মন সে কথা শোনেনা পর্ব-০৫ এবং শেষ পর্ব

0
3

#মন_সে_কথা_শোনেনা
লেখিকা:#শ্যামলী_রহমান
অন্তীম পর্ব

সেদিনের পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস মায়া আর তাসফির শশুড় বাড়ি থেকে এসে মায়াকে কলেজে ভর্তি করে দিয়েছে। সবকিছু ভালো চলছে তাসফির আর মায়ার সম্পর্কের মাঝে পরিবর্তন এসেছে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে না ওঠলেও বন্ধুতের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে
তাসফির এখন আর মায়াকে এড়িয়ে চলে না তাদের মধ্যে ছোট ছোট খুনসুটি, গল্প হাসি মজা হতে থাকে।

মায়া তাড়াতাড়ি এসো তোমাকে কলেজে নেমে দিয়ে আমি ভার্সিটি যাবো। নিচ থেকে তাসফিরের ডাক শুনে মায়া তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে হাফাতে থাকে।

হাঁফাচ্ছো কেন?

হাঁফাবো না?আপনি ডাকতেছেন এজন্য তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে আসলাম এজন্য তো হাঁফাই গেলাম।

তাসফির এক গ্লাস পানি এনে দিলো। এই নাও খেয়ে তাড়াতাড়ি চলো।

মায়া পানি টুকু খেয়ে দুজনে বেরিয়ে পড়লো।
রাস্তায় মধ্যে এসে জ্যামে পড়ে গেছি সামনে একটা ট্রাক উল্টে গেছে এই এক ঝামেলা এখন অপেক্ষা করতে হবে অনেকটা সময় তাসফির বিরক্ত চাহনিতে বাহিরে চায় তখন দেখা মিলে সুরাইয়া একটা ছেলের সাথে গাড়িতে বসে এক অপরের সাথে প্রায় লেপ্টে আছে। মায়া তাসফিরের দিকে তাকাতে দেখে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে সে অনুযায়ী তাকাতেই সুরাইয়া কে দেখতে পায়। ছি কি অসভ্য মেয়ে বিয়ে তো হয়নি এটা কে নিশ্চয়ই প্রেমিক হবে। তাসফির কিছু বলতে চেয়েও বলেনা যা ইচ্ছে করুক ওরা সেদিন আমার মন থেকে ওঠে গেছে যেদিন মায়ার সাথে বাজে বিহেভ করেছিলো।

ঘটনাটা বেশ কয়েক মাস আগের তাসফির আর মায়া তার বাবার বাড়ি থেকে ফিরে আসার পর একদিন সন্ধ্যায় মায়া ছাঁদে কাপড় তুলে আনতে যায় ওর পিছু পিছু সুরাইয়া ও যায় উদ্দেশ্য ছিলো খারাপ। মায়া কাপড় তুলে আসতে নিবে তখন দেখতে পায় পশ্চিম আকাশে গোধূলির আলোয় রক্তিম আভায় অসম্ভব সুন্দর লাগছে মায়া দাঁড়িয়ে যায় ছাঁদের কিনারায় দেখতে থাকে সূর্যাস্তর দৃশ্য সুরাইয়া পা টিপে টিপে মায়ার পিছনে আসে দুই তাহ মায়ার দিকে বাড়ায় উদ্দেশ্য ওকে ধ্বাকা দিয়ে ফেলে দিবে যেই ভাবা সেই কাজ যেই ধ্বাক্কা দেয় কিন্তু আফসোস মায়া পড়ে যাওয়ার আগে তাসফির পিছন থেকে হাত ধরে নেয় কসিয়ে থাপ্পড় মারে সুরাইয়া কে মায়া ভয়ে তাসফিরকে জড়িয়ে ধরে আছে।

তোর সাহস কি করে হয় ওকে ফেলে দেওয়ার জানিস ও পড়ে গেলে কি হতো? মরে যেত তখন কি করতি? ছি আমার ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে তুই একটা খুনির চেয়ে কম না নিকৃষ্ট মেয়ে মানুষ।
চল তোকে আব্বুর কাছে নিয়ে যাবো বলে হাত ধরে টেনে নিচে নিয়ে যাচ্ছে আর একপাশে মায়াকে জড়িয়ে রেখেছে।

তাসফির নিচে নিয়ে এসে রশিদ সাহেবকে ডাকতে লাগলো। আব্বু?আব্বু?

কি হয়েছে ডাকছিস কেন? আর সুরাইয়া কে এভাবে ধরে আছিস কেন?

কি হয়েছে ওকে জিজ্ঞেস করো?

সুরাইয়া ভয়ে চুপ করে আছে তাসফিরের চেচামেচিতে রত্না বেরিয়ে আসে তাসফির সুরাইকে ধরে আছে কিছু করেছে নাকি?

তোমার মেয়ে কি করেনি তাই বলো? ও মায়াকে ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো ভাগ্যিস আমি মায়াকে ডাকতে গিয়েছিলাম না হয় আজ মায়া কোথায় থাকতো বুঝতে পেরেছো।

তাসফিরের কথা শুনে রশিদ সাহেব সুরাইয়া লর উপর অ
ক্ষিপ্ত হয়ে যায় জিজ্ঞেস করে কেন করলে?

এবার সুরাইয়া রাগে জীদে বলে দেয়। আমি তাসফিরকে ভালোবাসতাম মা যখন আমার সাথে বিয়ে কথা বলতো তখন তুমি বলতে এখন বিয়ে না ও পড়ালেখা শেষ করুক তার পর এসব নিয়ে ভাববো কিন্তু তুমি এটা কি করলে অন্য একটা মেয়ের সাথে তো ঠিকি বিয়ে দিলে মামু।

আমি কখনো বলিনি তোমার সাথে বিয়ে দিবো আর তাছাড়া রত্না আমায় অনেক আগে বলেছিলো আমি সেটা মনে রাখিনি ওর মা নেই এজন্য চেয়েছিলাম একটা লক্ষী বউমা আনতে। তুমি হলে কি করতে আমি তোমার বিষয়ে অনেক কিছু জানি নিজের ভাগনী বলে কিছু বলিনা।
মায়াকে মারতে চাওয়ার জন্য তো তোমাকে জেলে দেওয়া উচিত।

রত্না বুঝতেছে পরিস্থিতি হাতের বাহিরে যাচ্ছে।
ভাইজান ও ছোট মানুষ ভুল করে ফেলেছে এবারের মতো মাফ করে দেও এমন আর কখনো করবে না।

তুই চুপ কর রত্না তোর প্রশয়ে এমন হয়েছে ওকে খারাপ তুই বানিয়েছিস।
যদি ভালো চাস আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যা আর কখনো আসিস না।

কি হলো যাচ্ছো না কেন?আমার মাথা আরো গরম হওয়ার আগে ব্যাগ গুছিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যাও।

তাসফিরের গর্জনে ভয়ে কেঁপে ওঠে মা বাবা দৌঁড়ে উপরে যায় ব্যাগ গুছিয়ে চলে যায় বাড়ি থেকে।

গাড়ির হর্ণে ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসে পাশের গাড়িটা চলে গেল জ্যাম ফাঁকা হলো তাসফির আর মায়া গন্তব্যে দিকে রওনা দিলো।

একি আপনি কলেজ বাদ দিয়ে ওদিকে যাচ্ছেন কেন?

আজ তোমাকে আমার ভার্সিটিতে নিয়ে যাবো পুরো ক্যাম্পাস ঘুরবো অনেক সুন্দর জায়গাটা ওখানে অনেক ক্যাপল তো ঘুরতেও যায়।

মায়া চুপ করে রইলো হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো আমরা কি ক্যাপল হতে পেরেছি?

আমরা তো ক্যাপল এ বিয়ে হয়েছে তাহলে এই প্রশ্ন কেন?

আর ভালোবাসা সেটা?

তাসফির মায়ার দিকে তাকালো,
সেটার উত্তর না হয় অন্য কোনো একদিন দিবো।

কথা বলতে বলতে ক্যাম্পাসে চলে আসলো দুজনে নেমে ভিতরে আসলো দূর থেকে কয়েকজন ছেলে দৌড়ে তাসফিরের কাছে আসলো সাথে একটা মেয়েও ছিলো।
সবাই জিজ্ঞেস করলো এটা কে?

চল ওদিকে গিয়ে আগে বসি।

ওদের মধ্যে একজন বললো মামা মেয়েটা যদি তোর বোন বা কেউ হয় আমার সাথে কিন্তু প্রেম করাই দেস হেব্বি সুন্দর।

তাসফির রাগি চোখে ওর দিকে তাকায় সামনে বসার জায়গায় সবাই মিলে বসে তার পর সবার উদ্দেশ্য বলে পরিচয় করিয়ে দেই হিজ মাই ওয়াইফ মায়া।
আর মায়া ওরা হলো আমার বন্ধু।

তাসফিরের কথা শুনে প্রেম করিয়ে দিতে বলা ছেলেটার মুখ চুপসে যায়।

মায়া মুগ্ধ চোখ তাসফিরের দিকে তাকিয়ে আছে যে মানুষটা একদিন মেনে নিতে চাইছিলো আজ সেই মানুষটা বউ বলে পরিচয় দিচ্ছে একদিন ভালোবাসবে।

তাসফির ও চেয়ে আছে মনে মনে বলছে,
আজকাল অনুভব করতে পারি একটু হলেও ভালোবাসি এক সাথে থাকতে থাকতে পুরোটা হয়ে যাবে।

তপ্ত দুপুর কড়া রোদ মাথার উপর সূয্যিমামার গরম আগমন ক্যামপাস থেকে ঘুরে তাসফির মায়াকে নামিয়ে দিলে আবার কোথায় জানি বেরিয়ে গেছে। কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞেস করলে বলে একটা কাজ আছে বিকেলে আসবে।

বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হলো তার পর ও আসলো না।
মায়া ভাবলো হয়তো কাজ শেষ হয়নি।

মায়া আর রশিদ সাহেব চা খাচ্ছেন আর গল্প করছেন।
বাবা রাত তো হলো আপনার ছেলে এখনো আসলো না।

চিন্তা করো না এসে পড়বে।

মায়া কিছু বললো না।
চা খাওয়া শেষে কাপ দুটো নিয়ে গেল রান্না ঘরে গিয়ে রান্নার জন্য সব কিছু রেডি করবে।

রশিদ সাহেবের কাছে তাসফির ফোন করলো।

হ্যাঁলো আব্বু?
হ্যাঁ বল।
মায়া কি করছে?

রান্না ঘরে রান্না করছে তোর কথা বলছিলো একটু আগে তুই কই?

আমি নিচে উনাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। তুমি মায়াকে একটু আড়াল করে রাখো আমি উনাকে নিয়ে ছাঁদে যাবো মায়া যাতে দেখতে না পায় আর দরজা টা খুলে দেও।

ঠিক আছে আয় বলে কল কেটে দিয়ে দরজাটা খুলে দিয়ে রান্না ঘরের দিকে গেল মায়াকে বললো কি রান্না করছো মা? অনেক কথা বলে মায়াকে অন্য মনস্ক করে রেখেঋে আর দরজার সামনে দাড়িয়েছে যাতে তাসফিরকে দেখতে না পায়।
তাসফির আলতো করে দরজা খুলে ধীর পায়ে সাথে থাকা ব্যক্তিকে নিয়ে ছাঁদে চলে যায়।

রশিদ সাহেব তখন রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসে।
কিছুক্ষনের মধ্যে মায়ার রান্না শেষ হয়ে যায়।

দশটা বাজতে চললো এখনো এলো না একটা ফোন করি বরং।

মায়া মা কাকে ফোন করছো?

বাবা আপনার ছেলেকে ফোন করছি এখনো আসছে না দশটা বাজে।
ওহ তাসফির ও আমাকে এখনি ফোন করেছিলো বললো ও আজকে বাসায় আসবে না এক বন্ধুর বাসায় থাকবে তুমি চিন্তা করো না চলো আমরা খেয়ে নেই।

আমাকে একবার ফোন করে বললেও পারতো মনে মনে অভিমান নিয়ে কথাটা আওড়ার তার পর চলে যায় খাবার টেবিলে দুই শশুড় বউমা খেয়ে নেয় রশিদ সাহেব নিজের রুমে যান মায়া সব কিছু গুছিয়ে রেখে নিজেও রুমে যায়।

বারোটা বাজতে আর পাঁচ মিনিট বাকি তাসফির ওর বাবাকে ফোন করে বলে মায়াকে নিয়ে ছাঁদে আসতে।
রশিদ সাহেব মায়ার রুমের দরজায় কড়া নাড়ে মায়া সবে ঘুমিয়েছিলো দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে হুড়মুড় করে ওঠে বাবা ডাকছে কেন?কিছু হয়নি তো এইভেবে তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলে দেয়।

কি হয়েছে বাবা?

আগে আসো পরে বলছি বলে হাটতে শুরু করেন মায়াও পিছনে পিছনে আসছে ছাঁদের দিকে যেতে দেখে মায়া মনে মনে বলে বাবা এতো রাতে ছাঁদে আসতে বলছে কেন?ভূুত দেখেছে নাকি?

ছাঁদের দরজার কাছে আসতেই আলো জ্বলে উঠে সামনে থাকা ব্যক্তি শুভ জন্মদিন বলে মায়া তো অনেক সক্ট কি হলো বুঝতে একটু সময় লাগলো সবচেয়ে বেশি সক্ট ওর মাকে দেখে হ্যাঁ তাসফিরের সাথে আসা ব্যক্তিটা হলো মায়ার মা।
মায়া তো ভীষণ খুশি দৌড়ে গিয়ে ওর মাকে জড়িয়ে ধরে,
তুমি কখন আসলে মা?

এসেছি তো দশটার পর জামাই বাবাজী নিয়ে আসলো আমি আসতে চাইনি ও বললো আজ তোর জন্মদিন পালন করবে আর আমাকে ছাড়া নাকি হবে না তাই বাধ্য হয়ে আসতে হলো।

মা মেয়ের ভালোবাসা শেষ হলে কেকটা কাটি।

রশিদ সাহেবের কথায় মায়া এদিকে আসে।

শুভ জন্মদিন মা।

ধন্যবাদ বাবা।

গিফটটা পরে দিবো আজ তোলা থাক কারণ গিফট আনা নেই আমি বিকেলে জানছি বাহিরে যেতে পারিনি।

আচ্ছা সব কথা পরে হবে এদিকে কেক কাটো বলে তাসফির মায়াকে নিয়ে গেল। কেক কাটা হলো সবার প্রথমে তাসফিরকে খাওয়াতে চাইলে ইশারা করে ওর মা কে খাওয়াতে বলে মায়া তাই করে ওর মা পরে শশুড় কে খাওয়ায় তার পর তাসরিফ কে খাওয়ায়।
নিজে খাওয়া কেকটার বাকি অংশ মায়াকে খাইয়ে দেয় এবং বলে,

মানুষ বলে স্বামীর এঁটো খেলে নাকি ভালোবাসা বাড়ে তাই খাওয়ালাম যদি ভালোবাসাটা বেড়ে যায়।

মায়া তাসফিরের দিকে তাকিয়ে বলে,
এক পক্ষীক ভালোবাসা বেড়ে কি লাভ শুধু কষ্ট পাওয়া হবে।

এক পক্ষীক হবে কেন?যদি বিপরীতে থাকা মানুষটাও অল্প সল্প ভালোবাসে তাহলে তোমার চলবে?

তাসফিরের কথায় মায়ার মুখে হাঁসি ফোঁটে।
শুধু চলবে না দৌঁড়াবে অল্প সল্প ভালোবাসতে বাসতে একদিন পুরোটা ভালোবাসবেন তাহলে হবে।

বাবা ঠিকি বলেছিলো তোমাকে বিয়ে করতে রাজি ছিলাম বলে বলেছিলো,
আজ বিয়ে করতে চাচ্ছিস না আমাকে ভুল বুঝছিস একদিন তুই আমাকে ধন্যবাদ দিবি।
কথাটা ঠিকি বলেছিলো আজ সেটা বুঝতে পারছি।

ভালোবাসবো না, বাসবো না করেও বেসে ফেললাম কারণ #মন_সে কথা_শোনোনা মন চায় তোমার ভালোবাসি তাই বেসে ফেললাম।

তোমায় একটু জড়িয়ে ধরি?

তাসফিরের বলতে দেরি মায়া ঝাপটে জড়িয়ে ধরে।
এ বুকেতে শুধু তোমার বসবাস যেখানে অন্য কারো ছোঁয়া নিষেধ ছিলো।

আর একটা কথা বলতে ভুলে গেছি।

মায়া বুক থেকে মাথা তুলে চায় জিজ্ঞেস করে কি কথা?

আজ থেকে তোমার মা আমাদের সাথে থাকবে আনি একবারে নিয়ে এসেছি যদিও উনি রাজি ছিলেন না মেয়ের বাড়ি থাকতে তবুও জোর করে আনছি ভালো করিনি?

মা তো ঠিকি বলেছে মেয়ের শশুড় বাড়ি থাকলে নানান জন নানান কথা বলবে?

মেয়ের শশুড় বাড়ি মানে কি এটা তোমার ও বাড়ি আর এ বাড়িতে আমার বাবা থাকেন তাকে তুমি নিজের বাবার মতো দেখতে পারলে আমি কেন তোমার মা কে নিজের মায়ের মতো দেখতে পারবো না? আজ যদি আমার মা থাকতো সেও তো এ বাড়িতেও থাকতো তাহলে তোমার মা থাকলে কি সমস্যা? আর যদি বলো মানুষের কথা তাদের কাজ তো অন্যকে কথা শোনানো তুমি তাদের কথা শুনবে কেন? আমি যা বলেছি তাই হবে বুঝতে পেরেছো।

তাসরিফের কথা শুনে মায়ার চোখে ওানি এসেছে
নিজেকে আজ ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে আপনাকে জীবনে পেয়ে সব ছেলে যদি এমন ভাবতো তাহলে আর ছেলে না থাকা একা থাকা মায়ের কষ্ট করে জীবন যাপন করা লাগতো না। আপনি এতো ভালো কেন? বলে কান্নারত অবস্থায় জড়িয়ে ধরে।

আমি ভালো কিনা জানিনা তবে আমার ভাবনা অন্য রকম ধীরে ধীরে তোমার সব স্বপ্ন পূরণ করবো তুমি শুধু আমার হয়ে থেকো।

মায়া তাসফিরের হাতে হাত রাখে,
কথা দিলাম আমৃত্যু আমি আপনার সাথে থাকবো মৃত্যু ছাড়া কখনো আলাদা হবো না।

___সমাপ্তি ___