মন পলাশ পর্ব-০৯

0
68

#মন_পলাশ ( নবম পর্ব )
#ঈপ্সিতা_মিত্র
<১৭>
কিন্তু সেদিন রাতে হঠাৎ সৌমীর ফোন বেজে উঠেছিল মেসেজের শব্দে। সৌমী বেশ অবাক হয়ে দেখেছিল স্ক্রিনে অর্জুনের নাম্বার। সৌমী এই মুহুর্তে মেসেজটা খুললে কিছু শব্দ ভেসে উঠেছিল সামনে।
” থ্যাঙ্ক ইউ.. আজ ড্রেসিং করে দেয়ার জন্য। এন্ড আই অ্যাম সরি ফর তিলোত্তমা.. ওর ওইভাবে বিহেভ করাটা একদমই ঠিক হয়নি। ”
কথাগুলো পড়ে সৌমী আর বেশি কথা না বাড়িয়ে বলেছিল,
” সরি বলার কিছু নেই স্যার। ইটস ওকে.. এন্ড টেক কেয়ার..”
কথাগুলো বলেই সৌমী অফ করে দিয়েছিল নিজের মোবাইল। আসলে আজ মনে হচ্ছে দূরে থাকাই ভালো। হাজার হলেও অফিসের বস। যত মেপে কথা বলা যায়, কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। তবে অর্জুনের সাথে তিলোত্তমাকে একই গাড়িতে যেতে দেখে কি ওর এই কথাগুলো বেশি মনে হচ্ছে! প্রশ্নটা মনে এসেও মিলিয়ে গেল যেন।

তবে এর দুটো দিন বাদে অর্জুন হঠাৎ কিছুটা বেহিসেবী হয়েই সৌমীকে নিজের কেবিনে ডেকেছিল। তারপর কাজের কথার বাইরে গিয়ে বলেছিল,
———” আমার একটা হেল্প লাগবে। ”
এই কথায় সৌমী কোন মানে খুঁজে না পেয়েই বলেছিল,
———–” হেল্প! আমার থেকে! কি হেল্প স্যার? ”
এই প্রশ্নে অর্জুন শান্ত গলায় বলেছিল,
———–” আসলে সামনেই তো পুজো। আমি মা কে একটা শাড়ি গিফ্ট করতে চাই। কিন্তু মা তো এখন হরিদ্বারে। তাই মায়ের হয়ে যদি তুমি শাড়ি পছন্দ করে দাও, আমার খুব হেল্প হবে। আসলে এইসব শাড়ি টারির ব্যাপারে আমি একেবারেই কিছু বুঝি না। ”
কথাগুলো এক মনে বলে গেছিল অর্জুন। কিন্তু সৌমীর এইসব শুনে মনে হয়েছিল, আশ্চর্য! তিলোত্তমাকেই তো বলতে পারে শাড়ি পছন্দ করে দিতে। হঠাৎ ওকে কেন! তবে কথাটাকে মনে রেখেই সৌমী বলেছিল,
———–” স্যার আমি! মানে আমার পছন্দের সাথে কাকিমার পছন্দ কি মিলবে! ”
এটা শুনে অর্জুন সাথে সাথেই বলেছিল,
———-” তোমার পছন্দ যা ও বা মিলবে, আমার পছন্দ তো একটুও মিলবে না। এই ব্যাপারে আমি শিওর.. তাই তুমিই ভরসা। তবে আমি মায়ের ফেভারিট দোকান চিনি। গড়িয়া তে। উই ক্যান গো দেয়ার.. ”
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বললো অর্জুন। সৌমী এই মুহুর্তে কি আর বলে! তাই আলতো স্বরে ঘাড় দুলিয়ে শুধু বললো,
——– ” ঠিক আছে স্যার। ”
সেদিন এরপর অফিস শেষে সৌমী অর্জুনের সাথে গিয়েছিল গড়িয়াতে, শাড়ির দোকানে। এটা সেটা অনেক রকম শাড়ি দেখার পর অবশেষে একটা অফ হোয়াইট কলরের শাড়ি পছন্দ করেছিল সৌমী রুক্মিণীর জন্য। কিন্তু এরপর বিল পে করার সময় অর্জুন যখন কাউন্টারে ছিল, সৌমী এমনিই শাড়ির দোকানের এক পাশে দাঁড়িয়ে হঠাৎ স্থির হয়ে গিয়েছিল একটা শো কেসে ঝোলানো হালকা হলুদ আর রানি কলরের সাউথ ইন্ডিয়ান শাড়ি দেখে। কি সুন্দর শাড়িটা! সৌমী আপন মনেই এগিয়ে গিয়েছিল ওই শো কেসটার দিকে। কিন্তু শাড়ির সামনে লাগানো প্রাইজ ট্যাগটা দেখে সৌমী থমকে গেছিল। ছ হাজার টাকা! একটা শাড়ির এত দাম! ভেবেই চোখটা নিচে নামিয়ে নিয়েছিল নিজের। মনে মনে ভেবেছিল এই টাকা দিয়ে তো ওর সংসারের কত খরচ মিটে যাবে। এইসব দামী শাড়ি সৌমীর মতন নিম্ন মধ্যবিত্ত লোকের জন্য না! এইসবই ভাবছিল চুপচাপ দাঁড়িয়ে আনমনে। তবে সৌমীর অজান্তে অর্জুন দূর থেকে খেয়াল করেছিল ওকে। সৌমী যে ওই শাড়ীটার দিকে নিস্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল সেটাও দেখেছিল অর্জুন। যাইহোক, এরপর কয়েক মুহূর্তের ভিড়ে অর্জুন পাশে এসে বললো,
———-” কি ব্যাপার? কি ভাবছো? ”
এই প্রশ্নে সৌমীর ঘোরটা কেটেছিল। ও খুব সহজ ভাবে বলেছিল,
———-” কিছু না স্যার। বিল মেটানো হয়ে গেছে? ”
অর্জুন এই কথায় ঘাড় নাড়িয়ে বলেছিল,
——-” হ্যাঁ। হয়ে গেছে। ”
এরপর ওরা বেরিয়ে এসেছিল শাড়ির দোকান থেকে।

যাইহোক, এরপর কটা দিন কেটে গেছে। সামনেই পুজো। শহর সেজে উঠেছে আলোর সাজে। চারিদিকে প্যান্ডেল বাঁধার তোড়জোড়, রাস্তায় লোকের ভিড়। সেদিন অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে সৌমী এইসবই খেয়াল করছিল বাসে জানলার ধারের সিটটায় বসে। বেশ ভালো লাগছিল মনটা। বছরের এই সময়টা আসলে সব সময়ই খুব ভালো লাগে সৌমীর। কিন্তু সেদিন বাড়ি ফিরে দেখে মায়ের মুখ ভার। আজ আবার বাড়িতে রুক্মিনী কাকিমাও এসেছে। দুজনে একসাথে থাকলে তো বেশ মজা করে। আজ হঠাৎ কি হলো! সৌমী এই কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই জিজ্ঞেস করে উঠলো,
———” কি হয়েছে মা? সব ঠিক আছে তো? ”
এই প্রশ্নে নন্দিনী অন্ধকার মুখেই বললো,
———-” তোর দিদার ফোন এসেছিল। শরীর খুব খারাপ। আমাকে কদিনের জন্য জলপাইগুড়ি গিয়ে থাকতে বলছে। আসলে একা মানুষ তো! তুই একটু দ্যাখ না অফিসে বলে, যদি কটা দিন ছুটি পাস। আমি ভাবছি কালই বেরিয়ে যাবো। ”
এই কথায় সৌমী সাথে সাথেই বলে উঠলো,
———–” অফিসে দুদিন বাদে খুব ইম্পর্টেন্ট একটা মিটিং আছে। আর নতুন দুটো প্রজেক্টও শুরু হচ্ছে। এই সময় ছুটি নেয়া সম্ভবই না। আসলে সামনেই তো পুজোর ছুটি পড়বে। তখন তো অফিস বন্ধ থাকবে। তাই এখন কাজের খুব চাপ। কিন্তু তাতে কি হয়েছে! তুমি চলে যাও দিদার কাছে। ”
এই কথায় নন্দিনী সেই চিন্তা নিয়েই বললো,
———–” কিন্তু তুই একা বাড়িতে থাকবি! ”
এটা শুনে সৌমী সহজ হয়েই বললো,
———-” হ্যাঁ। না থাকার কি আছে! তুমি এটা নিয়ে চিন্তা কোরো না। আমি বরং তোমার টিকিট কাটার ব্যবস্থা করছি।তৎকালে ঠিক পেয়ে যাবো। ”
এই কথা শুনে নন্দিনী কিছু না বললেও রুক্মিণী বলে উঠলো,
———–” আমার বাড়ি থাকতে সৌমী একা থাকতে যাবে কেন! এই কদিন ও আমার কাছে থাকবে। নন্দিনী, তুই একদম চিন্তা করিস না। ”
কথাটায় নন্দিনীর কিছু বলার আগেই সৌমী বেশ ইতঃস্তত হয়ে বললো,
———–” কাকিমা! আমি! আমি কি করে তোমাদের বাড়িতে! আমি এই বাড়িতে একা থাকতে পারবো। কোন অসুবিধা হবে না বিশ্বাস করো। ”
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বললো সৌমী। কিন্তু রুক্মিণী ওর কোন কথায় কান না দিয়ে বললো,
———-” কদিনের জন্য মাসীর বাড়িতে থাকতে কি হয়েছে তোর? ব্যাস। আমি কোন কথা শুনবো না। নন্দিনী, তুই নিশ্চিন্তে মাসিমার কাছ থেকে ঘুরে আয়। তোর মেয়ে আমার কাছে থাকবে। ”
শেষ কথাগুলো রুক্মিণী নন্দিনীর দিকে তাকিয়ে বললো। তবে এইসব শুনে নন্দিনীর মুখে আলতো হাসি। যাক, একটা চিন্তা মিটলো। নইলে মেয়েটাকে একা বাড়িতে রেখে যাওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না ওর। যদিও সৌমী বেশ চিন্তায় পড়ে গেল। রুক্মিণী কাকিমার বাড়ি তো শুধু ওনার একার নয়। সেখানে তো অর্জুন স্যারও থাকে। অফিসের বসের বাড়িতে গিয়ে কিভাবে সাত দিন কাটাবে কে জানে!
<১৮>
সেদিন রাতে ডিনার টেবিলে রুক্মিণী অর্জুনকে আনমনে বলেছিল,
——-” সৌমী কদিনের জন্য আমাদের বাড়ি এসে থাকবে। নন্দিনী ওর মায়ের কাছে যাচ্ছে নর্থ বেঙ্গল কিছু দিনের জন্য। মেয়েটা বাড়িতে একা থাকবে শুনে আমিই বললাম আমার কাছে এসে থাকতে। ”
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলেছিল ও। কিন্তু খেয়াল করেছিল অর্জুন এইসব শুনে কেমন যেন থমকে গেল। ও নিজের মনেই বলে উঠলো,
———” সৌমী এই বাড়িতে এসে থাকবে! ”
এই কথায় রুক্মিণী ছেলের দিকে বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে বললো,
———” হ্যাঁ থাকবে। কিন্তু কেন? কি হয়েছে তোর! কি ভাবছিস? ”
এই কথায় অর্জুনের ঘোরটা কেটেছিল। ও এবার একটু গুছিয়ে বলেছিল,
——–” আমার আবার কি হবে! থাকবে তো ভালো কথা। ”
কথাগুলো বলে আবার খেতে শুরু করেছিল মন দিয়ে। কিন্তু এই মুহূর্তে বুকের ভিতরটা কেমন যেন হচ্ছে। একটা নতুন ভালো লাগা এসে ভিড় করছে এই কথাটা শোনার পর।
তবে পরেরদিন রুক্মিণী যখন সৌমীকে আনার জন্য সন্ধ্যেবেলা ওর বাড়িতে ড্রাইভার পাঠাচ্ছিল, অর্জুন সেই মুহূর্তে ড্রয়িং রুমেই ছিল। ও এটা শুনে নিজে থেকেই বলে উঠেছিল,
———” ড্রাইভার পাঠানোর দরকার নেই। আমি গিয়ে নিয়ে আসছি সৌমীকে। আমার এমনিতেও ওদিকে একটা কাজ আছে। ”
এই কথায় রুক্মিণী আরেকবার বেশ অবাক হয়েছিল। যেই ছেলে যেচে পড়ে বেশি কথা বলে না, বেশি লোকের সাথে মেশে না, শুধু কাজ আর কাজ নিয়ে থাকে, সে হঠাৎ সমস্ত কাজ ফেলে সৌমীকে আনতে যাবে! কথাটা ভেবেই ও বলে উঠেছিল,
———” তুই আনতে যাবি! তোর সময় হবে? ”
এই কথায় অর্জুন কিছুটা লাজুক স্বরেই বললো,
———-” সময় হবে বলেই তো বললাম। ”
কথাটা শুনে রুক্মিণী আর কথা বাড়ালো না। তবে মনে মনে বেশ আশ্চর্য তো হয়েইছিল।

যাইহোক, সেদিন কিন্তু দরজা খুলে সৌমী ভীষণ আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল! সামনে অর্জুন স্যারকে দেখে স্থির হয়ে গিয়েছিল হঠাৎ। স্যার এখানে কি করছে! এই ভাবনার ভিড়েই অর্জুন আস্তে গলায় বলে উঠেছিল,
———-” ভিতরে আসতে পারি? ”
এই প্রশ্নে সৌমী কিছুটা ইতঃস্তত হয়ে দরজা থেকে সরে গিয়ে বলেছিল,
———-” হ্যাঁ স্যার। প্লিজ.. ভিতরে আসুন। ”
কথাটা শুনে অর্জুন ভিতরে এসে বলেছিল,
———-” তোমার সব প্যাকিং কমপ্লিট? আমি তোমাকে নিতে এসেছি। ”
এই কথায় সৌমী কেমন আকাশ থেকে পড়েছিল। তারপর কিছুটা এলোমেলো হয়েই বলেছিল,
———” স্যার আপনার আসার কি দরকার ছিল! আমি চলে যেতাম ট্যাক্সি করে। ”
কথাটায় অর্জুন অল্প সাজিয়ে উত্তর দিয়েছিল,
———-” না, আমার কাজ ছিল এখানে একটা। তাই ভাবলাম! ”
কথাটাকে আর শেষ করতে পারলো না ও। আসলে নিজেও জানে না কেন আজ এখানে এসেছে! হয়তো সৌমীর সাথে কিছুটা সময় আলাদা পাবে বলে! আসলে আজকাল যে কি বেহিসেবী মনে হয় নিজেও বোঝে না। এই কথাগুলোই ভাবছিল, তখনই সৌমী বলে উঠলো,
———-” স্যার এসেছেন যখন, একটু বসুন। এক কাপ কফি খেয়ে যান। আমি এক্ষুনি বানিয়ে আনছি। ”
কথাগুলোর মধ্যে বেশ আন্তরিকতা ছিল সৌমীর। অর্জুন এটা শুনে আর না করলো না। তবে সৌমীর রান্নাঘরে যাওয়ার পর অর্জুন এদিক ওদিক বসার ঘরে তাকাতে তাকাতে খেয়াল করলো দেয়ালে ভীষণ সুন্দর সুন্দর হাতে আঁকা ছবি লাগানো আছে। কাছে গিয়ে দেখলো প্রত্যেকটা ছবিতে সৌমীর সিগনেচার। তার মানে কি ছবিগুলো সৌমী এঁকেছে! কথাটা ভাবতে ভাবতেই সৌমী কফি নিয়ে হাজির। তবে সেই মুহূর্তে প্রশ্নটাকে মনে না রেখে অর্জুন নিজে থেকেই জিজ্ঞেস করে উঠলো,
———–” দেয়ালে এইসব এত সুন্দর সুন্দর পেন্টিং। এগুলো তোমার আঁকা? ”
এই প্রশ্নে সৌমী একটু লজ্জা পেয়ে বললো,
———-” হ্যাঁ। মানে একটা সময় আঁকতাম। বাবা খুব ইন্সপায়ার করতো। আর এগুলো সব বাবা বাঁধিয়ে রেখেছে। এত খুশি হতো আমি আঁকলে! ”
কথাগুলো আপন মনেই বলে উঠেছিল সৌমী। অর্জুন এইসব শুনে নিজে থেকেই বললো,
——— ” তোমার আঁকার হাত ভীষণ ভালো। ইউ শুড কন্টিনিউ..”
এই কথায় সৌমী মুখটা অন্ধকার করে বলেছিল,
———–” এখন আর আঁকতে ইচ্ছে করে না। বাবা যতদিন ছিল আঁকতে ভালো লাগতো। এখন রং তুলি নিয়ে বসলেই বাবার মুখটা ভেসে ওঠে। ”
কথাটা শুনে অর্জুন কয়েক সেকেন্ড চুপ করে বললো,
———–” আমি বুঝতে পারছি। আমারও তো বাবা নেই। আসলে বাবা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। সব কথা শেয়ার করতাম। কত মজা, কত গল্প হতো রোজ! তারপর ফটোগ্রাফি! সেই নেশাটাও তো বাবাই ধরিয়েছিল। ছোটবেলায় একটা ক্যামেরা কিনে দিয়েছিল আমাকে। তারপর কত জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেত! ছবি তোলার জন্য। ”
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলছিল অর্জুন। সৌমী নিস্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কথাগুলো শুনছিল। অর্জুনের চোখের মধ্যে কষ্টটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিল সৌমী। এই মুহূর্তে অর্জুন আবার নিজের মনে বলে উঠলো,
———-” বাবা চলে যাওয়ার পর আমারও আর ইচ্ছে করে না। ক্যামেরাটা দেখলে সব সময় বাবার হাসি মুখটাই ভেসে ওঠে। ”
কথাগুলো শুনে সৌমী কিছু না ভেবেই জিজ্ঞেস করে উঠেছিল,
———-” আপনি খুব মিস করেন আপনার বাবাকে? ”
কথাটায় অর্জুন মলিন হেসেছিল শুধু। তারপর একটা দীর্ঘ্যশ্বাস ফেলে বলে উঠেছিল,
,————” চলো, দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমাদের যাওয়া উচিত। ”
চলবে।