মেঘ তুমি বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব-০৯

0
23

#মেঘ তুমি বৃষ্টি হয়ে নামো
#পর্ব-৯
#শারমিন আঁচল নিপা

সে তো ভুলে বসেছিল মেঘের পরিবার কতটা প্রভাবশালী। মেঘের বাবা দুবার এম পি ইলেকশন করেছে। উপর মহল পর্যন্ত তার হাত আছে। বৃষ্টি বুঝতে পারছে তাকে কোর্টে চালান করার আগেই মেরে ফেলবে। বৃষ্টির দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না। এখান থেকে বের না হলে সে কোনোভাবেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে না। আর মেঘের খু/নী হয়ে সে মরতে চায় না। সবমিলিয়ে ভীষণ আতঙ্কে আছে সে। এমন সময় তার হাতে একটা কাগজ গুজে দিল জেলার। বৃষ্টি কাগজটা বের করে পড়ল। সে দেখল সায়েবা তাকে চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে লেখা ছিল

“তোকে কোর্টে চালান দেওয়া হবে না এর আগেই মেরে ফেলা হবে। আমি জেলারকে ঘুষ দিয়েছি। সে তোকে তালা খুলে দিবে। সুযোগ বুঝে রাতে পালিয়ে যাবি।”

সায়েবার এ চিঠিটা বৃষ্টির জন্য কতটা আশাতীত ছিল সেটা কেবল সেই জানে। জেলার বৃষ্টিকে ইশারা করে কাছে আসতে বলল। কাছে আসতেই হালকা গলায় বলল

“তোর গলায় যে সোনার চেইন, আর কানে যে দুলগুলো আছে আমাকে দিয়ে যাবি। আমি তোকে রাতে খাবার দেওয়ার সময় তালা যখন খুলব তখন তুই আমাকে বেঁধে বের হয়ে যাবি। সাবধান ধরা পড়লে এ পরিকল্পনার কথা বলবি না। আমারও ধারণা তুই খুন করিসনি। তাই তোকে সাহায্য করছি।”

বৃষ্টি সাথে সাথে গলার চেইন, কানের, দুল হাতে পরে থাকা তিনটি আংকটির থেকে একটি আংকটি দিয়ে দিল। সে সাথে হালকা গলায় বলল

“এ একটি আংকটি আমাকে মেঘ দিয়েছিল বিয়ের দিন। এটা আমি দিতে পারব না। বাকি সব দিয়ে দিলাম। এখানে ৪-৫ লাখ টাকার সোনার গহনা। এগুলো আমার কাছে এখন মূল্যহীন। আমি এ সাহায্যের কথা বেঁচে থাকলে ভুলব না।”

জেলার গহনা গুলো নিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে অন্যদিকে চলে গেল। বৃষ্টির প্রতিটা আশার আলো কোনো না কোনোভাবে নিভে যায়। এবার যেন ঐরকমটা না হয় সেজন্য দোয়া করতে থাকল। কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছে সে।

রাত দুটো বাজে। জেলার এসেছে পানি দিতে। পানি দেওয়ার সময় জেলার ইশারা করল তাকে যেন বেঁধে দিয়ে বৃষ্টি পালিয়ে যায়। বৃষ্টি দ্রূত তার উড়না টা দুই ভাগ করে জেলারের হাত, পা এবং মুখে বেঁধে দিল। এরপর আস্তে করে বের হয়ে গেল।

থানায় অফিসার মাহির চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছে। বাকিরাও বেশ ক্লান্ত হয়ে বসে আছে। বৃষ্টি সুযোগ বুঝেই সেখান থেকে দৌড়ে বের হলো। দৌড়ে বের হওয়ার সময় থানার গেইটের সামনে ফুলদানীটা পরে জোরে শব্দ হলো। সবাই আচমকা শব্দে জেগে উঠল। একজন বাইরে গিয়ে দেখল ফুলদানীটা পরে গেছে। তাই ভেতরে এসে জানান দিল বাইরে বাতাসে ফুলদানীটা পড়ে ভেঙে গেছে। আর কোনো সমস্যা নেই। সব ঠিকেই আছে।

এটা শুনে সবাই একটু স্বস্তি নিয়ে বসে ছিল। তবে সে স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। আরেকজন কনস্টেবল এসে জানাল বৃষ্টি জেলারকে বেঁধে পালিয়েছে। অফিসার মাহির চমকে উঠল। তার ঘুম নিমিষেই উড়ে গেল। আকরাম সাহেব যে কতটা ভয়ংকর সে জানে। এ ঘটনা তাকে বললে পুরো থানা তুলপাড় করে ফেলবে। সে সাথে সাথে সবাইকে জানাল চেকপোস্ট বসাতে আর সব জায়গা চেক করতে। যাতে বৃষ্টিকে রাতের মধ্যেই খুঁজে বের করা যায়।

তার কথা মতোই চেকপস্ট বসানো হলো। এদিকে বৃষ্টি একটা ট্রাকে উঠে গিয়েছিল। সেখানে ফ্রিজের কার্টুনের ভেতর নিজেকে আবদ্ধ করে গুটিসুটি হয়ে বসেছিল। চেকপোস্টে বৃষ্টি যে ট্রাকে বসেছিল সেটাও চেক করেছিল তবে বৃষ্টি কার্টুনের ভেতর থাকায় তারা আর সন্দেহজনক কিছু না পেয়ে ছেড়ে দেয়। ট্রাকটা জোরে টান দেয়। ১ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে ট্রাক ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে জঙ্গলের দিকে এগিয়ে গেল। বৃষ্টি বুঝতে পারে সে হয় নেশা করতে গিয়েছে নাহয় প্রস্রাব করতে গিয়েছে। চারদিকে চেকপোস্ট এ ট্রাকে থাকাও বিপজ্জনক। সে অতি সাবধানে ট্রাক থেকে নেমে দৌড় দিয়ে সামনে এগিয়ে গেল। হঠাৎ করে কিছু একটাতে পা আটকে সে একজনের সামনে এসে থুবড়ে পড়ল। সাধারণ পোশাক পরা থাকলেও লোকটা পুলিশ তার বুঝতে বাকি রইল না। সে লোকটাকে দেখেই কান্না করে বলে উঠল

“বিশ্বাস করেন আমি মেঘকে খুন করিনি। আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে থানা থেকে পালিয়ে গিয়েছি। আমাকে আবার থানায় ধরিয়ে দিবেন না দয়াকরে। আমাকে প্লিজ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ দিন।”

বলতে বলতেই বৃষ্টি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার যখন জ্ঞান ফিরে সে লক্ষ্য করে সে একটা বাসায় শুয়ে আছে। সে শুয়া থেকে উঠে পড়ল। আস্তে করে ঘরের চারপাশটা অবলোকন করল। বেশ সাজানো গুছানো পরিপাটি। এখানে কীভাবে আসলো সে সেটাই ভাবছে। আস্তে পায়ে কৌতুহলী হয়ে সে সামনের দিকে এগিয়ে গেল। ড্রইং রুমটাও বেশ সাজানো। কেউ নেই তবে টিভি চলছে। সে টিভির দিকে তাকিয়ে চমকে গেল। ভয় তাকে গ্রাস করতে লাগল। তারই ছবি দেখিয়ে নিউজ করা হচ্ছে। সে জোরে জোরে দম নিতে লাগল। এমন সময় রান্নাঘর থেকে দুই হাতে দুটো কফির মগ নিয়ে আসলো সামির।

সামির সেই ছেলেটি যার সামনে বৃষ্টি অজ্ঞান হয়েছিল। সে গোয়েন্দা বিভাগে আছে। বৃষ্টি অজ্ঞান হওয়ার পর সে বৃষ্টিকে বাসায় নিয়ে আসে । তারপর বৃষ্টির ব্যাপারে সে খোঁজ নেয়। এতটুকু বুঝতে পারে মেঘের বাবার ক্ষমতার দাপটে বৃষ্টি কোর্ট পর্যন্ত আর যেতে পারবে না এর আগেই মৃত হয়ে যাবে। সেজন্য বৃষ্টিকে নিয়ে সে নতুন পরিকল্পনা করে। বৃষ্টি যদি সত্যিই অপরাধী হয় তাহলে সে বৃষ্টিকে আইনের নিয়মে সাজার ব্যবস্থা করবে আর যদি সে সত্যিই নির্দোষ হয় তাহলে সে বৃষ্টিকে নির্দোষ প্রমাণ করবে। এটা ভেবেই সে বৃষ্টিকে গোপন রেখেছে।

এদিকে সামিরকে দেখে বৃষ্টি অসহায় হয়ে তাকিয়ে বলল

“বিশ্বাস করুন এগুলো মিথ্যা। আমি খু/ন করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে মেরে ফেলবে তারা। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আমার বাঁচা প্রয়োজন। আমাকে ধরিয়ে দিবেন না।”

সামির সাহেব একটা কফির মগ বৃষ্টির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল

“মিস বৃষ্টি ভয় পাবেন না। আমি ঐরকম কিছুই করব না। আমি গোয়েন্দা বিভাগে আছি। অপরাধীকে খুঁজে বের করায় আমাদের কাজ। নিজেকে সামলে নিয়ে কফি খান। এরপর আমাকে সব ঘটনা খুলে বলুন।”

বৃষ্টির এবার নিজেকে হালকা লাগতে শুরু করল। সে স্বাভাবিকভাবে বসলো। কফিতে এক চুমুক দিল। অনেকদিন পর তার একটু স্বস্তি লাগছে। সে স্বস্তিভরা কণ্ঠে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া সব অদ্ভুত বিষয়গুলো বলতে লাগল। সামির সাহেব বৃষ্টির কথা শুনে বুঝতে পারল এতে বৃষ্টির কোনো ভুল নেই। সে বৃষ্টিকে আশ্বস্ত করে বলল

” আপনি এখানে আত্মগোপনে থাকতে পারেন। আপনার এখানে থাকতে অসুবিধা হবে না। আর সবচেয়ে বড়ো বিষয় আপনি এখানে আছেন এটা কেউ সন্দেহ করবে না। আমি নিজে সুপারিশ করে এ কেইসের দায়িত্ব নিব। আমি তদন্ত করে আপনার বিষয়টি বিবেচনা করে আসল খু/নীকে ঠিকই বের করে নিব। আপনার সাহায্য অবশ্যই লাগবে। তবে আপাতত আপনি নিজেকে আগে ঠিক করুন।”

বৃষ্টি কফির কাপে চুমুক লাগিয়ে আবারও মেঝেতে পড়ে গেল। সামির সাহেব দ্রূত বৃষ্টিকে ধরে কোলে তুলে নিল। এরপর বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ডাক্তারকে খবর দিল। বৃষ্টিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রিস্ক। তাই সে তার বান্ধবী তিন্নিকে আসতে বলেছে।

তিন্নি এমনিতে বেশ দায়িত্বশীল একটা মেয়ে। সে সাথে সামির সাহেবকে সে খুব সম্মান করে। তার জন্য তিন্নির জীবনটা আজকে এত সুন্দর। তাই সামির সাহেবের ডাকে সে কখনও ব্যস্ততা দেখায় না। বরং শত ব্যস্ততা পার করে সে ছুটে আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। সে ছুটে আসল সামির সাহেবের বাসায়। সামির সাহেব তিন্নি আসতেই বৃষ্টি দেখিয়ে বলল

“মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে আবার, কী করা যায়?”

তিন্নি বৃষ্টিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করল। সে দেখল বৃষ্টির প্রেসার অনেক লো। একটা স্যালাইন দিয়ে দিল সে। সে সাথে এটা বুঝতে পারল বৃষ্টি সন্তানসম্ভাবা। বিষয়টি সামিরকে জানিয়ে তিন্নি বিদায় নিল।

সামির সাহেব বসে আনমনা হয়ে ভাবছে। বৃষ্টি যে সত্য বলছে তার একটা প্রমাণ পাওয়া গেল। তার মানে বৃষ্টির সাথে মেঘের বিয়ে হয়েছিল। আর আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ১৫ দিন আগে তারা মিলিত হয়েছিল।

এদিকে বৃষ্টির জ্ঞান ফিরে। সে স্বপ্নে মেঘের লাশটাকে ভয়ংকর রুপে দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে। সামির সাহেব বৃষ্টির চিৎকার শুনে বৃষ্টির কাছে যায়। বৃষ্টিকে জিজ্ঞেস করল

“কী হয়েছে? আপনি এভাবে চিৎকার করে উঠলেন কেন?”

বৃষ্টি ঢোক গিলল। সে বুঝতেছিল এটা তার স্বপ্ন ছিল। সে নিজেকে সামলে উত্তর দিল

“না কিছু না, এমনি।”

সামির সাহেব হালকা একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল

“আপনার নিজেকে এখন কেয়ার করা দরকার। আপনি সন্তানসম্ভাবা। এ সময় এত চিন্তা আপনি এবং আপনার বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর।”

সামির সাহেবের এ কথাটা শুনে বৃষ্টি কান্না করে দিল। কান্না গলায় বলতে লাগল

“আমার এ জীবন কখন ঠিক হবে? আমার সন্তান জন্মের আগে আমাকে প্রমাণ করতে হবে আমি খু/নী না। নাহয় আমার সন্তানও একটা সময় আমাকে তার বাবার খু/নী ভেবে মুখ ফিরিয়ে নিবে।”

বৃষ্টির কান্না সামির সাহেবের কোমল মনে বেশ দাগ কাটল।।সে শান্ত গলায় উত্তর দিল

“আমি আজকে মেঘদের বাড়িতে যাব। এই কেইসের জন্য সুপারিশ করেছি ইতিমধ্যে । আমাকে বলা হয়েছে তারা এটা আমার হাতে তুলে দিবে। আপনাকে কথা দিলাম আপনার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই আমি অপরাধীকে বের করে ছাড়ব। ”

কথাগুলো বলে সামির সাহেব নিজের রুমে এসে সিগারেট টানতে লাগল। আজকে অতীত তাকে ভীষণ পীড়া দিচ্ছে। যে অতীত সে ভুলে গিয়েছিল সে অতীত আজকে আবার স্মৃতিশক্তিতে কড়া নাড়ছে। যে অতীত থেকে সে দূরে থাকতে চাচ্ছে সে অতীতেই তাকে বারবার হানা দিচ্ছে।

বিকেল গড়িয়ে রাত নামল। সামির সাহেব বৃষ্টির রুমে প্রবেশ করল। বৃষ্টি তখন আনমনা হয়ে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে আছে।।সামির সাহেবের উপস্থিতি টের পেয়ে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাতেই সামির সাহেব নম্র গলায় বলে উঠলেন

“আমি বের হচ্ছি। সরাসরি মেঘের বাড়িতে যাব। আমাকে মেঘের কেইসটার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আমাকে গোপনে এবং কৌশলে কাজটি করতে বলা হয়েছে। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ বিষয়টিও সমাধান হওয়ার আগ পর্যন্ত গোপন থাকবে। আমি এখনই মেঘের বাড়ির দিকে রওনা দিব৷ বেশ কিছুদিন সেখানে থাকব। এরপর ফিরব। আপনার যেন অসুবিধা না হয় সে জন্য আমি আপনার জন্য সব কিছু ব্যবস্থা করে রেখেছি। ফ্রিজে খাবার রান্না আছে ১ সপ্তাহের। গরম করে করে খেয়ে নিবেন। চাল এবং কুকার রান্না ঘরে আছে ভাতটা ফুটিয়ে নিবেন শুধু। আর আপনার জন্য একটা মোবাইল কিনেছি৷ কোনো প্রয়োজনো তিন্নিকে কল দিবেন। আমি তাকে সবটা বলেছি এবং সে আপনাকে সবসময় সাহায্য করতে প্রস্তুত। আমি এটা বলার জন্যই এখানে এসেছিলাম। অনেকক্ষণ দরজা নক করছিলাম সাড়াশব্দ পাইনি তাই সরাসরি অনুমতি ছাড়ায় প্রবেশ করে ফেলি। এজন্য দুঃখিত।”

বৃষ্টি শুধু মাথা নাড়ল।

সামির সাহেব নিজের গাড়িটা বের করে মেঘের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিল। একটা কঠিন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক করার মূল মন্ত্র নিয়ে সে এগুচ্ছে। সে জানে কাজটা সহজ না তবে মাঝে মাঝে বুদ্ধি আর কৌশলে যেকোনো কাজও সহজ করা যায়।

সামির সাহেবের বাড়ি থেকে মেঘের বাড়ির দূরত্ব দুই ঘন্টার ব্যবধান। সে দিনে না গিয়ে এত রাতে যাচ্ছে এটারও বিশেষ কারণ রয়েছে। তবে সেটা সে এখনই প্রকাশ করতে চাচ্ছে না।

টানা দুই ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে সে মেঘের বাড়ির সামনে আসলো। বাড়ির গেইটের সামনে আসলেই দারোয়ান তাকে ঢুকতে বাঁধা দিলে সে দারোয়ানের হাতে একটা চিঠি দিয়ে মেঘের বাবাকে দিতে বলল। দারোয়ান ভালো করে গেইটে তালা দিয়ে ভেতরে চিঠিটা নিয়ে যায়। আর এদিকে সামির সাহেব চারপাশটা ভালো করে অবলোকন করছিল। হুট করে তার চোখে এমন একটি বিষয় ধরা পড়ে যা মেঘের মৃত্যু রহস্য সমাধানের একটা বিশেষ বার্তা নিয়ে আসে।