#মন_সায়রের_পাড়ে
#Tahmina_Akhter
৪….
— শুনলাম তুই নাকি হৃদিকে বিয়ে করেছিস? কি এমন দেখলি যে আমার রিজেক্ট করে দেয়া মেয়েকে তোর বিয়ে করতে হলো?
জায়িনের খোঁচা দেয়া কথা শুনে সায়রের রাগ হলো। জায়িন আরও কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে ঠিক সেইসময় সায়র হাত উঁচু করে থামতে বলল। জায়িন আড়চোখে তাকালো।
— অতীতে কে কার কি হতে যাচ্ছিল আই ডোন্ট কেয়ার। বর্তমানে হৃদি আমার স্ত্রী। সো মাইন্ড ইট। ওর ব্যাপারে কোনো কথা যাতে তোর মুখে আমি না শুনি।
— একরাতেই বৌয়ের ভক্ত হয়ে গেলি! আসলেই আমার মা যা বলেছিল তাই প্রমান পেলাম। পর্দার আড়ালে থাকা এক একটা মেয়ে শয়তানের চেয়েও এগিয়ে। আমার সামনে ধর্মের গান গেয়ে এখন তোর গলায় ঝুলে পরেছে। আমি তো তাকে এটাও বলেছি তুই একটা নাস্তিক। তারপরও তোকে কি করে বিয়ে করল? নির্লজ্জা একটা মেয়ে। শরীরের যৌব…
সায়র জায়িনের কলার চেপে ধরল। সায়র আর জায়িনের দিকে অফিসের সবাই ছুটে গেল। সায়রকে কোনোমতে ছাড়িয়ে একপাশে নিয়ে যায়। আর জায়িন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
— অন্তত হৃদির নাম তোর মুখ থেকে উচ্চারিত যেন না হয়। শিক্ষিতের বেশে তুই একটা মূর্খ। যে কিনা নারীকে সম্মান দিতে জানে না। জানে কেবল ভোগ বস্তু এবং সন্তান জন্মদানকারী মেশিন হিসেবে। তোর মায়ের কথা আমি সায়র গোনায় ধরি না। তুই তোর মায়ের আঁচলের তোলে লুকিয়ে থাক। শা**লা***। তুই হৃদির মত মেয়ের নখের যোগ্যও না। আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী। তাই তো আজ হৃদি তোর স্ত্রী নয়। বরং মোহাম্মাদ সায়র রায়হানের স্ত্রী।
সায়র নিজেকে ছাড়িয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে পরল। সায়র চলে যাওয়ার পরে পুরো অফিসে কানাঘুষা শুরু হয়ে যায়। জায়িন লজ্জা পেয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কোনো মানে হয় না। তাই সেও চলে যায়।
জায়িন বাড়িতে ফেরার ওর মায়ের সঙ্গে বেশ বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে যায়। কারণ, ওর মায়ের বোনের মেয়েকে বিয়ে করতে হয়েছে জায়িনের। মেয়েটা ভীষণ উশৃংখল এবং বাঁচাল টাইপের। স্বামীর জন্য কোনো মায়া নেই। উল্টো নিজের। স্বামীর সামনে নিজের অন্য ছেলে বন্ধুদের নামে প্রশংসা করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জায়িন বলে উঠল,
— শুধুমাত্র তোমাদের জন্য হৃদির মত এত চমৎকার একটা মেয়ে হাতছাড়া হয়ে গেছে আমার। বাচ্চা দিয়ে কি আসে যায় মা! একজন ভালো জীবনসঙ্গী অনেককিছু মা। সায়রকে দেখলেই বোঝা যায় ও কতটা লাকি হৃদিকে পেয়ে। আর আমাকে দেখো হীরাকে কাচ ভেবে তোমরা আমার গলায় কাচ পরিয়ে দিয়েছো। আমার জীবনটা তোমরা নষ্ট করে দিয়েছো তোমরা। আমি কখনোই তোমাদের মাফ করব না। কখনোই না। আমি জীবনেও খুশি থাকতে পারব না কারণ হৃদির চোখের জল আমার জীবনে অভিশাপ হয়ে এসেছে।
ছেলের কথাগুলো শুনে জায়িনের বাবা-মা দিশেহারা হয়ে পরে। কি করল ছেলের জীবনটাকে গুছিয়ে দেয়া যাবে। হিতে বিপরীত হয়ে গেল যে। ছেলের ভালো চাইতে গিয়ে আজ ছেলের জীবনকে নিজ হাতে ধ্বংস করে দিয়েছেন উনারা।
**-*-*-*-*-
হৃদি তখন চুলে তেল লাগাচ্ছে। এমনসময় কলিংবেল বেজে উঠল। হৃদি তড়িঘড়ি করে তেলের বোতল ড্রেসিংটেবিলের ওপরে রেখে ওয়াশরুমে গিয়ে হাত ধুয়ে বের হলো। মাথায় খুব ভালো করে ওড়না জড়িয়ে দরজা খুলতে চলে গেল।
দরজা খুলতেই যাকে দেখল তাতেই হৃদির বিস্মিত হলো। আর দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটা হৃদিকে নিজেদের ফ্ল্যাটে দেখে খানিকটা অবাক হয়ে মিনমিনে গলায় বলছে,
— এই আমি কাকে দেখছি! অতি শীঘ্রই বোধহয় পাগল হয়ে যাব! নয়ত, রেস্টুরেন্টের সেই সুন্দরীকে এই মূহুর্তে এই বাড়িতে কেন দেখছি?
— আসুন না। ভেতরে আসুন।
হৃদির দুটো বাক্য শুনে মাথা ঘুরে পরে যাবার উপক্রম হলো পূর্ণার। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে হৃদিকে উদ্দেশ্য করে বলল,
— আপনি এখানে?
— আমি…
হৃদি বলতেই যাচ্ছিল এমনসময় সায়র এসে দেখতে পেলো ফ্ল্যাটের দরজা সামনে হৃদি এবং পূর্ণা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। সায়র পূর্ণাকে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে যায়। পূর্ণার মাথায় স্নেহ মাখা হাত রেখে বলল,
— রাগ ভাঙল তোর?
পূর্ণা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারায় হৃদিকে দেখিয়ে বলল,
— উনি এখানে কেন ভাইয়া?
— তুই চিনিস নাকি?
পূর্ণা কিছু বলার আগেই হৃদি মুচকি হেসে বলল,
— ভেতরে আসুন।
হৃদি দরজা ছেড়ে দাঁড়াল। সায়র পূর্ণাকে নিয়ে ভেতরে ঢুকল। পূর্ণাকে সোফায় বসিয়ে সায়র ওর পাশেই বসল। হৃদি রান্নাঘরে চলে গেল শরবত বানাতে। পূর্ণা ওর ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। সায়র হাসিমুখে বলল,
— আমি হৃদিকে গতকাল রাতে বিয়ে করেছি।
— কিহহহ..।
— আরে আস্তে.. এত চিৎকার করিস কেন?
— চিৎকার করব না মানে? এত সুন্দর একটা মেয়েকে তুমি বিয়ে করে ফেলেছো তাও আমাদের না জানিয়ে! দাদাজান জানতে পারলে তোমার কপালে যে কি আছে কে জানে?
— কপালে কি থাকবে মানে? বিয়ে করেছি। অপরাধ তো আর করিনি।
পায়ের জুতো খুলতে খুলতে জবাব দেয় সায়র। ততক্ষণে দুটো গ্লাসে শরবত বানিয়ে নিয়ে এলো হৃদি। হৃদির হাত থেকে শরবতের গ্লাস নিয়ে পান করল সায়র। পূর্ণা হাত বাড়াতেই ভয় পাচ্ছে। হৃদি মুচকি হেসে পূর্ণার দিকে গ্লাস বাড়িয়ে দিল। পূর্ণা অবাক হয়ে হৃদির হাত থেকে গ্লাস নিয়ে বলল,
— তোমাকে ভাবি বললে রাগ করবে না তো?
— বোকা মেয়ে রাগ করব কেন?
— সেদিন…
— তুমি নিজের কাজে লজ্জিত এটাই অনেক। পরবর্তীতে যেন তোমার দ্বারা কারো ক্ষতি না হয় এটাই মনে রেখো।
সাহাবি হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের ক্ষতিসাধন করে বা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সে অভিশপ্ত।’ -(সুনানে তিরমিজি: ১৯৪১)
সায়র ননদ-ভাবির কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে ফেলল। সেদিন কথাটি কেন বলল পূর্ণা? হৃদি গ্লাস দুটো নিয়ে চলে যায়। সায়র হৃদির চলে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। পূর্ণা এবার জিজ্ঞেস করল কথাটি। পূর্ণা এবার ওর ভাইকে সেদিন রেস্টুরেন্টে ঘটে যাওয়া কথাটি স্মরণ করিয়ে দিলো। এবং রেস্টুরেন্টে যেই মেয়েটাকে ইচ্ছে করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিল আর পূর্ণাকে থাপ্পড় খেতে হয়েছিল সবটা মনে করিয়ে দিলো। সায়র হতভম্ব হয়ে বসে রইল। পূর্ণা তার ভাইয়ের মনের অবস্থা কিছুই বুঝতে পারল না। ভয়ে ভয়ে সোফা থেকে উঠে নিজের ঘরের দিকে রওনা হলো।
কিছু সময়র পর সায়র নিজের ঘরের দিকে চলে এলো। হৃদি তখন বারান্দায়। সায়র ধীরপায়ে হৃদির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। হৃদি চমকে তাকালো। হলুদে রঙা কামিজে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে হৃদিকে। হলুদ ওড়নায় মাঝে হৃদির গায়ের রঙটা বড্ড চোখে লাগছে। সূর্যের প্রখর তাপের সময় যেমন আকাশের বিশালতা পরিমাপ করা যায় না। ঠিক তেমনই হৃদির রুপের বিশালতা পরিমাপ করা যাচ্ছে না। সায়রের ওমন চোখের চাহনিতে হৃদি নাজেহাল। মনে হচ্ছে কোথাও পালিয়ে যাওয়া যাক। কিন্তু, কিভাবে যাবে? সব পথই আজ বন্ধ। চোখের সামনে কেবল সায়রের অস্তিত্ব।
— তোমার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা রেস্টুরেন্টে হয়েছিল তাই না? তুমি একবারও আমাকে জানালে না কেন কথাটি?
হৃদি চমকে যায়। মানুষটা তবে টের পেয়ে গেছে। এই প্রথম সায়রের দিকে খুবই গভীর দৃষ্টি রাখল। পুরুষ মানুষ বেশি ফর্সা হলে মানায় না। এতদিন এই থিওরি চলত ওর মনে। কিন্তু সায়রকে দেখার পর মনে হচ্ছে আল্লাহ তার সৃষ্টির যথার্থ যত্ন নিয়ে করেছেন। মানুষটা দেখতে সুন্দর, কথাবার্তায় চমৎকার। এই যে এখন অভিমান ভরা দুটো চোখ দেখতে পারছে। হৃদি মুচকি হেসে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বলল,
— আমি কি আর জানতাম আপনার সঙ্গে আমার জীবনের সকল পথচলা একসঙ্গেই হবে? আর যদিও আপনাকে ব্যাপারটি বলতাম, তখন কিভাবে বলতে হত জানেন?
সায়র হৃদির কথায় খানিকটা স্বাভাবিক হয়ে বলল,
— বাবাহ্ তোমার ভেতরে যেমন সফট কর্ণার আছে তেমনি হার্ড কর্ণারও আছে। ওইদিন পূর্ণা যা ব্যাথা পেয়েছিল,…
বলেই হেসে ফেলে। হৃদি লজ্জা পেয়ে বারান্দা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু, হাতটা বন্দি হয়ে যায় সায়রের হাতের মুঠোয়। হৃদির সারা শরীরে তখন এক ভালোলাগার, এক অচেনা অনুভুতির খেলা শুরু। যেই অনুভব আগে কখনো হয়নি। ভীষণ অচেনা সেই অনুভূতি।
সায়র হৃদির হাত ধরে কাছে টেনে এনে দাঁড় করালো। হৃদি মাথা নীচু করে রেখেছে। সায়র হৃদির মাথার ওপরে রাখা ওড়না ফেলে চুলের ওপর হাত বুলাতে বুলাতে বলল,
— জানিনা তোমার আদর্শ স্বামী হতে পারব কিনা? তবে এতটুকু বলতে পারি আমি চিরকাল তোমার প্রেমিকপুরুষ হয়ে থাকব। আমার প্রেমের সায়রে তোমাকে ডুবিয়ে রাখব। জীবনে প্রথমবার তোমার প্রতি এত টান, এত অনুভব, তোমার চোখের জল দেখে বুকের ভেতর ব্যাথা অনুভব সবটাই আমার কাছে মূল্যবান হৃদি। আমি ভীষণ অন্যরকম একটা মানুষ শুধু তোমাকে দেখার পর বদলে গেছি।
হৃদি কথাগুলো একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে শুনছিল। কথার একফাঁকে নিজেকে আবিষ্কার করল এক অন্য রুপে। সায়রের হৃদপিণ্ডের ধুকপুকানির তালে নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে পেল সায়রের বক্ষপিঞ্জরে। হৃদির কি হলো কে জানে! সায়রের বক্ষপিঞ্জরে নিজেকে সেচ্ছায় সমর্পণ করল।
পরিষিষ্ট,,
সায়রের মোবাইল কল এসেছে। পূর্ণা কল করেছে। কল রিসিভ করার পর যা শুনতে পেলো তাতেই মনে হলো সায়রের গলা শুকিয়ে আসছে। তৎক্ষনাৎ, অফিস থেকে গাড়ি নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্য রওনা হলো। হসপিটালে পৌছানোর পরে দেখা হলো হৃদির বাবার সঙ্গে । হৃদির বাবা মেয়ে জামাইকে দেখে ভীষণ খুশি হলো। সায়র হৃদির কথা জিজ্ঞেস করার আগেই একজন নার্স এগিয়ে আসে। সায়র খেয়াল করল ছোট একটা বাচ্চাকে। যার কান্নায় মুখরিত পুরো করিডর।
—ছেলেবাবু হয়েছে বাচ্চার বাবা কে?
সায়রের চোখ ভিজে আসে। কম্পিত গলায় নার্সকে বলল,
— আমি ওর বাবা।
সায়র ওর ছেলেকে কোলে নিলো। ছোট দুটো চোখ দিয়ে পিটপিট করে তাকাচ্ছে। সায়র আলতো করে বাবুকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল,
— আসসালামু আলাইকুম বাবা। আপনাকে এই রঙিন দুনিয়ায় স্বাগতম।
সায়র নার্সের কোলে বাবুকে দিয়ে বলল অপেক্ষা করতে। কিছু সময়ের মধ্যে সায়র ফিরে আসে। ওযু করে এসেছে। বাবুকে কোলে নিয়ে প্রথম ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামাত দেয়। কারণ, হৃদি একদিন ওকে এই হাদিস সম্পর্কে জানিয়েছিল। যা আমাদের মুসলিমদের জন্য সুন্নাহ।
কিছুক্ষণের মধ্যে হৃদিকে বেডে ট্রান্সফার করা হয়। সায়র বাবুকে কোলে নিয়ে হৃদির বেডের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। হৃদির মলিন, ক্লান্ত মুখের দিকের তাকিয়ে সায়র ভাবছে। সন্তানের মুখ থেকে বাবা ডাক শুনতে পাওয়ার চরম সৌভাগ্যের ব্যাপার কিন্তু এই পুরো ব্যাপারটায় কেবল নারীর অবদান। একটি নারী কতটা ত্যাগ করে সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য তা কেবল সেই নারী এবং সৃষ্টিকর্তা টের পান। সায়র বাম হাতে বাবুকে কোলে নিয়ে ডানহাত হৃদির মাথায় রাখল। হৃদি চোখ খুলল। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে হয়ত প্রসব যন্ত্রনার ছাপ ওই চোখদুটোতে। হৃদি কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি সায়র বলে উঠল।
— অনেক কথা হবে আমাদের কিন্তু এখন নয়। আগে তুমি সুস্থ হও।
— আপ.নি খুশি হয়েছেন তো?
হৃদি তবুও কথা বলল। সায়রের চোখের কোণায় জল এসে জম হলো। হৃদির মা হওয়ার উপচে পড়া খুশি চোখে পড়ার মত। মেয়েটার চোখ-মুখ বলে দিচ্ছে কতটা খুশি এবং কৃতজ্ঞ আজ আল্লাহ তাআ’লার ওপর।
— আমি সবসময় তোমার খুশিতে খুশি হতে চেয়েছি হৃদি। তুমি খুশি মানে আমি খুশি। যখন তোমাকে নিজের করে পেতে চেয়েছি তখন কেবল তোমাকে চেয়েছি আমি। হয়ত, তোমাকে পেয়ে যাওয়ার অবদান হিসেবে আল্লাহ আজ আমাদের এতবড় নেয়ামত দান করেছেন। আল্লাহর তাআ’লা কাছে লাখোবার শুকরিয়া।
এমনসময় হৃদির বাবা, সায়রের দাদাজান এবং পূর্ণা কেবিনের ভেতরে আসলেন। এসেই সায়রের কোল থেকে বাবুকে নিয়ে আদর করতে লাগলেন।
আর এদিকে সায়র সুযোগ পেয়ে প্রিয়তমা স্ত্রীর হাত ধরে চুমু খেয়ে বলল,
— তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি হৃদি। এভাবে আমার পাশে থেকো। মৃত্যুর পরেও। কারণ, তোমাকে ছাড়া নিজেকে কল্পনা করতে যেটুকু সাহস দরকার তা আমার মাঝে নেই।
হৃদি সায়রের হাত শক্ত করে চেপে ধরল। মনে মনে বলল,
— আমি ভালোবাসি আপনাকে। আমার ইহকাল পরকালে সবখানেই আমার পাশে আপনাকে চাই। সেই সুযোগ যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের দান করে।
#সমাপ্ত