষি দিয়েছি লোকির বাম পাশে এবং সাথে সাথে টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম লোকি ঘোরার পূর্বেই, তবে আমার মুখ ধরে ফেললো ডান হাত দিয়ে টেলিপোর্ট হওয়ার আগেই। আমার মুখ আমি লোকির থেকে ছাড়াতে পারছি না। আর এদিকে আমার ম্যাজিক পাওয়ার ওর শরীরে যাচ্ছেই, এখন আমি ডেভিল ফর্মে আছি যার কারনে আমার ম্যাজিক পাওয়ার এবজোর্বের ফলে লোকি আরো অনেক শক্তিশালী হয়ে গেলো।
.
–তোমার সাথে অনেক খেলা হয়েছে, এখন আমার মনে হয় না আরো কোনো কিছু বাকি আছে, তাই মরো এখন।(লোকি)
।।।
।।।
লোকি বাম হাত দিয়ে একটা ঘুষি দিলো আমার বাম হাতের ঘাড়ে, যেটার ফলে আমার বাম হাত সোজা খুলে ছিটকে গেলো। আমি ব্যথায় চিল্লিয়ে উঠলাম। আমার ম্যাজিক পাওয়ার এবজোর্ব হওয়ার ফলে হিলিং এর কাজও করতে পারবে না এখন আমার, যার ফলে মনে হচ্ছে যদিও আমি বেঁচে যায় এখানে, তারপরও আমি আমার বাম হাত ফিরে পাবো না। আমি পুরো লোকির হাতের মুঠোই আধমরার মতো রয়েছি। একটা আঘাতে আমার জীবন শেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে লোকি এখন। কারন লোকি ক্ষমতা এবজোর্ব করে অনেক শক্তিশালী হয়ে গেছে। আমার মাঝে এখন এতোটাও ক্ষমতা নেই যে আমি আমার ডেভিল ফর্ম চেন্জ করবো। অনেকটা না ভাবা জিনিস হয়ে যাচ্ছে এখানে। আমাদের পুরো সেনা এবং এলিনা দের পুরো সেনাদের এবজোর্ব করে নিয়েছে লোকি, যেখানে শুধু আমাদের চারজন বিশপ বেচে আছে, যাদেরকে আমি রাজ্যে রানী কাছে থাকার আদেশ দিয়েছি। আমি জানি না হয়তো আমার মৃত এখানেই হবে। তবে আশা করবো আমার বন্ধুরা এবং আমার রাজ্যের বাকি সবাই সুরক্ষিত থাকবে। লোকি এবার আমার পেটে একটা ঘুষি দিলো, যেটা খাওয়ার পরে আমার পেট এই পাশ থেকে ঔপাশ ফুটো হয়ে গেলো। সেই সাথে আমাকে ছেড়ে দিলো। আমি উপড় হয়ে পরে রইলাম। এবার লোকি আমার পিঠের বামপাশের ছয়টা ডানা টেনে ছিড়ে ফেললো। এবং ছয়টা ডানায় আমার বুকের মধ্য দিয়ে ঢুকিয়ে দিলো। আমি চেচিয়ে উঠলাম ব্যথায়। কিন্তু লোকির কাছ থেকে কোনো দয়া পাচ্ছি না। একটু আগে ড্রাকুলাকে নির্মম ভাবে মেরেছে লোকি। ড্রাকুলার গ্রাভিটিতে আমি এন্জেল ফর্মে থাকার পরেও বসে পরেছিলাম, কিন্তু লোকির কিছুই হয়নি। আমাকে একটা লাথি দিলো লোকি, যেটার ফলে আমি পল্টি খেতে খেতে দূরে গিয়ে পরলাম। আমি থামার নামই নিচ্ছি না। তখনি আমার পিছনে রানী এলিনা এবং রানী এলিহা চলে আসলো। দুজনে পিছন থেকে আমাকে ধরে থামিয়ে দিলো। এবং তাদের কোলে আমাকে শুইয়ে দিলো। আমার পেটে ফুটো হয়েছে বড় একটা। যেটা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে গলগলিয়ে। নারিভুরি কিছুই দেখা যাচ্ছে না রক্তের কারনে। আমি ইতিমধ্যেই আমার নিচের অংশ অনুভব করা বন্ধ করে দিয়েছি। মস্তিষ্কও কাজ করছে না ঠিক মতো। যেটার কারনে আমি অন্য কোনো ফর্মে প্রবেশ করতে পারছি না। আমার এরকম হাল হবে আমি বুঝতে পারছি না। আমি অনেক ভয়ানক স্পেল কিংবা ম্যাজিকের ব্যবহার করতে পারতাম, তাতে লাভ হতো না কোনো। সে স্পেলগুলো এবজোর্ব করে আরো শক্তুশালী হয়ে উঠতো লোকি। যেটা একটু আগে হয়েছোও ড্রাকুলার সাথে। তাই আমি হাতে হাতে লড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু এতো শক্তিশালী হবে আমি বুঝতে পারি নি। আমার ডেভিল কিংবা এন্জেল ফর্ম লোকির কাছে এখন কিছুই না। তাই বাকি সত্ত্বাগুলোও কোনো কাজে দিবে না এখানে।
।।।
।।।
এলিহা এবং এলিনা দুজনে আমার শরীরকে হিল করার চেষ্টা করছে। ওরা দুজনে কান্না করছে আর কি যেনো বলছে, যেটা আমার কানে আসছে না। আমি বুঝতে পারলাম হয়তো এটাই আমার জীবনের জন্য শেষ দিন হবে। আমি ডেসটিনির পিছনে পরেছিলাম। কিন্তু আমার ডেসটিনি আমাকে নিতে চলে এসেছে। আমি মারা যাচ্ছি।
।।।
।।।
আমার বাম হাত খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সাথে পেটে একটা ফুটো হয়েছে, আর অন্যদিকে আমি আমার শরীরের অনুভূতি ক্ষমতা হারাচ্ছি। সব মিলিয়ে আমি মারা যাওয়ার পরিস্থিতিতে। পাশে এলিনা এবং এলিহা কি বলছে সেটা আমার কানে যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে চোখটা বন্ধ হলে আর খুলতে পারবো না। লোকি কোথায় সেটা দেখার ক্ষমতাও আমার মাঝে নেই এখন। তাই আমি চেষ্টাও করলাম না। শুয়ে রইলাম দুজনের কোলে। দেখতে দেখতে চোখটা বন্ধ হয়ে গেলো। এখন আর তাকাতে পারছি না। সব কিছু অন্ধকার দেখা শুরু করেছি। আমি কোথায় আছি সেটা আমি নিজেও জানি না এখন। এরকম মনে হচ্ছে আমি মারা যাওয়ার পর পরের দুনিয়ায় চলে এসেছি, কিংবা সেরকমই কিছু একটা। কিন্তু আশে পাশে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না, সব কিছু অন্ধকার।
।।
।।
আমি হাটতে শুরু করলাম অন্ধকার দিয়ে। দেখতে দেখতে সব কিছু ক্লিয়ার হচ্ছে। আমি দেখতে পারছি, শুনতেও পারছি। আমি কোথায় সেটা আমি নিজেও জানি না। মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি কিংবা পরের জীবন এটা। একটা গানের আওয়াজ শুনতে পেলাম কাছেই। গলার আওয়াজ লক্ষ করে আমি হাটতে লাগলাম। ঠিক সেই সময় দেখতে পেলাম বিশাল একটা পাথর, সেখানে একটা ম্যাজিক সিল রয়েছে, আর তার নিচে একজন বানরের মতো দেখতে মানুষ আকৃতির একজন লোক পরে আছে। তাকে দেখে অনেক কষ্টের মাঝে আছে মনে হলো। কারন বিশাল পাথরের নিচে চাপা থাকা কষ্টদায়ক হবে। আমি চিনতে পারলাম না তাকে। কোনোদিন বানরের মতো দেখতে কাউকে দেখেছি বলে মনে হয় না। আগের দুনিয়ায় মানুষেরা ধারনা করতো মানুষ বানর থেকেই ইভোলভ হয়েছে। কিন্তু এখানে আমি একজন বানর মানুষকেই দেখছি।
.
–কে আপনি আর এভাবে পাথরের নিচে আটকা আছেন কেনো?(আমি)
.
–এটা তো অনেক ধারনা করি নি কেউ আমার সাথে দেখা করতে আসবে।(বানরের মতো লোকটা)
.
–কে আপনি? আর এই জায়গাটা কোথায়?(আমি)
.
–জায়গাটা নিয়ে আমিও অনেক চিন্তিত আছি। এরকম কয়েক হাজার বছর আমি এর আগেও একবার আটকা ছিলাম পাথরের নিচে, কিন্তু তখন আমার দুনিয়ার মধ্যেই ছিলাম। কিন্তু এখন কোথায় আটক আছি সেটা আমি নিচেও জানি না।(বানরের মতো লোকটা)
।।।
।।।
আমরা দুজনে দুজনের কাহিনী বলতে লাগলাম দুজনের কাছে এক এক করে। দুজনেই অনেক আহত হলাম দুজনের কাহিমী শুনে। আমারটা শুনে সে কাদতে লাগলো আর তার টা শুনে আমি। তার নাম সান উকং(Wukong)। সে ওরাসাক দুনিয়ার সাত মনস্টার রাজার একজন। যাকে সবাই মাংকি কিং নামে চিনে, তার এই পরিস্থিতি আগেও একবার হয়েছে, আর এটা তার দ্বিতীয় বার। এভাবে কত হাজার বছর সে আটক থাকে নিচেও জানে না। এর আগে হ্যাভেনের গডদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফলেও তার এই শাস্তি হয়েছে, আবার হ্যাভেন এর সুপ্রিম গডকে হত্যা করার পর তার এই শাস্তি। কিন্তু সুপ্রিম গডকে হত্যা করার ফলে তার শাস্তি শুধু পাথরের নিচে আটক নয়। বরং তাকে একটা বইয়ের মধ্যে আটক করে সেখানে তার উপরে পাথরের একটা সিল দিয়ে ডিভাইন গেইটের মধ্য দিয়ে নিক্ষেপ করা হয়। আর যার ফলে সে এখন কোথায় আছে সেটা সে জানে না। তার পুরো কাহিনী অনেকটা কাল্পনিক রূপকথার মতো লাগলো আমার। আর আমারটাও তার। যদিও আমি বুঝতে পারলাম আমাদের দুজনের দুনিয়া আলাদা। কারন সে যেখান থেকে এসেছে সেখানে তিনটা দুনিয়া। আর আমাদের তো এগারো দুনিয়া ছিলো যেটাকে একটা করা হয়েছে।
।।
।।
.
–আচ্ছা মাংকি কিং আপনি এভাবেই আটক থাকবেন নাকি, আমি কি কোনো কিছু করে এই পাথরের সিলটাকে সরাতে পারবো না?(আমি)
.
–না এটা সুপ্রিম গড মারা যাওয়ার সময় তৈরী করে, যেটা সুপ্রিম গডের ছাড়া কারো পক্ষে সরানো সম্ভব নয়।(মাংকি কিং)
.
–ওওও।(আমি)
।।
।।
আমি বুঝতে পেরেছি আমরা কোথায় আছি। ডিভাইন গেইটের কথা আমি আগেও শুনেছি আমার স্বপ্নে, তাই বিষয়টা ক্লিয়ার হলো আমার। ডিভাইন গেইট দিয়ে একটা বয় মাংকি কিং এর দুনিয়া থেকে আমাদের দুনিয়ায় প্রবেশ করেছে, যেটা এতোদিন আমার ব্যাগের মধ্যে ছিলো। আর আমি এখন সেটার মধ্যেই আছি।
.
–তো তুমি তো এখনো মারা যাও নি। সাহায্য চাও নাকি ঔ লোকিকে হারাতে?(মাংকি কিং)
.
–আপনার দুনিয়াটা সম্পর্ন আলাদা আমাদের থেকে, আর ডিভাইন গেইটের মধ্য দিয়ে এসেছেন সেটাও আমি বুঝতে পারছি, তবে আপনি আমার কাছেই কেনো আসলেন সেটা আমি বুঝতে পারছি না। হয়তো আমার ডেসটিনিতে আপনার সাথে মেলার কথা লেখা ছিলো আগে থেকে।(আমি)
.
–এতো কথা বাদ দাও, আগে বলো আমার সাহায্য চাও কিনা?(মাংকি কিং)
.
–আপনি নিজে সাহায্য দেওয়ার কোনো অবস্থাতেই নেই তো কিভাবে আমার সাহায্য করবেন?(আমি)
.
–আমি তোমাকে ক্ষমতা দিতে পারবো। এরকম ক্ষমতা যেটা কখনো তুমি অনুভব করো নি। এরকম ক্ষমতা দিবো যেটা তোমাকে সুপ্রিম গড বানিয়ে দিবে।(মাংকি কিং)
.
–এতো কিছু আমাকে দিতে যাবেন কেনো? আপনি যদিও আমাদের ইউনিভার্সের না। তারপরও কেউ কাউকে ক্ষমতা বিনা মূল্যে দান করে না।(আমি)
.
–আমার সাথে একটা কন্ট্রাক করো যেটা আপাতোতো আমার আর তোমার মাঝেই থাকবে।(মাংকি কিং)
।।
।।
[এখানে যা হয়েছে সেটা সুপ্রিম বিয়িং গল্পে জানতে পারবেন বিস্তারিত]
।।
।।
আমি মাংকি কিং এর সাথে একটা কনট্রাকে গেলাম। যেটার ফলে আমার শরীরে আপাতোতো সময়ের জন্য অনেক ক্ষমতা চলে আসলো। যেটা আমি এখনি ফিল করতে পারছি, শুধু তাই নয় আমার সমস্ত ক্ষমতা সম্পর্কে আমি নিজেই সব জেনে গেলাম সাথে সাথে। মাংকি কিং কি করেছে আমার সাথে আমি বলতে পারবো না, তবে নতুন ক্ষমতা পাওয়ার পর আমার অন্য দিকে খেয়াল নাই।
.
–ঠিক আছে জ্যাক তাহলে দেখা হবে শীঘ্রই তোমার সাথে। মনে রেখো যদি আমার সাথে যে কন্ট্রাক করলে এটা ভুলে যাও তাহলে খারাপ কিছু একটা হবে।(মাংকি কিং)
।।।
।।।
আমি সাথে সাথে বইয়ের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসলাম। নিজেকে আমার রুমের মধ্যে পেলাম যেখানে আমার ব্যাগের মধ্যে বই ছিলো। আমি সাথে সাথে টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসলাম যুদ্ধ ক্ষেত্রে। লোকি এতোক্ষনে রানী এলিনা এবং রানী এলিহাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছে, তাদের মারে নি। আর এদিকে আমাদের চারজন বিশপ ইকারেস, হ্যারি, লুইস এবং জেসি একসাথে লড়তে আছে লোকির সাথে। কিন্তু লোকির এক একটা আঘাতে তাদের অবস্থা বারোটা বেজে যাচ্ছে। হ্যারি তার ডান হাত হারিয়ে ফেলেছে, লুইসের বাম পা হারিয়ে ফেলছে সে। আর জেসির বুকে তলোয়ারের আঘাত লেগেছে। ইকারেসকে সোজা পেটের দিক দিয়ে তলোয়ারের আঘাত করলো লোকি, যেটার ফলে ইকারেস এর শরীর দু টুকরো হয়ে গেলো। দৃশ্যগুলো অনেক কষ্টের ছিলো। যেগুলো দেখে আমার রাগের সীমা ছাড়িয়ে ফেললো। আমি সাথে সাথে আমার ফুল ফর্ম ট্রান্সফর্মেশন শেষ করে ফেললাম। যেখানে আমার সমস্ত সত্ত্বার ক্ষমতা এক হয়ে আমাকে নতুন একটা আলাদা ফর্ম দান করেছে। আগের দুনিয়ায়ও আমার এরকম একটা ফর্ম ছিলো তবে এটা সেটার থেকে অনেকটা ভিন্ন। আমার পিঠ দিয়ে ডান এবং বাম পাশে দশটা দশটা মোট বিশটা ডানা উঠলো। যেগুলোর ডান এবং বাম পাশে পাচঁটা সাদা এবং পাচঁটা কালো। আমার পিঠে আপাতোতো ডান পাশে পাঁচটা সাদা এবং কালো ডানা আবার বাম পাশে পাচঁটা সাদা এবং কালো ডানা। মাথার উপরে গোল একটা সাদা বৃত্ত তৈরী হলো। দুটো লম্বা দাত বের হলো আমার উপরের চোয়াল থেকে। এবং আমার উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পেলো। আমি সাথে সাথে লোকির দিকে হাত দিলাম যার ফলে লোকির শরীরের মধ্য থেকে আমার এক্সোভিলিরা বের হয়ে চলে আসলো। আমি এবার আমার পিছন থেকে গডহ্যান্ড বের করলাম। পুরো এক হাজার গডহ্যান্ড বের হলো যেগুলো প্রতিটা লোকির শরীরের মাঝে ঢুলে যাচ্ছে, এবং লোকি যেসব এবজোর্ব করেছে সব তার শরীর থেকে টেনে বের করছে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৬৫
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি আমার পুরো এক হাজার গডহ্যান্ড বের করেছি আমার পিছন থেকে, যেগুলো দিয়ে আমি লোকির এনজোর্ব করা সমস্ত কিছু বের করছি তার শরীর থেকে। আমি অবাক হলাম যে আমার ফুল ফর্মে আমি একহাজার গডহ্যান্ডকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছি। সাধারন ফর্মে আমি একশো হাতই কনট্রোল করতে পেরেছি। কিন্তু এখন এক হাজার। আমি সব কিছু বের করা ছাড়াও আশে পাশে যারা আহত আছে তাদেরকে হিল করতে শুরু করলাম। আমার গডহ্যান্ডের একটা স্পর্শ লাগার সাথে সাথে সকলে হিল হয়ে যাচ্ছে। অনেক লোককে লোকি জীবিতই এবজোর্ব করেছে, যারা আমার গডহ্যান্ডের স্পর্শে ঠিক হয়ে গেলো। তাছাড়া আমি আমার বিশপ, রানী এলিনা এবং এলিহা, থর এবং ড্রাকুলাকে হিল করে দিলাম গডহ্যান্ডের স্পর্শ দিয়ে। গডহ্যান্ড শুধু স্পেল ক্যান্সেল করতে পারে না, বরং সকল নেগেটিভ এনার্জি কে পজিটিভ করে ব্যবহারও করতে পারে। যেমন স্পেল কাউন্টার। কেউ আমার দিকে স্পেল ছুড়ে মারলে গডহ্যান্ড সেটা তার দিকে দ্বিগুন শক্তিশালী করে তার দিকেই আবার নিক্ষেপ করে। আমি আর স্থির না থেকে সোজা লোকির দিকে চলে গেলাম। আমাকে টেলিপোর্ট হতে হলো না। বরং আমার স্পিড এতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে যেটা পুরো টেলিপোর্টের মতোই। আমি এক পলকের মধ্যেই লোকির সামনে চলে আসলাম। লোকি আমাকে এই ফর্মে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো। মাংকি কিং আমাকে তার কোনো ক্ষমতা দান করে নি, বরং আমার নিজের ক্ষমতায় সে খুলে দিয়েছে। কিভাবে করেছে সেটা তো সেই জানে। অবশ্য তার কথা বাদ দেই, তার গল্প না এটা। এটা অন্য গল্প। তারটায় তার কাহিমী জানতে পারবেন।
।।।
।।।
আমি লোকির সামনে টেলিপোর্ট হওয়ার ফলে লোকি ভয় পেয়ে যায় কিছুটা। আমি এবার দুর্বল হয়ে লড়বো না। একদম শক্তিশালী একটা ফাইট দিতে হবে লোকির সাথে। তবে জিনিসটা তারাতারি শেষ হয়ে যাবে সেটা বুঝতে পারছি। আমার শরীর হিল হলেও আমার বাম হাত হিল হতে পারছে না। যেটার কারনে আমি একহাতি হয়ে গেলাম। এক্সোভিলিরা চালাতেও আমার সমস্যা হচ্ছে। তাই আমি তিনটা তলোয়ারকে আলাদা করে ফেললাম। এটা ব্লাক স্মিথের একটা স্পেল, যেটা দিয়ে একত্রিত তলোয়ারকে আলাদা করা যায়। আমার ফুল ফর্মে তিনটা তলোয়ার এখন আলাদা হয়ে হাওয়ার মধ্যে ভাসতে লাগলো। এটাকে সোর্ড কন্ট্রোল টেকনিক বলে যেটা লুসেফার আমাকে এই দুনিয়াতে শিখিয়েছিলো। আমার উপরে এক্সোনিয়া এবং ভিরুদা ডান পাশে আর বাম পাশে ভ্যালিরা। আমি আমার গডহ্যান্ড দিয়ে ভ্যালিরা এবং ভিরুদাকে স্পর্শ করলাম। সাথে সাথে তারা তলোয়ার থেকে তাদের আসল ফর্মে ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো। তারা দুজন ড্রাগনে ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো। যাদের আকার বিশাল।
.
–তাহলে আমাদের আসল ফর্মে ট্রান্সফর্ম করার উপায় বের করেই ফেলেছো?(ইগড্রাসিল)
.
–ট্রান্সফর্ম করেছি বলে এই না যে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে, আমার আদেশ ছাড়া নরতেও পারবে না।(আমি)
.
–সেটা তো আমি জানি। কিন্তু তুমি এতো সুন্দর একটা ফর্ম কিভাবে পেলে?(ভ্যালিরা)
.
–সেটা অনেক সুন্দর একটা কাহিনী।(আমি)
.
–তাহলে কি ধ্বংস করতে হবে আমাদের?(ইগড্রাসিল)
.
–ধ্বংস নই, বরং এখানে যত লোক আছে তাদের আমাদের রাজ্যে নিয়ে যাও তোমরা দুজন।(আমি)
.
–হ্যা ঠিক আছে।(দুজনে)
।।।
।।।
দুজনে উড়াল দিলো তাদের কাজ করার জন্য। আর আমি এদিকে লোকির বুকে একটা লাথি দিলাম। যেটা নিচ থেকে উপরের দিকে দিয়েছি, যার কারনে সে একদম উপরের দিকে উড়তে লাগলো। উড়তে উড়তে আকাশে উঠে গেলো। আমি থামলাম না। নিজের স্পিডে এক পলকের মধ্যে তার সামনে চলে আসলাম এবং একটা ঘুষি দিলাম তার পেটে। যেটার কারনে সে এই দুনিয়ার একটা উপগ্রহে গিয়ে পরলো। আমার ফুল ফর্মে মহাকাশে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে না আমার জন্য। আর একই রকম ভাবে লোকিও শ্বাস নিতে পারছে। তবে সে উপগ্রহের মাঝে অনেকটা গর্ত করে ঢুকে পরেছে আমার ঘুষি খেয়ে। আমি উড়ে ওর কাছে গিয়ে ওকে মারতে যাবো তখনি দূর থেকে আমার উপরে কয়েকশ ডার্ক ম্যাজিক বল বানিয়ে ছুরলো। যেগুলো আমার পিঠের গডহ্যান্ড এবজোর্ব করে ফেললো এবং সেগুলোই দ্বিগুন শক্তিতে লোকির দিকে ছুড়ে মারলো। এই একটা আঘাতেই পুরো উপগ্রহটা ধ্বংস হয়ে গেলো। যেটা মারাত্মক আকারের একটা ব্লাস্ট করে লোকিকে সহ। তবে লোকি তার ব্লাক সোর্ডের সাহায্যে পুরো উপগ্রহটাকেই এবজোর্ব করে নেই ব্লাস্ট হওয়ার পূর্বে। যেটার ফলে তার আকার পুরো একটা জায়েন্ট এর মতো হয়ে গেলো
.
–তুমি আমাদের পথের মধ্যে আগের দুনিয়াতেও ছিলে এবং এই দুনিয়ার মধেও আমাদের পথের মধ্যে আছো। কবে মরবে তুমি?(লোকি)
.
–মৃত্যু সেটা তো কতো আগেই হয়েছিলো। তাই এখন সেটা নিয়ে কোনো কিছু ভাবি না। মরতে একদিন হবেই, কিন্তু সেটা আমার জন্য নয়। বরং সেটা তোমার জন্য। আর তোমার সেই দিন আজকেই।(আমি)
।।।
।।।
লোকি তার জায়েন্ট ফর্মে চলে আসলো। এবার বোঝা যাচ্ছে সেএকজন ফ্রস্ট জায়েন্ট এর ছেলে। যদিও তার আকার এতোদিন ছোট ছিলো। কিন্তু এখন সে পূর্ন আকার ধারন করেছে।
.
–এক বন্ধুর কাছ থেকে একটা জিনিস গিফট পেয়েছেি, শুনেছি সেটা সে ছাড়া নাকি কেউ ব্যবহার করতে পারে না, কিন্তু জিনিসটা আমাকে ভালোই পছন্দ করেছে।(আমি)
।।।
।।।
আমি লোকিকে বলেই আমার কানে হাত দিলাম। আঙ্গুল দিয়ে ডান কান থেকে একদম ছোট একটা লাঠি বের করলাম যেটা একদমই ছোট খালি চোখে দেখা যাচ্ছে না। এটার নাম রুই জিঙ্গু ব্যাঙ(মাংকি কিং এর অস্ত্র যেটা কিনা একটা লাঠি)। যেটা সংক্ষেপে রুই। আমি মুখ দিয়ে বললাম রুই বড় হয়ে যাও। যেটার ফলে সেটা একদম ছোট চুলের আকার থেকে একটা সম্পূর্ন লাঠির আকার নিয়ে নিলো। আমার হাতে চলে আসলো এটা। মাংকি কিং বললো তার এই রুই তার দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী একটা অস্ত্র। এই রুই এতো ভারী যে সেটাকে মাংকি কিং ছাড়া অন্য কেউ তুলতে পারে না। এটার ছোট চুলের মতো আকারকেই নিয়ন্ত্রন করার জন্য অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়। এতোক্ষন আমার কানে এটা ছিলো শুধু এই ফুল ফর্মে আছি বলে আমি নিয়ন্ত্রন করতে পারছিলাম। আর মাংকি কিং এর সাথে করা কন্ট্রাক এর জন্য হয়তো আমি এটাকে উঠাতে পারছি সহজে। যাইহোক আমার সে বিষয়ে কোনো চিন্তা নয়। মাংকি কিং এর কথা তার গল্পে বলা যাবে, এটা আমার গল্প। তাই এখানে আমি বলি পরবর্তী কথা।
।।।
।।।
আমি হাতে থাকা রুইকে আরো বিশাল এবং লম্বা হতে বল্লাম। রুই জিঙ্গু ব্যাঙ আমার কথা মতো বিশাল আকার ধারন করলো এবং সেই সাথে লম্বা হয়ে গেলো অনেকটা। এতোটা লম্বা হবে আমি ভাবতে পারি না। লোকির পুরো শরীরকে নিয়ে রুই এই ধ্বংস হওয়া উপগ্রহের জায়গা থেকে নিয়ে পাশে থাকা আরেকটা উপগ্রহতে নিয়ে ফেললো। রুই এর আঘাতে পাশের উপগ্রহটাও পুরো ভেঙে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম মাংকি কিং কতটা শক্তিশাল। তার কাছে এতো মারাত্মক একটা অস্ত্র আছে যেটা একটা গ্রহ ধ্বংস করে দিতে পারে। আমি এতোদিন লাঠিকে কোনো অস্ত্র ভাবতাম না। তবে অনেকেই আছে এটাকে ব্যবহার করে। স্টাফ বলা হয় এদেরকে। আবার লাঠির মাথায় ধারালো ছুড়ি লাগালে সেটা স্পেয়ার হয়ে যায়। আমি উড়ে এগিয়ে গেলাম সামনের দিকে। সামনের উপগ্রহের দিকে উড়ে যাওয়ার আগেই আমি রুইকে ছোট করে লাঠির আকার ধারন করালাম। রুই এর আকার যত বড় কার হয় তার ওজন ও ততোই বারতে থাকে। বিশাল আকার হওয়ার সময় সেটা পুরো একটা গ্রহের সমান ওজনের ছিলো। আমি মহাকাশে আছি বলে সে ওজন আমার কাছে মনে হচ্ছিলো না কিছুই। আমাদের গ্রহে থাকলে আমি এই জিঙ্গুর নিচে পরে মারা যেতাম। যাইহোক আমি উড়ে লোকির কাছে চলে আসলাম। লোকির অবস্থা অনেক বাজে হয়ে গেছে। সে রুই এর আঘাতে নিজের আসল ফর্মে চলে এসেছে, তার শরীর থেকে ডেভিল কিং আলাদা হয়ে গেছে। দুজন দুইপাশে উড়ছে মহাকাশের জিরো গ্রাভিটিতে। যেখানে লোকির শরীরের ডান অংশ এবং ডেভিল কিং এর বাম অংশ একদম নেই বললে চলে। দুজন আলাদা হয়েছে অনেকটা মনে হচ্ছে দুজনকে মাঝ বরাবর কাটা হয়েছে। ব্লাক সোর্ড পাশেই উড়ছে, দুজনের কাছে এখন এরকম ক্ষমতা নেই যে তারা ব্লাক সোর্ড ধরবে। রুই এর আঘাতটা মারাত্মক ছিলো। সেটা ওজন মহাকাশে না থাকলেও সেটার আঘাত এতো স্পিডে এবং অনেক ওজনের জিনিস হওয়ায় এক আঘাতে দুজনের সকল এনার্জি(ম্যাজিক পাওয়ার) শেষ হয়ে গেছে।
.
–আমার জানা মতে তুমি তোমার নিজের শরীর ছাড়া এই দুনিয়ায় এই ফর্মে আসতে পারতে না। যার জন্য আগের দুনিয়া ধ্বংসের পূর্বে তোমার শরীরে একটা সিলিং স্পেল ব্যবহার করেছিলাম আমি, যেটার ফলে তোমার শরীর এই দুনিয়ায় জন্ম নেওয়ার পরই সেটা জন্মের সময় মারা যায়।(লোকি)
.
–মানে?(আমি)
.
–আমার আর লোকির প্লান ছিলো তোমার শরীরকে আমার নিজের করে নিয়ে আমরা নেকরো সোর্ডকে নিজেদের করে নিয়ে আগের দুনিয়া কন্ট্রোলে করে নিবো। কিন্তু তোমাকে কন্ট্রোল করা মোটেও সহজ ব্যাপার ছিলো না। বিশেষ করে তোমার ভিতরের এন্জেল সত্ত্বার জন্য। এজন্য আমাদের প্লান চেন্জ করতে হয়েছিলো। আমরা দুনিয়ায় ধ্বংস করে দি। আমি জানতাম পরের দুনিয়ায়ও তুমি সবার মতো জন্ম নিবে। আর জন্ম নিলে আমাদের ইচ্ছা পূরন হবে না কখনো। কারন তোমার ভিতরের ঔ এন্জেলটা তখনও আমার বিরুদ্ধে আসবে।(ডেভিল কিং)
.
–তাই সবচেয়ে সহজ উপায় ছিলো তোমার এই দুনিয়ার ভার্শনকে জন্মের সময়ই পরেই করে দেওয়া। আমি আগের দুনিয়ায় থরের সাথে পালিয়ে যাওয়ার পূর্বে তোমার সত্ত্বা গুলোর উপরে একটা সিলিং স্পেল ব্যবহার করি, যেটার ফলে তারা সব গুলো বইয়ের মাঝে বন্ধী হয়ে যায়। এবং তোমার শরীরের উপরে একটা ডেড স্পেল ব্যবহার করি, যেটা তোমার রেইনকার্নেশন হওয়ার পরই তোমাকে মেরে ফেলবে। তোমার শরীর জন্ম নিয়েছিলো এই দুনিয়াতে ঠিকই, কিন্তু সেটার মাঝে তোমার কোনো সত্ত্বা না থাকার ফলে সেটা খুব সহজেই মারা যায়।(লোকি)
.
–ওওও তাই তো বুঝেছি আমি আমার ফুল ট্রান্সফর্ম ব্যবহার করতে পারি নি কেনো?(আমি)
.
–একটা ভবিষ্যত বানী হয়েছিলো। এই দুনিয়াতে একজন সুপ্রিম বিয়িং জন্ম নিবে, যার ক্ষমতার ধারের কাছেও কেউ যেতে পারবে না। আমাদের প্লান ছিলো তাকে হত্যা করে আমরা নিজেরাই সেই সুপ্রিম বিয়িং হয়ে পুরো দুনিয়া রাজ করবো।(ডেভিল কিং)
.
–লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। জানেন কি আমার এই ফর্মে আমার সমস্ত ক্ষমতা তাদের পূর্ন লেভেলে। মানে আমি কোনো কিছু এখন কম পাওয়ারে ব্যবহার করতে পারবো না। আমার কাছে দুনিয়ার সকল এট্রিবিউট আছে। সকল ম্যাজিক স্পেল আমি এই ফর্মে ব্যবহার করতে পারি। আমার সাধারন আগুনের এট্রিবিউট দিয়ে আমি একটা সূর্য তৈরী করতে পারবো। আমি আমার পানির এট্রিবিউট দিয়ে সাগরের উপরে সাগর তৈরী করতে পারবো। শুধু তাই নয়। পানি এবং আগুন দুটো মিলিয়ে নতুন একটা এট্রিবিউটও তৈরী করতে পারবো। দেখবেন?(আমি)
।।।
।।।
আমি আমার ডান হাতের রুই ছোট করে আবার কানে ঢুকিয়ে দিলাম। এবং ডান হাত উচু করলাম। সাথে সাথে হাতের উপরে বিশাল একটা উপগ্রহের সমান আগুনের গোল বল তৈরী হলো। যেটা দেখতে পুরো সূর্যের মতো। আমি সেটার চার পাশ দিয়ে আমার পানির এট্রিবিউট দিয়ে পানি ছড়াচ্ছি। দেখতে দেখতে দুটো জিনিস একত্র হয়ে গেলো। এবং একটা নতুন জিনিস আবিষ্কৃত হলো। যেটা হলো সেটা নাম ফায়ার ওয়াটার। অবশ্য নামটা আমিই দিলাম। আগুনের পানি তৈরী হয়েছে, যেটা পানির মতো দেখতে কিন্তু পুরো আগুন। এটা কোনো পানিতে ফেললে সে পানি শুকিয়ে যাবে। এবং কোনো আগুনে ফেললে সেই আগুন নিভে যাবে। সব মিলিয়ে অসাধারন একটা জিনিস। আমি আমার ডান হাত থেকে এবার বিশাল বড় একটা ফায়ার ওয়াটার এর বল তৈরী করলাম। যেটা লোকি এবং ডেভিল কিং কে চারিদিক দিয়ে ঘিরে ধরলো। তারা এটার মধ্যে জ্বলছে। কিন্তু মরবে না। যন্ত্রনায় তারা চিল্লাচ্ছে, কিন্তু তাদের সেই ক্ষত ফায়ার ওয়াটারে থাকে যে পানির অংশ সেটা হিল করে দিচ্ছে এবং আগুনের অংশ তাদেরকে পুরাচ্ছে। আমি তাদের পুরো হত্যা করবো না। বরং হাজার হাজার বছর তারা যতদিন বেঁচে থাকে তারা এভাবেই শাস্তি পাবে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।