#মিষ্টির_তনুদা
#লেখা_Bobita_Ray
পর্ব- ২০
মিষ্টি কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। একদিকে মনে হচ্ছে, তনুর হাত ধরে চলে যেতে। অন্যদিকে মনে হচ্ছে, যদি মানুষটা দ্বিতীয়বারও মিষ্টি সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে! বাবা যে রাগী মানুষ। বাবার কথা অমান্য করলে, তনু যদি কখনো চিট করে, দ্বিতীয়বার বাড়িতে আর জায়গা হবে না। আবার বাড়ি থেকে না গেলেও বাবা জোর করেই মিষ্টিকে ডিভোর্স পেপারে সাইন করতে বাধ্য করবে। মিষ্টি কিছুতেই তনুকে ডিভোর্স দেবে না। মরে গেলেও না। মানুষটাকে পাগলের মতো ভালোবাসে মিষ্টি। কোনো ভাবে যদি ওদের বিচ্ছেদ হয়। মরেই যাবে মেয়েটা। মিষ্টির এত কান্না পাচ্ছে। মিষ্টি ভেবে ভেবে পাগল হয়ে যাচ্ছে। এত কম সময়ে কী করবে ভেবেই পাচ্ছে না মিষ্টি। এদিকে তনু থেমে নেই। একেক পর এক মেসেজ দিয়েই যাচ্ছে। বার বার মিষ্টিকে রিকুয়েষ্ট করছে। তনুর কাছে চলে যাওয়ার জন্য। মিষ্টি হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে চোখের জলটুকু মুছে নিল। মিষ্টি তো কিছুতেই পালিয়ে যাবে না। আর না তনুকে ডিভোর্স দেবে। ঘরের দরজা খুলে সরাসরি বাবার ঘরে চলে গেল। অমলচন্দ্র আধশোয়া হয়ে টেলিভিশনে একমনে খবর শুনছিল। মেয়েকে দেখে বলল,
“কী রে মা, কিছু বলবি?”
মিষ্টি গুটিগুটি পায়ে বাবার পাশে গিয়ে বসল। বলল,
“হ্যাঁ বাবা।”
অমলচন্দ্র টেলিভিশনের সাউন্ড কমিয়ে দিল। মিষ্টি বুকভরে দম নিল। ধীর কণ্ঠে বলল,
“সেই ছোটবেলা থেকে আমি তোমার কোনো কথার অবাধ্য হইনি বাবা৷ তুমি যা বলতে, আমি সবসময় মেনে নিয়েছি। বিয়ের ব্যাপারেও আমি অমত করিনি। তোমার কথামতো বিয়ে করে নিয়েছি।”
অমলচদ্র মিষ্টির মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে দিল। বলল,
“তুই তো আমার লক্ষ্মী মেয়ে।”
মিষ্টি কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবারও বলল,
“ওনার চরিত্রে সমস্যা ছিল অতীতে। কিন্তু এখন আমার জানা মতে, ওনি আর কোনো খারাপ কাজে লিপ্ত নেই। ওনাকে নিয়ে আমার আর কোনো অভিযোগ নেই বাবা। আমি ওনার সাথেই সংসার করতে চাই।”
“মিষ্টি ঘরে যা..”
“আমার কথা এখনো শেষ হয়নি বাবা।”
“বেশ বুঝতে পারছি তোর ব্রেনওয়াশ করা হয়েছে।”
“কেউ আমার ব্রেনওয়াশ করেনি বাবা।”
“ঘরে যা মিষ্টি…
“আমি ওনাকে ডিভোর্স দেব না বাবা।”
“তুই এখনো তোর ভালো বুঝতে পারছিস না মিষ্টি।”
“তুমিও আমি কী চাই কখনো বোঝার চেষ্টা করোনি বাবা। সবসময় তোমার সিদ্ধান্ত জোর করে আমাদের উপরে চাপিয়ে দিয়েছ। একটা জিনিস দেখবে বাবা?”
“কী?”
“এসো, আমার ঘরে আসো?”
ভদ্রলোক বিনাবাক্যব্যয়ে মেয়ের পিছু পিছু গেলেন। মিষ্টি ব্যালকনিতে গিয়ে নিচে ইশারা করে বাবাকে দেখাল। ভদ্রলোক অসময়ে বাসার সামনের পিচঢালা রাস্তায় তনুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে উঠল। মিষ্টির ঠোঁটের কোণে কিঞ্চিৎ হাসি ফুটে উঠল। বলল,
‘’মানুষটা আমায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কেমন মরিয়া হয়ে আছে দেখেছ বাবা? তুমিই বলো তো! ওনি যদি এখনো খারাপ থাকত। তাহলে এমন পাগলামি করত? করত না বাবা। আমার কাছে পাত্তা না পেলে অন্যকোথাও ট্রাই করত। কিন্তু ওনি তা করেননি। আমার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। তোমারই তো বন্ধুর ছেলে বাবা৷ ওনাকে কী আর একবার সুযোগ দেওয়া যায় না?”
“না যায় না।”
“আমিও একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই বাবা৷ আমি মরে গেলেও ওনাকে ডিভোর্স দেব না। আবার তোমার অবাধ্য হয়ে চলেও যাব না। যদি সংসার করতে হয় ওনার সাথেই সংসার করব।”
ভদ্রলোক ঠাস করে মিষ্টির গালে থাপ্পড় মেরে দিল। চাপা কণ্ঠে গর্জে উঠে বলল,
“মুখে খুব বুলি ফুটেছে তোর? লজ্জা করছে না বাপের সামনে দাঁড়িয়ে বেহায়ার মতো এত বড় বড় কথা বলতে? তুই সই করবি না তোর ঘাড় করবে। তোর জেঠী কী বলে গেছে। তোর মনে নেই? সে নাকি আমাকে জেলে দেবে। তার ছেলের সংসার কোন জ্ঞানে করতে চাস তুই?”
মিষ্টি বাবার হাতে থাপ্পড় খেয়েও কাঁদল না। চোখ-মুখ শক্ত করে বলল,
“তোমাদের ব্যাপারে একদম আমাকে টানবে না বাবা।”
ভদ্রলোক চলে গেল। অন্নপূর্ণা এসে মিষ্টির পাশে দাঁড়াল। মিষ্টির কাঁধে একহাত রাখতেই মিষ্টি মায়ের বুকে মুখ গুজে ঝরঝর করে কেঁদে দিল। অন্নপূর্ণা মিষ্টির মাথায় স্নেহের হাত রাখল। বলল,
“তোর যদি তনুর সাথে সংসার করার ইচ্ছে থাকে। তুই ভোরেই তনুর কাছে চলে যাবি মিষ্টি। এখানে থাকলে তোর বাবা তোকে মেরে ধরেই সই করিয়ে নেবে। এমনকি দিব্যি কাটতেও দুবার ভাববে না।”
মিষ্টি বোধহয় এবার একটু আশার আলো দেখতে পেল। মা যেহেতু সাপোর্ট দিয়েছে। মিষ্টি অবশ্যই তনুর কাছে চলে যাবে। এত মানসিক যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছে না মিষ্টি। ওরও একটু বিশ্রাম প্রয়োজন।
মায়ের কথামতো মিষ্টি খুব ভোরেই বাড়ি ছেড়ে সরাসরি তনুদের বাড়িতে গিয়ে উঠল। তৃণা রানী ঘুমঘুম চোখে দরজা খুলে মিষ্টিকে দেখে চমকে উঠল। ব্যাপক খুশি হয়ে মিষ্টির কাঁধ জড়িয়ে ধরল৷ উচ্ছ্বাস নিয়ে বলল,
“তুই এসেছিস মিষ্টি? আমি জানতাম তুই আসবি। যা..মা তনু ঘরেই আছে।”
তনু সারারাত রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। ভোরের আলো ফুটতেই বাড়িতে এসে বিছানায় শুয়েই ঘুমিয়ে গেছে। মিষ্টি গুটিগুটি পায়ে তনুর ঘরে চলে গেল। দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিয়ে তনুর বুকে মুখ গুঁজে শুলো। তনু ঘুমের ঘোরে মিষ্টিকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরল। বিড়বিড় করে বলল,
“আমি জানতাম তুই আসবি মিষ্টি। তোকে আমার কাছে আসতেই হবে। আমার ভালোবাসা মিথ্যে হতে পারে না।”
কথাটা বলতে বলতেই তনু চোখ মেলে তাকাল। আকস্মিক মিষ্টিকে দেখে ভূত দেখার চমকে উঠল তনু। চোখ ডলে আবারও মিষ্টির দিকে ভালো করে তাকাল। না তনু ভুল দেখছে না। আর না এতক্ষণ স্বপ্ন দেখেছে। মিষ্টি এসেছে। সত্যি সত্যিই মিষ্টি এসেছে। তনু মিষ্টির ঠোঁটের ভাঁজে গভীর চুমু এঁকে দিল। মিষ্টি আবারও লজ্জায় মুখ গুঁজলো তনুর উন্মুক্ত বুকে। তনু দুহাত দিয়ে মিষ্টির মুখটা আঁজলায় তুলে ধরল। নাকে নাক ঘষে উচ্ছ্বাস নিয়ে বলল,
“তুই সত্যি সত্যিই এসেছিস মিষ্টি?”
“হুঁ।”
“তোর বাবা কিছু বলেনি?”
“বাবাকে বলে আসিনি।”
“আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।”
“আমি সত্যিই চলে এসেছি তনুদা …
তনু মিষ্টির ঠোঁটে হাত রাখল। ফিসফিস করে বলল,
“প্লিজ দাদা বলিস না।”
মিষ্টি হেসে দিল। তনু মিষ্টিকে আরও কাছে টেনে নিল। মিষ্টির চুলের ভাঁজে মুখ ডুবিয়ে আবেশে বুঁজে আসা কণ্ঠে ফিসফিস করে বলল,
“আমাকে ছেড়ে থাকতে তোর কষ্ট হয়নি মিষ্টি?”
মিষ্টি আর কিছু বলার সুযোগ পেল না। তনুর অতিরিক্ত আদর-ভালোবাসায় ক্রমশ নিঃশ্বাস ভারি হয়ে উঠল।
অনেক বেলা হয়ে গেছে। দুজনই ঘুমিয়ে কাঁদা। তৃণা রানীর ডাকে দুজনের ঘুম ভাঙল। মিষ্টি ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল। তনু দরজা খুলে দিতেই তৃণা রানী ঘরে এসে চাপা কণ্ঠে বলল,
“মিষ্টির বাবা এসেছে। মিষ্টি তুই কিন্তু শক্ত থাকবি। তুই যদি না যেতে চাস। তোকে কেউ জোর করে নিয়ে যেতে পারবে না। সবসময় মনে রাখবি। তুই এখন তনুর বউ।”
অমলচন্দ্রের সামনে তনু-মিষ্টি দুজনই এসে মাথা নিচু করে দাঁড়াল। অমলচন্দ্র একা আসেনি। তনুর দুই কাকাকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। যদিও তনুর দুই কাকাকে তৃণা রানীই এখানে আসার জন্য খবর দিয়েছে। আজ এখানে বেশ গণ্ডগোল হবে। বোঝা যাচ্ছে। মেয়েকে দেখে অমলচন্দ্র বলল,
“মিষ্টি বাড়ি চল?”
তৃণা রানী বলল,
“মিষ্টি তুই কী তোদের বাড়িতে যেতে চাস?”
মিষ্টি দৃঢ় কণ্ঠে বলল,
“না।”
তৃণা রানী তনুর দুই কাকাকে বলল,
“দেখেছ তোমরা? মিষ্টি তনুর সাথে সংসার করতে চায়। অথচ মিষ্টির বাবা শুধু শুধু ওদের সংসার শুরু হওয়ার আগেই ভেঙে দিতে চাচ্ছে।”
“আপনি এখনো শুধু শুধু বলছেন বউদি?”
“তো আর কী বলব? সেই কবে দিনে আমার তনু একটা ভুল করেছে। আপনি অতীত টেনে এনে ওদের বর্তমান নষ্ট করতে চাচ্ছেন।”
নিজেদের মাঝে ঝগড়াঝাটি, অশান্তি বিবাদ লোকে শুনলে হাসবে। তনুর বাবা ও কাকারা নানান যুক্তি দিয়ে অমলচন্দ্রকে অনেকক্ষণ বোঝাল৷ তৃণা রানীও ছেলের হয়ে হাতজোড় করে মিষ্টির বাবার কাছে ক্ষমা চাইল। তনুও মায়ের দেখাদেখি মিষ্টির বাবার কাছে ক্ষমা চাইল। হাজার হলেও বন্ধুর ছেলে। মনে রাগ-অভিমান যাই থাকুক। অমলচন্দ্র আর তনুর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারল না। গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
“আমি এককথার মানুষ। এইবারই কিন্তু শেষ। আর কখনো যদি তনুর সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনি। তাহলে আমিও ভুলে যাব তনু আমার বন্ধুর ছেলে কিংবা মেয়ে জামাই।”
এখানে উপস্থিত সবার মুখে হাসি ফুটে উঠল। অমলচন্দ্র যে এত তাড়াতাড়ি মেনে নেবে তৃণা রানী ভাবতেও পারেনি। তৃণা রানী একছুটে রান্নাঘরে গিয়ে মিষ্টি নিয়ে এলো। সবাই মিষ্টিমুখ করে তনু-মিষ্টির রিসিপশনের দিন ঠিক করে চলে গেল। অমলচন্দ্র বাড়ি যাওয়ার সময় মেয়েকে বলল,
“বিকালে বাড়ি চলে আসিস মিষ্টি।”
তৃণা রানী হাসিমুখে বলল,
“আমি নিজে গিয়ে মিষ্টিকে দিয়ে আসব দাদা।”
বড়রা চলে যেতেই তনুর সবগুলো কাজিন হৈ হৈ করতে করতে তনুদের বাসায় চলে এলো। রিসিপশনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে তনুর কাছে ট্রিট চাইল। তনু বলল,
“আজ রাতে আমাদের বাসার ছাদে সবাই মিলে আড্ডা দেব। আয়োজনে থাকবে, মাংস-খিচুরি, রাতে ছাদে বসে গান, আড্ডা হবে। চলবে?”
“চলবে মানে দৌড়াবে।”
“ওকে তাহলে সবাই সন্ধ্যার পর চলে আসবি।”
সবাই যে যার মতো চলে গেল। মিষ্টিও বাসায় চলে যেতে নিল। তনু পেছন থেকে খপ করে মিষ্টির একহাত ধরে ফেলল। বলল,
“তুই কোথায় যাচ্ছিস?”
মিষ্টি লাজুক কণ্ঠে বলল,
“বাড়ি যাচ্ছি।”
“তুই এখানেই থাক। পরে যাবি।”
“না..মানে..”
তনু চোখ রাঙিয়ে মিষ্টির দিকে তাকাল। মিষ্টি আর কিছু বলার সাহস পেল না।
দেখতে দেখতে ওদের রিসিপশনের দিন চলে এলো। বেশ বড় করেই অনুষ্ঠান করা হবে। অনেক মানুষকে নেমন্ত্রন্ন করা হয়েছে। তনু স্যুট-বুট পরে রেডি হয়ে নিল। মিষ্টিকে সাজতে পার্লারে পাঠানো হয়েছে। মিষ্টি সেজেগুজে আসতেই তনুর সবগুলো কাজিন মিষ্টিকে ঘিরে ধরল। তারপর তনু-মিষ্টিকে স্টেজে বসিয়ে দিয়ে অনেকক্ষণ বিভিন্ন স্টাইলে ফটোশুট করা হলো।
তনুর মাথা চিনচিনে ব্যথা করছে। ধীরে ধীরে মাথা ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে। এত কোলাহল আর ভালো লাগছে না। শুধু আজ না কিছুদিন ধরেই অসহ্য রকমের মাথা ব্যথা হয়। অবশ্য ঔষধ খেলে মাথা ব্যথা কমে যায়।
হঠাৎ করে মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে। এখন তনু ঔষধ পাবে কোথায়! এদিকে কাউকে বলতেও ইচ্ছে করছে না। যদি সবাই চিন্তা করে সেই ভেবে। তনুর কাজিনরা ইতিমধ্যে তনু-মিষ্টিকে পাশাপাশি বসিয়ে দিয়েছে। সবাই গোল হয়ে চারপাশে বসে হৈ হুল্লোড় করছে। হাসাহাসি করছে, মজা করছে। তনু ঘোলা চোখে মিষ্টির দিকে তাকাল। মিষ্টি খয়েরী রঙের ভারি লেহেঙ্গা পরেছে। দেখতে অপূর্ব লাগছে। এতবেশি সুন্দর লাগছে। তনু চোখ ফেরাতে পারছে না। এমনিতেই মিষ্টির চোখ ধাঁধানো রূপ। সাজলে মেয়েদের আসল সৌন্দর্য ফুটে উঠে। তনু মুগ্ধ চোখে মিষ্টিকে দেখতে দেখতে আস্তে করে মিষ্টির কোলে টলে পড়ল। মাথায় অসহ্য ব্যথা করছে। মনে হচ্ছে, যে কোনো মুহূর্তে ফেটে যাবে।
সবাই শব্দ করে হাততালি দিয়ে উঠল। সিটি বাজাল। ওরা ভেবেছে, তনু ইচ্ছে করে দুষ্টুমি করে মিষ্টির কোলে শুয়েছে। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও যখন তনু উঠল না। কেউ টেনেও তনুকে মিষ্টির কোল থেকে উঠাতে পারল না। যতবার তনুকে উঠাতে যায়। ততবারই মিষ্টির কোলে হেলে পরে যায় তনু। চোখদুটোও বন্ধ। সবাই বেশ ঘাবড়ে গেল। মিষ্টি ভয় পেয়ে এক চিৎকার দিয়ে উঠল। তনুর গা ঝাকিয়ে বলল,
“এ্যাঁই…কী হয়েছে আপনার? কথা বলছেন না কেন? উঠুন.. উঠুন বলছি? আমি কিন্তু খুব ভয় পাচ্ছি? কথাগুলো ভীতু কণ্ঠে বলতে বলতে ঝরঝর করে কেঁদে দিল মিষ্টি।
(চলবে)