মায়াকুমারী পর্ব-২৮/খ

0
93

#মায়াকুমারী ❤️
#পর্বসংখ্যা-(২৮/খ)
__________________

ল্যাম্পপোস্টের নিয়ন বাতির আলোয় সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে এলোমেলো পায়ে হাঁটছে অনিক। সঙ্গী তার গ্যাংরা।

“দোস্ত কী হইছে চুপচাপ যে?”

“মন-মেজাজ ঠিক নাই। মুড সুয়িং হচ্ছে।”

“কেন?”

“আব্বা জুতা দিয়া পিটাইছে।”

“ব্যথা পাইছোচ?”

“আবার জিগায়!”

“সো স্যাড দোস্ত।”

“এখন মনে হইতাছে আরেকটা বিয়ে করতে পারলে ভালো লাগতো। যদিও প্রথম বিয়েটা এখনো হয় নাই।”

“তো কইরা ফালা।”

“না দোস্ত বিয়া করতে এখন ভয় পাই।”

“ভয় পাওনের কী আছে?”

“আরে দেখোস না কোপ খাইতে হয় কটও খাইতে হয়।”

“ঠিক কইছোচ দোস্ত! পুরুষ মানুষ যে কেমনে বাঁচবো বুঝবার পারি না। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করলাম ডিভোর্স এর পর মেয়েরা সেলিব্রিটি হইয়া যায়!”

দীর্ঘশ্বাস ফেললো সিফাত।

“হেইটাই! হ্লার পুরুষ মানুষ কেমনে যে বাঁচবো!”

“দোস্ত শুনবি আমার একটা কাহিনী?”

“তোর আবার কী হইছে?”

“আরে দোস্ত আর কইস না,আমার মামাতো বোনরে ফেইসবুক থেইকা ব্লক দিছি এখন আমগো বাসা আইসা আজই দুই দিন ধইরা আমারে শুনাইয়া শুনাইয়া আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না এইসব ওয়াজ বাজায়। এন সত্যি কইরা কওতো আমি কি বেহেশতে যাইতে পারুম না?”

“শালীরে জিগাইতি ও যাইবো কি না!”

“মন্দ কস নাই।”

সিগারেটে শেষ টান দিয়ে আঙ্গুল চালিয়ে চুলগুলো ব্রাশ করতে লাগলো।

“দোস্ত কী খোঁজোস?”

“হ্লার বাইক চালাইতে চালাইতে আজকাল এমন হইয়া গেছি এখন হাঁটার সময়ও লুকিং গ্লাস খুঁজি!”

“আরে ভাই সেদিন রাস্তা দিয়ে হাইটা হাইটা যাইতাছিলাম পুলিশ দেইখা অন্য রাস্তা দিয়া গেছি পরে দেখলাম আমার কাছে তো বাইকই নেই।”

“সব কপাল।”
__

লিভিং স্পেসে গম্ভীর হয়ে বসে রইলো সবাই। গলা পরিষ্কার করে আসাদ সাহেব বললেন,”তোমাদের সঙ্গে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।”

নীরব রইলো সবাই।

“কথাটা হচ্ছে,তোমরা তো অবগত নিশুর পরিবার কেমন। নিশুর বাবা-মা তার খোঁজখবর নেয় না। ডিভোর্সের পর থেকে ওর মায়ের কোনো খোঁজ নেই। এগুলো বলার কারণ ওর পারিবারিক কোনো সাপোর্ট নেই। মেয়েটাকে আমরা নিজেদের সন্তানের মতো করে ছোট থেকে বড় করেছি এই অব্ধি। ওর উপর আমাদের একটা দূর্বলতা এবং মায়া রয়েছে।”

ধ্রুবকে উদ্দেশ্য করে বললেন,”আমি তোমার মায়ের হাতে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি তোমরা সাইন করেছো কি না আমি জানি না। লেটারটা আমি আর পাইনি। লইয়্যারের সঙ্গেও কথা বলে বিশেষ কোনো তথ্য পাইনি। সে যাইহোক এখন আমরা জানি ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। তাই বলতে চাই,তুমি তো আর নিশুর সঙ্গে সংসার করবে না। অর্থাৎ তোমরা তিনভাই তিনটি বউ আনবে ঘরে। কার বউ কেমন হবে তা তো জানি না। নিশুর সঙ্গে বনিবনা নাও হতে পারে। ছোট করে দেখতে পারে আর খোঁচা দিয়ে কথা শোনাতে পারে। এখন নিশুকে যেহেতু আমরা পেলেপুষে বড় করেছি তাই ওর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি একটা ডিসিশন নিয়েছি। তা হলো,নিশু-দ্যুতি দু’জনই মায়ের পেটের বোনের মতো চলাফেরা করে। আমি এখনও সম্পদ ভাগবাটোয়ারা করিনি। তবে ওদের দু’জনের নামে একটি জায়গা কিনেছি এবং সেখানে বিল্ডিং তুলেছি। সেখানের গ্রাউন্ড ফ্লোরে মেডিসিন শপের একটি ব্রাঞ্চ ওপেন করেছি। আর এই ব্রাঞ্চটি ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গাও অলরেডি ওপেন হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ মতিঝিল,গুলশান,বনানী,ধানমন্ডি ইত্যাদি। কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানের শপটিতেই মোট ১৫ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছি। বাকিগুলোতেও তেমন। আর এখানের বাকি ফ্লোরগুলো শপিংমল করার জন্য ভাড়া দিয়ে দিয়েছি। তবে কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। কাল উদ্বোধন করা শেষে প্রতিটি ফ্লোরের কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর আমার আরো প্ল্যান আছে বিভিন্ন জেলায়ও এর ব্রাঞ্চ ওপেন করবো।”

কথাগুলো শুনতেই চমকান দিলরুবা খাতুন। নির্বিকার রইলো তিনভাই। তবে বিষয়টি সম্পর্কে ধূসর অবগত। বিল্ডিংটি তৈরি করতেই প্রায় সাড়ে সাত বছরের মতো লেগে গিয়েছে। তার বাবার এত বছরের অর্জিত সকল অর্থ এই বিল্ডিংটির পিছনেই গিয়েছে। কিছু অর্থ লোন নিয়েছেন। আর এজন্যই খুব বেশি ব্যস্ত থাকতে হতো উনাকে। যার জন্য পরিবারকে তেমন একটা সময় দিতে পারেননি। বাড়ির দিকটা ধূসর-ধীরাজ দুজনই সামলিয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের ভাড়া তোলা,ভাড়াটিয়াদের সামলানো,সব বিল,কোন ফ্ল্যাটের কোন সমস্যা,বাড়ির কী সমস্যা হতে কিচেন থেকে ইত্যাদি সব দায়িত্ব তাদের উপর বর্তিয়েছিল। এদিকে নিশু আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিল,ওর ট্রিটমেন্ট সংক্রান্ত,স্টাডি কতশত ঝামেলা গেল!

“দিলরুবা সহ তোমাদের তিনজনের কাছে অনুরোধ এটা আমি খুশিমনে নিশু-দ্যুতির জন্য করেছি। দু’জনেই আমার মেয়ে। ওদের ভবিষ্যতের কথা সারাক্ষণ ভাবতাম। তিন ছেলে বিয়ে করলে আদোও আমার মেয়েদের কে দেখবে! নিশুকে রাখতে চাইলাম আমার বাড়িতে তা বোধহয় স্বপ্নই থেকে যাবে। সে যাইহোক,তাই ক্ষমা চাচ্ছি তোমরা এই সম্পত্তির দাবি করো না। এটা সম্পূর্ণ আমার কষ্টের অর্জিত অর্থে করেছি। আমার কিছু হলে আমার মেয়েদের কী হবে,দিলরুবার কী হবে!”

দিলরুবা খাতুনের বুকটা কেমন আদ্র হয়ে গেল। বিয়ের অনেকগুলো বছর চলছে উনাদের তবে কখনো মনোমালিন্য হয়নি। শ্বাশুড়ি-ননদ প্রচুর যন্ত্রণা দিলেও স্বামী ভালো ছিলেন। আসাদ সাহেব যেমন মাটির মানুষ তেমনি আবার মেজাজীও। তবে দিলরুবা খাতুনের গলায় সবসময়ই থাকতো নমনীয়তা,কোমলতা। তিনি একজন অন্ধ স্বামীভক্ত। স্বামীর মেজাজ খারাপ থাকলে কখনো ঘাটাতেন না। আসাদ সাহেব দেখতে কালো ছিলেন বলে বিয়ে করতে চাননি। তিনি ছিলেন সুন্দরী। ওতো কালো,আবার নিজের থেকেও সতেরো-আঠারো বছরের বড় মানুষকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। বাবার চাপে পড়ে শেষমেশ বিয়ে হয়ে যায়। এরপর সংসার শুরু করেন। আসাদ সাহেব বুঝতেন স্ত্রী উনাকে পছন্দ করেন না। তবে উনার সাথে কখনো বাজে আচরণ করেননি। মনখারাপ থাকতো সবসময়,নীরবে কাঁদতেন। উনাকে অবাক করে দিয়ে আসাদ সাহেব একজন যোগ্য স্বামী হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বয়স এবং গায়ের রঙ কিছু না। এখন তো একজন আরেকজনের চোখের সুরমা! কত মায়া করে আদুরে গলায় ডাকেন দিলরুবা! বয়স হয়ে গেলেও দু’জনের মধ্যে এখনও কত ভালোবাসা। আর সেটা মুখে প্রকাশ না করলেও কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। রাগ দেখিয়ে বললেন,”কাজটা কী আপনি ঠিক করলেন?”

চমকালেন আসাদ সাহেব।

“মানে!”

“ওরা হচ্ছে মেয়ে। ওদের জন্য এত সম্পত্তির কী দরকার?”

“এইসব কেমন কথা দিলরুবা?”

“ঠিকই তো বলেছি! আজীবন মেয়েদের নিয়ে ভাবলে হবে আমার ছেলেদের ভবিষ্যৎ আছে না?”

“মেয়ে বলে ওদের জন্য আরো বেশি ভাবা এবং করা উচিত,তদ্রূপ এটা প্রতিটি বাবা-মায়েরও। কারণ সমাজে ছেলেদের চাইতেও বেশি অবহেলিত,নিগৃহীত মেয়েরা। আর শোনো,আমি কাউকে ঠকাইনি। সবার জন্যই সম্পত্তি আছে। এছাড়াও আমি কখনো নিশুকে অন্যের মেয়ে ভাবিনি। জন্ম না দিলেও আমি কিন্তু ওর আরেক পিতা। পুত্রবধূর সম্পর্কটা পরে কিন্তু ওতো প্রথমে আমাদের মেয়ে হয়েই এসেছে আমাদের জীবনে। আর ওরা যেমন আমার ছেলে তেমনি ওরাও আমার মেয়ে। উভয় সমান সমান। ভুলে যেও না দিলরুবা তোমার বড় ছেলেকে কিন্তু কোটি কোটি টাকা খরচা করে পড়াশোনা করিয়েছি ইউএসএ-এর নামী-দামী ভার্সিটিতে। এছাড়াও ইউএসএতে এপার্টমেন্ট এবং সাড়ে তিন বছরে তিনটি কার কিনে দিয়েছি। আনুষাঙ্গিক খরচ তো তো বাদই দিলাম। ধূসর-ধীরাজ দুজনকেও বিদেশ পাঠিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ যেহেতু আমি এখন ফ্রী হয়েছি আর তোমার বড় ছেলেও এসেছে। আর ওদের আগেও অনেকবার চাপ দিয়েছিলাম বিদেশে স্টাডি কমপ্লিট করে সেটেল্ড হতে কিন্তু আমার কথা শোনেনি। কী জানি বাবা-মা,বোনদের কী হবে সে কথা ভেবে। ছেলেদের মধ্যে একজনকে স্টাবলিশ করে দিয়েছি বাকি দুজন এবং মেয়েরা এখনও হয়নি তাই সম্পত্তিটুকু দেওয়া এতে আপত্তি করছো কেন?ছেলে-মেয়ে বলে না আমি কিন্তু সবাইকে সমান চোখে দেখেছি।”

“মেয়েদের বিয়েতে একগাদা টাকাপয়সা খরচা হবে।”

“ছেলেদের বিয়েতে হবে না?”

“আপনি অন্ধ হয়ে গিয়েছেন?”

“ছেলেদের জন্য দশগুণ আর মেয়েদের জন্য পাঁচগুণ দিয়েছি এতে কী অন্ধ হলাম?ঢের সম্পত্তি আছে তিনজনের নামে।”

মুখ গোঁজ করলেন দিলরুবা খাতুন। অসন্তুষ্ট হলেন আসাদ সাহেব।

“আমি যতদিন বেঁচে আছি এই সম্পত্তি ওদের। শোনো,মেয়েদের একটি নিজস্ব বাড়ি বা নিজের ঘর থাকা কতটা জরুরি তা কেবলমাত্র তারা নিজেরাই জানে যারা স্বামী-সন্তান,বাবারবাড়ি এবং শ্বশুরবাড়িতে অবহেলিত,নিগৃহীত,নির্যাতিত। তাই আমার মতে,প্রতিটি মেয়ের একটি বাড়ি দরকার,ঘর দরকার। তাদের ইচ্ছে,অনুভূতি এবং স্বপ্নের সাথে সম্পর্কিত যে স্থানটি তারা চায় সেটি একান্ত তাদেরই অধিকার। সে যাইহোক,এখন কোনো একদিন আমার মেয়েরা গর্ব করে বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে তাদের নিজস্ব একটা বাড়ি আছে,ঘর আছে,সম্পত্তি আছে। স্বামী-সন্তান কিংবা শ্বশুরবাড়ির লোকদের লাথি-উষ্টা খেয়ে,নির্যাতিত এবং অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকতে হবে না। সব মেয়েদের শখ থাকে একদিন তার নিজের একটা বাড়ি হবে। যদি কখনো এমন পরিস্থিতি আসে যে কেউ ওদের পাশে না থাকে তখন যেন মাথার উপর অন্তত একটা আশ্রয় থাকে সে ব্যবস্থা করে দিলাম। আমি কি খারাপ কিছু করেছি মেয়েদের জন্য?”

চুপসে রইলেন দিলরুবা খাতুন।

“করলেও করেছি এখন তোমরা আমাকে মাফ করে দাও।”

স্ত্রী সমেৎ ছেলেদের দিকে তাকালেন নীরব সবাই।

“ধ্রুব তোমার কী মতামত?”

“আমার কোনো সমস্যা নেই।”

“ধূসর?”

“সহমত।”

“ধীরাজ?”

“ভাইয়াদের সঙ্গে একমত। আমি জানি আমার আব্বা অহেতুক কিছু করবেন না। এতে আপত্তির কিছু দেখি না। আর সব আমাদের বোনদের ভবিষ্যতের জন্যই তো! ওরা ভালো থাকলে আমরাও ভালো। চোখের শান্তি বড় শান্তি! আমাদের বোনেরা সুখে-শান্তিতে আছে এটাও তো চোখের শান্তি। চোখ শান্তি মন-মগজ সব শান্তি!”

ছোট ছেলের কথায় মুগ্ধ হলেন। আদ্র হলো বুক।

“সবার সামনে ক্লিয়ার হয়ে গেল বিষয়টি। কারো কোনো আপত্তি নেই। আর করলেও আমি আমার স্থানে অনড়। কারণ এখানে শুধু আমার কষ্টের অর্জিত অর্থ কারো এক পয়সাও নেই। তাই কারো কোনো রাইট নেই আপত্তি করার। আর আমার সম্পত্তি আমি যাকে ইচ্ছে তাকে দান করতে পারি। হতে পারে সেটা সরকারি ফান্ড কিংবা কোনো মসজিদ,এতিমখানায়। সে যাইহোক,এখন আমি ছেলেমেয়ে কাউকে ঠকাইনি। বরং ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা কম পেয়েছে। তবুও শান্তি যে বেঁচে থাকাকালীন ওদের একটা আশ্রয়ের ব্যবস্থা এবং ইনকাম সোর্স করে দিয়ে যেতে পারলাম। এখন কবরে গেলেও আমি শান্তি পাবো। এখন প্রতি মাসের সকল টাকা ওদের দু’জনের একাউন্টে এসে জমা হবে। দু’জনের নিরাপত্তার কথা ভেবে দুটি একাউন্টও ওপেন করে দিয়েছি। তবে নিশু-দ্যুতির কাছে বিষয়টি হাইড থাকুক। পড়াশোনা কমপ্লিট করে নিজেদের অবস্থান মজবুত করুক। স্টাবলিশ হোক। তারপর কোনো একদিন জানাবো।”

নীরব রইলো সবাই।

“আরেকটা কথা নিশু-দ্যুতির জন্য পাত্র দেখতেছি। আমি বেঁচে থাকতে ওদের বিয়ে দেখে যেতে চাই। পাত্র অলরেডি আছে আরেকটু খোঁজখবর নিয়ে আগে নিশুর বিয়েটা দিতে চাই।”

ছেলের দিকে একপলক তাকিয়ে উঠে গেলেন আসাদ সাহেব। এতক্ষণ ধ্রুবর মুখ স্বাভাবিক থাকলেও শক্ত দেখালো। রুমের দিকে পা বাড়াতেই দেখলেন রিনা খালার সঙ্গে কিচেনে কাজ করছে ওরা দু’জন।

“রিনা খান তোমার সান্ডে মান্ডে কোলোজ কইরা দিমু কইতাছি!”

দ্যুতির কথায় শব্দ করে হেসে উঠলো নিশু।

“আমি আবার কিতা করলাম?”

“কাবাব মে হাড্ডি হচ্ছ যখন তখন।”

“আমার কী দোষ?হেরাই তো চিপায়-চাপায় আকাম-কুকাম করতাছিল।”

“রিনা খান আর একবার ডিস্টার্ব করবা ওদের তো বললাম না সান্ডে মান্ডে কোলোজ কইরা দিমু। তোমার জন্য একটা ব’ন্দুক কিনবো দাঁড়াও।”

“রিনা খান কও ক্যান আমারে?”

“তুমি বাস্তবের রিনা খান।”

“তোমরা আমারে ওই ঝরগাইট্টা রিনা খানের লগে মিলাইতাছো?”

“তুমি আরো ডেঞ্জারাস।”

“নামডাই পাল্টালামু।”

মুচকি হাসি ফুটে উঠলো উনার মুখে। রুমের দিকে পা বাড়ালেন। আযান হয়েছে নামাজ আদায় করবেন। উঠে গেল তিনভাই। আনমনা হয়ে বসে রইলো ধ্রুব। একপলক তাকিয়ে রুমের দিকে হাঁটা ধরলো ধূসর।
_______

চলবে~