মেঘলা আকাশে রংধনু হবো পর্ব-০১

0
12

#মেঘলা_আকাশে_রংধনু_হবো
#লেখনীতে_তাইয়েবার_বিনতে_কেয়া
#সূর্চনা_পর্ব

এইচএসসি পরীক্ষায় গার্ড দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেট হৃদান চৌধুরী কলেজের সকলের সামনে আমাকে প্রপোজ করেছে। স্যার মেডাম সবাই তাকিয়ে রয়েছে আর ছাএরা সহ সবাই

ম্যাজিস্ট্রেট হৃদান হাঁটু গেড়ে এখনো বসে আছে সে হিয়ার উত্তর শুনতে চাই। হৃদান বলে –

“- মিস হিয়া উইল ইউ ম্যারি মি “।

হিয়া এখনো অবাক ম্যাজিস্ট্রেট নিজে তাকে প্রপোজ করতে পারে সেটা কখনো কল্পনা করতে পারে নাই সে। কিন্তু বেশি সময় চুপ করে থাকতে পারে না সে কারণ কলেজের সবাই তাকিয়ে রয়েছে এই দিকে। হিয়া একটু শান্ত হয়ে বলে –

“- ম্যাজিস্ট্রেট স্যার আপনি কি করছেন এইসব আর আমি আপনাকে বিয়ে করতে যাবো কোনো। সরি বাট আমি আপনাকে বিয়ে করব না “।

হিয় কথাটা বলে এক মূহুর্ত অপেক্ষা করে নাই কিন্তু হৃদান এখনো সেখানে বসে আছে। হিয়া তাড়াতাড়ি হেঁটে গিয়ে গেইটের কাছে যায় তারপর কি মনে করে যেনো পিছনে ফিরে তাকায় দেখে হৃদান এখনো বসে রয়েছে। হিয়া মনে মনে বলে –

“- কি অদ্ভুত লোক এখনো হাঁটু গেড়ে বসে আছে আর কলেজের সবাই ওনার দিকে তাকিয়ে আছে সেই খেয়াল আছে। আর হঠাৎ করে আমাকে প্রপোজ করলো কোনো “।

হিয়ার সবচেয়ে কাছের বন্ধু হলো মীম প্রতিদিন তার সাথে কলেজে আসে আর পরীক্ষার সময় তাদের একসাথে সিট পড়েছে। হিয়া আবার তাড়াতাড়ি করে হেঁটে গেইটের বাহিরে বের হয়ে যায় আর পাশে থাকা মীমকে বলে –

“- মীম চল তাড়াতাড়ি এখান থেকে চলে যায় সবাই যেভাবে তাকিয়ে রয়েছে। আজকে গাড়ি করে যাবে “।

হিয়ার কথা মতো মীম একটা গাড়ি নেয় আর বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয় আর অন্যদিকে হৃদান উঠে দাঁড়িয়ে যায় আর তার কলিগ জাহিদকে বলে গাড়ি বের করতে। জাহিদ গাড়ি বের করে আর হৃদান কে বলে –

“- হৃদান গাড়ি বের করা হয়েছে তুমি উঠে যাও। কিন্তু কোথায় যাবে এখন “।

হৃদান একটা শান্তির নিঃশ্বাস নিয়ে বলে –

“- বাসায় যাবো যাও “।

জাহিদ গাড়ি চালাতে থাকে যদিও জাহিদ হৃদানের কলিগ কিন্তু সে তার বন্ধু ও। ছোটবেলা থেকে একসাথে বড়ো হয়েছে তাই হৃদানকে ভালো করে চিনে সে কিন্তু হৃদান কোনো মেয়েকে এভাবে প্রপোজ করবে আর সেই মেয়ে না করলে এতো শান্ত হয়ে বসে থাকবে এমন মানুষ হৃদান না । জাহিদ বলে –

“- হৃদান তুমি ওই মেয়ের মধ্যে কি এমন দেখলে যাতে ওকে পুরো কলেজের সামনে প্রেপোজ করলে। প্রথম দেখায় কি ভালোবেসে ফেললে “।

হৃদান আজকে অনেক খুশি কারণ জীবন থেকে একটা হতাশা দূর হয়েছে আজকে একটা পাপ মুছে ফেলার উপায় পেয়েছে। হৃদান একটা হাসি দিয়ে বলে –

“- জাহিদ আমি হিয়াকে প্রপোজ করেছি বিয়ের জন্য কিন্তু ভালোবাসি কথাটা বলি নাই। ওকে আমি বিয়ে করতে চাই কিন্তু ভালোবাসতে চাই না “।

জাহিদ অবাক হয়ে যায় মানে কি কথাটার একটা মানুষকে যদি ভালো না লাগে তাহলে পুরো কলেজের সামনে তাকে প্রপোজ করার মানে কি। জাহিদ বলে –

“- তুমি যদি হিয়াকে ভালো না বাসো তাহলে ওকে বিয়ে করতে চাও কোনো “।

“- কারণ হিয়ার দায়িত্ব নিতে চাই আমি নিজের করা পাপ থেকে মুক্তি পেতে চাই আমি। নিজের বিবেকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই “।

” মানে তুমি কোনো একটা অপরিচিত মেয়ের দায়িত্ব নিতে যাবে আর কি পাপ করেছো তুমি। যার জন্য অপরিচিত একটা মেয়েকে বিয়ে করতে হবে তোমার “।

হৃদান কোনো উত্তর দেয় না কারণ সে এই কথার জবাব দিতে চাই না তবে হৃদান আজকে অনেক খুশি। কিন্তু শরীরের এখন একটু রেস্ট দরকার তাই গাড়ির সিটে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে রাখে।

হিয়া আর মীম গাড়ি দিয়ে যাচ্ছে। মীম দেখে হিয়া অনেক টেনশনে রয়েছে মীম মজা করে জিজ্ঞেস করে –

“- কি করে হিয়া এখনো কি ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে সপ্ন দেখে যাবি তবে যায় হোক ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে কিন্তু হেব্বি ছিলো। কি চেহারা কি লম্বা পুরো দারুণ লুক”।

হিয়া আছে নিজের টেনশনে আর মীম ম্যাজিস্ট্রেটের লুকের বর্ণনা করে যাচ্ছে । হিয়া রাগী চোখে দেখে বলে-

“- তোর যদি এতো পছন্দ হয় ম্যাজিস্ট্রেটকে তাহলে নিজে বিয়ে কর আমার সাথে বকবক করবি না। আমি শুধু টেনশনে আছি মামি যদি এইসব জানে তাহলে কেমন হবে কি করবে আমাকে “।

মীম হাসি বন্ধ করে হিয়ার কথাটা বুঝতে পারে সত্যি ওর মামি জানলে ওকে মেরে ফেলবে। তবে মীম বলে –

“- আরে টেনশন করবি না এই জেলাটা আমাদের গ্রাম থেকে অনেক দূরে সো মামি জানবে না। তবে একটা কথা বুঝতে পারলাম না এই ম্যাজিস্ট্রেট তোকে আগে কখনো দেখে নাই পরীক্ষার হলে যখন তোর এডমিশন পেপার উড়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চলে গিয়েছিলো। তখন ম্যাজিস্ট্রেট সেটা দেখে আর তারপর তোকে প্রপোজ করে এমন কি ছিলো সেই পেপারে “।

“- হুম সেটাই বুঝতে পারলাম না আমি সত্যি এমন কি ছিলো সেই পেপারে। পরীক্ষার আগে তো ম্যাজিস্ট্রেট আমার দিকে তাকায় নাই বাট সেই পেপার দেখে তাকিয়ে ছিলো পুরো সময় আর পরীক্ষা শেষ হতেই আমাকে প্রপোজ করলো “।

হৃদান গাড়ি করে বাড়ি ফিরে যায় নিজের রুমে গিয়ে ফোন করে তার একজন লোককে । হৃদান বলে –

“- আমি তোমাকে একটা মেয়ের পিক পাঠিয়ে দিছি তুমি চেক করে বলো এই কি সেই মেয়ে যাকে আমি খুঁজছি। ওর জন্ম পরিচয় ভালো করে খুঁজে বের করো আর গ্রামে লোক পাঠিয়ে দেও মনে রাখবে মেয়েটাকে আমার চাই “।

হিয়া বাড়ি ফিরে যায় আজকে মামির মন খুব খুশি কিন্তু তার কারণ সে বুঝতে পারে না আজকে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। সে কোনো কথা না বলে বাড়ির কিছু কাজ করে ঘুমিয়ে পড়ে।

( তিনদিন কেটে যায় হিয়া ভালো করে চলছে হৃদান এরপর ওকে আর বিরক্ত করে নাই। কারণ হৃদানের একটা জিনিসের সিউর হওয়া দরকার)।

হৃদানের ফোনে একটা কল আসে হৃদান রিসিভ করে –

“- তোমাকে খবর নিতে বলেছি তিনদিন আগে আর আজকে তুমি আমাকে ফোন করছো। বলো আমি যাহ সন্দেহ করেছি সেটা কি ঠিক ওই মেয়েয় কি সেই মেয়ে “।

“- জী স্যার এই মেয়ে হিয়া কিন্তু স্যার একটা সমস্যা হয়েছে স্যার আজকে মেয়েটার বিয়ে”।

বাড়িতে একদিন অনেক মানুষ আসে কিন্তু এইসব মানুষ কি হয় তার মামির সেটা হিয়া জানে না। সবাইকে হিয়া চা দেয় সেখানে একটা বয়স্ক লোক আছে সে হিয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। হিয়া কোনো কথা না বলে ঘরে চলে যায়। কিন্তু আসল কারণ তাড়াতাড়ি সে বুঝতে পারে।

হিয়া গ্রামের খুব সহজ সরল মেয়ে ছোটবেলা মা মারা যায় বাবার পরিচয় কি সেটা সে জানে না। মা মারা যাওয়ার পর মামা মামি তাকে বড়ে করে তুলেছে কিন্তু মামার চোখে সে তার মেয়ে হলেও মামির জন্য সে শুধু বোঝা। তাই তাকে একটা বৃদ্ধ লোকের সাথে বিয়ে ঠিক করেছে।

হিয়া যখন জানতে পারে মামি তাকে একটা বয়স্ক লোকের সাথে বিয়ে ঠিক করেছে তখন হিয়া সেটা মেনে নিতে চাই নাই। হিয়া বলে –

“- মামি তুমি কি করে একটা বয়স্ক লোকের সাথে আমার বিয়ে দিতে রাজি হলে। সেই লোকের হাঁটুর বয়সি হবো আমি “।
মামি রাগী দৃষ্টিতে হিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে তারপর বলে –

“- বৃদ্ধ লোককে বিয়ে করতে কি সমস্যা তোর আর সেই লোকের অনেক টাকা রয়েছে। বিয়ে হলে সব টাকা মালিক হবি তুই রানী হয়ে থাকবি “।

হিয়া অবাক হয়ে যায় মামির কথা শুনে শুধু টাকার জন্য একটা বৃদ্ধ লোকের সাথে বিয়ে দিতে চাই। কিন্তু হিয়ার কখনো টাকার উপর লোভ ছিলো না হিয়া বলে –

“- মামি টাকার জন্য বিয়ে করতে চাই না আমি আর রানী হওয়ার কোনো ইচ্ছা নাই আমার। আমি এখন পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই “।

মামি হেঁসে হিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে –

“- তোর টাকার দরকার নাই থাকতে পারে কিন্তু আমার আছে ছোটবেলা থেকে তোকে বড়ো করে তুলেছি। তোর পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে আমার এখন তোকে সেই বৃদ্ধ আর টাকা ওয়ালা লোকের সাথে বিয়ে দিয়ে সব শোধ করব “।

মামির কথা শুনে হিয়া ঘৃণা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখে আর বলে –

“- ওহ ছোটবেলা থেকে অনেক টাকা খরচ করেছো আমার পিছনে বুঝি। শুধু দুইবার খাবার ছাড়া আর কি দিয়েছো শুনি আর তার বদলে সারাদিন ঘরের সব কাজ করতে হয়েছে এই তোমার খরচ। আর আমি এখন বিয়ে করব না “।

মামি এবার রেগে হিয়ার হাত ধরে টেনে টেনে ঘরের কাছে নিয়ে যায় আর বলে –

“- তোর থেকে অনুমতি নিয়ে বিয়ে ঠিক করি নাই যে তোর কথায় ভেঙে দিবো। এই বাড়িতে শুধু আমার কথা চলবে আর তোকে আজকে বিয়ে দিবো সেই বৃদ্ধ লোকের সাথে “।

মামি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় হিয়া চিৎকার করতে থাকে কিন্তু ওর আওয়াজ কারো কান অবদি পৌঁছাতে পারে নাই। রাতে বিয়ের জন্য লোক আসে হিয়াকে সাজিয়ে দেয় গ্রামে তেমন একটা সাজ হয় না বাট খুব খারাপ সাজায় না। হিয়া শাড়ি পড়ে আয়নার সামনে দাড়িঁয়ে রয়েছে তার মাথায় খোপাঁ করা হচ্ছে আশেপাশে অনেক মানুষ তবুও নিজেকে একা মনে হচ্ছে। যদি তার মা থাকতো তাহলে এইদিন তার জীবনে আসতো না কিন্তু সব শেষ হয়ে যাবে আজকে। হিয়ার সব সপ্ন আশা সব শেষ।

ঢাকায় আজকে অনেক জরুরি একটা মিটিং রয়েছে হৃদান চৌধুরী ম্যাজিস্টেড বলে কথা। কিন্তু সে এখন গ্রামের একটা রাস্তায় রয়েছে জাহিদকে নিয়ে। জাহিদ একটু বিরক্ত নিয়ে পাশে থাকা মানুষকে জিজ্ঞেস করে –

“- ঢাকায় কতো জরুরি একটা মিটিং রয়েছে আমাদের আর সেটা রেখে এই গ্রামে তোমার আসার কারণ বুঝতে পারলাম না হৃদান। এই গ্রামে কি জরুরি কাজ তোমার “।

হৃদান কোনো কথা না বলে গাড়ি চালাতে থাকে কারণ সে জানে জাহিদ এই কথা বলবে। কিন্তু জাহিদ চুপ থাকার মতো মানুষ না সে এক কথা বারবার জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে। তাই হৃদান শান্ত থাকতে পারে নাই সে গাড়ি চালাতে চালাতে বলে-

“- জাহিদ একটা কথা মনে রাখবে হৃদান চৌধুরী কখনো অকারণে কোনো কাজ করে না। সো চুপ করে বসে থাকো কি করব সেটা দেখতে পারবে “।

হৃদানের উত্তর শুনে জাহিদ সন্তুষ্ট হতে পারল না সে আবার জিজ্ঞেস করে –

“- কি দেখতে পারব আর আমরা কোথায় যাচ্ছি “।

হৃদায় গাড়ি থামিয়ে রাখে কারণ সে তার জায়গায় পৌঁছে গেছে গাড়ি থেকে নেমে যায়। জাহিদ ও গাড়ি থেকে নামে সে জিজ্ঞেস করে –

‘- কি হলো হৃদয় তুমি এখানে থামলে কোনো “।

” কারণ আমি আমার কাজের জায়গায় চলে এসেছি চলো ভিতরে যায় “।

জাহিদ ভালো করে তাকিয়ে দেখে একটা বিয়ে বাড়ি মনে হচ্ছে জাহিদ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে –

“- বিয়ে বাড়ি আমরা বিয়ে বাড়িতে কি করছি “।

হৃদান কোনো কথা না বলে বাড়িতে ঢুকে যায় যেহেতু বিয়ে বাড়ি অনেক মানুষ রয়েছে তারা সেখানে গিয়ে একটা চেয়ারে বসে যায়।

জাহিদ ও বসে যায় কি করতে চাই হৃদান সেটা বুঝতে পারছে না যদি বিয়ে খেতে হয় তাহলে ঢাকায় কারো বিয়ে খেতে পারে। এতো দূরে গ্রামে এসে বিয়ে খেতে হবে কেনো বুঝতে পারে না জাহিদ জিজ্ঞেস করে –

“- তোমার কি হয়েছে বলোতো হৃদান গ্রামে কি বিয়ে খেতে এসেছো। কিন্তু এই গ্রামে কেউ তোমার পরিচিত আছে সেটা জানতাম না।

“- তুমি কি জানো জাহিদ তুমি বেশি কথা বলো। আর সময় হলে সব দেখতে পারবে এখন চুপ করে বসে থাকো “।

হিয়ার চোখ জল পড়ছে ওর সাজানো শেষ হয়ে গেছে বাহিরে গাড়ির শব্দ পায় সবাই আনন্দ করে বলছে।

“- বর এসে গেছে বর এসে গেছে “।

সাধারণত বিয়েতে বর এসেছে শুনে সব বউ খুশিতে বা লজ্জায় রাঙা হয়ে যায় কিন্তু হিয়ার জন্য তার মধ্যে কোনটাই না। সে জানে তার জীবনে আজকে পর থেকে সব খুশি শেষ হয়ে যাবে।

হৃদান বর এসে যাওয়ার কথা শুনে উঠে দাঁড়িয়ে যায় আর পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে। পরে পাশে থাকা জাহিদকে উদ্দেশ্য করে বলে –

“- জাহিদ তুমি এখানে থাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তোমার পরিচয় কি। তাহলে বলবে মেহমান তুমি আর সকালে একটা জায়গার ঠিকানা পাঠিয়ে দিবো সেখানে চলে আসবে “।

“- কি হৃদান কি বলছো তুমি হৃদান “।

হৃদান কোনো কথা না বলে ঘরের দিকে চলে যায় ঘরে কোনা মানুষ নাই কারণ সবাই বর দেখতে গিয়েছে। আর হিয়া আয়নার দিকে তাকিয়ে কান্না করছে। হৃদান রুমালে একটা ওষুধ মিশিয়ে আয়নায় হিয়ার পিছনে যায়।

হিয়া কান্না মধ্যে হঠাৎ করে পিছনে কাউকে দেখে তাকিয়ে দেখে সেই ম্যাজিস্ট্রেট হিয়া ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করে –

“- আপনি এই গ্রামে কি করেন হুম যান এখান থেকে। কেউ দেখলে সমস্যা হবে “।

হৃদান রুমাল মুখের মধ্যে গুঁজে দেয় হিয়া উমম উমমম করতে থাকে পরে অজ্ঞান হয়ে যায়। হৃদান হাসি দিয়ে বলে –

“- এখন থেকে প্রতিদিন শুধু আমার মুখ দেখবে। আর অপরিচিত মানুষকে পরিচিত করে নিবে যদিও সেটা কতোটা সম্ভব হবে তা জানি না “।আর আমি যা করেছি সেটার থেকে মুক্তি পেতে হলে তোমাকে দরকার আমার “।

হৃদান অজ্ঞান করে হিয়াকে বস্তায় বড়ে পিছনে দরজা দিয়ে গাড়িতে তুলে গাড়ি ছেড়ে দেয়।

গাড়ি চলছে হৃদান একটু পর পর হিয়াকে দেখছে মেয়েটা বস্তার মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে। যদিও ওষুধ বেশ কড়া তাই রাতে ঘুম ভাঙবে না। হৃদায় একটু কাছে গিয়ে বলে –

“- সরি কিন্তু সেটা বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য না। মিস হিয়া আপনার জীবনে অনেক বড়ো সমস্যার কারণ আমি যা ভুল করেছি সেটার মাশুল আমাকে গুণতে হবে। আজকে আপনার সব দুঃখের কারণ আমি তাই আপনার সব দায়িত্ব আমি নিবো বাট ভালোবাসা দিতে পারব না। কারণ আই হেট লাভ সো একটা ভালোবাসা হীন সম্পর্ক হবে আমাদের “। একবার শুধু আপনার পড়াশোনা শেষ হয়ে যাক দেন ইউ আর ফ্রি ”

চলবে।