#মেঘলা_আকাশে_রংধনু_হবো
#লেখনীতে_তাইয়েবা_বিনতে_কেয়া
#পর্ব_২৮( অনিলের প্রথম অনুভূতি).
হিয়া নিজের ঘরে গিয়ে পড়তে থাকে তবে দুপুরের খাবার রান্না করতে হবে তাই নিচে এসে রান্না করতে থাকে। রায়হান চৌধুরী সিঁড়ির উপর থেকে হিয়াকে দেখছে মেয়েটা একদম পাক্কা রাঁধুনি হয়ে উঠেছে বিষয়টা তার খুব ভালো লাগছে। হৃদানের পছন্দ খারাপ না সেটা আগে থেকে যানে তবে এখন পুরো বিশ্বাস হলো।
হিয়া রান্না করা শেষ করে টেবিলে খাবার সাজিয়ে রেখে দিয়েছে তারপর নিজের ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে যায়। নতুন একটা জামা পড়ে কোচিং জন্য রেডি হয়ে যায় বাড়ির বাহিরে গিয়ে দেখে সেখানে গাড়ি দাঁড় করানো রয়েছে বুঝতে পারে হৃদান সব করেছে। কিন্তু হৃদান নিজে এসে হিয়াকে নিয়ে গেলে বেশি ভালো হতো একটু সময় কাটাতে পারতে একসাথে। হিয়া গাড়িতে উঠে বসে ড্রাইভার গাড়ি ছাড়ে।
অনিল আজকে কোচিং এসেছে আর তার একটা কাজ পিছনে বসে ঘুমিয়ে থাকা সো সে সেটায় করছে। হিয়া গাড়ি থেকে নেমে যায় কোচিং সেন্টারে যায় তবে আজকে একটু তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে মনে হয় কোচিং এখনো শুরু হয় নাই। হিয়া গিয়ে পিছনে বসে পড়ে অনিলের দিকে তাকিয়ে দেখে সে ঘুমিয়ে রয়েছে। হিয়ার পিছনে বসতে ভালো লাগে কারণ পিছনে একটা জানালা আছে সেটা দিয়ে সুন্দর বাতাস আসে তাই।
কোচিং অনেক ধরনের বেজ রয়েছে অনেকে বড়ো রয়েছে তারা সিনিয়র মতো চলে সেখানে একজনের নাম হলো রানা। রানা হলো তাদের নেতা তাই পূজোর পর অন্যান্য ক্লাসে এসেছে ঘুরতে তবে হিয়াদের ক্লাসে এসে দেখে একটা নতুন মেয়ে এসেছে। সেটা হলো হিয়া রানা ভালো করে দেখতে থাকে মেয়েটা বেশ সুন্দরী চেহারা ভালো। রানা বলে –
“- এই মেয়ে তোমার নাম কি “।
হিয়া হঠাৎ কাউকে তার নাম জিজ্ঞেস করতে দেখে অবাক হয় তবে ভদ্রতার জন্য বলে –
“- হিয়া আমার নাম “।
“- এখানে নতুন এসেছো “।
“- হুম “।
“- শোনো আজকে কোচিং শেষে আমার সাথে দেখা করবে আর একটা কাজ করো আমি যেহেতু তোমার সিনিয়র তাই একটা কথা শোনো। আমাকে একটা কিস করোতো “।
হিয়া কথাটা শুনে চোখ বড়ো বড়ো করে ফেললো কি বলছে এই লোকটা কিস করব মানে। হিয়া বলে –
‘- এইসব কি বলছেন আপনি ছি:ছি: আমি আপনাকে কিস করতে পারব না সরি “।
রানা ওকে জোর করতে থাকে কিস করার জন্য হিয়ার হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে ঠিক তখন অনিল রানার হাত ধরে ফেলে। আর হিয়ার হাত ছুটিয়ে দেয় আর বলে –
“- ও তোকে কিস করতে চাই না রানা তাই এইসব করা বাদ দে “।
“- ওহ আমাকে কিস করবে কি করবে না সেটা ওর আর আমার বিষয় তোর কি”।
অনিল কিছু বলতে যাবে তখন ক্লাসে স্যার চলে আসে তাই রানা বাধ্য হয়ে চলে যায়। অনি আবার সিটে বসে চোখ বন্ধ করে রাখে কিন্তু হিয়া ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। কি অদ্ভুত ছেলেটা সবসময় ঘুমিয়ে থাকে তবে হিয়ার বিপদ হলে ওর পাশে থাকে। সেইদিন কলম দিলো বাইকে করে পৌঁছে দিলো আজকে বাঁচালো তাহলে কি অনিল এতো খারাপ না। হিয়া ভাবনার মাঝে স্যার পড়াশোনা শুরু করে দিলো তাই হিয়া সেখানে মনোযোগ দিলো।
হৃদান অফিসে রয়েছে অফিসে আজকে অনেক কাজ বেশ অনেকদিন বন্ধ ছিলো তবে হিযার কথা সে ভুলে যায় নাই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখে বুঝতে পারে হিয়া এখন কোচিং রয়েছে না হলে ওকে ফোন করতে কিন্তু পারবে না।হৃদানের খাবার খাওয়ার সময় হয়ে গেছে তাই সে সবার সাথে খেতে যায় বাহিরে।
হিয়া তার কোচিং শেষ করে গাড়িতে উঠে বসে অনিল বাইক নিয়ে নিজের বাড়িতে চলে যায়। হিয়ার বাড়ি ফিরতে বিকেল হয়ে যায় বেশ টার্য়াড সে তাই ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু শুয়ে পড়ে কখন যে ঘুমিয়ে যায় বুঝতে পারে না। হৃদান কাজ শেষ করতে করতে বিকেল হয়ে যায় সে বাড়ি পৌঁছে দেখে হিযার রুমে দরজা খোলা বুঝতে পারে হিয়া এসেছে।হৃদান হিয়ার রুমে যায় গিয়ে দেখ সে সুন্দর করে ঘুমিয়ে রয়েছে হৃদান বিছানায় বসে পড়ে তারপর সুন্দর করে হিয়াকে দেখতে থাকে।
হিয়ার ঘুমন্ত মুখে যোনো একটা সুন্দর গোধূলির আলো আসছে তাকে আরো অপরূপা লাগছে দেখতে। হৃদান হিযার কপালে থাকা চুলগুলো সুন্দর করে সরিয়ে দেয় তারপর ওর কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলে –
‘- ভালোবাসি হিয়া অনেক ভালোবাসি আমার বাচ্চা বউটাকে আই লাভ ইউ “।
কিন্তু হৃদানের কথা হিয়া শুনতে পায় না সে এখন গভীর ঘুমে মগ্ন রয়েছে। হৃদান একটু ঝুঁকে হিয়ার মুখে চুমো দিলো পরে নাকে কানে সমস্ত মুখে। হিয়া ঘুমের মতো একটু নড়েচড়ে উঠলো হৃদান হেঁসে নিজের রুমে চলে য়ায়। ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসে যায় তার ও একটু রেস্ট নেওযা দরকার সারাদিন অনেক কাজ করেছে। হৃদান ঘুমিয়ে পড়ে তবে তার স্বপে হিয়ার সেই ঘুমন্ত মুখের কথা মনে পড়ে ইচ্ছে করে তাকে আরো গভীর ভাবে ছুঁয়ে দিতে কিন্তু সেটা করতে পারবে না হৃদান। এক মিষ্টি মায়াবী মুখের সপ্ন নিয়ে একজন রাজকুমার ঘুমিয়ে পড়ে।
হিয়া বিকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ে নামাজ পড়ে হৃদানের ঘরের দিকে যায়। লোকটা এখনো ঘুমিয়ে রয়েছে হিয়া গিয়ে দরজা খুলে ভিতরে যায় হিযার দরজা খোলার শব্দ শুনে হৃদান ঘুম থেকে উঠে পড়ে। হিয়া বলে –
“- অফিস থেকে কখন আসলেন আপনি “।
হৃদান ঘুম ঘুম চোখে হিয়াকে দেখে মেয়েটা ঘুমিয়ে থাকলেও ওকে সুন্দর লাহে জেগে থাকলেও লাগে। হিয়ার মধ্যে অদ্ভুত একটা মায়া আছে সেটা হৃদান বুঝতে পারে হৃদান বলে –
“- একটু আগে এসেছি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন আপনি “।
হিয়া দরজা একটু মিশিয়ে দিয়ে হৃদানের পাশে গিয়ে বসে ওর এলেমেলো চুলের মধ্যে নিজের হাত রেখে যত্ন সহকারে হাত বুলিয়ে দেয়। হৃদান হেঁসে হিয়ার কোলে মাথা রাখে আর বলে –
“- হঠাৎ আমার বউয়ের এতো ভালোবাসা কোথা থেকে আসলো শুনি “।
“- আপনার বউয়ের সবসময় আপনার উপর ভালোবাসা ছিলো কিন্তু আপনার ছিলো না বুঝতে পারলেন “।
হৃদান একটু দেরি হলেও বুঝতে পারে হিয়াকে সে অনেক ভালোবাসে তাই এখন হিযার থেকে দূরে থাকতে ভালো লাগে না। হৃদান নিজের মাথার উপর থেকে হিয়ার হাত সরিয়ে নিয়ে আসে তারপর হাতে কয়েকটা চুমো খায় আর বলে –
“- জানপাখি এভাবে সারাজীবন আমাকে ভালোবাসবেন কখনো ছেড়ে যাবেন না আমাকে “।
“- না কখনো যাবে না প্রমিজ “।
হৃদান একটু উঠে ওয়াশরুমে যায় হিয়া নিচ থেকে ওর জন্য কফি নিয়ে আসে। হৃদান কফিতে চুমুক দিতে থাকে আর পাশে থাকা হিয়াকে নিজের কাছে নিয়ে এসে ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। হিয়া সুন্দর করে অনুভব করে হৃদানকে লোকটাকে সে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছে বড্ড বেশি।
বিকাল গড়িয়ে রাত হলো দিন আবার সকাল হলো হিয়া ঘুম থেকে উঠে নিজের পড়াশোনা করে রান্না করতে যায়। তবে আজকে বাড়িয়ে একজন নতুন মানুষের আগমন হলে হিয়াকে তাকে চিনতে পারে না দরজা খুলে এক অপরিচিত মানুষকে দেখে জিজ্ঞেস করলো –
“- আপনি কে কাকে চাই “।
“- আমার নাম আবির আমি পিকুর বাবা এই বাড়ির জামাই “।
তখন হিয়ার মনে পড়লো তানিয়া ওকে বলেছে আজকে ওর স্বামী আসবে বিদেশ থেকে সেটা হিযা ভুল গেছিলো। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটা তানিয়া জামাই হিয়া সেটা বুঝতে পারে না। হিয়া তাই বলে –
“- আসলে আমি বুঝতে পারি নাই আপনি পিকুর বাবা হন সরি। আসুন বাড়ির ভিতরে আসুন “।
#চলবে
#মেঘলা_আকাশে_রংধনু_হবো
#লেখনীতে_তাইয়েবা_বিনতে_কেয়া
#পর্ব_২৯ ( একসাথে হাটঁতে চেয়েছে মন).
আবিরকে দেখে রায়হান চৌধুরী উপর থেকে নেমে আসলো তারপর আবির গিয়ে সালাম করল তাকে। রায়হান চৌধুরী বলে –
“- থাক বাবা থাক আর সালাম করতে হবে না তুমিযে আসবে সেটা তানিয়া আমাকে বলে নাই। তাহলে এয়ার্পোটে গাড়ি পাঠিয়ে দিতাম “।
“- আসলে বাবা মনে হয় তানিয়া ভুলে গেছে আর আমার গাড়ি ছিলো দেশে সেটা দিয়ে এসেছি। আচ্ছা হৃদান কোথায় ওকে দেখছি না “।
হৃদানের কথা জিজ্ঞেস করতে করতে হৃদান নিচে নেমে আসে আসলে ঘুম থেকে উঠে কফির জন্য নিচে আসে। তবে অপরিচিত কোনো পুরুষের গলা শুনতে পায় পরে ভালো করে খেয়াল করে দেখে এইটা আবির। হৃদান হাসি মুখে নিচে নামে আর বলে –
“- কি ব্যাপার দুলাভাই বাড়িতে এসে বউকে না খুঁজে শালাকে কোনো খোঁজা হচ্ছে “।
“- কি করব বউকে তো বাড়িতে ঢুকার পর থেকে দেখি নাই আর শালাকে দরকার। কারণ শালা বিয়ে করে ফেললো কিন্তু আমাকে দাওয়াত দিলো না কোনো “।
“- আরে টেনশন করবে না দুলাভাই মাএ একটা বিয়ে করেছি এখনো আরো তিনটা করা বাকি রয়েছে। ইসলামে চারটা বিয়ে করা জায়েজ সো টেনশন করবে না পরের বিয়ের দাওয়াত তুমি পাবে “।
হিয়া হৃদান আর আবিরের কথা শুনছে মনে হচ্ছে বেশ ভালো রিলেশন দুইজনের মধ্যে। না হলে হৃদান এতো সহজে কারো সাথে এইভাবে হেঁসে হেঁসে কথা বলে না। হিয়া গিয়ে আবিরেরর জন্য খাবারের আয়োজন করে পরে খাবার একজন কাজের মহিলাকে দিয়ে উপরে পাঠিয়ে দেয়। হৃদান রান্না ঘরে যায় তবে কফির জন্য হিয়াকে না বলে নিচে কফি বানানোর জন্য চুলায় পানি বসাতে যায় তখন হিয়া চলে আসে। হিয়া বলে –
“- আপনি রান্নাঘরে কোনো কিছু কি দরকার আর চুলায় কোনো আপনি “।
“- আসলে আমার সকালে ঘুম থেকে উঠে কফির দরকার হয় সেটাতো আপনি যানেন তাই কফি তৈরি করছি ‘।
‘- হুম সেটা আমি জানি কিন্তু হঠাৎ করে আবির ভাই চলে আসার কারণে তাকে খাবার দিতে গিয়ে ভুলে গেছি।এখুনি বানিয়ে দিচ্ছি “।
“- থাক আপনি সকাল থেকে অনেক কাজ করেছেন আর কোনো কাজ করতে হবে না আমি নিজে বানিয়ে নিতে পারব। কফি বানানো কতো সহজ আমি পারব “।
“- হুম খুব সহজ কিন্তু যদি হাত পুড়ে যায় তখন কেমন হবে আপনি যান আমি কফি বানিযে পাঠিয়ে দিবো। আর আপনার জন্য কোনো কাজ করতে কষ্ট হয় না আমার বরং ভালো লাগে। কারণ আপনিতো আমার “।
হিয়ার শেষের কথার মধ্যে একটু লজ্জা মিশ্রিত ছিলো হৃদান কথাটা শুনে ওর কাছে আসে আর পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে –
“- ওহ তাই আমি আপনার তাহলে বউটাতো আমার তাই বউকে সাহায্য করা আমার কর্তব্য “।
হিয়া হেঁসে কাজ করতে থাকে তবে হৃদানের জড়িয়ে ধরা আরো শক্ত হয় শুধু কি জড়িয়ে ধরে রেখেছে। চুলগুলো সরিয়ে দিচ্ছে গাড়ে কিস করছে গালে করছে। হৃদানের জন্য হিয়া ঠিক করে কফি বানাতে পারছেনা আর রান্নাঘর একদম নিচে তাই সিঁড়ি বেয়ে উপর থেকে কেউ নামলে দেখে ফেলবে। হিয়া বলে –
“- কি করছেন আপনি ছাড়ুন আমাকে কফি ভালো করে বানাতে দেন। পরে কফি খারাপ হয়ে গেলে আমার কোনো দোষ নাই “।
“- খারাপ হোক কফি কারণ কফির চেয়ে আপনি আরো বেশি মিষ্টি হিয়া সো সমস্যা নাই। আমার বউ হলে চলবে “।
“- বাড়ির কেউ দেখে ফেললে কি ভাববে তারা ছাড়ুন “।
“- মনে করবে যে স্বামী স্ত্রী সুন্দর মুহূর্তে কাটাতে বিজি তাই কেউ বিরক্ত করবে না। এখন কথা না বলে শুধু আমাকে অনুভব করুন “।
হিয়ার কোনো কথা হৃদানের কানে যায় না হৃদান নিজের কাজ করতে থাকে হিয়াকে এমন করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে মনে হচ্ছে একটু হাতের বাঁধন আগলা হয়ে হিয়া পালিয়ে যাবে। হিয়া হৃদানের এই বিরক্তর মধ্যে কফি বানানো শেষ করে কি করবে না করলে এই লোক শুনবে না। পরে নিজেকে ছুটিয়ে নিয়ে কফি হাতে দেয় আর বলে –
“- এই নেন আপনার কফি রেডি যান এখন অফিসে যেতে হবে না রেডি হয়ে আসেন আমি খাবার দিবো “।
“-না এখন রেডি হতে ইচ্ছে করছে না একটু এভাবে থাকতে দেন আমাকে পরে অফিসে যাবো “।
“-একদম না যান এখান থেকে এখন রেডি হন। যান বলছি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আসেন অনেক বেলা হয়ে গেছে খাবার খেতে হবে “।
‘- আমার খাবার খেতে হবে না শুধু এখন আপনাকে চাই “।
হৃদানকে অনেক কষ্ট করে উপরে পাঠিয়ে দিলো হিয়া লোকটা আসলে একটা পাগল। হিয়া নিজের কাজ শেষ করে টেবিলে সব খাবার রাখে হৃদান ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে হিয়া খাবার বেড়ে দেয়। হৃদান চুপচাপ খেয়ে নেয় পরে অফিসের জন্য বাহির হয়ে যায় আজকে বেশি কাজ নাই অফিসে তবে জমিনের কিছু কাগজ দেখতে যেতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে একটা স্কুল তৈরির জন্য বিল পাশ হয়েছে সেটার ফাইনাল জমিনের কাজ চেক করতে হবে কালকে থেকে কাজ শুরু হবে।
হিয়া উপরে উঠে যায় তানিয়ার রুমে যায় আবির আর পিকু রয়েছে সেখানে। হিয়া গিয়ে দেখে আবির পিকৃর জন্য খেলনা এনেছে পিকু সেটা দিয়ে খেলছে। হিয়া দরজায় নক করে বলে –
“- আসতে পারি “।
তানিয়া এতোখন ঘরের কাজ করছিলো হিয়াকে দেখে নিজের কাজ বন্ধ করে হাসি মুখে তাকিয়ে বলে –
“- আরে হিয়া রুমে আসো এর জন্য আবার অনুমতি নিতে হয় নাকি “।
হিয়া রুমে চলে যায় দেখে আবির নাস্তা খেয়েছে আসলে দুপুরে কি রান্না করবে সেটা জিজ্ঞেস করতে এসেছে হিয়া। আবির এই বাড়ির জামাই এতোদিন পর ফিরেছে তাই ওর পছন্দ অনুসারে রান্না করতে হবে। কিন্তু হিয়া আবিরের কি পছন্দ সেটা জানে না তাই তানিয়ার থেকে জিজ্ঞেস করতে এসেছে। হিয়া বলে –
“- আসলে আবির ভাই এতোদিন পরে এসেছে বিদেশ থেকে তাই দুপুরো কি রান্না করব সেটা বুঝতে পারছি না। আসলে আবির ভাই কি পছন্দ করে সেটাতো আমি জানি না “।
আবির হিয়ার কথা শুনে হাসে মেয়েটা সত্যি ভালো কি সুন্দর রান্নার কথা জিজ্ঞেস করেছে আগে এই বাড়িতে আসার পরে নিজের শাশুড়ীর কথা মনে পড়তো। শাশুড়ী থাকলে তার যত্ন করতো ভালো করে কিন্তু কাজের লোক কি আর নিজের মানুষের মতো খেয়াল রাখে সবসময়। আবির বলে –
“- যাক এতোদিন পর তাহলে শাশুড়ী না থাকার অভাব পূরণ হলো এই বাড়িতে কেউ আমাকে যত্ন সহকারে রান্না করে। খাওয়ানোর কথা বলছে খুব ভালো “।
#চলবে