মনের আঙিনায় পর্ব-০২

0
21

#মনের_আঙিনায়
#জেরিন_আক্তার_নিপা

বাসায় এসে কাঁধ থেকে ব্যাগ ফেলে সোফায় গা এলিয়ে দিয়েই বোনকে ডাকতে লাগল।

-আপু, এই আপু।

নীলাদ্রির কাছে ডুপ্লিকেট চাবি থাকে বলে কখনোই কলিংবেল চাপতে হয় না। মাঝে মাঝে দেখা যায় আপু ঘুমিয়ে থাকে। তখন দরজা খুলতে উঠতে হয়। আপু বাজারে যায়, তখন তাকে বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। তাই দুলাভাই বুদ্ধি করে তাকেও একটা চাবির মালিক করেছে। নীলাদ্রির ডাক শুনে নীলা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে।

-কখন এসেছিস?

-কী করছিলে তুমি?

-আরে মেজাজ খারাপ হয়ে আছে। ছাতার এক ওয়াশিং মেশিন কিনে দিয়ে গেছে তোর দুলাভাই। যেমন কাপড় ঢুকাই তেমন কাপড়ই বের হয়। ময়লা ময়লার জায়গায়ই থাকে কাপড় আর পরিষ্কার হয় না।

-দুলাভাই ও তার ওয়াশিং মেশিনের বদনাম পরে করবে। আগে তুমি এদিকে আসো। পারলে ফ্রিজ থেকে একটু ঠান্ডা পানি নিয়ে এসে বসো।

নীলা পানি নিয়ে এসে নীলাদ্রির পাশে বসল। অনুসন্ধানী চোখে নীলাদ্রির মুখের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইল,

-কী হয়েছে রে?

-কী যে হয়েছে শুনলে তোমার আক্কেলগুড়ুম হয়ে যাবে। কলেজে নতুন এক প্রফেসর এসেছে। হক স্যার কয়দিন আগে অসুস্থ হলো না। স্যারের অবর্তমানে ক্লাস নিবে। জানো কে ওই লোক? তোমার সাথে যার এনগেজমেন্ট হয়েছিল। ক্লাসে উনাকে দেখে আমার নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছিল না।

উচ্ছ্বাস! উচ্ছ্বাস নীলাদ্রির টিচার! নীলাদ্রি ভেবেছিল আপু শক পাবে। কিন্তু বোনকে উল্টো হাসতে দেখে নীলাদ্রি নিজেই শক পেলো। কৌতূহলী গলায় নীলা জিজ্ঞেস করল,

-উচ্ছ্বাস তোকে চিনতে পেরেছে?

নীলাদ্রি পানি খেয়ে মুখ বাঁকাল। বলল,

-এক্স ফিয়ন্সের নাম শুনে এমনভাবে খুশি হচ্ছ যেন হারিয়ে যাওয়া পুরোনো কোন বন্ধুর সন্ধান পেয়েছ!

-দূর, তুই আগে বল উচ্ছ্বাস তোকে চিনেছে?

-জানি না। জিজ্ঞেস করিনি।

-জিজ্ঞেস কেন করবি? তোকে দেখে কথা টথা বলেনি?

-কী পাগলামি আলাপ করছো আপু! ক্লাসের এতগুলো ছেলেমেয়ের মধ্যে উনি আমার সাথে কেন কথা বলবে?

নীলাদ্রি ভেবেছিল আপুকে একটা শকিং নিউজ দিচ্ছে। অথচ আপু খবরটাকে তেমন সিরিয়াসলি নেয়নি দেখে নীলাদ্রি মনে মনে হতাশ হলো। নীলা আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করল,

-উচ্ছ্বাস কি আগের মতোই আছে? নাকি দেখতে আরও হ্যান্ডসাম হয়েছে?

নীলাদ্রি একসাথে নাক ও কপাল কুঁচকিয়ে বোনের দিকে তাকাল। এক্সের সম্পর্কে জানার এত আগ্রহ!

-বিয়ের পর ওর সাথে তেমনভাবে যোগাযোগ রাখা হয়নি। যদিও রাখা উচিত ছিল।

তার বোনের মাথা টাথা ঠিক আছে তো? এনগেজমেন্ট হয়ে যাওয়ার পরেও লোকটাকে বিয়ে করেনি। ওই লোকের সাথে আবার কোন দুঃখে যোগাযোগ রাখতে চায়! দুলাভাই জানলে কী হবে?

-একদিন তোর কলেজে যাব।

নীলাদ্রি চোখ কপালে তুলে বোনের দিকে তাকিয়ে বলল,

-তোমার এক্সের সাথে দেখা করতে!

-হুম।

নীলাদ্রি আর কোন কথাই খুঁজে পেলো না। আজকে তার অবাক হওয়ার দিন।

—-
দু’বার কলিংবেল চাপার পর সালমা দরজা খুলে দিল। উচ্ছ্বাসকে দেখে হাসি মুখে জিজ্ঞেস করল,

-কলেজের প্রথম দিন কেমন গিয়েছে?

উচ্ছ্বাস ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল,

-ভালো। মামা কেমন আছে?

সালমা ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল,

-আগের মতোই।

উচ্ছ্বাস মামার ঘরের দিকে যেতে লাগলে সালমা বলল,

-আগে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে। এখন ওঘরে গেলেই আধঘন্টার আগে উঠতে পারবি না।

উচ্ছ্বাস মামীর কথা মেনে রুমে চলে এলো। ফোন বাজছে তার। পকেট থেকে ফোন বের করে দেখল মায়ের কল। ফোন রিসিভ করে কানের সাথে ঠেকিয়ে শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে বলল,

-বলো মা।

-কী করছিস?

-কলেজ থেকে ফিরলাম মাত্র।

-তুই আজ ক্লাস নিয়েছিস?

-হুম।

-ক্লাসে মেয়েরাও ছিল?

গা থেকে শার্ট খুলে রেখে উচ্ছ্বাস বলল,

-মা প্লিজ। ওরা সবাই আমার স্টুডেন্ট।

-কচুর স্টুডেন্ট। তুই কি সত্যি সত্যিই ওদের স্যার নাকি? তোর মামার বদলে কয়েকদিন ক্লাস নিবি। এখন ওরা তোর ছাত্রী হলেও কয়দিন পর থাকবে না।

-বাবা কোথায়?

-কোথায় আর থাকবে? তার থাকার জায়গা অফিস ছাড়া আর কোথায়?

-বাড়িতে সবাই কেমন আছে?

-সবাই ভালো। তুই তোর কথা বল। ক্লাসের কোন মেয়েকে পছন্দ টছন্দ হয়েছে? হলে নিরদ্বিধায় আমাকে বলতে পারিস। আমি কাউকে বলব না।

মা’র সেই এক প্যাঁচাল। গত এক বছর ধরে বিয়ে বিয়ে করে পাগল করে দিচ্ছে। পথেঘাটে মার্কেট হসপিটাল যেকোনো জায়গায় মেয়ে দেখলেই হলো! তাদের সাথে গিয়ে কথা বলে ফোন নম্বর সহ বাড়ির ঠিকানা নিয়ে আসবে। একদিকে মা অন্য দিকে দাদী। এই দু’জন মানুষ তার বেঁচে থাকা মুশকিল করে দিয়েছে।

-তোমার ভাই অসুস্থ মা। তার কথা তো একবারও জিজ্ঞেস করোনি।

তার বিয়ের কথা থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মা’কে ভাইয়ের কথা মনে করানো জরুরি ছিল। মিসেস শর্মিলা চিন্তাযুক্ত গলায় বললেন,

-সকালে তো কথা হয়েছিল। তোর মামাকে নাকি ইন্ডিয়া নিয়ে যাবে। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে কত দোয়া করছি। আমার ভাইটাকে যেন সুস্থ করে দেন।

মা’র সাথে কথা বলা শেষ করে উচ্ছ্বাস মামার কাছে গিয়ে বসল। তাকে দেখে দূর্বল হেসে মামা জিজ্ঞেস করল,

-ক্লাস কেমন নিয়েছিস? আমার ছাত্রছাত্রী গুলো যন্ত্রণা করেনি তো?

-কেউ কিছু করেনি। এখন তোমার শরীর কেমন?

-আর শরীর! এ যাত্রায় উঠতে পারব বলে মনে হয় না।

-শুধু উঠবে না, কয়দিন পরেই দৌড়াবে। এটা আমার বিশ্বাস।

——
নতুন ওই হ্যান্ডু স্যারের ক্লাসের জন্য মেয়েরা আজকে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে ছিল। স্যার ক্লাসে ঢুকতেই সকলে একসাথে দাঁড়িয়ে সালাম দিল। নীলাদ্রি যতটা পারল এই লোকের চোখে পড়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করে বান্ধবীদের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখল। সবাই ভেবেছিল গতকালকে মতো আজও গল্প হবে। স্যারের সাথে দুষ্টু মিষ্টি রসিকতা করবে। কিন্তু আজ তেমন কিছুই হলো না। গতকালের তুলনায় আজ যেন এ এক ভিন্ন লোক। দ্বিতীয় দিনেই এত কড়াকড়ি দেখাল যে, অতি উৎসাহী মেয়েগুলো একেবারে চুপসে গেল। রাফা বিড়বিড় করে বলল,

-ব্যাটা আজ নিশ্চিত গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া করে এসেছে।

নেহা আপত্তি করে বলল,

-গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি তুই জানিস?

মুনের উত্তর এলো।

-থাকলেও থাকতে পারে। এত হ্যান্ডসাম একটা ছেলের সিঙ্গেল থাকার কোন কারণ দেখি না।

এদের বকবক শুনে বিরক্ত হয়ে নীলাদ্রি চাপা গলায় ধমক দিয়ে বলল,

-চুপ করবি তোরা!

তাদের অপরাধ এতটুকুই ছিল। সাথে সাথে গমগমে গলায় স্যার বলে উঠল,

-হেই ওখানে, হ্যাঁ। তোমরা চারজন, স্ট্যান্ড আপ। কী কথা বলছিলে?

পুরো ক্লাস তাদের দিকে তাকিয়েছে। স্যারের হুকুম মেনে চারজন উঠে দাঁড়াল। নীলাদ্রি মনে মনে বলল,

-প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।

গতকালও এই মেয়ে ক্লাসে ডিস্টার্ব করতে চেয়েছিল। আজকেও কথা বলছে। উচ্ছ্বাস কঠিন হতে চায়নি। কিন্তু ওরা হয়তো তাকে একটু বেশিই সহজ ভাবে নিয়েছে। তীক্ষ্ণ চোখে মেয়ে চারজনের দিকে তাকিয়ে কঠোরভাবে বলল,

-ক্লাস চলাকালীন কি কথা বলার সময়? ক্লাসে মনোযোগ না থাকলে বাইরে গিয়ে কথা বলতে পারো।

এই বেডার উপর গতকাল ক্রাশ খেয়েছিল। আজকেই এমন রূঢ় ব্যবহার করে মন ভেঙে দিতে পারল! রাফা নেহা ভীষণ আহত হলো। মুন বলল,

-সরি স্যার। আর হবে না।

মনে মনে বলল, দুই দিনের জন্য এসে ভাব দেখাচ্ছিস ব্যাটা!

উচ্ছ্বাস ওদের দিকে না তাকিয়েই বসতে বলে পড়াতে লাগল। এখন কিছু বললে আবার দাঁড় করাবে এই ভয়ে কেউ কিছু বলল না। কিন্তু ক্লাস শেষ হতেই অসভ্য এই স্যারের বদনামে ভান্ডার খুলে বসল। রাফা বলল,

-কত বড় শয়তান দেখেছিস! গার্লফ্রেন্ডের রাগ আমাদের উপর দেখায়।

বাদাম চিবোতে চিবোতে নেহা বলল,

-তোর বোন এই বদকে বিয়ে না করে একদম ঠিক কাজ করেছে।

নীলাদ্রি ভাবছে আজকে শুধু দাঁড় করিয়েছে। আগামীতে আরও কী কী করবে কে জানে। সে হক স্যারের কথা ভাবছে।

-হক স্যারের কী খবর রে? স্যার কি সুস্থ হয়েছেন? একটা খোঁজ নেওয়া উচিত।

মাঠের একপাশে ছায়া যুক্ত জায়গা দেখে চারজন বসে পড়ল। মুন বলল,

-এখন তো মনে হচ্ছে হক স্যারই ভালো ছিল।

রাফা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

-হাজার গুণ ভালো ছিল। ক্লাসে অন্তত কখনও দাঁড় করায়নি।

——
নীলাদ্রি বাসায় ফিরলে নীলা বোনের ক্লান্তি মাখা চিন্তিত মুখ দেখে জিজ্ঞেস করল,

-কী হয়েছে তোর?

-কী হয়নি এটা জিজ্ঞেস করো। দোষ তো সব তোমারই।

-আমি আবার কী করলাম?

-বিয়ে করবে না তাহলে এনগেজমেন্ট কেন করেছিলে? তোমার শত্রুতা লোকটা এখন আমার সাথে দেখাচ্ছে।

নীলার বুঝতে একটু সময় লাগল। নীলাদ্রি উচ্ছ্বাসের কথা বলছে বুঝতে পেরে হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করল,

-উচ্ছ্বাস আবার তোর সাথে কী করেছে?

-নাম নিবে না ওই লোকের। ক্লাসে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে অপমান করেছে।

-বিনা কারণে নিশ্চয় দাঁড় করায়নি।

-একটু কথা বলা এটা নিশ্চয় অনেক বড় কোন অপরাধ না।

বোনের ছেলেমানুষী অভিযোগ শুনে নীলা হাসছে। উচ্ছ্বাস কেন ওর সাথে শত্রুতা করবে? ও ওরকম ছেলেই না।

পরের দিন কলেজ বন্ধ থাকায় চার বান্ধবী প্ল্যান করল হক স্যারকে কাল দেখতে যাবে। স্যারের বাসা নীলাদ্রির বোনের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে না। পায়ে হেঁটে গেলে দশ মিনিটের পথ। গ্রুপ কলে নীলাদ্রি বলল,

-তাহলে কাল সকালে তোরা আমাদের বাসায় চলে আসিস। এখান থেকে একসাথে যাব।

রাতে নীলাদ্রি পড়তে বসলে নীলা এসে ওর রুমে বসে থাকে। নীলাদ্রি বোনকে কত চলে যেতে বলে তারপরও আপু যায় না।

-আপু তুমি এখন যাও না। আমি পড়ছি দেখছো না!

-পড় তুই। আমি কি তোকে কিছু বলছি? আমি তো চুপ করেই বসে আছি।

-চুপ করে বসে থাকলেও আমার ডিস্টার্ব হয়। তুমি গিয়ে দুলাভাইয়ের সাথে কথা বলো।

-একটু আগেই কথা হয়েছে। এখন ডিউটিতে আছে।

বোনের জন্য তাকে বাড়ি ছেড়ে এসে এতদূর থাকতে হচ্ছে। তার দুলাভাই আর্মিতে আছে। আট মাস আগে আপুকে এখানে নিজের কাছে নিয়ে আসে। আপুকে নিয়ে আসার ঠিক তিন মাস পরেই আবার দুলাভাইয়ের অন্য জায়গায় পোস্টিং হয়। এবার যেখানে ডিউটি পড়েছে সেখানে আপুকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। আপু তার শ্বশুরবাড়িতেও ফিরে যেতে চায় না। কারণ আপুর শাশুড়ী এখনও আপুকে মেনে নেয়নি। ছেলের সামনে মহিলা ভালো সাজার অভিনয় করলেও আপুকে অনেক জ্বালায়। আপু যেহেতু শ্বশুরবাড়ি যাবে না। দুলাভাইও এখানে থাকবে না। তাই সহজ সমাধান বের করে বাবাকে বলে তাকে এখানে নিয়ে আসে। যদিও বাবা প্রথমে রাজি হচ্ছিল না। কিন্তু বড় মেয়ের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং এর স্বীকার হয়ে রাজি হতে হয়েছে। তারও তখন এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। তখনও কলেজে ভর্তি হয়নি। আপু তাকে এনে এখানের কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে।

——
-এই মেয়ে এই, হ্যাঁ তুমি? দাঁড়াও।

নীলাদ্রি ভয়ে ভয়ে দাঁড়াল। এই লোককে দেখতে জিরাফের মতো লাগছে কেন? জিরাফের মতো লম্বা গলা। নীলাদ্রি উপরের দিকে তাকিয়েও মুখ দেখতে পারছে না। মুখ দেখা না গেলেও কন্ঠ শোনা গেল। ধমক দিয়ে তাকে বলছে,

-ক্লাসে কথা কেন বলছিলে? ক্লাস কি কথা বলার জায়গা? কান ধরো। কান ধরে বেঞ্চের উপর উঠে দাঁড়াও।

নীলাদ্রি ধড়ফড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে বসল। পাগলের মতো চারপাশে দেখতে লাগল। কোথায় আছে সে? আর ওই জিরাফ চেহারার স্যার কোথায় গেছে? বোনের পা নিজের উপর দেখে নীলাদ্রি বুঝতে পারল সে এতক্ষণ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখেছে। এই স্বপ্ন দেখেই ঘেমে নেয়ে গেছে। নীলাদ্রি বড় একটা ঢোঁক গিলল। কীরকম স্বপ্ন এটা? এখন বাজে কয়টা? ভোর হয়ে যায়নি তো? ভোরের স্বপ্ন তো আবার সত্যি হয়। নীলাদ্রি কাঁদো কাঁদো মুখে বলল,

-আল্লাহ আমার বোনের শাস্তি তুমি আমাকে কেন দিচ্ছ? আমি কী দোষ করেছি? ওই লোক আমার পেছনে কেন পড়েছে?

চলবে