মায়াতীর সংসার পর্ব-০১

0
2

#মায়াতীর সংসার
শারমিন আঁচল নিপা
পর্ব-১

প্রাক্তনের বিয়ের ৬ বছর পর তার সাথে আজকে আমার দেখা। আমি তার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আগের মতন বুকের স্পন্দন স্পন্দিত হচ্ছে দ্বিগুণ বেগে। এভাবে তার সাথে আমার দেখা হবে কল্পনাও করতে পারছিলাম না। তার দিক থেকে আমার প্রতি বিন্দুমাত্র ভালোবাসা ছিল না। তবে আমার দিক থেকে আজও তার জন্য ভালোবাসার এক তাজমহল মনে অঙ্কিত আছে। এত অপমান, এত যন্ত্রণা পাওয়ার পরও আমি এখনও তার প্রতি দুর্বল। আমার বেহায়া মন এখনও তার সাথে সংসার করার স্বপ্ন বুনে। আমার অবুঝ মনটা সরলতার সহিত এখনও তাকে ভালোবাসে। খুব বেশি না এক বছরের একটা প্রেম ছিল। সে এক বছরের প্রেমটা তার কাছে নিছক টাইমপাস হলেও আমার কাছে ছিল জীবন মরনের একটা অধ্যায়। প্রেমে না পড়া মেয়েটাও ২৪ বছর বয়সে প্রেমে পড়েছিল সামনে থাকা এ মানুষটার। ২৪ বছরে কোনো ছেলে মন জয় করতে না পারলেও সে ঠিকই মন জয় করে নিয়েছিল। কীভাবে যে আমি তার সাথে কথা বলতে বলতে দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম নিজেও টের পাইনি৷ মনের অজান্তেই যেন সব হচ্ছিল।

দুর্বলতায় মানুষের তীব্র যন্ত্রণা কারণ হয়। আর সেজন্যই একটা সময় পর তার কাছে ফেলনা অবহেলার বস্তুই হয়ে গিয়েছিলাম। আর সেই আমার তীব্র যন্ত্রণার কারণ হয়েছিল৷

আমাদের বিচ্ছেদটা একদম অন্যরকম ছিল। এক বছর সে আমাকে যেভাবে আগলে রেখেছিল হয়তো সেভাবে এখনও কেউ পারবে না। এক বছর পর থেকে টানা একমাস সে আমার খোঁজ নিত না। ঠিক মতো ফোন ধরত না। কথা বলতে চাইত না। যে মানুষটা সারা রাত আমার সাথে কথা বলে পার করে দিত। সে মানুষটায় সারাদিন রাত মিলে ১০ মিনিট কথা বলতেও অনীহা প্রকাশ করত। তার এ অবহেলায় আমি ভেঙে যেতে লাগলাম। দিন রাত চব্বিশ ঘন্টায় আমি কেবল কাঁদতাম। আহাজারি করতাম। মনে হতো তাকে ছাড়া আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যাব। আল্লাহর কাছে তাকে চাইতাম। হাস্যকর হলেও সত্যি তাকে পাওয়ার জন্য আমি কবিরাজের কাছেও গিয়েছিলাম। কত বোকায় না ছিলাম। এ কাহিনি গুলো এখন কেবল মুখে হাসির হিরিক আনে। তখন যা মনে করে কষ্ট পেতাম। এখন তা মনে করে হাসি। সময় হয়তো এভাবেই পাল্টে দেয় আমাদের।

টানা একমাসের অবহেলার পর হঠাৎ করে জানতে পারি সে আমার বাসায় আমাদের বিয়ের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। আমি সেদিন থমকে গিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম না কিছু। ভাবতে লাগলাম সে যদি আমাকে বিয়েই করবে তাহলে আমাকে এ একমাস কেন কষ্ট দিল! কেন আমার অশান্তি বাড়িয়ে দিল?বিয়ের প্রস্তাবের কথাটা কানে আসতেই তাড়াহুড়ো করে তাকে কল দিলাম। তাকে কল দেওয়ার সাথে সাথে সে বলে উঠল

“কেমন লাগল সারপ্রাইজটা? এবার নিজেকে একটু গুছাও। চোখের নীচের ঐ কালো দাগ আমার আর দেখতে ভালো লাগছে না। চেহারার মলিনতা আমাকে আর টানছেনা৷ আমি আগের মতো তোমাকে সজীব চাই। আমি বুঝতে পেরেছি ‘মায়া’ তুমি আমাকে ছাড়া শান্তিতে থাকতে পারবে না৷ এ অল্প সময়ের সম্পর্ক আমার কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না হলেও তোমার কাছে এটা ছিল জীবনের একটা অংশ। আর আমি এতটাও খারাপ না যে তোমাকে কষ্ট দিব। আমি তোমাকে ভালোবাসি এ বিষয়টা এ কয়দিনে রিয়েলাইজ করতে পারলাম। আমার মনে হয় তোমাকে কষ্ট দিয়ে আমি শান্তি পাব না। তাই ভেবে চিন্তায় সিদ্ধান্ত নিলাম আমি তোমাকেই বিয়ে করব। তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মেছে সেটা আমি এতদিন বুঝতে পারিনি। মায়া আমি তোমাকে ভালোবাসি।”

সেদিন আমি কতটা খুশি হয়েছিলাম বর্ণণা করতে পারব না। আমিও যথেষ্ঠ এডাল্ট ছিলাম৷ অনার্স কমপ্লিট করে টুকটাক টিউশন করাতাম। আর সে ছিল বি সি এস ক্যাডার, ইন্জিনিয়ার। তাই আামদের বিয়েতে পরিবারের কোনো আপত্তি ছিল না। দুই পরিবারেই আমাদের মতামতকে সম্মতি দিয়েছিল।

সেদিন ছিল বসন্ত কালের প্রথম দিন। কোকিলের কুহু ডাক। হালকা শীতল হাওয়া। পরিবেশটা বেশ শান্ত করে তুলেছিল। সেদিনেই ছিল আমার এনগেজমেন্ট। তাদের পরিবার থেকে তার বাবা, মা, বোন এসে আমাকে আংকটি পরিয়ে বিয়ের দিন ঠিক করে যায়। আর আমার পরিবার থেকে উপস্থিত ছিল আমার বাবা আর ছোটো ফুফু। মাকে হারিয়ে ফেলেছিলাম সে ছোটোবেলায়। এরপর আর বাবা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়ে করে নি। বাবা আর আমি মিলেই আমাদের সংসার।

এনগেজমেন্ট হয় বিকেলে। তারা সন্ধ্যায় চলে যায়। মিহানও বের হয়ে যায়। মিহান বের হয়েই আমাকে কল করে।।আমি কল ধরতেই সে বলে উঠে

“একটু বের হবা? তোমাকে নিয়ে বাইকে ঘুরব। একসাথে ফুচকা খাব, একসাথে টঙ দোকানে চা খাব। ঠিক যেভাবে আমাদের সম্পর্কের শুরুতে করেছিলাম। আজকে সে জায়গায় যাব যেখানে তোমার সাথে আমার তুমুল ঝগড়া হয়েছিল। আর যে ঝগড়াটায় আজকে আমাদের বিয়ে পর্যন্ত এনেছে।”

আমি মিহানের কথা শুনে হেসে দিলাম। মিহানের সাথে আমার পরিচয় হয় ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেটে। সেখানে আমি গিয়েছিলাম চাপটি আর হাসের মাংস খেতে। সাথে আমার তিনজন বান্ধবীও ছিল। আমি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলাম। হঠাৎ করে একটা বাইক এসে আমার পা বরাবর স্পর্শ করল। পায়ে হালকা চুট পেয়ে টগবগিয়ে বাইক ওয়ালার দিকে তাকালাম। সে বাইকওয়ালাটায় ছিল মিহান। মিহানকে আমি রাগে গজগজ করে বললাম

“চোখ কি আসমানে নিয়ে ঘুরেন? দেখে বাইক চালাবেন না? আপনাদের মতো ফাতরা গুলোই বাপের টাকায় বাইক কিনে মনে করে রাস্তাটাও কিনে ফেলেছে। বাপের রাস্তা পেয়েছেন?”

আমার গর্জন শুনে মিহান কপাল কুঁচকে উত্তর দিল

“আপনি কী কমনসেন্সের মাথা খেয়ে ফেলেছেন? রাস্তার মাঝখানে কেউ ফটোস্যুট করে। আপনারা আগাড়ে- পাগাড়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলবেন আর দোষ হবে সব আমাদের মতো ইনোসেন্ট বাইক ওয়ালাদের। সময় মতো ব্রেক না কষলে এত বড়ো গলা দিয়ে আওয়াজ বের করতে পারতেন না। হাসপাতালে এতক্ষণে শুয়ে থাকতেন।”

মিহানের কথা শুনে আমার রাগটা বেড়ে গেল। মনে হলো তাকে একটা শায়েস্তা করা দরকার। তাই ডিরেক্ট কলারটা ধরে বললাম

“ক্ষতিপূরণ না দিয়ে গেলে রাস্তার মানুষদের দিয়ে গণপিটুনি খাওয়াব।”

আমার কথা শুনে মিহান কিছুটা ভয় পেয়ে গেল।।তাই সে কথা না বাড়িয়ে সমঝোতায় আসলো। সে আমাকে তার নম্বরটা এগিয়ে দিয়ে বলল

“আমার কাছে টাকা নেই আপাতত। সব চেক করে দেখতে পারেন। আপনি কত টাকা ক্ষতিপূরণ চান বলেন। আমি পরে বিকাশ করে দিব। আর এখানে আমার নম্বর আছে। কল দিলেই হবে।”

আমি মিহানের মোবাইল থেকে তার নম্বরটা টাইপ করে তাকে কল দিয়ে বললাম

“এটা আমার নম্বর। সময় মতো পাঁচ হাজার টাকা বিকাশ করে দিবেন। ছেড়ে দিলাম। কিন্তু বাপের রাস্তা মনে করে আর গাড়ি চালিয়েন না।”

সেদিন চলে আসার পর আমি বেমালুম সব ভুল গিয়েছিলাম। বিষয়টা আর মাথাতেও আনিনি। রাগের মাথায় যা করেছি সেটা রাগ শেষ হওয়ার পর আমার মাথায় এতটা আটকে থাকে না। তবে সে ঘটনার এক সপ্তাহ পর আমার বিকাশে ৫ হাজার টাকা ক্যাশ ইন হয়৷ আমি কিছুটা অবাক হয়ে বিকাশের নম্বরটায় কল দিতেই মিহান বলে উঠল

“আপনার ক্ষতিপূরণ দেওয়া শেষ। আমিই কল দিতাম। তবে এর মধ্যে আপনি কল দিয়ে ফেললেন৷”

আমি কিছুটা সারপ্রাইজ হয়েছিলাম তার আচরণে। আমি বিস্ময় নিয়ে বললাম

“কিন্তু আপনি তো ক্ষতিপূরণ না দিলেও পারতেন। আমি তো আপনাকে জ্বালাচ্ছিলাম না। এমনকি আমি বিষয়টা ভুলেও গিয়েছিলাম।”

মিহান কিছুটা গম্ভীর গলায় বলল

“লেনদেনের ব্যাপারে ক্লিয়ার কাট আমি। আর কথা দিলে কথা রাখি আমি।”

আর সেখান থেকেই আস্তে আস্তে আমাদের কথা শুরু। কথা থেকে প্রেম। আমি যখন মিহানের সাথে সম্পর্কে গিয়েছিলাম তখন মিহানের বিসিএস হয়নি। প্রিলি কখন দিয়েছিল সেটার খেয়াল নেই। প্রিলির বিষয়টা আমাকে শেয়ারও করেনি। তবে রিটেন দিয়েছিল রিলেশনের কয়েকমাস পরে। রিটেন হবে কি’না টেনশনে ছিল। তবে রেজাল্ট হওয়ার পর সে জানায় রিটেনে সে টিকে গেছে। কিছুদিন পর ভাইভা। তার ভাইভার দিন আমি তার প্রতিটা ড্রেস পছন্দমতো কিনে দিয়েছিলাম। ভাইভা দিয়ে এসে বেশ চিন্তিত ছিল। আমি ওকে সাহস দিয়েছিলাম। আর একটা সময় তার বিসিএস হয়েও যায়। জয়েনও করে চাকুরিতে। চাকুরিতে জয়েনের একমাস পর থেকেই তার অবহেলা বেড়েছিল আমার প্রতি। সে অবহেলা একমাস স্থায়ী হয়ে আজকে প্রণয়ের দ্বারপ্রান্তে আমরা।

ড্রেসিন টেবিলের সামনে চুল আচঁরাতে আঁচরাতেই সেদিন পুরনো স্মৃতিতে ডুব দিয়েছিলাম। এর মধ্যেই মিহানের কল। আমি কলটা ধরতেই সে বলে উঠল

“মায়া কী হলো? এত দেরি হচ্ছে কেন?”

আমি দ্রূত চিরুনিটা রেখে বের হতে হতে বললাম

“বের হচ্ছি।”

এর মধ্যেই ফুফু বের হতে দিচ্ছিল না৷ বারবার বলছিল বিয়ের আগে রাত বিরাতে বের হওয়া অমঙ্গল। তবে মিহানকে বিষয়টা জানানোর পর। মিহানর ফুফুর থেকে অনুমতি নেয়। এবং কথা দেয় রাত ১০ টার মধ্যে আমাকে বাসায় পৌঁছে দিবে। মিহানের জোরাজুরিতে ফুফু রাজি হয়।

আমি বের হলাম। বাইকে করে মিহানের সাথে সে পুরনো জায়গায় যেতে লাগলাম। বাইকের গতি বাড়ার সাথে সাথে মিহানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। মনে হচ্ছিল এ বন্ধন কখনও ছুটবে না। ৩০০ ফিটে বসে একসাথে হাসের মাংস খেলাম, চাপটি খেলাম। এরপর মিহান আমার হাতটা ধরে বলল

“মায়া তোমাকে আমি এ কয়েকদিন অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি। আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আজকের পর তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাব না। তোমাকে একদম কষ্ট দিব না। তোমার মনের মতো স্বামী হব আমি। তুমি আমাকে এভাবেই ভালোবেসো আজীবন।”

আমিও সেদিন মিহানের হাত দুটো চেপে ধরে বলেছিলাম

“তোমাকে আজীবন আমি ভালোবাসব।”

আমার ওয়াদা আমি রেখেছিলাম ঠিকই। তবে তার ওয়াদাটা ভেঙ্গে গিয়েছিল পরদিন সকালেই। আমি রাত ১০ টার মধ্যে বাসায় এসে সারারাত তার সাথে কত কথা বললাম। সংসারের কত পরিকল্পনা করলাম। বিয়েতে কূ পরব কীভাবে সাজব সব পরিকল্পনা করলাম। এরপর ফজরের পর লম্বা একটা ঘুম দিলাম। সে ঘুম ভাঙল আমার বান্ধবী রুমার ডাকে। রুমা এসে আমাকে উঠিয়ে আমার পাশে বসলো। আমার হাতে মিহানের দেওয়া আংকটিটা দেখে বলল

“তুই তো বললি গতকাল তোর আর মিহানের এনগেজমেন্ট হয়ছে। আমরা তো ছবিও দেখেছি। এখনও যদি তোর হাতে আংকটি থাকে তাহলে মিহান ভাই মিশরা নামের এক মেয়েকে কীভাবে বিয়ে করল? একটু আগে ম্যারিড স্ট্যাটাস দিল।”

আমি প্রথমে ভেবেছিলাম রুমা হয়তো মশকরা করছে। তবে একটা সময় বুঝলাম এটা সিরিয়াস হয়েই সে বলছে। তাই আমি সরাসরি ফেসবুকে ঢুকে মিহানের আইডি সার্চ দিতে গিয়ে খেয়াল করলাম আমাকে ব্লক করে দিয়েছে। এরপর আমি ফোনে কল দিয়েও লক্ষ্য করলাম আমি ব্লক লিস্টে। এরপর রুমার ফোন দিয়ে দেখলাম সত্যিই মিহান বিয়ে করেছে। এরপর ফুফু আর বাবা এসে একই কথা জানাল। তারা এ ঘটনার পর মিহানের বাবাকে কল দিলে তারা বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমি মিহানের বোনকে কল দিলে সে আমাকে গালি দিয়ে বলে

“টাকার জন্য আমার ভাইয়ের গলায় ঝুলে যেতে চেয়েছিলি তাই না? আর কখনও যেন আমার ভাইয়ের আশেপাশে না দেখি। আমার ভাই তার যোগ্যমতো পাত্রী বিয়ে করেছে তার ইচ্ছা মতো।”

আমি শুধু গালিগুলো হজম করে গিয়েছিলাম। এরপর মিহানের সাথে রুমা যোগাযোগ করলে সে জানায় আমাকে শুধু একটা ভালো মেমোরি দেওয়ার জন্য আমার সাথে এমনটা করেছে। কারণ আমাকে কাঁদিয়ে সে বিয়ে করলে তার গিল্ট কাজ করত। তাই সে আমাকে একটা সুন্দর মোমেন্ট সুখের মুহুর্তে দিয়ে বিয়ে করেছে। এতে নাকি তার গিল্ট কাজ করবে না।

সেদিনের পর থেকে মিহানের সাথে আমি আর যোগাযোগ করিনি৷ সে ও চাকুরির সুবাদে ঢাকার বাইরে পোস্টিং নিয়ে চলে যায়। তার কোনো খোঁজ খবরেই এতদিন আমি পাইনি। আর খোঁজ নেওয়ার চেষ্টাও করিনি। তবে তাকে ভুলতে না পারার অসুখের জন্য আজও এ বয়সে আমি অবিবাহিত। সে ঘটনার কিছুদিন পরে বাবাও গত হয়ে গেছেন৷ এরপর একটা স্কুলে জব নিয়ে একাই জীবন পার করছিলাম।

আজকে সেই স্কুল থেকে বের হতেই মিহানের মুখোমুখি। আমি কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম৷ বুকটা ভীষণ কাঁপছে। মন চাচ্ছে চিৎকার দিয়ে কেঁদে বলি

“কেন এমনটা করেছিলে আমার সাথে? কী অন্যায় করেছিলাম? স্বপ্ন দেখিয়ে কেন গুড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিলে?”

কিন্তু মুখ দিয়ে কথায় বের হলো না। চাপা কষ্টটা চড়াও দিতেই আমি রাস্তায় বেঁহুশ হয়ে পড়ে গেলাম।

এরপর…

চলবে।