মনের আঙিনায় পর্ব-১৮ এবং শেষ পর্ব

0
20

#মনের_আঙিনায়
#জেরিন_আক্তার_নিপা
১৮_শেষ
দেখা গেল ফারদিন বিনা সংকোচে নীলাদ্রিকে ভাবী ডেকে যাচ্ছে। নীলাদ্রি এটা দেখে অবাক হচ্ছে ফারদিন একা আসেনি। সাথে তার বউও এসেছে। এই লোক বিয়ে কবে করেছে? মেহমানদের আপ্যায়নে নীলাদ্রি কোন কমতি রাখল না। প্রথম দিকে ওর একটু অস্বস্তি হলেও পরে তা কেটে গেছে। ফারদিন নীলাদ্রির রান্নার প্রশংসা করে বলল,

-বুঝলে নীলাদ্রি, তোমার হাতের এত মজার মজার রান্না খাওয়া আমার কপালে লিখা ছিল না। এজন্যই তো আমাদের বিয়ে হয়নি। উচ্ছ্বাস ভাইয়ের কপালে ছিল। তাই বিয়ের দিন উচ্ছ্বাস ভাই ছক্কা মেরে দিয়েছে।

ফারদিন হাসছে। সাথে ওর বউও হাসছে। নীলাদ্রি অবাক হয়ে এদের দেখছে। মেয়েটা একটুও মাইন্ড করছে না! অল্প সময়েই নীলাদ্রি বুঝতে পারল ফারদিন ও তার বউ দু’জনই মন খোলা মানুষ। নীলাদ্রির ওদেরকে ভালোই লাগল। ওরা তখনও যায়নি এর মাঝেই একফাঁকে নীলাদ্রি উচ্ছ্বাসকে খুঁজতে রুমে চলে এলো। রুমে এসে প্রথম প্রশ্নটাই করল,

-আপনি ফারদিন সাহেবকে কীভাবে চিনেন?

-নীলা তোমাদের এনগেজমেন্টের ছবি পোস্ট করেছিল। তখন ওর আইডিতে গিয়ে চেনা পরিচয় হয়েছে।

নীলাদ্রি বুঝতে পারল না। বোকার মতো বলল,

-মানে কী! বুঝিয়ে বলুন।

উচ্ছ্বাস নীলাদ্রির দিকে হাত বাড়াল। নীলাদ্রি হাতটা ধরল। ওকে কাছে টেনে এনে উচ্ছ্বাস বলা শুরু করল,

-আমি তোমাদের বাড়িতে প্রথমবার নীলাকে দেখতে গিয়েছিলাম। যদিও আমার ইচ্ছা ছিল না। বাবা মা’র জোড়াজুড়িতে যেতে হয়েছে। তবে ওখানে গিয়ে নীলাকে দেখার আগে আমার চোখ আরেকটা মেয়েকে দেখল। মেয়েটা আমাদের সামনে আসেনি। পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে মাথা থেকে করে উঁকি দিয়ে দেখছিল। অনিচ্ছা নিয়ে পাত্রী দেখতে গিয়ে ওটাই পাত্রী ভেবে খুশি হয়ে গেলাম। বড় ভাইকে চুপিচুপি বললাম আজই যেন বিয়ের কথা পাকা করে রেখে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই ভাই ভাবল আমার হয়তো মাথা খারাপ হয়ে গেছে।

উচ্ছ্বাস থামল৷ নীলাদ্রি আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। উচ্ছ্বাস ওর কানের পাশে চুল গুঁজে দিয়ে আবার বলতে লাগল।

-তবে যাকে আমি পাত্রী ভেবেছিলাম পরে গিয়ে জানলাম ওটা পাত্রীর ছোট বোন। এবং মজার বিষয় ওই মেয়ে সবে ক্লাস টেন এ পড়ে। তখনও এসএসসি দেয়নি। ভাবা যায়? নীলাকে সবার ভীষণ পছন্দ হলো। আমার তখন বলার উপায়ও রইল না নীলাকে না আমার তো নীলার ছোট বোনকে পছন্দ হয়েছে। পরিবার নীলার সাথে আমার এনগেজমেন্ট করাতে চাইল। এর মাঝে একদিন নীলা আমার সাথে দেখা করে জানাল তার পক্ষে এই বিয়ে করা সম্ভব না। তার বয়ফ্রেন্ড আছে। এই কথা শুনে দুঃখ পাওয়ার বদলে আমি খুশি হলাম। পরিবারের কথাতেই এনগেজমেন্ট করলাম। ওই বাড়ির হবু জামাই হিসেবে আমার নীলাদের বাড়িতে যাওয়া আসা হতে লাগল। তবে আফসোস যাকে দেখার জন্য আমি ওবাড়িতে যাই সে-ই আমার সামনে আসে না। নীলার থেকে তার ছোট বোনের ব্যাপারে একটু আধটু জানতে পারি। এই জানা পর্যন্তই আমাকে থেমে থাকতে হয়।

নীলাদ্রি অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। কথা হারিয়ে ফেলেছে সে। উচ্ছ্বাস মৃদু হেসে আবার বলা শুরু করল,

-পিচ্চি একটা মেয়েকে পছন্দ করেছি। কী আর করার? আমিও আমার ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে লাগলাম। নীলার বয়ফ্রেন্ড ফিরে এলো। আমি সাক্ষী থেকে ওদের বিয়ে দিলাম। আমার ওই বাড়িতে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেল। তবে দূর থেকে আমি সেই পিচ্চি মেয়েটাকে বড় হতে দেখতে থাকলাম। নীলার ছোট বোন এসএসসি দিল। নীলা তাকে নিজের কাছে নিয়ে গিয়ে ওখানে কলেজে ভর্তি করিয়ে দিল। আমিও তার পিছু পিছু রাজশাহী মামার কাছে চলে গেলাম। তাকে কলেজ যেতে দেখি। তবে তার সামনে যাওয়া সম্ভব ছিল না৷ সেটাও সম্ভব হলো মামা অসুস্থ হয়ে পড়ায়। আমি তার কলেজে তার ক্লাস টিচার হয়ে গেলাম। তবে সে তখনও আগের কথা মনে রেখে আমাকে ভয় পাওয়া শুরু করল। আমি তার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম। তাকে আমার মনের অনুভূতির কথা জানাতে চেয়েছিলাম।

নীলাদ্রি আর চুপ থাকতে পারল না। উচ্ছ্বাসকে মাঝ পথে থামিয়ে দিয়ে বলল,

-তবে বলেননি কেন?

উচ্ছ্বাস হাসল। নীলাদ্রির নাক টেনে দিয়ে বলল,

-মেয়েটা এত ভীতু ছিল যার জন্য আমিও সাহস করে উঠতে পারিনি। মাস্টার্স করার জন্য আমারও তখন বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। ভাবলাম ফিরেই নাহয় তাকে জানাব। ততদিনে সে-ও আরেকটু বড় হোক। আমার মাস্টার্স শেষ হয়েছে। দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে। এর মাঝেই একদিন জানতে পারলাম সেই মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। এটা জেনে আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম বিশ্বাস করো। তাই দেশে আসার আগেই ফারদিনের খোঁজ বের করি৷ জানতে পারি ওই ছেলেও বিয়েতে রাজি না। গার্লফ্রেন্ড নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করছে। আমিও তখন একটা প্ল্যান করলাম৷ আমার অনুরোধেই বিয়ের দিন পর্যন্ত ফারদিন অপেক্ষা করল। কারণ তার আগে আমি দেশে আসতে পারতাম না।

নীলাদ্রির এখন আর কিছুই বোঝার বাকি নেই। তার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছে। সে তো ভাবছিল মানুষটা তাকে দয়া দেখিয়ে বিয়ে করেছে। তাকে ভালোবাসে না। অথচ এই লোক এতগুলো বছর ধরে দূরে থেকে তাকে ভালোবেসে গেছে।

ফারদিনদের আজ রাতে থেকে যেতে বললেও ওরা থাকতে পারল না। কারণ এখান থেকে শ্বশুরবাড়ি যাবে। রাতে ওখানে থাকবে। তাই উচ্ছ্বাস সন্ধ্যার দিকে ওদের বিদায় দিতে গেল। জেবা ঘরে চলে গেলে কাজকর্ম গুছিয়ে নীলাদ্রিও ঘরে চলে এলো। রিসিপশনে উচ্ছ্বাস পছন্দ করে যে শাড়িটা কিনে দিয়েছিল আলমারি থেকে ওটা বের করে ওয়াশরুমে চলে গেল। গোসল করে শাড়ি পরে ভেজা চুলে বেরিয়ে এলো। এখন চুল শুকাতে সময় লাগবে। তাই তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে গেল। সাজসজ্জায় তেমন পারদর্শী না হলেও আনাড়ি হাতে নিজেকে সাজাল। চোখে কাজল পরল। ঠোঁটে লিপস্টিক ছোঁয়াল। স্বর্ণের মোটা বালা দুইটা দু’হাতে পরল। কানে দুল পরতে পরতে দেয়ালে টানানো ঘড়ির দিকে তাকাল। আটটা বাজে। একটু পরেই উচ্ছ্বাস চলে আসবে। রাতে খুব একটা বাইরে থাকে না ও। বন্ধুরা কল করেও নিতে পারে না। রুমেই নীলাদ্রির আশেপাশে থাকে। নীলাদ্রি হেসে ফেলল। তার কপালে একটা পাগল লোক জুটেছে। সেজেগুজে লোকটার ফেরার অপেক্ষা করতে লাগল।

একটু পরেই দরজায় নক হলো। নীলাদ্রির বুকটা ধক করে উঠল। একঝাঁক লজ্জা এসে তার মাঝে ভীড় করল। দরজা লাগানো দেখে উচ্ছ্বাস ভাবনায় পড়ে গেল। নীলাদ্রি কখনও ভেতর থেকে দরজা লাগায় না। উচ্ছ্বাস ডাকল।

-নীলাদ্রি।

নীলাদ্রি দুরুদুরু বুকে দ্রুত উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই সামনে উচ্ছ্বাসকে দেখল পেল। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল সে।
উচ্ছ্বাস কিছু বলতেই যাচ্ছিল, কিন্তু নীলাদ্রিকে দেখে তার কথা আটকে গেল। তার চোখে বিস্ময়। নীলাদ্রি কি তার জন্য সেজেছে? উচ্ছ্বাসের চোখ হেসে উঠল। তারপরও বোকা সেজে বলল,

-কোথাও যাচ্ছ নাকি?

নীলাদ্রি মাথা নিচু রেখেই জবাব দিল।

-উঁহু।

-তাহলে এত সেজেছ কেন?

নীলাদ্রির এবার লজ্জার শেষ রইল না। এই পাগলামি কেন করতে গিয়েছিল ভেবে মনে মনে নিজেকেই গালি দিল। লোকটা তো বুঝতেই পারল না সে কেন এ
সেজেছে।

-সাজ তুলে ফেলছি।

নীলাদ্রি চলে যেতে চাইলে উচ্ছ্বাস ওর হাত ধরে হেঁচকা টানে কাছে নিয়ে এলো। নীলাদ্রি উচ্ছ্বাসের দিকে তাকিয়ে আছে।

-খবরদার আমি দেখে শেষ করার আগে সাজ তুলেছ তো।

বাজে লোক ঠিকই বুঝেছে। বুঝেও তাকে লজ্জা দিতে চেয়েছে। তবে নীলাদ্রি ঠিক করে নিয়েছে সে আজ লজ্জা পাবে না।
উচ্ছ্বাস দু-চোখ ভরে নীলাদ্রিকে দেখে জিজ্ঞেস করল,

-আমার জন্য সেজেছ?

নীলাদ্রি হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়ল। উচ্ছ্বাস ঠোঁট কামড়ে হেসে বলল,

-কেন?

নীলাদ্রির গলা শুকিয়ে আসছে। তারপরও ঢোঁক গিলে মিনমিন স্বরে বলল,

-আমি প্রস্তুত।

উচ্ছ্বাসের ঠোঁটের হাসি প্রসারিত হলো। বুকের ভেতরটা সুখের ছোঁয়ায় ভরে উঠল। নীলাদ্রির কোমর পেঁচিয়ে ধরে আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে জিজ্ঞেস করল,

-কিসের জন্য প্রস্তুত?

নীলাদ্রির বুক ধুকপুক করছে। ইতোমধ্যে হাত-পা ঘেমে উঠেছে। তবে আজ কাঁপা-কাঁপি নিয়েও উচ্ছ্বাসের চোখের দিকে তাকাল। স্পষ্ট গলায় বলল,

-আপনার সাথে সংসার করার জন্য প্রস্তুত। আপনার অর্ধাঙ্গিনী হওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমাদের জীবনের নতুন সূচনা করতে প্রস্তুত।

উচ্ছ্বাস বিজয়ী হাসল। তার বউয়ের মন জয় করতে পেরেছে সে। নীলাদ্রির কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে জানতে চাইল,

-আর কী কী করার জন্য প্রস্তুত শুনি?

আর কিসের কথা জানতে চাচ্ছে মানুষটা? নীলাদ্রি জবাব না খুঁজে পেয়ে নিষ্পাপ চোখে তাকিয়ে আছে। উচ্ছ্বাস হেসে উঠল। নীলাদ্রির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,

-এই আমিটাকে সামলানোর জন্য প্রস্তুত তো? আমার সন্তানের মা হওয়ার জন্য প্রস্তুত তো?

বাইরে তখন চাঁদের আলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। জানালার পাশে থাকায় মৃদু বাতাসে পর্দা উড়ে চাঁদের আলো নীলাদ্রির মুখে নেমে আসছে। উচ্ছ্বাস মোহাবিষ্ট চোখে তার স্ত্রীকে দেখছে। নীলাদ্রির বুকের ভেতর ধকধক শব্দ কানে শোনা যাচ্ছে। নীলাদ্রি চোখ নামিয়ে নিল। চেহারা লাজে রাঙা হয়ে কান গরম হয়ে উঠছে। ঠোঁট কাঁপলেও গলায় শোনা গেল অতি কোমল স্বীকারোক্তি,

-প্রস্তুত।

উচ্ছ্বাসের আর কিছু জানার রইল না। মুহূর্তের ভেতর সে নীলাদ্রির অধরে নিজের দখলদারি বসিয়ে দিল। আর নীলাদ্রি? সেও আজ কোনো ভয়, কোনো দ্বিধা ছাড়াই নিজেকে সঁপে দিল সেই দখলদারের হাতে। এ যেন ভালোবাসার দীর্ঘ প্রতীক্ষার সমাপ্তি। উচ্ছ্বাসের ধৈর্য, তার অপেক্ষা চমৎকার ফল এনেছে।
আজ সে পৃথিবীর সব সুখের মালিক হয়ে গেছে।

পরিশিষ্ঠঃ
শ্বশুরবাড়িতে নীলাদ্রি সবার ভালোবাসা পেয়েছে। নিজেকে সে পরিপূর্ণ অনুভব করে। তবে এই পূর্নতার মাঝেও একটু কমতি রয়েছে। নীলাদ্রি খুব করে শাশুড়ির মন পাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে কিছুতেই শাশুড়ি মা’র মন গলাতে পারছে না। একদিন নীলাদ্রি শাশুড়ির ঘরে এলো। দূরে দাঁড়িয়ে থেকেই ডাকল।

-মা।

মিসেস শর্মিলা মা ডাকটা শুনে মনে মনে চমকালেন। তারপরও চেহারার ভাব কঠিন রেখে জিজ্ঞেস করল,

-কীজন্য এসেছ?

এত শীতল কন্ঠ শুনে নীলাদ্রি ভয় পেলেও এগিয়ে এসে কাছে দাঁড়াল। আবার ডাকল।

-মা।

মিসেস শর্মিলা ত্যক্ত কন্ঠে বললেন,

-মা মা করছো কেন? কী চাও বলবে তো।

নীলাদ্রি নিচে বসল। শাশুড়ির হাত ধরে বলল,

-আমি আপনার মনের মতো বউমা হতে চাই মা। আপনি যেমন বউমা চান আমি তেমন বউমা হয়ে দেখাব। আপনি যেভাবে চান আমি সেভাবেই চলব। একটুও আপনার কথার অবাধ্য হবো না। জেবা ভাবীর মতো আপনি আমার মাথায়ও হাত রাখুন মা। আমাকেও সব কাজ শিখিয়ে দিন। কোন কাজ না পারলে আমাকেও বকুন। আমি একটু অভিযোগ করব না।

কথাগুলো বলতে বলতে নীলাদ্রি কেঁদে ফেলল। মিসেস শর্মিলা অবাক চোখে ছেলের বউয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন। নীলাদ্রিকে তুলে দাঁড় করিয়ে বললেন,

-তা নাহয় বুঝলাম। কিন্তু তুমি কাঁদছো কেন? কাজ শেখার জন্য কাদছ? নাকি আমার বকা খাওয়ার জন্য কাঁদছ?

নীলাদ্রি অশ্রুসিক্ত চোখে শাশুড়ির দিকে তাকালে মিসেস শর্মিলা দু’হাতে ওর চোখ মুছে দিয়ে বলল,

-আমি তোমার উপর রেগে নেই বোকা মেয়ে। আমার গাধা ছেলের উপর রেগে ছিলাম। হয়তো সেই রাগ তোমার উপর দিয়ে প্রকাশ করেছি। কী করব বলো? শাশুড়িরা এমনই হয়। আমার শাশুড়িকে দেখো না। উনার ছেলের কোন দোষ নেই। দুনিয়ার সব দোষ আমার। তুমি এখন না বুঝলেও নিজে শাশুড়ি হওয়ার পর বুঝবে। তুমিও তোমার শাশুড়ির ভুলচুক ক্ষমা করে দিও বউমা।

নীলাদ্রি শাশুড়ির ভালোবাসাও পেয়েছে। উচ্ছ্বাসের সাথে তার সুখী একটা সংসার হয়েছে। সেই সংসারে তাদের একটা মেয়েও হয়েছে।

সমাপ্ত